Select Page

ফাইভ এস – কি  এবং  কেন ?

ফাইভ এস  এবং  প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনকে আমরা লীন উৎপাদন ব্যবস্থার ভিত্তি বলে গণ্য করতে পারি ।  কর্মক্ষেত্র  উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত গড়তে  ফাইভ এস এবং প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনই হল মূল সাংগঠনিক হাতিয়ার । এটি নিশ্চিত করে যে , প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে  এবং  প্রত্যেক জিনিস পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবহারোপযোগীভাবে তার নির্ধারিত জায়গায় থাকবে।

লীন উৎপাদন ব্যবস্থ্যায় আপনার দলকে  ফাইভ এস  বিষয়ে শিক্ষা দিবে এবং লাইনে লীন বাস্তবায়নে তা সহায়ক   হবে , পরবর্তীতে যা অন্যান্য লাইন গুলো ও অনুসরণ করবে। এই শিক্ষার মাধ্যমে কর্মীরা আতœনির্ভরশীল হবে এবং লীন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে। আমরা আপনাকে একটি দলীয় পেশাগত সংস্কৃতি গড়তে সাহায্য করব যা সর্বদা উন্নয়নের জন্য আপনার দলকে শক্তিশালী করবে এবং উৎসাহ যোগাবে।

ফাইভ এস এর উপকারিতা

ফাইভ এস  নিরাপত্তার উন্নতি সাধন করা  * অপচয় রোধ করা  * কর্মীদের নৈতিক মনোবল বৃদ্ধি করা  * সমস্যাসমূহ দ্রুত চিহ্নিত করা  * প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা  * উপযোগী কর্ম পরিবেশ তৈরী করা  * পণ্যের পরিমাণগত ও গুণগত মান বৃদ্ধি করা  * কাজে কর্মীদের সন্তুষ্টি বাড়বে  * কর্মীদের আন্তঃসম্পর্ক শক্তিশালী করা  * কর্মীদের কর্মস্থলের প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করা ।

বাছাই করা

ফাইভ এস ‘ র  প্রথম ধাপ হচ্ছে , কর্মস্থলে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় ইস্যু ও যন্ত্রপাতি সমূহ বাছাই করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ সরিয়ে রাখতে হবে অথবা রেড ট্যাগ লাগাতে হবে যাতে পরবর্তীতে তা অপসারণ করা যায়। এটি ভালভাবে সম্পাদন হলে কর্মীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের উন্নতি হয় এবং পণ্যের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

গুছিয়ে রাখা

ফাইভ এস ‘ র  দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে , দরকারী ইস্যু ও যন্ত্রপাতিগুলো শ্রেণীবদ্ধভাবে গুছিয়ে রাখা এবং লেবেল লাগানো যাতে প্রয়োজনে সহজেই তা খুঁজে পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি , বাস্কেট , প্যাটার্ণ , ও প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ যথাযথভাবে সনাক্তকারী লেবেল লাগাতে হবে। ফলে উৎপাদনকার্যে শ্রম ও সময়ের অপচয় দূর হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

সবকিছু  পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন  রাখা হলো  ফাইভ এস ‘ র  তৃতীয় ধাপ । এটি যেমন কর্মস্থলকে নিরাপদ রাখে তেমনি সমস্যা থাকলে তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারে। ফ্লোর থেকে ময়লা , টুকরা কাপড় , ভাঙ্গা যন্ত্রপাতি , তরল জাতীয় পদার্থ ইত্যাদি পরিহার করতে হবে । মোট কথা , বিশৃংঙখল ও নোংরা পরিবেশ প্রতিরোধই  হলো এই ধাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এর ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার দায়িত্বটি কর্মীদের দৈনন্দিন কাজের অংশ বলে গণ্য হবে।

আদর্শ মান নির্ধারন

ফাইভ এস ‘ র চতুর্থ ধাপ হচ্ছে , উপরোক্ত তিনটি ধাপের প্রতিটি কাজের জন্য একটি সহজ ও সর্ব্বোত্তম আদর্শ মান নির্ধারন করা এবং তা অনুসরন করা। কোন কাজটি কে , কিভাবে , কখন , কোথায় করবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যন্ত্রপাতি এবং ইস্যুসমূহ  কোথায় , কিভাবে রাখবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং নির্ধারিত স্থানে সঠিক জিনিসটি রাখতে হবে। আদর্শ মান চিহ্নিত করার জন্য রেখাচিত্র , লেবেল , রঙ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিয়মিত পালন করা

ফাইভ এস ‘ র  সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে , উপরের চারটি ধাপ অনুসরনের বাধ্যবাধকতা এবং নিয়মানুবর্তীতা বজায় রাখা। এটি করা না হলে কর্মস্থলে পূর্ববর্তী বিশৃঙ্খল ও নোংরা পরিবেশ ফিরে আসবে। সেজন্য কর্মস্থলে উন্নত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আপনার দলের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন কর্মস্থল ও কাজের প্রতি কর্মীদের আস্থা অর্জিত হবে  তখন উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়বে তেমনি কর্ম সন্তুষ্টি ও আসবে।