Select Page

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা

কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি থাকবে। কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ, পরিপূর্ণ, গঠনমূলক ও বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হল। পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে ।পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে । …

নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে :-

অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশকে সুন্দর ও সুশৃক্ষল রাখতে বদ্ধপরিকর।কারখানার অভ্যন্তরে দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ যাতে ঝূঁকিমুক্ত ও সাবলীল থাকে তার নিমিত্তে একটি আদর্শ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

০১. আমরা পরিবেশ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট নীতিমালা এবং আইন কানুন প্রয়োগ নিশ্চিত করি ;
০২. প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি ব্যবহার এবং বর্জ্য নির্গমনের ক্ষেত্রে পরিবেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকি ;
০৩. উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক কর্মচারী, সরবরাহকারী এবং অংশীদারদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করি ;
০৪. পরিবেশ দূষন প্রতিরোধে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ;
আমরা বর্জ্য পদার্থ পুন:প্রক্রিয়াকরনকে উৎসাহিত করি এবং পরিবেশ দূষন করে এমন পদার্থ ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করি ;
আমরা পরিবেশগত কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষন ও উন্নয়নের ব্যবস্থা করি ।

১।    পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির কাঠামো

এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান তার কর্মীদের দ্বারা এই আদর্শ কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়ন করে থাকেন।এই জন্য এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রত্যেক ব্যক্তিই দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন।

ক)   কমিটি কাঠামো হবে নিুরূপ

১.    সভাপতি                ০১ জন

২.    সম্পাদক                ০১ জন

৩.    সমন্বয়কারী              ০১ জন

৪.    প্রশিক্ষক                ০২ জন

৫.    কার্যকরী সদস্য

  • ইলেকট্রিকেল টিম ।
  • সিকিউরিটি ইনচার্জ।
  • মেইন্টেনেন্স দল।
  • নার্স/ফিজিশিয়ান।
  • ফায়ার সেফটি অফিসার।
  • স্টোর ইনচার্জ।
  • শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্য।

খ)  সর্বমোট ০৫ (পাঁচ) জন কর্মকর্তা পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রত্যেক মাসে এইচ.আর.কমপ্লায়েন্স ও এডমিন বিভাগের সম্বন্বয়ে একটি অডীট বা নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই নিরীক্ষন শেষে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়। 

গ) কারখানার জিএম (এডমিন) পদাধিকার বলে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি এর দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবেন। সহঃ ম্যানেজার (এইচ আর এন্ড কমঃ) কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন এবং কমপ্লাায়েন্স অফিসার এবং ওয়েলফেয়ার অফিসার কমিটির সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ঘ) অন্যান্য উল্লেখিত সেকশনের সদস্যবৃন্দ এবং শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্যগন কমিটির কার্যকরী সদস্য পদে নিযুক্ত থাকবেন

ঙ) পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি নিজ ক্ষমতাবলে, কমিটির কার্যক্রম অধিকতর বেগবান, গঠনমূলক ও সচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটির কাঠামোতে যে কোন পরিবর্তন বা যে কোন পদের রদবদল করতে পারবেন।

২।    প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ শ্রমিকদের কর্ম এলাকা পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে নিুলিখিত বিষয় সমুহ যথাযোগ্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।

ক)   সভাপতি ঃ

সভাপতি এই কমিটির বাজেট প্রদান করার ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের যে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি বিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব আইনানুগ সমাধান করবেন।

খ)   সম্পাদক ঃ

শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই তার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তার আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সমন্বয়কারী এবং সদস্যদের নিকট হতে প্রাপ্ত যেকোন সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। সমন্বয়কারী যেকোন সময় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন।

গ)   সমন্বয়কারী ঃ

সমন্বয়কারী বিভিন্ন সদস্য সেফটি টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সাথে সার্বক্ষনিক ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য সমন্বয় এবং আদান প্রদান করবেন। প্রতিমাসে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন।

 

ঘ)   প্রশিক্ষক ঃ

প্রশিক্ষন দল প্রতি মাসে একবার সকল ঊঐঝ সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরন এবং নামের তালিকাসহ প্রশিক্ষন করাবেন।

ঙ)   সদস্যদের দায়িত্ব ঃ

প্রত্যেক সপ্তাহান্তে এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার/পর্যবেক্ষকের কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণ অঞ্চলও পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর দ্বারা কর্মপরিবেশে নিরীক্ষণের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। কমিটির প্রতিটি সদস্য তার নিজনিজ কর্ম এলাকার পেশাগত ঝুকি নিরুপন করবেন। কোন শ্রমিক পেশাগত ব্যাধি বা ব্যাক্তিগত সমস্যায় আক্রান্ত হলে তা সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। প্রতিটি সদস্য ফ্যাক্টরীর ঝুকিপূর্ন স্থান সমূহ চিহ্নিত করে কমিটির সমন্বয়কারী অথবা সরাসরি ঊঐঝ সভাপতিকে রিপোর্ট প্রদান করবেন। ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকদের পানি, শব্দ, বায়ু দূষন সর্ম্পকে সচেতন করবেন।

৩।   পবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভা ঃ পরস্পর মত বিনিময়, গঠনমূলক আলোচনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক যে কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।

ক)   মাসিক সাধারণ সভা ঃ প্রতি মাসে একবার পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির সমন্বয়কারী সভার জন্য নির্ধারিত দিনের অন্তঃত ০৩ (তিন) দিন আগে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে ত্রৈমাসিক সভা আহবান করবেন।

খ)   বিশেষ সভা ঃ কোন বিশেষ প্রয়োজনে কিংবা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পুর্বে কমিটির সভাপতি/সম্পাদক/ সমšা^য়ক তাৎক্ষণিকভাবে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে বিশেষ সভা আহবান করতে পারেন।

৪।  দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে সংশোধনীমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সমস্যা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংশোধনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবগত করা হয় এবং সম্ভাব্য তারিখও বিবেচনা করা হয়।  সভার আলোচ্যসূচী নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত সমুহ প্রকাশ করণ

ক)   মাসিক সাধারণ সভা শুরু হওয়ার পূর্বে সভাপতির অনুমোদনক্রমে কমিটির সমন্বায়ক কমিটির সকল সদস্যের নিকট আলোচ্যসূচী আহবান করবে।

খ)  সুস্থ কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে কমপ্লায়েন্সের সকল বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে পর্যবেক্ষণের একটি তালিকাকে অনুসরণ করা হয়। কমিটির সদস্যগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত বিষয় সমুহ থেকে আলোচ্যসূচীর একটি সমন্বিত তালিকা তৈরি করতে হবে

গ)   সভা অনুষ্ঠিত হবার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সকল সদস্যকে দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে অবহিত করতে হবে এবং সাধারণ শ্রমিকদের অবগতির জন্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।

পরিশেষ

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা -দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ কারখানাকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার উক্ত তিনটি অঞ্চল দৈনিক নিরীক্ষণ করে থাকেন।