নিরাপত্তা ও মাদক নিরোধকরন নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা

পানি ও শক্তি -কনজারভেশন নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা
পানি ও শক্তি -কনজারভেশন নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা

নিরাপত্তা ও মাদক নিরোধকরন নীতিমালা

মাদকদ্রব্য যুব সমাজকে গ্রাস করে নিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক আজ মাদক নামক জীবন ধ্বংসকারী উত্তেজক পদার্থের স্বীকার। বিভিন্ন ভাবে মাদকদ্রব্য মানুষ ব্যবহার করে থাকে এর প্রধান কারন সঙ্গদোষ। অসৎ সঙ্গে একজন মেধাবী ছাত্র বা যুবক মাদক সেবনের মাধমে নিজেকে ও দেশের সম্পদ বিনষ্ট করছে। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব তাই ধীরে ধীরে বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে ..

ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিল্প এলাকা মাদক মুক্ত থাকতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে হতাষা, ব্যর্থতা, বেকারত্বের কারনে মানুষ-মানষিক বীকার গ্রস্থ হয়ে পড়ে আর তখনি আপাত যন্ত্রনা ভুলে থাকার জন্য মানুষ এই মাদকদ্রব্য বেছে নেয়। এর পেছনে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চোরাচালান চক্র।ফ্যাক্টরী থেকে ফিনিস্ড পন্য নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি।

শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাদক বহন বা সংরক্ষনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা অত্যন্ত সজাগ থাকবে এবং বাধা প্রদান করবে। গার্মেন্টস্ কারখানা বর্তমান বাংলাদেশে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ তাদের কর্মসংস্থানের অভাব ঘুঁচিয়েছে। যে হারে এ দেশের গার্মেন্টস্ শিল্প বিস্তার লাভ করছে তাতে ভবিষ্যতে আরো লক্ষ লক্ষ মানষের বেকারত্ব দূর হবে। গার্মেন্টস্ শিল্প শতভাগ রপ্তানীমূখী এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই অটো  ফ্যাশনস্ লিঃ সকল শ্রমিক কর্মচারীর সুন্দর সুস্বাস্থের জন্য এবং আমদানী রপ্তানীর মাধ্যমে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য আর্ন্তজাতিক চোরাচালানকারীদের সংস্পর্ষে না আসতে পারে তার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো

শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতনতা ঃ

মাদক নিরোধকরন এর ক্ষেত্রে (যেমন নেশা উদ্রেককারী বস্তু /সুরা অথবা মাদক দ্রব্য যেমন ফেনসিডিল হেরোইন, গাজা, মরফিন,আফিম, প্যাথেড্রিন) নিরাপত্তা কর্মীগন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের দেহ তল­াশী করবে। অটো  ফ্যাশনস্ লিঃ সকল শ্রেণীর শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ নীতিমালা অনুসরন সহ সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে এবং নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি কোন প্রকার মাদকদ্রব্যের সাথে জড়িত কিনা এব্যাপারে নিশ্চিত হবে।

  • সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য সাস্থ নির্দেশনা  ঃ
  • অত্র কোম্পানী সম্পূর্ণরূপে ধুমপান ও মাদকমুক্ত এলাকা।
  • এখানে কোন প্রকার ধুমপান বা মাদক সেবন করা যাবে না।
  • কাউকে কখনো সনাক্ত করা গেলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারী পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
  • কমপ্লেক্সে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় প্রত্যেকে সিকিউরিটি কর্তৃক তল্লাশী করে তবেই প্রবেশ বা বাহির হবে।
  • চাকুরীতে নিয়োগকালীন সময়ে অবশ্যই সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
  • এইডস্ থেকে রেহাই পেতে অন্যের ব্যবহার করা সূঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করা যাবে না।
  • যে সকল শ্রমিকগন কোন প্রকার মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা বাহনের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে।

মাদকদ্রব্য আজ সমগ্র যুব সমাজ তথা সমগ্র মানব সমাজের জন্য হুমকি সরূপ। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ মাদকদ্রব্যের কবলে পড়ে ধ্বংষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই অত্র কোম্পানী সকল কর্মচারীর সুস্বাস্থ এবং সুন্দর জীবনের কথা বিবেচনা করে এবং আমদানী রপ্তানীর মাধ্যমে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য আর্ন্তজাতিক চোরাচালানকারীদের সংস্পর্ষে না আসতে পারে তার জন্য এই নীতিমালাটি সকলকে অনুসরন বা মেনে চলার জন্য বলা হলো।

১। গাড়ী পরীক্ষা করণ
(ক) পন্য পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট্ গাড়ী কারখানা চত্ত্বরে প্রবেশ করলে সিকিউরিটি অফিসার গাড়ীর উভয় পার্শ্বের দেয়াল, ছাঁদ, মেঝে, পাশ্ব্র্ভাগ, নিচের অংশ ভাল করে পরীক্ষা করবেন এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন, গাড়ীতে কোন ক্রুটি পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং গাড়ী পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত পরিবহন সংস্থার নিকট ফেরৎ পাঠাতে হবে।
(খ) পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গাড়ীটি সম্পুর্ণ ক্রটিমুক্ত প্রতিয়মান হলে গাড়ীটি নির্ধারিত লোডিং এলাকায় পাঠাতে হবে এবং লোডিং এরিয়াতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করতে হব । মাদক নিরোধকরন এর জন্য প্রতিটি গারি চেক করা হয়
২। পন্য বোঝাইকরন:
(ক) গাড়ী লোডিং এরিয়াতে পার্ক করার পর সিকিউরিটি অফিসার/গার্ড কমান্ডার/সিকিউরিটি সুপারভাইজার চালানসহ উপস্থিত হবেন এবং উৎপাদিত পন্য গুদামে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডকে কার্টুন ছাড়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন ।
(খ) উৎপাদিত পন্যগুদামে কর্তব্যরত গার্ড চালান অনুযায়ী কার্টুন ছাড়বেন এবং প্রতিটি কার্টুন গুদাম হতে বের হবার সময় কার্টুনের হিসাব বান্ডিলসীটে লিপিবদ্ধ করবেন। গুদাম হতে কার্টুন বের করার সময় কর্তব্যরত গার্ড অবশ্যই কার্টুনের গায়ে স্টাইল নম্বর বায়ারের নাম, কার্টুন নম্বর, কার্টুনের ওজন পরীক্ষা করবেন এবং চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলে তা সাথে সাথে সিকিউরিটি অফিসারকে জানাবেন। সিকিউরিটি অফিসার তৎক্ষনাৎ বিষয়টি স্টোর ম্যানেজার এবং কারখানার প্রধানকে অবহিত করবেন এবং বিষয়টি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
(গ) গুদাম হতে কার্টুন লোডিং এরিয়াতে এসে পৌছাঁলে সেখানে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড সকল কার্টুন পরীক্ষা করবেন এবং অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা সিকিউরিটি অফিসারকে জানাবেন। সিকিউরিটি অফিসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।

৩. বোঝাইকৃত পন্যের সঠিকতা নিরূপন এবং যাত্রা শুরুর অনুমতি প্রদান

(ক) লোডিং এরিয়াতে পরিক্ষিত কার্টূনগুলো গাড়িতে লাইন করে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টূন আছে এবং মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সেই হিসাব নির্ভূলভাবে রাখতে হবে।
(খ) সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়িতে উঠানো হলে গার্ড কমান্ডার গাড়িতে তালা লাগাবেন এবং গাড়িতে সীল করে দিবেন। অতপরঃ সিকিউরিটি অফিসার তালা ও সীল পরীক্ষা করবেন এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
(গ) অতপরঃ গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর নির্দিষ্ট্ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়ী চালককে গাড়ীতে বোঝাইকৃত মোট পন্যের চালান এবং রোড ম্যাপ প্রদান করবেন একই সাথে গাড়ী লোডিং এরিয়া থেকে সি পোর্ট এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করবেন উক্ত তথ্য একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
(ঘ) গাড়ী কারখানা থেকে ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্টকে গাড়ী ছাড়ার সময়, গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স অবহিত করতে হবে এবং গাড়ীটির পৌঁছানো সংবাদ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
(ঙ) পন্যবাহী গাড়ীটি যাত্রাকালীন সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গ্রহনযোগ্য সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে তৎক্ষনাৎ কারখানার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে তদন্তে কোন গ্রহনযোগ্য যুক্তিযুক্ত কারণ পাওয়া না গেলে সি এন্ড এফ এজেন্ট গুদামে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করবেন।
কারখানা থেকে পন্য সামগ্রী নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে নিরাপদভাবে পৌঁছানোর জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

নিরাপত্তা কর্মীদের করনীয়ঃ

  • কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে দেহ তল্লাশী করতে হবে।
  • সকল গাড়ী প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় সঠিক ভাবে তল্লাশী করতে হবে।
  • কন্টেইনার লোডিং/আনলোডিং এর সময় সেভেন পয়েন্ট চেকিং পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য কারখানার ভেতর প্রবেশ এবং বাহির হতে না পারে।
  • প্যাকিং এরিয়ায় সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুমোদিত ব্যক্তির নামিয় তালিকা লাগানো থাকবে। এই তালিকার বাইরে সাধারণ কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের মাদক নিয়ন্ত্রন বিধিমালা না মানলে অথবা পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হবে। যদি কোথাও সন্দেহমূলক পাওয়া যায় সাথে সাথে সিকিউরিটি ইনচার্জকে অবহিত করতে হবে।
  • সিকিউরিটি ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)/মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে জানাবে এবং তিনি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন।
  • মাদক নিরোধকরন  ক্ষেত্রে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

By Mashiur

He is Top Class Digital Marketing Expert in bd based on Google Yahoo Alexa Moz analytics reports.. He is certified IT Professional from Aptech, NCC, New Horizons & Post Graduated from London Metropolitan University (External) in ICT. Cell# +880 1792525354. যোগাযোগ এর জন্য নিম্নে Leave a Reply এ গিয়ে কমেন্টস Comments করুন

Leave a Reply