by Mashiur | Jul 22, 2019 | কর্ম পরিবেশ
ভারী জিনিস উত্তোলন বহন নীতিমালা – গার্মেন্টস লি: শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ব্যাপারে অধিক সচেতন ও শ্রম-আইনের ধারা ৭৪ এ বর্ণিত নিয়মনীতি পালনে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। যে কারনে কোন শ্রমিককে তাহার শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হইতে পারে এমন ভারী জিনিস উত্তোলন, বহন ও নাড়া-চাড়া করিতে দেওয়া হয় না। আআআআ
কোন শ্রমিকের দৈহিক ক্ষতি হইতে পারে এমন কোন অতিরিক্ত ওজনের মালামাল উত্তোলন অপসারন ও বহনের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা শ্রমিককে নিয়োগ করা হয় না সেক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ও ফর্কলিফট এবং লিফট ব্যবহার করে তাহা করা হয়ে থাকে।
১৯৭৯ সালে কারখানা বিধী অনুযায়ী ফ্যাক্টরীতে কোন পুরুষ, মহিলা, কিশোর, কিশোরী ও শিশু শ্রমিক দিয়ে কোন অতিরিক্ত ওজন বিশিষ্ট কোন দ্রব্য, যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম এর সাহায্য ছাড়া নিন্মে উলিখিত পরিমানের বেশী ওজন উত্তোলন, বহন বা অপসারন করা যাবেনা।
ভারী জিনিস উত্তোলন বহন নীতিমালা শ্রেণি
(ক) প্রাপ্ত বয়স্ক (পুরুষ) শ্রমিক ৬৮ পাউন্ড।
(খ) প্রাপ্ত বয়স্ক (মহিলা) শ্রমিক ৫০ পাউন্ড।
(গ) কিশোর (পুরুষ) শ্রমিক ৫০ পাউন্ড ।
(ঘ) কিশোরী (মেয়ে) শ্রমিক ৪০ পাউন্ড ।
(ঙ) শিশু ( ছেলে ) শ্রমিক ৩৫ পাউন্ড ।
(চ) শিশু (মেয়ে) শ্রমিক ৩০ পাউন্ড ।
(ছ) গার্মেন্টস লি: যেহেতু কিশোর/কিশোরী শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করায় না, তাই ইহা এই কারখানার জন্য প্রযোজ্য নহে।
পানি ,বিদ্যুৎ, গ্যাস এর মত জরুরী উপাদানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বা সরবরাহে সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতিক্রমে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো যেতে পারে। এছাড়াও আমাদের প্রতিষ্ঠান শ্রম আআইন মোতাবেক অন্তসত্তা অবস্থায় কোন মহিলাকে কোন দ্রব্য, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি হাতে বা মাথায় করে বহন , উত্তোলন বা অপসারনের উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হতে সর্বদা বিরত থাকে।এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্র¯ু‘তকৃত নীতিমালা প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানগন সহ সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক-কর্মচারীগন যথাযথভাবে পালন করে থাকে।
সারাংশ
ভারী জিনিস উত্তোলন বহন নীতিমালা – উপরোক্ত বিশেষ সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে পুর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিপমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য সকলের সম্মতিক্রমে পরবর্তী সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো হয় এবং শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের অতিরিক্ত সময়ের মজুরী প্রদান সহ যত দ্রুতসম্ভব একটি বিকল্প ছুটি দেওয়া হয়।
by Mashiur | Dec 27, 2018 | কর্ম পরিবেশ
কর্ম পরিবেশ নিয়ে লেখা পড়ুন
by Mashiur | Dec 1, 2018 | কর্ম পরিবেশ
ফাইভ এস – কি এবং কেন ?
ফাইভ এস এবং প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনকে আমরা লীন উৎপাদন ব্যবস্থার ভিত্তি বলে গণ্য করতে পারি । কর্মক্ষেত্র উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত গড়তে ফাইভ এস এবং প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনই হল মূল সাংগঠনিক হাতিয়ার । এটি নিশ্চিত করে যে , প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে এবং প্রত্যেক জিনিস পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবহারোপযোগীভাবে তার নির্ধারিত জায়গায় থাকবে।
লীন উৎপাদন ব্যবস্থ্যায় আপনার দলকে ফাইভ এস বিষয়ে শিক্ষা দিবে এবং লাইনে লীন বাস্তবায়নে তা সহায়ক হবে , পরবর্তীতে যা অন্যান্য লাইন গুলো ও অনুসরণ করবে। এই শিক্ষার মাধ্যমে কর্মীরা আতœনির্ভরশীল হবে এবং লীন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে। আমরা আপনাকে একটি দলীয় পেশাগত সংস্কৃতি গড়তে সাহায্য করব যা সর্বদা উন্নয়নের জন্য আপনার দলকে শক্তিশালী করবে এবং উৎসাহ যোগাবে।
ফাইভ এস এর উপকারিতা
ফাইভ এস নিরাপত্তার উন্নতি সাধন করা * অপচয় রোধ করা * কর্মীদের নৈতিক মনোবল বৃদ্ধি করা * সমস্যাসমূহ দ্রুত চিহ্নিত করা * প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা * উপযোগী কর্ম পরিবেশ তৈরী করা * পণ্যের পরিমাণগত ও গুণগত মান বৃদ্ধি করা * কাজে কর্মীদের সন্তুষ্টি বাড়বে * কর্মীদের আন্তঃসম্পর্ক শক্তিশালী করা * কর্মীদের কর্মস্থলের প্রতি আনুগত্য বৃদ্ধি করা ।
বাছাই করা
ফাইভ এস ‘ র প্রথম ধাপ হচ্ছে , কর্মস্থলে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় ইস্যু ও যন্ত্রপাতি সমূহ বাছাই করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ সরিয়ে রাখতে হবে অথবা রেড ট্যাগ লাগাতে হবে যাতে পরবর্তীতে তা অপসারণ করা যায়। এটি ভালভাবে সম্পাদন হলে কর্মীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের উন্নতি হয় এবং পণ্যের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
গুছিয়ে রাখা
ফাইভ এস ‘ র দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে , দরকারী ইস্যু ও যন্ত্রপাতিগুলো শ্রেণীবদ্ধভাবে গুছিয়ে রাখা এবং লেবেল লাগানো যাতে প্রয়োজনে সহজেই তা খুঁজে পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি , বাস্কেট , প্যাটার্ণ , ও প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ যথাযথভাবে সনাক্তকারী লেবেল লাগাতে হবে। ফলে উৎপাদনকার্যে শ্রম ও সময়ের অপচয় দূর হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হলো ফাইভ এস ‘ র তৃতীয় ধাপ । এটি যেমন কর্মস্থলকে নিরাপদ রাখে তেমনি সমস্যা থাকলে তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারে। ফ্লোর থেকে ময়লা , টুকরা কাপড় , ভাঙ্গা যন্ত্রপাতি , তরল জাতীয় পদার্থ ইত্যাদি পরিহার করতে হবে । মোট কথা , বিশৃংঙখল ও নোংরা পরিবেশ প্রতিরোধই হলো এই ধাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এর ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার দায়িত্বটি কর্মীদের দৈনন্দিন কাজের অংশ বলে গণ্য হবে।
আদর্শ মান নির্ধারন
ফাইভ এস ‘ র চতুর্থ ধাপ হচ্ছে , উপরোক্ত তিনটি ধাপের প্রতিটি কাজের জন্য একটি সহজ ও সর্ব্বোত্তম আদর্শ মান নির্ধারন করা এবং তা অনুসরন করা। কোন কাজটি কে , কিভাবে , কখন , কোথায় করবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। যন্ত্রপাতি এবং ইস্যুসমূহ কোথায় , কিভাবে রাখবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং নির্ধারিত স্থানে সঠিক জিনিসটি রাখতে হবে। আদর্শ মান চিহ্নিত করার জন্য রেখাচিত্র , লেবেল , রঙ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত পালন করা
ফাইভ এস ‘ র সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে , উপরের চারটি ধাপ অনুসরনের বাধ্যবাধকতা এবং নিয়মানুবর্তীতা বজায় রাখা। এটি করা না হলে কর্মস্থলে পূর্ববর্তী বিশৃঙ্খল ও নোংরা পরিবেশ ফিরে আসবে। সেজন্য কর্মস্থলে উন্নত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আপনার দলের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন কর্মস্থল ও কাজের প্রতি কর্মীদের আস্থা অর্জিত হবে তখন উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়বে তেমনি কর্ম সন্তুষ্টি ও আসবে।
by Mashiur | Nov 20, 2018 | কর্ম পরিবেশ
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নীতিমালা
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নীতিমালা – AUTO নীটওয়্যার লিঃ একটি ১০০% রপ্তানীমূখী তৈরী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। AUTO নীটওয়্যার লিঃ তার প্রতিষ্ঠানের সকল সেকশনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সর্বদা সচেতন থেকে তার শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে AUTO নীটওয়্যার লিঃ একটি নিজস্ব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (পঞ্চম অধ্যায়) এর স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থার ৫১ ধারা অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিুলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয় ঃ
প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোন নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জজ্ঞাল হতে উত্থিত দূষিত বাষ্প হতে মুক্ত রাখতে হবে এবং বিশেষ করে-
(ক) প্রতিষ্ঠানের মেঝে, কর্মকক্ষ, সিড়ি, যাতায়তের পথ হতে প্রতিদিন ঝাড়– দিয়ে ময়লা ও আবর্জনা উপযুক্ত পন্থায় অপসরন করতে হবে।
(খ) প্রত্যেক কর্মকক্ষের মেঝে সপ্তাহে অন্তত: একদিন ধৌত করতে হবে, এবং প্রয়োজনে ধৌত করে জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
(গ) যে ক্ষেত্রে কোন উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে কোন মেঝে এমনভাবে ভিজিয়ে যায় যে, ইহার জন্য পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঘ) প্রতিষ্ঠানের সকল অভ্যন্তরীন দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিড়ি, যাতায়তপথ-
(১) রং বা বার্নিশ করা থাকলে, প্রত্যেক তিন বৎসরে অন্তত: একবার পুন: রং বা বার্নিশ করতে হবে।
(২) রং বা বার্নিশ করা এবং বহির্ভাগ মসৃন হলে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত: একবার উহা বিধিদ্বারা নির্ধারিত পন্থায় পরিষ্কার করতে হবে।
(৩) অন্যাণ্য ক্ষেত্রে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত: একবার চুনকাম বা রং করতে হবে।
(ঙ) দফা (ঘ) তে উল্লেখিত কার্যাবলী সম্পন্ন করার তারিখ বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
AUTO নীটওয়্যার লিঃ কর্তৃপক্ষ সর্বদা প্রত্যাশা করে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিয়োজিত সকল ব্যক্তি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত উপরোক্ত নীতিমালা মেনে চলে এর কর্মপরিবেশকে আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তুলতে সহায়তা করবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়াদি
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। AUTO পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যপারে খুবই সচেতন। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে AUTO নীটওয়্যার লিঃ একটি সেফটি কমিটি গঠন করেছে, যার সদস্যরা নিয়মিত সম্পূণর্ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি ফ্লোরের মেঝে, সিড়ি ইত্যাদি যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। প্রতিটি ফ্লোরে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে। টয়লেট পরিষ্কার রাখার জন্য নির্দিষ্ট সুইপার নিয়োগ করা হয়েছে। এই সকল বিষয়ই মূলত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে করা, কিন্তু তারা যদি নিজেরা পরিচ্ছন্ন না হয় তাহলে এর মাধ্যমে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই প্রতিটি শ্রমিকের পরিচ্ছন্নতার বিধিমালা মেনে চলা উচিত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য নিু বিষয়গুলোর উপর গুরত্ব বাঞ্চনীয় ঃ
টয়লেট ব্যবহারের নিয়মাবলী ঃ
- ব্যবহারের পর কল বন্ধ করতে হবে।
- টয়লেট সব সময় শুকনা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- ময়লা (টিস্যু পেপার, কাপড়, ন্যাপকিন) নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।
- মল ত্যাগ করার পরে ফ্ল্যাশ ছেড়ে দিতে হবে যেন ময়লা না থাকে।
- যেখানে সেখানে থু থু ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট জায়গায় থু থু ফেলতে হবে।
- টয়লেট ব্যবহারের পর ভিজা হাত (ঐধহফ ফৎুবৎ) হাত শুকানো মেশিনে শুকিয়ে নিতে হবে/তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে নিতে হবে।
- কোন সমস্যা থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
by Mashiur | Nov 14, 2018 | কর্ম পরিবেশ
শিল্প বর্জ্য এর তালিকা ও মিটিগেশন উপায়সমূহ
শিল্প বর্জ্য -AUTO নীটওয়্যার লিঃ একটি ১০০%রপ্তানী মূখী তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান তার কর্মক্ষেত্রের সকল দিকে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করে। পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে AUTO নীটওয়্যার লিঃ কর্তৃপক্ষ সর্বদা স্থানীয় পরিবেশ আইন মেনে কাজ করার চেষ্টা করে এবং যথাসম্ভব সঠিক উপায়ে তার কারখানায় সৃষ্ট সকল ধরনের বর্জ্য পরিত্যাজ্য করে থাকে। …
- কাঁচ বর্জ্য
- স্থিতিশীল বর্জ্য (সলিডিফাইড, রাসায়নিক ভাবে ফিক্সড এবং এনক্যাপসুলেটেড বর্জ্য)
- অজৈব রাসায়নিক বর্জ্য (যেমনঃ আর্সেনিক, কপার, কেডমিয়াম ইত্যাদি)
- চামড়া বর্জ্য
- ধাতব বর্জ্য
- তৈল (যেমনঃ বর্জ্য তেল, তেল/পানি মিশ্রন)
- জৈব সাজ
- জৈব দ্রাবক (যেমনঃ হ্যালোজেনেটেড, অ্যালিফ্যাটিক, অ্যারোমেটিক যৌগ)
- রং/কালি/পেইন্ট বর্জ্য
- এসিড বর্জ্য (যেমনঃ হাইড্রোক্লরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি)
- ক্ষারীয় বর্জ্য (ক¯িটক সোডা, ক¯িটক পটাশ, ক্ষারীয় ক্লিনার ইত্যাদি)
- রেজিন/লেটিস/এডহেসিভ
- রাবার বর্জ্য
- ¯টাইরোফোম বর্জ্য
- টেক্সটাইল বর্জ্য
- অন্যান্য, উল্লেখ করুন
- এসবেসটস বর্জ্য
- সিরামিক/খনিজ বর্জ্য
- দূষিত পাত্র বা ধারক (যে গুলোতে ইতঃপূর্বে রাসায়নিক পদার্থ বা পেইন্ট ইত্যাদি রাখা হয়েছিল)
- রাসায়নিক সার এবং বালাইনাশক বর্জ্য
- কাগজ বর্জ্য
- প্যাথজেনিক বা সংক্রামক বর্জ্য
- ফার্মাসিউটিক্যাল বর্জ্য
- প্লা¯িটক বর্জ্য
- প্ল্যাটিং বর্জ্য
- পঁচনশীল বর্জ্য (যেমনঃ গ্রীজ ট্রেপের বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্য)
- রিয়্যাক্টিভ রাসায়নিক বর্জ্য (যেমনঃ বি®েফারক, রিড্উিসিং এবং অক্সিডাইজিং এজেন্ট)
মিটিগেশন/বৃদ্ধিকরণের উপায়সমূহ
বায়ার কর্তৃক অর্ডারকৃত কাপড়ের শিপমেন্ট শেষে পারিত্যক্ত যে কাপড় থেকে যায় তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরবরাহকারী/ক্রেতার মাধ্যমে পারিত্যক্ত কাপড় রি-সাইক্লিং এর জন্য পাঠানো হয়।
- কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণ/সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান
- পরিবেশস¤মতভাবে অপসারণের জন্য নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ করা
- ব্যবহƒত লেড-এসিড ব্যাটারী কেবল নির্দিষ্ট ডিলারের কাছে ফেরত দিতে হবে
- মির উপরিভাগের মাটি নিরাপদ জায়গায় জমা করে রাখা এবং এ মাটির সাহায্যে ভরাটকৃত ভূমির সর্বউপরি ¯তর সৃষ্টি
- নির্মাণ এলাকায় যতদ্রুত সম্ভব গাছ লাগানো
- শুকনো মৌসুমে নির্মাণ কাজ করা
- কাঁচা রা¯তা অথবা উš§ুক্ত মাটি/ভূমিতে নিয়মিত পানি ছিটানো
- প্রকল্প এলাকা পরিত্যাগের পূর্বে ট্রাক এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি হতে মাটি/কাদা পরি®কার করা
- ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ট্রাকে মালামাল পরিবহন করা
- নির্মাণ এলাকার চারপার্র্শ্বে অস্থায়ী বেড়া নির্মাণ করা
- বেরিয়ার নেট স্থাপন
- সিল্টেশন প্রতিরোধের জন্য অস্থায়ী সিল্ট ট্রেপ স্থাপন/পুকুর খনন
- ন থেকে দূরে সমতল ভূমিতে স্পয়েল মাটি ¯তুপিকৃত করা
- স্পয়েল মাটি ভূমি ভরাটের কাজে লাগানো
- র্যাপ্ত বাফার এলাকার ব্যবস্থা করা
- বাফার এলাকায় গাছ লাগানো
- প্রকল্প এলাকার চারদিকে সীমানা প্রাচীর উত্তোলন
- বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ
- কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোকপিট স্থাপন
- পয়ঃ বর্জ্যরে জন্য উপযুক্ত বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন
- শিল্প তরল বর্জ্যরে জন্য উপযুক্ত বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন
- বিপদজনক বর্জ্য পরিশোধন করা হবে
- ইনসিনারেটরে পুড়িয়ে ফেলা হবে
- সংরক্ষণ করা হবে
- শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ (যেমনঃ ইনসুলেটর, মাফলার, সাইলেন্সার)
- শক্তভাবে সিল্ড কন্টেইনার, মাস্কিং এজেন্ট ইত্যাদির ব্যবস্থা করা
- ¤পন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ (যেমনঃ শক এবসরবার, ডে¤পার/আইসলেটর, স্প্রিং আইসলেটর)
- নির্দিষ্ট ডা¤পসাইট অথবা স্যানেটারী ল্যান্ডফিলে কঠিন বর্জ্য অপসারণ
- নির্মাণ এলাকার ভিতরে অস্থায়ীভাবে বর্জ্য অপসারণ স্থানের ব্যবস্থা করা এবং যথাযথভবে কঠিন বর্জ্য পসারণ করা।
- পর্যাপ্ত সৌচাগারের ব্যবস্থা করা
- ঠিকাদার এবং কর্মরত শ্রমিকদের যথাযথ বর্জ্য অপসারণ এবং সেনিট্যাশন মেনে চলার ব্যবস্থা করা
- লোক নিয়োগের সময় স্থানীয় এলাকাবাসীদের অগ্রাধিকার প্রদান
- ফ্লোরের সকল ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলা হয়। উক্ত ঝুড়ি গুলি প্রতিদিন হাইজ কিপার /সুইপার পরিষ্কার করে এবং কারখানার বাইরে নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ফেলে দেয় যা স্থানীয় সরকার কর্তৃক পরিত্যাজ্য হয়।
by Mashiur | Sep 4, 2018 | কর্ম পরিবেশ
বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র
গ্র“প কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার বর্জ্য সহ অন্যান্য যে কোনো -, প্রকার ময়লা সঠিক উপায়ে অপসারনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরন করার লক্ষ্যে মেসার্স এন্টারপ্রইজ চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ্, বাংলাদেশ । এর সাথে চুক্তি সম্পাদন করা । সকল পরিত্যাক্ত বজ্য উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে। শর্ত থাকে যে,প্রক্রিয়াজাত করনে পরিবেশের ক্ষতি বা ভারসাম্যের বিষয়ে মেসার্স এন্টারপ্রইজ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এর ব্যতিক্রম হইলে চুক্তি বাতিল করা হইবে । …
পানীয়/ তরল বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ
পয়ঃনিষ্কাশনের পানি, ব্যবহৃত খাবার পানি, স্বাভাবিক নিঃষ্কাশনের পানি, ব্যবহৃত ময়লা পানি এবং সেনিটেশনের পানি সুুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে প্রবাহিত করা হয় যা বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র উল্লেখ করা হয়েছে।
ডাষ্ট/পরিত্যক্ত খাবার/আবর্জনা/পরিত্যক্ত কাগজ ঃ
এগুলো ফ্লোরে রক্ষিত ডাষ্টবিনে জমা করা হয় এবং দিনশেষে এগুলো স্থানীয় সরকারের ডাষ্টবিনে ফেলা হয় যা স্থানীয় সরকার ক্লিনার দ্বারা পরিষ্কার করা হয়।
প্লাষ্টিক জাতীয় বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ
খালি ড্রাম/ ব্যবহৃত কনটেইনার/ খালি বোতল/পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক এগুলো ফ্লোরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলোর রি-সাইক্লিং এর জন্য সরবরাহকারী বা সংগ্রহকারীর নিকট পাঠানো হয়।
কাঠ জাতীয় বর্জ্য পরিত্যজ্য পদ্ধতি ঃ
কাঠের ভাঙ্গা বাক্স, ভাঙ্গ টেবিল, চেয়ার, ভাঙ্গা আসবাবপত্র এগুলো প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয়।
মেটাল জাতীয় বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ
ভাঙ্গা ইস্ত্রি, ভাঙ্গা রড, অব্যবহৃত মেশিনের যন্ত্রপাতি ,ভাঙ্গা সিজার, কাটার, টেবিল এগুলো প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয়।
ওয়েষ্টেজ একসেসরিজ পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ
কার্টুন, বাটন, হ্যাঙ্গার, ফেব্রিক, পলি, জিপার ইত্যাদি প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয় অথবা নির্দিষ্ট স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বর্জ্য সমুহ:
কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার বর্জ্য (ঝুট, টুকরা সুতা, টুকরা কাপড়, ব্যবহৃত সুতার কোন্ ও অন্যান্য ময়লা) ,ব্যবহৃত ধাতব পদার্থ কাটার, সিজার, সেলাই কাজে ব্যবহৃত নিডল্ সহ অন্যান্য ধাতব পদার্থ ,বৈদ্যুতিক সরজ্ঞাম যেমন টুকরা তার, ভাঙা বা ফিউজ টিউবলাইট (ঞঁনব ষরমযঃ), ভাঙা সুইচ সহ ব্যবহার অনুপযোগী বৈদ্যুতিক সামগ্রী প্রকার কাঠের সামগ্রী ভেঙে গেলে বা ব্যবহারের অনুপযোগী ,উৎপাদন ফ্লোরে ব্যবহৃত সকল প্রকার কাগজ, কলম, মার্কার, প্লাষ্টিক সামগ্রী, পলিথিন , কাগজের তৈরী কার্টুন জেনারেটরের পোড়া লুব্রিকেটিং ওয়েল, সেলাই মেশিনে ব্যবহৃত তেল ,ডক্টর রুম ,এ ব্যবহৃত সকল প্রকার সিরিজ সূইচ, ব্যবহৃত বজ্য ইত্যাদি।
সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্র ও পিকদানীর ব্যবস্থা রাখিতে হইবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নীতিমালা
১। বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও স্বাচ্ছন্দবোধ করার মত তাপমাত্রার ব্যবস্থা করিতে হইবে।
২। আলোর ব্যবস্থা ঃ কাজের ও চলাচলের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করিতে হইবে যাহাতে চোখে চাপ না পড়ে। জানালার কাঁচ ভিতর ও বাহিরের দিকে পরিষ্কার রাখিতে হইবে।
৩। পান করার পানি ঃ ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং “পান করার পানি” কথাটি লিখিয়া রাখিতে হইবে যাহাতে চোখে পড়ে।
৪। প্রস্রাবখানা ও পায়খানা ঃ পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচল ব্যবস্থাসম্পন্ন ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক স্থানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক প্রস্রাবখানা ও পায়খানার ব্যবস্থা করিতে হইবে। এইগুলি যথোপযক্ত ভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ডিটারজেন্ট বা জীবানুনাশক বা উভয়টি দ্বারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে।