Select Page
নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকা সমুহ কি কি?

নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকা সমুহ কি কি?

নিরাপদ উপাদানের তথ্য তালিকা

০১. সনাক্তকরণ প্রকৃতি
পণ্যের বর্ণনা ঃ
বানিজ্যিক নাম ঃ ডেপিকোল এলজি
ধারা নং ঃ ৫০৩২/৩
আবেদনের প্রকৃতি/বয়ন সংক্রান্ত সহায়ক প্রস্তুতি
উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী ঃ
জেসচিমার এবং সেকওয়ার্জ
মোসডর্ফ জিএমবিএইচ এন্ড কোং কেজি
ডোর্ফস্ট্রাসি: ৮১
ডি- ০৯২১৭ বার্গষ্টেড
তথ্য বিভাগ ঃ টেক্সটাইল অক্সিলারিজ উন্নয়ন বিভাগ

০২. গঠন / গঠনমূলক তথ্য ঃ
রাসায়নিক প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য
বর্ণনা ঃ অ্যালকাইল সালফেট মিশ্রণ
০৩. ঝুঁকিপূর্ণ পরিচিতি
ঝুঁকিপূর্ণ বর্ণনা ঃ
সম্পর্কযুক্ত তথ্যটি মানুষ এবং পরিবেশের একটি ক্ষুদ্রতম অংশের জন্য বিপদজনক।
আর ৩৮ ত্বকের সংস্পর্শে জ্বালাপোড়ন হয়।
আর ৪১ মারাত্মকভাবে চোখ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।
শ্রেণী বিভাগ প্রণালী
শ্রেণী বিভাগটি তৈরী হয়েছে ইইউএর আধুনিক সংস্করন অনুসারে এবং বি¯তৃত হয়েছে কোম্পানী এবং তথ্যের উপরে।

০৪. প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
সাধারন তথ্য ঃ
যত দ্রুত সম্ভব পরিধেয় কাপড় থেকে পণ্য দূর করতে হবে অথবা কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ত্বক স্পর্শের পর ঃ দ্রুত পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে।

পেটে যাওয়ার পর ঃ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বমির চেষ্টা করা যাবে না। দ্রুত ডাক্তার ডাকতে হবে।

০৫. অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঃ
উপযুক্ত ধ্বংসাত্মক শক্তি
পাউডার অথবা পানি ছিটিয়ে নেভানো যায়।পানি ছিটিয়ে এবং অ্যালকোহল ফেনা আগুন নির্বাপনে সাহায্য করে
বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ কারণে পণ্যটির দহন হয় এবং এর ফলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ঃ বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই।
প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ঃ সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান করতে হবে।

০৬. আকস্মিক /দূর্ঘটনামুক্ত ব্যবস্থা ঃ
ব্যক্তি- সম্পর্কযুক্ত নিরাপদ পূর্ব সতর্কতা ঃ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কাছে রাখা। অপ্রতিরক্ষামূলক ব্যক্তিদের দূরে রাখতে হবে।
পরিবেশগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঃ পর্যাপ্ত পানির সাথে মিশিয়ে তরল করতে হবে। ড্রেনের উপরিভাগ বা নিুভাগের পানির জন্য প্রযোজ্য নয়।
পরিস্কার/আহরণের ব্যবস্থা ঃ
আইন অনুযায়ী উপাদানগুলো সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তরল পদার্থের সাথে বিশেষন করা- উপাদান বাধা (বালি, শৈবাল, অম্ল বন্ধনকারী, সার্বজনীন বন্ধনকারী, কাঠের গুড়া)
প্রতিরোধক শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
প্রচুর বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

০৭. ব্যবহার এবং সংরক্ষন
ব্যবহার
নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য ব্যবহার ঃ বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই।
বিস্ফোরক এবং অগ্নি প্রতিরোধমূলক তথ্য ঃ কোন বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই
সংরক্ষন
গুদামঘর এবং অন্য কোন স্থানে রাখার প্রয়োজনীয় শর্ত ঃনিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকায় পাত্র হিসেবে অ্যালুমিনিয়াম, লোহা, ইস্পাত, তামা, সংকর ধাতু ব্যবহার করা যাবে না।
একটি সাধারন সংরক্ষন সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য ঃ ক্ষার (তীব্র বিশ্লেষন) এর সাথে একত্রে রাখা যাবে না।
সংরক্ষন অবস্থা সর্ম্পকিত দূরবর্তী তথ্য ঃ যে স্থানে অবাধে বায়ু চলাচল করতে পারে সেখানে জমা রাখতে হবে। পাত্রে আটসাটভাবে সীল লাগিয়ে রাখতে হবে।

০৮. অনাবৃত নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা ঃ
প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার নকশা সংক্রান্ত সংযোজিত তথ্য ঃ কোন দূরবর্তী উপাত্ত/তথ্য নেই। অনুচ্ছেদ ৭ দেখুন
মূল্য সীমার উপাদান যা কি না কারখানার সতর্কতার জন্য প্রয়োজন ঃ উপাদানের প্রাসঙ্গিক পরিমান এই পণ্যটিতে নেই বরং কারখানার সংকট মূল্যের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা আছে।
সংযোজিত তথ্য ঃ ব্যবহারের ভিত্তি সৃষ্টি পর্যন্ত তালিকাটি বৈধ।
ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম
সাধারন প্রতিরক্ষামূলক এবং স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা
রাসায়নিক পরিচালনার সময় পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস সরঞ্জাম ঃ প্রয়োজন নেই।
হাত প্রতিরক্ষা ঃ প্রতিরক্ষা দস্তানা
দস্তানার উপাদান
উপযুক্ত দস্তানা নির্বাচন ঃ শুধুমাত্র উপাদানের উপর নির্ভর করে না। বরং দূরবর্তী নির্দিস্ট মান এবং উৎপাদনকারী বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে। পণ্যটি হচ্ছে কতিপয় পদার্থের প্রস্তুটি। আগেই/প্রথমেই দস্তানা উপাদানের বিরোধিতা করা যাবে না এবং আবেদনটি আগেই পরীক্ষা করতে হবে।
দস্তানা উপাদানের সময়ের তীক্ষèতা
যথাযথ বিরতির সময় উৎপাদনকারীরা প্রতিরোধমূলক দস্তানা খুঁজে বের করতে পারে এবং পর্যবেক্ষন করতে পারে।
চলমান পাতা/৩
চোখ প্রতিরোধ ঃ নিরাপদ চশমা
দেহ প্রতিরক্ষা ঃ এসিড বিরোধক প্রতিরক্ষামূলক কাপড় পরিধান
১০. স্থায়ীত্ব এবং প্রতিক্রিয়া
উষ্ণ পচঁন অবস্থা এড়িয়ে যাওয়া ঃ উষ্ণ পচঁন ১৫০০ সেলসিয়াস এর উপরে।
বিপদজনক প্রতিক্রিয়া ঃ কোন বিপদজনক প্রতিক্রিয়া জানা নেই
দ্রব্যের পচঁন বিপদজনক ঃ
কার্বন মনোঅক্সাইড
নাইট্রোজেন অক্সাইডস (এন ও এক্স)

১১. বিষগত তথ্য ঃ
তীক্ষè বিষপূর্ণ ঃ
এলডি/এলসি ৫০ শ্রেণীকরণের প্রাসঙ্গিক মান ঃ এল ডি ৫০ (মুখে) :>৪০০০ মি. লি./ কে.জি (ইদুঁর)
প্রাথমিক জ্বালাপোড়ার ফলাফল ঃ
ত্বকের উপর ঃ ত্বকের উপর এবং কোষ ঝিল্লির উপর আঠালো প্রভাব পড়ে।
চোখের উপর ঃ জ্বালাপোড়ার প্রভাব পড়ে।
সংবেদনশীলতা ঃ কোন সংবেদনশীল ফলাফল জানা নেই।
সংযোজিত বিষগত তথ্য ঃ
সাধারন ই.ইউ শ্রেণী বিভাজন নির্দেশাবলীর হিসাব অনুসারে দ্রব্যটিতে উপরোক্ত দূর্ঘটনাগুলো দেখা যেতে পারে যা কিনা আধুনিক বৈধ বর্ণনার প্রকাশ।
ক্ষতিকর
জ্বালাপোড়া
গিলে ফেললে মুখের উপর এবং গলার উপর ক্ষারীয় প্রভাব পড়ে এবং খাদ্যনালী ও পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

২. বাস্তুসংস্থান তথ্য ঃ
সাধারন তথ্য ঃ
উৎপাদনকারী নির্দিষ্ট পরিমান এ.সি.সি থেকে ভি.ডব্লিউ.এস আইন- ১৭০.০৫.১৯৯৯।
পানির ঝুঁকি শ্রেণী ২ (জার্মান আইন) (নির্দিষ্ট পরিমাণ) পানিতে সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ পানির নিচে, পানিপথ অথবা ড্রেনের আবর্জনায় দ্রব্যটি গ্রহনযোগ্য নয়। ড্রেনের পানিতে পৌঁছায় না কারণ ইহা অমিশ্র এবং অপ্রতিরোধ্য

১৩. অপসারন ব্যবস্থা
দ্রব্য / পণ্য ঃ
সুপারিশ ঃ পূর্ববতী চিকিৎসার পরে দ্রব্যটি পুরু ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যরে সাথে লাগিয়া থাকার ব্যবস্থা করা হয়। প্রাসঙ্গিক আইনে বিশেষ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যের এরূপ ব্যবস্থা করা হয়।
বর্জ্য সহায়ক ব্যবস্থা
ই.এ.কে আইন অনুসারে নিজ নিজ শিল্পায়ন শাখার এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কোড থাকবে।

অপিরচ্ছন্ন মোড়কীকরন ঃ
সুপারিশ ঃ দূষিত মোড়ক সম্পূর্ণভাবে খালি করা উচিত। সম্পূর্ণ পরিস্কার করার পর তারা চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
পরিস্কারক তত্ত্বাবধান শক্তি ঃ পানি, যদি পরিস্কার শক্তি হিসেবে প্রয়োজন হয়।

১৫. আইনগত তথ্য
ই.ইউ নির্দেশাবলী অনুসারে নির্দেশিত ঃ
দ্রব্যটির বিভাজন ই.ইউ সরাসরি/আইন ও আদেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানগুলোর সাথে মিল আছে।
দ্রব্যটির কোড নম্বর ও ঝুঁকির নমুনা ঃ সি জ্বালাপোড়া করে
ঝুঁকিপূর্ণ লেবেলের উপাদানের সীমা ঃ
ফসফনিক এসিডস
ঝুঁকিপূর্ণ উক্তিঃ
২২ গিলে ফেললে ক্ষতিকর
৩৪ জ্বালাপোড়ার কারণ
নিরাপদ উক্তি
২৬ যদি চোখে চলে যায় তবে দ্রুত প্রচুর পানি দিয়ে ধূতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে।
২৮ ত্বকে লাগার পর দ্রুত পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৩৭/৩৯ উপযুক্ত দস্তানা পরিধান করতে হবে চোখ এবং মুখমন্ডল প্রতিরক্ষার জন্য।

জাতীয় আইন
ভি.বি.এফ এর শ্রেণী বিভাগ অনুসারে ঃ পরিত্যক্ত
পানিতে ঝুঁকির শ্রেণী ঃ পানিতে ঝুঁকির শ্রেণী- ২ (নিজস্ব নির্দিষ্ট পরিমাণ) পানিতে সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ।
উৎপাদনকারীদের নিজস্ব আরোপিত মন্তব্য হলো বয়ন সহায়ক শ্রেণী বিভাজন অনুসারে পানি দূষন হয়
(টি.ই.জি.ই.ডব্লিউ.এ.টি.ভি.আই)
(পানির অপচয় প্রাসঙ্গিক- জার্মানি)

১৬. অন্যান্য তথ্য ঃ
এই তথ্যের ভিত্তি হলো আমাদের বর্তমান জ্ঞান। যাই হোক কোন নির্দিষ্ট দ্রব্যের/পণ্যের গঠণের জামানত/গ্যারান্টি দেওয়া হবে না এবং চুক্তি সম্পর্ক বৈধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা প্রতিষ্ঠিত হবে না।

প্রাসঙ্গিক আরও উক্তি ঃ
২২ গিলে ফেললে ক্ষতিকর
৩৪ ঃ জ্বালাপোড়ার কারণ
৩৫ ঃ জ্বালাপোড়ার পৃথক কারণ
৩৭ ঃ যন্ত্রনাদায়ক শ্বাস সংক্রান্ত ব্যবস্থা
৩৮ ঃ চোখ নষ্ট হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে

ক. কেমিক্যাল স্টোরটিতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাস থাকতে হবে।
খ. তাপমাত্রা ৩০ক্ক প এর নিচে থাকতে হবে।
গ. আগুনের তাপ, আগুনের উৎস, অগ্নি স্ফুলিংগ, বৈদ্যুতিক স্ফুলিংগ ইত্যাদি অবশ্যই দূরে রাখতে হবে।
ঘ. ডিজেল, ঊহমরহব লুব অয়েল ও মেশিন অয়েল ব্যবহারের স্থানে ধূমপান ও আগুনের ব্যবহার সম্পূনর্ নিষেধ।
ঙ. সেকেন্ডারী কনটেইনার ব্যবহার করতে হবে এবং খালি কনটেইনার ব্যবহারে সময় সতর্ক থাকতে হবে।
চ. কেমিকেল কনটেইনারে প্রতিটি কেমিকেল লেবেলিং থাকতে হবে।
ছ. কেমিক্যাল স্টোর সংরক্ষিত হতে হবে।
জ. আই ওয়াশ থাকতে হবে।
ঝ. কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঋওঋঙ (ঋরৎংঃ রহ-ঋরৎংঃ ড়ঁঃ) নিয়ম মেনে চলতে হবে। আগে আসলে আগে গমন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোন রাসায়নিক দ্রব্যের নতুন চালানকে অবশ্যই পূবর্বর্তী চালানের পেছনে সংরক্ষণ করতে হবে । ষ্টোর ইনচার্জকে রাসায়নিক দ্রব্য ইস্যু করার ক্ষেত্রে প্রতিগ্রহণের তারিখের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে করে পুরোন রাসায়নিক দ্রব্য আগে নিঃশেষ হয় ।
ঞ. কেমিক্যাল স্টোরের আশেপাশে খাওয়া, ধুমপান, পান খাওয়া এবং উন্মুক্ত আগুন সম্পূর্ন রুপে নিষেধ করে সাইন লাগিয়ে দিতে হবে।
ট) কেমিকেল স্টোরে অবশ্যই জরুরী যোগাযোগের নাম্বার প্রদশন করতে হবে।
ঠ) মজুদকরন এলাকায় কেমিকেল ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পি পি ই) সরবরাহ করতে হবে।
ড) কেমিকেল মজুদ এলাকায় কেমিকেল পড়ে গেলে তা দ্রুত কিভাবে তুলতে হবে সেই প্রক্রিয়া এবং উপকরন (স্পিল কিট) থাকতে হবে।
ঢ) কেমিক্যাল ঝঃড়ৎব থেকে কেমিক্যাল, রং , কালি ইত্যাদি মিক্সিং কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই ঢেকে ও সাবধানে নিতে হবে।

রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো কি কি?

রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো কি কি?

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী

রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো – অধিক অনাবৃত্তের ফলাফল। চোখের সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়ন এবং চোখ ব্যাথা অনুভব হতে পারে। ত্বকের সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়ন হতে পারে। পণ্যের ব্যবহারের সময় মুক্তভাবে শ্বাস গ্রহণ করলে শ্লেষ্মায় জ্বালাপোড়ন হতে পারে। …

প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যপ্রণালী :

শ্বাস-প্রশ্বাস : মুক্ত বায়ুতে যেতে হবে। যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় তাহলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি শ্বাস গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে তাহলে অক্সিজেন গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

ত্বকের সংস্পর্শ :ত্বকে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সংস্পর্শ অথবা বারংবার সংস্পর্শের কারণে ত্বকের তেল হ্রাস পেতে পারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে এবং ত্বকে ফাটল দেখা দিতে পারে। পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলতে হবে। গোসল করার সাবান দিয়ে ত্বক প্রচুর পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।

চোখের সংস্পর্শ : চোখের জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে, চোখ লাল হতে পারে, চোখ ফুলে যেতে পারে এবং চোখে পানি আসতে পারে।অন্তত ১৫ মিনিট প্রচুর পানি দ্বারা চোখ ধৌত করতে হবে এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

গিলে ফেললে : কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে। বমি করার চেষ্টা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। এই পণ্য গিলে ফেললে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। গলার মধ্যে দিয়ে এ্যারোসল পণ্য প্রবেশ করবে এ ধরণের সম্ভাবনা কম। এর ফলে আন্ত্রিক প্রদাহ, বমিভাব দেখা দিতে পারে এবং বমি হতে পারে, ¯œায়ুতš ¿ প্রভাবিত হতে পারে। গিলে ফেলার ফলেফুসফুসে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বমি করার ফলে ফুসফুসের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।

মানব স্বাস্থ্য: খুবই কম মাত্রার বিষক্রিয়া ঘটে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাষ্প অথবা ধোঁয়া গ্রহণ করার ফলে মিউকাস ত্বকের এবং উপরের শ্বাস নালীর জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় উন্মোচনের ফলে মাথা ব্যথা, ঝিমুনী, তন্দ্রালুতা, নিঃশ্বাসের কষ্ট, হৃদকম্পে সমস্যা, অনিয়মিত হৃদকম্পে, স্বল্পস্থায়ী নিঃশ্বাস, অচেতনতা এমনকি মৃত্যুও হতেপারে।

বিষক্রিয়া:
মুখে এলডি৫০ (মিগ্রা/কেজি):> ১৫০০ ইঁদুর
২/৩

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল স্বাস্থ্যতত্ত¡
এই পণ্যের সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং পরিবহন কোম্পানীর উপযুক্ত ব্যবহার নির্দেশিকা এবং আইন অনুযায়ী করতে হবে। এই পণ্য সতর্কতার সহিত ব্যবহারে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এই তথ্য বিবরণী আমাদের সীমিত জ্ঞান অনুযায়ী বর্ণনাকৃত যা আমাদের পণ্যের বর্ণনা এবং নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নির্দিষ্টভাবে লিখিত হয়েছে।

শাখা ৬- প্রতিক্রিয়াশীল বিবরণী

রাসায়নিক পণ্যে র স্থায়ীত্ব : স্থায়ী
এড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা : প্রযোজ্য নয়
অসামঞ্জস্য উপাদান : অ্যালকালিস এবং অক্সিডাইজিং মাধ্যম
পলিমারেশন ঝুঁকি : ঘটনশীল নয়

শাখা ৭ – কার্যপ্রণালী এবং অবমুক্তকরণ বিবরণী

অবমুক্তকরণ শোষন করতে পারে এমন পণ্যের সাথে কন্টেইনারে করে বর্জ্য ফেলার স্থানে বর্জ্য অবমুক্ত করতে হবে।
বর্জ্য অবমুক্তের পদ্ধতি স্থানীয় এবং জাতীয় আইনের প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্জ্য পণ্য অবমুক্ত করতে হবে।

শাখা ৮- বিশেষ সুরক্ষা
শ্বাস সুরক্ষা :
চোখ সুরক্ষা :সুরক্ষা চশমা এবং আয়না।
অন্যান্য সুরক্ষা যন্ত্রাংশ :ÑÑÑÑ চোখ ধৌত করার এবং বিশুদ্ধ শাওয়ারের ব্যবস্থা কাছাকাছি রাখতে হবে।
সুরক্ষা হাত মোজা:

পর্যাপ্ত আলো বাতাস:
যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ব্যবহার এবং সংরক্ষণ:
রাসায়নিক পণ্য উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। অব্যবহৃত অবস্থায় ভালভাবে মুখবন্ধ করে রাখতে হবে।
শাখা ৯- বিশেষ পূর্ব সতর্কতা
ঝুঁকির শ্রেণী: প্রযোজ্য নহে
তথ্যগত সংখ্যা:প্রযোজ্য নহে
ইউ এন নং: প্রযোজ্য নহে
পরিবহনকৃতের নাম: ডায়াপল এক্সএলএফ

কেমিক্যালের ক্ষতির প্রাথমিক চিকিৎসা সমূহ ঃ
ক. যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনহলে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
খ. যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
গ.রাসায়নিক পণ্য নিঃশ্বাসের সাথে ভিতরে চলে গেলে মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় ডাক্তারেরপরামশর্  নিতে হবে।
ঘ. দুর্ঘটনাবশতঃ খেয়ে ফেললে মখু দ্রত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে এবং দ্রত ডাক্তারের পরামশর্  নিতে হবে।

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি কি এবং এই নিতির উদ্দেশ্যসমূহ

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি কি এবং এই নিতির উদ্দেশ্যসমূহ

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি

অটো টেক্সটাইল লিঃ তার সংশ্লিষ্টদের সহযোগীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং আইনগত ও পরিবেশগত নিয়ম-নিতির প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। প্রসজ্ঞগতই, বিভিন্ন ধরণের ডাইস ও কেমিক্যালের ব্যবহার টেক্সটাইল বাবসায়ের জন্য অপরিহার্য। ডাইস ও কেমিক্যালের নিরাপদ মজুদ,ব্যবহার ও পরিবহণের নিমিত্তে এবং আইন মেনে সুন্দর পরিবেশ,স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে অটো টেক্সটাইল লিঃ একটি কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন করেছে। জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে। বিশ্বায়নের যুগে মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য একদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে অন্য দিকে শিল্প কারখানায়  বিভিন্ন প্রকার মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমকে করে তুলছে বিপন্ন। রাাসায়সিক পদার্থের নিয়ন্ত্রনহীন ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে নানা প্রকার জটিল রোগব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে এবং নানা প্রজাতির উদ্ভিদ- প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে । তাই কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা  নীতি ও পদ্ধতির মৌলিক ও মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্ঠানের জন্য রাসায়ানিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ, এবং অপসারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও দায়িত্ব ও কর্তব্য বিস্তারিত বর্ণনা ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া যাতে সুরক্ষিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় ।  …

এই ব্যাবস্থাপনা নীতি অনুসারে-

১) সকল আইনগত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে।

২) নিরাপাদ ও বিকল্প কেমিক্যাল মূল্যায়ণ এবং ব্যবহারকে প্রাধান্ন দিতে হবে।

৩) কেমিক্যাল সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যাদি যেমন- এমএসডিএস, টিডিএস, লেবেল, হ্যাজার্ড সিম্বল এবং সার্টিফিকেটসমূহ (আরএসএল ডিক্লারেশন লেটার, এপিও-ফ্রি সার্টিফিকেট ইত্যাদি) প্রস্তুতকিরী অথবা সরবরাহকারীর নিকট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

৪) কর্মীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ের (যেমন-এমএসডিএস, ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণ, কেমিক্যালের নিরাপদ ব্যবহার ইত্যাদি)উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধমে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের মনোভাবের প্রকাশ ঘটাতে হবে।

৫) কেমিক্যাল বর্জ্যের যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।

৬)হ্রাসকৃত-ব্যবহার, পুনঃব্যাবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের সু্যোগ থাকলে তা কাজে লাগাতে  হবে।

উপরোল্লেখিত নিয়ম-নীতি অনূসরণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য অর্জন করা সম্বভ। শুধুমাত্র অবস্থার পরিবর্তন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের পরিবরতনের সাথে সঙ্গতি রেখে এ সকল নিয়ম-কানুনের পরিবরতন ও সংশোধন করা হতে পারে।

ভূমিকাঃ

অটো টেক্সটাইলস লিঃ এর কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্দেশ্যসমূহঃ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতিমালা বাস্তবায়নে সহায়তা করা ও সবার জন্য বাস যোগ্য সবুজ পৃথিবী তৈরী করা এবং ক্রেতাদের কোড অব কন্ডাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করা। বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অটো টেক্সটাইলস লিঃ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি প্রনয়ণ করেছে। যেমন-

১। নিরাপদ বা ঝুঁকিমুক্ত ডাইস বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে নিরাপদ বস্ত্র উৎপাদন করা।

২। ডাইস বা কেমিক্যালের উপযুক্ত ও যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৩। নিরাপদ ও বিকল্প ডাইস বা কেমিক্যালের মূল্যায়ন এবং সুযোগমত ব্যবহার করা।

৪। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃত্তিগত ঝুঁকি হ্রাস করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫। কেমিক্যাল বর্জ্যের শোধনের ব্যবস্থা করা।

৬। হ্রাসকৃত-ব্যবহার, পুনঃব্যাবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সম্পদের সংরক্ষন করা।

৭। দেশের আইনের সাথে সাথে কারখানার নিজস্ব নিয়ম-নীতির অনুসরণ করা।

উপোরোক্ত উদ্দেশ্যাবলী শুধুমাত্র যথাযথ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

অটো টেক্সটাইলস লিঃ এর কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াঃ

সঠিকভাবে রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ, ব্যবহার, সংরক্ষণ, অপসারণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) , দেশের প্রচলিত পরিবেশ আইনের সাথে সম্পূরক জাতীসংঘের পরিবেশ নীতিসমূহ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষ্যরিত পরিবেশ নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রবিধি, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল করপোরেশন কর্তৃক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি।  কেমিক্যালের যথাযথ ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে অটো টেক্সটাইলস লিঃ যথেষ্ট সচেতন।ডাইস ও কেমিক্যাল সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এখানে একটি সুপ্রতিষ্টিত ও কার্যকরী কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি পর্ষদ রয়েছে। কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা প্রত্যেক টেক্সটাইল কারখানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিবেচনার বিষয় যেহেতু উৎপাদিত পণ্যের মাণ ও নিয়োযিত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি এর সাথে জড়িত। কেমিক্যাল/ডাইস সম্পর্কিত সকল সিদ্ধান্ত ও কর্ম্পরকল্পনার বিষয় অত্র প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার এবং সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার গুরুত্বের সাথে তদারকি করেন।

১।কেমিক্যাল সংগ্রহ বা প্রোক্রিউরমেন্টঃ

আমরা কোন কেমিক্যাল বা ডাইস নির্বাচনের পূর্বে, উক্ত কেমিক্যাল বা ডাইস পরিবেশে কতখানি প্রভাব ফেলবে তা বিবেচনা করি, যেহেতু আমরা আমাদের কেমিক্যাল বা ডাইস ব্যবহারকারী কর্মীদের স্বাস্থ্য,নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যপারে সচেতন। যে সকল কেমিক্যালের কার্যকারীতা যথেষ্ট এবং পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব কম, সেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করে উৎপাদন ঠিক রাখাই আমাদের কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি র মূল লক্ষ্য।

২।কেমিক্যাল মজুদকরণঃ

টেক্সটাইল কারখানার জন্য কেমিক্যাল একটি প্রত্যক্ষ কাঁচামাল। তাই প্রতিদিন আমাদের প্রচুর ডাইস বা কেমিক্যালের প্রয়োজন হয়। আমাদের ভান্ডার বা স্টোর বিভাগ ডাইস বা কেমিক্যালের সরবরাহ ও চাহিদার মাঝে সঙ্গতি রাখেন। ক্রয়কৃত ডাইস/কেমিক্যাল আমাদের কারখানার অভ্যন্তরে নিজস্ব গুদামে সংগ্রহ করা হয়। আমাদের ডাইস/কেমিক্যাল গুদাম যথেষ্ট প্রশস্ত, সুঘটিত এবং বায়ুচলাচলযুক্ত। এই গুদামের সমস্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয় আমাদের ভান্ডার বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের মধ্যে সম্বন্বয় সাধনের মাধ্যমে। আমাদের কেমিক্যাল মজুদকরণ প্রক্রিয়া নিম্নোক্তভাবে পরিচালিত হয়-

ক)কেমিক্যাল খালাসকরণ বা আনলোডিংঃ

কেমিক্যালের নিরাপদ প্রয়োগ ও পরিচালনার নিমিত্তে এবং দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে কেমিক্যাল ক্রয় থেকে শুরু করে অপসারণ পর্যন্ত কেমিক্যাল সম্পর্কিত প্রত্যেকটি বিষয়ের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কেমিক্যালবাহী যানবাহণ আমাদের কারখানায় প্রবেশের পূর্বেই ভান্ডার বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল ধরণের পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া হয়। আমাদের প্রশিক্ষিত লোডারগণ ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণ পড়ে নেয় এবং আগত যানবাহণ থেকে ডাইস/কেমিক্যাল খালাস করে নেয়। স্টোর কিপার বা ভান্ডার রক্ষক ও সুপারভাইজারগণ এই খালাসকরণের সবকিছু তদারক করেন। এ সময় সব ধরণের পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করা হয় যেহেতু লোডারগণ ভারী প্লস্টিক কেমিক্যাল কন্টেইনার, কেমিক্যাল কার্টন বা বস্তা নিয়ে কাজ করে এবং এই কাজে দুর্ঘটনার সুযোগ রয়েছে। সব ধরণের দূর্ঘটনা এড়াতে তারা যত্ন নিয়ে কাজ করে। যারা কেমিক্যাল পরিচালনার সাথে সরাসরি জড়িত, আমরা আমাদের মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের মাধ্যমে তাদেরক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।

খ)কেমিক্যাল বিন্ন্যাস ও বিন্যাস্তকরণঃ

আমাদের কেমিক্যাল স্টোর বা গুদামকে আমরা শুধুমাত্র ডাইস/কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করে থাকি। কর্মীরা কেমিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার বা বিতরণ কেন্দ্র থেকে ডাইস/কেমিক্যাল সংগ্রহ করে থাকে। কেমিক্যালের ধরণ ও গূণাগুন অনুসারে ডাইস/কেমিক্যালকে সাজিয়ে রাখা হয়। নিরাপদ কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য আমরা কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করি। বায়ু চলাচল ও পরবর্তী নিরাপত্তার জন্য ডাইস/কেমিক্যালকে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত সাজানো হয়।

অনাকাক্ষীত ঘটনা এড়াতে কেমিক্যাল স্টোরে জণসাধারণের প্রবেশ সংরক্ষিত।এখনে কোন কিছু খাওয়া বা পান করা নিষেধ।

অগ্নিদূর্টনা মোকাবেলার জন্য স্টোর সেন্টারে পর্যাপ্ত স্মোক ডিটেক্টর, ফায়ার এক্সটিংগুইশার সহ যাবতীয় ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা আছে। ইগজস্ট ফ্যানের মাধ্যমে স্টোরের আভ্যন্তরীণ বায়ু চলাচল ঠিক রাখা হয়।

দূর্টনা বা ছলকে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে আমরা কিছু স্থানে সেকেন্ডারী কন্টেইনমেন্ট ব্যবহার করি। স্ব স্ব কেমিক্যাল কন্টেইনার বা বস্তায় এমএসডিএস লাগিয়ে রাখা হয়। কোন ডাইস/কেমিক্যাল কন্টেইনার বা বস্তার লেবেল বা নাম নষ্ট হলে আবার তা নতুন করে লাগিয়ে দেয়া হয়।

গ)কেমিক্যাল বিতরণঃ

কেমিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার বা বিতরণ কেন্দ্র থেকে ডাইস/কেমিক্যাল বিতরণ করা হয়। ডাইস/কেমিক্যালের সুন্দর বিতরণ ও প্রয়োগের জন্য এবং ঝুঁকি এড়াতে প্রত্যেক ডাইস/কেমিক্যালকে তার নিজস্ব কম্পার্টমেন্ট বা কোঠায় রাখা হয়। প্রত্যেক কম্পার্টমেন্ট বা কোঠাতে কেমিক্যালের নামসহ ঝুঁকিচিহ্ন লাগানো আছে। হঠাৎ ছলকে পড়া বা কোন জরুরী অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য এই কম্পার্টমেন্ট গুলো সুন্দর প্রকৌশল দ্বারা গঠিত এবং অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজের মাধ্যমে ইটিপি’র সাথে সংযুক্ত।কর্মীরা ডাইস/কেমিক্যাল আনা-নেওয়া করার জন্য নির্দিষ্ট ডাইস/কেমিক্যাল পাত্র বা বালতি এবং ট্রলি ব্যবহার করে। স্টোর কিপার সমস্ত ভান্ডারের দেখাশুনা করে এবং তার অধীনে কর্মরত কর্মীদেরকে পরিচালিত করে।

ঘ) জরুরী অবস্থার জন্য প্রস্তুতিঃ

যে কোন ধরণের বিরুপ অবস্থা বা দূর্ঘটনা, যেমন-অগ্নিদূর্ঘটনা,কেমিক্যাল ছলকে পড়া বা স্পিলেজ ইত্যাদি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের যথেষ্ট পূর্বসতর্কতা বা পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা আছে। সম্পূর্ণ কারখানা এবং স্টোরের অভ্যন্তরে যে কোন ধরণের অগ্নিদূর্ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা, যেমন- ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম (হস্তচালিত ও স্বয়ংক্রিয়),অন্যান্য ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা সহ কর্মীদেরকে কারখানার অভ্যন্তরে ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ ও অগ্নিদূর্ঘটনার মহড়ার ব্যবস্থা করা হয়।

জরুরী মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য কেমিক্যাল বিতরণ কেন্দ্রে ফার্স্ট এইড বক্স রাখা আছে।এখানে সেফটি শাওয়ার ও আইওয়াশের ব্যবস্থাও আছে যাতে কর্মীরা দরকার মত ব্যবহার করতে পারে।

জরুরী চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য আমাদের কারখানার অভ্যন্তরে একটি মেডিক্যাল সেন্টার আছে যা একটি  দক্ষ ও ফুলটাইম মেডিক্যাল টিম দ্বারা পরিচালিত।

ঙ) এমএসডিএস ব্যবস্থাপনাঃ

ডাইস/কেমিক্যাল সম্বন্ধে কর্মদের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য কেমিক্যাল স্টোর ও বিতরণ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে বা কেমিক্যাল কন্টেইনারে ‘দ্রব্যের নিরাপত্তা তথ্য বিবরণী চার্ট’ (এমএসডিএস)ও ‘সংক্ষিপ্ত/সহজকৃত নিরাপত্তা তথ্য বিবরণী চার্ট’ সংযুক্ত করা হয়। ‘সংক্ষিপ্ত/সহজকৃত নিরাপত্তা তথ্য বিবরণী চার্ট’ বা এ্যাবস্ট্র্যাক্টেড এমএসডিএস কে আমাদের মাতৃভাষায় সংকলিত করা যাতে শ্রমিকগণ এ্যাবস্ট্র্যাক্টেড এমএসডিএস সহজে পড়তে পারে এবং তারা যেসব ডাইস/কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করে সেসব ডাইস/কেমিক্যাল সম্বন্ধে তাদের জ্ঞানকে বাড়াতে পারে। কেমিক্যাল প্রস্তুতকারক/সরবরাহকারী সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা সকল এমএসডিএস কে হালনাগাদ রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি।

চ) ব্যক্তিগত সুরক্ষাকারী উপকরণঃ

ডাইস/কেমিক্যাল নিয়ে যখন কোন কাজ করা হয়, কারখানার নিয়মানুযায়ী প্রত্যক কর্মীর জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।  কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণ সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট বাক্স রাখা আছে যাতে কর্মীরা সহজে দরকার অনুযায়ী  সূরক্ষাকারী উপকরণ ব্যবহার করতে পারে।আমাদের স্টোর ডিপার্টমেন্টে নিয়োযিত স্টোর কিপার ও সুপারভাইজারগণ যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেন তারা তাদের অধীনে কর্মরতদেরকে দক্ষতার সাথে পরিচালিত করতে পারে। কেমিক্যাল স্টোর বা বিতরণ কেদ্রে সুষ্ঠু ডাইস/কেমিক্যাল পরিচালনার সাথে তারা সরাসরি জড়িত থাকে। মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের কর্মকর্তাগণ কারখানার অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশ পরিদর্শন করে সবকিছুর তদারক করেন। অতঃপর তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী নতুন পদক্ষেপ প্রদান করা হয় নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য।

ছ) খালি ড্রাম বা কন্টেইনার ব্যবস্থাপনাঃ

ডাইস/কেমিক্যাল ব্যবহারের পর খালি ড্রাম/কন্টেইনারকে ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর ধোয়া হয়। এদেরকে পরিষ্কার বা ধোয়ার পূর্বে ড্রাম/কন্টেইনারের লেবেল তুলে ফেলা হয়। এরপর এসব ড্রাম/কন্টেইনার গুলোকে প্রত্যক্ষ সূর্যের আলো/রোদ থেকে দূরে রাখতে দেশের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ছাউনির নিচে রাখা হয়।

৩।ডাইস/কেমিক্যালের যথাযথ প্রয়োগঃ

আমাদের ডাইং ফ্লোরে কর্মরত শ্রমিক বা ডাইং/ফিনিশিং মেশিন চালক শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করে বিধায় তারা কেমিক্যালের নিবিঢ় সংস্পর্শে আসে। ডাইং/ফিনিশিং রিকুইজিশন অনুযায়ী তারা কেমিক্যাল বিতরণ কেন্দ্র থেকে ডাইস/কেমিক্যাল সংগ্রহ করে এবং মেশিনে প্রয়োগ করে। যখনই তারা কেমিক্যাল কাজ করবে, যেমন-দাইস/কেমিক্যাল সংগ্রহ করা,আনানেওয়া করা, মেশিনে প্রয়োগ করা ইত্যাদি, তখনই ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।কেমিক্যাল গ্রহণ ও প্রয়োগের সময় ডাইস/কেমিক্যালের পাত্র বা বালতিতে ডাইস/কেমিক্যাল অনুসারে লেবেল বা ট্যাগ করতে হয়, যাতে ডাইস/কেমিক্যালের লেবেল বা নাম না থাকার কারণে ভুল প্রয়োগের সুযোগ না থাকে।

শ্রমিক/কর্মী্দের যাতে জ্ঞানের বৃ্দ্ধি হয় এবং তারা নিরাপদে ডাইস/কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করতে পারে, সেজন্য প্রত্যেক মাসে কমপক্ষে একবার বিশেষ কিছু বিষয়ের (যেমন-নিরাপদে ডাইস/কেমিক্যাল ব্যবহার, যথাযথ ব্যক্তিগত সূরক্ষাকারী উপকরণের ব্যবহার, নিয়াপত্তার প্রস্তুতি, সহজ/সংক্ষিপ্ত এমএসডিএস) উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মনোভাব প্রকাশের সুযগ দেয়া হয় এবং উপযুক্ত মাধ্যমে উক্ত মনোভাবের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া হয় যাতে নিরাপদ কেমিক্যাল পরিচালনা ও প্রয়োগের বাস্তবায়ন সহজ হয়। কারখানার বাহিরেও আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অংশ নেই এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত নিয়ম-কানুনের সাথে নিজেদেরকে চলমান রাখি।

ডাইং/ফিনিশিং ফ্লোরে খাওয়া বা পান করা সকলের জন্য নিষেধ। এই নিয়ম শ্রমিকদের মঙ্গলের জন্য করা হয়েছে। কারখানার পক্ষ থেকে খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়। তাই ফ্লোরে খাবার পানির খালি বোতল এবং কেমিক্যালের কোন বালতি বা পাত্র লেবেল ছাড়া রাখা নিষেধ। এর দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব।

৪।কেমিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ধরণের ডাইস-কেমিক্যালের সাথে সাথে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।বস্ত্র প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য পানির বিকল্প নেই এবং তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে প্রচুর ডাইস/কেমিক্যাল ব্যবহারের সাথে সাথে প্রচুর দূষিত পানির উৎপন্ন হয় যা অগ্রাহ্য করার উপায় নেই।দূষিত পানিকে শোধন করার জন্য আমরা একটি কার্যকরী এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করেছি যা সর্বক্ষণ দুষিত পানিকে শোধন করছে। ইটিপিতে আগত এবং ইটিপি হতে শোধনকৃত নির্গত পানির সমস্ত রেকর্ড রাখা হয় পরবর্তী প্রয়োজনের জন্ন।দূষিত পানি শোধনের ফলে অনেক স্লাজের সৃষ্টি হ্য়।আমরা আইনগত পন্থায় এ স্লাজের ব্যবস্থা করে থাকি।আইন অনুযায়ী ছয় মাস সংরক্ষণ করার পর আমাদের নিজস্ব ল্যান্ড ফিলিং সাইট বা মাটি ভরাটের জায়গায় ফেলে থাকি।

উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে প্রত্যেক দিন আরও অনেক বর্জ্য, যেমন-কার্টন,পলিথিন,টুকরো কাপড়,ফ্যাব্রিক ডাস্ট ইত্যাদির উদ্ভব হয়। আমরা এ সকল বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থা করে থাকি। আমাদের কারখানার অভ্যন্তরকে পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখার নিমিত্তে একটি পরিচ্ছন্ন-কর্মীর দল বা ক্লিনার গ্রুপ রয়েছে যারা সর্বক্ষণ কাজ করে থাকে। যথার্থ ভাবে পরিষ্কির ও ময়লা ফেলার বিষয়ে আমরা তাদেরকে প্রসশিক্ষণ দিয়ে থাকি যেন তারা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারে। ময়লা/বর্জ্য সংগ্রহ করার পর তারা ময়লাগুলোকে আলাদা করে পুনঃরায় কাজে লাগবে এমন ময়লা স্টোর সেকশনে পাঠিয়ে দেয় এবং অবশিষ্টাংশ ফেলে দেয়।

আমাদের কারখানার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ কমপ্লায়েন্স বিভাগের কর্মকর্তা দ্বারা বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শিত হয়। স্টোরসহ অন্যান্য বিভাগের শ্রমিক বা কর্মকত্রাগণ বর্জ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেছে কিনা তা কমপ্লায়েন্স বিভাগ কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা হয়।

৫।আমাদের ভালো চর্চা ও উদ্দ্যোগ সমূহঃ

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চর্চায় অগ্রপথিক হওয়ার জনয় আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি্যপরিবেশ বান্ধব উপায়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।বাস্তব কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি প্রয়োগের জন্য আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন-

(ক) প্রযুক্তির মূল্যায়ণঃ

নতুন প্রযুক্তির মূল্যায়ণ ও ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের সময়,অর্থ ও সম্পদের সুব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে পারি।আমরা আমাদের চলমান মেশিনগুলোর কার্যক্ষমতা যাচাই করি যদি এগুলো কম লিকার রেশিওতে চালানো যায়।লিকার রেশিও টেক্সটাইল কারখানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।লিকার রেশিও কমাতে পারলেই ডাইস ও কেমিক্যালের ব্যবহার কমিয়ে কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। এমন ডাইস/কেমিক্যাল,ডাইস অক্সিলিয়ারিজ যা ব্যবহার করলে লিকার রেশিও কম লাগে বা ওয়্যাশ সাইকেল বাদ দেয়া যায়-তার কোন আবির্ভাব বা প্রবর্তন ঘটলে আমাদের উচ্চ ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে তা যাচাই করে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়া হয়।

(খ) লিকার রেশিও সম্বনবয় করাঃ

টেক্সটাইল প্রক্রিয়আজাতকরণে লিকার রেশিও কমানো বা এডজাস্ট করার মাধ্যমে ডাইস/কেমিক্যাল ও পানি সংরক্ষণ করা যায়। লিকার রেশিও কমানো বা এডজাস্ট করার মাধ্যমে তা কমানো যায়। তা না হলে বিকল্প কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যাতে লিকার রেশিও কম লাগে। প্রযুক্তি মূল্যায়ণের মাধ্যমে আমরা হান্টসম্যান কেমিক্যাল প্রস্তুতকারকের Avitera SE-নামক ডাইস্টাফ ব্যবহার করছি-যা স্বয়ং হান্টসম্যান কর্তৃক “সেভ দা আর্থ”  শিরোনামে বাজারজাত করা হয়।আমরা তৃতীয় প্রজন্মের ওয়াশ অফ, যেমন-ডেকল আরএসএ (“রিসোর্স সেভিং এজেন্ট”) ও ক্রসকালার বিসিএসার ব্যবহার করি যা পানি সম্পদ সংরক্ষণে সহায়তা করে। বিদ্যমান ডাইস্টাফের চেয়ে ভালো কোন আবিষ্কার থাকলে তা ব্যবহারের যথাসাধ্য চেষ্টা করি।

(গ)পুনঃপ্রকৌশলের প্রয়োগঃ

টেক্সটাইল বা বস্ত্র প্রক্রিয়াজাতককরা একটি চলমান পুনঃপ্রক্রিয়া যার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ডাইস/কেমিক্যালের প্রয়োজন হয়। ফ্যাব্রিক রেসিপিতে সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রচুর ডাইস/কেমিক্যাল ও পানি সম্পদ বাঁচানো সম্ভব। আমাদের প্রোডাকশন টিম ট্রায়াল ও ইরোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডাইস/কেমিক্যালের ডোজকে অপ্টিমাইজ করার চেষ্টা করেন। যেমন- আমরা ১গ্রাম/লিটার হিসেবে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করি। পরবর্তীতে এই ডিটারজেন্টের হারকে ১০%(0.১গ্রাম) কমিয়ে 0.৯গ্রাম/লিটার দ্বারা কয়েকটি ট্রায়াল ব্যাচ করা হয়। উক্ত ব্যাচগুলোর রিপোর্ট রিভিউ করে প্রসেস ডিজাইনকে পরিবর্ত্ন করা হয়। কাজের মানকে ঠিক রেখে প্রত্যেক কেমিক্যালের ডোজ অপ্টিমাইজেশন এভাবে করা হয়।আবার বিদ্যমান প্রসেস ডিজাইনকে পুনঃমূল্যায়ন করা হয় যদি প্রসেসের কোন অংশকে বাদ দিয়ে নতুন প্রসেস ডিজাইন তৈরী করা যায়। যেমন- কোন প্রসেস ডিজাইনে ৫মিনিটের অভারফ্লো রিঞ্জিং আছে।এখন আমাদের প্রোডাকশন টিম এই পুনঃপ্রক্রিয়া ও পুনঃপ্রকৌশলের মাধ্যমে এই রিঞ্জিং সাইকেলকেলের পরিবর্তে সিঙ্গেল ফিল্ড ওয়াশের ড্রেন সাইকেলের মাধ্যমে অপ্টিমাইজড করা যায় কিনা। শক্তি ও সম্পদের সংরক্ষণে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। আমাদের ডাইং ও প্রোডাকশনের সিনিয়র ম্যানেজার সর্বদা উক্ত বিষয় সম্পর্কে নতুন প্রবর্তনের ব্যবপারে সচেষ্ট থাকেন।

(ঘ) সঠিক তথ্য সংরক্ষণঃ

পানি ও কেমিক্যালের ব্যবহারের পরিমাণ যাচাই করা আমাদের কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনার কার্যকারীতা মূল্যায়নের একমাত্র পরিমাপক। পানি ও কেমিক্যালের ব্যবহারের পরিমাণ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তথ্য সংরক্ষণ ব্যতীত আমরা পানি বা কেমিক্যালের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারি না। কেমিক্যালের মোট ব্যবহার স্টোর ডিপার্টমেন্ট থেকে এবং পানির মোট ব্যবহার ও অপসারনের পরিমাণ মিটার স্থাপনের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়। আবার প্রত্যেক সেকশন বা বিভাগের কেমিক্যাল ও পানি বাবহারের আলাদা আলাদা হিসেব রাখা হয় যাতে পরবর্তী কোন বিশ্লেষণে কাজে লাগে।

ঙ)সচেতনতা বৃদ্ধিঃ

ডাইস/কেমিক্যালের সঠিক ব্যবহার ও নিরাপদ কেমিক্যাল পরচালনা সম্পর্কে কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের করে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডাইস-কেমিক্যালসহ পানি ও শক্তি সম্পদের অপচয় ও অপব্যভার হ্রাস করা মম্ভব।প্রশিক্ষণ চলাকালে শ্রমিক-কর্মীদের সাথে মত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়।অল্প সচেতনতাই আমাদেরকে বড় ক্ষতি ও দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে। আমাদের ডাইং ও ফিনিশিং ফ্লোর-যেখানে ডাইস/কেমিক্যাল সরাসরি ব্যবহার করা হয় সেখানে স্থানে পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো আছে। এছাড়া ডাইস/কেমিক্যালের সঠিক ব্যবহার ও নিরাপদ কেমিক্যাল পরচালনা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ নিয়মিত ভাবেই প্রদান করা হয়।

৬। রিভিউ/চেকিংঃ

টেক্সটাইল প্রক্রিয়াজাতকরণে আমারাই শীর্ষে না। আরও টেক্সটাইল কারখানা আছে যারা আমাদের চেয়ে ভাল। যারা শীর্ষে আছে আমারা তাদেরকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে থাকি। আমরা এমন একটি কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন ও অনুসরণ করতে যাচ্ছি যা হবে কার্যকর, নিরাপদ ও যথার্থ।কেমিক্যাল সম্পর্কিত যেকোন বিষয় নিবিড় ভাবে প্রর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে আমরা সমস্যা ও দূর্বলতা সহজ স্মাধান করে আরও সামনে অগ্রসর হতে পারি। কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যেকোন বিষয় আমাদের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের মাঝে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করা হয় যাতে এ সম্পর্কিত সবাই মত প্রকাশের সুযোগ পায় এবং কার্যকরণ অংশ থেকেই সংশোধন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। আমরা সর্বদা আমাদের কেমিক্যাল ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং পরিবেশের অনূকূলতার দিক মাথায় রেখে সব ধরণের বাস্তব ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।

৭। সংশোধনীমূলক পদক্ষেপঃ

ত্রুটি আমাদের কাজ বা সিদ্ধান্তের একটি অংশ। আমাদের পূর্বেকার ভুল বা দূর্বলতা সংশোধণের জন্য সব ধরণের সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। কার্যকরণ অংশে একটি ছোট ভুল সমস্ত উন্নয়নের পদক্ষেপকে পালটে দিতে পারে। একারনে সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। আমাদের কর্মস্থল প্রত্যকদিন পরিদর্শন করে যেসকল স্থানে ডাইস/ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সে সকল স্থানের বিদ্যমান অবস্থা যাচাই করা হয়। অবস্থার কোন পরিবর্তন পেলে সংগে সংগে উপযুক্ত লোকের সাথে যোগাযোগ করে তার সংশোধন মূলক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সরাসরি কর্মীদের নিকট থেকে আমরা মতামত গ্রহণ করে যাতে কোন সমস্যার সমাধান রুট লেভেল থাকে করা যায়।

উপসংহারঃ

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, জীববৈচিত্রের জন্য ধ্বংসকারী, নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য (ইধহবফ ঈযবসরপধষ) ব্যবহার না করা, ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য সমূহ বিধি সম্মতভাবে ব্যবহার, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ করার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী ব্যবস্থাপনা তৈরী-ই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য।উন্নয়ন ও অগ্রগতি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং ত্রুটি তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। টেক্সটাইল প্রযুক্তিতে সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং একটি অভূতপূর্ব কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের নিমিত্তে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।আমাদের কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা পর্ষদ খুবই সচেতন এবং কেমিক্যাল প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন-প্রবর্তনের সাথে নিজেরদেরকে খাপ খাওয়াতে যথেষ্ট আগ্রহী। কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থায় পৌঁছানোর জন্য আমরা সচেষ্ট যেহেতু আমাদের কেমিক্যাল ব্যস্থাপনা প্রক্রিয়া একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত যারা দীর্ঘদিন সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।তাদের অবিরাম ও অকান্ত পরিশ্রম বদৌলতে আমরা আমাদের কারখানাতে একটি নিরাপদ কেমিক্যাল পরিচালনা পরিবেশ গড়তে এবং আমাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে পরিচালিত করতে সমর্থ হয়েছি।

রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি সম্পর্কিত নীতিমালা

রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি সম্পর্কিত নীতিমালা

রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ, চালনা ও পরিবহন নীতি

ভূমিকা

ফ্যাশন ওয়্যার লিঃ ১০০% কমপ−ায়েন্স ও গার্মেন্টস্ পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ সীমিত সামর্থের মধ্যে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ রক্ষার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। আসুন আমরা সবাই মিলে বেঁচে থাকার জন্য একটি পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলি। দেশের অন্যতম বৃহৎ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি ভাবেও স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বদ্ধপরিকর।রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদকরণ,  প্রশিক্ষণ শ্রমিক, কর্মচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং শ্রমিক, কর্মচারীদের আচরণ পরিবর্তিত হয়। নীটওয়্যার লিঃ, টেক্সটাইল লিঃ, ওয়াশিং লিঃ, ট্রিমস লিঃ কারনখানায় কর্মরতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। তাই জীবনের নিরাপত্তা বিধান, ঝুঁকি হ্রাস ও দূর্ঘটনা রোধ করার জন্য নতুন এবং পুরাতন শ্রমিক, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে এবং তাদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়টি ট্রিমস লিঃ তার নৈতিক দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করে।

উদ্দেশ্য

কর্তৃপক্ষ কাঁচামাল ব্যবহার, পন্য উৎপাদনের সময় পরিবেশ রক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে কারখানার অভ্যন্তরে ও বাহিরে এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ঊহারৎড়হসবহঃ গধহধমবসবহঃ ঝুংঃবস (ঊগঝ) বা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। কর্তৃপক্ষ কারখানার অভ্যন্তরে এবং চারদিকে পরিবেশ সহায়ক অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষে সকল নীতি প্রয়োগে বদ্ধ পরিকর। প্রতিদিনের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ অনেক কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহণ, মজুদকরণ, মিশ্রণ ও ব্যবহার করতে হয়। কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের সুষ্ঠ ব্যবহার, অপচয় রোধ, পরিবেশগত ঝুঁকি, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ পাঠ্যসূচীর উদ্দেশ্য।

রাসায়নিক দ্রব্য

রাসায়নিক দ্রব্য বলতে রাসায়নিক বস্তু ও পণ্যকে বোঝায়। যেমন- লুব্রিক্যান্ট অয়েল, ডিজেল, গ্লু, ল্যাকার, সলভেন্ট, পেইন্ট, রঙ  স্টেইন, হার্ডেনার, মোম, এসিড, লবণ, অ্যাডিটিভ্স, গ্যাস, থিনার এবং লিফটার-৮৩৩ ইত্যাদি।

রাসায়নিক দ্রব্যের প্রকারভেদ

প্রতিদিনের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় সাধারণত দুই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়। যেমন ঃ বিপজ্জনক ও অ-বিপজ্জনক  রাসায়নিক দ্রব্য।

বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য

প্রতিদিনের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় যে সকল রাসায়নিক দ্রব্যে অপেক্ষাকৃত / তুলনামূলকভাবে বেশি বিষাক্ততা ও ক্ষয়কারক বস্তু বিদ্যমান থাকে সেগুলো বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য। যেমন ঃ এসিড, কাস্টিক সোডা, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ইত্যাদি। এগুলো মানুষ ও পরিবেশ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের যে সকল ঝুঁকি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে এবং রাসায়নিক দ্রব্য আনা – নেওয়া, মজুদকরণ, পরিবহন ও সঠিকভাবে অপসারণ করার সময় ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি অবশ্যই পরিধান করতে হবে।

অ-বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য

প্রতিদিনের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় যে সকল রাসায়নিক দ্রব্যে অপেক্ষাকৃত / তুলনামূলকভাবে কম বিষাক্ততা ও কম ক্ষয়কারক বস্তু বিদ্যমান থাকে সেগুলো অ-বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য। যেমন ঃ লবন, ইউরিয়া, নারিকেল তেল ইত্যাদি। এগুলো মানুষ ও পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত / তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি করে। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের যে সকল ঝুঁকি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে এবং রাসায়নিক দ্রব্য আনা – নেওয়া, মজুদকরণ, পরিবহন ও সঠিকভাবে অপসারণ করার সময় ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি অবশ্যই পরিধান করতে হবে।

ম্যাটেরিয়াল সেফটি ডাটা শিট সম্পর্কে ধারণা

গধঃবৎরধষ ঝধভবঃু উধঃধ ঝযববঃ (গঝউঝ) এমন একটি দলিল বা নথিপত্র যেটি আমাদের কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী দেয়। একটি ম্যাটেরিয়াল সেফটি ডাটা শিট থেকে প্রায় ১৫/১৬টি তথ্য পাওয়া যায়। যেমন রাসায়নিক দ্রব্যের নাম ও ক্ষতিকর বিষয়গুলো, কোম্পানীর নাম, বিপদ সংকেত, প্রাথমিক চিকিৎসা, অগ্নি নিরাপত্তা, ব্যবহার পরিবহন ও সংরক্ষণ বিধি, পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত ইত্যাদি। কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার, মজুদ, মিশ্রন ও পরিবহনের আগে এর নিরাপত্তা তথ্য ও নির্দেশাবলী ভালভাবে পড়তে হবে এবং তা মেনে কাজ করতে হবে।

সনাক্তকরণ ও লেবেলিং

স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল রাসায়নিক দ্রব্যের কনটেইনার / ড্রামে যথাযথভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের নাম, বিপদ সংকেত, উৎপাদক ও সরবরাহকারীর নাম-ঠিকানা সম্বলিত লেবেল লাগাতে হবে। কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার, মজুদ, মিশ্রন ও পরিবহনের আগে এর নিরাপত্তা তথ্য ও নির্দেশাবলী ভালভাবে পড়তে হবে এবং তা মেনে কাজ করলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার

কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার, মজুদ, মিশ্রন ও পরিবহনের আগে এর নিরাপত্তা তথ্য ও নির্দেশাবলী ভালভাবে পড়তে হবে। অনেক রাসায়নিক দ্রব্য আছে যেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরের সংস্পর্শে আসলে ত্বকের বিভিন্ন রোগ হতে পারে এবং চোখের সংস্পর্শে আসলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই রাসায়নিক দ্রব্যের পাত্রে বিদ্যমান বিপদ সংকেত সম্বলিত স্টিকার যেমন ঃ দাহ্য , বিস্ফোরক, জারক , যন্ত্রনাদায়ক, ক্ষয়কারক (ঈড়ৎৎড়ংরাব), ক্ষতিকর (ঐধৎসভঁষ), বিষাক্ত (ঞড়ীরপ), পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর (ঊহারৎড়হসবহঃ যধুধৎফ), নিরাপত্তা ও নির্দেশনা তথ্যাবলী (গঝউঝ) ভালভাবে পড়তে হবে এবং তা মেনে কাজ করলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদির ব্যবহার

ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি বলতে আমরা বুঝি এমন কোন পোশাক পরিচ্ছদ, যন্ত্রপাতি বা বস্তু যা কোন ব্যক্তিকে দূর্ঘটনা ও অসুস্থতার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। কাজের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পি পি ই ব্যবহৃত হয় যেমন ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য কটন মাস্ক (ঈড়ঃঃড়হ গধংশ) ব্যবহৃত হয়। শ্রবনশক্তি রক্ষার জন্য ইয়ার

প্লাগ  ও ইয়ার মাফ , মুখ, চোখ ও মাথার সুরক্ষার জন্য গগলস , ফেইস শীলড  ও হেলমেট  পরিধান করতে হয়। আবার যারা কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবহণ ও সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত তাদেরকে পরিধান করতে হয় রেসপিরেটরি মাস্ক , এ্যাপরোন, হ্যান্ড গ্লোভস , গাম বুট  কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাগত ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কাজ শুরু করার পূর্বে যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি পরিধান করতে হবে। এক্ষেত্রে (ঝধভবঃু ভরৎংঃ) সবার আগে নিজের সুরক্ষা নীতি অবশ্যই মানতে হবে। কারখানার সকল সেকশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। কর্মস্থলে কখনো কোন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি না থাকলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সেকশনের সুপারভাইজার বা কমপ্লায়েন্স বিভাগে জানাতে হবে। কোনভাবেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ছাড়া কাজ করা যাবে না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সকল মেশিনেই সেইফটি ডিভাইস রয়েছে। কোন মেশিনে সেইফটি ডিভাইস না থাকলে তা অবশ্যই মেকানিক্যাল বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

অপচয় রোধ

প্রশিক্ষণের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো অপচয় হ্রাস করা। সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে শ্রমিকরা কাঁচামালের সুষ্ঠু ব্যবহার ও অপচয় রোধে সহায়তা করে ফলে উৎপাদন ব্যয় নূন্যতম মাত্রায় আনা সম্ভব হয়।

গুদামজাতকরণ

পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত সাপেক্ষে কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে হবে। রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ রাখার স্থানে নিরাপত্তা তথ্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির  ব্যবহার সম্বলিত সাইন বিদ্যমান থাকতে হবে। বিপজ্জনক ও অবিপজ্জনক কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের শ্রেনীবিন্যাস অনুযায়ী পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রতিটি কন্টেইনার বা ড্রামে কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্যের নাম ও ক্ষতিকর বিপদ সংকেত সহ লেবেলিং করতে হবে। লেবেল বিহীন কোন কন্টেইনার বা ড্রাম মজুদ বা সংরক্ষণ করা যাবে না।

কেমিক্যাল ব্যবহার পদ্ধতি (সলভি)ঃ

কর্তৃপক্ষ কারখানায় ঝঢ়ড়ঃ জড়ড়স এর ব্যবস্থা করেছেন যাতে করে রাসায়নিক ও কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ ব্যবহারের ফলে কারখানায় বা এর আশেপাশের এলাকার কোন ক্ষতি না হয়। অনেক কেমিক্যাল আছে যেগুলো ত্বক ও ফুসফুসের ক্ষতি করে, পরিবেশ দুষন করে এবং চোখের ক্ষতি করে সেসব রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ও পরিচালনা নীতি জানতে হবে এবং তা মেনে কাজ করতে হবে। কাজ শেষে অতি দ্রুত দূষিত কাপড় খুলে ফেলতে হবে এবং হাত ও মুখ ভালভাবে ধৌত করতে হবে।কর্তৃপক্ষ কমিক্যাল ব্যবহর সংশি−ষ্ট সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ঝুকি কমাতে একটি নির্দেশিকা তৈরী করেছেন। কারখানাতে কাপড়ের দাগ দুর করার জন্য ডিটারজেন্ট পাউডার ও স্পট লিফ্টার (৮.৩৩) নামক একটি দাহ্য তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই দাহ্য তরল পদার্থটির ব্যবহারের সময় যে কোন সম্ভাব্য ঝুকি এড়াতে যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। স্পট লিপ্টার ব্যবহারের সময় পালনীয় বিধি গুলি নিম্নরূপঃ

  • স্পট লিফ্টারের কন্টেইনার গুলি কোন সুনির্দিষ্ট ও সুরক্ষিত স্থানে যথাযথ লেভেলিং ও সনাক্তকরন চিহ্ন সহকারে সংরক্ষন করতে হবে।
  • ধুমপান এবং অন্যান্য সমজাতীয় বস্তু যেমন ম্যাচ বাক্স, ওয়েল্ডিং মেশিন ইত্যাদি স্পট লিপ্টার সংরক্ষন এলাকায় পরিবহন সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ।
  • স্পট লিফ্টার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই হ্যান্ড গ−াভস, প্রতিরোধ মূলক চশমা এবং এ্যাপ্রোন প্রভৃতি পরিধান করতে হবে।
  • স্পট লিফ্টার এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন হস্ত চালিত পাম্পটি সাবধানে পরিচালিত হয় এবং কোনভাবেই অতিরিক্ত গরম না হয়।
  • স্পট লিফ্টার ব্যবহৃত খালি কন্টেইনার গুলি একটি পৃথক স্থানে ঢাকনা যুক্ত বাক্সে সংরক্ষন করা হয় এবং প্রয়োজনবোধে যথাযথ নিরাপত্তা বিধি মেনে তা ফেলে দেয়া হয়।
  • স্পট লিফ্টারের কন্টেইনার কোন কারনেই কাটা যাবে না।
  • স্পট লিফ্টারের খালি কন্টেইনারগুলো অন্য কোন কাজে ফ্যাক্টরীতে ব্যবহার করা যাবে না এবং কর্মীদেরও দেয়া যাবে না।
  • প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেহ স্পট লিফ্টার হ্যান্ডল করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
  • ফ্যাক্টরীর সকলকে স্পট লিফ্টারের এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
রাসায়নিক দ্রব্য কি? রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা গুলো কি কি?

রাসায়নিক দ্রব্য কি? রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা গুলো কি কি?

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা গুলো। রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সময় যাহাতে কোন রাসায়নিক বাইরে পড়ে না থাকে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।কমেক্যিাল স্টোরজে পদ্ধতঃিকমেক্যিালরে নরিাপদ ব্যবহাররে ক্ষত্রেে সঠকিভাবে কমেক্যিাল স্টোরজে খুবই গুরুত্বর্পূন। কমেক্যিাল স্টোরে সকল কমেক্যিাল তাদরে নজি নজি সংরক্ষন পদ্ধতি অনুসারে স্টোরজে করা হয়। বায়ার র্কতৃক প্রদত্ত নীতমিালা অনুযায়ী সকল কমেক্যিালরে লবেলেংি ও এম.এস.ড.িএস নশ্চিতি করা হয়। স্টোররে সকল র্কমীদরে ব্যক্তগিত নরিাপত্তা সরঞ্জাম পরধিান করতে হয়। রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সময় শ্রমিকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিুলিখিত বিষয় গুলি সম্পর্কে সুস্পষ্ঠভাবে অবহিত করেছে :

  • গ্রুপরে সকল ইউনটিে কমেক্যিালরে নরিাপদ ব্যবহাররে লক্ষ্যে নম্নিলখিতিনীতমিালা অনুসরণ করা হয়ঃ
  • ফ্যাক্টরতিকেমেক্যিালপ্রবশেঃফ্যাক্টরতিকেমেক্যিাল প্রবশেরে র্পূবে কয়কেটি ধাপ অনুসরণ করা হয়। প্রথমে কমেক্যিালরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যমেন-এম.এস.ড.িএস, ট.িড.িএস ও গ্যারান্টি লটোর নশ্চিতি করা হয়। পরর্বতীতে কমেক্যিালটি বায়ার র্কতৃক প্রদত্ত নষিদ্ধি কমেক্যিাল তালকিার অর্ন্তগত কনিা তা নশ্চিতি করা হয়। এই সকল ডকুমন্টে কোম্পানরি ই.স.িআর, ওয়াশংি প্লান্টরে প্রধান ও কমপ্লায়ন্সে বভিাগরে দ্বারা নরিীক্ষনরে পরে কমেক্যিালটি স্টোরে প্ররেন করা হয় ।
  • রাসায়নিক দ্রব্যের নিকটবর্তি স্থানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে।
  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আতœরক্ষামূলক হাত মোজা, চশমা এবং মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।
  • রাসায়নিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এলাকায় এ ব্যাপারে সতর্কবাণী প্রদর্শিত আছে।
  • এম,এস,ডি,এস এর ব্যাপারে সকল শ্রমিকগণকে প্রশিক্ষন দিতে হবে।
  • র্কাযক্ষত্রেে নরিাপত্তাঃযথাযথ র্কতৃপক্ষরে দ্বারা অনুমোদতি রকিুইজশিনরে মাধ্যমে কমেক্যিাল স্টোর থকেে উত্তোলন করা হয়। র্কমক্ষত্রেরে নরিাপদ পরবিশে নশ্চিতি করার জন্য নানাবধি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকল র্কমীদরে তাদরে নরিাপত্ত্রা জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম কোম্পানীর থকেে সকল রাসায়নিক দ্রব্যকে নিরাপদ দূরত্বে চিহ্নিত করে রাখতে হবে ।
  • রাসায়নিক দ্রব্য রাখার স্থানে ধুমপান এবং যে কোন ধরণের অগ্নি উৎস হতে সর্বদা দূরে থাকতে হবে।দয়ো হয়। র্কমক্ষত্রেে সকল কমেক্যিালরে এম.এস.ড.িএস দয়ো হয়। জরুরী আই ওয়াশ বসেনি ও অগ্নি নর্বিাপক যন্ত্র যথাযথ স্থানে সংরক্ষন করা হয়।
  • র্কমীদরে প্রশক্ষিনঃমটেরেয়িাল সফেটি ডাটা শটি অনুযায়ী কমেক্যিালরে ব্যবহাররে সাথে সম্পৃক্ত সকল র্কমীদরে প্রশক্ষিন দয়ো হয়। প্রশক্ষিনে কমেক্যিালরে নাম, সরবরাহকারী কোম্পানী নাম, ভৌত বশৈষ্টি, সম্ভাব্য ক্ষতকিারক নর্দিশেনা, প্রাথমকি চকিৎিসা, র্দূঘটনা প্রতরিোধে করনীয়, অগ্নি নর্বিাপন ব্যবস্থা, ব্যবহার ও সংরক্ষন পদ্ধত,ি আত্নরক্ষামূলক সরঞ্জাম প্রভৃতি বষিয়ে বশিদভাবে আলোচনা করা হয়।
  • নয়িমতি স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ কমেক্যিালরে নড়াচড়ার সাথে সংশ্লষ্টি শ্রমকি, র্কমচারী ও র্কমর্কতা সকলরেই কোম্পানরি মডেক্যিাল অফসিার দ্বারা ২ মাস অন্তর অন্তর নাক, কান, গলা ও ফুসফুস ইত্যাদরি পরীক্ষা করা হয় এবং রর্কেড সংরক্ষণ করা হয়।
  • ই.ট.িপঃি ওয়াশংি প্লান্টরে কমেক্যিাল মশ্রিতি পানি ই.ট.িপি প্লান্টে পরশিোধনরে মাধ্যমে পরবিশেে ছাড়া হয়। পরশিোধতি পানরি ইঝজ ঝঞঅঘউঅজউ বজায় রাখা হয়।
  • তরল রাসায়নিক ব্যবহারের পর ফ্লোর/মেঝে এবং পাত্রের উপরিভাগে উচ্ছিষ্ঠ রাসায়নিক শুকনো স্পঞ্জ/ শুকনো কাপড় দিয়ে দ্রুত পরিস্কার করতে হবে।
  • শুন্য রাসায়নিক কন্টেইনার / কার্টুন কে নিক্ষিপ্ত অবশিষ্টাংশ ও অন্য যে কোন কারনের জন্য কাটা যাবে না।কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রশিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
  • র্বজ্য ব্যবস্থাপনাঃকমেক্যিাল কন্টইেনাররে অবশষ্টি কমেক্যিাল পানি দয়িে ধুয়ে ই.ট.িপি প্লান্টে ফলেতে হব।ে ই.ট.িপি প্লান্টরে থকেে উৎপন্ন র্বজ্য নর্দিষ্টি স্থানে মাটি চাপা দয়িে সংরক্ষন করতে হব।ে
  • সকল রাসায়নিক দ্রব্যকে আলাদাভাবে নাম লিখে উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষন করতে হবে ।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ

জীবকিার চাহদিায় মানুষ বভিন্নি পশোয় নয়িোজতি থাক।ে র্কমক্ষত্রেে কউে কউে ঝুঁকপর্িূন পরবিশেে কাজ করে থাক।ে র্কমক্ষত্রেে কমেক্যিালরে ব্যবহার ঝঁকপর্িূন পশোর অর্ন্তগত। কন্তিু আল গ্রুপরে বশ্বিাস এই য,ে সঠকি প্রশক্ষিন ও সচতেনতার মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনকোংশে রোধ করা যায়।এই উদ্দশ্যেে আল গ্রুপরে সকল ইউনটিকেমেক্যিালরে নরিাপদ ব্যবহাররে লক্ষ্যে একটিনীতমিালাঅনুসরণ করা হয় ।
নীতমিালার ফলোআপ ও বাস্তবায়ন র্পষদঃফ্যাক্টরতিে নরিাপদে কমেক্যিালরে ব্যবহার নশ্চিতি করার লক্ষ্যে কমেক্যিাল ব্যবহাররে সহতি সংশ্লষ্ঠি সকলকে র্পযাপ্ত প্রশক্ষিন দওেয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং সঠকিভাবে তাহা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নয়িমতি ফলোআপ নম্নিলখিতি কমটিরি মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়-

র্কাযসূচীঃ এ পলসিি কারখানার অভ্যন্তরে বাস্তবায়নরে লক্ষ্যে প্রশক্ষিন র্কমসূচরি আয়োজন করা হবে এবং মাসকি মটিংি পরচিালনা করা হব।ে দায়ত্বিপ্রাপ্ত নরিাপদ কমেক্যিালরে র্কমস্থলে যথাযথ রক্ষনাবক্ষেন, আত্ন্ররক্ষামূলক সরঞ্জামাদরিব্যবহার নশ্চিতিকরন ইত্যাদি বষিয়ে দনৈকি, সাপ্তাহকি, মাসকি র্কাযসূচ/িমটিংি অব্যাহত রখেে নরিাপদ র্কম পরবিশে নশ্চিতিকরণতেৎপর থাকবনে।
যোগাযোগরে মাধ্যমঃ কারখানায় নরিাপদ কমেক্যিাল ব্যবহার নশ্চিতিকরণরেলক্ষ্যে র্পূনাঙ্গ নীতমিালাটি কারখানার বভিন্নি নোটশির্বোডে সকলরে অবগতরি জন্য প্রর্দশন করা থাকব।ে নরিাপদ কমেক্যিালরে ব্যবহার ও নড়াচড়ার বষিয়ে সাউন্ড সস্টিমেে সকলরে উদ্দশ্যেে নীতমিালার সারাংশ সম্প্রচারকরা হয়ে থাক।ে গনওএইপলসিরিবষিয়াদমিনটিরংিএরদায়ত্বিনেয়িোজতিথাকবনে।
ফডিব্যাকঃ কারখানারকোথাও যদি এই পলসিরি র্কাযক্রম বাস্তবায়ন না হয় তাহলে র্কাযকরি র্পষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।ে এমনকি প্রয়োজন হলে মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরচিালকরে হস্তক্ষপে প্রয়োজন হতে পার।ে
পরশিষ্টিঃ কারখানার সকলে এই নীতমিালা অনুযায়ী কমেক্যিাল ব্যবহার করছে কনিা, নড়াচড়া ঠকিমত হচ্ছে কনিা, স্টোরজে পদ্ধতি ঠকিমত হচ্ছে কনিা, আত্নরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার হচ্ছে কনিা, কমেক্যিাল ড্রামে যথাযথ লবেলেংি আছে কনিা এবং শূন্য ড্রাম ইটপিরি মাধ্যম হয়ে সংরক্ষতি হচ্ছে কনিা ইহা নশ্চিতি করা আমাদরে লক্ষ্য ও অঙ্গীকার।