সেফটি কমিটি

সেফটি কমিটি কর্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন

সেফটি কমিটির এখতিয়ার

সেফটি কমিটি এর আখতিয়ার সম্পর্কে আলোচান করা হলো

সভায় নিরাপওা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বা সার্ভে রিপোর্ট, নিরাপওা ও ঝূঁকি সম্পর্কিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন, জরুরী দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করিতে হইবে।সেফটি কমিটি  সভার কার্যবিবরণী লিখিতভাবে সংরক্ষণ করে থাকে  এবং প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। এমতাবস্থায় তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বে তার অবস্থার যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য প্রাথমিকভাবে কিছু সেবা-শুশ্রষার প্রয়োজন হয়। যেমন শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে সেখান থেকে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে, ফলে শরীর রক্ত শূণ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বে তাৎক্ষণিকভাবে তার রক্তপাত বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। শরীরের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে তা অনড়  করে নিতে হবে। …

  • যদিও এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়, তথাপি এটি কোন চিকিৎসা নয়। কারণ যিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন তিনি কোন ডাক্তার নহেন এবং কোন ঔষধ প্রয়োগের ক্ষমতা তার নেই। একজন ডাক্তারের পক্ষেই চিকিৎসা করানো সম্ভব এবং রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ তিনিই দিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে পরিদর্শক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিদর্শন প্রতিবেদন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সেফটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মতামত থাকলে উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিবেদন প্রস্তুতের এক মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং সেফটি কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে।
  • কোন বিশেষ প্রয়োজনে বা কোন জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভা ব্যতীত সেফটি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ নিজেদের স্বাক্ষরে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন সময় বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারিবে।
  • সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ার সদস্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা।
  • ব্যক্তি পর্যায়ের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা ।
  • প্রকৃত পক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসার নাম হচ্ছে প্রাথমিক সেবা বা শুশ্রষা। কোন কারখানায় যে কোন ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে কোন শ্রমিক/কর্মচারী আহত হতে পারে। এছাড়াও জীবন চলার পথে এমনকি পারিবারিক ক্ষেত্রেও কারো হাত, পা, মাথা ইত্যাদি কেটে যেতে পারে, শরীরের কোন অংগ ভেঙ্গে যেতে পারে বা হঠাৎ কোন কারণে শ্বস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা। দায়িত্ব বন্টন ।
  • সেফটি কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ পাইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে কোনরুপ উদ্যোগ পদক্ষেপ গ্রহন না করিলে সেফটি কমিটি মহাপরিদর্শক বা পরিদর্শকের নিকট লিখিত আকারে অনুযোগ পেশ করিতে পারিবেন এবং মহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
  • সেফিটি কমিটি স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রাখিয়া আইন ও এই বিধিমালা দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সেফটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে।
  • সেফটি কমিটির সদস্যগণ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
  • সেফটি কমিটির সদস্যদের অধীন গঠিত কমিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মসময়ের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত ও পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিবে।

সেফটি কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন

পূনঃদূর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা এবং র্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপুরন প্রদান। সেফটি কমিটির সভা প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময়ে সভা আহবান করিতে পারিবে।

  • কারো শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তা চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি। প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে একজন প্রশিক্ষিত লোকের পক্ষেই এ সেবাগুলো দেয়া সম্ভব।.সেফটি কমিটি কর্তৃক সেফটি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির সভায় সর্মসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিওিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।
  • সেফটি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিপালন বা বাস্তবায়ন করিবার জন্য মালিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
  • সেফটি কমিটি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা সম্পাদিত কোন কাজের জন্য অথবা সভায় কোন বিষয়ে মত বা দ্বিমত পোষনের জন্য কমিটির কোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ কারা যাইবে না।
  • সেফটি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণঃ
  • উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরুপন ।
  • বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা ।
  • সংঘটিত দূর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয় ।
  • দায়-দায়িত্ব নিরুপন ।
  • কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপওা এবং কর্মপরিবেশ সর্ম্পকিত বিষয়ে মালিক বা কর্তৃপক্ষ সেফটি কমিটির সদস্যদের মালিকের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিবেন।
  • এইরুপ প্রশিক্ষণ কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে অথবা কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হইবে।
  • প্রশিক্ষণ চলাকালীন সদস্যগণ কর্মরত ছিলেন বলিয়া গন্য হইবেন।
  • যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা।
  • যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই,
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ।
  • শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপওা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা এবং
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরুপণ ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ।
  • সেফটি কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাধ্যমে যতদুর সম্ভব সকল শ্রমিককে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকিবার বিষয়ে সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে হইবে।

Posted

in

by

Tags:

Comments

3 responses to “সেফটি কমিটি কর্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন”

Leave a Reply