কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির

অবিপদজনক ও বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ এবং নাড়াচাড়া পদ্ধতি

বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ

বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ -কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করিবার পরে স্কাপারের মাধ্যমে পানি হইতে যে কঠিন পদার্থ অপসারন করা হয় ইহাই স্লাজ বা ক্ষতিকর বর্জ্য।

বর্জ্য পদার্থ নাড়াচাড়া করিবার পদ্ধতি ঃ

  • বর্জ্য পদার্থ নাড়াচাড়া করিবার পূর্বে ব্যক্তিগত সতর্কতার জন্য প্রয়োজনীয় সেফটি ম্যাটেরিয়েলস (যেমনঃ গামবুট, সেফটি গগলস, এপ্রোন, হ্যান্ডগ্লাভস এবং মাস্ক) প্রভৃতি পরিধান করিতে হইবে।
  • অতঃপর স্লাজের মধ্যে ডুবে যায় এমন একটি বাকেটের সাহায্যে স্লাজ প্রথমে প্লাষ্টিক ড্রামে জমা করিতে হইবে।
  • প্রথমেই বিপদজনক এবং অবিপদজনক বর্জ্য চিহ্নিত করিতে হইবে।
  • দায়িত্বশীল ব্যক্তি দ্বারা স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ হইতে মুক্ত থাকার লক্ষ্যে বিপদজনক এবং অবিপদজনক বর্জ্য পদার্থ আলাদা আলাদা সীমাবদ্ধ স্থানে রাখিতে হইবে।
  • সমস্ত কেমিক্যাল কন্টেইনার পরিষ্কার করিবার সময় নিয়ম মাফিক অর্থাৎ ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক হ্যান্ড গ্লোাভস, গামবুট, মাস্ক, গগলস প্রভৃতি পরিধান করিতে হইবে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত স্থানে প্রেরণ করিতে হইবে।
  • যত দ্রুত সম্ভব স্পর্শ স্থান সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলিতে হইবে।
  • যদি বর্জ্য পদার্থ শরীরের কাপড়ে পড়ে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কাপড় ভেদ করিবার পূর্বেই ত্বক বা শরীরের উপর হইতে কাপড় খুলিয়া ফেলিতে হইবে।
  • ত্বক বা কাপড়ের উপর দাগ পড়িলে সাইট্রিক এসিড অথবা অধিকতর তরল অক্সাইড এসিড দ্রবণ দিয়ে দাগগুলো তুলিয়া ফেলিতে হইবে।
  • যদি গলধকরন বা মুখ গহ্বরের ভিতরে ঢুকে পড়ে ঃ
  • তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে ফেলিতে হইবে।
  • প্রচুর খাবার পানি পান করিতে হইবে।
  • যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের অথবা হাসপাতালের শরনাপন্ন হইতে হইবে।
  • খালি রাসায়নিক কন্টেইনার অবশ্যই লাইসেন্স প্রাপ্ত ঠিকাদারগণ ব্যতীত অন্য কেহ নিতে পারিবে না।
  • খালি কন্টেইনারে আসল কন্টেইনারের ন্যায় অন্য বস্তু দ্বারা ভরা যাইবে না।
  • ব্যবহৃত তৈল ছিদ্রবিহীন পাত্রে ঢালাই করা মেঝের উপর নির্দিষ্ট জায়গায় রাখিতে হইবে। ঢালাই মেঝে মাটির সাথে এমন প্রতিবন্ধকতা রাখিতে হইবে যেন কোন কারণে দুর্ঘটনায় পতিত না হয়।
  • খোলা রৌদ্রে ব্যবহৃত তৈল রাখা যাইবে না।
  • ব্যবহৃত টিউবলাইট ভালভাবে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করিতে হইবে যেন ভেঙ্গে না যায়। কারণ টিউবলাইটের ভিতরের ব্যবহৃত গ্যাস বিপদজনক।
  • কোন কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখীন হইলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হইতে হইবে।
  • শুষ্ক বর্জ্য ব্যাগে ভরিয়া রাখিতে হইবে।
  • শুষ্ক বর্জ্য বাতাস কিংবা বৃষ্টির পানিতে যেন অন্যত্র চলিয়া না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হইবে।
  • বর্জ্যরে পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট খাতায় রেকর্ড করিয়া রাখিতে হইবে। রেজিষ্টারে বর্জ্যরে প্রকার, ওজন/আয়তন এবং বর্জ্যে পানির পরিমাণ উল্লেখ থাকিতে হইবে।
  • ষ্টোরেজ এলাকায় বিপদজনক চিহ্ন এবং বিপদজনক বর্জ্য ফেলানো এলাকা চিহ্নিত করিতে হইবে।
  • ষ্টোরেজ এলাকা দেয়াল ঘেরা থাকিতে হইবে।
  • পরে অতি সাবধানতার সহিত স্লাজ ভর্তি ড্রামগুলো একটি গাড়ীতে করিয়া স্লাজ ডাম্পিং এরিয়াতে ফেলিতে হইবে।

ক্ষতিকর বর্জ্যরে সংস্পর্শে আসলে করণীয়

যদি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ঃ

সতেজ বায়ু দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হইবে।

দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হইতে হইবে।

যদি চোখের সংস্পর্শে আসে ঃ

চোখের পাতা খোলা রেখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলিতে হইবে। পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ব্যবহার করিলে সবচাইতে ভাল হইবে।


Posted

in

by

Comments

One response to “অবিপদজনক ও বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ এবং নাড়াচাড়া পদ্ধতি”

Leave a Reply