রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী

রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো কি কি?

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী

রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো – অধিক অনাবৃত্তের ফলাফল। চোখের সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়ন এবং চোখ ব্যাথা অনুভব হতে পারে। ত্বকের সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়ন হতে পারে। পণ্যের ব্যবহারের সময় মুক্তভাবে শ্বাস গ্রহণ করলে শ্লেষ্মায় জ্বালাপোড়ন হতে পারে। …

প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যপ্রণালী :

শ্বাস-প্রশ্বাস : মুক্ত বায়ুতে যেতে হবে। যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় তাহলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি শ্বাস গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে তাহলে অক্সিজেন গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

ত্বকের সংস্পর্শ :ত্বকে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সংস্পর্শ অথবা বারংবার সংস্পর্শের কারণে ত্বকের তেল হ্রাস পেতে পারে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে এবং ত্বকে ফাটল দেখা দিতে পারে। পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলতে হবে। গোসল করার সাবান দিয়ে ত্বক প্রচুর পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।

চোখের সংস্পর্শ : চোখের জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে, চোখ লাল হতে পারে, চোখ ফুলে যেতে পারে এবং চোখে পানি আসতে পারে।অন্তত ১৫ মিনিট প্রচুর পানি দ্বারা চোখ ধৌত করতে হবে এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

গিলে ফেললে : কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে। বমি করার চেষ্টা করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। এই পণ্য গিলে ফেললে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। গলার মধ্যে দিয়ে এ্যারোসল পণ্য প্রবেশ করবে এ ধরণের সম্ভাবনা কম। এর ফলে আন্ত্রিক প্রদাহ, বমিভাব দেখা দিতে পারে এবং বমি হতে পারে, ¯œায়ুতš ¿ প্রভাবিত হতে পারে। গিলে ফেলার ফলেফুসফুসে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বমি করার ফলে ফুসফুসের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।

মানব স্বাস্থ্য: খুবই কম মাত্রার বিষক্রিয়া ঘটে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাষ্প অথবা ধোঁয়া গ্রহণ করার ফলে মিউকাস ত্বকের এবং উপরের শ্বাস নালীর জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় উন্মোচনের ফলে মাথা ব্যথা, ঝিমুনী, তন্দ্রালুতা, নিঃশ্বাসের কষ্ট, হৃদকম্পে সমস্যা, অনিয়মিত হৃদকম্পে, স্বল্পস্থায়ী নিঃশ্বাস, অচেতনতা এমনকি মৃত্যুও হতেপারে।

বিষক্রিয়া:
মুখে এলডি৫০ (মিগ্রা/কেজি):> ১৫০০ ইঁদুর
২/৩

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল স্বাস্থ্যতত্ত¡
এই পণ্যের সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং পরিবহন কোম্পানীর উপযুক্ত ব্যবহার নির্দেশিকা এবং আইন অনুযায়ী করতে হবে। এই পণ্য সতর্কতার সহিত ব্যবহারে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এই তথ্য বিবরণী আমাদের সীমিত জ্ঞান অনুযায়ী বর্ণনাকৃত যা আমাদের পণ্যের বর্ণনা এবং নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নির্দিষ্টভাবে লিখিত হয়েছে।

শাখা ৬- প্রতিক্রিয়াশীল বিবরণী

রাসায়নিক পণ্যে র স্থায়ীত্ব : স্থায়ী
এড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা : প্রযোজ্য নয়
অসামঞ্জস্য উপাদান : অ্যালকালিস এবং অক্সিডাইজিং মাধ্যম
পলিমারেশন ঝুঁকি : ঘটনশীল নয়

শাখা ৭ – কার্যপ্রণালী এবং অবমুক্তকরণ বিবরণী

অবমুক্তকরণ শোষন করতে পারে এমন পণ্যের সাথে কন্টেইনারে করে বর্জ্য ফেলার স্থানে বর্জ্য অবমুক্ত করতে হবে।
বর্জ্য অবমুক্তের পদ্ধতি স্থানীয় এবং জাতীয় আইনের প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্জ্য পণ্য অবমুক্ত করতে হবে।

শাখা ৮- বিশেষ সুরক্ষা
শ্বাস সুরক্ষা :
চোখ সুরক্ষা :সুরক্ষা চশমা এবং আয়না।
অন্যান্য সুরক্ষা যন্ত্রাংশ :ÑÑÑÑ চোখ ধৌত করার এবং বিশুদ্ধ শাওয়ারের ব্যবস্থা কাছাকাছি রাখতে হবে।
সুরক্ষা হাত মোজা:

পর্যাপ্ত আলো বাতাস:
যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ব্যবহার এবং সংরক্ষণ:
রাসায়নিক পণ্য উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। অব্যবহৃত অবস্থায় ভালভাবে মুখবন্ধ করে রাখতে হবে।
শাখা ৯- বিশেষ পূর্ব সতর্কতা
ঝুঁকির শ্রেণী: প্রযোজ্য নহে
তথ্যগত সংখ্যা:প্রযোজ্য নহে
ইউ এন নং: প্রযোজ্য নহে
পরিবহনকৃতের নাম: ডায়াপল এক্সএলএফ

কেমিক্যালের ক্ষতির প্রাথমিক চিকিৎসা সমূহ ঃ
ক. যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনহলে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
খ. যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
গ.রাসায়নিক পণ্য নিঃশ্বাসের সাথে ভিতরে চলে গেলে মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় ডাক্তারেরপরামশর্  নিতে হবে।
ঘ. দুর্ঘটনাবশতঃ খেয়ে ফেললে মখু দ্রত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে এবং দ্রত ডাক্তারের পরামশর্  নিতে হবে।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “রাসায়নিক পণ্য বাবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিবরণী গুলো কি কি?”

Leave a Reply