Select Page
হাউজ কিপিংপরিচ্ছন্নত্‌ পরিচ্ছন্নতা ও অগ্নি নিরাপত্তা কি ?

হাউজ কিপিংপরিচ্ছন্নত্‌ পরিচ্ছন্নতা ও অগ্নি নিরাপত্তা কি ?

হাউজ কিপিংনিরাপত্তা কি ?

আমাদের ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঃ অগ্নি নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, হাউজ কিপিং এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগণ, আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আমাদের অটো  গ্রুপ, সেই সাথে আমাদের এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এটাও পরতে পারেন 

  • সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগণ, আমাদের ফ্যাক্টরীতে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। আর ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তার স্বার্থে, প্রডাকশনের স্বার্থে, সেই সাথে আমাদের ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে হাউজ কিপিং এর   নিয়মনীতিগুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
  • মেশিন পরিচালনার সময় কোন অবস্থাতেই অন্যমনস্ক বা অমনোযোগী হওয়া যাবে না এবং অযথা অন্যের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন এবং দূর্ঘটনা থেকে মুক্ত থাকবেন।
  • আপনার মেশিনে কোন সমস্যা দেখা দিলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকসসের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং সেটা ভালোভাবে মেরামত করে নিবেন।
  • যারা সুইং মেশিনে কাজ করেন তারা মেশিন ব্যবহারের পূর্বে সেফটি গার্ড ও নিডেল গার্ড চেক করবেন।
  • ওভারলক মেশিন ব্যবহারের সময় মুখোশ ব্যবহার করবেন ও সেফটি গ্লাস নামিয়ে কাজ করবেন।
  • ভেজা হাত দিয়ে কখনও মেশিনের সুইচ অন বা অফ করবেন না।
  • এবং বিদ্যুত চলে গেলে সাথে সাথে আপনার মেশিনের সুইচটি বন্ধ করে দিবেন।কাজের সময় হাউজ কিপিং এর নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরন করতে হবে।
  • যারা বাটন এরিয়ায় বা সেকশনে কাজ করেন তারা লক্ষ্য রাখবেন যেন কোন বাটন নিচে পড়ে না থাকে । কারন এ বাটনগুলোর মধ্যে কিছু বাটন থাকে অত্যন্ত সুক্ষè যেগুলো পায়ে ফুটে যে কেউ গুরুতর আহত হতে পারে।
  • কাজের সময় অবশ্যই আপনারা কাটার, সিজার, ভোমর, টিনের প্যাটার্ন ইত্যাদি নন-ইলাস্টিক ড্রসটিং দ্বারা বেঁধে কাজ করবেন। কারন এগুলো অনেক ধারালো জিনিস। এগুলো ভালোভাবে বেঁধে কাজ না করলে এগুলো থেকে যে কোন মুহূর্তে আপনার হাত পা কেটে যেতে পারে বা অন্য যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
  • যারা থ্রেড সাকিং মেশিনে কাজ করছেন তারা অবশ্যই কানে এয়ার প্লাগ পড়ে নিবেন। কারন এয়ার প্লাগ না পড়লে থ্রেড সাকিং মেশিনের অত্যধিক শব্দে আপনার কানে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনার শ্রবনশক্তি কমে যেতে পারে এবং আপনি বধির হয়ে যেতে পারেন।
  • যারা আয়রন সেকশনে কাজ করছেন- সকল আয়রন ম্যান-আপনারা হাতে হাত মোজা, পায়ের নীচে রাবার ম্যাট ও রেস্টিং প্লেট ব্যবহার করে কাজ করবেন। আপনার আয়রন টেবিলের কাপড় বা কাভার পরিস্কার আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় যে, আপনারা যখন লাঞ্চ করতে যান বা অন্যত্র যান তখন আপনাদের গরম আয়রনটি রেস্টিং প্লেটে না রেখে অসতর্কভাবে রেখে চলে যান। আপনারা অবশ্যই এ ধরনের আচরন থেকে বিরত থাকবেন। আপনাদের আয়রনটি আয়ডল অবস্থায় থাকলে সেটি অবশ্যই রেস্টিং প্লেটে রাখবেন এবং যে কোন অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলবেন।
  • যারা কাটিং সেকশনে কাজ করেন তারা জানেন যে, কাটিংয়ে প্রচুর ধুলাবালি বিরাজ করে। এই ধুলাবালি আপনার নিশ্বাসের সাথে দেহের ভিতর প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রকার রোগ হতে পারে যেমন-হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। তাই এই ধুলাবালি থেকে আত্মরক্ষার জন্য আপনারা অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করে কাজ করবেন।
  • কাটিংয়ে যারা কাটার ম্যান আছেন আপনারাও মুখে মাস্ক পরিধান করবেন এবং অবশ্যই হাতে স্টিলের হাত মোজা ব্যবহার করবেন। কারন কাটার মেশিনের ধাঁরালো ব্লেড অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
  • কাটিং মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় অন্যমনস্ক বা অমনোযোগী হওয়া যাবে না এবং পাশের কোন সহকর্মীর সাথে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • যারা এমব্রয়ডারী মেশিন অপারেটর আছেন আপনারা ভেজা হাতে মেশিন পরিচালনা হতে বিরত থাকবেন এবং মেশিন চলাকালীন অবস্থায় সকলেই কানে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করবেন।
  • যারা প্যাকিং বা সিটি-প্যাট-এ কাজ করছেন- আপনারা সমস্ত প্রকার ধাতব বস্তু যেমন: কাটার, সিজার, ষ্ট্যাপলারের পিন, টিনের প্যাটার্ন, চুলের ক্লিপ ও গহনা নিয়ে প্রবেশ এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
  • কাজের সময় সকল শ্রমিক বোনেরা-আপনারা চুল ছেড়ে না রেখে সুন্দরভাবে বেঁধে কাজ করবেন।
CTPAT প্রোডাক্ট ইনটিগ্রিট ও পরিচয় পত্র পলিসি এর বর্ণনা এবং গুরুত্বপুর্ন লেখা সমূহ

CTPAT প্রোডাক্ট ইনটিগ্রিট ও পরিচয় পত্র পলিসি এর বর্ণনা এবং গুরুত্বপুর্ন লেখা সমূহ

প্রোডাক্ট ইনটিগ্রিট পলিসি

প্রোডাক্ট ইনটিগ্রিট পলিসির গুরুত্বপুর্ন লেখা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো

  • সুষ্ঠ ও যতেœনের সাথে সকল পোশাক উৎপাদন করা হয়।
  • যে সকল পোশাকে অসংগতি, ডিপেকটিভ থাকে সেই সমস্ত পোশাক উৎপাদন করা থেকে বিরত থাকা হয়।
  • মান সম্পন্ন পোশাক উৎপাদন করা হয়।
  • দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়ে পোশাক উৎপাদন করা হয়।
  • প্রত্যেক পোশাকে ভাঙ্গা নিডেল আছে কিনা চেক করা হয় এবং আশপাশ চেক করা হয়।
  • ভাঙ্গা নিডেল পাওয়া না গেলে উক্ত পোশাক ষ্টোরে জমা রাখা হয়।
  • নিডেল ডিটেকটর মেশিন দ্বারা পোশাক চেক করা হয়।
  • ভাঙ্গা নিডেল পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে অবগত করা হয়।
  • বাতিল, পরিবর্তন ও খারাপ পোশাক প্যাকিং করা হইতে বিরত থাকা হয়।
  • সংশ্লিষ্ট পোশাক ছাড়া অন্য কোন দ্রব্য বা জিনিস যেন প্যাকিং না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হয়।
  • প্যাকিং করার সময় বায়ার, সাইজ এবং লেবেল ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়।
  • প্যাকিং করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কার্টুনের ভিতরে কোন অবৈধ বা বিস্ফোরক দ্রব্য ইত্যাদি জিনিস নিয়া যেন না ঢুকে তাহা নিশ্চিত হতে হবে।
  • সন্দেহ হলে অবশ্যই কার্টুন চেক করে নিশ্চিত হতে হবে।
  • নির্দিষ্ট কার্টুন দেখা গেলে তৎক্ষনাৎ দায়িত্বরত সিকিউরিটি এবং সুপার ভাইজারকে জানানোর ব্যবস্থা করা।

পরিচয় পত্র

  • চাকুরীরত প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারী সুপার ভাইজার ইন্সপেক্টর সকলের পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
  • আইডি কার্ড কোন ক্রমেই হস্তান্তর করা যাবে না।
  • প্রবেশ, বাহির ইত্যাদি আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
  • আইডি হারানো গেলে সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং নতুন আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিতে হবে।
  • কর্তৃপক্ষ এর অনুমোদন ব্যাতিরেকে কোন অবস্থায় আইডি কার্ড ইস্যু করা যাবে না।
  • চাকুরী থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত শ্রমিকেরা যদি কোন কারনে আইডি কার্ড, জমা না দেয় তাহা হইলে তাহাদের তালিকা নিরাপত্তা রক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হবে।
  • চাকুরীচ্যুত বা চাকুরী হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত শ্রমিকেরা যদি কোন কারনে আইডি কার্ড, জমা না দেয় তাহা হইলে তাহাদের তালিকা নিরাপত্তা রক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে। জমাকৃত আইডি কার্ড ভালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
ক্যামিকেল ব্যবহারে ঝুকির উৎস, ঝুঁকি নিরুপন ও তার প্রতিকার পদ্ধতি এর বর্ণনা

ক্যামিকেল ব্যবহারে ঝুকির উৎস, ঝুঁকি নিরুপন ও তার প্রতিকার পদ্ধতি এর বর্ণনা

ঝুঁকির উৎস

ঝুকি নিরুপন এর প্রধান উৎস সমুহ নিম্নে আলোচনা করা হলো

কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি Risk of Chemical Handling
কেমিক্যাল মজুতকরণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি Risk of Chemical Storage
কেমিক্যাল মিশানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি Risk in Chemical Mixturing
খালি ড্রাম মজুতকরনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি Risk for Empty Drums Storing
এম এস ডি এস সম্পর্কে অজ্ঞতা Ignorance of MSDS

সম্ভাব্য ঝুঁকি

কেমিক্যাল চোখে, মুখে, পায়ে ও শরীরে লাগতে পারে। ত্বকে ও শ্বাস কার্যে সমস্যা হতে পারে।
কেমিক্যাল ফ্লোরে পরতে পারে, যায়গার সংকট হতে পারে, পরস্পর বিক্রিয়াকৃত কেমিক্যালে বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে।
কেমিক্যাল মিশানের সময় ছিটকে মুখে ত্বকে ও চোখে লাগতে পারে এবং ড্রাম পড়ে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
খালি ড্রাম পরিবেশের ক্ষতি করে এছাড়া বাতাসে মিশে মানুষের শ্বাস নিঃশ্বাসের সাথে দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। এম এস ডি এস সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কেমিক্যালের ব্যবহার, ধরণ, প্রকারভেদ, ক্ষতি ও প্রতিকার সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না ফলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

প্রতিকার

ঝুঁকি নিরুপন এ গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ

১। সর্বদা কেমিক্যাল ব্যবহারে PPE ব্যবহার করা।
২। এম এস ডি এস (MSDS) সম্পর্কে জানা।
৩। এ সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
৪। কেমিক্যাল রুমে খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ন বন্ধ করা।
১। ক্যামিক্যাল ধরণ অনুযায়ী সাজিয়ে রাখা।
২। পরস্পর বিক্রিয়াকৃত কেমিক্যাল আলাদা করে রাখা।
৩।ঝুঁকি নিরুপন এ সেকেন্ডারী কন্টেইনমেন্ট ব্যবহার করা।
৪। প্রয়োজনীয় PPE সর্বদা ব্যবহার করা।
১। কেমিক্যাল মিশানোর ক্ষেত্রে  PPE ব্যবহার করা।
২। MSDS সম্পর্কে জানা ও পালন করা।
৩। কেমিক্যাল মিশানোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নেয়া।
৪। কেমিক্যাল পরে গেলে ধুয়ে ফেলা ।
৫। দূষিত পানি ইটিপির মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট করা।
১। খালি ড্রাম নির্দ্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করা।
২। কেমিক্যালের ধরন অনুযায়ী ড্রাম আলাদা করা।
৩। খালি ড্রাম নিয়ম মোতাবেক পরিস্কার করা।
৪। সরবরাহকারীদের নিকট খালি ড্রাম ফেরত দেয়া।
১। এম এস ডি এস সম্পর্কে ভালভাবে জানা।
২। MSDS এর নিয়ম কানুন সঠিকভাবে পালন করা।
৩। MSDS কর্মস্থলে টানিয়ে রাখা।
৪।  MSDS প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ও প্রশিক্ষণ নেয়া।
৫। সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা। কেমিক্যাল ব্যবহারকারীদের করণীয়।

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নির্দেশনা। কেমিক্যাল ব্যবহারকারীদের করণীয়।

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের

  • রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারের পর কোন রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকের সংস্পর্শে আসলে পরিস্কার পানি দিয়ে অনবরত ধৌত করতে হবে ।
  • রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারের সময় শ্রমিকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত বিষয় গুলি সম্পর্কে সুস্পষ্ঠভাবে অবহিত করেছেঃ
  • সকল রাসায়নিক দ্রব্যকে আলাদাভাবে নাম লিখে উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষন  …
    করে রাখা উচিৎ।
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ধরা এবং ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
  • সকল রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারের পর নিরাপদ দূরত্বে চিহ্নিত করে রাখা দরকার।
    রাসায়নিক দ্রব্য রাখার স্থানে ধুমপান এবং যে কোন ধরণের অগ্নি উৎস হতে
    সর্বদা দূরে থাকতে হবে।
  • কোন রাসায়নিক দ্রব্য চোখের সংস্পর্শে আসলে পরিস্কার পানি দিয়ে অনবরত ধৌত করতে হবে এবং চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে ।
  • রাসায়নিক দ্রব্যের নিকটবর্তি স্থানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা আবশ্যক।
  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আত্নরক্ষামুলক হাত মোজা, চশমা
    এবং মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।
  • কোন রাসায়নিক দ্রব্য মুখে প্রবেশ করলে পরিস্কার পানি দিয়ে কুলিকাচা করতে হবে এবং যতসম্ভব পানি পান   করতে হবে ।
  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সময় যাহাতে কোন রাসায়নিক বাইরে পড়ে না
    থাকে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রাসায়নিক বর্জ্য অপসারনের জন্য অবশ্যই হপার, ডিসপেনসারস, স্কুপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে ।
  • তরল রাসায়নিক ব্যবহারের পর ফ্লোর/মেঝে এবং পাত্রের উপরিভাগে উচ্ছিষ্ঠ
    রাসায়নিক শুকনো স্পঞ্জ/ শুকনো কাপড় দিয়ে দ্রুত পরিস্কার করতে হবে।
    শুন্য রাসায়নিক কন্টেইনার / কার্টুন কে নিক্ষিপ্ত অবশিষ্টাংশ ও অন্য যে কোন
    কারনের জন্য কাটা যাবে না।
  • রাসায়নিক দ্রব্য রাখার জন্য ব্যবহৃত ড্রাম ও বাক্স সমুহ স্থানান্তরের জন্য অবশ্যই ট্রলি ব্যবহার করতে হবে ।
  • কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রশিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে
    নিষিদ্ধ।
  • রাসায়নিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এলাকায় এ ব্যাপারে সতর্কবাণী প্রদর্শিত
    আছে।
  • এম,এস,ডি,এস এর ব্যাপারে সকল শ্রমিকগণকে প্রশিক্ষন দিতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক এবং এর বিপদজনক পরিণতি সম্পর্কে শ্রমিকদেরকে সচেতন করতে হবে।
  • কেমিকেল ব্যবহারকারীগনের অবশ্যই কেমিকেল ব্যবহার করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কেমিকেল সম্বন্ধে পরিস্কার ধারনা থাকতে হবে।
  • তুন কোন কেমিকেল হলে উক্ত কেমিকেল ব্যবহার করার উপর প্রশিক্ষন দিতে হবে।

কেমিক্যাল ব্যবহারকারীদের করণীয়ঃ

সমভাব্য মাটিদূষণ পরিহারের ব্যবস্থা করতে হবে ।খ) সেকেনডারী কনটেইনমেন্টের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ।গ) দাহ্য পদার্থসমুহ স্পার্ক হতে পারে এমন স্থান থেকে অবশ্যই পৃথক রাখতে হবে ।ঘ) রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের স্থানের কাছাকাছি অবশ্যই এর ব্যবস্থা থাকতে  হবে ।ঙ) অবশ্যই পিপিই ব্যবহার করতে হবে ।চ) এস ডি এস অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে ।ছ) সবধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের জন্য অবশ্যই লেবেল থাকতে হবে ।

যন্ত্রপাতি ও কর্মপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ঃ

  • যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা।
  • যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই,
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ।
  • শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপওা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা এবং
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরুপণ ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ।

বিপজ্জনক ধোঁয়া, বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনাঃ

  • বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের প্রকৃতি নিরুপণ
  • রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা
  • ব্যবহারিক ও প্রক্রিয়াগত ক্রুটি নিরুপণ
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা
  • পরিবেশগত ঝূঁকি বিবেচনা এবং
  • নির্দেশনা ও পরামর্শ।

অগ্নিকান্ডজনিত ব্যবস্থাপনা ঃ

  • অগ্নিকান্ডের সম্ভাব্য উৎস নির্ণয়
  • প্রতিরোধ ব্যবস্থা
  • অগ্নি মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন ও দক্ষতার মান যাচাই।
  • জরুরী বহির্গমন ব্যবস্থাবলী পরীক্ষা ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরুপন
  • তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবন্ধকতা দুর করিবার ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ
  • অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির মান পরীক্ষা
  • প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বা মহড়া এবং
  • প্রস্তাব বা পরামর্শ।
STORE GUIDELINE FOR CHEMICAL ইন্ডাস্ট্রি কারখানা

STORE GUIDELINE FOR CHEMICAL ইন্ডাস্ট্রি কারখানা

 কেমিক্যাল এর কিছু দিকনির্দেশনা

  • কেমিক্যাল স্টোরে নাজমুল কেমিক্যাল এর কেমিক্যাল রেস্ট্রিকশন এবং রেস্ট্রিকশন ইম্লিমেন্টেশন টুলকিট এর  নতুন কপি ফাইল আপ করা আবশ্যক।
  •  র্পাসোনাল প্রটক্টেীভ ইকুইপমন্টে যথাস্থানে সংরক্ষণ করা দরকার।
  •  র্পাসোনাল প্রটক্টেীভ ইকুইপমন্টে এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে যা guideline for chemical industry  তে উল্লেখ আছে।
  • কেমিক্যাল স্টোরে  নাজমুল কেমিক্যাল এর ফরম্যাটে একটা Chemical Inventory sheet    থাকতে হবে।
  • Chemical Inventory sheet এ যে সকল কমেক্যিাল আছে,সে সব কেমিক্যাল এর MSDS  থাকতে হবে।
  • Chemical Inventory Sheet  এ যে সকল কমেক্যিাল আছে সে সব কেমিক্যাল এর কেমিক্যাল রেস্ট্রিকশন কমপ্লায়ন্সে র্সাটফিকিটে থাকা উচিৎ।
  •  ডিটারজেন্ট এর APEO/NPEO সার্টিফিকেট এর FILE থাকতে হব।
  •  GUIDELINE FOR CHEMICAL এর নিয়মানুসারে প্রত্যকেটা কোম্পানির Oeko-Tex সার্টিফিকেট থাকতে হব।
  • কোম্পানি ওয়াইজ না থেকে প্রোডাক্ট ওয়াইজ থাকলওে চলব।
  • GOTS সার্টিফিকেট এর একটা ফাইল থাকবে, এখানে যে সকল প্রোডাক্ট/ কোম্পানরি সার্টিফিকেট আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
  •  এবস্ত্রাক্ট MSDS প্রত্যকেটা কেমিক্যালের ড্রামের পাশে ঝুলানো থাকবে।
  •  প্রত্যকেটা কেমিক্যালের  অরজিনিাল MSDS থাকতে হব।
  •  প্রত্যকেটা ড্রাম বা কন্টেইনারের গায়ে অরজিনিাল লেবেল লাগানো থাকতে হবে এবং সেটা দৃশ্যমান থাকতে হবে।
  • কেমিক্যাল স্টোরে কম্প্যাটিবিলিটি চার্ট টাঙানো থাকতে হবে।
  •  কম্প্যাটিবিলিটি চার্ট সর্ম্পকে কেমিক্যাল কর্মীদের সাম্যক ধারনা থাকতে হবে।
  • অডিটরের  সময় কেমিক্যাল রুমে কোন উৎকট গন্ধ থাকতে পারবে না।র্অথাৎ এগজষ্ট ফ্যান চালু রাখতে হবে।
  •  FIFO (First In First Out)র্অথাৎ যে ডাইস/কমেক্যিাল স্টোরে প্রথমে আসবে সেটা প্রথমে ব্যবহার করতে হবে। খাতায় তা দৃশ্যমান হতে হবে।
  • ইনকামিং এবং কেমিক্যালের ইনভয়সে নাম্বার এবং রিসিভিং তারিখ পন্যের গায়ে লাগানো থাকতে হবে।
কারখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য সাধারণ কিছু পদ্ধতি বা নিয়মাবলি

কারখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য সাধারণ কিছু পদ্ধতি বা নিয়মাবলি

Cleanliness Procedure

১. কারখানার প্রতি সিড়িতে ময়লা ও কফ থুথু ফেলার জন্য ১টি করে Spittoon দেওয়া  উচিৎ

২. প্রতি ফ্লোরে যথেষ্ট সংখ্যক ময়লা ফেলার ঝুড়ি দেওয়া আছে।

৩. ময়লা এবং নষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক সেকশনে এবং লাইনে একজন করে ক্লিনার রয়েছে।

৪. টয়লেট পরিষ্কার সহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে একজন করে সুইপার দেওয়া আছে।

৫. কাটিং, ফিনিশিং এবং ডাইনিং এলাকায় জুট, ময়লা, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লিনার রয়েছে।

Disposal Policy

ফ্লোরের সকল ময়লা নিদিষ্ট ঝুড়িতে ফেলা হয়। উক্ত ঝুড়ি গুলো প্রতিদিন ক্লিনার / সুইপার পরিষ্কার করে এবং কারখানার বাইরে নিদিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেয় যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক Dispose হয়।

Wastage- 01 Disposal Policy

Used water / Sanitation/ Natural Sanitation এর পানি, ব্যবহৃত ময়লা পানি এবং প্রবাহিত পানি সেনিটেশনের পাইপ দিয়ে কারখানার Sanitation Tank এ Dispose হয়।

Dusty/ Wastage Food/ Garbage/ Jute/ Wastage Paper

এগুলো ফ্লোরে রক্ষিত ডাষ্টবিনে জমা হয় এবং প্রতিদিনের ময়লা কারখানার ডাষ্টবিনে ফেলা হয় যা স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়।
প্রতিদিনকার ফেব্রিকের ঝুট বা রিজেক্ট কাটপিস গুলো Designated Area তে রাখা হয় এগুলো সপ্তাহান্তে Local Agent এর নিকট বিক্রি করা হয়।

Wastage- 02 Disposal Policy

Empty Drum/ Empty Container/ Empty Bottle/ Wastage Plastic উক্ত খালি ড্রাম গুলো ফ্লোরের একটি নিদিষ্ট স্থানে (Designated Area) জমা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলোর Supplier/Local Agent এর কাছে Recycle এর জন্য ফেরৎ / বিক্রি করা হয়।

Wastage- 03 (Wood) Disposal Policy

Broken Wooden box, Wastage Table, Chair, Wastage Furniture এগুলো প্রথমে Repair করা হয়। যেগুলো  Repair করা সম্ভব না সেগুলো ষ্টোরে  Designated Area তে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো Recycling এর জন্য প্রস্তুতকারক// Local Agent এর নিকট বিক্রি করা হয়।

Wastage- 04 (Metal) Disposal Policy

Wastage Iron/ Boiler, Wastage Iron Rod, Unusable Machinery, Parts, Wastage Scissors/ Cutter, Cables এগুলো প্রথমে Repair করা হয়। যেগুলো Repair করা সম্ভব হয় না সেগুলো ষ্টোরে Designated Area তে সাময়িক জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো Recycling এর জন্য প্রস্তুতকারক/ Local Agent এর নিকট বিক্রি করা হয়।

Wastage- 05 (Accessories) Disposal Policy

-Carton, Button, Hanger, Fabric, Polly, Zipper ইত্যাদি যে সকল Accessories Leftover হয় তা মূলত তিন ভাবে Dispose করা হয়।
1. Repeat Order     02. Stock Order  3. New Order এবং কিছু Sample তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হয়।
এর পরও যে সমস্ত Accessories Leftover/Reject হিসাবে Surplus থেকে যায় তা Designated Area †Z Store  করা হয় এবং নিদিষ্ট সময় পর পর Garbage/Wastage হিসাবে Dispose করা হয়।

Wastage- 06 (Others) Disposal Policy

Fused Tube Light, Broken Glass & Other Wastage  এগুলো যদি Recycling এর উপযোগী হয় তা হলে সাময়িক ভাবে ষ্টোরের একটি নিদিষ্ট স্থানে (Designated Area) জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো Recycling এর জন্য Local Agent/প্রস্তুতকারকের নিকট বিক্রি করা ।