কর্মী নিয়ম শৃঙ্খলা কার্যপ্রনালী
অটোগ্র“প কর্মী ও ষ্টাফদের ক্ষেত্রে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী সকল নিয়ম কানুন প্রয়োগ করে এবং মেনে চলে। অটোগ্র“প সবসময় ন্যায়বিচারের নীতিমালা মেনে চলে এবং কোন কর্মীর সাথে পক্ষপাত মূলক ও বৈষর্ম্য মুলক আচরণ করে না। অটোগ্র“প নিম্ন লিখিত অসাদাচারন অনুসারে শ্রম আইনের বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
- অসাদাচারণ
- এককভাবে বা সংঘবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধ অমান্য করা।
- চুরি, অসততা বা যে কোন ধরনের প্রতারণা মূলক কোম্পানীল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করা।
- অসদ উপায়ে অর্থ গ্রহণ প্রদান করা।
- অভ্যাসগত ভাবে বিনা অনুমতিতে ছুটি ও অননোমুদিতভাবে কমপক্ষে (১০) দশ দিন কাজে অনুপস্থিত থাকা।
- অভ্যাসগত ভাবে দেরীতে উপস্থিত হওয়া।
- অভ্যাসগত ভাবে কোম্পানীর আইন অমান্য ও ভঙ্গ করা।
- কোম্পানীর অন্তরঘাতমুলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
- অভ্যাসগত ভাবে কাজে অবহেলা করা।
- কোম্পানীর কোন সম্পদ ও অফিসিয়াল কোন কাগজ পত্র নষ্ট করা।
- অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা।
- কাজের সময় ঘুমানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
- ধুমপান নিষিদ্ধ এলাকায় ধুমপান করা।
- মারামারি করা, জুয়াখেলা বা অন্য কোন অসদাচরন।
- কোন আদালতে দোষী প্রমানিত হলে।
- নিজের সমন্ধে ভুল তথ্য প্রদান (যেমন- নাম, ঠিকানা, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি)।
- আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদির ব্যবহার না করা।
- কোম্পানীর অনুমতি ব্যতীত কোন রকম সভা অনুষ্ঠান করা, যে কোন পোষ্টার বা দেওয়াল লিখন ইত্যাদি প্রদর্শন।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতিঃ
- যে কোন অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
- অভিযোগ গঠন ও অভিযোগ পত্র প্রদান (চার দিনের ভিতর পত্রের জবাব)।
- অভিযোগ পত্রের জবাব বিবেচনা করা।
- তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্তের নোটিশ প্রদান।
- সঠিক তদন্ত ও তদন্ত কর্মকর্তার রিপোর্ট প্রদান।
- তদন্তের রিপোর্ট বিবেচনা করা ও শাস্তি প্রদান।
- শাস্তির আদেশ প্রদান করা।
শাস্তির প্রকার ভেদঃ
- কারণ দর্শানো নোটিশ।
- কারণ দর্শানো সহ সাময়িক কর্মচ্যুতি।
- সতর্কীকরন পত্র
- বরখাস্ত
- কর্মচ্যুতি
- চাকুরী অবসান
- চাকুরী অধিকার হারানো
যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সকল বিধি বিধান অনুসরণ করে থাকে এবং কারও প্রতি কোন পক্ষপাত মুলক ও অন্যায় শাস্তি প্রদান করা হয় না।