অনুযোগ প্রক্রিয়া Grievance Procedure কি?

অনুযোগ প্রক্রিয়া Grievance Procedure কি? তথ্য নির্ভর বর্ণনা সহ

অনুযোগ প্রক্রিয়া

অনুযোগ প্রক্রিয়া -গ্র“পের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট ও আইনসম্মত প্রক্রিয়া পরিচালিত করে থাকে। ক্ষতিগ্রস্থ অথবা ক্ষোভ প্রকাশে ইচ্ছুক অথবা অন্য কোন আইনগত বিষয়ে প্রতিকার পেতে ইচ্ছুক কোন শ্রমিককে, মালিক অথবা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার অভিযোগ অথবা মতামত প্রকাশ শ্রমিক ও কর্মচারীর যদি কোন অনুযোগ (হতাশ, অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ, বদলি, অবসান, ছাটাই ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যার সৃষ্টি হলে তাহা কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুততার সহিত নিরপেক্ষভাবে প্রতিকার করে থাকে।) …

অনুযোগ পদ্ধতি ঃ

এই অনুযোগ পদ্ধতি পুরুষ কর্মী এবং মহিলা কর্মীদের মধ্যে সমানভাবে প্রযোজ্য হইবে।

অনুযোগ পদ্ধতির সংজ্ঞাঃ

২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন ৩৩ ধারা অনুসারে যদি কোন শ্রমিক (যে শ্রমিকের পদচ্যুতি, কর্মচ্যুতি, ছাঁটাই, লে-অফ অথবা অন্য কোন ভাবে কর্মচ্যুতি হয়েছে তারাও এ শ্রমিক সংজ্ঞার ভিতরে পড়বে) এ আইনের আওতাধীন কোন বিষয় সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে এবং সে যদি তার প্রতিকার চায় তবে তাকে নিæলিখিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবেঃ-

অনুযোগ পদ্ধতির উদ্দেশ্য ঃ

অনুযোগ পদ্ধতি দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিভিন্নমুখী বিরোধের। উন্নত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করে।

সুষ্ঠু এবং সুন্দর কর্ম পরিবেশের জন্য ইন্ডাষ্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, তাহাদের শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুযোগ পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত প্রদান করিয়াছেন। নিæলিখিত ধারাবাহিকতায় অনুযোগ পদ্ধতি চালু হইবে ঃ অনুযোগ প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্র“প নিম্নবর্ণিত নিয়মনীতি মেনে চলে।

প্রথম ধাপ ঃ সুপারভাইজার

একজন শ্রমিক বা কর্মচারীর মধ্যে কোন হতাশ, অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ বা সমস্যার সৃষ্টি হলে সর্ব প্রথম তার উপরস্থ সুপারভাইজারের সাথে আলোচনা করবেন। অতপর সুপারভাইজার সমস্যাটি তিন (০৩) দিনের মধ্যে নিরপেক্ষতার সহিত প্রতিকার না করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক দ্বিতীয় ধাপে যেতে পারবেন।

দ্বিতীয় ধাপ ঃ উৎপাদন ব্যবস্থাপক

যদি উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারীর সমস্যা প্রথম ধাপে সমাধান না হয়, সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সমাধানের জন্য সে তার নিজ বিভাগের ব্যবস্থাপক এর সাথে আলোচনা করতে পারবেন। অতপর শ্রমিক যদি তার নিরপেক্ষ প্রতিকার না পান মনে করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তৃতীয় ধাপে যেতে পারবেন।

তৃতীয় ধাপ ঃ কল্যাণ কর্মকর্তা

যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের ব্যাপারে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী কল্যান কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রেও যদি শ্রমিক সমাধান না পান, তবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী চতুর্থ ধাপে যেতে পারবেন।

চতুর্থ ধাপঃ ব্যবস্থাপক,এইচ. আর এন্ড কমপ্লায়েন্স

উপরোক্ত ধাপে শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের ব্যাপারে যদি কোন সমাধান না পেয়ে থাকেন, তা হলে ব্যবস্থাপক, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স কে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রেও যদি শ্রমিক সমাধান না পান, তবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী পঞ্চম ধাপে যেতে পারবেন।

পঞ্চম ধাপ ঃ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক

চুড়ান্ত ধাপ হিসাবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের জন্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সহিত আলোচনা করতে পারবেন । সংশ্লিষ্ট্ কর্মচারী তার অভিযোগের কারণ বর্ণনা করে লিখিতভাবে ওই কারণ ঘটার ১৫ দিনের ভিতরে কর্তৃপক্ষকে রেজিষ্ট্রি ডাকে জানাবেন এবং কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে তদন্ত করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তার বলার সুযোগ দিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানাবেন।

কর্তৃপক্ষ ৩৩(২) ধারানুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হলে অথবা কর্মচারী এ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে, যদি অনুযোগ ১৯৬৯ সালের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের বিধান মতে ’শিল্প বিরোধ’ হিসাবে আগেই উত্থাপিত অথবা অন্যভাবে শিল্প বিরোধ হিসাবে গ্রাহ্য না হয়ে থাকে তাহলে ওই শ্রমিক ৩৩ (৩) ধারা মতে সর্বশেষ তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অথবা সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন শ্রম আদালতে নালিশ করতে পারেন।  

খাবার পানির ব্যবহার

০১. ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে রাখা খাবার পানির কল থেকে পানি গ্লাসে ঢেলে পান করুন।

০২. পানি গ্লাসে ঢালার পর পানির কল বন্ধ করুন।

০৩. খাবার পানি দিয়ে হাত মুখ বা অন্য কিছু ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।

০৪. পানি যাতে ফ্লোরে না পড়ে সেদিকে সতর্ক থাকুন।

০৫. খাবার পানির অপচয় রোধ করুন।

নীতিমালাঃ

  • অনুযোগ / আভিযোগের  বিপরীতে যে সিদ্ধান্তই দেওয়া হউক না কেন মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসানের আদেশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা যাইবেনা যদি না আদেশটি সংশ্লিষ্ট  শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ডের কারণে অথবা উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে প্রদ্ত্ত হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করা হয়, অথবা যদি তাকে উক্ত ধারার অধীন প্রাপ্য সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হয়। শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত ছোট অভিযোগ তাদের উপরস্থ তত্বাবধায়ককে জানাবেন। উপরোস্থ তত্বাবধায়ক সেকশনে এবং সেকশন প্রধানের মাধমে মানবসম্পদ বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অভিযোগের সমাধান দিবেন।
  • লে-অফ, অপসারন অথবা অন্য যে কোন কারনে চাকুরীর অবসান হয়েছে এরুপ বরখাস্ত, ডিসচার্জ, ছাটাই, যে কোন বিষয়ে সস্পর্কে যদি কোন অভিযোগ কর্ম/চারীরগনের অথবা কারখানায় কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারী থাকে এবং উক্ত অভিযোগ থেকে হতে যদি প্রতিকার পেতে ইচ্ছুক হন তাহলে অভিযোগের কারন অবহিত হওয়ার ৩০দিনের মধ্যে অভিযোগটি সরাসরি গ্রহন করে লিখিত আকারে রেজিষ্ট্রি ডিকযোগে সরাসরি মানবসম্পদ বিভাগে অভিযোগটি সরাসরি গ্রহন করে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার করবেন। অভিযোগ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করে সংর্শ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারীকে শুনানীর সুযোগ দিয়ে তৎ সম্পর্কে মানবসম্পদ বিভাগে লিখিত ভাবে জানাবেন।
  • মানবসম্পদ বিভাগ যদি কোন অভিযোগের সিন্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারী উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন তাহলে মানবসম্পদ বিভাগের সিদ্ধান্তের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে লিখিত ভাবে অভিযোগ পেশ করতে হবে।

সারাংশ

উপরোক্ত অনুযোগ প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি স্থগিত করার ক্ষমতা বহন করে। কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে আহŸান করা যাইতেছে যে, কোম্পানীর স্বার্থে এবং তাহাদের নিজেদের সুবিধার্থে উপরোক্ত অনুযোগ পদ্ধতি প্রচলিত করিতে কর্র্তৃপক্ষকে সর্বাতœক সহযোগীতা করবেন।  

Comments

3 responses to “অনুযোগ প্রক্রিয়া Grievance Procedure কি? তথ্য নির্ভর বর্ণনা সহ”

Leave a Reply