সংলাপ প্রক্রিয়া নীতিমালা
নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: অটো গ্র“প সকলের জন্য সমান অধিকার, মর্যাদা নিশ্চিত করতে সদা সচেষ্ট । ফ্যাক্টরীর সম সাময়িক পরিস্থিতি, চাহিদা, অভিযোগ, প্রভৃতি বিষয় দ্রুত অবগতি ও নিষ্পত্তি হওয়ার লক্ষ্যে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তত একবার কর্তৃপক্ষ ও কিছু সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি, সাধারন শ্রমিক, প্রাথমিক চিকিৎসক ও প্রোডাকশন স্টাফদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মিটিং বা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে, আরো উল্লেখ্য যে, জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় এই সংলাপ বা মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই সংলাপ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্র কোম্পানীতে একটি সংলাপ প্রক্রিয়া নীতি প্রণোয়ণ করা হয়েছে।
কার্যকরী পরিষদঃ সংলাপ নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে যা এই নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করেঃ
কার্যকরী প্রকৃয়া ও অনুমোদনঃ উল্লেখিত নীতিমালা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকরী রাখার ক্ষমতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত পর্ষদ এই নীতিমালা প্রয়োগ ও চলমান রাখতে নীতিগতভাবে দায়বদ্ধ।
নীতিমালা প্রণোয়ণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
- সংলাপ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার ২ থেকে ৩ দিন পূর্বেই মিটিং এর তারিখ সকলের অবগতির জন্য সাউন্ড সিস্টেম ও নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়। নোটিশের কপি প্রত্যেক নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়।
- সংলাপ প্রকৃয়ার মাধ্যমে শ্রমিক পক্ষ তাদের দাবী-দাওয়া, অভিযোগ, ক্ষোভ (যদি থাকে) তা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবে। ছোট ছোট অপরাধ, ক্ষোভ, অসন্তোষ জমা হয়ে বড় আকার ধারণ করতে না পারে তা সংলাপ প্রকৃয়ার উদ্দেশ্য।
- সংলাপ শেষে উভয় পক্ষের মধ্যকার আলোচনার বিষয় বস্তু যেমন কোন সমস্যা বা প্রস্তাবিত বিষয়, সমাধান বা গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ নোটিশ বোর্ড ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে জানানো হয়।
- তবে, আরো উল্লেখ্য যে, জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় এই সংলাপ বা মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ
সংলাপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর আলোচিত বিষয় ও গৃহীত সিদ্ধান্ত নোটিশ বোর্ড ও পি,এ সিষ্টেমের মাধ্যমে সকলকে অবগত করা হয়। এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ঠ ঃ
ফ্যাক্টরীর কর্ম পরিবেশ, বহিরাগত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা প্রভৃতি বাস্তবস্থা জানবার জন্য কর্তৃপক্ষ ও কিছু সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি, সাধারন শ্রমিক, প্রাথমিক চিকিৎসক ও প্রোডাকশন স্টাফদের মধ্যেকার এই সংলাপ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এ নীতি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।