প্রভিডেন্ড ফান্ড নীতিমালা সমুহ সাধারনত কিভাবে লেখতে হয়

প্রভিডেন্ড ফান্ড নীতিমালা সমুহ সাধারনত কিভাবে লেখতে হয়?

প্রভিডেন্ড ফান্ড নীতিমালা

গার্মেন্টস লিমিটেড শ্রমিক, কর্মচারী- –কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক । যে কারনে শ্রমিক-কর্মচারীদের আর্থিক ভবিষ্যত তহবিল গঠন বিবেচনার্থে কোম্পানী প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি শ্রমিক, কর্মচারী-–কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে “ গার্মেন্টস লিমিটেড এর কর্মীদের কন্ট্রিবিউটরী প্রভিডেন্ড ফান্ড ” গঠন করেছে এবং সে সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। যাহা ১লা জুন ২০১৩ ইং তারিখ হতে কার্যকরী হবে।

যে সমস্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তগণ এই প্রতিষ্ঠানে নূন্যতম ৬ (ছয়) মাস চাকুরীর বয়স পূর্ণ করেছেন বা যখনই ৬ (ছয়) মাস পূর্ণ হবে তখন থেকে এই ফান্ডের সদস্য পদের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন। তবে এ প্রভিডেন্ড ফান্ডের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয় । ফান্ডের সকল কার্যক্রম একটি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে যেখানে মালিক পক্ষের ও শ্রমিক পক্ষের সমান সংখ্যক নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে । এছাড়াও অন্যান্য সদস্যগণের যৌথ উপস্থিতিতে সভার এর মাধ্যমে সংখ্যাধিক্যেও মতামতের ভিত্তিতে এই বোর্ডের সভায় যে কোন সিদ্বান্ত গ্রহন করা হবে ।

এই ফান্ডের হিসাব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোম্পানীর ব্যয়ে একজন হিসাব রক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে যিনি এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সকল সদস্যের নামে পৃথক পৃথক হিসাব খোলাবেন ও তাহা সময় সময় সদস্যদের অবহিত করবেন । প্রতিমাসে প্রত্যেক চাঁদাদানকারী সদস্যদের মূল বেতন ( বেসিক বেতন ) হতে ৮ % হারে টাকা উক্ত প্রভিডেন্ড ফান্ডে তার নামের হিসাবে জমা হবে । সাথে সাথে কোম্পানীও তার নামে সমান সংখ্যক টাকা জমা দিবেন । নিজের জমা টাকা ও কোম্পানী প্রদত্ত টাকা যৌথভাবে ব্যাংক হিসাবে জমা হবে । ব্যাংক হিসাবটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্য হতে যৌথ একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক পরিচালিত হবে ।

যদি কোন চাঁদাদানকারী সদস্য উক্ত ফান্ডের সদস্য হওয়ার তারিখ হতে পরবর্তী ৩ ( তিন ) বৎসর পর্যন্ত চাঁদাদান অব্যাহত রাখেন এবং তার পরে সে যদি চাকুরী হতে পদত্যাগ বা চলে যান তবে সে সদস্য তার নামের জমাকৃত সমূদয় অর্থ সহ কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত সমান পরিমান অর্থ ও ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সুদ সহ সকল অর্থ এককালীন ফেরত পাবেন ।

অন্যদিকে উক্ত ফান্ডের বিধিমালা অনুযায়ী কোন সদস্য যদি উক্ত প্রভি ফান্ডের সদস্য হওয়ার তারিখ হতে ০৩ (তিন ) বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই চাকুরী হতে চলে যান তবে ফান্ডে জমাকৃত তার নিজের অংশের টাকা তাকে ফেরত প্রদান করা হবে ।

কোন সদস্য যদি মৃত্যুবরণ করেন বা চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করেন তবে সাথে সাথে উক্ত প্রভিডেন্দ ফান্ডে তার চাঁদা প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে । ৩ (তিন ) বছরের পূর্বেই যদি কোন সদস্যের যে কোন উপায়ে তার চাকুরীর অবসান হয় তবে তার একাউন্টের জমাকৃত টাকা হতে কোম্পানীর প্রদত্ত চাঁদার অংশ ও তার সুদ লেপস বা ফরফিচার একাউন্টে জমা হবে ।

কোন সদস্য যদি মৃত্যুবরণ করেন বা চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করেন সে ক্ষেত্রে যদি কোম্পানীর নিকট উক্ত ব্যক্তির কোন আর্থিক দায় থাকে তবে সেই পরিমান অর্থ কোম্পানী কর্তন করে বাদ বাকী অর্থ তাকে ফেরত দেওয়া হবে।

কোন সদস্য এই ফান্ডের সদস্য হওয়ার পরবর্তী ০২ ( দুই ) বৎসর অতিক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তার হিসেবে নিজের জমাকৃত মোট টাকার সর্বোচ্চ ৮০% টাকা বিনা সুদে ঋণ বা লোন পেতে পারেন । যাহা লোন আবেদন ফরমে এবং ট্রাস্ট্রি চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত সংখ্যক কিস্তিতে বিনা সুদে আদায় করা হবে । উক্ত ঋণের কিস্তি যে মাস হতে ঋণ প্রদান হবে সে মাস হতে কর্তন করা হবে ।

প্রতি বছর শেষ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা প্রতিটি চাঁদাদানকারী এর একাউন্টে বৎসরের শেষের মোট ব্যালেন্সের বিবরন প্রত্যেক চাঁদাদানকারী সদস্যের নিকট পৌছাবেন । সদস্যগণ তাদের হিসাবের বিবরণী হাতে পাওয়ার ০১ ( এক ) মাসের মধ্যে হিসাবের বিবরণীতে কোন ভূলক্রটি কিছু থাকলে তাহা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তাকে জানাবেন ।

ফান্ডের অবসান ঃ

সকল সুবিধাভোগীদের (বেনিফিসিয়ারী) কমপক্ষে ০৬ (ছয়) মাসের নোটিশ প্রদান করা (ব্যক্তিগতভাবে বা রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ কিংবা ফ্যাক্টরীর প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শন করে জারি করতে হবে) উক্ত ফান্ড বিলুপ্ত করা যাবে এবং সকল সুবিধাভোগী (বেনিফিসিয়ারী) দের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করতে হবে। উক্ত ফান্ড অবলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে অত্র বিধিমালা বাতিল বলে গন্য হবে।

Comments

Leave a Reply