বর্ণ-বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা Policy of Anti-Discrimination

বর্ণ-বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা Anti-Discrimination Policy কি ?

বর্ণ-বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা

সূচনা ঃ বাংলাদেশের পোষাক শিল্প একটি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব বাজারে এর পরিচিতি সুবেদিত। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এ যুগে তাই গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্প কারখানায় যাতে মানবাধিকারের কোন লংঘন না হয় সেদিকে অটো গার্মেন্টস এবং তার অন্তর্ভূক্ত কারখানা সমুহ সর্বদা স্বচেষ্ট। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পোষাক শিল্পের সাথে অটো গার্মেন্টস তাই কাধে কাধ মিলিয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমতার ভিত্তিতে কাজের ও মজুরী ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণ-বৈষম্যহীন নীতিমালা প্রনয়ণ ও এর বাস্তবায়নে ঙঢ়বী কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। Similar Types of Post

নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্দেশ্যে ঃ

অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় তাই একটি বৈষম্যহীন বাস্তব সম্মত  লিঙ্গ ও বর্ণ বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা” প্রণয়নের উদ্দোগ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলির আলোকে বর্ণ বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হল ঃ

  • অটো গার্মেন্টস এর প্রতিটি শিল্প কারখানায় জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান।
  • অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় কালো/সুন্দর, যুবক/বৃদ্ধ, নারী/পুরুষ ভেদাভেদ না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা।
  • অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় লিঙ্গ ভেদে শ্রমিকের যোগ্যতার ভিত্তিতে মুজরী দানের ব্যবস্থা করা।
  • মহিলা শ্রমিক নিয়োগের সময় মাতৃত্বকালীন বিষয়ক প্রশ্ন বা পরীক্ষা না করা এবং মার্তৃত্বকালীন অবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ না করা।
  • সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম পালনে বাধা না দেয়া।
  • রাজনৈতিক বিশ্বাস বা সামাজিক অবস্থানের কারণে বৈষম্য না করা।
  • ব্যক্তিগত সম্পর্ককে যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা না করা।
  • অভিযোগ করা

বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। একই ভাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনে ও এই নীতিমালাকে সমুন্নত রেখেছে। এই অঙ্গীকার ও নীতিমালা মোতাবেক অটো গার্মেন্টস তাই ”বর্ণ বৈষম্যহীন নীতিমালা” প্রণয়ন ও উহা সঠিক ভাবে অনুসরণ করেঃ

প্রতিটি শিল্প কারখানার জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান ঃ  সকল শিল্প কারখানায় সমতার ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। এখানে কোনরুপ বৈষম্যই করা যাবে না। বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুসরন করতে হবে।

Commitmentঃ  এ ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকার হলো একটি বর্ণ বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করা। যেখানে শ্রমিকেরা কোনরুপ বৈষম্যের শিকার হবে না।

সকল শিল্প কারখানায় কালো/সুন্দর, যুবক/বৃদ্ধ, নারী/পুরুষ ভেদাভেদ না করে যোগাতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা ঃ শিল্প কারখানায় শ্রমিককে নিয়োগ করতে হবে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে। শ্রমিকটি নারী বা পুরুষ এ বিষয়টি কখনও বিবেচনায় আনা যাবে না। অথবা শ্রমিক কালো বা সুন্দর,যুবক বা বৃদ্ধ এর কোনটিই বিবেচনা করা যাবে না। যোগ্যতাই শ্রমিকের একমাত্র মাপকাটি।

Commitmentঃ আমাদের অঙ্গীকার হলো শ্রেণী বৈষম্যহীন যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মীবাহিনী গঠন ও তাদের সাহায্যে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্ঠি ও মান সম্পন্ন পোষাক তৈরী করা যা বর্হিঃবিশ্বে দেশের জন্য সুনাম ও অর্থ দুইই বয়ে আনবে।

সকল শিল্প কারখানায় লিঙ্গ ভেদে শ্রমিকের যোগ্রতার ভিত্তিতে মুজরী দানের ব্যবস্থা করা ঃ নারী শ্রমিক দূর্বল, পুরুষ শ্রমিক সবল  এরুপ কোন ধারনায় বিশ্বাস করা যাবে না। শ্রমিককের পরিচয় সে মানুষ এবং তার কাজের মাধ্যমে সে একজন দক্ষ শ্রমিক। শ্রমিকের এ দক্ষতার মাধ্যমেই তার যোগ্যতা। আর যোগ্যতাই বিবেচনার একমাত্র মাপকাটি।

Commitmentঃ ”পৃথিবীতে যাহা কিছু সুন্দর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” এ বক্তব্যকে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর সকল শিল্প কারখানার ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং এ ব্যাপারে বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

মহিলা শ্রমিক নিয়োগের সময় মাতৃত্বকালীন বিষয়ক প্রশ্ন না করা এবং মার্তৃত্বকালীন অবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ অরোপ না করা ঃ নারীকে তার যোগ্য মর্যাদা প্রদান এবং প্রাকৃতিক নিয়মে নারীর মা হওয়াকে স্বাভাবিক নিয়ম বলে মানতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীর মা হওয়া বা মাতৃত্বকালীন অবস্থা বিষয়ে কোনরুপ প্রশ্ন বা পরীক্ষা করা যাবে না। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় তাই কোন শ্রমিকই নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হবে না।

Commitment ঃ নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদানে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় দৃঢ় ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় একটি অনন্য সাধারণ শিল্প পরিবার, যেখানে বর্ণ বৈষম্যকে জঘন্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম পালনে বাধা না দেয়া ঃ ধর্ম প্রতিটি মানুষের একান্ত নিজস্ব অনুভূতি বা বিশ্বাসের ব্যাপার। এখানে জোর খাটানোর কোন অবকাশ নাই। প্রতিটি শ্রমিকই তার নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম কর্ম পালন করবে। এতে বাধা দেওয়ার বা অনুরুপ কিছু করা আইনের চোখে ও দন্ডনীয় ।

Commitment ঃ ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় তার সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে নিজ ধর্ম পালনে উৎসাহিত করে। প্রতিটি ধর্ম বিশ্বাসের শ্রমিকদের তাই তার ধর্ম পালনের সুবিধার জন্য ছুটিসহ সব রকম সহযোগিতা করে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

রাজনৈতিক বিশ্বাস বা সামাজিক অবস্থানের কারণে বৈষম্য না করা  ঃ ধনী-দরিদ্র, বড়-ছোট এ ধরণের কোন বৈষম্যমুলক নীতিমালা অনুসরণ করা যাবে না। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানের বিষয়টি কখনই বিবেচ্য বিষয় হবে না। সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ, পদোন্নতি বা অন্যান্য সব ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

Commitment ঃ শ্রেণী বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার।

ব্যক্তিগত সম্পর্ককে যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা না করা ঃ শ্রমিককে তার যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতিসহ সব রকম সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনই যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে না, বরং এটা দন্ডনীয় হিসাবে নিন্দনীয়।

Commitment ঃ যোগ্যতা, সময় অনুবর্তিতা, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতাই ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর বিবেচ্য বিষয়, এর বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্কটি বিবেচনার বাইরেই থাকে। কেননা বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গড়ে তোলা ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর অঙ্গীকার।

উপসংহার ঃ বর্ণ বৈষম্য একটি সামাজিক ব্যধি, একে আামাদের সমাজ থেকে স্বমুলে তুলে ফেলতে হবে। তাই বর্ণ বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গঠনে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ়  তার নিরন্তুর প্রচেষ্ঠা সর্বক্ষণ বহমান রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “বর্ণ-বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা Anti-Discrimination Policy কি ?”

Leave a Reply