Select Page

বিদ্যুতের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা

বিদ্যুতের গুরুত্ব – কারখানার দুর্যোগকালীণ সময়ে ব্যক্তি ও বস্তু (গধহ ধহফ গধঃবৎরধষ) এর যথা সম্ভব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পূর্ব পরিকল্পনা এবং দুর্যোগকালীন সময়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পূর্ব নির্ধারিত পলিসি অনুযায়ী কাজ করা জরুরী।  কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার বিধি,অপচয়রোধ ও সাবধানতা বিষয়ক প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয় । প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষন প্রদান করেন কোম্পানির ইলেকট্রিক ইনচার্জ জনাব মোঃ তারা মিয়া। আর ও উপস্থিত ছিলেন  প্রশাসনিক ও ওয়েলফেয়ার অফিসার বৃন্দ। …

প্রশিক্ষনের আলোচ্যসূচীঃ–

  • বিদ্যুতের গুরুত্ব।
  • শর্টসার্কিট হলে কি পদক্ষেপ নিতে হবে ।
  • কিভাবে বিদ্যুতের অপচয়রোধ করা যায় ?

আলোচনার উদ্দেশ্যঃ

  • প্রশিক্ষনার্থীগন বিদ্যুতের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন এবং সে সম্পর্কে অপরকে জানাতে পারবেন ।
  • প্রশিক্ষনার্থীগন  কোন কোন অবস্থায়  কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সে বিষয়ে ধারণা  লাভ করতে পারবেন ।
  • কি কি সাবধানতা অবলম্বন করলে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা সম্ভব সে সব বিষয়ে ধারনা লাভ করবেন ।

বিস্তারিত আলোচনাঃ–

বিদ্যুৎ শিল্পের প্রাণ স্বরুপ। বিদ্যুৎ ছাড়া শিল্প বিকল,বিদ্যুৎ সমস্যা শিল্প কারখানায় উৎপাদনে প্রধান অন্তরায় যা আমরা সবাই কম বেশী অবগত । আমাদের শিল্পকারখানায় বেশীরভাগ দুর্ঘটনা বিদ্যুতের কারনে হয়ে থাকে । অতএব, বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে ।

প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ঃ

১.সুইচ বোর্ড, সংযোগ স্থলে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগকে অবহিত করতে হবে। 

বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনাজনিত দূর্যোগ প্রতিরোধকারী দলে ইলেক্ট্রিশিয়ান কর্তৃক একটি টীম গঠন করতে হবে, যারা যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষনিক বিদ্যুতের মূল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিবেন।

২.কারখানার ইলেক্ট্রিক্যাল দূর্ঘটনা জনিত বির্পযয়কালীন সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রিশিয়ান কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে মেইনটেন্যান্স ম্যানেজারগন প্রধান ভুমিকা পালন করবেন।

মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে ।

৩. দূর্ঘটনা সংবাদ দ্রæত কারখানার মেডিকেল ইউনিটে জানাতে হবে এবং মেডিকেল অফিসার তাৎক্ষনিক দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

যদি কোন কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাহায্য গ্রহন করতে হবে। বিপদ সংকেত দেয়া স্থানে স্পর্শ  না করা ।

৪.বিদ্যুৎ এর কাজ করার সময় রাবার ম্যাট, গ্লভস্ ও নিরাপত্তা মাকস্ ব্যবহার করা ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার অপচয় রোধ ঃ

০১.যেখানে যতটুকু বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনে বাতি, ফ্যান বা  এসি চালু /খোলা  রাখা যাবে না ।

০২.কখন ও মেশিনের সুইচ অন করে মেশিন ত্যাগ করা যাবে না । মেশিন থেকে উঠে গেলে অবশ্যই মেশিনের বিদ্যুৎ কানেকশন অফ করে দিতে হবে ।

০৩. ছুটির পরে বা আহার বিরতির সময় অবশ্যই কর্মস্থলের বাতি, ফ্যান অফ করে দিতে হবে যাতে অযথা বিদ্যুৎ অপব্যয় না হয় ।

পুরো অধিবেশনের আলোচনা শেষে এইচ আর অফিসার সকল প্রশিক্ষনার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে  প্রশিক্ষনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

প্রশিক্ষনশালায় অংশগ্রহনকারী সকল শ্রমিকের নাম, পদবী, সেকশন ,কার্ড নং ও স্বাক্ষর সংযুক্ত করা

সারসংক্ষেপ

বিদ্যুতের গুরুত্ব দূর্যোগকালীন অবস্থা মোকাবেলার জন্য একটি লিখিত পরিকল্পনা থাকতে হবে যা যথাযথ ভাবে পালনের জন্য সকলেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের যে কোন দূর্যোগ বিদ্যুতের গুরুত্বমোকাবেলার জন্য একটি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে যার সদস্যগণ দূর্যোগকালীণ অবস্থা মোকাবেলার জন্য যথাযথ এবং কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করবে।