by Mashiur | Sep 23, 2019 | নিরাপত্তা
সিটি প্যাট মানদন্ড পরিচালনার প্রক্রিয়া
(কাস্টমস-ট্রেড-পার্টনারশিপ এগেইনস্ট টেরোরিজম) এর অর্থ (সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমদানী-রপ্তানী ও শুল্ক ব্যবসায়ের
অংশীদারিত্ব)। সন্ত্রাস অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে বানিজ্যিক মালপত্র প্রেরনের নিরাপত্তা উন্নতীকরণ ও ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ইং এর ঘটনার প্রেক্ষিতে
ইউএস কাস্টম সার্ভিসের একটি
যুগ-উপযোগী পদক্ষেপ হচ্ছে “সিটি-প্যাট”।
ইহা বানিজ্যিক সহযোগীতা
ও সম্পর্ক গঠন করতে একটি
সরকার ও ব্যবসায় যৌথ
পদক্ষেপ, যা
সকল চেইন ও সীমান্ত
নিরপত্তা শক্তিশালী করতে ফলপ্রসু হয়।
“সিটি-প্যাট” হলো একটি স্বীকৃতি, যা কাস্টমস (আমদানী-রপ্তানী শুল্ক) সরবরাহ চেইন (আমদানীকারক, বাহক ইত্যাদি) এর মাধ্যমে মালিককে জড়িত না করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেন না। কাস্টম সার্ভিস সরবরাহ চেইনসহ উন্নত ও স্বচ্ছ বাহ্যিক নিরাপত্তা কার্য্য বাস্তবায়ন করতে ব্যবসায়িক অংশীদারকে তালাশ করে এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারের প্রয়োজন যোগাড় করে। বিভিন্ন এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে: প্রক্রিয়াগত নিরাপত্তা, বাহ্যিক নিরাপত্তা, কর্মচারী নিরাপত্তা, প্রবেশ নিয়ন্ত্রন, প্রশিক্ষন ইত্যাদি।
(কাস্টমস-ট্রেড-পার্টনারশিপ এগেইনস্ট টেরোরিজম) এর অর্থ (সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমদানী-রপ্তানী ও শুল্ক ব্যবসায়ের অংশীদারিত্ব)। সন্ত্রাস অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে বানিজ্যিক মালপত্র প্রেরনের নিরাপত্তা উন্নতীকরণ ও ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ইং এর ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউএস কাস্টম সার্ভিসের একটি যুগ-উপযোগী পদক্ষেপ হচ্ছে “সিটি-প্যাট”। ইহা বানিজ্যিক সহযোগীতা ও সম্পর্ক গঠন করতে একটি সরকার ও ব্যবসায় যৌথ পদক্ষেপ, যা সকল চেইন ও সীমান্ত নিরপত্তা শক্তিশালী করতে ফলপ্রসু হয়।
প্যাকিং
এরিয়া (বাহ্যিক নিরাপত্তা)ঃ
- ক্ষমতাপ্রাপ্ত / অনুমোদিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া প্যাকিং এরিয়ায় (প্যাকেট করার জায়গা) প্রবেশ বিধি নিষেধকৃত হতে হবে।
- প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ এর জন্য অনুমোদিত ব্যাক্তিদের ছবি প্রবেশ পথে ঝুলানো হয়।
- যে ব্যক্তি প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ করবেন তাকে প্রতিদিন নিরাপত্তা কর্মী কর্তৃক চেক করতে হবে এবং যাতে করে তারা কোন অপ্রত্যাশিত বস্তু বহন না করে।
- অননুমোদিত কোন ব্যক্তি প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ ও বাহির এর সময় রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
- গার্মেন্টস প্যাকেট করার পুর্বে সকল প্যাকেটজাতকৃত পন্য নিডেল ডিটেক্টর (সুই তল্লাশী যন্ত্র) দ্বারা পরীক্ষা করতে হবে।
- অব্যাবহৃত সময়ে প্যাকিং এরিয়া তালা-চাবির অধীনে রাখতে হবে।
- প্যাকিং এরিয়া বাহ্যিক নিরাপত্তা তদারকির অধীনে রাখতে হবে।
- প্যাকিং এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) এর আওতাধীন রাখতে হবে এবং রেকর্ড করা যন্ত্রের দ্বারা রেকর্ড করতে হবে।
“সিটি-প্যাট” এর ব্যাপারে ব্যক্তিগত
নিরাপত্তা:
- চাকুরী প্রদানের পুর্বে ব্যক্তিগত তথ্য ও কাগজপত্র কঠোরভাবে নিরীক্ষা করতে হবে।
- চাকুরী প্রদানের পর নির্দিষ্ট ব্যক্তির পুলিশি তদন্ত করা যেতে পারে।
- মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে চাকুরী প্রদান করা হবে না।
- মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে হবে।
- ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের সময় সকল সদস্যকে তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে এবং কর্মরত অবস্থায় তাদের পরিচয় প্রমান করতে আইডি কার্ড দৃশ্যমান অবস্থায় পরিধান করতে হবে।
- বরখাস্তের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট কর্মীর পরিচিতি কোম্পানীর তথ্য ভান্ডার হতে তৎখনাৎ মুছে ফেলতে হবে এবং বরখাস্ত কর্মী ছবি সহ তালিকা ফ্যাক্টরী নিরাপত্তা বিভাগে সংরক্ষন করতে হবে এবং তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বরখাস্ত কর্মীর তথ্য অভ্যন্তরীন সকল বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করতে হবে। উক্ত কর্মীর ফ্যাক্টরীতে প্রবেশাধীকার শুধুমাত্র জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাষণ) ও জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) দিতে পারবেন। উক্ত কর্মীর পুনঃ চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানীর চেয়ারম্যান/ এম ডি/ ডাইরেক্টর ব্যাতীত ফ্যাক্টরীর উচ্চ-পদস্থ কেউ অনুমতি দিতে পারবেন না।
“সিটি-প্যাট” এর নিরাপত্তা পদ্ধতি
ও তথ্যের সত্যতা:
- প্রতিটি শিপমেন্ট এর সময় প্যাকিং ইনচার্জ / ইডিআই কো-অরডিনেটর সর্বশেষ প্যাকিং তালিকা কমার্শিয়াল বিভাগ ও মার্চেনডাইজিং সেকশনে পাঠিয়ে অনুমোদন নেয়। অনুমোদনের পর জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাকশন), জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন), ম্যানেজার (স্টোর), ফিনিশিং ম্যানেজার ও প্যাকিং ইনচার্জকে অবহিত করা হয়। স্টোর ম্যানেজার অনুমোদিত প্যাকিং তালিকা অনুযায়ী কার্গো / কনটেইনার মাল দ্বারা ভরাট করেন ও নির্দিষ্ট তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষন করেন। কোন অননুমোদিত ব্যাক্তি এই তালিকা দেখতে পাবেন না এবং এই তালিকার কোন পরিবর্তন গ্রহনযোগ্য হবে না।
- যদি কোন পরিবর্তন হেড অফিস কমার্শিয়াল / মার্চেনডাইজিং ডিপার্টমেন্ট থেকে করা হয় তা অনুমোদন পাবে এবং লিখিত তথ্য ও পরিবর্তনের কারণ তালিকার সাথে সংরক্ষন করবে।
“সিটি-প্যাট” এর ব্যাপারে ব¯ুÍ নিরাপত্তা:
- নুমোদিত চালান ছাড়া কারখানা থেকে কোন ব¯ুÍ বাহির করা বা ঢুকানো যাবে না।
- নিরাপত্তা নিরিক্ষন ছাড়া কোন ব¯ুÍ কারখানায় প্রবেশ করানো যাবে না।
- রাসায়নিক এর ক্ষেত্রে কঠোর বিশ্বস্ততা উল্লেখ করতে হবে, এমএসডিএস ছাড়া কোন কেমিক্যাল কারখানাতে প্রবেশ করানো যাবে না।
- মেইনটেনেন্স সিডিউল (রক্ষনাবেক্ষন সূচী) অনুসারে কারখানার সকল ব¯ুÍ রক্ষা করতে হবে।
- অব্যাবহৃত বস্তুসামগ্রী নিরাপত্তার জন্য তালা-চাবীর অধীনে রাখতে হবে।
সিটি-প্যাট” এর তথ্য নিরাপত্তা:
- যে কোন তথ্য প্রয়োজন এর ভিত্তিতে কারখানায় সম্প্রচার করা হবে।
- প্রতিটি কম্পিউটার শুরুর সময় পাসওয়ার্ড থাকবে।
- আইটি ম্যানেজার দ্বারা পাসওয়ার্ড নির্ধারন ও প্রদান করা হবে।
- তিন মাস অন্তর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
- কোম্পানীর অভ্যন্তরীন তথ্যের গুরুত্ব ও আইন বিবেচনা করে সকল সদস্যকে প্রেষনা ও নির্দেশনা প্রদান করতে হবে, যাতে কেহ বাহিরের লোকের নিকট কারখানার ভিতরের তথ্য প্রকাশ না করে।
উপসংহার
সিটি প্যাট হলো একটি স্বীকৃতি, যা কাস্টমস (আমদানী-রপ্তানী শুল্ক) সরবরাহ চেইন (আমদানীকারক, বাহক ইত্যাদি) এর মাধ্যমে মালিককে জড়িত না করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করতে পারেন না। কাস্টম সার্ভিস সরবরাহ চেইনসহ উন্নত ও স্বচ্ছ বাহ্যিক নিরাপত্তা কার্য্য বাস্তবায়ন করতে ব্যবসায়িক অংশীদারকে তালাশ করে এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারের প্রয়োজন যোগাড় করে। বিভিন্ন এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে: প্রক্রিয়াগত নিরাপত্তা, বাহ্যিক নিরাপত্তা, কর্মচারী নিরাপত্তা, প্রবেশ নিয়ন্ত্রন, প্রশিক্ষন ইত্যাদি।ফফফ
by Mashiur | Jul 23, 2019 | নিরাপত্তা
চুরি সংক্রান্ত নীতিমালা
নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি চুরি সংক্রান্ত নীতিমালা একটি ফ্যাক্টরীর জন্য বিশেষ করে পোশাক শিল্প ফ্যাক্টরীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পোশাক শিল্প ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বলতে বুঝায় শ্রমিক / কর্মচারী /ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিধি নিষেধ পালন করা। আআআআ
- নিরাপত্তা নিিতমালার উদ্দেশ্য হল প্রদত্ত নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে গার্মেন্টস লিঃ লিমিটেডের সকল সেকশনে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অভিপ্রায় হল নিরাপত্তার বিভিন্ন দিককে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে চুরি, ধংস, ও অন্তর্ঘাত হতে গার্মেন্টস লিঃ লিমিটেডর লোকবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষণে শ্রেষ্টতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠা করা । কোন চুরির ঘটনা ঘটে থাকলে সর্ব প্রথম নিরাপত্তা শাখায় রিপোর্ট করতে হবে।
- নিরাপত্তা শাখা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও উদ্বারকৃত আলামত সহ প্রশাসনিক শাখায় একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। রপ্তানীযোগ্য (এক্সপোর্ট) ও সাধারণ মালপত্র লোডিংয়ের সময় নিরাপত্তা
- অভ্যন্তরীন দুর্ঘটনার সময় করনীয়, ফ্যাক্টরী বন্ধের সময় করনীয় , রাত্রিকালীন ডিউটির সময় করনীয়, দায়িত্ব ও কর্তব্য হস্তান্তরের সময় করনীয়, ফ্যাক্টরী খোলার সময় করনীয়
- বহিরাগত / ভিজিটর (পরিদর্শক) প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা
- প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য নিরাপত্তা কমিটিতে প্রেরন করবেন এবং তদন্তকৃত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করার সময় সীমা নির্ধারণ করে দিবেন।
- নিরাপত্তা কমিটি সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামত পর্যালোচনা করে রিপোর্ট পেশ করবেন। ইমপোর্ট, সাধারণ মালপত্র ও এক্সেসরীজ আনলোডিয়ের সময় নিরাপত্তা
- কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে শ্রমিক আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
- বড় ধরনের অপরাধ প্রমানিত হলে অপরাধীকে পুলিশে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
- সর্বোপুরি চুরি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে সকল নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা করা ।
- কর্মসূচীটির মাধ্যমে গার্মেন্টস লিঃ লিমিটেড দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করে যে, তার নিরাপত্তার মান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার ব্যাবস্থা গ্রহণ করার সাথে সাথে গার্মেন্টস লিঃ: লিমিটেডর নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্বি ও অন্য সকল শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্বির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে। লিমিটেডর নিরাপত্তা নীতিমালা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজের পরিপুরক। চুরি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা ।
সারাংশ
চুরি সংক্রান্ত নীতিমালাবানিজ্যিক স্বার্থে সর্বাধিক নিরাপত্তার গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কেই সময়োপযোগী নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধ্যানুযায়ী তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে ।
by Mashiur | Jul 19, 2019 | নিরাপত্তা
রপ্তানী নিয়ন্ত্রনে নিরাপত্তা
রপ্তানী নিয়ন্ত্রনে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি সুনিদিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করে থাকে।
যে শিপিং এজেন্ট বা সি এন্ড এফ এজেন্ট রপ্তানীয় জন্য মাল বা কার্টুন নিতে আসে সেই ব্যক্তির পরিচয়, মাল নেওয়ার অনুমোদন বা চিঠি আছে কিনা তাহা নিশ্চিত করে।
যে পরিবহনে মালগুলি লোডিং হবে সেই পরিবহনের নাম, গাড়ির নং, ড্রাইভারের নাম, হেলপারের নাম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নং ইত্যাদি তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
মালামাল ডেলিভারি নিতে আসা সি এন্ড এফ কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিকে তার কোম্পানী কর্তৃক আই ডি বেজ অথবা কারখানা কর্তৃক ভিজিটর পাস দেওয়া নিশ্চিত করে ।
কোন কার্টুনের ভিতরে বিস্ফোরক বা ক্ষতিকারক মাল আছে কিনা তাহা নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া কার্টুন ছেঁড়া , ফাটা অথবা সহজে মাল বাহির ও প্রবেশ করা যায় এইরূপ হইলে তৎক্ষনাৎ তা পরিবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনবোধে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়।
ট্টাক বা কন্টেইনার ইত্যাদি যাহাতে মালামাল লোড করা হয় তাহা মজবুত এবং শক্ত কাঠামো দ্ধারা প্রস্তুত হয়েছে কিনা তাহা নিশ্চিত করা হয় ।
মালগুলির গেইট পাস, ডেলিভারী চালান ইত্যাদি করা হয়েছে কিনা তাহা নিশ্চিত করা হয় এবং মালগুলি গেটে রক্ষিত নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গননা করা হয়েছে কিনা তাহা নিশ্চিত করা হয় ।
রপ্তানী কার্টুন নিয়া গাড়ি লোডিং পয়েন্ট ছাড়ার পর হইতে জেটি বা বন্দর পৌঁছা পর্যন্ত কোম্পানীর নিজস্ব সি এন্ড এফ দ্বারা মনিটরিং করা হয় ।
পথে যদি কোন অবৈধ মাল বা বিস্ফোরন বা ক্ষতিকর কিছু ঢুকাতে না পারে সেই জন্য কারখানা কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি কার্ভাড ভ্যান করে পাহারা দিয়ে বন্দর পর্যন্ত পৌঁছার ব্যবস্থা করা হয় এবং পথে যদি কোন দূঘটনা ঘটে তার জন্য কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহিত যোগাযোগ করে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়।
বহনকারী গাড়ির চালক বা হেলপার কোনক্রমেই লোডিং এরিয়ায় প্রবেশ বা অবস্থান করার অনুমতি দেয়া হয় না । চালকগন সিকিউরিটিদের তত্ত¡াবধানে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত থাকে ।
অসর্ম্পূন বা আংশিক লোডের ক্ষেত্রে অন্য কোন মাল দেওয়া হয় না। লোডিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বে সিকিউরিটি অফিসার বা ষ্টোর কর্মকর্তা অবশ্যই কনটেইনারটি পুঙ্খানুু পঙ্খানু ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হবেন যে এর চতুপার্শ্বের ওয়াল ফ্লোর সিলিং এর উপরিভাগ ভিতরে ও বাহিরের দরজা, গাড়ির ফিটনেস (৭ পয়েন্ট ইন্সপেকশান) ইত্যাদি ঠিক আছে এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
লোডিং এর সময় কার্টুন বা দ্রব্য সামগ্রিক যাতে ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয় ।
গাড়িতে কোন লুকানো সামগ্রী আছে কিনা, যাতে অবৈধ মালামাল বহন করতে না পারে তাহা নিশ্চিত করা হয়।
পরীক্ষা নীরিক্ষার সময় কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে তাহা সাথে সাথে অবহিত করা হয় ।
লোডিং এর সময় সিকিউরিটি ইনচার্জকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্ধারিত কমিটি রয়েছে যাদের সরাসরি তত্ত¡াবধানে লোডিং এর কার্যক্রম পারিচালনা করা হয় ।
অতিরিক্তি কোন দ্রব্য সামগ্রী লোডিং করা হয় না। নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্দিষ্ট সময়ে যেন গাড়ি পৌঁছে যায় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হয় ।
কনটেইনার গঠন যদি সন্তোাষ জনক না হয় এবং নিরাপত্তা বিঘিœত হবে বলে সন্দেহ হয় তাহলে উক্ত কনটেইনার পরিবর্র্তন করা হয়।
লোডিং হওয়ার পর নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা কনটেইনারের দরজা তালাবদ্ধ ও সিলগালা করা হয় ।
সারাংশ
রপ্তানী নিয়ন্ত্রনে নিরাপত্তা লোডিং এর চুড়ান্ত পরিদর্শন সম্পন্ন হওয়ার পর ষ্টোর ইনচার্জ কর্তৃক ৩ কপি চালান করা কপির ১ কপি গাড়ির চালকের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং এক কপি রিসিভিং করে রাখা হয় , অন্যটি অফিস ডকুমেন্ট হিসাবে রেকর্ড রাখা হয়।
by Mashiur | Jul 19, 2019 | নিরাপত্তা
দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান
কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান। – শ্রমিক হিসেবে আপনার মৌলিক অধিকার এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ম-নীতি ও দেশের প্রচলিত কারখানা আইন সম্বন্ধে জানার অধিকার আপনার আছে। মূলতঃ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই শ্রমিক সহায়িকাটি প্রকাশনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন দুর্ঘটনা ঘটে, যাহাতে প্রাণহানি বা শারীরিক জখম হয়, অথবা যদি কোন প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ, প্রজ্জ্বলন, অগ্নিকাণ্ড, সবেগে পানি প্রবেশ বা ধুম্র উদ্গীরণ ঘটে, তাহা হইলে মালিক পরিদর্শককে পরবর্তী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তত্সম্পর্কে নোটিশ মারফত অবহিত করিবেন: ..
তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা কিংবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম আরম্ভের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরকার, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর, থানা, প্রয়োজনে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে ফোন, মোবাইল ফোন, এসএমএস অথবা ফ্যাক্সের মাধ্যমে অবহিত করিবে।
উল্লিখিত কোন দুর্ঘটনায় শারীরিক জখম হওয়ার কারণে উহা কোন আহত শ্রমিককে আটচল্লিশ ঘন্টার অধিক সময় পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকিতে বাধ্য করে, সে ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতে হইবে৷
উল্লিখিত রেজিস্টারে লিখিত বিবরণের একটি কপি মালিক প্রত্যেক বত্সর ৩০শে জুন এবং ৩১শে ডিসেম্বর এর পরবর্তী পনর দিনের মধ্যে প্রধান পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করিবেন
কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে নোটিশ
যে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত ব্যাধি দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে মালিক অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অথবা তত্কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও সময়ের মধ্যে, তত্সম্পর্কে পরিদর্শককে নোটিশ মারফত অবহিত করিবেন৷
যদি কোন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কোন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান বা ভূতপূর্ব কোন শ্রমিককে চিকিত্সাকালে দেখেন যে, তিনি দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত কোন ব্যাধিতে ভুগিতেছেন বা ভুগিতেছেন বলিয়া তাহার সন্দেহ হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত চিকিত্সক অবিলম্বে একটি লিখিত রিপোর্ট মারফত প্রধান পরিদর্শককে নিম্নলিখিত বিষয় অবহিত করিবেন, যথাঃ-
রোগীর নাম এবং ডাক যোগাযোগের ঠিকানা;
রোগী যে রোগে ভুগিতেছেন বা ভুগিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইতেছে, তাহার নাম;
যে প্রতিষ্ঠানে রোগী বর্তমানে কাজ করিতেছেন বা সর্বশেষ কাজ করিয়াছেন, তাহার নাম ও ঠিকানা৷
প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট মালিক উক্তরূপ পেশাগত ব্যাধিতে আক্রান্ত, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করিবেন
সারাংশ
কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান। – আপনারা সকলেই যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি ও সুযোগ সুবিধা সম্বন্ধে জানতে পারেন (যা দেশের প্রচলিত আইনের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে) তাহলে আপনারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি কোম্পানীও উপকৃত হবে। কারণ এর মাধ্যমে একজন শ্রমিক কোম্পানীর যাবতীয় নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি, শৃংঙ্খলা, কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নিয়োগ-নীতি, শাস্তি, পদোন্নতি, বরখাস্ত, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে অবগত হবেন। আমরা আশা করি, আপনারা সকলেই বইটি ভালভাবে পড়ে কর্মক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন এবং একই সাথে নিজেকে ও কোম্পানীকে উপকৃত করবেন।
by Mashiur | Jul 19, 2019 | নিরাপত্তা
ভবন ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা
যদি কোন পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা ইহার কোন অংশ অথবা ইহার কোন পথ, যন্ত্রপাতি বা প্ল্যান্ট [বা ভবনের অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা] এমন অবস্থায় আছে যে, ইহা মানুষের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক, তাহা হইলে তিনি মালিকের নিকট লিখিত আদেশ জারী করিয়া, উহাতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, তাহার মতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন-উহা গ্রহণ করিবার নির্দেশ দিতে পারিবেন৷ ভবন ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন ।
যদি কোন পরিদর্শকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন বা উহার কোন অংশ বা উহার কোন পথ, যন্ত্রপাতি বা প্ল্যান্ট [বা ভবনের অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা] এর ব্যবহার মানুষের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য আশু বিপজ্জনক, তাহা হইলে তিনি মালিকের উপর লিখিত আদেশ জারী করিয়া, উহা যথাযথভাবে মেরামত বা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত উহার ব্যবহার নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন৷
মেঝে, সিঁড়ি এবং যাতায়াত পথ
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে- সকল মেঝে, সিঁড়ি, চলাচল পথ মজবুতভাবে নির্মাণ করিতে এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রয়োজন হইলে উহাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মজবুত রেলিং এর ব্যবস্থা করিতে হইবে [এবং কর্মকালীন নিবিঘ্নে চলাচলের জন্য পথ ও সিঁড়ি উন্মুক্ত রাখিতে হইবে];
যে স্থানে কোন সময়ে কোন ব্যক্তিকে কাজ করিতে হয়, সে স্থানে যাতায়াতের জন্য,ক্তিসংগতভাবে যতদূর সম্ভব নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করিতে হইবে; এবং
কর্মস্থলের চলাচলের পথ ও সিঁড়ি পরিচ্ছন্ন, প্রশস্ত ও বাধা-বন্ধকহীন হইতে হইবে;(মালিক কারখানা ও শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মস্থলের চলাচলের পথ, সিঁড়ি, গেইট, গুদাম ও সাধারণ ব্যবহারি স্থানসমূহ (Common Utility Area) ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনিতে পারিবে।
ষ্ট্রাইকিং গিয়ার এবং শক্তি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার পন্থা ঃ
প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক কর্মকক্ষে চলমান যন্ত্রপাতি হইতে জরুরী অবস্থায় শক্তি বিচ্ছিন্ন করিবার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকিতে হইবে।
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ঃ
কোন প্রতিষ্ঠানের কোন সয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির চলমান অংশ এবং উহাতে বাহিত কোন দ্রব্য যাহার উপর দিয়া চলাচল করে, উহা যদি এমন কোন স্থান হয় যাহার উপর দিয়া কোন ব্যক্তিকে কর্তব্য সম্পাদন বা
অন্য কোন কারনে চলাচল করতেই হয়,
তাহা হইলে উক্ত যন্ত্রপাতির অংশ নহে এমন কোন স্থির কাঠামো হইতে ৪৫
সেঃমিঃ এর মধ্যে উহাকে বহির্মুখী অথবা অন্তর্মূখী চলাচল করিতে দেয়া যাবে না।
নতুন যন্ত্রপাতি আবৃত রাখা ঃ
সেট-স্ক্রু, বেল্ট, চাবি, ঘূর্ণায়মান শেফট, স্পিন্ডল হুইল, পিনিয়ন, স্পার, ওয়ার্ম এবং অন্যান্য দাঁত বিশিষ্ট গিয়ার ব্যবস্থা, যাহা চলন্ত অবস্থায় ঘনঘন বিন্যস্ত করার প্রয়োজন হয় না, সম্পূর্ন ভাবে আবৃত করিয়া রাখিতে হইবে, যদি না উহা এমনভাবে অবস্থিত হয় যে, উহা আবৃত থাকিলে যেরূপ নিরাপদ হইত, সেরূপ নিরাপদ থাকে।
ঘূর্নায়মান যন্ত্রপাতি ঃ
গ্রাইন্ডিং প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, এ রকম প্রত্যেক কক্ষে ব্যবহৃত যন্ত্রের গায়ে অথবা উহার নিকটে স্থায়ীভাবে গ্রাইন্ড ষ্টোন হুইলের সর্বোচ্চ নিরাপদ গতিসীমা, যে সেফট্ অথবা স্পিন্ডল এর উপর চাকাটি স্থাপিত উহার গতি, সেফট্ অথবা স্পিন্ডল এর উপর স্থাপিত পুলির পরিসীমা উলেখ
করে দিতে হবে এবং উলেখিত গতি যাতে অতিক্রম না হয় ইহার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হইবে।
মেঝে, সিঁড়ি এবং যাতায়ত পথ ঃ
প্রত্যেক কারখানায়- সমস্ত মেঝে, সিঁড়ি, চলাচল পথ
এবং সেতু মজবুত করে নির্মাণ এবং সুষ্ঠভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সিঁড়ি, চলাচল ও গ্যাংওয়েতে উপযুক্ত হ্যান্ডরেইল থাকতে হবে।
অতিরিক্ত ওজন ঃ
কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিককে, তাহার ক্ষতি হইতে পারে এমন কোন ভারী জিনিস উত্তোলন, বহন অথবা নাড়াচাড়া করিতে দেয়া যাবে না।
যন্ত্রপাতি ঘিরিয়া রাখা
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে উহার নিম্নলিখিত যন্ত্রপাতি, গতিসম্পন্ন বা ব্যবহারে থাকার সময়, পর্যাপ্ত নির্মাণ ব্যবস্থা দ্বারা মজবুতভাবে ঘিরিয়া রাখিতে হইবে, যথাঃ-
কোন প্রাইম-মোভার যন্ত্রের প্রত্যক ঘূর্ণায়মান অংশ, এবং উহার সহিত সংযুক্ত প্রত্যেক ফ্লাই হুইল;
প্রতিটি ওয়াটার হুইল এবং ওয়াটার টারবাইনের উভয় মুখ;
লেদ মেশিনের মুখ অতিক্রমকারী প্রতিটি স্টক বারের অংশ; এবং
যদি না নিম্নলিখিত যন্ত্রপাতিগুলি এমন অবস্থায় থাকে বা এমন ভাবে নির্মিত হয় যে, এইগুলি মজবুতভাবে ঘেরা থাকিলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য যেরূপ নিরাপদ হইত সেরূপ নিরাপদ আছে-
বৈদ্যুতিক জেনারেটর, মোটর বা রোটারী কনভার্টারের প্রত্যেকটি অংশ,
ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতির প্রত্যেকটি অংশ;
যে কোন যন্ত্রপাতির প্রত্যেকটি বিপজ্জনক অংশঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত মতে কোন যন্ত্রপাতি নিরাপদ কি না ইহা নির্ণয়ের ব্যাপারে ধারা-৬৪ এর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত কোন যন্ত্রপাতি পরীক্ষা বা চালু করিয়া দেখার ঘটনাটি ধর্তব্যে আনা হইবে না৷
চলমান যন্ত্রপাতির উপরে বা নিকটে কাজ
যে ক্ষেত্রে, কোন প্রতিষ্ঠানে ধারা ৬৩ এর অধীন চলমান কোন যন্ত্রপাতির কোন অংশ পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, অথবা উক্তরূপ পরীক্ষার ফলে চলমান যন্ত্রপাতির বেল্ট চড়ানো এবং নামানো, তৈলাক্তকরণ অথবা সুবিন্যস্তকরণের কোন কাজ করিতে হয়, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ পরীক্ষা বা চালনা এতদব্যাপারে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোন পুরুষ শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত হইতে হইবে, এবং উক্ত শ্রমিককে ঐ সময়ে আটো-সাটো পোষাক পরিতে হইবে, এবং তাহার নাম এতদউদ্দেশ্যে নির্ধারিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ থাকিতে হইবে, এবং যখন উক্ত শ্রমিক এই প্রকার কাজে নিযুক্ত থাকিবেন, সে সময় তিনি কোন ঘূর্ণায়মান পুলিতে সংযুক্ত বেল্ট নাড়াচাড়া করিবেন না, যদি না বেল্টটি প্রস্থে ১৫ সেঃ মিঃ এর নীচে হয় এবং উহার জোড়া সমতল ও ফিতা দিয়ে আটকানো থাকে৷
by Mashiur | Jul 15, 2019 | নিরাপত্তা
পরিবহনকালীন
অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং
বর্তমান প্রেক্ষাপটে পন্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে ( CTPAT) অনুসরন করা তথা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস কারখানা এবং এর সহিত জড়িত প্রতিটা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যাবশকীয় । এরই ধারাবাহিকতায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সময়ে সময়ে অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং করে থাকে, নিরাপত্তা নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালিত হয় কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য । এ প্রক্রিয়ায় নিম্মোক্ত বিষয় গুলি যাচাই করা হয় :
বিষয়ের
বিবরন
- বোল্ট সীল
ঠিক ছিল কিনা
- অতিরিক্তি বোল্ট
সীল সীল
ছিল কিনা
- চালানে বোল্ট
সীল নম্বর এবং কাভার্ড ভ্যানে লাগানো বোল্ট সীল নম্বর একই ছিল কিনা
- ড্রাইভারের কাছে
রুট ম্যাপ ছিল কিনা
- নিরাপত্তা প্রহরী
ছিল কিনা
- নির্ধারিত স্থানে
বিশ্রাম গ্রহন করেছিল কিনা
- নির্ধারিত সময়ের
অতিরিক্ত সময় বিশ্রাম নিয়েছিল কিনা
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতিঃ
সাধারণ নির্দেশনা t এর সংস্পর্শে কারও শারিরিক সমস্যা সৃষ্টি হলে চিকিৎসক/হাসপাতাল কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা বা পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস আক্রান্ত হলে t এর বাষ্প,ধোয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে আক্রান্তকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে উষ্ণ ও বিশ্রামে রাখতে হবে।এর দ্বারা শ্বাস-তন্ত্র ও মিউকাস মেম্ব্রেনে জ্বালাতন হতে পারে।শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হলে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।
গিলে ফেললে t চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।শ্বাস-তন্ত্রে এর উত্তেজনা এড়াতে বমি করানো যাবে না।আক্রান্তকে বিশ্রামে রাখতে হবে।গিলে ফেললে বমি/ডাইরিয়া হতে পারে।
ত্বক আক্রান্ত হলে t সঙ্গে সঙ্গে সকল আক্রান্ত কাপড় খুলে ফেলতে হবে।স্থান প্রচুর পানি ও সাবান দিয়ে ধুতে হবে।যদি প্রবল স্প্রের মাধ্যমে ত্বকের নিচে বা শরীরের কোন অংশে প্রবেশ করে-তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাস্পাতালে নিতে হবে-যদিও তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন না থাকে বা প্রকাশ পায়।
চোখ আক্রান্ত হলে t চোখের পাতা খোলা রেখে প্রচুর পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ধুতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাস তন্ত্রে উত্তেজনা হলে t এই উপাদানের দ্বারা শ্বাস্তন্ত্রে উত্তেজনা হলে তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।ফুসফুসে এর প্রবেশ নিশ্চিত হলে আক্রান্তকে হাসপাতালে নিতে হবে।