Select Page
বহিরাগত প্রবেশ সংরক্ষন নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা

বহিরাগত প্রবেশ সংরক্ষন নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা

বহিরাগত প্রবেশ সংরক্ষন নীতিমালা

নিরাপত্তা একটি ফ্যাক্টরীর জন্য বিশেষ করে পোষাক শিল্প ফ্যাক্টরীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পোষাক শিল্প ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তারক্ষীর দায়ীত্ব ও কর্তব্য বুঝায় একজন নিরাপত্তারক্ষী শ্রমিক/কর্মচারী/ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পালন করা ।অটো  টেক্সটাইল লিঃ এর নিরাপত্তা নীতিমালার লক্ষ্য হল প্রদত্ত নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে অটো  টেক্সটাইল লিঃ এর সকল প্রতিষ্টানে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অভিপ্রায় হল নিরাপত্তায় বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে চুরি,ধ্বংস এবং অন্তর্ঘাত হতে গ্রপের লোকবল, সম্পদ  এবং তথ্যাদি সংরক্ষণে শ্রেষ্টতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্টিত করা। কার্য ধারাটি অটো  টেক্সটাইল লিঃ এর প্রতিটি প্রতিষ্টান ও তার গ্রাহকদের পারস্পরিক বানিজ্যিক স্বার্থে  সর্বাদিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নীতিমালাটি অটো  টেক্সটাইল লিঃ এর প্রতিটি প্রতিষ্টানের গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কে সময়োপযোগী নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধ্যানুযায়ী তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প থাকে। কর্মসূচীটির মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করে যে, অটো  টেক্সটাইল লিঃ এর নিরাপত্তা মান জাতীয় মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করার সাথে সাথে অটো  টেক্সটাইল লিঃ নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্য সকল শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেনতা বৃদ্ধি ও জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করে।টেক্সটাইল লিঃ নিরাপত্তা নীতিমালা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজের পরিপূরক।

নিটওয়্যার লিঃ এর বহিরাগত প্রবেশ সংরক্ষন প্রতিরোধের জন্য নিন্মোক্ত নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়ঃ

  • কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি বহিরাগত প্রবেশ সংরক্ষন নীতিমালা অনুযায়ী  কারখানায় প্রবেশ করতে পারবে না ।
  • জোর বা বলপূর্বক কোন ব্যক্তি কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে সাথে সাথে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন এবং যে কোন মূল্যে তার প্রবেশ প্রতিহত করতে হবে ।
  • প্রয়োজনে বিপদ সংকেত বাজাবেন ।
  • সকল শ্রমিকদের নিজ নিজ হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র চেকিং এর মাধ্যমে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করিবেন।
  • হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র প্রর্দশন ব্যতিত কাউকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না ।
  • শ্রমিক কর্মচারীর বহনকৃত থলে, টিফিন বক্স ইত্যাদি চেক করতে হবে ।
  • আপত্তিকর এবং অবৈধ ক্ষতিকর কোন জিনিষ পাওয়া গেলে তাহা সাবধনতার সহিত জব্দ করে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন ।
  • অপ্রয়জনে কাহারও সাথে ঝগড়া বা তর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

বহিরাগত / ভিজিটর (পরিদর্শক) প্রবেশাধিকার:-

  • গেইটে ভিজিটর (বিদেশী/স্থানীয়) আসিলে, কর্তব্য সিকিউরিটি গার্ড তাকে সরাসরি ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে দিবে না।
  • সিকিউরিটি গার্ড নম্রভাবে ভিজিটরের পরিচয় জানতে চাইবে ও তিনি কার সাথে দেখা করতে চান জানতে চাইবেন বা সন্তোষজনক উত্তর পেলে সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটরকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতির জন্য জি.এম / ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের কাছে খবর পাঠাবেন।
  • জি.এম./ফ্যাক্টরী ম্যানেজার অনুমতি দিলে, সংশ্লিষ্ট রেজিষ্ট্রারে ভিজিটরের তথ্যাবলী (তারিখ, আগমন সময়, নাম, ঠিকানা / অফিসের নাম, সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি, সাক্ষাতের উদ্দেশ্য, ভিজিটর কার্ড নং, ভিজিটরের স্বাক্ষর) লিপিবদ্ধ করিবেন ও ভিজিটরকে ভিজিটর কার্ড দিবেন।
  • যদি একই প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ভিজিটর আসে, তবে তাদের প্রত্যেকের নাম ভিজিটর রেজিষ্ট্রারের আলাদা ঘরে লিখতে হবে এবং প্রত্যেককেই ভিজিটর কার্ড প্রদান করতে হবে।
  • ভিজিটর কার্ড সামনের পকেটে বা অনুরূপ স্থানে এমন ভাবে পরিধান করতে হবে, যেন স্পষ্ট ভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
  • সিকিউরিটি গার্ড নম্রভাবে ভিজিটরের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশী করার কথা বলবেন ও তল্লাশী করবেন। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্ক্যানার দ্বারা স্ক্যান করবেন।
  • অতঃপর একজন সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটরকে সঙ্গে করে সাক্ষাৎকারীর নিকট নিয়া যাবে।
  • ভিজিটর যার সাথে দেখা কতে চান, পারতঃপক্ষে তিনি অফিসে গিয়ে ভিজিটরের সাথে দেখা করবেন। যদি একান্তই ভিজিটরকে ফ্যাক্টরীর ভিতরে নিয়ে আসতে হয়, সেক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি সব সময় ভিজিটরের সঙ্গে থাকবেন।
  • ভিজিটরকে কখনই একা একা অফিসে বা ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঘোরাফেরা করতে দেয়া যাবে না।
  • সাক্ষাৎ শেষে সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি ভিজিটরকে গেইট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসবে।
  • সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার সময় ভিজিটর কার্ড সিকিউরিটি গার্ডের কাছে হস্তান্তর করবেন। সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটর কার্ড নিবেন, ভিজিটর রেজিষ্ট্রারে বাহির হওয়ার সময় লিপিবদ্ধ করবেন ও ভিজিটর রেজিষ্ট্রারে সিকিউরিটি গার্ডের স্বাক্ষর দিবেন।
  • উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ভিজিটরকে অফিসের বা ডিসপ্লেকৃত গার্মেন্টসের বা ডকুমেন্টসের বা ফ্যাক্টরীর বা অন্য কিছুর ছবি তুলতে দেয়া যাবে না।
  • গেটপাশ ব্যতীত ভিজিটরকে কোন কিছু গেটের বাহিরে নিতে দেয়া যাবে না।
  • কোন সিকিউরিটি গার্ড বদলীর সময় নতুন গার্ডকে সঠিকভাবে দায়িত্ব ও ব্রিফিং করতে হবে।
  • সিকিউরিটি অফিসার প্রতিদিন কার্য্যসময় শেষে ভিজিটর চেক করিবেন ও উহাতে মন্তব্যসহ স্বাক্ষর করিবেন।
  • সিকিউরিটি ইনচার্জ প্রত্যেক সপ্তাহান্তে জি.এম / এফ.এম. মহোদয়ের চেক ও স্বাক্ষরের জন্য ভিজিটর রেজিষ্ট্রার তার নিকট দিবেন।
  • ভিজিটর কার্ড নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় বিধায় ভিজিটর কার্ড হারানো অপরাধ। যদি একান্তই হারিয়ে যায় তবে উক্ত ব্যক্তি একটি লিখিত জবানবন্দী দিবেন। সিকিউরিটি ইনচার্জ হারানোর ঘটনা তদন্তপূর্বক হারিয়ে যাওয়া কার্ড নিয়মিত করনের ব্যবস্থা করিবেন।

ক্যারিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান

  • কারখানা প্রতিষ্ঠানের সহিত মালামাল পরিবহন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ থাকতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • মালামাল পরিবহনকারী হিসাবে যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা ও পরিচিতি থাকতে হবে।
  • মালামাল পরিবহনের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হবে।
  • যোগাযোগের জন্য টেলিফোন/মোবাইল থাকতে হবে।
  • সকল ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • সকল ড্রাইভারদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশান চেক করতে হবে।
  • সকল ড্রাইভারদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশান আপডেট করতে হবে।
  • মালামাল পরিবহনকারী গাড়িগুলির ফিটনেস থাকতে হবে।
  • কোম্পানী কর্তৃক নির্দিষ্ট রুট দিয়ে মালামাল পরিবহন করতে হবে।
  • সকল ড্রাইভারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিরাপত্তা তথ্য সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
  • কারখানা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
  • নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্ট আপডেট করতে হবে।
  • নীতিমালা সংক্রান্ত কোন কিছুর পরিবর্তন, পরিবর্ধন হলে কারখানা প্রতিষ্ঠানকে জানাতে হবে।

নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান

  • কারখানা প্রতিষ্ঠানের সহিত চুক্তি থাকতে হবে।
  • নিরাপত্তা রক্ষী সরবরাহকারী হিসাবে যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা ও পরিচিতি থাকতে হবে।
  • ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • যোগাযোগের জন্য টেলিফোন/মোবাইল থাকতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীর পারসোনাল ফাইল থাকতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ভেরিফিকেশান থাকতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম থাকতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীর বেতন ভাতাদি সময় মত পরিশোধ করতে হবে।
  • সকল নিরাপত্তারক্ষীকে ফটোসহ আইডি কার্ড দিতে হবে।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ভেরিফিকেশান আপডেট থাকতে হবে।
  • কারখানা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
  • নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্ট আপডেট করতে হবে।
  • নীতিমালা সংক্রান্ত কোন কিছুর পরিবর্তন, পরিবর্ধন হলে কারখানা প্রতিষ্ঠানকে জানাে
একটি পেন্ট ফ্যাক্টরির জন্য সীল কন্ট্রোল পদ্ধতি কি কি ?

একটি পেন্ট ফ্যাক্টরির জন্য সীল কন্ট্রোল পদ্ধতি কি কি ?

সীল কন্ট্রোল পদ্ধতি

পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে সীল ব্যাবহারের নীতিমালা

গার্মেন্টস লিঃ এর আমদানী এবং রপ্তানীকৃত পণ্যের নিরাপত্তা, ক্রেতাদের নির্দেশনা এবং সর্বোপরি সিটিপ্যাট  বাস্তবায়নের জন্য এম এন্ড জে গ্র“পের সকল কারখানা পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার সীল করার ক্ষেত্রে নিুলিখিত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করবে এবং এ ব্যাপারে কোন ধরণের অসাবধানতা বা অসতর্কতা মোটেও কাম্য নয়।

সীল কন্ট্রোল পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্র

  • আমদানী এবং রপ্তানী উভয় ক্ষেত্রে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে অবশ্যই নিরাপত্তা সীল ব্যবহার করতে হবে।
  • নিরাপত্তা সীলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের মনোগ্রামের জলছাপ সহ এবং ছাপাকৃত কাগজ ব্যবহার করতে হবে।
  • নির্ধারিত কাগজ ছাড়া অন্য কোন কাগজের মোড়ক দ্বারা কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার সীল করা যাবে না।
  • নিরাপত্তা সীলের জন্য ব্যবহৃত কাগজ সম্পূর্ণ ত্র“টি মুক্ত (যেমন – ছেড়া, ময়লা, ঝাপসা ছাপা ইত্যাদি) থাকতে হবে।
  • সীল করার জন্য ব্যবহৃত কাগজ অবশ্যই কাগজের মধ্যে ছাপাকৃত নম্বর ক্রমানুসারে ব্যবহার করতে হবে।
  • সীল করার পর সীলকৃত তালাটি বৃষ্টি/কাদা/পানি হতে রক্ষার্থে একটি টাল সীট দ্বারা আবৃত থাকতে হবে।
  • আমদানী অথবা রপ্তানী উভয় ক্ষেত্রে ষ্টোর ও সিকিউরিটি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং চালকের উপস্থিতিতে কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার সীল করা/সীল খুলতে হবে।
  • আমদানীর ক্ষেত্রে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার-এর সীল খোলার পূর্বে তালাটি ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
  • পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার-এর সীলকৃত তালা খোলার পূর্বে/পরে সামান্যতম ত্র“টি বা অসামঞ্জ্যস্য বা কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে সঙ্গে সঙ্গে তা উর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
  • মনোগ্রাম যুক্ত ও স্বাক্ষর করা সীলের কাগজ কঠোর নিরাপত্তার সহিত সংরক্ষণ করতে হবে যাতে চুরি/হারানো না যায়।
  • সীলের কাগজ ইস্যুর সময় অবশ্যই গ্রহনকারীর নাম, স্বাক্ষর এবং পরিমান একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে।
  • নীটওয়্যার লিঃ এ আমদানী এবং রপ্তানী পণ্যের সুষ্ঠ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্রেতার নির্দেশনা অনুযায়ী রপ্তানী পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের উদ্দেশ্যে সকল কারখানার পন্যবাহী কর্ভাড ভ্যান এবং কন্টেইনার সীল করার ক্ষেত্রে সীল কন্ট্রোল পদ্ধতি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
  • সকল কারখানায় সীল কন্ট্রোল নামে একটি সংরক্ষন করা হয়। ফ্যাক্টরী থেকে সকল পন্যবাহী সীল করার পর তাহার বিস্তারিত বিবরণ উক্ত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  • সীল কন্ট্রোল  এর মাধ্যমে চেকলিষ্ট অনুযায়ী  করার পর পন্য কর্ভাডভ্যান এবং কন্টেইনার করা হবে।
  • রপ্তানী ক্ষেত্রে পন্যবাহী কর্ভাড ভ্যান এবং কন্টেইনার নিরাপত্তা সীল ব্যবহার করা হয় এবং যার মধ্যে সীলগালা সহ নাম্বার থাকতে হবে।
  • কর্ভাড ভ্যান এবং কন্টেইনার সীল করার জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত নামসহ ধাতব সীল ব্যবহার করা হয়। উক্ত রিপোর্টে কারখানার এর স্বাক্ষরসহ তারিখ লেখা থাকতে হবে।
  • সকল পন্যবাহী কভার্ডভ্যান উক্ত সীল অবস্থায় সি.এন্ডএফ এজেন্টের নিকট Sea Port  বা Air Port এ পাঠানো হয়।  Knit Textiles Ltd এর   Logistic Service এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই সীল গালা নিশ্চিত করিবেন।
  • আমদানী পন্য  Sea Port, স্থল বন্দর, অথবা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক সীল অবস্থায় ঝSecurity, Store, Admin Personal উপস্থিত থেকে Unloading করা হয়। সীল খোলা বা ভাঙ্গা পাওয়া গেলে তা কারখানার জি.এম/এভিপি/পিএম-কে জানানো হয় এবং পরবর্তীতেCommercial Department  প্রয়োজনীয়  ব্যবস্থা নেয়। সি এন্ড এফ এজেন্টের নিকট Shipment মালের প্রয়োজনীয় Document পাঠানো হয় এবং কারখানার Loading Monitoring Register লিপিবদ্ধ করা হয়।    রাস্তায় কোন প্রকার সমস্যা হলে ড্রাইভার তাহা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে এবং তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া প্রত্যেক Shipment কর্ভাড ভ্যানের Driver কে জড়ধফ গধঢ় দেয়া হয় এবং সকল ড্রাইভারের সাথে মোবাইল কোন থাকে যাতে সার্বক্ষনিকভাবে তার সাথে সংশ্লিষ্ট সেকশন যোগাযোগ রক্ষা করেন।

আমদানীর ক্ষেত্রে ঃ

  • পন্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার সীল করার জন্য ছাপাকৃত কাগজে অবশ্যই কারখানা মহাব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • সি এন্ড এফ এজেন্টের নিকট একজন বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে সীল করার জন্য ছাপাকৃত কাগজ উক্ত কাগজে প্রদত্ত নম্বরের ক্রমানুশারে পাঠিয়ে দিতে হবে।
  • সি এন্ড এফ এজেন্টকে সরবরাহকৃত কাগজের ক্রমিক নম্বর, পরিমাণ এবং পাঠানোর তারিখের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

রপ্তানীর ক্ষেত্রে ঃ

  • পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার সীল করার জন্য নির্ধারিত কাগজ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে ।
তীক্ষ  যন্ত্রপাতি Sharp Tools ব্যবহার নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

তীক্ষ যন্ত্রপাতি Sharp Tools ব্যবহার নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

তীক্ষ  যন্ত্রপাতি ব্যবহার নীতিমালা

ভূমিকা:

তীক্ষ যন্ত্রপাতি Sharp Tools ব্যবহার নীতিমালা বর্ণনা – অটো  সর্বপ্রথম তাহার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করেন। অটো  বিশ্বাস বরেন কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে সেখানে উৎপাদনও আশানুরূপ বৃদ্ধি পাবে। সেই ক্ষেত্রে অটো  তাহার কর্ম পরিবেশে ধারালো বস্তু ব্যবহারের লক্ষ্যে কিছু সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন যাহা নিুরূপ। Read in English

উদ্দেশ্য:

প্রতি লাইনের সুপাভাইজার/লাইনচীপ এর দায়িত্ব যথাযথ চালানের মাধ্যমে সিজার ও কাটার ষ্টোর থেকে উত্তোলন করে এবং রেজিষ্টারের মাধ্যমে এন্ট্রি করা পূর্বক শ্রমিকদের নাম লিখা ও বাধা অবস্থায় শ্রমিকদের প্রদান করবেন। ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন তীক্ষ যন্ত্রপাতি সমুহ প্রোডাকশনের জন্য যেমন প্রয়োজনীয় একইভাবে এ সকল যন্ত্রের তীক্ষèতার জন্য এগুলোর ব্যবহার অনেকাংশেই ঝুঁিকপূর্ণ। ফ্যাক্টরীতে ব্যবহৃত এ সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন যেমন অপরিহার্য তেমন এ সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে  পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট  এর ব্যবহার আবশ্যকীয়। অত্র ফ্যাক্টরীতে ব্যবহৃত তীক্ষè যন্ত্রপাতির হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে নি¤œ লিখিত কর্ম পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।

তীক্ষ যন্ত্রপাতির পরিচিতি ঃ-

০১। সীজার  ০২। কাটার ০৩। ভোমর ০৪। নাইফ ( ফেব্রিক্স কাটিং) ০৫।  ক্লাম্প  ০৬। বেল্ট ০৭। নিডেল ০৮। ইত্যাদি।

দূঘর্টনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ঃ-

০১। প্রশিক্ষণ ঃ- ফ্যাক্টরীতে কর্মরত যে সকল শ্রমিক এবং কর্মচারী তীক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে তাদেরকে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পদ্বতি এবং সতর্কতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন যোগদানকৃত শ্রমিক কর্মচারী এবং পূরোনো শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ঃ-

  • তীক্ষè যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় দূঘর্টনা এড়ানোর জন্য আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে নি¤œলিখিত কর্মপদ্বতি অনুসরন করতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীর কাটিং সেকশনের হ্যান্ড কাটিং মেশিনের  সাথে সংশ্লিষ্ট কার্টার ম্যানকে যথাযথ মাপের ধাতব গ্লাভস সরবরাহ করতে হবে এবং কাজের সময় এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে যাতে কাটিং মেশিনের নাইফ ও বেল্ট দ্বারা কোন দূর্ঘটনা না হয়।
  • কর্মকালীন ব্যবহৃত সীজার, কার্টার এবং ভোমর অবশ্যই যথাযথ মাপের ফিতা / রশি দিয়ে বেধে রাখতে হবে যাতে এগুলো অসাবধানতা বশতঃ পড়ে গিয়ে দূঘর্টনা সৃষ্টি করতে না পারে।
  • কাটিং এ ফেব্রিক্স ক্লাম্পিং করার  সময় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে যাতে দূঘটনা না হয়। ।
  • সুইং মেশিনে কাজ করার সময় অবশ্যই নিডেল গার্ড এবং আই গার্ড ব্যবহার করতে হবে। কোন নিডেল ভেঙ্গে গেলে তৎক্ষনিক ভাংগা অংশ গুলো ষ্টোরে জমা দিয়ে নতুন নিডেল সংগ্রহ করতে হবে। নিডেলের কোন অংশ খুজে না পাওয়া গেলে নিডেল সার্চিং চৌম্বক ক্ষেত্র দিয়ে ভাল ভাবে চেক করতে হবে। চেকিং এ নিডেল সনাক্ত করতে ব্যর্থ হলে উক্ত গার্মেন্টসটি  মেটাল ডিটেকটর মেশিন দিয়ে  চেক করতে হবে , নিডেল পাওয়া না গেলে  রিজেক্ট বিন -এ  সংরক্ষন করতে হবে এবং পরে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

মেটাল ডিটেক্টর চেকিং ঃ-

ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত সকল গার্মেন্টস  প্যাকিং এর পূর্বে মেটাল ডিটেক্টর মেশিনের সাহায্যে চেকিং নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য যে কোন তীক্ষè যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা শতভাগ অবলম্বন করতে হবে।

যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নীতিমালা

ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রাথমিক দায়িত্ব। গ্রুপ বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেকে সচেতন থাকলেই দলগত কিংবা সমষ্টিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। একজন শ্রমিক যতক্ষণ ইউনিট/ফ্লোরে থাকে,ততক্ষণ কোন না কোন মেশিনেরসাথে সম্পৃক্ত থাকে। তাই মেশিন সংক্রান্ত যে যে নির্দেশ পালন করতে হবে তা নি¤েœ উল্লেখ করা হলঃ

  • কাঁচি কিংবা কাটার রশি দিয়ে এমনভাবে বেঁধে রাখতে হবে যাতে পড়ে গেলে কোনভাবেই আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
  • বাটন মেশিনের বেল্ট কভার না থাকলে মেশিন চালানো যাবে না।
  • যে সমন্ত মেশিন প্যাডেলের সাথে চেইন দ্বারা সংযোগ থাকে, সেই সমস্ত মেশিন চেইনের পরিবর্তে  সুতা, তার কিংবা রশি দ্বারা সংযোগ করে চালানো যাবে না।
  • প্যাডেল কিংবা ষ্ট্যান্ডের মধ্যে অপারেটারে শরীরের অংশ ক্ষতি হতে পারে এমন কোন ধারালো অবস্থা থাকবে না।
  • মেশিন চালানোর সময় মেশিন কাঁপলে কিংবা অস্বাভাবিক কোন শব্দ হলে মেশিন চালানো যাবে না।
  • মেশিন চলাকালীন সময়ে কারও সাথে কথা বলা যাবে না।
  • অসুস্থ্য শরীরে কিংবা তন্দ্রা বা ঝিমুনী আসলে মেশিন চালানো যাবে না।
  • স্ন্যাপ বাটন মেশিনে প্রতি চাপের সময় আঙ্গুল নিরাপদ স্থানে আছে কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • স্ন্যাপ বাটন মেশিনে রিপিট বা ¯œ্যাপের নীচের পার্ট দেওয়ার আগে উপরের পার্ট  মোল্ডে নিতে হবে।
  • মেশিন চালানোর সময় শাড়ী, ওড়না, সেলোয়ার কামিজ যাতে মেশিনের ঘূর্ণায়মান অংশের সাথে জড়িয়ে না যায় সেদিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • কাজ কারার সময় চুল খোপা বা বেনী বেঁধে কাজ করতে হবে। চুল খোলা অবস্থায় কাজ করা যাবে না।
  • বাটন হোল, বাটন ষ্টীচ, ওভার লক, বারটেক মেশিনে সেফটি গ্লাস (ঝধভঃু এষধংং) থাকতে হবে অথবা গগল্স  (এড়মমষবং) ব্যবহার করতে হবে।
  • ওভারলক মেশিনের অপারেটারকে অবশ্যই মুখোশ (গধংশ) পরিধান করতে হবে।
  • সকল সুইং প্লেইন মেশিনে নিড্ল সেফটি গাইড (ঘববফষব ঝধভঃু এঁরফব) থাকতে হবে।
  • সকল সুইং ওভার লক /  ফ্লাট লক মেশিনে সেফটি গ্লাস (ঝধভঃু এষধংং) থাকতে হবে।
  • কাটিং মেশিনে কাজ করতে হলে সর্বদা ষ্টীল হ্যান্ড গ্লাভস (ঐধহফ এষড়াবং) পরতে হবে।
  • কাটিং মেশিনের বেস প্লেট (ইধংব চষধঃব) মসৃন থাকতে হবে।

স্ক্র-ড্রাইভার/প্লাস ব্যবহার নীতি:– অটো  এর সকল ইউনিটের ইলেকট্রিশিয়ান/মেইনটেনেন্স শাখায় এই মর্মে অবহিত করা রয়েছে যে, ইলেকট্রিশিয়ান ও মেইনটেইনেন্স কর্মীরা ফ্লোরের মধ্যে চলাচলের জন্য অবশ্যই স্ক্র ড্রাইভার, প্লাস এবং ধারালো কোন ব্লেড অবশ্যই রাবারের ব্যাগের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে ফ্লোরে চলাচল করতে হবে। সেই লক্ষ্যে যথাযথ রাবার ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে।

সিজার/কাটার ব্যবহার নীতি: অটো  এর সকল শ্রমিকদের সিজার ও কাটার তাদের স্ব স্ব মেশিনের সহিত বাধা অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং সিজার ও কাটারের উপর ব্যবহারকারী শ্রমিকের নাম লিখা রয়েছে। অটো  শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন যেন এক শ্রমিকের ব্যবহৃত সিজার ও কাটার অন্য কোন শ্রমিক ব্যবহার করতে না পারে এবং উক্ত সিজার ও কাটার নিয়ে অবাধে যেন শ্রমিকরা ফ্লোরে চলাচল করতে না পারেন।

কাটার মেশিনের ব্লেড : গার্মেন্টস সেক্টর গুলিতে ধারালো বস্তু হিসাবে কাটার মেশিনের ব্লেড (ঝযধৎঢ়) কে প্রাধান্য বেশী দেওয়া হয়। আর সেই জন্যই কাটার মেশিনের ব্লেড (ঝযধৎঢ়) ব্যবহার নীতিমালার ক্ষেত্রে অটো  সক্রিয় ভূমিকা পালন  করেছে। কাটার মেশিনের ব্লেড  যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় সেই ব্লেডটির ক্ষেত্রে অবশ্যই কাগজ/কাপড় দিয়ে ভালভাবে মুড়িয়ে যেন কেউ আঘাত প্রাপ্ত না হয় সেই ভাবে হয়ষ্টোরে জমা দিতে হবে এবং ষ্টোর পরিবর্তীতে ব্লেডটি যথাযথ ভাবে কসটেপ েিদয় রেজিষ্টারে আটকিয়ে রেখে নতুন ব্লেড (ঝযধৎঢ়) ইস্যু করবেন। ইস্যুকৃত নতুন ব্লেডটি পুনরায় কাগজ/কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে সাবধানতার সহিত সেকশনে নিয়ে যেতে হবে এবং কাটার মেশিনে লাগাতে হবে। অটো  কাটার মেশিনের ব্লেড (ঝযধৎঢ়) যত্রতত্রভাবে ব্যবহার না করার উদ্দেশ্যে এই নীতি অনুসরন করেন। এ্যাডমিন শাখা প্রতি মাসের শেষে ষ্টোরে পুরাতন ব্লেড এবং ইস্যুকৃত নতুন ব্লেডের সামানঞ্জস্য নিয়ে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দাখিল করেন। কাটার মেশিনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মেইনটেনেন্স শাখাকে অবহিত করিতে হইবে। যে কোন ধারালো বস্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে অটো  গ্র“প ১০০% সতর্কতা অবলম্বন করেন।

নিরাপত্তা বিভাগের পেট্রল ডিউটি পলিসি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা বিভাগের পেট্রল ডিউটি পলিসি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা বিভাগের পেট্রল ডিউটি পলিসি

কারখানার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পেট্রল ডিউটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারখানার জানমালের নিরাপত্তার জন্য দ্বায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীগণ পালাক্রমে কারখানার ভিতর ও বাহিরের দিকে চারপাশে এবং স্পর্শকাতর এলাকায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিদর্শন করবে -এটাই পেট্রল ডিউটি নামে পরিচিত। ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে প্রত্যেকটি শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দদের কে সিকিউরিটি  গার্ডকে তাদের নিজ নিজ পরিচয় পত্র দেখাতে হবে । ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে কিছু বহন করে আনা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ । পুরুষ ও মহিলা গার্ড দ্বারা স্ত্রী-পুরুষ বিভেদে  সন্ধেহভাজনদের  প্রয়োজনে দেহ তলাশী কার্যকর হবে ।

একজন দুকৃতিকারী তার জীবনের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রেখে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য একটি  নির্দিষ্ট সময় বেছে নেয়। তার মধ্যে রাতের বেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অটো লিঃ নিরাপত্তা প্রহরীদের পেট্রল ডিউটির ব্যাপারে একটি পলিসি প্রনয়ন করিয়াছেন:

  • কারখানার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি সুপারভাইজার পেট্রল ডিউটির দ্বায়িত্বে থাকবেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সকল নিরাপত্তা পোস্ট, কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বায়িত্ব পালন, কারখানার ভেতর ও বাহিরের চারদিকে পরিভ্রমণ করবেন। প্রয়োজনে তিনি একদল নিরাপত্তা কর্মী বা কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মধ্যে কাউকে সাথে নিতে পারবেন।
  • পেট্রল ডিউটির তথ্য সম্পূর্ণরুপে গোপন থাকবে। কোনভাবেই তা আগাম কারো নিকট প্রকাশ করা যাবে না।
  • পেট্রল ডিউটিতে নিয়োজিত সুপারভাইজার প্রয়োজন মনে করলে কারখানার ফ্লোরে অকষ্মাৎ পরিদর্শনে যেতে পারবেন পেট্রল ডিউটির তথ্য রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

কোম্পানী কর্তৃক ভাড়াকৃত সকল যানবাহনকে ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটকের বাহিরে পার্কিং রাখতে হবে । কেবলমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে গেইট পাশ ইস্যু পরবর্তী নির্দিষ্ট যানবাহনটি ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে । সিকিউরিটি গার্ডগণ প্রতিটি বাসের আগমন ও র্নিগমনের সময় সুচী লিখিত আকারে রেকর্ড রাখবে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগকে তা অবহিত করবে । সিকিউরিটি গার্ডদের কে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, বিক্রয়োওর বর্জ্য পদার্থ ফ্যাক্টরী হতে বের করার প্রাক্কালে বর্জ্য নয় অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই যেন বের না হয় এবং যা কিছুই বের হয় তা যেন লিখিত চালানের সাথে সর্ম্পন্ন রূপে সাম্্ঞ্জস্য পুণর্  থাকে ।

কর্ম পরিবেশ নীতিমালা ঃ

(ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ

১. প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে ।
২. মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং পালাক্রমে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়োজিত থাকবে।
৩. নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করতে হবে ।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ।
(খ) বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ

১. কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা থাকতে হবে যাতে প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. কর্মস্থানে অতি তাপ: কর্মক্ষেত্রে এক্সষ্ট ফ্যান লাগাতে হবে
(গ) ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ

১. ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করতে হবে ।
২. ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
(ঘ) খাবার পানি / পান করার পানি ঃ

১. শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসাতে হবে।
২. বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
৩. প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে ।
(ঙ) বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ
১. নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে ।
২. কারখানাটিতে অত্যান্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।
(চ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১. কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
৩. কর্মস্থানে আলোস্বল্পতা: কর্মস্থানে যথেষ্টভাবে আলোকিত করতে হবে যেমন: সেলাই কর্মস্থান: > ৫০০ লাক্স, কাটিং কর্মস্থান: > ৭০০ লাক্স, ইন্সপেকশন এলাকা: > ১০০০ লাক্স। কর্মস্থলে আলো বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ছ) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ

১. কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৩. প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করতে হবে এবং তা রেকর্ডকৃত করতে হবে ।
(জ) আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ
১. কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(ঝ) প্রশিক্ষণ ঃ
২. কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

 

 

একটি পোশাক কারখানার ভিজিটর পলিসি বর্ণনা

একটি পোশাক কারখানার ভিজিটর পলিসি বর্ণনা

ভিজিটর পলিসি

অটো  লিঃ কারখানায় আগত ভিজিটদের কন্ট্রোল এর নিমিত্তে একটি ভিজিটর পলিসি গ্রহণ করেছে। যাহা প্রতিষ্ঠানের নিজ্বস্ব অবকাঠামোর ভিত্তিতে শ্রম আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ এবং আভ্যন্তরীন নীতি মালার পরিপন্থি নয় -এর ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। নিম্নে প্রতিটি ধাপ কঠোর ভাবে অনুসরন করার জন্য সিকিউরিটি বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  …

  • ভিজিটর  আসলে  প্রথমে  রেজিষ্টারে  নাম, ঠিকানা ,পরিদর্শনের কারণ ইত্যাদি লিখে  ভিজিটর পাস দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
  • ভিজিটরের প্রতি কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে তাহাকে পাহারা দিয়ে কাঙ্খিত ব্যক্তির নিকট নিয়ে আসা হয়।
  • ভিজিটরের সাথে আনা কোন অবৈধ জিনিস পত্র থাকলে তাহা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
  • ভিজিটরের সাথে কোন ব্যাগ থাকলে অথবা সন্দেহ হলে চেক করা হয় এবং প্রয়োজনে ভিজিটরের সঙ্গে  জিনিসপত্র রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয় ।
  • ভিজিটর কে ? যিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের সহিত চাকুরীর শর্তে আবদ্ধ নহেন তিনিই ভিজিটর।
  • প্রতিজন ভিজিটরকে অবশ্যই প্রবেশ পথে সিকিউরিটির নিকট পরিচয় পেশ করিতে হইবে।
  • ভিজিটর যাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন তাহার অনুমতি সাপেক্ষে সিকিউরিটির নিকট রক্ষিত ভিজিটর খাতায় স্বাক্ষরপূর্বক ভিজিটর কার্ড সংগ্রহ করে প্রবেশ করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকবে যে, নিরাপত্তার নীতিমালা সমূহ বহাল থাকিবে।
  • ভিজিটরদেরকে কারখানায় অবস্থাালীন অবশ্যই নির্দিষ্ট রংয়ের ভিজিটর আইডি কার্ড বুকে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করতে হবে।
  • সিকিউরিটি বিভাগ অবশ্যই লক্ষ্য রাখিবে যে, ভিজিটর-এর সাথে কি কি লাগেজ রহিয়াছে।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী  সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে হলে নাম, পাস নং, প্রবেশ, বাহির সময় ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়া  প্রবেশ করা হয়।
  • ভিজিটরদের কোন বাহন থাকলে তাহার নাম্বার রেজিষ্টারে লিপিবন্ধ করা হয় ।
  • ভিজিটরের কাছে তাহাদের কোম্পানী  কর্তৃক  প্রদত্ত কোন আই ডি বেজ আছে কিনা  তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
  • লাগেজ সমূহ কি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের সাথে জড়িত ? যদি জড়িত হয় তবে সিকিউরিটি পারসোনেল সাথে যাবেন এবং যাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন তাহার নিকট পৌছে দিয়ে আসবেন। মনে রাখতে হবে ভিজিটর যতক্ষন কারখানায় অবস্থান করবেন তাহার সাথে প্রতিষ্ঠানের কোন না কোন ডেজিগনেটেড পারসোনেল অবস্থান করবেন।
  • যদি ভিজিটরের ব্যাগ বা লাগেজসমূহ প্রয়োজনীয় না হয় তাহলে তা সিকিউরিটি গেইটে জমা রেখে ভিতরে যাবেন।
  • প্রবেশ পথের বাহিরের দেয়ালে নিরাপত্তার যে সকল নির্দেশনাবলী লিখিতভাবে উল্লেখ করা আছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
  • এক জন ভিজিটর প্রবেশের পর এবং তাহার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর ভিজিটর খাতায় স্বাক্ষর নিশ্চিত করিবেন।
  • ভিজিটর যতই পরিচিত হউন না কেন ভিজিটর খাতায় তাহার স্বাক্ষর নিশ্চিত করিবেন, যেখানে ষ্পষ্ট প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় উল্লেখ থাকিবে।
  • ভিজিটর -এর সাথে যদি গাড়ী থাকে সে ক্ষেত্রে প্রবেশ পথের বাহিরে ভিজিটর গাড়ী ত্যাগ করিবেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাহাকে বহন করা গাড়ীটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পাকিং-এ অবস্থান করিবে।
  • পার্র্কিং সিকিউরিটি অফিসার ড্রাইভার ও গাড়ীর প্রতি নজর রাখিবেন।
  • দায়িত্বরত সিকিউরিটি অফিসারকে মনে রাখতে হবে যে, নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে পরিচিত ভিজিটর কর্তৃক। কারন একজন অপরিচিত ভিজিটর-এর কারখানার আভ্যন্তরীন অবকাঠামো সম্পর্কে ধারনা নাও থাকতে পারে।
  • কোন রকম পূর্বনুমতি ছাড়া কোন ভিজিটর কারখানায় কোনভাবেই প্রবেশ করতে পারে না।
  • ভিজিটর পাস, এমন জায়গায় লাগাতে  হবে যেন সেটা সহজেই চোখে পড়ে।
  • ভিজিটর লগ বুকে আসার সময়, যাওয়ার সময়, ও কারণ ইত্যাদি লিপিবন্ধ করা হয়।
  • নির্দিষ্ট স্থান ব্যতিত কোন পূর্বানুমিত ছাড়া ,কোন ভিজিটর  অন্য কোন জায়গায় বা সংরক্ষিত স্থানে যাতায়ত রতে পারে না এবং  ভিজিটর পাস নং রেজিষ্টারে এন্ট্রি করা হয়।
  • ভিজিটর যতক্ষণ পর্যন্ত পরিদর্শনে থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত ভিজিটর পাস লাগানো  থাকে।
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও সিটিপ্যাট C-TPAT বিস্তারিত বর্ণনা

নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও সিটিপ্যাট C-TPAT বিস্তারিত বর্ণনা

নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও সিটিপ্যাট

নিরাপত্তাঃ

অটো গ্র“প এর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা তথা সিটি প্যাট  ব্যবস্থার কার্যকারীতার মাধ্যমে অননুমোদিত ব্যক্তিবর্গের প্রবেশ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদির নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। নির্ধারিত সিকিউরিটি অফিসারের নেতৃত্বে ২৪ ঘন্টা সময়কাল অটো গ্র“পের নিরাপত্তা সচল রাখা হয়। নিম্নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালাগুলো প্রদান করা হলঃ

  • একজন অফিসার ইনচার্জ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
  • নিরাপত্তা কর্মকর্তার অধীনে প্রয়োজনীয় গার্ড কমান্ডারের নেতৃত্বে নিরাপত্তা কর্মীরা কর্তব্য পালন করে।
  • ফ্যাক্টরীর প্রবেশ বাহির থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে।
  • গার্ড কমান্ডারের এবং সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টহল দল প্রতিরাতে অটো গ্র“পের বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তা কর্তব্য পরিদর্শন করে।
  • মেইন গেইটে অনাকাংখিত ব্যক্তিবর্গের প্রবেশ বন্ধ করা তথা বিভিন্ন আগন্তুক এর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ কল্পে দর্শনার্থি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয়।
  • বিভিন্ন সময় ফ্যাক্টরী থেকে ঝযরঢ়সবহঃ এর মালামাল বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় গেইটপাশ এবং চালান চেক করা হয় ও নথিভুক্ত করা হয়।
  • ফ্যাক্টরীর নিয়ম অনুসারে নিরাপত্তা প্রহরীদের বেতন-ভাতা ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি দেয়া হয়।
  • কোন নিরাপত্তা কর্মী শৃংখলা বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হলে তাকে ফ্যাক্টরীর আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয় এবং তাদের প্রহরা দেওয়ার স্থান পরিবর্তন করা হয়।
  • কেবলমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে ঢুকতে দেওয়া হয়।

সি-টি প্যাটঃ

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বুরে‌্যার একটি সংস্থা যারা শুল্ক এবং সীমানার নিরাপত্তা রক্ষার্থে পৃথিবী জুড়ে সরবরাহ পদ্ধতিকে সন্ত্রাসী তৎপরতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য ঈ-ঞ চঅঞ ব্যবস্থাকে কার্যকরী করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অটো গ্র“প সম্প্রতি এই নীতিমালার আওতায় আসার পদক্ষেপ নিয়েছে। নীচে এই নীতিমালার বিশেষ দিক গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বেষ্টনি সংক্রান্ত নিরাপত্তা। প্রতিটি বেষ্টনি মজবুতভাবে নির্মান করতে হবে যাতে সন্ত্রাসী তৎপরতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এর জন্য নিম্ন বর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবেঃ

  • ভেতর,বাহির হওয়ার দরজা জানালায় তালা চাবির ব্যবস্থা করা।
  • অধিক গুরুত্বপূর্ণ, বিপদজনক সামগ্রী এবং অন্যান্য সামগ্রীগুলোকে আলাদা করতে হবে এবং চিহ্নিত করা। গ। পার্কিং এলাকার ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা।
  • ব্যক্তিগত গাড়ী এবং মালামাল বহন কারী গাড়ীর জন্য আলাদা পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকা।
  • কোন নিরাপত্তা বর্হিভূত ঘটনা ঘটলে তৎক্ষনাৎ স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে জানানো জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা।

প্রবেশ নিয়ন্ত্রণঃ

  • সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, পরিদর্শক এবং মালিকদের চিহ্নিত করতে হবে।
  • অনঅনুমোদিত ব্যক্তিবর্গকে চ্যালেঞ্জ করার পদ্ধতি থাকতে হবে।

পদ্ধতিগত নিরাপত্তাঃ

  • একজন নির্ধারিত নিরাপত্তা অফিসার থাকবে মালামাল ভিতরে ঢুকানো এবং বাহির করার দায়িত্বে।
  • সঠিকভাবে মালামাল চিহ্নিত করন, গননা ও ওজন করতে হবে লিষ্ট অনুযায়ী।
  • কনটেইনার এর সীল যাচাই করার পদ্ধতি থাকতে হবে।
  • মালামাল কম অথবা বেশী হলে তা চিহ্নিত করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে।
  • প্যাকিং এবং লোডিং এলাকায় কেবল মাত্র বিশেষ পোষাক পরিহিত অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গকে কাজ করার অনুমতি দিতে হবে।

জনবলের নিরাপত্তা। সঠিকভাবে এবং বিস্তারিত ভাবে সাক্ষাতকারের মাধ্যমে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নিয়োগের আবেদনপত্রের মাধ্যমে সকলের পূর্ব পরিচিতি যাচাই করতে হবে।

শিক্ষা এবং প্রশিক্ষন। একটি নিরাপত্তা মূলক প্রশিক্ষন সূচী তৈরী করতে হবে এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে    ঈ-ঞ চঅঞ সংক্রান্ত সকল নিয়মনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। অটো গ্র“পের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে কার্যকরী করার জন্য ঈ-ঞচঅঞ এর নীতিমালা সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে।