সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা ও আদর্শ CRI গুলো কি কি?

সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা ও আদর্শ CRI গুলো কি কি?

সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা ও আদর্শ CRI

কার্টার’স ইনক. (সিআরই) তার সকল কার্টার ও ওশকোশ বি’গোশ ব্রান্ডের পন্য যাতে আইনগত ও সামাজিক আদর্শ নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদিত হয় তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্র“তীবদ্ধ। নিচের বিবরন অনুসারে সিআরআই যেসব সংস্থার সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করে যেমন ক্রেতা-বিক্রেতা, ফ্যাক্টরী, সরবরাহকারী ও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান (সরবরাহকারী) তাদেরকেও প্রযোজ্য সকল শ্রম, কর্মস্থল, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত আইনকানুন সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলতে হবে। এইসব নীতিমালা হচ্ছে সিআরই এর প্রতিশ্র“তির ভিত্তি এবং সরবরাহকারীদের সামাজিকতা মেনে চলার মান মুল্যায়নের পরিমাপক। আমাদের সরবরাহকারীগন যে আইনে ও যে পরিবেশে কাজ করেন তার প্রতি সিআরই সম্মান প্রদর্শন করে ফলে এই নীতিতে তাদের নূন্যতম সামাজিক দায়িত্ব নির্ধারন করা হয়েছে যা সরবরাহকারীরা সিআরই এর সাথে ব্যবসা করার স্বার্থে অবশ্যই মেনে চলবেন। এই নীতিমালা যদি প্রযোজ্য আইনের মাত্রা থেকে বেশি হয় তাহলেও সরবরাহকারীদের এই নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

১। শ্রম

সরবরাহকারীরা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন যে কর্মীরা কোনভাবেই কলুষিত হচ্ছেন না এবং তাদের সাথে সুষ্ঠ আচরন করা হচ্ছে ও ক্ষতিপুরন দেয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে সংগঠন করতে দেয়া হচ্ছে। নূন্যতম হিসেবে সরবরাহকারীরা নিচের প্রাকটিস সমূহ মেনে চলবেন এবং এদের নীতি সমূহ বাস্তবায়ন করবেন:

ক। শিশু শ্রম। শিশু শ্রমের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সিআরই এর পণ্য উৎপাদনের জন্য সরবরাহকারীদের কর্মির বয়স হতে হবে কম পক্ষে ষোল (১৬) বছর। ষোল (১৬) ও আঠারো (১৮) বছরের কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য স্থানিয় সকল আইনও মেনে চলতে হবে। সরবরাহকারীরা তাদের প্রত্যেক কর্মির জন্ম তারিখ সম্পর্কে বৈধ কাগজপত্র সংরক্ষন করবেন।

খ। বলপূর্বক শ্রম, দাস শ্রম, ও মানব পাচার। সরবরাহকারীরা কোন ধরনের বলপূর্বক শ্রম ব্যবহার করবেন না যার মধ্যে আরও অন্যান্যের মধ্যে থাকে দাস শ্রম, বন্দি শ্রম, আজ্ঞাবহ শ্রম, ও মুচলেকা দেয়া শ্রম। শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ যেন তৃতীয় কোন পক্ষ যেমন দালাল ও ঠিকাদারা বিনষ্ট করতে না পারে সেই জন্য সরবরাহকারীরা শ্রমিকদের প্রয়োজন ও নিয়োগ সংক্রান্ত সকল নিয়োম কানুন মেনে চলবেন। পাসপোর্ট ও ব্যক্তিগত পরিচিতিপত্র সর্বদা কর্মির কাছে থাকবে এবং কখনই তা তৃতীয় পক্ষের কাছে থাকতে পারবে না।

গ। বৈষম্য। সরবরাহকারীরা কর্মি নিয়োগ বা চাকুরি সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কখনই কর্মির ব্যক্তিগত চরিত্র বা বিশ্বাস যেমন গোত্র, লিঙ্গ, বয়স, জাতিয়তা, ধর্ম, সামাজিক ও নৃতাত্বিক উৎস, লিঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি, গর্ভাবস্থা, পারিবারীক অবস্থা, রাজনৈতীক মতাদর্শ, বা এরুপ অন্যান্য শ্রেনীর ভিত্তিতে যা দেশিয় ও আন্তর্জাতীক আইনে সুরক্ষিত রয়েছে। সরবরাহকারীর গোত্র, আদর্শ, লিঙ্গ, বা সামাজিক শ্রেনি ও মর্যাদা নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে সমান হারে সম মূল্যে পারিশ্রমিক প্রদান করবেন।

ঘ। হয়রানী ও স্খলন। সরবরাহকারীরা সকল শ্রমিকের সাথে সুষ্ঠ আচরন করবেন এবং তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। যেকোন ধরনের শারীরিক ও মানুষিক হেনস্থা যেমন ব্যাঙ্গ বিভ্রুপ করা, মনস্তাত্বিক নীপিড়ন, হুমকি বা হয়রানী কঠে^ারভাবে নিষিদ্ধ।

সরবরাহকারীরা একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত শৃঙ্খলা নীতি ধারন করবেন এবং সকল সকল শৃঙ্খলা ব্যবস্থার কাগজপত্র সংরক্ষন করতে হবে।

ঙ। ক্ষতিপূরন ও সুবিধা। সরবরাহকারীরা দেশিয় ও আন্তর্জাতীক আইন অনুযায়ী সকল শ্রমিককে সময়মত মজুরি ও ভাতা পরিশোধ করবেন যেমন যেকোন ওভারটাইমের মজুরী সহ। সরবরাহকারীরা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী শ্রমিকের বেতন থেকে কর্তন করতে পারবেন।

এফ। কাজের সময়। সরবরাহকারীরা সর্বোচ্চ ওয়ার্ক আওয়ার টাইম সহ স্থানিয় আইন অনুসারে কর্মির কাজের সিডিউল নির্ধারন করবেন। কর্মীকে প্রতি সাত (৭) দিনে কমপক্ষে এক দিন ছুটি দিতে হবে। ওভারটাইম হবে ঐচ্ছিক এবং এতে কোন ভয় ভিতি দেখানো যাবে না। ওভারটাইম সিষ্টেমেটিক হতে পারবে না এবং তা স্থানিয় আইন অনুসারে হবে। এছাড়াও যোগ্য কর্মীদেরকে আইন অনুসারে ছুটি, অবকাশ সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। সরবরাহকারীরা কর্মীদের প্রকৃত কাজ মোতাবেক সঠিক পেরোল ও টাইম রেকর্ড তৈরী ও সংরক্ষন করবেন এতে আছে নিয়োমিত ও অতিরিক্ত সময়ের কাজ, ছুটি, অবকাশ সময়।

জি। সংগঠনের স্বাধীনতা। সরবরাহকারীরা কর্মীদের স্বেচ্ছায় যেকোন সংগঠন, দল বা সমন্বিত দরকষাকষিতে অংশ গ্রহন করা বা না করার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এতে কোনরুপ বেআইনী হস্তক্ষেপ করবেন না। সমন্বিতভাবে দরকষাকষির অধিকার সীমিত করা যাবে না। সরবরাহকারীরা কর্মীদেরকে আলোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহন বা কোন সংগঠন বা দলে সমন্বিত দরকষাকষিতে অংশগ্রহনের জন্য প্রলুব্ধ বা হয়রানী করতে পারবেন না।

এইচ। হোমওয়ার্ক। সকল উৎপাদন বৈধ ওয়ার্ক ফ্যাসিলিটিতে পরিচালনা করতে হবে। কর্মির বাসায় বা স্বাভাবিক কর্মস্থলের বাহিরে কোন কাজ বান্তবায়ন কখনই অনুমোদন করা যাবে না।

২। কর্মস্থলের পরিবেশ- স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

সরবরাহকারীরা কর্মিদের জন্য নিরাপদ, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্য সম্মত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। নূন্যপক্ষে সরবরাহকারীরা নিচের প্রাকটিসগুলো মেনে চলবেন এবং এদের অধিনে নীতি বাস্তবায়ন করবেন:

ক। সরঞ্জাম নিরাপত্তা। সরবরাহকারীরা সকল যন্ত্রপাতি পরিচালনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সরবরাহকারীরা সকল যন্ত্রপাতি নিয়োমিত পরিদর্শন ও মেরামত করবেন এবং কর্মীদেরকে যন্ত্রপাতির উপর সঠিক প্রশিক্ষন দিবেন। যেসব কর্মী দাহ্য পদার্থ বা বিপদজনক জিনিস নিয়ে কাজ করেন তাদেরকে অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষন দিতে হবে।

খ। বায়ু চলাচল ও আলোর ব্যবস্থা। কর্মস্খলে যাতে যথেষ্ট বায়ু চলাচল করতে পারে ও পর্যাপ্ত আলো থাকে তা সরবরাহকারীরা নিশ্চিত করবেন। কর্মস্থলের যেখানে রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় সেখানে যথাযথ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

গ। ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম। সরবরাহকারীরা কর্মীদেরকে যথাযথ সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম প্রদান করবেন যাতে আছে চোখ ও কানের সুরক্ষা, সেফটি প্লোভস, যথাযথ ফুটওয়্যার, সেই সাথে প্রশিক্ষন ও দিক নির্দেশনা দিবেন।

ডি। বৈদ্যুতিক। সরবরাহকারীরা সকল বৈদ্যুতিক তার ও সংশ্লিষ্ট বৈদ্যুতিক সামগ্রি নিশ্চিত করবেন যাতে আছে কন্ট্রোল প্যানেল, ফ্রেইড ওয়্যারিং, সার্কিট ও আউটলেট নিয়োমিত পরিদর্শন করা হয় এবং সার্ভিস করা হয়।

ই। জরুরী স্থান ত্যাগ। সরবরাহকারীরা কর্মস্থলে প্রয়োজনিয় সংখ্যক বহিনির্গমন পথ রাখার ব্যবস্থা করবেন এবং এদেরকে সঠিকভাবে চিহিৃত করে রাখবেন। সকল বহি:নির্গমন পথ, চলাচলের রাস্তা সব সময়ে পরিষ্কার ও চলাচল উপোযোগি রাখতে হবে।
এফ। অগ্নি নিরাপত্তা। সরবরাহকারীরা কর্মস্থলে যথাযথ ফায়ার এ্যালার্ম ও প্রয়োজনিয় সংখ্যক অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র রাখার ব্যবস্থা করবেন। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার অগ্নি নির্বাপনী মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারখানাটি যদি এমন কোন ভবনে থাকে যেখানে আরও অন্যান্য কারখানা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাহলে সরবরাহকারীকে বছরে কমপক্ষে দুই বার যৌথ অগ্নি নির্বাপনী মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

জি। আবাসন। সরবরাহকারীরা যদি কর্মীদেরকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে চান তাহলে তাদেরকে প্রযোজ্য সকল রায়তী আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে হবে সেই সাথে স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও অগ্নি বিধিমালাও অনুসরন করতে হবে।

৩। পরিবেশগত ও সামাজিক বিষয়

সরবরাহকারীরা তাদের কাজের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও সমাজের উপর বিরুপ প্রভাব নূন্যতম পর্যায়ে রাখার জন্য সার্বক্ষনিকভাবে তাদের উৎপাদন প্রকৃয়া পর্যবেক্ষন করবেন। পরিবেশগত সকল অনুমতি, সনদপত্র ও নিবন্ধনপত্র সব সময়ে হালনাগাদ করে কাছাকাছি রাখতে হবে। কারখানা থেকে সৃষ্ট ময়লা পানি ও কঠিন বর্জ্য সহ যাবোতীয় রাসায়নিক ও বিপদজনক পদার্থ অবশ্যই পরিবেশ সম্মত উপায়ে অপসারন করতে হবে।

৪। নথিপত্র

সরবরাহকারীরা এই নীতিমালা ও প্রযোজ্য অন্যন্য বিধি সমূহ মেনে চলছেন কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র কর্মস্থলে সংরক্ষন করবেন। সিআরআই বা এর তৃতীয় পক্ষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে এসব নথিপত্র অবশ্যই হাতের কাছে রাখতে হবে এবং নূন্যতম এক বছর পর্যন্ত তা রাখতে হবে।

৫। সুবিধা ও সাবকন্ট্রাকটরস

সরবরাহকারীরা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন যে সকল পর্যায়ে এবং সিআরআই এর বানিজ্যিক কাজে জরিত সকল ফ্যাক্টরী সহ তাদের থার্ড পার্টি সাবকন্ট্রাকটররা এই নীতির আদর্শ সমূহ মেনে চলছেন এবং তারা এরুপ কাজের জন্য দায়ি থাকছেন। সরবরাহকারীরা অবশ্যই এই প্রয়োজনগুলোর কথা জানাবেন এবং এই নীতির অন্তর্গত বাধ্যবাধকতা সমূহ এরুপ সংস্থাগুলো যাতে বুঝতে পারে, সম্মত হয় ও মেনে চলে তা নিশ্চিত করবেন।

সরবরাহকারীরা অবশ্যই সিআরআইকে ফ্যাসিলিটির একটি কারেন্ট তালিকা দিবেন যা সিআরআই এর ব্যবসায় ব্যবহৃত হয় এবং সকল সাবকন্ট্রাকটর অবশ্যই সিআরআই কর্তৃক পূর্ব অনুমোদিত হতে হবে।

৬। সুবিধা নিরীক্ষা

এই নীতিমালার অনুসরন নিশ্চিত করতে সরবরাহকারীরা সিআরআই বা এর অনুমোদিত তৃতীয় পক্ষকে পরিস্থিতি নীরিক্ষা ও রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের জন্য অবাধে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে দিবেন। সিআরআই’র বানিজ্যে নিয়োজিত সকল ফ্যাসিলিটিস ও সাবকন্ট্রাকটররা এই নীরিক্ষার আওতায় থাকবেন এবং পরিদর্শনকালে কোন ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা সাথে সাথে সন্তোষজনকভাবে সংশোধন করতে হবে। নীরিক্ষার খরচ সরবরাহকারী বহন করবেন। নীরিক্ষা ঘোষনা দিয়ে বা ঘোষনা ছাড়াই করা যাবে এবং সিআরআই এর প্রয়োজনে যেকোন সময়ে পরিচালিত হতে পারে।

সিআরআই বা এর অনুমোদিত তৃতীয় পক্ষ অডিট ফার্ম সরবরাহকারীকে ও নীরিক্ষার জন্য বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিচের জিনিসগুলো প্রদান করবেন:

● প্রাথমিক নীরিক্ষার দুই (২) সপ্তাহ আগে ইস্যুকরা একটি এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার যাতে প্রতিষ্ঠানের নীরিক্ষার তারিখ উল্লেখ থাকবে; এবং
● পূর্ন নীরিক্ষা প্রতিবেদন, প্রয়োজনিয় সংশোধনী ব্যবস্থা পরিকল্পনা এবং উদ্দিষ্ট তারিখ, সংশোধনী ব্যবস্থা ও প্রতিপালন যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হলে যেকোন ফলো-আপ অডিট।

এমন কোন ফ্যাসিলিটির নীরিক্ষার জন্য যদি সিডিউল করা হয় যা সরবরাহ কর্তৃক আর ব্যবহৃত হচ্ছে না তাহলে সিডিউল পরিবর্তন করার জন্য সরবরাহকারী সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্টকে অবশ্যই নীরিক্ষার দিনের কম পক্ষে আটচল্লিশ (৪৮) ঘন্টা পূর্বে অবহিত করবেন। সিআরআইকে যদি নীরিক্ষার আটচল্লিশ (৪৮) ঘন্টা আগে নোটিস দেয়া না হয় তাহলে নীরিক্ষা পরিবর্তনের জন্য উদ্ভুত খরচ সরবরাহকারী বহন করবেন।

৭। নীরিক্ষা ফলাফল ও সংশোধনী ব্যবস্থা

সিআরআই যেকোন চুক্তি, নির্ধারিত ব্যবস্থা বা ভবিষ্যত ক্রয় আদেশ (কোন পেমেন্ট ছাড়াই) বা যেকোন সরবরাহকারীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক (সমন্বিতভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক) নীরিক্ষাকালে অপরাধ পাওয়া গেলে তা “জিরো টলারেন্স” এর ভিত্তিতে বাতিল করতে পারে, যেমন শিশু শ্রম, বলপূর্বক শ্রমের ব্যবহার, মজুরি পরিশোধ না করা, বলপূর্বক বা বন্দি শ্রম, হয়রানী ও স্খলন, ঘুষ দেয়া-নেয়া, ও সাবকন্ট্রাকটরদের কথা প্রকাশ করতে ব্যার্থ হওয়া। কোন সরবরাহকারী যদি তার একই ফ্যাসিলিটির জন্য পর পর দুটি অডিটের উপর ৫০% এর বেশি অডিট রেট পেতে ব্যার্থ হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রেও সিআরআই সরবরাহকারীর সাথে এরুপ ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।

নীরিক্ষা কালে কোন ত্র“টি বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা প্রতিকারের জন্য একটি সংশোধনী ব্যবস্থা পরিকল্পনা (সিএপি) তৈরী করতে সরবরাহকারীরা অবশ্যই সিআরআই এর সাথে কাজ করবেন। সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট সিএপি পর্যালোচনা করে অনুমোদন করবেন এবং একটি উদ্দিষ্ট ফলো-আপ নীরিক্ষার তারিখ নির্ধারন করবেন। সিআরআই এর একান্ত বিবেচনায় সঠিক মনে হলে সংশোধনী ব্যবস্থা বা ফলো-আপের সময় সীমা বাড়ানো যেতে পারে।

নীতি পালনে ব্যার্থতার জন্য কোন সরবরাহকারীকে বহিষ্কার বা বাতিল করা হলে তাকে পরবর্তী বারো মাসের মধ্যে আর পুনর্বহাল করা হবে না এবং যেপর্যন্তনা এই নীতির আদর্শ মেনে চলার প্রমান সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত হচ্ছে।

৮। প্রতিশ্র“তী

সিআরআই আশা করে সকল সরবরাহকারী এই নীতির আদর্শ সমূহ মেনে চলবে এবং তাদের সাবকন্্রটাকটরগন যাতে এই সব নীতিমালা মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে স্বচেষ্ট হন। এছাড়াও সরবরাহকারীরা:

● এই নীতির সাথে সংযুক্ত পরিশিষ্ট এ লেখা সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি চুক্তিপত্র সাক্ষর করে তা বর্নিত ঠিকানায় সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট বরাবর পাঠিয়ে দিবেন;

● অত্র নীতি বর্নিত পরিশিষ্ট বি এর গৃহীত সংশোধনী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উন্নতি করবেন এবং সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্টের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিবেন।

Comments

One response to “সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা ও আদর্শ CRI গুলো কি কি?”

Leave a Reply