Select Page
অভিযোগ অনুযোগ বা ক্ষোভ সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা

অভিযোগ অনুযোগ বা ক্ষোভ সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা

অভিযোগ বা ক্ষোভ

অভিযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বহুবিধ কারণ থেকেই অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। অভিযোগের সাথে উৎপাদনশীলতা, শ্রমিক ঘূর্ণমায়তা, শ্রম অসন্তোস ইত্যাদি অনেক বিষয় জড়িত। তাই সুন্দর কর্মপরিবেশ ও কর্মসন্তষ্টি বজায় রাখার জন্য অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরী। অনযোগ অভিযোগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা শ্রমিক-মালিক সকলেরই দায়িত্ব। কার্যক্ষেত্রে যেহেতেু শ্রমিক এবং মধ্য-ব্যবস্থাপকগণ সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে তাই অভিযোগ নিয়ন্ত্রন ও নিরসনের ক্ষেত্রে মধ্য-ব্যবস্থাপকগণের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। …

আইনের সূত্র ঃ

অনুযোগ নীতিমালা বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সংবিধান, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫, আই.এল.ও কনভেনশন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বায়ারের কোড অব কন্ডাক্ট কঠোরভাবে মেনে চলি।

কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, শ্রমিক কর্মচারীদের সকলপ্রকার অসন্তষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি এবং পারস্পারিক দ্বন্দের অবসান ঘটানোর জন্য একটি নির্ধারিত ও ফলপ্রসূ অভিযোগ পদ্ধতি থাকা জরুরী। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদ্ধতি, যা একজন কর্মচারীকে তার অসন্তোষ বা অন্যায় ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করার অধিকার দেয়।

তাই কর্তৃপক্ষ সুন্দর কর্মপরিবেশ, সুষ্ঠ ও সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে একটি নিদিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও ন্যায় সঙ্গত বিচারের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তষ্টি বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকেন এবং একই সাথে উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিক লক্ষ্য রাখেন। তবে এ কথা বলা যায় যে মালিক শ্রমিক সর্ম্পক উন্নয়নই অভিযোগ হ্রাসের প্রধান উপায়। অটো গ্র“প এর কারখানা সমূহে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগন নিম্নোক্ত তিনটি উপায়ে তাদের অভিযোগ/পরামর্শ পেশ করতে পারেন।

অভিযোগ উত্থাপন পদ্ধতি ঃ

শ্রমিক কর্মচারী কর্তৃক দৈনন্দিন ফ্লোরে বিভিন্ন সময়ে দেয়া বিভিন্ন অভিযোগ/ অনুসারে সমাধানের পরও কারখানা কর্তৃক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য নি¤েœ বর্ণিত পদ্ধতি সমুহ অনুসরন করে থাকে-

লিখিত অভিযোগঃ

  • যে কারনে শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে তার যে কোন সমস্যা/অভিযোগ লিখিত ভাবে তার সুপারভাইজার/ লাইনচীপ/ ইনচার্জ/ এডমিন/ এইচ.আর./ কমপ্লায়েন্স এবং ফ্যাক্টরিতে এডমিন.এইচ.আর.এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগকে লিখিত ভাবে জানাতে পারেন যাতে তার সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
  • প্রথমেই সুপারভাইজারকে তার সংশ্লিষ্ট লাইনচীপ এবং স্ব-স্ব ইউনিটের প্রসাশন বিভাগকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনবোধে প্রসাশন বিভাগ সরাসরি অভিযোগ নিরুপনের ব্যবস্থা করবেন।

মৌখিক অভিযোগঃ

  • একজন শ্রমিক তার সমস্যা/অভিযোগ লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজ সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জকে অবহিত করবে।
  • সুপারভাইজার তার লাইন চীফ/ইনচার্জ/পিএম এর সাথে পরামর্শ করে শ্রমিক কর্তৃক উত্থাপিত অসন্তুষ্টি বা অভিযোগের তাৎক্ষনিক সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • অভিযোগের জটিলতা বা গুরুত্বের উপর নির্ভর করে পিএম নিজে সমস্যার সমাধান প্রদানে ব্যর্থ হলে বিষয়টি ফ্যাক্টরীর জিএম/এজিএম এবং ফ্যাক্টরী ইনচার্জের গোচরে আনবেন। ফ্যাক্টরী ইনচার্জ নীতিমালা অনুযায়ী সমস্যা সমাধান প্রদান করবেন।
  • একজন শ্রমিক যদি তার সুপারভাইজার, লাইনচীফ এবং পিএম কে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেশ করার পরও যদি কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় সেক্ষেত্রে সে সরাসরি কল্যাণ কর্মকর্তা/কমপ্লায়েন্স অফিসারের মাধ্যমে অভিযোগ পেশ করতে পারে অথবা নিজে সরাসরি ফ্যাক্টরী ইনচার্জের নিকট অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে।
  • কল্যাণ কর্মকর্তা যেকোন অভিযোগ প্রাপ্তির পর জঠিলতা ও মাত্রা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পিএম/এজিএম/জিএম এর সাথে আলোচনা করতঃ সমস্যার সমাধান করবেন। গুরুতর এবং গোপনীয় এমন কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে যেখানে মিড লেভেল ম্যানেজার (সুপারভাইজার/লাইন চীফ/সেকশন ইনচার্জ/পিএম/কোয়ালিটি ম্যানেজার)দের অবহিত করা বা সম্পৃক্ত করা অর্থহীন বা ঝুকিপূর্ণ সেখানে কল্যাণ কর্মকর্তা সরাসরি ফ্যাক্টরী ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করবেন এবং ফ্যাক্টরী ইনচার্জ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অভিযোগ/মতামত/পরামর্শ বাক্স।

কারখানায় প্রতিটি মহিলা ও পুরুষ শ্রমিক টয়লেটে একটি করে এবং শ্রমিকদের ক্যান্টিনে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ/অসন্তুষ্টি লিখিতভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাখিল করতে পারে। পরামর্শ বাক্সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন ঃ

  • অত্র কারখানার প্রতিটি পুরুষ এবং মহিলা টয়লেট একটি করে পরামর্শ বা অভিযোগ বাক্স দেওয়া আছে। যার মাধ্যমে শ্রমিকগন তাদের অভিযোগ কিংবা অসুন্তুষ্টি লিখিত আকারে নিজের পরিচয় গোপন করে দাখিল করতে পারেন।পরামর্শ বাক্স এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ কোন প্রকার ভয়-ভীতি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া সহজে এবং নির্বিঘেœ /পরামর্শ/মতামত পেশ করতে পারে।
  • পরামর্শ বাক্সে একজন শ্রমিক তার পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জমা করতে পারে।
  • পরামর্শ বাক্স সর্বদা তালাবদ্ধ থাকে এবং এর চাবি শুধুমাত্র কল্যাণ কর্মকর্তা ও ফ্যাক্টরী ইনচার্জ এর নিকট থাকে এবং উভয়ের যে কোন একজন প্রতিদিন অন্ততঃ দুইবার পরামর্শ বাক্স খুলে থাকেন।
  • প্রতিটি অভিযোগ একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি লিখিত অভিযোগগুলো পৃথক একটি ফাইলে সংরক্ষন করা হয়। ফ্যাক্টরী ইনচার্জ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে প্রতিটি অভিযোগ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতঃ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন।
  • উত্থাপিত অভিযোগ সাধারণ ধরনের হলে গৃহীত ব্যবস্থা নোটিশের মাধ্যমে সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। গোপনীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। গোপনীয় গুরুতর অভিযোগ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে করে অভিযোগকারী কোন প্রকার হয়রানির সম্মুখীন না হয় বা তার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয়।
  • নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষা। হিউম্যান রিসোর্স ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অথবা বাইরের স্বাধীন নীরিক্ষকের মাধ্যমে কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিরাজমান অবস্থার প্রকৃত ও সঠিক অবস্থা জানার জন্য বিভিন্ন সময় নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সামাজিক নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরন করে থাকেন।
  • নিরীক্ষক বা নিরীক্ষক দল কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তত্ত্বাবধান বা হস্তক্ষেপ ব্যতীত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করে থাকেন।
  • নিরীক্ষার পর নিরীক্ষক/নিরীক্ষক দল প্রাপ্ত সকল অভিযোগ নথিভুক্ত করে নিরীক্ষার প্রায় যাবতীয় বিষয় সমূহের সত্যতা যাচাই পূর্বক একটি গোপনীয় রিপোর্ট প্রনয়ণ করে তা সরাসরি ফ্যাক্টরীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা/উপযুক্ত ব্যবস্থা/সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করে থাকেন এবং পরবর্তীতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করে থাকেন।
  • বহির্নিরীক্ষক দ্বারা গৃহীত সামাজিক নিরীক্ষা। অভ্যন্তরীন পর্যবেক্ষন ছাড়াও কৃর্তপক্ষ একজন ফ্যাক্টরী বর্হিভূত মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে থাকে যিনি কর্তৃপক্ষের কোনরূপ মধ্যস্ততা ছাড়াই স্বাধীনভাবে শ্রমিকদের মতামত গ্রহন করেন। এই মধ্যস্থতাকারী তার অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট তৈরী করে কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষ এই রিপোর্টে কোন অসামঞ্জস্যতার কথা উল্লেখ থাকলে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।

এইচ.আর বিভাগ

  • গ্রিভেন্স পলিসি বাস্তবায়নেরক্ষেত্রে এইচ.আর বিভাগ নি¤œলিখিত রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করে, যথা
  • পারসোন্যাল ফাইল,
  • নিয়োগপত্র
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সনদপত্রের ফটোকপি)
  • হাজিরা কার্ড
  • শ্রমিকের হাজিরা বহি
  • ওভারটাইম শীট
  • ছুটির রেজিষ্টার
  • সার্বিস বহি

কমপ্লায়েন্স বিভাগ ঃ

সকল শ্রমিককে নিয়মিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং তার রেকর্ড রাখা কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব। নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে সিনিঃ কমপ্লায়েন্স অফিসার/ওয়েলফেয়ার অফিসার প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ নি¤œরূপ। যথা,

  • কোম্পানীর নিয়োগ ও অন্যান্য নীতিমালা।
  • বেতন ও ওভার টাইম।
  • কর্তন পলিসি।
  • ছুটি ও অবকাশ।
  • মুক্ত দরজা নীতি।
  • হয়রানী ও উৎপীড়নমুক্ত কর্ম পরিবেশ।
  • অভিযোগ নীতিমালা।
  • অংশগ্রহনকারী কমিটি।
  • কোড অফ কন্ডাক্ট।
  • সচেতনতা।
  • পরিবেশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থবিধি ।

ইন্টারনাল অডিটরের দায়িত্ব ঃ

গ্রিভেন্স পলিসি কারখানায় যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা সেক্ষেত্রে ইন্টারনাল অডিটর নি¤œলিখিত রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করেন, যথা
০ ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট
০ ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যানেজমেন্ট সভার রেকর্ড
০ কারেকক্টিভ এ্যাকশান প্ল্যান রেকর্ড
০ মনিটরিং রিপোর্ট

যোগাযোগ প্রনালী ঃ

পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুই ভাবে যোগাযোগ সম্পাদন করা হয়। যথা,
১. ইনটারনাল কম্যুনিকেশন ও
২. এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন।

ইনটারনাল কম্যুনিকেশন ঃ একই বিভাগের মধ্যে পারষ্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি বিভাগে সহকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভার মাধ্যমে কর্মপদ্ধতি নির্ধারন করা হয়।

এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন ঃ এক বিভাগের সাথে অন্য বিভাগের পারষ্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট মিটিং, অফিস আদেশ, নোটিশজারী, পি.এ. সিসটেম, এওয়ারনেসট্রেনিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন করা হয়।

ফিডব্যাক প্রসিডিউর

সংশ্লিষ্ট পলিসিটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার বাস্তব রূপটি তুলে আনা ইন্টারনাল অডিটরের কাজ। এ দায়িত্ব পালনেরক্ষেত্রে তিনি নি¤œ লিখিত রেকর্ডগুলি সংরক্ষণ করেন। যথা,

  • ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট
  • ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টর ভিত্তিতে ম্যানেজমেন্ট সভার রেকর্ড
  • কারেকক্টিভ এ্যাকশান প্ল্যান রেকর্ড
  • মনিটরিং রিপোর্ট
অভিযোগ নীতিমালা কি? অভিযোগের পদ্ধতিসমূহ কি কি?

অভিযোগ নীতিমালা কি? অভিযোগের পদ্ধতিসমূহ কি কি?

অভিযোগ নীতিমালা কি?

এইচ. আর. আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্ট নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অথবা বাইরের স্বাধীন নিরীক্ষকের মাধ্যমে কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিরাজমান অবস্থার প্রকৃত ও সঠিক অবস্থা জানার জন্য বিভিন্ন সময় নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সামাজিক নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিুবর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করে থাকেন। অটো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, অত্র শিল্প পরিবারভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যে কোন শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা অভিযোগ নীতিমালা অনুসরনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ কিংবা যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে  তার কোন অভিযোগ থাকলে তা উত্থাপন করতে পারেন। কর্তৃৃপক্ষ আরো বিশ্বাস করে যে, একটি ফলপ্রসূ এবং স্বচ্ছ অভিযোগ নীতিমালা কারখানার যথাযথ ব্যাবস্থাপনার জন্য সহায়ক। অত্র প্রতিষ্ঠানের যে কোন শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা নিজেকে উপেক্ষিত/ তাঁর উপর অন্যায় করা হয়েছে/হচ্ছে এমন ধারনা পোষন করলে অভিযোগ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিকার পাবার অধিকার রাখেন।

উদ্দেশ্য ঃ

  • অটো ওয়্যার লিঃ তার কর্মীদের স্বার্থে অভিযোগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। উক্ত নীতিমালা প্রণয়নের পিছনে মূল যে উদ্দেশ্য রয়েছে তা হল-
  • শ্রমিকদের বিভিন্ন রকম সমস্যা ও অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করা।
  • ফ্যাক্টরীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

অভিযোগের পদ্ধতিসমূহ  ঃ

ক) মৌখিক অভিযোগ     ঃ

১। শ্রমিকদের কোন অভিযোগ/সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সুপারভাইজর/ লাইন চীফকে অবহিত করবেন।

২।   সুপারভাইজর/ লাইন চীফের বিরুদ্ধে কোন শ্রমিকের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে উক্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফ্লোর ইনচার্জ /ম্যানেজার / বিভাগীয় প্রধানকে/ ফ্যাক্টরী প্রধানকে অবহিত করুন।

৩ । আপনার যেকোন অভিযোগ সরাসরি ওয়েলফেযার অফিসার/ এইচআরডি কর্মকর্তাকে (ফ্যাক্টরী )/ এইচআরডি কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয় কে অবহিত করুন ।

৪ ।  আপনার যে কোন  অভিযোগ সরাসরি মহাব্যবস্থাপক/পরিচালকের নিকটও উপস্থাপন করতে পারেন ।

খ) লিখিত অভিযোগ    ঃ

০১.  ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ঃ  উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন  শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা তাদের যে কোন অভিযোগ লিখিতভাবে উত্থাপন করতে পারেন ।

০২. অভিযোগ বক্সের মাধ্যমে ঃ যে কোন শ্রমিক কর্মচারী তার কোন লিখিত অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য কারখানার টয়লেট সমূহে স্থাপিত অভিযোগ বাক্সে ফেলতে পারেন। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে কারখানার ওয়েলফেয়ার অফিসার শ্রমিক পক্ষের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অভিযোগ বাক্স থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করবেন । অভিযোগ  বাক্সে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে  প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ রা হবে। অভিযোগ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান করা হবে এবং গৃহীত সমাধান সংশ্লিষ্ট সকলকে

অবহিত করা হবে। কোন কর্মচারী পরিচয উল্লেখপূর্বক অথবা পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন। এছাড়া যে কোন লিখিত অভিযোগ সরাসরি ফ্যাকটরীর ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তার অথবা এইচআরডি কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করা যেতে পারে। ফ্যাকটরীর ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা অথবা এইচআরডি কর্মকর্তা বিষয়টির দ্রুত তদন্ত শেষে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান করবেন ।

গ) ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে  ঃ  প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত অড়যখষশথঔৎভঃ কমিটির সভায় যে কোন শ্রমিক /কর্মচারী যে কোন বিষয়ে  কোন ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিক অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন । ফ্যাক্টরীর মাননীয় পরিচালক, ফ্যাক্টরী ম্যানেজার , এইচআরডি  কর্মকর্তা , ওয়েলফেয়ার  কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উত্থাপিত অভিযোগের উপর উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়। প্রয়োজনে  সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কোন কোন  ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

অভিযোগ / পরামর্শ বক্স সংরক্ষন নীতিমালা

কারখানায় প্রতিটি পুরুষ ও মহিলা টয়লেটে একটি করে অভিযোগ / পরামর্শ বক্স স্থাপন করা আছে। শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ নিজের পরিচয় গোপন রেখে লিখিতভাবে অভিযোগ বাক্সে দাখিল করতে পারে। পরামর্শ বক্সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নি¤œলিখিত পদ্ধতি অনুসরন করে থাকে ঃ

  • পরামর্শ বক্স এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিকরা কোন প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই সহজে তাদের অভিযোগ সমূহ লিখে বক্সে জমা দিতে পারে।
  • পরামর্শ বক্স সব সময় তালা দিয়ে বন্ধ রাখা হয় এবং এর চাবি শুধুমাত্র কল্যান কর্মকর্তার নিকট জমা থাকে।
  • কল্যান কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহের শনিবার এই বক্স খুলে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করেন এবং প্রাপ্ত সকল অভিযোগ একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর অভিযোগগুলি নির্দিষ্ট ফাইলে রাখেন। সকল লিখিত অভিযোগ প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
  • উত্থাপিত অভিযোগ সাধারণ ধরনের হলে গৃহীত ব্যবস্থা নোটিশের মাধ্যমে সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। গোপনীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। গোপনীয় গুরুতর অভিযোগ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে করে অভিযোগকারী কোন প্রকার হয়রানির সম্মখূীন না হয় বা তার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয়।
  • অভিযোগ পরিচালনার জন্য প্রকল্প পরিচালক কে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে।
  • উক্ত কমিটিতে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের সদস্য রয়েছে।
  • প্রত্যেক পুরুষ এবং মহিল টয়লেটে একটি করে অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র রয়েছে।
  • কারো কোন পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানানো যেতে পারে অথবা নাম ঠিকানা উল্লেখ না করেও ঘটনার সঠিক বিবরণীসহ উক্ত বাক্য্রে ফেলতে পারেন। তবে কেউ নাম উল্লেখ করলে তা গোপন রাখা হয়।
  • সপ্তাহে প্রতি শনিবার পরামর্শ / অভিযোগ বাক্য্রটি খোলা হয় এবং কোন পরামর্শ / অভিযোগ থাকলে তা নির্দিষ্ট পরামর্শ / অভিযোগ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
  • উক্ত পরামর্শ / অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি কর্তৃক একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয় এবং উক্ত সভায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে অভিযোগ থাকলে প্রশাসন বিভাগের সহায়তায় নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

অভিযোগ বিশ্লেষণ ও নিরসন পদ্ধতি

অভিযোগ বিশ্লেষণ পদ্ধতি কর্মক্ষেত্রে অসন্তষ্টি বা অন্যায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনার একটি কার্যকরী উপায়। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ প্রকাশের উপায় না থাকলে অসন্তষ্টি, হতাশা, উদাসীনতা ও নীতিবোধের অভাব দেখা দেয় যা কর্মচারীদের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই যে কোন ধরণের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ক্স ঊাবৎংযরহব খরসরঃবফ ক্স ঝঁঢ়বৎংযরহব অঢ়ঢ়ধৎবষং খরসরঃবফ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্মক্ষেত্রে সন্তষ্টি নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে, যাতে কারখানায় সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেম বিরাজ করে।

তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে অভিযোগ নিরসন করা হয়ঃ

১।        লিখিত অথবা মৌখিক অভিযোগ

২।        “অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র” এর মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ

৩।       নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষা

লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ ঃ

  • যে কোন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে তার যে কোন ধরণের সমস্যা/অভিযোগ লিখিত বা মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ কে জানাবেন যাতে তাদের অসন্তষ্টি বা সমস্যার সমাধান করা হয়।
  • সুপারভাইজার তার সংশ্লিষ্ট লাইনচীফ/ইনচার্জ এর সাথে পরামর্শ করে শ্রমিক কর্তৃ উর্থাপিত অসন্তষ্টি বা সমস্যার তৎক্ষনাৎ সমাধানের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অভিযোগের জটিলতা বা গভীরতার প্রেক্ষিতে সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ, বিভাগীয় প্রধান এর সাহায্য ও সহযোগিতা গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনবোধে বিভাগীয় প্রধান সরাসরি অভিযোগ নিরূপণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিভাগীয় প্রধান অভিযোগ জটিলতার/গভীরতার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে কারখানার এইচ.আর. ডিপার্টমেন্ট এর দৃষ্টিগোচরে আনতে পারেন অথবা কারখানার মহাব্যবস্থাপককে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানাতে পারেন।

যদি কোন কর্মচারী অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তষ্ট না হয় তবে সেই ব্যক্তি সরাসরি এইচ. আর. ডিপার্টমেন্ট অথবা কারখানার জি.এম./এম.ডি বরাবরে তার অভিযোগ পুনরায় উস্খাপন করতে পারেন।

অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র ঃ

কারখানায় একটি পরামর্শ বাক্য্র এবং প্রত্যেক টয়লেটে একটি করে অভিযোগ বাক্য্র স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ/অসন্তষ্টি লিখিতভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাখিল করতে করতে পারেন। পরামর্শ বাক্য্রের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্স নিবলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন।

  • অভিযোগ বাক্্র এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিকবৃন্দ কোন রকম দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই সহজে ও নির্বিঘেœ তাদের অভিযোগ বাক্য্রে জমা করতে পারে।
  • অভিযোগ বাক্য্র সকল সময় তালা দিয়ে বন্ধ রাখা হয় এবং এর চাবি শুধুমাত্র গ্র“পের কমপ্লায়েন্স ম্যানেজারের কাছে রক্ষিত থাকে।
  • কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার মাসের প্রথম সপ্তাহে এই অভিযোগ বাক্য্র খুলে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে থাকেন এবং প্রাপ্ত সকল অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করার পর অভিযোগগুলো একটি নির্দিষ্ট ফাইলে সংরক্ষণ করে থাকেন। সকল লিখিত অভিযোগ করাখানার চেয়ারম্যান / ব্যবস্থাপনা পরিচালক তত্ত্বাবধানে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজারের মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
  • প্রতিটি অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা ঐ একই রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।

নিরপেক্ষ সামাজিক নিরিক্ষা ঃ

  • নিরীক্ষার সময়, তারিখ ও স্থান কারখানা প্রধানের সাথে পরামর্শ করে নির্ধারণ কর হয়।
  • নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকদল কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তত্ত্বাবধান বা হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে সর্ম্পূন স্বাধীনভাবে শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সাক্ষাতকার গ্রহণ করে বিভিন্ন তথ্যদি সংগ্রহ করে থাকেন।
  • নিরীক্ষার পর নিরীক্ষক/নিরীক্ষকদল প্রাপ্ত সকল অভিযোগ নথিভুক্ত করে নিরীক্ষার প্রায় যাবতীয় বিষয়সমূহের সত্যতা যাচাইপূর্বক একটি গোপনীয় রিপোর্ট প্রণয়ন করে তা সরাসরি কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর কাছে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা / উপযুক্ত ব্যবস্থা / সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করে থাকেন এবং পরবর্তীতে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করে থাকেন।