শৃংখলা মূলক ব্যবস্থার Disciplinary Practice

শৃংখলা মূলক ব্যবস্থার Disciplinary Practice নীতিমালা

শৃংখলা মূলক ব্যবস্থা

প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে নিয়ম-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নির্ধারিত কিছু নিয়ম রয়েছে। মূলতঃ ফ্যাক্টরীতে কাজের পরিবেশ রক্ষা এবং প্রত্যেক শ্রমিককে ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত নিয়ম পালন করতে হবে ঃ

  • মৌখিকভাবে বুঝানো –     কমপক্ষে ৩ বার
  • মৌখিকভাবে সতর্ক করা –     কমপক্ষে ৩ বার
  • কারন দর্শানোর নোটিশ –     যতবার প্রয়োজন
  • লিখিত সতর্কবাণী –     কমপক্ষে ৩ বার

উপরোক্ত ব্যবস্থায় ফলাফল না পাওয়া গেলে নিয়ম মাফিক কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য সাধারণ  শৃংখলা ভঙ্গের কারনে শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণ ও উদ্ভুদ্ধ করনের মাধ্যমে সংশোধন পূর্বক কর্মের প্রতি মনোযোগী এবং অনুরাগী করে গড়ে তোলা হয় কোন অবস্থাতেই শারিরীক, দৈহিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন, অর্থদন্ড বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হয় না।

শ্রমিক কর্তৃক নিম্নবর্ণিত কাজ ও ত্র“টিসমূহ অসদাচরণরূপে বিবেচিত হয়ে থাকেঃ

  • একাকী বা সংঘবদ্ধভাবে কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইন-শৃংখলা  বা যুক্তিসংগত আদেশ ইচ্ছাকৃত ভাবে পালন না করা বা অবাধ্যতা দেখানো।
  • কোম্পানীর ব্যবসার বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে চুরি, প্রতারনা বা অসাধুতা অথবা কোন ধরনের ক্ষতি সাধন।
  • ঘুষ বা অবৈধ কোন পারিতোষিক গ্রহণ বা প্রদান।
  • ছুটি ব্যতিরেকে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি।
  • প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য যে কোন আইন-শৃংখলা বা নিয়ম ভঙ্গ করার অভ্যাস।
  • কোন কাজ না করার অভ্যাস বা কাজে অবহেলা।
  • একাকী বা সংঘবদ্ধভাবে ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিতি।
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানে হাঙ্গামামূলক বা উচ্ছৃংখল আচরণ অথবা আইন-শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজ করা।
  • একক বা সংঘবদ্ধভাবে কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকারক, ধ্বংসাত্বক বা সন্দেহজনক কাজে অংশগ্রহণ করা।
  • প্রতিষ্ঠানের নামে কর্তৃপক্ষের অজান্তে কোন ধরনের টাকা পয়সার লেনদেন।
  • ধুমপান নিষিদ্ধ ফ্যাক্টরী এলাকায় ধুমপান করা।
  • প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত যে কোন প্রকার বিধি বিধান যেমন স্বাস্থ্য বিধি, নিরাপত্তা, পরিবেশ ইত্যাদি ইচ্ছাকৃত ভাবে না মেনে চলা।
  • ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ফ্যাক্টরী ও নিকটবর্তী এলাকায় কোন ধরণের পোষ্টার, প্যামফ্লেট প্রচার করা।
  • ফ্যাক্টরী বা ফ্যাক্টরীর নিকটবর্তী এলাকায় জুয়া খেলা।
  • অনুমতি ব্যতিত কর্মক্ষেত্র ত্যাগ।
  • কর্মস্থলে ঘুমানো।
  • নাম, বয়স, যোগ্যতা, পূর্ণ অভিজ্ঞতা বিষয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।
  • কোম্পানীর সম্পত্তি বা দলিল পত্র নষ্ট করা, ক্ষতি করা বিকৃত করা।
  • একাকী বা সংঘবদ্ধভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে কাজ করা বা এর জন্য উস্কানী দেয়া।

ছাঁটাই

  • কোন শ্রমিককে প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারনে কোন প্রতিষ্ঠান হইতে ছাটাই করা যাইবে।
  • কোন শ্রমিক যদি কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যুন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে-
  • তাহার ছাটাইয়ের কারন উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে।
  • নোটিশের একটি কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করিতে হইবে এবং আরেকটি কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধিকে, যদি থাকে, দিতে হইবে এবং
  • তাহাকে ক্ষতি পূরন বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী প্রাচুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে।
  • উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১৬ (৭) এর অধীন ছাটাইয়ের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) (ক) এর উল্লেখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাটাইকৃত শ্রমিককে উপ-ধারা (২) (গ) মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরন বা গ্রাচুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হইবে।
  • যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিককে ছাটাই করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে, মালিক

ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের পুনঃ নিয়োগ। যে ক্ষেত্রে শ্রমিককে ছাটাই করা হয় এবং ছাটাইয়ের এক বৎসরের মধ্যে মালিক পুনরায় কোন শ্রমিক নিয়োগ করিতে ইচ্ছুক হন সে ক্ষেত্রে মালিক ছাটাইকৃত শ্রমিকের সর্বশেষ জানা ঠিকানায় নোটিশ প্রেরন করিয়া তাহাকে চাকুরীর জন্য আবেদন করিতে আহ্বান জানাইবেন এবং এই আহ্বানে সাড়া দিয়া কোন শ্রমিক পুনরায় চরীর পাইবার জন্য আবেদন করিলে তাহাকে নিয়োগের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে, এবং এ রকম একাধিক ছাটাইকৃত শ্রমিক প্রার্থী হইলে তাহাদের মধ্যে চাকুরীর জ্যেষ্ঠতার ভিক্তিতে অগ্রধিকার দেওয়া হইবে।

চাকুরী হইতে ডিসচার্জ।

  • কোন শ্রমিককে, কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থের কারনে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।
  • ডিসচার্জ কোন শ্রমিক অন্যূন এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পুর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরন হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।

অসদাচরণ এবং দন্ড-প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তি।

  • এই আইনে লে-অফ, ছাটাই ডিসচার্জ এবং চাকুরীর অবসান সম্পর্কে অন্যত্র যাহা কিছুই বলা হউক না কেন, কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করা যাইবে, যদি তিনি-
  • কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা
  • ধারা ২৪ এর অধীন অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
  • অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (১) এর অধীন চাকুরী হইতে বরখাস্তেও পরিবর্তে, বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, নিুলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইবে, যথা ঃ-
  • অপসারণ;
  • নীচের পদে, গ্রেড বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পযর্ন্ত আনয়ন;
  • অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
  • অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
  • জরিমানা;
  • অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
  • ভৎসনা ও সতর্কীকরণ।
  • উপ-ধারা (১) এর অধীনে বরখাস্তকৃত অথবা উপ-ধারা (২) এর অধীন অপসারিত কোন শ্রমিককে, যদি তাহার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যুন এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পূর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য চৌদ্দ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচ্যুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
  • তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (৪) এর অধীন অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত করা হইলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাইবেন না।
  • উপ-ধারা (১) (ক) এর অধীন বরখাস্তকৃত কোন শ্রমিক যদি আপীল খালাস পান, তাহা হইলে তাহাকে তাহার পূর্বতন পদে বহাল করিতে হইবে, অথবা নূতন কোন উপযুক্ত পদে তাহাকে নিয়োগ করিতে হইবে, এবং যদি ইহার কোনটিই সম্ভব না হয়, তাহা হইলে তাহাকে ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিককে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের সমান হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে, তবে বরখাস্ত হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের টাকা ইহা হইতে বাদ যাইবে।

শাস্তির পদ্ধতিঃ

  • ধারা ২৩ এর অধীন কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ প্রদান করা যাইবে না, যদি না-
  • তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়;
  • অভিযোগের একটি কপি তাহাকে দেওয়া হয় এবং ইহার জবাব দেওয়ার জন্য অন্তত সাতদিন সময় দেওয়া হয়;
  • তাহাকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া হয়;
  • তদন্তের পর তাহাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়;
  • মালিক বা ব্যবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন।
  • অসদাচরণের অভিযোগ অভিযুক্ত কোন শ্রমিককে তদন্ত সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যাইবে, এবং যদি না বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকে, এই সাময়িক বরখাস্তের মোট মেয়াদ ষাট দিনের অধিক হইবে নাঃ
  • তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সাময়িক বরখাস্ত কালে মালিক তাহাকে তাহার গড় মজুরী, মহার্ঘভাতা এবং এডহক বা অন্তর্বর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর অর্ধেক খোরাকী ভাতা হিসাবে প্রদান করিবেন।
  • সাময়িক বরখাস্তের কোন আদেশ লিখিতভাবে হইবে এবং ইহা শ্রমিককে প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হইবে।
  • কোন তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, তাহার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি সাহায্য করিতে পারিবেন।
  • যদি কোন তদন্তে কোন পক্ষ মৌখিক সাক্ষী প্রদান করেন, তাহা হইলে যাহার বিরুদ্ধে এই সাক্ষ্য প্রদান করা হইবে তিনি কে জেরা করিতে পারিবেন।
  • যদি তদন্তে কোন শ্রমিককে দোষী পাওয়া যায় এবং তাহাকে ধারা ২৩ (১) এর অধীন শাস্তি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তিনি তাহার সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ের জন্য কোন মজুরী পাইবেন না, তবে উক্ত সময়ের জন্য তাহার খোরাকী ভাতা প্রাপ্য থাকিবে।
  • যদি তদন্তে কোন শ্রমিকের অপরাধ প্রমাণিত না হয়, হইলে তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মরত ছিলেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং ঐ সময়ের জন্য তাহার, খোরাকী ভাতা সমন্বয় সহ, মজুরী প্রদেয় হইবে।
  • শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে , শাস্তির আদেশের একটি কপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে দিতে হইবে।
  • যদি কোন শ্রমিক মালিক কর্তৃক প্রেরিত নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোন কাগজপত্র গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে উহা তাহাকে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া বুঝিতে হইবে যদি উহার একটি কপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হয় এবং আরেকটি কপি মালিকের নথি-পত্র হইতে প্রাপ্ত শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাক যোগে প্রেরণ করা হয়।
  • কোন শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে মালিক সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের পূর্বতন নথি-পত্র, অপরাধের গুরুত্ব এবং বিদ্যমান অন্য কোন বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আনিবেন।

Posted

in

by

Comments

2 responses to “শৃংখলা মূলক ব্যবস্থার Disciplinary Practice নীতিমালা”

Leave a Reply