Select Page
পোশাক শিল্পে অথবা ফ্যাক্টরীতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

পোশাক শিল্পে অথবা ফ্যাক্টরীতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

ব্যক্তিগত/সমষ্টিগত নিরাপত্তা।

পোশাক শিল্পে  বা ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শ্রমিকদেরকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রাথমিক দায়িত্ব। প্রত্যেকে সচেতন থাকলেই দলগত কিংবা সমষ্টিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। নিরাপত্তার ব্যাপারে যে সমস্ত বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • ইউনিট/ফ্যাক্টরীর নির্ধারিত নির্দেশাবলী সর্বদা সঠিকভাবে মেনে চলা।
  • মেশিনে কাজ শুরু করার পূর্বে মেশিন চালনার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নেওয়া/জানানো।
  • পিছ আয়রন কিংবা ফিনিশিং সেকশনে কর্মরত প্রত্যেকের কাজ শুরু করার পূর্বে/কাজ শেষে ইলেকট্রিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া।
  • নতুন কোন শ্রমিককে অনির্ধারিত কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।
  • যে কোন ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হলে তড়িৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
  • নিষিদ্ধ থিনার/কেমিক্যাল খোলাখোলিভাবে ব্যবহার না করা।
  • প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক ইউনিট/লাইনের আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে সময় নষ্ট না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
  • ক্যান্টিনে খাবার শেষে বর্জ্য দ্রব্য নিদিষ্ট ডাষ্টবিনে রাখা।
  • বয়লার রুমে অননুমোদিত ব্যক্তির প্রবেশ না করা।
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি (পি পি ই) সর্বদা ব্যবহার করা/নিশ্চিত করা।
  • টয়লেট ব্যবহার শেষে পানি ব্যবহার/ফ্ল্যাশ করা এবং পানির কল ভালভাবে বন্ধ করা।
  • পোশাক শিল্পে  মহিলাদের জন্য রক্ষিত ঝুঁড়িতে রাখা বর্জ্য দ্রব্য কোনভাবেই কমোডে নিক্ষেপ না করা।
  • টিউব লাইটের শেডের উপর ডাষ্ট জমতে না দেওয়া; কারণ সেসকল স্থানের ময়লায় সহজে আগুন ধরতে সাহায্য করে।
  • পোশাক শিল্পে যে সকল স্থানে আওয়াজ হয় সে এলাকার সব শ্রমিককে ইয়ার প্লাগ/ইয়ার ড্রাম ব্যবহার করা।

যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা।

একজন শ্রমিক যতক্ষন ইউনিটে/ফ্লোরে থাকে, ততক্ষন কোন না কোন মেশিনের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। তাই মেশিন সংক্রান্ত যে যে নির্দেশ পালন করতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • যাপ বাটন মেশিনের বেল্টকভার টপ কভার  না থাকিলে মেশিন চালানো যাবেনা।
  • যে সমস্ত মেশিন প্যাডেলের সাথে চেইন দ্বারা সংযোগ থাকে, সেই সমস্ত মেশিন চেইনের পরিবর্তে সুতা, তার কিংবা রশি দ্বারা সংযোগ করে মেশিন চালানো যাবেনা।
  • নাটবোল্ট নেই, ঝালাই খুলে গিয়েছে কিংবা অন্য কোন কারণবশতঃ মেশিনের টেবিল ষ্ট্যান্ড নড়াচড়া করে সেই সমস্ত মেশিনে কাজ করা যাবেনা।
  • প্যাডেল কিংবা ষ্ট্যান্ডের মধ্যে অপারেটর এর শরীরের অংশ ক্ষত হতে পারে এমন কোন ধারালো অবস্থা থাকবেনা।
  • মেশিন চালানোর সময় মেশিন কাঁপলে কিংবা অস্বাভাবিক কোন শব্দ হলে মেশিন চালানো যাবেনা।
  • মেশিন চলাকালীন সময়ে কারও সাথে কথা বলা যাবেনা।
  • অসুস্থ শরীরে কিংবা তন্দ্রা বা ঝিমুনি আসলে মেশিন চালানো যাবেনা।
  • যাপ বাটন মেশিনে প্রতি চাপের সময় আঙ্গুল নিরাপদ স্থানে আছে কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • যাপ বাটন মেশিনে রিপিট বা ø্যাপের নীচের পার্ট দেওয়ার আগে উপরের পার্ট মোল্ডে দিতে হবে।
  • মেশিন চালাবার সময় শাড়ি, ওড়না, স্যালোয়ার কামিজ যাতে মেশিনের ঘুর্নায়মান অংশের সঙ্গে জড়িয়ে না যায় সেদিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • কাজ করার সময় চুল খোপা বা বেনী বেঁধে কাজ করতে হবে। চুল খোলা অবস্থায় কাজ করা যাবেনা।
  • বাটন হোল, বাটন ষ্টীচ, ওভার লক, বারটেক মেশিনে সেফটি গ্লাস থাকতে হবে অথবা গগলস ব্যবহার করতে হবে।
  • ওভারলক মেশিন এর অপারেটরকে অবশ্যই মুখোশ পরিধান করতে হবে।
  • সকল সুইং মেশিনে নিড্ল সেফটি গাইড থাকতে হবে।
  • কাটিং মেশিনে কাজ করিবার সময় সর্বদা ষ্টীল হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করতে হবে।
  • কাটিং মেশিনের বেস প্লেট মসৃণ থাকতে হবে।
  • কাঁচি কিংবা কাটার কে রশি দিয়ে এমনভাবে বেঁধে রাখতে হবে যাতে পড়ে গেলে কোন ভাবেই আঘাত প্রাপ্ত না হন।

বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা।

বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সুত্রপাত হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ যতক্ষন ইউনিট/ফ্লোর চালু থাকে ততক্ষন বৈদ্যুতিক ব্যবহার অব্যাহত থাকে। তাই এ বিষয়ে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • কাজের শুরু/শেষে ইউনিট/ফ্লোরের সমস্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
  • বয়লার কক্ষ পরিদর্শন উপযোগী হতে হবে এবং বাষ্প লাইনে ছিদ্র বা লিকেজ থাকবে না ও খোলা (ন্যাকেট) পাইপ থাকবে না।
  • কোথাও কোন খোলা তার থাকতে পারবে না।
  • ডি.বি বোর্ডে ডেন্জার প্লেট লাগানো থাকবে এবং এর আশে পাশে বৈদ্যুতিক শকের চিকিৎসার নিয়মাবলীর পোষ্টার থাকতে হবে।
  • ডি.বি বোর্ডগুলি পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ও আশে পাশে কোন মালামাল থাকবে না। বোর্ড তালা দিয়ে আটকানো থাকবে না।
  • পিছ আয়রন সকেট থেকে বিচ্ছিন্ন না করে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
  • পিছ আয়রন বা ভ্যাকুয়াম আয়রন পুরাপুরি ঠিক থাকতে হবে এবং সর্বদা আয়রন স্ট্যান্ড এর উপর রাখতে হবে।
  • সকল মেশিনের মটর পুলিকভার থাকতে হবে।
  • কোন মটর, ফ্যান, মেশিনের বাজে শব্দ থাকতে পারবে না।
  • কোন প্রকার ভাঙ্গা বা পোড়া প্লাগ,সকেট, সুইচ থাকবে না।
  • টিউব লাইটের ষ্টারটার সঠিকভাবে থাকতে হবে এবং সমস্ত লাইট এক সঙ্গে জ্বলে উঠবে।
  • সমস্ত লাইট জ্বলতে হবে।
  • মটর বা মেশিনের তার গুলি সুন্দরভাবে ড্রেসিং করা থাকতে হবে।
  • কোন বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে গেলে কিংবা তারের কোন অংশ থেকে ধোয়া বের হলে কী করণীয় তা বাংলা/ইংরেজীতে লিখে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে।

অগ্নি থেকে নিরাপত্তা।

আগুনের কারণে যে ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হয় তা কখনও আন্দাজ করা যায় না। অগ্নিকান্ড থেকে নিরাপদ থাকার  দুটো উপায় রয়েছে, যেমন আগুনের সুত্রপাত হতে না দেওয়া এবং  অগ্নিকান্ড হলে পরিকল্পনা মোতাবেক নির্বাপন করে ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা। অগ্নিকান্ড রোধ কিংবা অগ্নি নির্বাপনের জন্য নিম্মোক্ত পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী।

  • সম্ভাব্য অগ্নিকান্ডের স্থানগুলো চিহ্নিত করে টীমকে প্রস্তুত রাখা।
  • ফায়ার এলার্ম সুইচ বক্স এর গ্লাস, হাতুরী ও পরিদর্শন ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।  এ ধরনের এলার্ম এর জন্য টাম্বলার সুইচ ব্যবহার করতে হবে এবং সুইচ বক্স গুলো বহির্গমনের নিকটবর্তী স্থানে থাকতে হবে।
  • গং বেল ঝুলানো আছে কিনা দেখতে হবে এবং ফায়ার হোজ ক্যাবিনেট ঠিক আছে কিনা অর্থাৎ ট্যাংকে পানি আছে কিনা, হোজ কেবিনেটের কাছে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার আছে কিনা ইত্যাদি চেক করতে হবে।
  • প্রত্যেকটি মেশিনের মটরগুলিতে মটরপুলি থাকতে হবে। ইন্সপেকশনের আগের দিনই সব ঠিক করে সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের মাধ্যমে ওআইসিকে রিপোর্ট করতে হবে।
  • অগ্নি নির্বাপন কমিটিকে সর্বদা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার সম্বন্ধে কাজের উপযোগী করে রাখা।
  • বহির্গমনের বাতি যতক্ষন কাজ চলে ততক্ষন জ্বালিয়ে রাখতে হবে।
  • ইমার্জেনসি বাতি ঠিক থাকতে হবে।
  • অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সঠিক অবস্থানে থাকতে হবে। মাসিক পরিদর্শন কার্ড ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।
  • ফায়ার মার্ক ঠিক থাকতে হবে এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের কাছে যাওয়ার পথে কোন বাধা থাকতে পারবে না।
নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি

  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।
  • আমাদের নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা পোষ্টার বা অন্য কোন উপায়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি।
  • আমরা সকল নিরাপত্তা প্রহরীকে ন্যায়সঙ্গত উপায়ে নিয়োগ করে থাকি।
  • নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে সশস্র বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
  • নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ২কপি ছবিসহ পূর্নাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রাদি কোম্পানীর মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে জমা দিতে হয়। আবেদন কারীর প্রদেয় সকল সনদপত্র এবং তথ্যাদীর ফটোকপি জমা রাখা হয়।
  • আমরা কখনও জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও লিঙ্গ ভেদে পক্ষপাত মূলক আচরণ করি না।
  • আমরা কাউকে জোর করে কাজে বাধ্য করিনা এবং কোন প্রকার জামিন বা দায়বদ্ধতায় নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করি না।
  • আমরা ১৮ বছরের কম বয়সী কোন প্রার্থীকে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিয়োগ করিনা। সেক্ষেত্রে বয়স নিরূপনের জন্য প্রথমেই কোম্পানীর ডাক্তার দ্বারা বয়স নিরূপন করে আবেদনকারীকে যোগদানের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়।
  • নিয়োগ দানের সময় মহিলা নিরাপত্তা প্রহরীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ব্যাপারে কোনরূপ প্রশ্ন করা হয় না।
  • নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর আমরা অবশ্যই প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগ পত্র দিয়ে থাকিয়। যদি কোন কারনে কেউ নিয়োগপত্র না পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে কমপ্লাইন্স বিভাগ হতে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে পারে বা প্রাপ্তির অধিকার রাখে।
  • নিয়োগ নিশ্চিত হবার পর কোম্পানী ও শ্রম আইনের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • আমরা সম্পূর্ণ নিজস্বভাবে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দিয়ে থাকি। কোন সিকিউরিটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হতে নিরাপত্তা প্রহরী সংগ্রহ করি না।
  • নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।

নিরাপত্তা পরিকল্পনা সুবিধা

নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের  নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সুযোগ সুবিধা নিম্নরূপঃ

  • নিরাপত্তা প্রহরীদের নির্দিষ্ট রোস্টার অনুযায়ী দৈনিক দায়িত্ব পালনের সুবিধা
  • রোস্টার নির্ধারনে বেলায় কোন পক্ষপাতিত্ব করা হয় না।
  • নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে কোম্পানী ব্যাপী বিস্তৃত নিরাপত্তা পয়েন্টে দায়িত্ব পালনের সুবিধা ।
  • নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞানার্জন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুবিধা।
  • কোম্পানী কর্তৃক নিরাপত্তা প্রহরীদের নির্দিষ্ট পোশাক,জুতা,ক্যাপ,আইডি কার্ড ইত্যাদির ব্যবস্থা।
  • কোম্পানীর সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক মালামাল, জনসাধারনে প্রবেশ-বাহির ও বিভিন্ন রেজিষ্টার রক্ষন পদ্ধতি পালন।
  • সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের সুবিধা।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে কর্ম এলাকা এবং সিকিউরিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমান লাইটিং সুবিধা।
  • মোবাইল ও টেলি যোগাযোগ সুবিধা।
  • নির্দিষ্ট সময়ান্তে ফিজিক্যাল ফিটন্যাস পরীক্ষন ও চিকিৎসা সুবিধা।
  • অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান।

নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যের বরখাস্ত নীতিমালা

গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

আমাদের বরখাস্ত নীতি মালা নিম্নরূপঃ

  • অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়।
  • কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়।
  • অভিযোগের একটি অনুলিপি এবং কৈফিয়তের জন্য নূন্যতম তিন দিনের সময় দেওয়া হয়।
  • কৈফিয়ত সন্তোষদক না হলে ১ম,২য় এবং চূড়ান্ত সতর্ক চিঠি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
  • প্রার্থনা করা হলে ব্যক্তিগত শুনানী দেওয়া হয়।
  • চূড়ান্ত নোটিশে সতর্ক না হলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
  • তারপরও সতর্ক না হলে সকল পাওনাদি নিষ্পত্তি করে বরখাস্ত করা হয় এবং ব্যক্তিগত নথি বন্ধ করা হয়।
  • নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি।

প্রশিক্ষণ সামগ্রী পরিচিতি নথি নীতিমালা

গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন মনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) নিজস্ব আচরণবিধি বা চাহিদা মানা হয়ে থাকে যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়।

নিরাপত্তা প্রহরী প্রশিক্ষণ সামগ্রী এবং পরিচিতি করন নীতিমালা নিম্নরূপঃ

  • প্রাতঃ পিটি পেরেড প্রোগ্রাম ।
  • সিকিউরিটি পয়েন্ট পরিচিত ।
  • সিকিউরিটি অঞ্চল পরিচিতি।
  • নিরাপত্তা প্রহরী দের ব্যবহৃত সরঞ্জামের নাম, পরিচিতি ও ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ।
  • Company security policy
  • Information Security
  • Office Security
  • Information System Security
  • Personal Safety and Security
  • Factory Evacuation Procedures
  • Container and Security Seal Inspection Procedure
  • Security Force Training Program
  • All the records of the training program will be maintained.
  • Training record will cover:
  • Schedule
  • Trainer, participant, venue, duration and topic.
  • Attendance
কারখানার চলাচল নিয়ন্ত্রন নীতিমালা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

কারখানার চলাচল নিয়ন্ত্রন নীতিমালা সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

চলাচল নিয়ন্ত্রন নীতিমালা

করা যাচ্ছে যে কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য লোকজন কারখার চারপাশে এলোমেলোভাবে এবং কখনো কখনো অপ্রয়োজনীয় কারনে ঘোরাঘুরি করে। সেই কারনে কারখানার ভেতরে ব্যক্তি বিশেষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করার জন্য এই নীতিমালা প্রনয়ন করা হচ্ছে। সহজে লোকেশন বোঝার জন্য বিভিন্ন স্থান (গেইট, দরজা এবং সিড়ি ইত্যাদি) কোডের সাহায্যে নামকরন করা হয়েছে যা এ্যানেক্স এ তে দেয়া হয়েছে।

১। কোন বৈধ কারন ছাড়া কেউই ফ্যাক্টরী কমপ্লেক্সের ভেতরে ঘোরাফেরা করবে না।

২। দর্শনার্থীরা কারখানা বিল্ডিং এর ভেতরে কেবলমাত্র তখনই প্রবেশ করতে পারবে যখন তারা ভিজিটরস ব্যাজ পরিধান করবে। বায়ার এবং তাদের সহযোগীরা এই নিয়মের আওতামুক্ত। বায়ারদের প্রতিনিধিকে ভিজিটরস ব্যাজ পড়বে অনুরোধ করা যাবে না।

৩। কাটিং ও সুইং বিভাগের মহিলা শ্রমিকরা পূর্বদিকের প্রধান সিড়ি  আসা যাওয়া ও সেইসাথে কার্ড পাঞ্চ করার জন্য ব্যবহার করবেন। যদিও তারা পার্সোনেল বিভাগ ও ডাইনিং রুমে যাওয়ার জন্য ক্যান্টিনের পাশে দক্ষিন দিকের সিড়ি (ঝ – ৪) ব্যবহার করতে পারবে। এই দুই বিভাগের পুরুষ শ্রমিক এবং কর্মীরা কারখানার ভেতরে বাইরে আসা যাওয়া করার জন্য উত্তর পাশের সিড়ি  ব্যবহার করবে। নতুবা এই উত্তর প্রান্তের সিড়ি  শুধুমাত্র ফ্লোর তেকে বস্ত্র ও আনুষাঙ্গিক জিনিস আনা নেওয়া করার জন্য স্টোর সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবে।

৪। প্রোডাকশন এ্যাকাউন্টস এর লোকেরা (কাউন্টার, লোডার, হেলপার) দক্ষিন দিকের সিড়ি  ব্যবহার করবে। পোষাক ওয়াশিং প্লান্ট/বিফোর ওয়াশ পরীক্ষা কক্ষে বহন করে নেয়ার জন্য।

৫। সার্ভিসাররা দক্ষিনের সিড়ি  ব্যবহার করবে পার্সোনেল সেকশনে যাওয়ার জন্য।

৬। দোতালার ক্লিনাররা স্টোরের পাশের উত্তরের দরজা নং  এবং পূর্বের দরজা নংএবং দুই নং গেইট ব্যবহার করবে জুট বহন করা জন্য।

৭। নীচতলার পুরুষ শ্রমিকরা কারকানায় আসা যাওয়া এবং কার্ড পাঞ্চ করার জন্য উত্তর পশ্চিমের দরজা – দরজা নং ব্যবহার করবে। মহিলা শ্রমিকরা কারখানায় আসা যাওয়া এবং একইসাথে কার্ড পাঞ্চ করার জন্য প্রধান প্রবেশ/বাহির পথ এর পেছন দিকের দরজা  এবং ক্যান্টিন ও ফিনিশিং ফ্লোরের মধ্যকার বারান্দা ব্যবহার করবে।

৮। নীচতলা সব কর্মচারী খাবার ঘর, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র এবং ব্যবহারের জন্য ফিনিশিং ফ্লোর এবং ক্যান্টিনের মধ্যবর্তী বারান্দা ব্যবহার করবে।

৯। নীচতলায় ক্লিনাররা জুট বহন করে ২ নং গেইটে যাওয়ার জন্য উত্তর পশ্চিমের দরজা – দরজা নং ব্যবহার করবে।

১০। নীচতলার স্পট পরিষ্কারক রুমের পাশের দক্ষিনের দরজা – দরজা নং  এবং ক্যান্টিনের পশ্চিম গেইট দরজা নং  কেউই ব্যবহার করবে না কেবলমাত্র জরুরী আসার এবং ক্যান্টিন পরিষ্কার করার সময় ছাড়া।

১১। দক্ষিন পূর্ব সিড়ি – সিড়ি  দোতলা থেকে ওয়াশিং প্লান্টে যাওয়ার জন্য জরুরী অপসারনের উদ্দেশ্য ব্যতিত কেউই ব্যবহার করবে না।

১২। মেইনটেনেন্স এর কর্মচারীরা এবং পার্সোনেল সেকশনের সদস্যরা নীচতলা থেকে দোতলায় যেতে ক্যান্টিনের পাশের দক্ষিনের সিড়ি – সিড়ি –  ব্যবহার করবে।

১৩। অভ্যর্থনা/ঈধফ রুমের পাশের সিড়ি – সিড়ি নং অতিথি/বায়ার এবং পদস্থ ব্যক্তিরাই শুধু ব্যবহার করবেন।

১৪। প্রধান স্টোরের পশ্চিমের গেইট – স্টোর গেট ব্যবহৃত হবে শুধু জিনিষপত্র (কাঁচা দ্রব্যাদি এবং প্রস্তুতকৃত দ্রব্যাদি) বহন করার জন্য, কোন র্কচারী/শ্রমিক চলাচলের জন্য নয়।

১৫। ওয়াশিং প্লান্টের শ্রমিক এবং কর্মচারীবৃন্দ ফিনিশিং ফ্লোর দিয়ে তাদের প্লান্টে আসা যাওয়া করবে না বরং তারা উত্তর দিকের দরজা – দরজা নং দিয়ে চলাচল করবে।

১৬। কাটিং/সুইং/ফিনিশিং এর শ্রমিকরা ওয়াশিং প্লান্টে চলাচল করবে না । যারা খাবার ঘরের বাইরে খাবে (বয়লার রুমের ছাদে) তারা ২ নঙ দরজা দিয়ে যাবে।

১৭। ওয়াশিং প্লান্টের শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ ক্যান্টিন ও ফিনিশিং ফ্লোরের মাঝের বারান্দা দিয়ে প্রধান ক্যান্টিনে খাবার খেতে যাবে।

১৮। কারখানায় অফিস চত্তর একটি সংরক্ষিত এলাকা শুধুমাত্র কর্তব্যরত ব্যক্তিই সেখানে থাকবে। উৎপাদন ক্ষেত্রের সব স্তরের শ্রমিক/কর্মচারী অফিস কমপ্লেক্সের আশেপাশে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবে না। তারা াফিস চত্বরে শুধুমাত্র যখন অফিসিয়াল কারেন প্রয়োজন হবে তখন স্বল্প সময়ের জন্য প্রবেশ করতে পারবে।

যাইহোক সকল দরজা এবঙ সিড়ি দিয়ে যে কেউ চলাচল করতে পারবে সত্যিকারের জরুরী প্রয়োজন/অপসারনের সময়।

নিরাপত্তা বেষ্টনী এর মাধ্যমে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুলোর চমৎকার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে

নিরাপত্তা বেষ্টনী এর মাধ্যমে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুলোর চমৎকার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে

নিরাপত্তা নীতিমালা

ফ্যাশন লিঃ এর প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি দিক নির্দেশনা মূলক সঠিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা জরুরী প্রয়োজন। সুতরাং একটি কার্যকর ও দক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে অত্র কারখানার জন্য যে সমস্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে তা নিুরুপঃ-

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

১.অত্র কারখানা সীমানার চতুর্দিকে ইটের দেয়ালের মাধ্যমে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
২. নিরাপত্তা বেষ্টনী র জায়গায় জায়গায় সুনির্দিষ্ট সিকিউরিটি পোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিকভাবে কোম্পানীর নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স আনসার দ্বারা নিরাপত্তা প্রহরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৩. নিরাপত্তা বেষ্টনী র নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রহরীদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য নিরাপত্তা সুপারভাইজারদের মাধ্যমে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. রাত্রীকালীন প্রহরার সুবিধার্থে নিরাপত্তা বেষ্টনী র উপর পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫. বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সিকিউরিটি পোষ্টে টর্চ লাইট, বল্লম, লাঠি এবং বাঁশির ব্যবস্থা রয়েছে ।

নিরাপত্তা ফটকে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

১. অত্র কারখানা সীমানার পূর্ব দক্ষিন প্রান্তে মনিপুর সড়ক সংলগ্ন একমাত্র নিরাপত্তা ফটক নির্মানের মাধ্যমে কারখানার আগমন ও বহিঃর্গমন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সু-সম্পন্ন করে থাকে ।
২. নিরাপত্তা ফটকে সার্বক্ষনিক ০৩(তিন) জন নিরাপত্তা প্রহরী এবং ১জন নিরাপত্তা ইনচার্জ নিয়োজিত আছেন।
৩. নিরাপত্তা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা ফটক সংলগ্ন একটি নিরাপত্তা অফিস ও চেকপোষ্ট নির্মান করা হয়েছে।
৪. নিরাপত্তা ফটকটি ইট সুড়কি দিয়ে তৈরী যাতে রয়েছে সু-উচ্চ মজবুত ও গড়াধনষব লোহার দরজা ।
৫. নিরাপত্তা অফিস ও কারখানা অফিসের সাথে তথ্য যোগাযোগের সুবিধার্থে নিরাপত্তা অফিসে ইন্টারকম টেলিফোন সেট বসানো হয়েছে।
৬. জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য জরুরী টেলিফোন নাম্বার সমূহ এবং তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর সাথে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা রয়েছে।

৭. সিকিউরিটি ইনচার্জ এর নিকট রক্ষিত মোবাইল ও ওয়াকি টকি সেটের মাধ্যমে সর্বক্ষন ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর সাথে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৮. তাছাড়া ঈঈঞঠ ক্যামেরার মাধমে কারখানার সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

কারখানায় প্রবেশ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ-

১. কারখানায় শ্রমিকগণ প্রবেশ করার সময় নিরাপত্তা ফটকে দায়িত্ব প্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরীর নিকট আই.ডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমেই কেবল কারখানায় প্রবেশ নিশ্চিত করা হয় ।
২. কোন ভিজিটর, গেষ্ট, সাপ্লায়ার কিংবা অন্য যে কোন ব্যক্তির পূর্নাঙ্গঁ পরিচয় গ্রহণ সম্পন্ন করার পর কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর অনুমোদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
৩. প্রবেশের অনুমতি প্রাপ্ত ব্যক্তিকে একটি ঠরংরঃরহম ঈধৎফ প্রদান করা হয় এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরীর প্রহরায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিদিষ্ট স্থানে পৌছানো হয়।
৪. কারখানায় আগমনের সময় যে কোন ব্যক্তি ও পন্য সামগ্রীকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করা হয়।
৫ কারখানার নিয়মিত শ্রমিক ব্যতীত কারখানায় আগত যে কোন ব্যক্তি, পন্য সামগ্রী ও যানবাহনের যাবতীয় তথ্যের সুনির্দিষ্ট রেজিষ্টার নিরাপত্তা অফিসে সংরক্ষন করা হয়।

বহির্গমন সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঃ

১. কারখানা হতে যে কোন ব্যাক্তি পন্য সামগ্রী এবং যানবাহন বহির্গমনের সময় উহাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সুনির্দিষ্ট রেজিষ্টারের মাধ্যমে নিরাপত্তা অফিসে সংরক্ষন করা হয়।
২ কারখানা হতে যে কোন ব্যক্তি বা পন্য সামগ্রী বহির্গমনের সময় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়।
৩. যে সমস্ত ব্যক্তিকে প্রবেশের সময় ঠরংরঃরহম ঈধৎফ দেয়া হয় বহির্গমনের সময় উক্ত কার্ডটি ফেরৎ নেওয়া হয় এবং তাদের প্রস্থানের সময় ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিদিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

লোডিং এবং আন-লোডিং সীমানায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঃ

১. পন্যবাহী গাড়ী সমূহের পন্য উঠা নামা করানোর জন্য কারখানা সীমানার অভ্যন্তরে রয়েছে সুনিদিষ্ট ও নিরাপদ লোডিং ও আন-লোডিং এরিয়া
২. রাত্রি কালীন নিরাপদে পন্য উঠা নামা করানোর জন্য লোডিং আন
৩. লোডিং এরিয়ায় পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লোডিং আন-লোডিং এরিয়ায় সার্বক্ষনিক একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও একজন আনসার প্রহরারত থাকেন।
৪. লোডিং আন-লোডিং এরিয়ায় যে কোন অননুমোদিত ব্যক্তি পন্য বা যানবাহনের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫.পন্য জাহাজীকরনের নিমিত্তে ব্যবহৃত ভ্যান সমূহের যাবতীয় তথ্য ঠবযরপষব ধঁফরঃ ভড়ৎস এ লিপিবদ্ধ করা হয়।
৬.লোডিং আন-লোডিং চলাকালে একজন নিরাপত্তা ইনচার্জ ও কারখানার ব্যবস্থাপক ষ্টোর এর পুরাপুরি তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়।
৭. খালি কন্টেইনার রাখার নিরাপদ স্থান রয়েছে। যেখানে সর্বসাধারনের প্রবেশ সম্পূর্ন নিষেধ।

কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গৃহীত ব্যবস্থাঃ

১. কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারের তত্ত্বাবধানে কারখানার প্রতিটি দরজা জানালা সর্তকতার সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২. কারখানার প্রতিটি প্রবেশদ্বার ভারী তালা দ্বারা তালাবদ্ধ করা হয় এবং তালা সীলগালা করা হয়।
৩. তালা সীলগালা করার পরও প্রতিটি প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়।
৪. তালা সীলগালা করার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার চাবিগুলো প্রশাসনিক দফতরে জমা রাখেন।
৫. দরজাগুলো তালাবদ্ধ ও সীলগালা করার সময় উল্লেখসহ যাবতীয় তথ্য নিদিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
কারখানার দৈনন্দিন কার্যক্রম শুরুর সময় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
১. দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার কারখানা খোলার সময় সীল গালাকৃত তালা সমূহের অবস্থার বর্ননা নির্ধারিত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
২. দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তালাবদ্ধ ও সীলগালা সংক্রান্ত রেজিষ্টারটি কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা এর নিকট পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করবেন।

নিরাপত্তা গার্ডদের দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে গৃহীত ব্যবস্থাঃ

১. নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে নিরাপত্তা ইনচার্জ প্রতিদিন তাদের ব্রিফিং প্রদান করবেন।
২. নিরাপত্তা কর্মীদের কার্যক্রমকে অধিকতর উপযোগী করার উদ্দেশ্যে সকল নিরাপত্তা কর্মী, ও ইনচার্জকে নিয়ে মাসিক একটি সভার আয়োজন করা হয়। কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা উক্ত সভায় দিক নির্দেশনামুলক ব্রিফিং প্রদান করবেন।
৩. এতদ উদ্দেশ্যে ঝবপঁৎরঃু অধিৎবহবংং গববঃরহম ৎবমরংঃবৎ নামে একটি রেজিষ্টার কারখানার ব্যবস্থাপক নিরাপত্তা সংরক্ষন করবেন।
৪. কারখানার শ্রমিক/কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বহিরাগতদের উসকানী হয়রানী ভয়ভীতি প্রদর্শন এর উপর সচেতনতামুলক নিয়মিত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কারখানায় আগত ও বহিঃগমন যে কোন লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

১. কারখানার প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যগন নিয়মিত কারখানায় আগত ও নির্গত লোকদের গতিবিধি সর্তকতার সাথে পর্যবেক্ষন করে থাকেন।

সনাক্তকরণ সংক্রান্ত গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

১. কারখানার কার্যে নিয়োজিত প্রতিটি সদস্যকে সনাক্ত করনের জন্য কারখানার আই.ডি কার্ড সরবরাহ করা হয়।
২. কোন শ্রমিক চাকুরী হতে অব্যাহতি নিলে কিংবা তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলে তার আই.ডি কার্ড ফেরৎ নেওয়া হয়।
৩. কোন শ্রমিক অননুমোদিত উপায়ে কারখানা ত্যাগ করলে কিংবা আর চাকুরীতে ফিরে না আসলে এরুপ শ্রমিকদের একটি তালিকা ছবিসহ সিকিউরিটি অফিসে সংরক্ষণ করা হয়। এরুপ কোন শ্রমিক কারখানা ফটকে আসলে অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রন করা হয় এবং পাওনাধী সংক্রান্ত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনুমতি নিয়ে হিসাব বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।।

কারখানার ভিতরে অগ্নিকান্ড সংগঠিত হইলে কারখানায় স্থাপনকৃত ফায়ার হোজ দ্বারা উক্ত অগ্নি নির্বাপন ক্ষেত্রে নিুলিখিত বিষয়গুলির প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হইবে ঃ-
১. বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ (ঙভভ) করিতে হইবে।
২. গংবেল বাজিয়ে সকলকে সচেতন করবে।
৩. ব্রাঞ্চ/নজেল ধরে হোজরেক হইতে প্রয়োজনমতো হোজ টানিয়া নিয়া আগুনের দিকে তাক করিয়া কৌশলগত স্থানে অবস্থান নিতে হবে।

৪. বাল্বম্যান অবশিষ্ট হোজের অংশটুকু হোজরেক হইতে নামাইয়া ফ্লোরে লোফ আকারে রাখিবে (যাহাতে হোজে কোন ভাঁজ না পড়ে)।
৫. ব্রাঞ্চ/নজেলম্যানের অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নির্ধারিত সংকেত (ওয়াটার অন) মোতাবেক বাল্বম্যান হোজের গেট বাল্ব আস্তে আস্তে খুলিবে এবং প্রয়োজন মতো পানির প্রেসার নিশ্চিত করিবে।
৬. ব্রাঞ্চ/নজেলম্যান আগুনে পানি নিক্ষেপনের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখিবে যাহাতে অগ্নিকান্ডের সহিত সংপৃক্ততা হয় নাই এমন দ্রব্যাদি ক্ষতিগ্রন্থ না হয়।
৭. মেঝে যদি মসৃন হয় তা হলে স্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হোজ ব্যবহারকারীদের দৌড়ানো যাবে না।
৮. অগ্নি নিয়ন্ত্রনে আনার পর ধোঁয়া/গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করিতে হইবে।
৯. পরিশেষে ব্যবহৃত হোজ পরিষ্কার ও শুকানো সাপেক্ষে পূর্বের স্থানে পূর্বের অবস্থায় রাখিতে হইবে।

একটি কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

একটি কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

নিরাপত্তা নীতিমালা

নিরাপত্তা বিভাগ এর  কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রনয়নকৃত নি¤èলিখিত নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং কারখানার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ।

নিরাপত্তা বিভাগ এর দায়িত্ব ও কর্তব্য

১। প্রবেশ পথ (গেইট) সংরক্ষিত বা নিয়ন্ত্রন রাখা ।
২। আমদানী রপ্তানী মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
৩। সকল আমদানী/রপ্তানী কন্টেইনার চেক করা ।
৪। পরিচয় পত্র ব্যতিত প্রবেশ প্রতিহত করা ।
৫। পরিদর্শক/ভিজিটরদের জন্য নথীভূক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করা ।
৬। সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা ।
৭। অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণের কলাকৌশল রপ্ত করা ।
৮। আমদানী রপ্তানী মালামালের সঠিক পরিমান যাচাই করা ।
৯। প্রয়োজনে বিপদ সংকেত ব্যবহার করা ।
১০। নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করা ।
১১। অবৈধ সকল জিনিষের প্রবেশ প্রতিহত করা ।
১২। সর্বদা সতর্কতা অবস্থায় দায়িত্ব পালন করা ।

শ্রমিক/কর্মচারী প্রবেশ নীতি :

সকল শ্রমিকদের নিজ নিজ হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র চেকিং এর মাধ্যমে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করিবেন। হাজিরা কার্ড এবং পরিচয় পত্র প্রর্দশন ব্যতিত কাউকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না । শ্রমিক কর্মচারীর বহনকৃত থলে, টিফিন বক্স ইত্যাদি চেক করতে হবে । আপত্তিকর এবং অবৈধ ক্ষতিকর কোন জিনিষ পাওয়া গেলে তাহা সাবধনতার সহিত জব্দ করে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন । কাহারও সাথে ঝগড়া বা তর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

পরিদর্শক/ভিজিটর প্রবেশ নীতি

দেশী,বিদেশীসহ যে কোন স্থান থেকে কোন পরিদর্শক/ভিজিটর কারখানা পরিদর্শন করতে আসলে তার সাথে ভদ্রতার সহিত আচারণ করে তার পরিচয় জানতে হবে এবং কি কাজে কাহার নিকট যাবেন তাহা প্রথমে খাতায় নথীভুক্ত করবেন । বহনকৃত থলে, লাগেজ ইত্যাদি চেক করতে হবে । যাতে কেহ ক্ষতিকর কোন দ্রব্য নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে না পারে । প্রদর্শিত ভিজিটর পরিচয় পত্র প্রদান করে সাক্ষাৎ প্রার্থী ব্যক্তির নিকট পৌঁছাতে হবে ।

মালামাল প্রবেশ নীতি

অত্র কারখানার কাজের জন্য কোন মালামাল আসলে প্রথমে উক্ত মালের চালান (প্রেরক,গন্তব্যস্থান এবং পরিমান ) চেক করতে হবে । যদি মালামাল অত্র কারখানার কাজের জন্য হয় তাহলে ভান্ডার কর্মকর্তাকে নিয়ে মালামালের পরিমান যাচাই করবেন । যদি চালানের পরিমান অনুযায়ী মালামাল কমবেশী হয় তখন প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করিবেন ।

বহিরাগত প্রবেশ নীতি

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী ব্যতিত অন্য কোন বহিরাগত ব্যক্তি কারখানায় প্রবেশ করতে পারবে না । জোর বা বলপূর্বক কোন ব্যক্তি কারখানায় প্রবেশ করতে চাইলে সাথে সাথে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবেন এবং যে কোন মূল্যে তার প্রবেশ প্রতিহত করতে হবে । প্রয়োজনে বিপদ সংকেত বাজাবেন ।

প্রবেশ পথ (গেইট)সংরক্ষন নীতি

কারখানা প্রবেশ পথ সব সময় নিরাপত্তার মাধ্যমে সংরক্ষিত রাখবেন । প্রবেশ গেইটের সম্মুখ ভাগ কোন ভাবেই ভীড়, ঝটলা এবং বাধাগ্রস্থ অবস্থায় থাকতে পারবে না । সকল গাড়ী গেইটের সামনে না পার্কিং করে নিদিষ্ট পাকিং স্থানে পার্ক করাতে হবে ।

লোড/আনলোড নীতি

মালামাল লোড/আনলোডের সময় উক্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেহ ঐ স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না । মালামাল উঠানামার স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ রাখবেন । ভান্ডার কর্মকর্তা এবং একজন নিরাপত্তা পরিদর্শক মালামালের পরিমান গননা করে চালানের সাথে মিলাতে হবে ।

কন্টেইনার চেকিং নীতি
রপ্তানীযোগ্য মালামাল বহনকারী কন্টেইনার লোডিং স্থানে পার্ক করানোর পর নিরাপত্তা বিভাগ  কর্মকর্তা এবং ভান্ডার কর্মকর্তা কন্টেইনার খুলে ভিতর দিক ভাল ভাবে পরীক্ষা করতে হবে । নিশ্চিত হতে হবে যে, কন্টেইনারের ভিতরে কোন ধরনের জ্বালানী, রসায়নিক এবং অবৈধ কোন ক্ষতিকর দ্রব্য নেই । কন্টেইনারে রপ্তানী যোগ্য মালামাল উঠানোর পর কন্টেইনার ছাড়ার আগে নি¤èলিখিত ০৮টি পয়েন্ট চেক করতে হবে । যেমন:
(ক) ড্রাইভিং লাইচেন্স
(খ) ব্রেক
(গ) গাড়ীর ফিটনেস
(ঘ) চাকা
(ঙ) গাড়ীর নীচ এবং উপর দিক
(চ) ত্রিপল
(ছ) লাইট
(জ) তালা ।

উল্লেখিত ০৮টি পয়েন্ট চেকিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে চালানে (এড়ড়ফং ঙঁঃ) সীল দিয়ে কন্টেইনার ছাড়ার অনুমতি প্রদান করিবেন ।

প্রশিক্ষণ নীতি

সকল নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা প্রহরীগণ সাপ্তাহিক শারিরীক এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন । উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিজকে সুদরিয়ে নিয়ে কর্তব্যে সচেষ্ঠ হবেন । প্রতি মাসে অগ্নিনির্বাপন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে অগ্নিনির্বাপকের কলাকৗশল রক্ত করবেন ।

কারখানার চাবি নীতি

অত্র কারখানার সকল সেকশনের তালা চাবির জন্যে নিরাপত্তা বিভাগ একটি কবু খড়ম জবমরংঃবৎ ব্যবহার করবেন । কারখানার সকল সেকশনের চাবি নিরাপত্তা বিভাগে থাকবে । সেকশনের কাজকর্ম শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে উক্ত সেকশনের তালা খুলে দিতে হবে এবং খোলার সময়টা অবশ্যই কবু খড়ম জবমরংঃবৎ-এ নথীভুক্ত করবেন । ছুটির সময় তদ্রুপ ভাবে চাবি ঈষড়ংংরহম সময়টি নথিভুক্ত করবেন ।

সেকশন বন্ধ নীতি

ছুটির পরে সেকশন তালা লাগানোর আগে সকল বাথরুম ভালভাবে চেক করে নিবেন । যাতে বাথরুমে কেউ আটকা পড়ে না থাকে । পুরো সেকশনের দরজা, জানালা,বাথরুমের পানির কল,ফ্যান, লাইট, মেশিনের মটর সুইচ ইত্যাদি ঠিকমত বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন। সবদিক সঠিক থাকলে তখনই কেবল কেছি গেইটে তালাবদ্ব করবেন ।

পার্কিং স্থান

আগত অতিথি এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবহ্নত গাড়ী কারখানার নিদিষ্ট পার্কিং স্থানে পার্কিং করাতে হবে । উক্ত স্থানে সর্বদা একজন নিরাপত্তা প্রহরী পাহাড়ারত অবস্থায় থাকবে । পার্কিং স্থানে বহিরাগত এবং নিদিষ্ট ড্রাইভার ব্যতিত কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না ।

উচ্ছিষ্ট/নষ্ট মালামাল বিক্রয়

কারখানার ব্যবহ্নত বিকল যন্ত্রপাতি,তৈল এবং জুট ইত্যাদি মালামাল বিক্রির সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পুরো দায়িত্ব পালন করিবেন । পুরাতন/ব্যবহ্নত মালামালের সাথে কোন ভাবেই যাতে তৈরী কোন গার্মেন্টস্, সুতা, সচল যন্ত্রপাতি না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । প্রতিটি মালের সঠিক পরিমান নিরীক্ষা করে হস্তান্তর করবেন ।

শিফট্ পরিবর্তন নীতি

কারখানায় নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী প্রতিদিন ০২টি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করিবে । প্রথম গ্র“প দ্বিতীয় গ্র“পের নিকট লিখিত আকারে দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে । সকল ধরনের নথিপত্র,তালাচাবি,খবরাখবর ইত্যাদি সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করিবে । সর্বদা নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করে কর্তব্য কাজে নিয়োজিত থাকবে।

দায়িত্ব ও কর্তব্য নীতি

প্রতিদিন সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে । কর্তব্যে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে নিদ্রা যাওয়া যাবে না । বিশেষ প্রয়োজনে ডিউটি স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে নিরাপত্তা কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে এবং সহকর্মীকে অবগত করতে হবে । কর্তব্যস্থানে ধুমপান করা যাবে না । কারখানায় কর্মরত কোন শ্রমিক/কর্মচারীর সাথে টাকা পয়সার লেন দেন করা যাবে না । কোন মহিলা শ্রমিককে যৌন হয়রানি করা যাবে না । কারখানার কোন সম্পদ, মেশিনারিজ চুরি বা নষ্ট হতে দেখলে সরাসরি প্রশাসন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ।

নিরাপত্তা সহায়ক নির্দেশিকা এবং অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থা

নিরাপত্তা সহায়ক নির্দেশিকা এবং অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থা

নিরাপত্তা সহায়ক নির্দেশিকা

সাধারনঃ আপনার প্লান্টে একটি স্লেভাস ফেব্রিক ডাইং মেশিন আছে যাহা প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে সর্বাধুনিক মান সম্পন্ন। আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সতকর্তা সত্বেত্ত, মেশিনটি যদি অদক্ষ, অপ্রশিক্ষিত কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়, তবে বিপদের আশংকা থেকে যায়। এই নির্দেশিকাতে গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, নির্দেশনা রয়েছে যাহা মেশিন পরিচালনাকারী কর্মচারী পাঠকরবেন ও অবশ্যই মেনে চলবেন। মেশিন পরিচালনার পূর্বে নিরাপত্তা নির্দেশনার সাথে সকল অপারেটরদের পরিচয়/অবগত করে দিন। যদি এই নির্দেশিকাতে কোন বিষয় অস্পষ্ট থাকে, তাহলে স্কে¬ভাস স্থাপন ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা কোন মেশিন চালু করা যাবে না।

(ক) ইঞ্জিনিয়ার সেফটি (নিরাপত্তা) মেনে।

(খ) সংস্থাপন রেকর্ড

কোম্পানীর মালিক বা প্রতিনিধি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

গলধঃকরনঃ গলধ করণ হলে, দুই গ্লাস দুধ বা পানি পান করতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

শ্বাসনঃ বিশুদ্ধ বাতাসে ত্যাগকরুন প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসক ডাকুন

অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থা

  • প্রন্বলন পয়েন্ট ও পদ্ধতি: প্রযোজ্য নয়
  • প্রন্বলন সীমা: প্রযোজ্য নয়
  • স্বয়ং প্রজ্বলন তাপমাত্রা: নির্ণয় করা হয়নি
  • অগ্নি নির্বাপন মাধ্যম: অ্যালকোহল ফেনা: কার্বনডাই অক্সইড, শুষ্ক ফেমিক্যাল বা পানির ¯েপ্র ব্যাবহার করুন
  • ঝুঁকিপূর্ণ/ বিপদজনক দাহ্য পদার্থঃ সোডিয়াম অক্সইড, কার্বনের অক্সইড সমূহ
  • অগ্নি নির্বাপনকারী এর মত, স্ব-নিয়ন্ত্রিত প্রশ্চাস উপকরন পরিমান করুন যা চাপ চাহিদা বিশিষ্ট (গঝঐঅ/ঘওউঝ)  কর্তৃক অনুমোদিত / সমমানের এবং ত্বক ও চোখ সংক্রান্ত রোধে, পূন নিরাপত্তা প্রতিরোধক পোশাক পরিধান করতে হবে।

দূঘটনা লাঘব / অব্যহতি প্রক্রিয়াঃ

স্বাভাবিক পদ্ধতি: উপযুক্ত কন্টেইনারে সংরক্ষন

অবশিষ্ট/ অতিরিক্ত অংশ পানি দিয়ে ধৌত করন

ব্যাবস্থাপনা ও সংরক্ষন/ মজুদঃ

স্বাভাবিক পদ্ধতি:

অনুচ্ছেদ-৮ দেখুন

সংরক্ষন/মজুদঃ বিশেষ কোন সতর্কতা প্রয়োজন নেই

ভেজানো পরিহার করুন

উন্মুক্ত করন নিয়ন্ত্রন/ ব্যক্তিগত সুরক্ষা

ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ন্ত্রন

বায়ু সঞ্চালন স্বাভাবিক স্থানীয় ব্যাবস্থা যথেষ্ট।

ব্যক্তিগত সুরক্ষাঃ

চোখ ও মুখঃ কর্মক্ষেত্রে কেমিক্যাল গল্স (চশমা) পরতে হবে ও চোখ পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।

স্বসনতন্ত্রঃ স্বাভাবিক ভাবে কিছু দরকার নাই ময়লা ধুরা থেকে রক্ষা পেতে  গওঙঐ অনুমোদিত প্রশ্বাস উপকরন ব্যাবহার করুন

অন্যান্য সতর্কতাঃ নিরাপত্তা অবলম্বন ও কর্মক্ষেত্রে চোখ ধৌত করন।

আরও কিছু নিরাপত্তা সহায়ক নির্দেশিকা

১. নডেল গার্ড : সুইং মেশিন  চলাকালিন সময়ে ।সতর্কতা বশতঃ কখনো আংগুলে নিড্ল ঢুকে যায়। মেশিনে নিড্ল গার্ড ব্যবহার করলে আংগুলে নিড্ল ঢুকবে না।

২. আই গার্র্ড : ওভার লক বাটনহোল, বাটনস্টিচ,বারটেক মেশিনের নিড্ল ভেঙ্গে ছিটকে চোখে ঢোকার সম্ভবনা থাকে, তাই এই সকল গার্ড ব্যবহার করা হয়। মেশিনে আই গার্ড ব্যবহার করলে চোখে নিড্ল ঢোকার সম্ভবনা থাকে না।

৩. রাবার ম্যাট : সুইং মেশিনের পাদানি আয়রন ম্যানের নিচে রাবার ম্যাট ব্যবহার করা হয় যেন ইলেকট্টিক শক শরীরে না লাগে।

৪. মেটাল গ্লোভস : কাটিং মেশিনের কাটারম্যানগন মেটাল গ্লোভস ব্যবহার করবেন যাতে হাতের আ্গংুল কেটে না যায়।

৫. গগলস : ওয়াশিং মেশিন অপারেটরগন, মেকানিক্যাল কাজে ইলেকট্টিশিয়ান, বারটেক মেশিন / স্নাপ মেশিন অপারেটরগন চোখে গগলস ব্যবহার করবেন যাতে চোখের কোন ক্ষতি না হয়।

৬. হ্যান্ড গ্লোভস :স্পট ক্লিনিং এর সময় কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় হাতে কেমিক্যাল লাগেলে ত্বকের ক্ষতি হয়।তাই হাতে এই ধরনের গ্লোবস ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বকের ক্ষতি না হয়।

৭. মাস্ক : কাটিং /সুইং ফ্লোরে সব সময় কাপড়ের সুতার কণা নিঃশ্বসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে। কাপড়ের ময়লা উঠানোর জন্য গার্মেন্টস এ এক ধরনের ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এই কেমিক্যাল এর গন্ধ নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া ওভারলক মেশিন অপারেটরগন তৈরীকৃত গার্মেন্টস এ সরাসরি সুতার কনায় ধূলা উৎপন্ন হয়। তাই মাস্ক ব্যবহার করতে হয়।

৮. ইয়ার প্লাগ :বয়লার আরেটর, জেনারেটর অপারেটর,গ্রাইন্ডিং মেশিন অপারেটর বা যে কোন উচ্চ শব্দের স্থানে ইয়ার প্লাগ পরে কাজ করতে হয়, যেন বধির না হয়ে যায়।