বাক স্বাধীনতা এর অধিকার নীতি। ট্রেড ইউনিয়ন কি প্রয়োজনঅথবা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের নিয়ম।

বাক স্বাধীনতা এর অধিকার নীতি। ট্রেড ইউনিয়ন কি প্রয়োজন?অথবা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের নিয়ম।

বাক স্বাধীনতার অধিকার নীতি

গার্মেন্টস লিমিটেড শ্রম ও শিল্প আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার বা ট্রেড ইউনিয়নে যোগদান করার অধিকার কে সাদরে গ্রহন করেছে। শ্রমিক এবং মালিকের সম্পর্ক অথবা শ্রমিককে এবং শ্রমিকের সম্পর্ক নিয়ত্রন করার লক্ষে কোন পার্থক্য ছাড়াই সকল শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং সংশি¬ষ্ট ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে, সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের স্বাধিনতা দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি আদায়ের জন্য বাক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

শ্রমিকগনের ট্রেড ইউনিয়নের ফেডারেশন গঠন করার এবং উহাতে যোগদান করার অধিকার থাকার এবং উক্তরূপ কোন ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের শ্রমিক সংগঠনের কোন আšর্তজাতিক সংস্থা বা কোন ফেডারেশনের সহিত সম্বন্ধীকরনের অধিকার থাকবে। ট্রেড ইউনিয়ন সমুহের নিজস্ব গঠনতšত্র ও বিধিমালা প্রনয়নের স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নির্বাচনের, সমিতির প্রসাশন ও কর্মতৎপরতা সংগঠনের এবং কর্মসুচী প্রনয়নের অধিকার খাকবে। ট্রেড ইউনিয়নের জন্য শ্রমিকদের বাক স্বাধীনতা বা অধিকার আদায়ের শর্তাবলী পালন করতে হবে ঃ

     ১। ট্রেড ইউনিয়ন অবশ্যই রেজির্ষ্ট্রি করন হতে হবে।

     ২। ট্রেড ইউনিয়নের গঠন তšত্র- ট্রেড ইউনিয়নের উদ্দেশ্য, সদস্য হওয়ার পন্থা, ট্রেড ইউনিয়নের সুবিধাদি, গঠনতšত্র পরিবর্তন, সংশোধন ও বাতিলের পন্থা ইত্যাদি উলে¬খ থাকতে হইবে। 

     ৩। টেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য তাহাকে অবশ্যই উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক হইতে হইবে।

     ৪। একই সময়ে কোন শ্রমিক একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে বা থাকিতে পারিবে না।

     ৫। টেড ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সংগাঠনিক সম্পাদক বা কোষাধক্ষকে তাহার সম্মতি ব্যতিত অন্য কোম্পানীতে বদলী করা যাইবে না।

     ৬। মালিকের বিনা অনুমতিতে কোন শ্রমিক তাহার কর্মসময়ে কোন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকান্ড  নিয়োজিত থাকিতে পারিবে না।

     ৭। যে প্রতিষ্ঠানে একটি মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য উহা যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি বলিয়া গন্য হইবে।

     ৮। যে প্রতিষ্ঠান একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন  থাকে সেখানে শ্রম পরিচালক গোপন ভোটের মাধ্যমে ঠিক করেন কে যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি হইবে।

শ্রমিক কর্তৃক পদত্যাগ বা রিজাইন করার নিয়মঃ

কোন স্থায়ী শ্রমিক সেচ্ছায় যদি কারখানা থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে আসতে চায় অর্থাৎ পদত্যাগ বা রিজাইন দিতে চায় তবে তাকে অন্তত ৬০ দিন পূর্বে লিখিত ভাবে প্রতিষ্ঠানের মালিককে পদত্যাগপত্র বা নোটিশ দিতে পারে। যদি নোটিশ দিতে না পারেন তবে তিনি তার মালিককে ৬০ দিনের মজুরি প্রদান করিবেন।
শ্রমিক কর্তৃক পদত্যাগ বা রিজাইন করলে শ্রমিক যে সমস্ত আর্থিক সুবিধাদি পাবেন তার বিবরনঃ
১) বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা।
২) পাঁচ বছরের বেশি কিন্তু দশ বছরের কম কাজ করে থাকলে প্রতি বছর কাজের জন্য ১৪ দিনের মজুরী এবং দশ বছরের বেশি কাজ করে থাকলে প্রতি বছর কাজের জন্য ৩০ দিনের মজুরী, ক্ষতিপূরন বা গ্রাচ্যুইটি যা বেশি হয় তা পাবেন।
৩) যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী।
৪) প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply