পোশাক শিল্পে সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা

পোশাক শিল্পে সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা বা পদ্ধতি সমুহের চমৎকার বর্ণনা

সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা

ভূমিকাঃ  শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্য হবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করা, মালিক ও শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষন করা, আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের উদ্ভুত সমস্যার সমাধান করা, পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বুদ্ধ করা এবং কারখানার সার্বিক উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণকে সক্রিয় রাখা। নীটওয়্যার লিঃ তাদের শ্রমিক/কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ত্রয়োদশ অধ্যায়ের ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ এর ১৭৬ ধারা মোতাবেক ওরিয়ন গ্রুপ আইন সংগত ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠন করার স্বাধীনতা প্রদান করে। ট্রেড ইউনিয়নের কাজ হবে তার সদস্যদের স্বার্থ উন্নয়ন করা এবং এ লক্ষ্য অর্জনে মালিকের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।
নীটওয়্যার লিঃ শ্রমিকবৃন্দের সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন করাকে সমর্থন করে এই সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা প্রনয়নে, অংশগ্রহন ও যোগদানের ক্ষেত্রে, অন্য কোন সংস্থা বা কনফেডারেশনের সাথে সম্বন্ধীকরনে এবং উক্ত বিষয় সর্ম্পকীত কর্মসূচী প্রনয়নের ব্যাপারে ব্যাবিলন গ্রুপ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কোনরূপ নিরুৎসাহিত বা হুমকি প্রদান করে না। সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতার নীতি নিুরূপ ঃ

  • ভেদাভেদ নির্বিশেষে কোনরূপ পূর্ব অনুমতি ছাড়াই কেবল সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিধিমালা সাপেক্ষে নিজেদের পছন্দমত সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং সংগঠনে যোগদানের অধিকার এ্যাপারেল্স লি: এর সকল শ্রমিকদের আছে।
  • শ্রমিকদের এবং মালিকদের সংগঠনসমূহের নিজস্ব সংবিধান ও বিধিমালা প্রণয়নের, সম্পুর্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নির্বাচনের, সংগঠনের প্রশাসন ও কর্মতৎপরতা, সংগঠনের এবং কর্মসুচী প্রণয়নের অধিকার আছে।
  • শ্রমিকদের ও মালিকদের সংগঠন সমুহের ফেডারেশন বা কনফেডারেশন এবং অনুরূপ যে কোন সংগঠন গঠনের ও তাতে যোগদানের অধিকার থাকবে এবং অনুরূপ ফেডারেশন বা কনফেডারেশন সমুহের মালিক বা শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও কনফেডারেশনের সাথে সংগঠন ভুক্ত হওয়ার অধিকার থাকবে।
  • শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠন সমুহকে উপরোক্ত বিধান সমুহের অধিনে অধিকার প্রয়োগের বেলায় দেশের আইনের প্রতি অনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে।
  • শ্রমিকদের সংগঠন অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইন অনুযাযী যথাযত কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রি করাতে হবে।
  • কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সংগঠনের কার্য্যাবলী বা সংগঠনের প্রতি খোলামন নীতি গ্রহণ করবেন।
  • দেশে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযাযী শ্রমিকদের প্রতিনিধির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না এবং কার্য্যক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধির কার্য্যাবলীর জন্য সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে।
  • কোন শ্রমিক একই সময় একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহন করতে বা সদস্য পদ অব্যাহত রাখতে পারবে না।
  • কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন কিনা তার ভিত্তিতে চাকুরীতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকরীর শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না।
  • নিুোক্ত কারণে কোন শ্রমিককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারনের হুমকি দেয়া কিংবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়া যাবে না-

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ  :

১) আইন অনুযায়ী কার্যকর বিল্ডিং কাঠামো এবং ক্ষতিকর দ্রব্যাদি সংরক্ষন নীতি তৈরী এবং বাস্তবায়ন করা।
২) রাসায়নিক মজুদ নিয়ন্ত্রন বা হস্তান্তর সর্ম্পকে কর্মচারীদের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
৩) অন্যান্য বর্জ্য বস্তুুর সাথে রাসায়নিক মিশ্রিত হয়নি, এটা নিশ্চিত করা এবং গ্রীজ জেনারেটরের মাধ্যমে তেল পৃথকীকরন এবং গ্রীজের মাধ্যমে তেল সংগ্রহ করা।
৪) বর্জ্যরে ধরনের ক্ষেত্রে বৈধ বিধ বিধান অনুযায়ী এগুলোকে ফেলে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বর্জ্যগুলো এমনভাবে মজুদ করতে হবে যাতে এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে।
৫) পরিবেশ নীতিসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাব্বায়ন করা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির পদবী ঃ ম্যানেজার – কমপ্লায়েন্স
৬) ফ্যাক্টরীর পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিসমূহ সর্ম্পকে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সকল সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষন প্রদান করা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নথিপত্রকরণ

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিবেশ সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করেন। যন্ত্রপাতি পরিচালনা করার জন্য প্রবাহশীল পানি, নির্গমন, বর্জ, প্রয়াজনীয় অনুমোদন বিষয় ডকুমেন্ট করেন। কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহারশীল ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্লান্টস ও পানির মান সর্ম্পকে অবশ্যাই অনুমোদন উম্মোচন করেন এবং সকল নথিপত্র সংরক্ষন করেন। যদি উক্ত শ্রমিক কোন সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা হয়েছেন বা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য কোন ব্যক্তিকে সম্মত করানের চেষ্টা করছেন

উপসংহার

কোন সংগঠন গঠনের বা সংগঠনের স্বার্থ সংরক্ষণের বা সংগঠনের কর্মতৎপরতা চালানোর কাজে অংশগ্রহণ করেছেন । কোন শ্রমিককে সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা না হওয়ার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হয়ে থাকলে তা বর্জনের জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান বা প্রদানের প্রস্তাব করা যাবে না। কাজ চলাকালে কোন শ্রমিককে সংগঠনে যোগদানের জন্য অথবা যোগদান থেকে বিরত থাকার জন্য সম্মত করার চেষ্টা করা যাবে না। সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা বিরত থাকার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকার বা না থাকার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভিতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোন শ্রমিক কোনরূপ সুযোগ সুবিধা প্রদানের বা সুযোগ সুবিধা আদায় করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে যোগদান থেকে বিরত থাকার অথবা সদস্য পদ ত্যাগ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবে না।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “পোশাক শিল্পে সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা বা পদ্ধতি সমুহের চমৎকার বর্ণনা”

Leave a Reply