Select Page
নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি

  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।
  • আমাদের নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা পোষ্টার বা অন্য কোন উপায়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি।
  • আমরা সকল নিরাপত্তা প্রহরীকে ন্যায়সঙ্গত উপায়ে নিয়োগ করে থাকি।
  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে সশস্র বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
  • নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ২কপি ছবিসহ পূর্নাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রাদি কোম্পানীর মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে জমা দিতে হয়। আবেদন কারীর প্রদেয় সকল সনদপত্র এবং তথ্যাদীর ফটোকপি জমা রাখা হয়।
  • আমরা কখনও জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও লিঙ্গ ভেদে পক্ষপাত মূলক আচরণ করি না।
  • আমরা কাউকে জোর করে কাজে বাধ্য করিনা এবং কোন প্রকার জামিন বা দায়বদ্ধতায় নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করি না।
  • আমরা ১৮ বছরের কম বয়সী কোন প্রার্থীকে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিয়োগ করিনা। সেক্ষেত্রে বয়স নিরূপনের জন্য প্রথমেই কোম্পানীর ডাক্তার দ্বারা বয়স নিরূপন করে আবেদনকারীকে যোগদানের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়।
  • নিয়োগ দানের সময় মহিলা নিরাপত্তা প্রহরীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ব্যাপারে কোনরূপ প্রশ্ন করা হয় না।
  • নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর আমরা অবশ্যই প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র দিয়ে থাকিয়। যদি কোন কারনে কেউ নিয়োগপত্র না পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে কমপ্লাইন্স বিভাগ হতে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পারে বা প্রাপ্তির অধিকার রাখে।
  • নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর কোম্পানী ও শ্রম আইনের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • আমরা সম্পূর্ণ নিজস্বভাবে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দিয়ে থাকি। কোন সিকিউরিটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হতে নিরাপত্তা প্রহরী সংগ্রহ করি না।
  • নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।

নিরাপত্তা পরিকল্পনা সুবিধা

নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের  নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সুযোগ সুবিধা নিম্নরূপঃ

  • নিরাপত্তা প্রহরীদের নির্দিষ্ট রোস্টার অনুযায়ী দৈনিক দায়িত্ব পালনের সুবিধা
  • রোস্টার নির্ধারনে বেলায় কোন পক্ষপাতিত্ব করা হয় না।
  • নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে কোম্পানী ব্যাপী বিস্তৃত নিরাপত্তা পয়েন্টে দায়িত্ব পালনের সুবিধা ।
  • নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞানার্জন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুবিধা।
  • কোম্পানী কর্তৃক নিরাপত্তা প্রহরীদের নির্দিষ্ট পোশাক,জুতা,ক্যাপ,আইডি কার্ড ইত্যাদির ব্যবস্থা।
  • কোম্পানীর সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক মালামাল, জনসাধারনে প্রবেশ-বাহির ও বিভিন্ন রেজিষ্টার রক্ষন পদ্ধতি পালন।
  • সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের সুবিধা।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে কর্ম এলাকা এবং সিকিউরিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমান লাইটিং সুবিধা।
  • মোবাইল ও টেলি যোগাযোগ সুবিধা।
  • নির্দিষ্ট সময়ান্তে ফিজিক্যাল ফিটন্যাস পরীক্ষন ও চিকিৎসা সুবিধা।
  • অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান।

নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যের বরখাস্ত নীতিমালা

গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

আমাদের বরখাস্ত নীতি মালা নিম্নরূপঃ

  • অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়।
  • কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়।
  • অভিযোগের একটি অনুলিপি এবং কৈফিয়তের জন্য নূন্যতম তিন দিনের সময় দেওয়া হয়।
  • কৈফিয়ত সন্তোষদক না হলে ১ম,২য় এবং চূড়ান্ত সতর্ক চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
  • প্রার্থনা করা হলে ব্যক্তিগত শুনানী দেওয়া হয়।
  • চূড়ান্ত নোটিশে সতর্ক না হলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
  • তারপরও সতর্ক না হলে সকল পাওনাদি নিষ্পত্তি করে বরখাস্ত করা হয় এবং ব্যক্তিগত নথি বন্ধ করা হয়।
  • নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।

প্রশিক্ষণ সামগ্রী পরিচিতি নথি নীতিমালা

গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

নিরাপত্তা প্রহরী প্রশিক্ষণ সামগ্রী এবং পরিচিতি করন নীতিমালা নিম্নরূপঃ

  • প্রাতঃ পিটি পেরেড প্রোগ্রাম ।
  • সিকিউরিটি পয়েন্ট পরিচিত ।
  • সিকিউরিটি অঞ্চল পরিচিতি।
  • নিরাপত্তা প্রহরী দের ব্যবহৃত সরঞ্জামের নাম, পরিচিতি ও ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ।
  • Company security policy
  • Information Security
  • Office Security
  • Information System Security
  • Personal Safety and Security
  • Factory Evacuation Procedures
  • Container and Security Seal Inspection Procedure
  • Security Force Training Program
  • All the records of the training program will be maintained.
  • Training record will cover:
  • Schedule
  • Trainer, participant, venue, duration and topic.
  • Attendance
একটি কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

একটি কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

নিরাপত্তা নীতিমালা

নিরাপত্তা বিভাগ এর  কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রনয়নকৃত নি¤èলিখিত নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ।

নিরাপত্তা বিভাগ এর দায়িত্ব ও কর্তব্য

১। প্রবেশ পথ (গেইট) সংরক্ষিত বা নিয়ন্ত্রন রাখা ।
২। আমদানী রপ্তানী মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
৩। সকল আমদানী/রপ্তানী কন্টেইনার চেক করা ।
৪। পরিচয় পত্র ব্যতিত প্রবেশ প্রতিহত করা ।
৫। পরিদর্শক/ভিজিটরদের জন্য নথীভূক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করা ।
৬। সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা ।
৭। অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণের কলাকৌশল রপ্ত করা ।
৮। আমদানী রপ্তানী মালামালের সঠিক পরিমান যাচাই করা ।
৯। প্রয়োজনে বিপদ সংকেত ব্যবহার করা ।
১০। নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করা ।
১১। অবৈধ সকল জিনিষের প্রবেশ প্রতিহত করা ।
১২। সর্বদা সতর্কতা অবস্থায় দায়িত্ব পালন করা ।

শ্রমিক/কর্মচারী প্রবেশ নীতি :

সকল শ্রমিকদের নিজ নিজ হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র চেকিং এর মাধ্যমে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করিবেন। হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র প্রর্দশন ব্যতিত কাউকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না । শ্রমিক কর্মচারীর বহনকৃত থলে, টিফিন বক্স ইত্যাদি চেক করতে হবে । আপত্তিকর এবং অবৈধ ক্ষতিকর কোন জিনিষ পাওয়া গেলে তাহা সাবধনতার সহিত জব্দ করে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন । কাহারও সাথে ঝগড়া বা তর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

পরিদর্শক/ভিজিটর প্রবেশ নীতি

দেশী,বিদেশীসহ যে কোন স্থান থেকে কোন পরিদর্শক/ভিজিটর কারখানা পরিদর্শন করতে আসলে তার সাথে ভদ্রতার সহিত আচারণ করে তার পরিচয় জানতে হবে এবং কি কাজে কাহার নিকট যাবেন তাহা প্রথমে খাতায় নথীভুক্ত করবেন । বহনকৃত থলে, লাগেজ ইত্যাদি চেক করতে হবে । যাতে কেহ ক্ষতিকর কোন দ্রব্য নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে না পারে । প্রদর্শিত ভিজিটর পরিচয় পত্র প্রদান করে সাক্ষাৎ প্রার্থী ব্যক্তির নিকট পৌঁছাতে হবে ।

মালামাল প্রবেশ নীতি

অত্র কারখানার কাজের জন্য কোন মালামাল আসলে প্রথমে উক্ত মালের চালান (প্রেরক,গন্তব্যস্থান এবং পরিমান ) চেক করতে হবে । যদি মালামাল অত্র কারখানার কাজের জন্য হয় তাহলে ভান্ডার কর্মকর্তাকে নিয়ে মালামালের পরিমান যাচাই করবেন । যদি চালানের পরিমান অনুযায়ী মালামাল কমবেশী হয় তখন প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করিবেন ।

বহিরাগত প্রবেশ নীতি

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী ব্যতিত অন্য কোন বহিরাগত ব্যক্তি কারখানায় প্রবেশ করতে পারবে না । জোর বা বলপূর্বক কোন ব্যক্তি কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে সাথে সাথে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন এবং যে কোন মূল্যে তার প্রবেশ প্রতিহত করতে হবে । প্রয়োজনে বিপদ সংকেত বাজাবেন ।

প্রবেশ পথ (গেইট)সংরক্ষন নীতি

কারখানা প্রবেশ পথ সব সময় নিরাপত্তার মাধ্যমে সংরক্ষিত রাখবেন । প্রবেশ গেইটের সম্মুখ ভাগ কোন ভাবেই ভীড়, ঝটলা এবং বাধাগ্রস্থ অবস্থায় থাকতে পারবে না । সকল গাড়ী গেইটের সামনে না পার্কিং করে নিদিষ্ট পাকিং স্থানে পার্ক করাতে হবে ।

লোড/আনলোড নীতি

মালামাল লোড/আনলোডের সময় উক্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেহ ঐ স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না । মালামাল উঠানামার স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ রাখবেন । ভান্ডার কর্মকর্তা এবং একজন নিরাপত্তা পরিদর্শক মালামালের পরিমান গননা করে চালানের সাথে মিলাতে হবে ।

কন্টেইনার চেকিং নীতি
রপ্তানীযোগ্য মালামাল বহনকারী কন্টেইনার লোডিং স্থানে পার্ক করানোর পর নিরাপত্তা বিভাগ  কর্মকর্তা এবং ভান্ডার কর্মকর্তা কন্টেইনার খুলে ভিতর দিক ভাল ভাবে পরীক্ষা করতে হবে । নিশ্চিত হতে হবে যে, কন্টেইনারের ভিতরে কোন ধরনের জ্বালানী, রসায়নিক এবং অবৈধ কোন ক্ষতিকর দ্রব্য নেই । কন্টেইনারে রপ্তানী যোগ্য মালামাল উঠানোর পর কন্টেইনার ছাড়ার আগে নি¤èলিখিত ০৮টি পয়েন্ট চেক করতে হবে । যেমন:
(ক) ড্রাইভিং লাইচেন্স
(খ) ব্রেক
(গ) গাড়ীর ফিটনেস
(ঘ) চাকা
(ঙ) গাড়ীর নীচ এবং উপর দিক
(চ) ত্রিপল
(ছ) লাইট
(জ) তালা ।

উল্লেখিত ০৮টি পয়েন্ট চেকিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে চালানে (এড়ড়ফং ঙঁঃ) সীল দিয়ে কন্টেইনার ছাড়ার অনুমতি প্রদান করিবেন ।

প্রশিক্ষণ নীতি

সকল নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা প্রহরীগণ সাপ্তাহিক শারিরীক এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন । উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিজকে সুদরিয়ে নিয়ে কর্তব্যে সচেষ্ঠ হবেন । প্রতি মাসে অগ্নিনির্বাপন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে অগ্নিনির্বাপকের কলাকৗশল রক্ত করবেন ।

কারখানার চাবি নীতি

অত্র কারখানার সকল সেকশনের তালা চাবির জন্যে নিরাপত্তা বিভাগ একটি কবু খড়ম জবমরংঃবৎ ব্যবহার করবেন । কারখানার সকল সেকশনের চাবি নিরাপত্তা বিভাগে থাকবে । সেকশনের কাজকর্ম শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে উক্ত সেকশনের তালা খুলে দিতে হবে এবং খোলার সময়টা অবশ্যই কবু খড়ম জবমরংঃবৎ-এ নথীভুক্ত করবেন । ছুটির সময় তদ্রুপ ভাবে চাবি ঈষড়ংংরহম সময়টি নথিভুক্ত করবেন ।

সেকশন বন্ধ নীতি

ছুটির পরে সেকশন তালা লাগানোর আগে সকল বাথরুম ভালভাবে চেক করে নিবেন । যাতে বাথরুমে কেউ আটকা পড়ে না থাকে । পুরো সেকশনের দরজা, জানালা,বাথরুমের পানির কল,ফ্যান, লাইট, মেশিনের মটর সুইচ ইত্যাদি ঠিকমত বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন। সবদিক সঠিক থাকলে তখনই কেবল কেছি গেইটে তালাবদ্ব করবেন ।

পার্কিং স্থান

আগত অতিথি এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবহ্নত গাড়ী কারখানার নিদিষ্ট পার্কিং স্থানে পার্কিং করাতে হবে । উক্ত স্থানে সর্বদা একজন নিরাপত্তা প্রহরী পাহাড়ারত অবস্থায় থাকবে । পার্কিং স্থানে বহিরাগত এবং নিদিষ্ট ড্রাইভার ব্যতিত কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না ।

উচ্ছিষ্ট/নষ্ট মালামাল বিক্রয়

কারখানার ব্যবহ্নত বিকল যন্ত্রপাতি,তৈল এবং জুট ইত্যাদি মালামাল বিক্রির সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পুরো দায়িত্ব পালন করিবেন । পুরাতন/ব্যবহ্নত মালামালের সাথে কোন ভাবেই যাতে তৈরী কোন গার্মেন্টস্, সুতা, সচল যন্ত্রপাতি না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । প্রতিটি মালের সঠিক পরিমান নিরীক্ষা করে হস্তান্তর করবেন ।

শিফট্ পরিবর্তন নীতি

কারখানায় নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী প্রতিদিন ০২টি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করিবে । প্রথম গ্র“প দ্বিতীয় গ্র“পের নিকট লিখিত আকারে দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে । সকল ধরনের নথিপত্র,তালাচাবি,খবরাখবর ইত্যাদি সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করিবে । সর্বদা নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করে কর্তব্য কাজে নিয়োজিত থাকবে।

দায়িত্ব ও কর্তব্য নীতি

প্রতিদিন সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে । কর্তব্যে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে নিদ্রা যাওয়া যাবে না । বিশেষ প্রয়োজনে ডিউটি স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে নিরাপত্তা কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে এবং সহকর্মীকে অবগত করতে হবে । কর্তব্যস্থানে ধুমপান করা যাবে না । কারখানায় কর্মরত কোন শ্রমিক/কর্মচারীর সাথে টাকা পয়সার লেন দেন করা যাবে না । কোন মহিলা শ্রমিককে যৌন হয়রানি করা যাবে না । কারখানার কোন সম্পদ, মেশিনারিজ চুরি বা নষ্ট হতে দেখলে সরাসরি প্রশাসন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ।

ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?

ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?

অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা

শ্রম নিবিড় রপ্তান মুখী গার্মেন্টস্ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্য অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বাংলাদেশের শ্রমনিবিড় শিল্পগুলোর মধ্যে ১০০% রপ্তানীমুখী তৈরী পোশাক শিল্প অন্যতম। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ শিল্পে ১৫ লক্ষাধিক শ্রমিক সরাসরি সম্পৃক্ত, যাদের ৯০ শতাংশই নারী শ্রমিক। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সদা সচেষ্ট এই বিপুল শ্রম-শক্তির সার্বিক কল্যানে, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা বিধানে সকলের সু-দৃষ্টি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তৈরী পোশাক শিল্প কারখানা এবং এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের উন্নয়নে পলমল গ্র“প সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। … ফফফ

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনার কারন সমূহ

  • এ যাবৎ কালে সংঘটিত সকল অগ্নিকান্ডের মূল কারন হিসাবে বৈদ্যুতিক “ শর্ট সার্কিট” কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
  • বিড়ি-সিগারেট এর আগুন থেকে অগ্নিকান্ড হতে পারে।
  • দিয়াশলাই, সিগারেটের লাইটার থেকে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে।
  • যে কোন ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল থেকে অগ্নিকান্ড বা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পোশাক শিল্পের কর্মরত সকল প্রিয় কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জরুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, অগ্নী প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রচার পত্রটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। যা প্রতিটি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রথমে আমরা আগুনের ধরণ সম্বন্ধে আলোচনা করবো। সাধারনত চার ধরণের আগুন আছে। যেমনঃ ১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার), ২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার), ৩। বৈদ্যুতিক আগুন, ৪। বিস্ফোরক আগুন।
উপরোক্ত আগুন সমুহ নির্বাপনের জন্য নিুলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার)ঃ
এই আগুন সাধারণত কাপড়, কাগজ, কাঠ, রাবার ইত্যাদিতে লেগে উৎপন্ন হয়ে থাকে। সাধারণভাবে পানি ব্যবহার করে এই আগুন নেভানো যায় এ ছাড়াও ভেঁজা কাপড় দিয়ে অথবা কম্বল দ্বারা ঢাকা দিয়েও এই আগুন নেভানো যায়।
২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার) ঃ
এই আগুন সাধারনত তেল, পেট্রোল লেগে উৎপন্ন হয়। পানি দিয়ে এই আগুন নেভানো চেষ্টা করা মোটেই উচিৎ নয়। কেননা জ্বলন্ত তরল পদার্থটি পানি থেকে হালকা। বালি অথবা ফোম টাইপ এক্সটিংগুইশার এই আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা উচিৎ।
৩। বৈদ্যুতিক আগুন ঃ
বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র পাতি থেকে ও আগুনের উৎপত্তি হয। এ ধরনের আগুনে কখনো পানি বা পানি জাতীয় নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা নিষেধ। ইহা ব্যবহার করলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই জাতীয় আগুন নেভানোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ও মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইশার অথবা হ্যালন অথবা কার্বন-ডাই-অক্সাইড এক্সটিংগুইশার (ঈঙ২) ব্যবহার করতে হবে।
৪। বিস্ফোরক আগুনঃ
এই আগুন সাধারণত উচচ চাপ যুক্ত সিলিন্ডার, ক্ষয়িঞ্চু দ্রব্য, বোমা বা গ্যাস থেকে উদ্ভুত হয়। এ আগুন নেভানোর জন্য ২ নং ও ৩ নং এ বর্ণিত পদ্ধতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবহার করা যায়।
অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে নিুলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবেঃ-
১। ধোঁয়া নিশ্বাসের সঙ্গে ভিতরে নেয়া যাবেনা।
২। কাপড় অথবা ভেঁজা টাওয়েল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
৩। যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয় তবে নাকে বা গলায় ধোঁয়া প্রবেশের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
৪। সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে যাতে সব ধোঁয়া বেরিয়ে যায়।
৫। সকল দরজা জানালা খুলে বের হবার জন্য দরজার (এক্সিট ) দিকে যেতে তারাহুরা করবেন না।
৬। লাইন ধরে বেরোতে হবে।
৭। জরুরী নির্গমন পথ (এমারজেন্সি এক্সিট ) অথবা সহজে পাওয়া যায় এমন নির্গমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।
আমাদের ফ্যাক্টরীতে অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তার জন্য নিুলিখিত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা আছে।
১। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) (এবিসি ড্রাই পাউডার, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ফোম ) ২। হোস পাইপ ৩। ওভার হেড ট্যাংকে সংরক্ষিত পানি, ৪। বালি ভর্তি বালতি ৫। অগ্নি প্রতিরোধক হাত মোজা ৬। স্ট্রেচার ৭। লক কাটার /গ্লিল কাটার ৮। ফায়ার বিটার ৯। ফায়ার হুক ১০। অগ্নি প্রতিরোধক কম্বল ১১। দড়ি ১২। শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি ১৩ । ফায়ার ম্যান পোশাক ১৪। ব্যাটারী চালিত স্মোক (ধোঁয়া) ডিটেকটর ইত্যাদি।

অন্যান্য ব্যবস্থা ঃ

ফায়ার ফাইটার টিম ঃ আমাদের ফ্যাক্টরীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ফায়ার কর্মী রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় করনীয় সম্বন্ধে তারা ট্রেনিং প্রাপ্ত। এছাড়া শ্রমিকদেরকে অগ্নি দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতন করার জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নেয়া হয়।
ফ্লোর মার্কিং ঃ- আইলস্গুুলো সবুব রং এবং সাদা রং এর তীর চিহ্ন দ্বারা ফেœার চিহ্নিত করে পথ খোলা রাখার ব্যবস্থা আছে। এই খোলা পথে কোন কিছু রেখে পথ বন্ধ করে চলাফেরার অসুবিধা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট ঃ এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট পর্যাপ্ত পরিমান আছে। এক্সিট লাইট সব সময় জ্বালানো থাকে।
অগ্নিমহড়া ঃ এক মাস পর পরর্ ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিমহড়া করা হয় এবং তার রেকর্ড রাখা হয়।
ফায়ার ইভ্যাক্যুয়েশন প্ল্যান এবং লে আউটঃ প্রতিটি ফ্লোরে এই প্ল্যান ও লে আউট রয়েছে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার কে করবে, কারা সাহায্য কারী থাকবে, কি ভাবে কর্মীরা ফ্লোর থেকে বের হবে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা কালিন পালনীয় যাবতীয় দায়দায়িত্ব এই লে আউটে উল্লেখিত আছে।
ফার্ষ্ট এইড টিম ঃ প্রত্যেক ফ্লোরের জন্য আলাদা আলাদা ফাষ্ট এইড কর্মী ও ফাষ্ট এইড বক্স রয়েছে যাবে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা এরা দিয়ে থাকে।

অগ্নি দুর্ঘটনার সময় ফ্লোরের অন্যান্য করনীয় কাজঃ-

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সমূহ

  • অগ্নিকান্ড ঘটার সুযোগ না দেয়াই এর প্রতিরোধের প্রধান  উপায়।
  • পর্যাপ্ত পরিমান সচল অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র বিভিন্ন সুবিধাজনক পয়েন্টে মজুদ রাখা।
  • অগ্নিকান্ডের সময় আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার করা।
  • বিড়ি, সিগারেট অথবা ধুমপান সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করা।
  • দিয়াশলাই বা সিগারেটের লাইটার সমেত ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
  • গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন তথা বিভিন্ন ফিকচার ফিটিংস নিয়মিত পরিদর্শন করা এবং পরিদর্শন বইতে তা লিপিবদ্ধ করা।
  • ফ্যাক্টরীতে কেমিক্যালস ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • অগ্নিনির্বাপনের উপর নিয়মিত অনুশীলন/মহড়ার ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ সকলকে সচেতন করা।
  • প্রত্যেক ফ্লোর/সেকশনে পূর্বাহ্নে অগ্নি নির্বাপন দল এবং উদ্ধারকারী দল গঠন করা।
  • ফ্যাক্টরী চলাকালীন প্রত্যেক গেটের/দরজায় তালা খোলা রাখা এবং তালাচাবি প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট জমা রাখা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্যই তা নিশ্চিত করবেন।
  • ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবার পর রুটিন মাফিক নিয়মিত চেক করা। উক্ত চেকের সময় এডমিন, সিকিউরিটি, ইলেক্ট্রিক এবং ষ্টোরের প্রতিনিধি থাকবে।
  • প্রত্যেক সিঁড়িতে এবং প্রত্যেক ফ্লোরের উভয় প্রান্তে জরুরী বাতি/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীতে অবস্থানরত গাড়ীগুলি সবসময় বর্হিমূখী করে পার্ক করতে হবে। যাতে স্বল্প সময়ে নিরাপদ অবস্থান গ্রহনসহ গাড়ী কর্তৃক কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়।
  • ফ্লোরে নিয়ন্ত্রনের সুবিধার্থে পিএ ইকুইপমেন্ট/হ্যান্ড মাইকের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • আগুন দেখা মাত্র ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাতে হবে। যে ব্যক্তি প্রথম আগুন প্রত্যক্ষ করবেন, তিনিই ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাবেন।
  • ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দুর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
  • আগুন লেগেছে দেখা মাত্র যে কেউ ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনামাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতিরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেক সিঁড়ি দিয়ে নেমে করবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ইলেক্ট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং পার্টির দলনেতা দ্রুত ফ্লোরের মেইন সুইচ অফ করবে এবং সাবষ্টেশন থেকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর মেইন সূইচ অফ করবে।
  • লোকজন সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামার সময়ে কোন ভাবেই ধাক্কা এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে না।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে নিজের জুতা বা টিফিন ক্যারিয়ার বা অন্য কিছু সঙ্গে নেয়ার চেষ্টাও করবে না।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোন ক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • এছাড়া ফায়ার ফায়ার ফাইটিং, স্যালভেজ পার্টি ফাষ্ট এইড পার্টি, কর্ডন পার্টি এবং অন্যান্য সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্বস্ততা এবং সাহসিকতার সাথে আবশ্যই পালন করবে।
  • নির্ধারিত ব্যক্তি সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করবে।
  • যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে সেই ফ্লোরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করে দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর প্রধান সুইচও অফ করে দিতে হবে।
  • নির্ধারিত ফায়ার কর্মীগন অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করবেন।
  • নির্ধারিত কর্মী বা বয়লারের কাছের ব্যক্তি বয়লারের সুইচ বন্ধ করবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল কর্তৃক ফ্লোর/সেকশনে রক্ষিত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
  • সুপারভাইজারগন মেইন গেট ও এমারজেন্সি এক্সিট দিয়ে শ্রমিকদের বের করার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
  • নিরাপত্তার নিয়োজিত ব্যক্তিগন তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর চারটি গেইটের ভিতর এবং বাহিরে অবস্থান নিবে। বাহির থেকে কেহ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা নিবে অর্থাৎ কর্ডন পার্টি এই কাজ করবে। তাছাড়া মানুষ ও গাড়ী চলাচলের জন্য সম্মূখের রাস্তা উন্মুক্ত রাখবে।
  • নির্ধারিত দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন শৃখঙলার সাথে ও সুষ্ঠু ভাবে নির্গমন কাজে সাহায্য করবে।
  • শৃখঙলার সাথে নির্গমন কাজ স¤পন্ন করার জন্য ইভ্যাক্যুয়েশন লে আউট অনুযায়ী দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন কাজ করবে।
  • কোন কর্মীই ফ্যাক্টরীতে রাখা তার নিজের জিনিস পত্র দুর্ঘটনার সময় নিতে চেষ্টা করবে না।
  • আগুন লাগার সাথে সাথে সকলকে সতর্কীকরনের নিমিত্তে হুটার/সাইরেন/কলিং বেল বাজিয়ে  সতর্ক করতে হবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল উদ্ধারকারীদল ব্যতীত মহিল ও পুরুষগন ১/২ মিনিটের দ্রুততায় সিড়ি দিয়ে স্কেপ প্ল্যান অনুযায়ী বের হয়ে যাবে।
  • র বা সেকশন থেকে লোকজন নেমে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত দুর্ঘটনা কবলীতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসক দলের কাছে নিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনে ফ্যাক্টরীর চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌছে দেবে।
  • কোন ভাবেই সিঁড়ি ব্যতীত অন্য কোন ব্যবস্থায় নামবার চেষ্টা করবেনা।
  • অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনা কবলিত মালামাল উদ্ধার করবে।
  • অন্যান্য অগ্নি প্রতিরোধক ব্যবস্থা
  • মেইন গেট ফ্যাক্টরী চলাকালীন সব সময় খোলা থাকবে।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • সকালেই সকল এমার্জেন্সি এক্সিট খুলে দেওয়া হয় এবং এক্সিট এরিয়া সব সময় প্রতিবন্ধক হীন রাখা হয়।
  • ফ্যাক্টরীর দায়িত্ব প্রাপ্ত কয়েক জন অফিসার নিচে গিয়ে রান্তার যানবাহন নিয়ন্ত্রন করবে যাতে শ্রমিক কর্মচারীগন নিরাপদে থাকে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল এবং উদ্ধারকারী দলকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।
  • প্রত্যেক ফ্লোর-ইনচার্জগন সবার শেষে ফ্লোর থেকে বের হবে এবং নিশ্চিত হবে যে ফ্লোরে বা বাথ রুমে কেহ আটকে নেই।
  • বারুম/টয়লেট ও বিল্ডিং-এর ছাদ চেক করতে হবে যাতে কোন লোক আটকা পড়ে না থাকে।
  • সিকিউরিটি গার্ডগন ফ্যাক্টরী থেকে বের হবার সময় শৃখঙলা ভঙ্গ না হয় তা দেখবে এবং নিশ্চিত করবে যে দ্রুত নির্গমনের জন্য প্যাসেজ খোলা আছে, বাইরের কোন লোক ভিতরে প্রবেশ করবে না এবং কোন শ্রমিক জুতা স্যান্ডেল নেওয়ার জন্য নির্গমন পথে বাধা সৃষ্টি করছে না।
  • আগুন লাগলে নিুলিখিত টেলিফোনে যোগাযোগ করতে হবে।
  • ফায়ার সার্ভিস ৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫৬৬৬৬
  • ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়াটার ৯৫৫৬৬৬৭
  • ফায়ার সার্ভিস সাভার ৭৭১৩৩৩৩
  • ফায়ার সার্ভিস ই.পি.জেট ৭৭০১৪৪৪
  • ফায়ার সার্ভিস টঙ্গী ৯৮০১০৭০
  • ফায়ার সার্ভিস ক্যান্টনমেনট ৬০৫১৬৮
  • যে বা যারা ইলেক্ট্রিক সুইচ বোর্ড এর নিকট অবস্থান করবেন তারা মেইন সুইচ বন্ধ করবে। অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইনচার্জ বা ইলেক্ট্রিশিয়ান বা মেইন্টেন্যান্স সেকশনের যে কেহ দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
  • প্রোডাকশন অফিসার মাইকিং করে সকল শ্রমিক কর্মচারীগণবে আগুন লাগার স্থান বলবেন এবং সতর্কতার সাথে বের হওয়ার জন্য পথ নির্দেশনা এবং করনীয় আদেশ উপদেশ প্রদান করবেন। প্রোডাকশন অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সময় রক্ষক উক্ত মাইকিংয়ের কাজ করবেন।
  • রিসেপশনিস্ট টেলিফোন করে স্থানীয় দমকল বাহিনী, থানা (পুলিশ ষ্টেশন) এবং একাউন্টস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী কে সংবাদ জানাবে।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে কেহ আতঙ্কের সৃষ্টি এবং হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি করবেনা।
  • নিরাপত্তা রক্ষী গেটে দাঁড়িয়ে বহিরাগতদের ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশে বাধা দিবে যেন অযথা ভীড় না হয়। নিরাপত্তা রক্ষী নিজ নিজ ডিউটির স্থানে দায়িত্ব পালন করবে। মেইন গেটের নিরাপত্তা রক্ষী চারতলার পশ্চিম পাশের গেটে অবস্থান গ্রহন করবে।
  • উদ্ধার বাহিনীর (জবংপঁব ঞবধস) সদস্যগণ দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কতার সাথে প্রথমে গর্ভবতী, মহিলা কর্মী ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করবে। বিস্তারিত দায়িত্ব জবংপঁব ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার বাহিনীর সদস্যগণ উদ্ধার কাজের সময় প্রয়েজনে অবশ্যই গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করবে।
  • ধোয়ার আছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার পথ দেখতে না পেলে দ্রুত বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে।
  • অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্যগণ নিজ নিজ নির্দিষ্ট সরঞ্জাম/যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনবে। বিস্তারিত দায়িত্ব ঋরৎব ঋরমযঃরহম ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে।
  • যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তারা অবশ্যই মুখোশ ব্যবহার করবে।
  • ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। সোজা নিজের বাসায় চলে যাবে।
  • উদ্ধার কার্যাবলী সম্পাদনের পরে লাইন করে সকল শ্রমিক এর সংখ্যা গণণা করতে হবে। এ ব্যাপারে পিএম এবং ফ্লোর ইনচার্জ নিজ নিজ ফ্লোরের লোক সংখ্যা গণণা করবে।
পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা

পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা

পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি।

উদ্দেশ্য ঃ ডাইং ও ওয়াশিং সেকশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন দূষিত পানি যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তা শোধনের জন্য ই,টি,পি প্লান্ট বা বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা রয়েছে । কারখানাটিতে দাগ উঠানোর জন্য পানিতে দ্রবনীয় ধৌত সামগ্রী ব্যবহার করে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার সীমিতকরনের ব্যবস্থা রয়েছে ।অটো গ্র“প সব সময়ই সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। …

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সৃষ্টিই এই নীতি মালার লক্ষ্য। দেশে প্রচলিত শ্রম আইন  বা ক্রেতাগনের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এবং শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা ত্বরান্বিত করার জন্য কর্ম পরিবেশের একটি নীতিমালা অনুসরন করে থাকে । Read English Version

পদ্ধতি / অনুসরন নীতিমালা ঃ

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ

  • টয়লেটের ফ্লোরে পানি ফেলা যাবেনা। হাত মুখ ধোয়ার পর পানি শুকানোর মেশিন দ্বারা হাত শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা হয় ।
  • টয়লেট পরিস্কার রাখার জন্য সকলকে সতর্ক/সচেতন থাকতে হবে। টয়লেট অপরিস্কার থাকলে সাথে সাথে সুইপারকে   জানাবেন।
    মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করা হয় এবং পালাক্রমে এ কাজের জন্য ৫ জন লোক নিয়োগ করা আছে ।
  • চলাচলে পথের উপর কোন ফেব্রিক্স, প্যার্টান, বাস্কেট বা অন্যকিছু রাখা যাবে না। চলা চলের পথ সবসময় খোলা বা উম্মুক্ত রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করা হয় ।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ।

স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ ঃ
১) পরিবেশ, নিরাপত্তা
২) কক্ষের অভ্যন্তরীন সব দেয়াল, শ্রমিকদের কাজের ঘর, মেঝে এবং সিড়িগুলো মযলা ও দর্গন্ধমুক্ত এবং সঠিকভাবে চুনকাম করা।
৩) মেঝের আপ্রয়োজনীয় ময়লা সর্বদাই ক্লিনার দ্বারা পরিস্কার করানো হয় এবং প্রতিসপ্তাহে একবার জীবানু নাশক ও গুড়ো সাবান দিয়ে ধৌত করা হয়।
৪) উৎপাদন প্রক্রিয়ার দরুন যে সমস্ত কাপড়ের টুকরা, সুতা,ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা বের হয় তা প্রতি মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত জিনিস গুলো তুলায় রূপান্তরিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরী করেন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ব্যবহারকৃত ময়লা পানি এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা প্রবহিত হয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ঠ ড্রেন এবং সেফটি টেংক আছে। ফলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নাই্
৫) পুরাতন টিউব লাইট রিসাইকেলদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
৬) কর্মীদের কাজের স্থানে প্রয়োজনীয় বায়ুচলাচল এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব পশ্চিম এবং উত্তর দিকে বৃহৎ
৭) বৃহদাকার জানালা গুলি গিয়ে প্রাকৃতিক আলো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাসগুলি উভয় দিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকায় বাঁধাহীন ভাবে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ সম্ভবপর হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর সাথে ইলেকট্রিক্যাল লাইট গুলো আলোর গতিকে আরো তীব্রতর করেছে। যার ফলে সমস্ত কাজের স্থান এবং প্রবেশ পথ গুলো নিরাপদ ও কর্মোপযোগী হয়ে উঠেছে। সমগ্র ফ্লোর এ আলোর তীব্রতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট ক্যান্ডেল।
৮) কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক স্থানে দুটো ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে। এবং কর্মীদের বুঝার সুবিধার্থে বংলায় এবং ইংরেজীতে ” বিশুদ্ধ খাবার পানির ” নির্দেশনা দেয়া আছে। ফিল্টারগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
৯) কারখানা আইন অনুযায়ী কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনমাফিক পায়খানা ও প্রস্রাবখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সমস্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাগুলো যথোপযযুুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানু নাশক দ্বার প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
১০) কারখানার সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ

প্রতিটি কাটারম্যান কে অবশ্যই কাজের সময় ধাতব মোজা এবং মাক্স পরিধান করতে হবে/কাটার/সিজার কাটিং টেবিলের সাথে বেধে রাখতে হবে। কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে যথেস্ট সহায়ক ।

ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ

  • প্রতিটি ফ্লোরে ০২ টি করে অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত অথবা কাজের অথবা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ/মতামত থাকলে উক্ত বাক্সে তার মতামত লিখে জানাতে পারে। উক্ত মতামত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য সে শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ সরবরাহ করা হয়েছে ।
  • ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

খাবার পানি / পান করার পানি ঃ

১। শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসানো হয়েছে । আমাদের নিজস্ব নার্স ও ডাক্তার রয়েছে। প্রতিটি প্র্যাথমিক চিকিৎসা বাস্কের দায়িত্বে দুইজন করে প্রশিক্ষিত লোক রয়েছে। প্রায়োজনে উক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হবে।

২। বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

৩। প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করা হয় ।

বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ

কারখানার নোংরা ও বর্জ্য অপসারনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

১। নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ।

২। কারখানাটিতে অত্যন্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ।

আলোর ব্যবস্থা  ঃ কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন । সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে ।

১। শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।

পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ

১। কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

২। মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৩। কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী  মহিলাদের জন্য ২৫ জনের জন্য ১টি হিসাবে মোট ………..টি  পায়খানা ও প্রস্রাবখানা এবং পূরুষদের জন্য ……..টি পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৪। প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করা হয়  এবং তা রেকর্ডকৃত করা হয়।

আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ

১। কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী রয়েছে । সক্রিয়ভাবে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা, সুস্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের বিশেষত গর্ভবতী শ্রমিকসহ একটি জেন্ডার প্রেক্ষিত এবং ভাল অনুশীলন আবেদন, মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে.

প্রশিক্ষণ ঃ

সকল অপারেটরগণ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার মেশিনে সকল নিরাপত্তা সরঞ্জাম রয়েছে। যেমন: – নিডেল গার্ড, সেফটি গ্লাস, পুলি কভার, মাক্স, বেল্ট কভার   ইত্যাদি এবং সকল সুপারভাইজারগণকে নিশ্চিত করতে হবে যে, অপারেটরগণ উক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। মেশিনে কোন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে মেকানিকের সাহায্য নিতে হবে। কাটার, সিজার মেশিনের সাথে বেধে রাখতে হবে।  কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।

পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি

পরিষ্কার পরিচছন্নতা যে কোন কারখানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা এই ব্যাপারটি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। এই সকল বিষয়েই মুলত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য করা, কিন্তু তারা যদি নিজেরা পরিচছন্ন না হয় তাহলে এর মাধ্যমে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই প্রতিটি শ্রমিকের পরিচছন্নতার বিধিমালা মেনে চলা উচিত।
আমাদের কারখানায় পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি তদারক করার জন্য সার্বক্ষনিক কেয়ার টেকার রয়েছে।

সারাংশ

পরিবেশ নিরাপত্তা ফ্যাক্টরীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখার জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও ঝারুদিয়ে ফ্লোর, সিড়ি, প্যাসেজ, টয়লেট ও বারান্দার ময়লা ও বর্জ পদার্থ পরিষ্কার করছে। এছাড়াও সকাল বিকাল টয়লেট ও থুথু দানি পরিষ্কারের জন্য সুইপার রয়েছে। ফ্যাক্টরীর কাছে অবস্থিত ডাষ্টবিনে ময়লা ও পরিত্যাক্ত বর্জ পদার্থ ফেলার কার্যকরি ব্যবস্থা আছে।