Select Page
একটি আদর্শ কারখানার কি কি সামাজিক নীতিমালা থাকা উচিৎ?

একটি আদর্শ কারখানার কি কি সামাজিক নীতিমালা থাকা উচিৎ?

সামাজিক নীতিমালা

  • সফল বানিজ্যিক কৌশলের মৌলিক বিষয় হল সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সঠিক কাজের পরিবেশ ।
  • আমাদের প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা শ্রমিকদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, আমাদের উৎপাদন এলাকায় নিয়োজিত সকল শ্রমিকদেও প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল আইন ও ধারা মেনে চলা হবে।
  • দেশের প্রতি দেশপ্রেম এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা শ্রমিক সাধারনের নিমিত্তে নিম্নলিখিত নীতি সমূহ মেনে চলব ঃ
  • আমরা বাধ্যতামূলক ও জোরপূর্বক শ্রমকে নিন্দা করি।
  • আমরা, মালিক-শ্রমিক পারষ্পরিক সুস্থ্য ও সুন্দর সম্পর্কে বিশ্বাসী।
  • আমরা, শ্রমিক-মালিক পারষ্পরিক যে কোন বৈধ সংগঠনকে উৎসাহিত করি।
  • আমরা যে কোন বৈষম্যকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করি।
  • প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সরকার কর্তৃক নির্দেশিত আইন ও বিধান সমূহ প্রয়োগ করি।
  • শ্রমিক সাধারনের অধিকতর সুবিধার্থে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সুপারিশ ও হায়িকার মূল্যায়ন করি।
  • আমরা শ্রমিকদের প্রতি সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল সুবিধা ও পাওনাদি প্রদানে অংগীকারবদ্ধ।
  • Read in English Version

আচরণ বিধি সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতি

অটোকম্পোজিট লিঃ  এর কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত খাতগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ যা কার্যক্ষেত্রে কঠোর ভাবে অনুসরন করে থাকেঃ

১. প্রচলিত আইন এবং কর্মক্ষেত্রের বিধিনিষধ এর যথার্থ

কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।  প্রচলিত আইন ও বিধি, আÍর্জাতিক বানিজ্য নীতিমালা ও ক্রেতা সাধারণের  নীতি মালার সাথে সামঞ্জস্যতা রেখেঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

২. বাধ্যতামূলক শ্রম নিসিদ্ধ ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগ করে শ্রম আদায়ের পরিপন্থী।অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কোন শ্রমিককে বলপ্রয়োগ করে কাজে বাধ্য  করে না, কোন প্রকার জামানত গ্রহণ কিংবা বন্ধকী রেখে শ্রম গ্রহণ দৃঢ় ভাবে পরিহার করেন এবং যে কোন ধরনের বাধ্যতামূলক শ্রম যেমন প্রিজন লেবার, ইনডেনজার্ড লেবার, বন্ডেড লেবার ইত্যাদি থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকে।

৩. শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ নিজ দেশের প্রচলিত আইন ও আইএলও – এর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোন শিশুশ্রম ব্যবহার করে না অর্থাৎ শ্রমিক নিয়েগ কালীণ সময় নির্দিষ্ট শ্রম নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয়। বয়সের নির্ভূলতা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা সনদপত্র / তারিখ সনদপত্র / আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সনদপত্র এবং রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত বয়স সংক্রান্ত সনদপত্র সংগ্রহ করা এবং তা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক।

৪. হয়রানী ও গালমন্দ  ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ – এর কর্তৃপক্ষ অত্র কারখানায় কর্মরত সকল মহিলা/পুুরুষ শ্রমিক/কর্মীদের অধিকার ও সম্মান রক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, হয়রানী ও উৎপীড়ন প্রতিরোধ কল্পে দূঢ় প্রতিজ্ঞ। কোন মহিলা/পুুরুষ কর্মচারী যেন কোন ধরনের দৈহিক, মানসিক, মৌখিক, যৌন হয়রানী বা অপব্যবহারের শিকার না হয়, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সোচ্চার এবং এ লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেছেন।

৫. বৈষম্যহীনতা/ সম-অধিকার ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ – এর কর্তৃপক্ষ  শ্রমিকদের মৌলিক মানবিক অধিকার রক্ষা করে এবং সমুন্নত রাখে। চাকুরীর জন্য নিয়োগ, বেতন, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি, অপসারণ ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতি, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, জাতীয়তা, প্রতিবন্ধিতা, বৈবাহিক অবস্থা, গর্ভাবস্থা, রাজনৈতিক বিশ্বাস ইত্যাদি নির্বিশেষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও বিবেচনা থেকে সম্পূর্নরুপে বিরত থাকে এবং উৎসাহিত বা সহায়তা করে না এবং নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলে।

৬. সংগঠনের স্বাধীনতা ও যৌথ দরকষাকষি ঃ

কম্পোজিট লিঃ – এর কর্তৃপক্ষ মনে করেন প্রত্যেকে অধিকার আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে শ্রমিক সংঘ বা ট্রেড ইউনিয়নে অংশ গ্রহণ করতে পারে। সংঘ প্রতিনিধি প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সমস্যার সমাধান করার অধিকার রাখেন। কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একমত যে, আলোচনা-পর্যালোচনা সঠিক সমাধানের সহায়ক। শ্রমিকদের পছন্দমত যে কোন সংস্থায় যোগাযোগের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের অনুশীলন এবং যৌথ দর কষাকষির জন্য শ্রমিক কল্যাণ সংঘে যোগদানকে নিরুৎসাহ বা বাধা প্রদান করায় কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসী নই।

৭. স্বাস্থ্য নিরাপত্তা  ঃ

নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত কর্মপরিবেশ উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে অটোকম্পোজিট লিঃ – এর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বাÍবায়ন ও নিয়মিত অনুশীলনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা কল্পে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন, স্বাস্থ্য রক্ষায় ডাক্তার ও র্নাস নিয়োগ প্রদান, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার এর ক্ষেত্রে এমএসডিএস নিশ্চিতকরণ ও পরিছন্ন কর্মী দ্বারা পরষ্কিার-পরিছন্নতার ব্যবস্থাকরণঅটোকম্পোজিট লিঃ – এর নীতির অর্Íভূক্ত। কোম্পানী একটি পূর্ণাঙ্গ নিয়মনীতি, অবকাঠামো ও সংস্কৃতি অনুসরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক ও কর্মচারীদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্বিকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় ও উদ্বুদ্ধ করে। কোম্পানী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন ও অভিজ্ঞতার আলোকে প্রচলিত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি বিধানের অধিকতর উৎকর্ষ সাধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে মনোযোগী থাকে।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিমালার ক্ষেত্রে কোম্পানী সব সময় দেশের প্রচলিত আইন এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করে চলে। যে ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা নেই সে ক্ষেত্রে কোম্পানী নিজস্ব মানদন্ড প্রনয়ন ও প্রয়োগের ব্যবস্থা করে। কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ উৎস নির্ণয় এবং তার যথাযথ প্রতিকার কল্পে কোম্পানী সর্বদাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেষ্ট থাকে। একটি গ্রহণযোগ্য নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি কল্পে কোম্পানীতে নিয়োজিত সকল প্রকার শ্রমিক, কর্মচারী এবং কোম্পানীর সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভবে জড়িত সকল বহিরাগতদের উপযুক্ত জ্ঞানদানে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তা মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহনে কোম্পানী সর্বদাই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

কেম্পানী সকল শ্রমিকের সাথে পূর্ণ মর্যাদা এবং শ্রদ্ধা সহকারে ব্যবহার এবং তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করে এবং কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত সকল নিয়ম নীতিমালা পালন করে। কোম্পানী যে কোন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন থেকে বিরত থাকা নিশ্চিত করে।

৮. মজুরী ও সুবিধাদি ঃ  প্রচলিত আইন ও শিল্প আইনানুযায়ী নূন্যতম মুজুরী, অতিরিক্ত কাজের মুজুরীর হার ও অন্যান্য ভাতা সমূহ নির্ধারণ, পরবর্তী মাসের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে মুজুরী, অতিরিক্ত কাজের মুজুরী ও অন্যান্য ভাতা সমূহ প্রদান এবং নিয়োগের পূর্বে নিয়োগ প্রার্থীকে পাওনাদী সর্ম্পকৃত তথ্যাদি অবহিতকরণঅটোকম্পোজিট লিঃ – এর নীতির অপরিহার্য অংশ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত শ্রম এবং শিল্প কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ন্যূনতম বেতন অধ্যাদেশের অনুমোদন মোতাবেক নোটিফিকেশন অনুযায়ী কোম্পানী তার কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়।

৯. কার্য সময়  ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ – এর কাজের সময়-সূচী প্রচলিত আইন ও শিল্প সর্ম্পকৃত নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত। প্রতি সাত দিনে একদিন কারখানা বন্ধ থাকবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সপ্তাহে সাধারণ কর্ম ঘন্টা ৪৮ এবং অতিরিক্ত কর্ম ঘন্টা ১২, অর্থাৎ এক সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার বেশী কাজ করানো নিষিদ্ধ। তবে উৎপাদনের বৃহৎ স্বার্থে কখনো কখনো বন্ধের দিনেও কাজ করানো যাবে কিন্তু শর্ত থাকে যে, উক্ত দিনের ছুটি অন্য কোন কর্ম দিবসের সাথে অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে। তবে নিশ্চিত করতে হবে যে, ১২ (বার) মাস সময়কালের মধ্যে কোম্পানী কোন শ্রমিককে প্রতি সপ্তাহে ৬০ (ষাট) ঘন্টার উপরে এবং এক বছরে সপ্তাহে গড়ে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার উপরে কাজ করার অনুমোদন প্রদান করা যাবে না।

১০. শৃঙ্খলার অনুশীলন ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, কর্ম পরিবেশ সুষ্ঠু ও সু-শৃঙ্খল নিয়মে পরিচালিত করতে হলে শৃঙ্খলার অনুশীলনের বিকল্প নাই। প্রচলিত আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, আইনানুযায়ী ব্যবস্থাপত্র গ্রহন ও অনুশীলন কর্ম পরিবেশকে উন্নয়নের ধারায় বাহিত করে ও সমস্যা মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

১১. পরিবেশগত বিধি বিধান ঃ

পরিবেশ দূষন মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট বর্জ দ্বারা পরিবেশ যেন দূষিত না হয় এবং বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন সঠিক নিয়মে স্থানান্তর ও পরিশোধিত হয় সে বিষয়ে     অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সকল প্রকার প্রাসঙ্গিক/সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইনের প্রতি কোম্পানী অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং মেনে চলার ব্যাপারে সর্বদাই দৃঢ়ভাবে অংগীকারবদ্ধ। পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল সংরক্ষণ, ব্যবহার ও অপসারণের ক্ষেত্রে কোম্পানী সর্বদাই পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিদ্যমান যাবতীয় নিয়মনীতি মেনে চলার এবং আদর্শ পন্থা সমূহ উদ্ভাবন ও পালন করার ক্ষেত্রে সর্বদাই সচেষ্ট থাকে।

১১. সরবরাহকারী নিয়ন্ত্রন ঃ আর্ন্তজাতিক বানিজ্য প্রক্রিয়ায় সরবরাহকারীর উপস্থিতি অনস্বীকার্জ।অটোকম্পোজিট লিঃ সেই সকল সরবরাহকারীর সাথে ব্যবসা করবে যারা স্থানীয় এবং আর্ন্তজাতিক আইন পালনে বদ্ধ পরিকর। আইন পরিপন্থি বানিজ্য পরিচালনাঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কাম্য নয়।

১২. শুল্ক কম্প−ায়েন্স  ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ সকল ধরনের প্রযোজ্য আমদানী/রপ্তানী সংক্রান্ত শুল্ক আইনসমূহ মেনে চলে। বিশেষ করে তৈরী পণ্যের জাহাজিকরনের ক্ষেত্রে যাবতীয় শুল্ক আইন ও অবৈধ ট্রান্সশিপমেন্ট সংক্রান্ত আইনসমূহ গুরুত্ব সহকারে পলন করে।

১৩. নিরাপত্তা  ঃঅটোকম্পোজিট লিঃ বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদিত পন্য ও সকলের নিরাপত্তা কার্যক্রম নিশ্চিত করে, যাতে বাহিরে প্রেরিত মালামলের মধ্যে তালিকা বহির্ভূত কোন বস্তুর অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে (বিশেষতঃ নেশা উদ্রেককারী বস্তু বা মাদকদ্রব্য, বিস্ফোরক, জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে এমন বস্তু এবং / আথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ বস্তু)।

পোশাক শিল্পে হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা গুলো কি কি? অসদাচরন সমূহ

পোশাক শিল্পে হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা গুলো কি কি? অসদাচরন সমূহ

হয়রানী ও নির্যাতন প্রতিরোধ নীতিমালা

হয়রানি বা অসদাচরণ ঃ

গ্র“প কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রতি যে কোন প্রকার অন্যায় আচরণ ও হয়রানিমূলক ব্যবহার প্রতিরোধে সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন। কোন ব্যক্তি যদি কোন অবস্থায় কোন ধরনের হয়রানি বা অসদাচরন করে বা কাউকে করতে উৎসাহিত করে তবে কর্তৃপক্ষ প্রচরিত নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।আরও পড়ুন 

শ্রমিকদের নির্যাতন প্রতিরোধ এ এগিয়ে আসতে হবে।

হয়রানি বা অসদাচরণ অন্তভূক্ত বিষয়ঃ

ক) অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার ঃ নিয়মিত উচ্চস্বরে হাকডাক এবং/অথবা অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার।
খ) মৌখিক হয়রানিঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া।
গ) মানবিক হয়রানি ঃ কাউকে মৌখিক বা আচরনগতভাবে অপদস্থ করা যেমন, কোন কিছু ছুড়ে মারা।
ঘ) যৌন হয়রানিঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/গ্রহন। এমন কোন শারীরিক বা মৌখিক আরচন যা যৌনতার সংজ্ঞায় পড়ে।
ঙ)শারীরিক অপমান ঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা শারিরীক অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরণ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধঃ

ক) মৌখিকভাবে গালিগালাজ করে কোন শ্রমিককে হয়রানি করা যাবে না।
খ) কোন শ্রমিককে শারীরিক নির্যাতন কিংবা মারধর করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গ) মানিসক পীড়াদায়ক কোন আচরণ করা যাবে না।
ঘ) অঙ্গ ভঙ্গীর সাহায্যে কোন শ্রমিকের সাথে উদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
ঙ) কোন শ্রমিকের প্রতি কোন প্রকার বস্তু নিক্ষেপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করানোর জন্য কোন বস্তু প্রদর্শন করা যাবে না।
চ) কোন শ্রমিককে কোন অন্যায় কাজের জন্য শাস্তিস্বরুপ কারখানার বাইরে অবস্থান করতে যস¡ যাবে না।
ছ) কোন শ্রমিককে কোন প্রকারেই খাবার পানি গ্রহণ করতে বাধা দেয়া যাবে না।
জ) কোন শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই টয়লেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া যাবে না।
ঝ) কোন শ্রমিককে কোন অস্থাতেই শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না।
ঞ) কোন শ্রমিককে যে কোন ধরণের অন্যায় আচরণের জন্য মজুরী কর্তন বা মজুরী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।

রপ্তানীমূখী পোশাক শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিতপ্রাণ শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সবার জন্য যথাযথ সম্মান নিয়ে কাজ করার ব্যবস্থা করলে তা শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যেই স্ক্যানডেক্সগ্র“প এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর যে পরিবেশ সকল প্রকার হয়রানী ও গালিগালাজ মুক্ত হবে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা কি? CSR নীতিমালা গুলো কি কি?

সামাজিক দায়বদ্ধতা কি? CSR নীতিমালা গুলো কি কি?

সামাজিক দায়বদ্ধতা CSR নীতিমালা

ভূমিকা :অটোকম্পোজিট লিমিটেড একটি প্রাইভেট ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানী। ইহার সামাজিক দায়বদ্ধতা কোম্পানীর রেজিষ্ট্রিকৃত/ নিবন্ধিত অফিস / কার্যালয় অবস্থিত। কোম্পানীর পলিসি এবং প্রসিডিউর ম্যানুয়েল অর্থাৎ নীতিমালাও পদ্ধতিগত কার্যসমূহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের জন্য সামাজিক, নৈতিক, মানবিক দৃষ্টিকোন  থেকে কল্যানমূলক তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাটিফিকেশন

উদ্দেশ্য ঃ কর্মস্থলে একটি সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি বজায় রাখতেঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। কর্মস্থলে গোত্র, সংস্কৃতি, মুল্যবোধ, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা ও আংশিক শারীরিক অক্ষমতা নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার প্রদানে কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসী।

প্রযোজ্য ক্ষেত্র ঃঅটোকম্পোজিট লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রচলিত আইন সমূহ এবং নীতিমালা  কার্যকর করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ দূঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আইনানুযায়ী অত্র কারখানা পরিচালিত এবং কর্মরত সকল বিভগের শ্রমিক/ কর্মচারী ও কর্মকর্তা গনের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য।

একটি চমৎকার কর্মক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হতেঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারাবদ্ধ। প্রতিনিয়ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ দক্ষতা আর সার্বিক সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে নিয়োজিত কর্মশক্তির মান উন্নয়নঅটোকম্পোজিট লিঃ এর নিশ্চিত লক্ষ্য।  প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবস্থাপনা, পর্যালোচনা, সবস্তরে উম্মুক্ত মতামত প্রদানের পরিবেশ তৈরি, নীতিমালা উন্নয়ন, রাষ্ট্রীয় কিংবা স্থানীয় নিয়মনীতি, শিল্প বিষয়ক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক নীতিমালা মেনে চলতে এবং কার্যকরী কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরিতেঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই          অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাত চিহ্নিত করেছে যা কোম্পানী তার অধিনস্ত সকলকে জানাতে প্রতিশ্র“তবদ্ধ। কোম্পানীর নীতিমালা বাস্তবায়নে সবাই যেন সঠিক ও যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারে তারজন্যই এমন ব্যবস্থা। নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত সবাইকেই একই ধারা অনুযায়ী অভিষিক্ত করা হবে।

কোম্পানীর একজন সদস্য হিসাবে, প্রত্যেক কর্মী তার ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্তি ও দায়বদ্ধতা এবং দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের আওতায় প্রদত্ত সুবিধাদি ও কর্মীর মূল চাহিদা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি সম্পর্কে জানার অধিকার রাখে। কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত কোন শ্রমিক যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় অথবা কোন শ্রমিক যাতে মানসিক বা শারীরিক ভাবে কখনও নির্যাতিত না হয়, কর্তৃপক্ষ সর্বদা তা নিশ্চিত করে। কর্মক্ষেত্রে সর্বত্র সুষ্ঠ মানবাধিকার ও সমন্বয় নীতিমালা নিশ্চিত করতে

সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সমুহের শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তার কল্যাণ এবং একই সাথে গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা সংলগ্ন অঞ্চল সমুহের পরিবেশসহ অন্যান্য সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে নীতিগত দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সামাজিক দায়বদ্ধতার তাগিদে অত্র বিষয়গুলোর উপর বিশেষ গুষ¦ধঞ্ঝারোপ করে।

১। চিকিৎসা সুবিধা ঃ কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি যে সকল ব্যক্তি অর্থের অভাবে তাদের বাবা, মা, ভাই, বোন বা ঢ়¿¹¡­বষ চিকিৎসা দিতে সক্ষম নন তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সর্বদাই উদার চিত্তে সাহায্যের হাত সম্প্রসারণ করে।

২।    নিরাপত্তা ঃ  অত্র ঘত্ত¦­ভষ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সুনিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ইউনিট সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। যার সদস্যগণ কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য সদা সচেষ্ট থাকবে।

৩।    পরিবেশগত দায়বদ্ধতা ঃ কর্তৃপক্ষ ঘত্ত¦ভভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান সমুহের কারখানার অভ্যন্তরে এবং কারখানা সংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন প্রবনতা থেকে সম্পূর্ন বিরত থাকবে। কারখানার ধোঁয়া, বর্জ্য পদার্থ, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বদা পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ সমুহ যথাযথভাবে গৃহীত হবে।

৪।    স্বাস্থ্য সেবা ঃ অত্র ঘত্ত¦­ভষ সকল অঙ্গ সংগঠন সমুহে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারীদের সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক স্বাস্থ্য সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য ইউনিট রাখা হয়েছে যা সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

৫।    ইনসেনটিভ ঃ কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের প্রেষনা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বোনাস (উৎসব বোনাস, টার্গেট বোনাস, হাজিরা বোনাস) প্রদান করা হয়।

৬।    প্রশিক্ষন কর্মসূচী ঃ সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সমুহে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, অধিকার সমুহ, অভিযোগ পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বুনিয়াদি প্রশিক্ষন প্রদান করবে। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক ইউনিট লিখিত প্রশিক্ষন নীতিমালা অনুসরণ করবে।

৭।    চাইল্ড কেয়ার সেন্টার ঃ কারখানা সমুহে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীগণের পোষ্যদের (অনধিক ০৬ বছর) জন্য সকল সুযোগ সুবিধা সহ ডে কেয়ার সেন্টার থাকবে। উক্ত ডে কেয়ার সেন্টারে ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেনী নির্বিশেষে শ্রমিক, কর্মচারীগন তাদের শিশু ঢ়¿¹¡ব লালন পালনের জন্য রাখতে পারবেন।

৮।    কর্মপরিবেশ ঃ একটি উন্নত কর্মপরিবেশ অধিক উৎপাদন যেমন নিশ্চিত করে ঠিক তেমনি শ্রমিকদের সর্বাঙ্গীন হ¡¢¿¹ এবং সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কর্তৃপক্ষ অত্র ঘত্ত¦ভভুক্ত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সমুহে সর্বোচ্চ কর্মপরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহনে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যেই কর্মস্থলের ¢ব্ললজ্ঝ¡šক্ষ্ম বিষয়গুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করবে।

ক)    পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,

খ)    পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচল ব্যবস্থা,

গ)    পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা,

ঘ)    বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ,

ঙ)    প্রক্ষালন সুবিধা ইত্যাদি।

৯।    সামাজিক অনুদান ঃ কর্তৃপক্ষ ঘত্ত¦ভভুক্ত শিল্প প্রতিষ্টান সংলগ্ন এলাকা সমুহের সামাজিক, শিক্ষ ও ধর্মীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত কর্মকান্ডে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অনুদানের মাধ্যমে অংশ গ্রহন করে।

১০।   দূর্যোগকালীন সাহায্য সহযোগিতা ঃ অত্র ঘত্ত¦ভভুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্তৃপক্ষ সর্বদাই স্ব স্ব কারখানা সংলগ্ন এলাকার যে কোন দূর্যোগকালে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে গিয়ে দাড়াবে এবং সম্ভব সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকবে।

১১।   বার্ষিক বনভোজন ঃ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সমুহ কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের বিনোদনের জন্য বার্ষিক বনভোজন ও সংস্কিৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীগনের দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি গুনাগুন বিচার পূর্বক তাদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অত্র ভভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান উন্নত সামাজিক দায়বোধে আবদ্ধ থেকে সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করবে এবং এ লক্ষ্যে কর্মরত শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে।কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ মনে করেন সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং কোম্পানীর নিজস্ব আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত। এই কারণে   অটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ পূর্বেও বিভিন্ন নোটিশ বোর্ডে ও পোষ্টার আকারে সকল বিষয়ে সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগনকে অবহিত করেছেন এবং ধারাবহিকভাবে অবহিত করবেন। শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সকলের আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি/নিরাপদ, সুষ্ঠু ও নিরাপত্তামূলক কর্ম পরিবেশ এবং ক্রেতাসাধারণের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণের  অঙ্গিকার নিয়েঅটোকম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কার্যরত।

ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি?ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্মপন্থা

ওয়েলফেয়ার অফিসার দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী গুলো কি কি?ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্মপন্থা

দায়িত্ব ও কর্তব্যাবলী –ওয়েলফেয়ার অফিসার 

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য একটি শ্রমিক কল্যাণ সংঘ বা ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি ( িিপ ) রয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা, একটি হৃদ্যতাপূর্ণ মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সৃষ্টি ও পরিচালনা করা, কাজের শর্ত ও পরিবেশ উন্নত করা এবং দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষে। প্রত্যেক ফ্লোরের নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে এই সংঘ গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ব্যবস্থাপনা বা মালিক পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে। কমিটির মেয়াদকাল ১ বছর এবং এতে নারী শ্রমিকেরও প্রতিনিধিত্ব তাকবে। Read in English Language

১. বর্তমান ও নতুন যোগদানকৃত কর্মীদের ফ্যাক্টরীর নিয়ম কানুন ও বাংলাদেশ লেবার ‘ল’ বিষয়ে বিভিন্ন সঠিক তথ্য প্রয়োজনীতার বিত্তিতে অবগত করা।
২. শ্রমিক ও কর্মচারীদের কল্যাণ সংক্রান্ত নি¤œলিখিত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করা।

  • খাবার পানি ও টয়লেটের সুবিধাদি।
  •  মজুরী সংক্রান্ত বিষয়।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।
  • পদোন্নতি।
  • খাবার ঘর।
  • হাজিরা বোনাস / অভার টাইম।
  • শিশু পরিচর্যা কক্ষ।
  • প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৩. কল্যাণ সংক্রান্ত নি¤œলিখিত বিষয়গুলির উপর শ্রমিকদের প্রশিক্ষন নিশ্চিত করা।

  • ব্যক্তি, বস্তু ও তথ্যের নিরাপত্তা। ক্স পেশাগত স্বাস্থ্য।
  • ছুটির নীতিমালা এবং ছুটি নেওয়ার সহজ পদ্ধতি। ক্স মনো-সামাজিক সংকট।
  • অনুপস্থিতির জন্য সৃষ্ট সমস্যা ও সমাধান। ক্স ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা।
  • চাকুরী থেকে অব্যহতির নিয়ম। ক্স উৎপাদনশীলতা।
  • বর্তমান ও নতুন মা এর রিক্স এ্যসেসমেন্ট। ক্স প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।

৪. সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত নতুন যোগদানকৃত শ্রমিকদের ইন্ডাকশন ফ্লো নিশ্চিত করা ও রেজিষ্টার সংরক্ষন করা।
৫. পদত্যাগকৃত কর্মচারীদের সাক্ষ্যাৎকার গ্রহণ ও রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।
৬. উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক ফ্লোরে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা।
৭. মাতৃকালীন সুবিধা নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
৮. জেনারেল ম্যানেজার (এডমিন) এর অনুমতিক্রমে কমপ্লায়েন্সে ইনচার্জের সহায়তায় প্রতি সপ্তাহে অভিযোগ বাক্স এবং পরামর্শ বক্স খুলে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং পরামর্শ গুলো উর্র্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষন করা।
৯. শ্রম কল্যাণ কমিটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মিটিং এর আয়োজন করা।
১০. বিভিন্ন ওয়ার্কার, সুপারভাইজার ও লাইন চীফদের নিয়ে গ্রুপ মিটিং করে পারস্পারিক সহযোগীতার মনোভাব উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। উর্দ্ধতন এবং অধঃস্তনদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।
১১. অসুস্থ ও দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের সুস্থতার ব্যাপারে আন্তারক ভ’মিকা পালন করা।
১২. কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দেরীতে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকৃত কর্মচারীদের নিয়মিত প্রেষণা প্রদান ও উভয় পক্ষের ক্ষতির বিষয়ে আলোচনা করা।
১৩. কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত না থাকা এবং সময়মত কাজে হাজির হওয়া।

ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা।
  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
  • কারখানার উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা।
  • জাতীয় শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।
  • সাধারণ শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
  • কারখানার উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম নীতি বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া এবং শ্রমিকদের অবহিত করা।
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।
  • পণ্যের মাণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
  • সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শ্রমিকদের অবহিত করা।

ওয়ারকার্স ওয়েলফেয়ার কমিটির কর্মপন্থা

  • প্রতি ১৫ দিনে একবার কমিটির মিটিং করা (প্রয়োজনে জরুরী মিটিং করা যেতে পারে)।
  • কাজ চলাকালে অথবা কাজের পরে মিটিং করা যাবে।
  • মিটিং এর আলোচ্য সূচী মিটিং এর পূর্বেই স্থির করা।
  • মিটিং এর কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করা।
  • সভার কার্য বিবরণী কারখানা কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা।
  • মিটিং এর যে কোন তথ্য বা আলোচনা কারখানার বাইরে প্রচার করা যাবে না।
শ্রমিক ফোরাম কি ও কেন ? হাজিরা বোনাস কিভাবে দিতে হয়?

শ্রমিক ফোরাম কি ও কেন ? হাজিরা বোনাস কিভাবে দিতে হয়?

শ্রমিক ফোরাম কি ও কেন ?

শ্রমিক সংঘের উদ্দেশ্য ঃ শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও অভাব ,অভিযোগ মালিক পক্ষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করা শ্রমিক সংঘের মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং এদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ ও আন্তরিক সম্পর্ক বাজায় রাখা, এবং সুস্থ সুন্দর, সুশৃঙ্খল কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলার নামই হচ্ছে শ্রমিক ফোরাম।

নির্বাচিত ফোরাম সদস্য ঃ যেহেতু নির্বাচিত শ্রমিক ফোরামের সদস্যরা হবেন শ্রমিকদের প্রতিনিধি, তাই কারখানার সকল কর্মীর মতামত ও পছন্দের ভিত্তিতে শ্রমিক ফোরাম এর সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। ফোরামের সদস্যরা সকল কর্মীদৈর হাত ভোটের মাধ্যমে নির্বচিত হবেন।

ফোরামের সদস্য সংখ্যা ঃ এই ফোরাম এর সদস্য সংখ্যা হবে ১৫ জন। প্রত্যেক বিভাগ থেকে ফোরামের সদস্যগন নির্বাচিত হবেন।

কার্যকাল বা মেয়াদ ঃ নির্বাচিত ফোরামের সদস্যদের কার্যকাল হবে এক বৎসর।

নির্বাচন পদ্ধতি ঃ ফোরামের সদস্যগন এক বৎসরের জন্য নির্বাচিত হবেন। প্রত্যেক বিভাগ থেকে নির্বাচিত কর্মীরা তাদের নিজ নিজ ফ্লোরের শ্রমিকদের হাতভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

কর্মপদ্ধতি ঃ কারখানায় কর্মরত কর্মীদের সমস্যাবলী কিংবা উপদেশ ফোরামের সদস্যরা তাদের মাসিক সভায় নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সম্মিলিত ভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন।

মাসিক সভা ঃ প্রতি মাসের শেষ রোববার বিকেল ৪টা থেকে ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত ফোরামের সদস্যদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে সভার সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

প্রতিবেদন কপি ব্যবস্থাপনার কাছে পৌঁছানো ঃ সদস্যদের সভা শেষে সভার মূল আলোচ্যসূচী দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়েলফেয়ার অফিসারের কাছে জমা দিবে।ওয়েলফেয়ার অফিসার কর্তৃপক্ষকে তা জানাবে,এবং কর্মীসংঘের মাসিক সাধারন সভায় আয়োজন করবেন। উক্ত সভায় সদস্যদের মূল আলোচ্যসূচী উত্থাপন করা হবে , এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহীত ও বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়।

সভায় অংশগ্রহণ ঃ প্রত্যেক মাসের শেষ সোমবার কর্মী সংঘের সাধারন মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সকল সদস্যরা সঠিক সময়ে এবং সত্বঃফ’র্তভাবে অংশগ্রহন করবে।

বিশেষ সর্তকতা ঃ কারখানার জন্য প্রযোজ্য দেশের প্রচলিত নিয়ম নীতির বর্হিভূত কোন কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। সর্বপরি কোন প্রকার মিথ্যা কিংবা বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। এইরূপ প্রমানিত হলে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।

হাজিরা বোনাস

নিম্নের নিয়মে একজন শ্রমিক হাজিরা বোনাস পাওয়ার অধিকারী হবেন ঃ
১) যদি কেউ কোন মাসে দেরী বা অনুপস্থিত না করে পুরো মাস কর্মস্থলে সঠিকভাবে উপস্থিত থাকেন, তবে তিনি ঐ মাসে হাজিরা বোনাস পাবেন।
২) হাজিরা বোনাস হিসাবে প্রত্যেক অপারেটর ১৫০ টাকা এবং হেলপারগন ১০০ টাকা করে পাবেন।

টয়লেট ব্যবহারে নিয়ম ঃ
ক্স ব্যবহারের পর কল বন্ধ করুন।
ক্স বাথরুম সব সময় শুকনা রাখতে চেষ্টা করুন।
ক্স ময়লা ( টিস্যু পেপার, কাপড়, ন্যাপকিন) নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন।
ক্স বাথরুমের পরে পানি ব্যবহার করুন।
ক্স যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না।
ক্স কোন সমস্যা থাকলে বুয়াকে বলুন।
ক্স বাথরুম ব্যবহারের পর ভিজা হাত (ঐধহফ ফৎুবৎ) হাত শুকানো মেশিনে শুকিয়ে নিন।
ক্স বাথরুম ব্যবহারের পর সাবান ব্যবহার করুন।

হাত শুকানোর মেশিন

☞ ভিজা হাত মেশিন এর ৩” নিচে স্থাপন করুন।
☞ হাত স্থাপন এর সাথে সাথে মেশিন অটো চালু হবে এবং হালকা গরম বাতাস বের হবে।
☞ গরম বাতাসে কিছুক্ষণ রেখে হাত শুকিয়ে নিন।
☞ শুকানোর পর হাত মেশিন এর কাছ থেকে সরিয়ে ফেলুন।
☞ মেশিন নিজ থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।

ফ্লোরে চলা-ফেরার পথ খোলা রাখা ঃ

১। ফ্লোরে দু‘টি হলুদ লাইন ও তার মাঝখানে লাল তীর চিহ্ন দ্বারা পথ নির্দেশ করা আছে। আগুন লাগলে বা অন্য কোন বিপদের সময় ঐ পথ ধরে ফ্লোর থেকে দ্রুুত বের হোন।
২। ফ্লোর থেকে বের হবার পথ নির্দেশকারী ঐ দুই হলুদ লাইনের মাঝে টুল, টেবিল, ট্রে বা অন্য কিছু রেখে পথ বন্ধ করবেন না।
৩। প্রত্যেক কর্মী তার কাজের সময় ডান বা বামে টুল, টেবিল ট্রে বা অন্য কিছু রেখে সহজে বের হবার পথ বন্ধ করবেন না।

কারখানায় কিভাবে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হয়?শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের সুবিধাবলি

কারখানায় কিভাবে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হয়?শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের সুবিধাবলি

শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র

যদি কোন কর্মী তার শিশু সন্তানকে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে চান তাহলে তাকে কোম্পানীর নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে । সকল মহিলা শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র কারখানায় মহিলা শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মস্থলে কার্য চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন বোধে কারখানার শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে শিশু রাখার ব্যাপারে কোম্পানীর নির্দিষ্ট নীতি মালার ভিত্তিতে শিশুকে রাখিতে পারিবেন । নিম্ম লিখিত নিয়মাবলী অনুসরন করে একজন মহিলা শ্রমিক শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র  সুবিধা গ্রহন করতে পারেন। 

ফরমের নমুনা কপি নিম্নে দেয়া হল ঃ

বরাবর,
মহাব্যবস্থপক (কমপ¬ায়েন্স)

বিষয় ঃ শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে সন্তান রাখার অনুমতি প্রসঙ্গে।

মহোদয়,

আমি . . . . . . . . . . . . . . . কার্ড নং. . . . . . . . . .আমার সন্তান . . . . . . . . . . . বয়স . . . . . . .কে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে ইচ্ছুক।

অতএব, অনুগ্রহ পূর্বক আমার সন্তান কে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার অনুমতি প্রদান করে বাধিত করবেন।

আপনার একান্ত অনুগত

নাম ঃ
স্বাক্ষর ঃ
সংযুক্ত ঃ মা ও শিশুর দুই কপি সাম্প্রতিক কালীন ভিউকার্ড সাইজ ছবি।

প্রস্তাবিত শিশুর বৃত্তান্ত

১. শিশুর নাম ঃ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

২. পিতার নাম ঃ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

৩. মাতার নাম ঃ . . . . . . .. . . . . . . . . . . . .. . . . .

৪. জন্ম তারিখ ঃ . . . . . . . . . . . . . . . .. . . . . . . . . .

৫. বর্তমান ঠিকানা ঃ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . .

৬. স্থায়ী ঠিকানা ঃ . . . . . . . . . .. . . . ৃ . . . . . . . . . . . .

 

হলফনামা

আমি . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. কার্ড নং . . . . . . . . . . . . . . . . . . এই মর্মে হলফনামাতে সই করিতেছি যে, আমার শিশু কোন প্রকার অসুস্থ নহে এবং যদি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা কালিন অবস্থায় কোন প্রকার অসুস্থ বা দূর্ঘটনা কবলিত হয় তাহার জন্য আমি কোম্পানী কে দায়ী করিব না।

 

স্বাক্ষরঃ . . . . . . . . . . . . .

বিষয় ঃ শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে শিশু রাখার নিয়ম ও সুবিধাবলী সম্পর্কে।

সকল মহিলা শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র কারখানায় মহিলা শ্রমিক কর্মচারীদের শিশু কার্য চলাকালীন সময় কারখানার শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিুে নির্দেশাবলী আলোচনা করা হলো।

১.কোন মহিলা শ্রমিক তার শিশুকে শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে রাখতে চাইলে তাকে নিজ ও শিশুর ছবি সহ লিখিত আবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কোন শ্রমিক যদি তার শিশু সন্তান, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে চায় তবে তাকে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

২ শিশু রাখার আবেদন নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে করতে হবে। আবেদন ফরম ওয়েল ফেয়ার অফিসারের নিকট হতে সংগ্রহ করতে হবে। আবেদিত ফরমে নমিনির নাম ও ছবি দিতে হবে।কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত ডাক্তার দ্বারা শিশুর শারিরীক অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।

৩. কার্য চলাকলীন সময়ে শিশুকে আনা-নেওয়ার সময় মা কে অবশ্যই মা ও শিশুর ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্র কর্তব্যরত গার্ডকে দেখাতে হবে। অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর পর্যন্ত শিশুদের শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার অনুমতি দেয়া হবে।

৪. সকালে শিশু রাখার সময় শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের নির্ধারিত রেজিষ্টারে মায়ের ও শিশুর নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং টোকেন সংগ্রহ করতে হবে।

৫. কার্য চলাকলীন সময়ে শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশুকে রাখার সময় নির্ধারিত রেজিস্টারে মা ও শিশুর নাম লিপিবদ্ধকরতে হবে।  ছুটির সময় টোকেন জমা দিয়ে শিশু বুঝে নিতে হবে।

সুবিধাবলী ঃ

  • স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আয়া দ্বারা শিশুর পরিচর্যার ব্যবস্থা রয়েছে।
    ১ (এক) বৎসর বয়সের শিশুদের জন্য খাবার (দুধ, সুজি ও চিনি) দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • কোম্পানীর প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শিশুর থাকার সুবিধা সমুহ পরিচালিত হবে।
  • শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে অবস্থানকালে প্রয়োজনে কোম্পানীর ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
  • যদি কোন শিশুর ঔষধ সেবন এর দরকার হয় তাহা হইলে মা নিজ দায়িত্বে শিশুকে ঔষধ সেবন করাবেন।
  • স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে একজন দয়িত্ব সম্পন্ন আয়া দ্বারা শিশুর পরিচর্যার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • নির্দিষ্ট সময় পর পর মা তার শিশুকে দেখতে পারবেন অনুমোদিত কর্মকর্তার অনুমতি গ্রহন সাপেক্ষে।
  • শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশুদের জন্য খেলনার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে  শুধুমাত্র তাদের শিশুকেই রাখা হবে যারা অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
  • শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে মা ব্যতীত যদি কখনো বিশেষ প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট নমীনি শিশুকে আনা-নেওয়া করতে পারবেন। প্রয়োজনানুসারে শিশুর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।
    (ঘ) ছুটির সময় রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে শিশুকে বুঝে নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর মা তার শিশুকে দেখতে পারবে।

সারাংশ

শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে কর্মকালীন সময় ছাড়া অন্য কোন সময় শিশু রাখা যাবেনা। শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশু রাখার জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশু থাকাকালীন সময়ে কোন অবস্থাতেই আÍীয় স্বজন দেখা করতে পারবেনা। শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশু থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর ব্যবহৃত বস্ত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস মা কে নিজ দায়িত্বে সংরক্ষন করতে হবে।     যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমনঃ ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি দূর্যোগ কালে মা কে নিজ দায়িত্বে শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশুকে বুঝে নিতে হবে। কোম্পানী প্রদত্ত যে কোন ছুটি চলাকালীন সময় শিশু পরিচর্র্যা কেন্দ্রে শিশু কে রাখা যাবে না।