Select Page
অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি কি? অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদির তালিকা গুলো কি কি?

অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি কি? অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদির তালিকা গুলো কি কি?

অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি তালিকা

অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি -অগ্নিনির্বাপক দল, উদ্ধারকারী দল এবং প্রাথমিক চিকিৎসক দলের সংগঠন এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য বিভিন্ন ইউনিট/শাখা/সেকশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল সংযুক্ত ক্রোড়পত্রে সন্নিবেশিত করা হল। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, নিজ ফ্লোরে অগ্নিকান্ড না ঘটিলে দলনেতার নির্দেশ ব্যাতিত যে কোন দলের কোন সদস্য স্থান ত্যাগ করিবে না। দলনেতা পি.এম, জি.এম অথবা নির্বাহী পরিচালকের সংগে আলোচনা পূর্বক পরবর্তী নির্দেশ প্রদান করবে। প্রতিষ্ঠান। সঠিক সময়ে পোশাক জাহাজীকরন ও উন্নত মানসম্পন্ন পোশাক রপ্তানী করায় বাজারে ইহার অবস্থান উল্লেখ্যযোগ্য। এই অভূতপূর্ব সাফল্য বজায় রাখতে সঠিক সময়ে উৎপাদনের বিকল্প নাই। আর এই সঠিক সময়ে উৎপাদনের জন্য চাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে মেইনটেন্যন্স কো-অর্ডিনেটর হিসাবে তার প্রধানতম দায়িত্বই হল কারখানার প্রয়োজনে সর্বদা বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করা। …

  • হোসপাইপ (১০০ ফুট) বক্স সহ
  • গংবেল (৫কেজি)
  • ফায়ার সাইরেন
  • ফায়ার বাকেট
  • বাকেট স্টেন (২টি বাকেট রাখার মত)
  • ষ্ট্রেচার
  • ফায়ার হুক
  • গামবুট
  • ডাস্ট মাস্ক
  • গ্যাস মাস্ক (হাই টক্সি)
  • সেইফটি গগলস
  • হ্যান্ড গ্লোভস
  • ফায়ার ব্লাংকেট
  • লক কাটার
  • ফায়ার বিটার
  • স্মোক ডিটেক্টর
  • ইয়ার মাফ
  • রশি (১০০ ফুট)
  • এক্সিট লাইট বক্স
  • ইমারজেন্সী এক্সিট লাইট বক্স
  • লাঞ্চ বেল
  • ভিজুয়্যাল ফায়ার এলার্ম (বয়লার রুমের জন্য)
  • র্চাজার লাইট (আই.পি.এস ব্যাকআপ সিস্টেম)
  • ফায়ার ইকোয়িপ
  • ন্টস বক্স
  • টু স্পট লাইট
  • রাবাার ম্যাট
  • এবোনাইট সীট
  • অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (এ.বি.সি)
  • অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (সি.ও.টু)
  • নির্দেশিকা
  • বোর্ড (লাল এর মধ্যে হলুদ ডোরা)
  • ধূয়া সনাক্তকারী যন্ত্র
  • এক্সিট সাইন
  • লাইন নাং-১-১০

Click Here for English Version

ফায়ার ফাইটিং দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যফায়ার ফাইটিং দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রিশিয়ান/ফায়ার ফাইটিং পার্টির দলনেতা ফ্লোরের বিদ্যুতের মেইন সূইচ অফ করবে।
  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটিং পার্টির প্রত্যেককে দ্রুত নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনি যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেমে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তা পূর্বেই নির্ধারিত থাকবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা প্রয়োজনে সিঁড়ির সামনে রক্ষিত ড্রামের পানি, ফায়ার হোস পাইপের সাহায্যে আগুন নিভাতে চেষ্টা করবে।
  • বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ব্রিগেড দল আসলে তাদেরকে সর্বভাবে সাহায্যে করবে।
  • দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
  • নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলে পি.এম বা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে।

নিরাপত্তা শ্লোগান

  • আসুন সকলে মিলে  অগ্নি মহড়ায় অংশ গ্রহন করি
  • পোশাক শিল্প  কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান করি।
  • কাজের সময় গেটের তালা বন্ধ থাকবেনা
  • পদদলিত হয়ে শ্রমিক আর মরবেনা।
  • কারখানায় চলাচলের পথ বাধাঁমুক্ত রাখবো
  • কখনো আগুন লাগলে সারিবদ্ধভাবে বের হয়ে যাবো।
  • নিয়মিত অগ্নি মহড়া করুন
  • নিরাপদ নির্গমন অভ্যস্ত হউন।
  • সকলে অগ্নি সচেতন হউন
  • জান ও মাল বাচাঁন।
  • অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার উপযোগী রাখবো
  • প্রয়োজনে তা অগ্নি দূর্ঘটনায় কাজে লাগাবো।
  • সকলে মিলে বহিঃর্গমন মহড়ায় অংশ নেবো
  • অগ্নি দূর্ঘটনা থেকে শ্রমিকদেরকে রক্ষা করে পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়তা করবো।

আগুন লাগলে চালকদের কতর্ব্য ঃ

  • ফায়ার সাইরেন বা সংকেত শোনার সাথে সাথে নিজ নিজ গাড়ী অতি দ্রুত মেইন গেটের বাইরে নিয়ে যাবে। তবে রাস্তার উপরে কোনক্রমেই গাড়ী দাঁড় করে রাখা যাবেনা যাতে  ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ী সহ অন্য গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।
  • ফ্যাক্টরীর ভিতরে গাড়ী পার্কিং-এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাড়ীর মুখ সামনের দিকে বা বাহির মুখী হয়ে থাকে।
  • গাড়ী পার্কিংএর সময় খুব প্রয়োজস না হলে হ্যান্ড ব্রেক লাগাবেন না। যাতে প্রয়োজনে ঠেলে গাড়িটি সরানো যায়।
  • অকেজো / মেরামতাধীন গাড়ী এমনভাবে পাকিং করতে হবে যেন সম্ভাব্য অগ্নি ঝুঁকি থেকে দুরে থাকে এবং পথের মাঝখানে গাড়ী দাড় করে রাখা যাবে না।

অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটলে নি¤œলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে ঃ

  • ধোয়াঁ শ্বাস-প্রশ্বাসের সংগে ভিতরে নেয়া যাবেনা।
  • কাপড় বা ভেজা রুমাল/গামছা দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
  • যদি কাবর্ন ডাই অক্সাইড (সিওটু) ব্যবহার করা হয় তবে নাকে বা গলায় ধোঁয়া প্রবেশের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
  • সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে যাতে সব ধোয়াঁ বেরিয়ে যায়।
  • সবাই এক সংগে বের হবার জন্য দরজার দিকে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করা যাবেনা।
  • লাইন ধরে শৃংখলার সহিত বের হতে হবে।
  • জরুরী নির্গমন পথ অথবা সহজে যাওয়া যায় এমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।

প্রশাসনিক শাখা কর্তৃক করনীয় বিষয়সমূহ

  • আহত লোকজনকে প্রয়োজন অনুযায়ী নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে। এ জন্য ১টি গাড়ীকে এ্যাম্বুলেন্স হিসাবে রেডি রাখবে।
  • অনতি বিলম্বে ফায়ার ব্রিগেডকে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য টেলিফোন করতে হবে।
  • আগুন লাগার সাথে সাথে থানায় প্রয়োজনীয় পুলিশের সহায়তার জন্য টেলিফোন করতে হবে।

কর্ডন পার্টিঃ- নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল ব্যক্তিবর্গ।

অবস্থান ঃ ফ্যাক্টরীর মেইনগেট ও রাস্তার উপরের মেইনগেট।

দায়িত্ব ঃ অনুপ্রবেশকারীকে প্রতিহত করা এবং সামনের রাস্তাটি গাড়ী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা, যাতে ফ্যাক্টরীর লোকজন নির্বিঘেœ বাসায় গমন করতে পারে এবং ফায়ার ব্রিগেড, এ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ী চলাচল করতে পারে।

অগ্নিনির্বাপনকারী দল

প্রত্যেক ইউনিট/শাখা/সেকশনের প্রধানগন অগ্নিনির্বাপনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের তত্ত্বাবধানে ও দলনেতার নেতৃত্বে অগ্নিনির্বাপক দল কাজ করবে। অগ্নিনির্বাপক দলের সংগঠন এবং কর্তব্য সংযুক্ত ক্রোড়পত্রে সন্নিবেশিত হল।

উদ্ধারকারী দল

প্রথমে মানুষ এবং পরে মালামাল উদ্ধার করবে। উদ্ধারকারী দলের সংগঠন এবং দায়িত্ব কর্তব্য সংযুক্ত ক্রোড়পত্রে সন্নিবেশিত হল।

প্রাথমিক চিকিৎসক দল

দুর্ঘটনা কবলিতদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।

আর যথাযথভাবে এই বিধান পালন করতে নিুলিখিত কাজগুলি/দায়িত্বগুলি তাকে সঠিকভাবে পালন করতে হয়।

  • তার অধিনস্ত সকল কর্মচারীদের সম্মিলিত কর্ম প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন করুন, দক্ষ ও শক্তিশালী কর্মশক্তিতে পরিনত করুন।
  • অধিনস্তদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভাগ করে দেওয়া, বুঝিয়ে দেওয়া এবং তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ কার্য্যক্ষমতা আদায় করে নেওয়া।
  • কারখানার প্রত্যেকটি পয়েন্টে ও মেশিনে নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান করা।
  • নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • বিদ্যুৎ চালিত যেকোন যন্ত্রের বা যন্ত্রাংশের রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামত কাজের তদারকি করা।
  • বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন ও জেনারেটরের রক্ষনাবেক্ষন, মেরামত ও পরিচালন ব্যবস্থার খোজ খবর নেয়া।
  • পবিস কর্তৃক সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ ফেল করা মাত্র নিজস্ব জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ইউটিলিটি ডিপার্টমেন্ট কে সাহায্যে করা।
  • বৈদ্যুতিক মালামালের চাহিদাপত্র যাচাই করা ও নিয়ন্ত্রন করা।
  • নার যেকোন বর্ধিতাংশের বিদ্যুতায়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • ক্রয়কৃত যাবতীয় বিদ্যুতিক মালামালের মান নিয়ন্ত্রন ও মূল্য যাচাই করা।
  • ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শনের জন্য তাদের চাহিদামত বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • সর্বোপরি নিজের সেকশন পরিচালনার জন্য অধিনস্থদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন, ডিউটির সময় নিয়ন্ত্রন তথা যাবতীয় বিষয়াদি সঠিক ভাবে, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলা করা।

উপসংহার ঃ-

অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ ও অপূরনীয়। জানমালের হেফাজত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। অগ্নিকান্ড থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই তা প্রতিরোধ করতে হবে।

আল্লাহ না করেন যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটেই যায় তাহলে আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সাহসের সংগে তা নির্বাপন বা মোকাবেলা করতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্য অটো  গ্র“প বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানীকমূখি পোশাক শিল্প

গার্মেন্টস ভবন ধসের কারন। আটকে পড়া ব্যক্তির করণীয়

গার্মেন্টস ভবন ধসের কারন। আটকে পড়া ব্যক্তির করণীয়

গার্মেন্টস ভবন ধসের কারন:

গার্মেন্টস ভবন ধসের কারন সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো

  • যে কাজের জন্য ভবন নির্মিত হবে সেই কাজের জন্য বিল্ডিং কোড না মানলে। যেমন : শপিং মলের জন্য যে বিল্ডিং কোড, গার্মেন্টস শিল্পের জন্য একই বিল্ডিং কোড নয়।
  • গার্মেন্টস শিল্পের জন্য বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মিত না হলে।
    ভবন তৈরীতে কাজের গাফিলতি থাকলে , ভবনের ত্রুটিপূর্ণ নকশা হলে, স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা তৈরীকৃত ভবনের নকশা তৈরী না করলে
  • যে জায়গায় ভবন নির্মিত হবে সে জায়গার মাটি ভবন তৈরীর জন্য উপযুক্ত কিনা সেজন্য অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির উপাদান পরীক্ষা করে না নিলে
  • মাটির ধরন অনুযায়ী পাইলিং এর গভীরতা সঠিক না হলে, ভুমিকম্প হলে , খরচ বাচানোর জন্য সাধারন ইঞ্জিনিয়ার এবং সস্তা শ্রমিক দ্বারা ভবন নির্মিত হলে।
  • কম দামি এবং মানসম্পন্নহীন জিনিস দিয়ে ভবন তৈরী করলে। যেমন: ভেজাল সিমেন্ট, দুর্বল ইট, নি¤œমানের রড, পরিমানের তুলনায় নির্মান সামগ্রী কম ব্যবহার করলে
  • ঝুকিপূর্ণ স্থানে ভবন নির্মান করলে যেমন: পুরনো ডোবা, পুকুর, খাল বা বিল ভরাট করে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) কতৃক অনুমোদিত তলার চেয়ে অতিরিক্ত তলা স্থাপন করলে
  • নির্মিতব্য ভবনের পিলারের ধারন ক্ষমতার (পি.এস.আই – চঝও) চেয়ে অতিরিক্ত লোড বহন করলে গার্মেন্টস ভবন ধসের কারন  সম্পর্কে আমাদের আরো পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।

গামেন্টস শিল্পে ভবন নির্মানে যে সকল প্রশ্নের উত্তর জানাতে হবে:

ভবন নির্মাণের জায়গায় সয়েল টেস্ট করা হয়েছে কিনা?
জলাশয় ভরাট করা হলে সেখানে মাননিয়ন্ত্রিতভাবে ভবন নির্মিত হচ্ছে কিনা?
ভবনের নকশা কোন নির্ভরযোগ্য স্থপতি দিয়ে তৈরী করা হয়েছে কিনা?
ভবন নির্মিত স্থানটি সঠিকভাবে পাইলিং করা হয়েছে কিন?
ভবন কাঠামোর ডিজাইন নির্ভরযোগ্য কোন কাঠামো প্রকৌশলীকে দিয়ে করানো হয়েছে কিনা?
ভবন নির্মাণে ওয়ার্কিং ড্রয়িং অনুসাওে করা হচ্ছে কিনা?
ভবন নির্মাণ কোন প্রকৌশলীর তত্বাবধানে হয়েছে কিনা?

ভবন ধসে আটকে পড়া ব্যক্তির করণীয়:

অবস্থান ভাল করে অনুমান করুন:
কোন নড়াচড়া করার আগে আপনার অবস্থানটি বুঝে নিন যে আপনি ভবনটির ঠিক কোন পাশে আছেন। কোন দিকে উপর আর কোন দিকে নিচ তা বোঝার জন্য আপনার জিহ্বা বের করে থুথু গড়িয়ে যেতে দিন। যদি থুথু নাকের দিকে যায় বা মুখের দিকে যায় বা যেদিকে যায় সেদিক নিচু বা ভুমি সমতল। দেখে নিন আশেপাশে আর কেউ বেচে আছে কিনা।
আপনার সাথে মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইস যদি থাকে তাহলে আপনার পরিবার বা পরিচিত কাউকে ফোন বা মেসেজ করে অথবা ফেসবুকে আপনার বিপদের কথা বলে সাহায্য চান।
দুর্যোগের পর জোরে জোরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করুন, তবে আপনার সবটুকু শক্তি নিঃশেষ করে নয় কারণ আপনাকে হয়তো টিকে থাকতে হবে দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব। আপনার শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখুন।
আপনার যদি বাতাসের অভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে নাক মুখ চেপে শ্বাস নিন, যেন বাতাস কম বেরিয়ে যায়। এতে আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া অক্সিজেন আবার আপনাকে বেচে তাকতে সাহায্য করবে।
তারপর ও যদি কোন উদ্ধারকারী না আসেন তাহলে চেষ্টা করুন যে জিনিসে চাপা পড়েছেন তা সরিয়ে ডেদিকে আলো সেদিকে এগিয়ে যেতে। তবে খুবই সাবধানে কারন আপনি সেটা সরাতে গিয়ে আরো বেশি চাপা পড়তে পারেন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় শক্ত পিলার বা খুটি এর কাছ ধরে এগিয়ে যাবেন যদি মনে হয় সেটি এখন ও শক্তভাবে ঠিকে আছে।
আশেপাশে আর কোন আটকা মানুষ তাকলে তাদের সাহায্য চাইতে পারেন,যদি তারা তা পারে। আপনি মুক্ত হয়ে গেলে আরেকজনকে চাপা পড়া থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করুন।
বেঁচে থাকার জন্য দরকারী যেসব জিনিস পাবেন তা ব্যবহারে মিতব্যায়ী হোন কারণ আপনি জানেন না আপনাকে একানে কতক্ষণ আটকে থাকতে হবে।
সর্বোপরি কখনোই আশা হারাবেন না। নিরাশ কথাবার্তা বলবেন না কারন এটা আপনাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে না বরং কেউ পাশে কেউ থাকলে তাকে ও নিরাশ করে করে দিবে। আশা আপনাকে বেশি সময় বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে।

গার্মেন্টস ভবন তৈরীর পূর্বে করণীয়:

গার্মেন্টস শিল্পের জন্য নির্ধারিত বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মান করতে হবে।
ভবন তৈরীর সময় কেহ কাজে গাফিলতি করতে পারবে না।
স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ভবনের নকশা তৈরী করতে হবে।
যে জায়গায় ভবন নির্মিত হবে সে য়গার মাটি ভবন তৈরীর জন্য উপযুক্ত কিনা অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির উপাদান পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
মাটির ধরন অনুযায়ী অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক নির্দেশিত গভীরতা পর্যন্ত পাইলিং করিয়ে নিতে হবে।
অভিজ্ঞ এবং স্বীকৃত এবং নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং দক্ষ শ্রমিক দ্বারা ভবন নির্মান করতে হবে।
দামি এবং মানসম্পন্ন জিনিস দিয়ে ভবন তৈরী করতে হবে। যেমন: মানসম্পন্ন সিমেন্ট, শক্ত ইট, উচ্চমানের রড, পরিমান মত নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
ঝুকিপূর্ণ স্থানে ভবন নির্মান করা যাবে না। যেমন: পুরনো ডোবা, পুকুর, খাল বা বিল ভরাট করে। তবে অভিজ্ঞ এবং স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ারের সঠিক পরামর্শ এবং তত্বাবধানে যথাপোযুক্ত পাইলিং পূর্বক ভবন নির্মান করা যাবে।
ভবন তৈরীর পূর্বে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) কতৃক অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদিত তলার চেয়ে অতিরিক্ত তলা স্থাপন করা যাবে না।
নির্মিতব্য ভবনের পিলারের ধারন ক্ষমতার (পি.এস.আই) চেয়ে অতিরিক্ত লোড ভবনে বহন করা যাবে না।

শিশু শ্রম কি? শিশু অধিকার সনদে মূলনীতি গুলো কি?

শিশু শ্রম কি? শিশু অধিকার সনদে মূলনীতি গুলো কি?

শিশু এবং কিশোর/কিশোরী

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং বাংলাদেশের সংবিধানে অনুযায়ী আঠারো (১৮) বছরের কম বয়সী সকল বাংলাদেশী ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে এবং চৌদ্দ (১৪) থেকে আঠারো (১৮) বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কিশোর/কিশোরী হিসেবে গন্য করা হয়। স্কুল চলাকালীন সময় চৌদ্দ (১৪) বছরের নিচে কোন শিশুকে তার পরিবারের লিখিত অনুমতি ছাড়া উৎপাদনশীল কাজে নিয়োগ দেয়া বা কাজ করিয়ে নেয়াকে শিশুশ্রম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথবা শিশু শ্রম বলতে শিশুদের শ্রমের সময় প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন কাজে এবং পরোক্ষভাবে গার্হস্থ্য শ্রমে ব্যয় করাকে বোঝায়। ১২ই জুন বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

শিশু শ্রম নিরসনে গার্মেন্টস মালিকের করণীয়:

গার্মেন্টস শিল্প থেকে পর্যায়ক্রমে শিশুদের প্রত্যাহার করা
শিশুদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন করা
শিশুদের পরিবারের প্রাপ্তবয়ষ্ক সদস্যদের কাজে লাগানো
শিশুদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করা
বিশেষ তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা এবং সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা

শিশু অধিকার সনদে মূলনীতি:

বৈষম্যহীনতা
শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা
শিশুর অধিকার সমুন্নত রাখতে পিতা মাতার দায়িত্ব
শিশুদের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন

বাংলাদেশে শিশু শ্রম:

যে বয়সে শিশুর হাতে থাকার কথা ছিল বই আর পেন্সিল কিন্তু তার পরিবর্তে শিশুটি নিজের আহার জোগানোর জন্য কাজের সন্ধানে নামতে বাধ্য হচ্ছে। এক শ্রেণীর লোভী স্বার্থ পিপাসু মানুষ এই সকল শিশুর দারিদ্রের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওদের দ্বারা কাজ করায়। কেননা এ সকল শিশুদের শ্রমের মূল্য খুবই নগন্য। বাংলাদেশে যে সকল সেক্টরে শিশু শ্রমের প্রবনতা বেশি তার মধ্যে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারি, পোশাক, চামড়া শিল্প, জুতা এবং ইট কারখানা অন্যতম। এখনো বয়ষ গোপন করে অনেক শিশু গার্মেন্টসে কাজ করছে। মার্কিন শ্রম বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে শিশু শ্রম ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে ভারত এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফিলিপাইন।

শিশু শ্রম নীতিমালা

শিশুঃ    বিভিন্ন দেশে আর্থসামাজিক অবস্থার ভিন্নতা, সাংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের ভিন্নতা, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভিন্নতার কারণে দেশে দেশে শিশুর বয়স নির্ধারনে কিছুটা পার্থক্য আছে । আবার একই দেশে কাজের ধরন ও কাজের পরিবেশের কারণে শিশুর বয়স নির্ধারণে পার্থক্য রয়েছে। যেমন জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ(১৯৮৯) অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সব মানব সন্তানকে শিশু বলা হবে, যদিনা শিশুর জন্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় ১৮ বছরের আগেও শিশুকে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুযায়ী ১৫ বছরের নিচে মানব সন্তানকে শিশু বলা হবে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১৮ বছরের নিচের বয়সের মানব সন্তানকে শিশু বলা হবে। বাংলাাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী যাদের বয়স ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি তাদেরকে শিশু বলা হয়।

শিশু শ্রমিকঃ

প্রচলিত আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম বয়সে কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিকই শিশু শ্রমিক। বিশেষজ্ঞদের ঐক্যমত্য অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল ক্ষেত্রে শিশুর জন্য শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিক থেকে ক্ষতিকর এবং শিশুর প্রয়োজন ও অধিকারের সঙ্গে সামজ্ঞস্যহীন বঞ্চনামূলক শ্রমই শিশু শ্রম ।

  • পোশাক শিল্প কারাখনা একটি শ্রম নিবিড় শিল্প। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় লিড টাইম ব্যবস্থাপনার জন্য কারখানায় প্রচণ্ড কাজের চাপ থাকে। ফলে এ শিল্পে শিশু শ্রমিক নিয়োগ শিশুর মানসিক বিকাশ সহায়ক হবে না বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিশুর জন্য প্রযোজ্য।
  • এ জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে মানব সম্পদ বিভাগের অফিসারগণ চাকুরীর জন্য আগত প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে।
  • বাছাই এর পরও প্রার্থির বয়স নির্ধারনের বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীর বয়স নির্ধারণ করা হয়।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর বয়স প্রমাণের জন্য পরীক্ষা পাশের সনদ পত্র গ্রহণ করেন।

যদি কখনো অত্র প্রতিষ্ঠানে শিশু ও কিশোর শ্রমিক আছে বলে প্রমানীত হয় তাহলে নিম্নে  উলে-খিত/শ্রম আইন অনুযায়ী সকল নিয়মনীতি অনুসরনে কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকার বদ্ধঃ-

  • কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে দৈনিক পাচঁ ঘন্টা সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক কাজ করানো যাবে না।
  • কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে দৈনিক অতিরিক্ত দুই ঘন্টা সহ মোট ৭ ঘন্টা সপ্তাহে বিয়ালি¬শ ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবে না।
  • কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭:০০ঘটিকার মধ্যে কোন কাজ করানো যাবে না।
  • কিশোর শ্রমিকের কাজের সময় দুইটি পালায় সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে, এবং কোন পালার সময় সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হবে।
  • কোন কিশোর শ্রমিক একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবে না।
  • কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে ভূগর্ভে অথবা পানির নীচে কাজ করানো যাবেনা।
  • বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি কিশোর কর্ম ঘন্টা সর্ম্পকে তাহার কাজের নিদির্ষ্ঠ সময় উলে¬খ পূর্বক একটি নোটিশ প্রদর্শন করিতে হইবে।
  • বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তাহাদের স্বাস্থ্য উন্নতি এবং শিক্ষা গ্রহনে বাধা এমন কোন কাজ দেয়া যাবে না।
  • যদি কোন কিশোর শ্রমিক বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কাজের সময় এমনভাবে নির্ধারন করিতে হইবে যাহাতে তাহার বিদ্যালয় গমনে বিঘিœত না হয়।
  • কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের সকল বিধান যতদুর সম্ভব, উক্ত শিশু শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিশুদের উন্নয়নের সার্বিক কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ জাতীয় শিশু নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কর্তৃপক্ষ সকল সময়েই শিশু শ্রমিক নিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।

শিশু শ্রমের অপকারিতা:

শিশু শ্রমিক দ্বারা ভারি কাজ করালে শিশুরা পঙ্গুুত্ব বরণ করতে পারে
বেশি ঝুকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক কাজে শিশুর মানষিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে
শিশুদের পারিশ্রমিক কম থাকায় কাজের প্রতি অমনোযোগী হয়
বর্হিবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে
নিমানের বেতন এবং উচ্চমানের কাজ হওয়ায় কাজের গুনগন মান বজায় থাকে না

ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা গুলির বিসেস ও বিষদ বর্ণনা।

ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা গুলির বিসেস ও বিষদ বর্ণনা।

ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা

ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা – ফ্যাক্টরী পরিদর্শকগণ আমাদের প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়েই সর্বদা প্রবেশ করবে । পরিদর্শকের প্রবেশ পরবর্তী সিকিউরিটি গার্ড CTPAT ব্যবস্থাপনা বিভাগে সে সংবাদ অবহিত করবে এবং তাকে অভ্যর্থনা কক্ষে পেীঁছে দেবে । অভ্যর্থনা কক্ষে কর্মরত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট সেকশন/ডির্পাটমেন্টে ফ্যাক্টরী পরিদর্শক আগমনের সংবাদ পেীঁছে দেবে । উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ফ্যাক্টরীতে এসে পেীঁছানোর পর সিকিউরিটি গার্ড কর্মকর্তার কাছে যাবেন এবং সাক্ষাৎপ্রার্থীর কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য জেনে তা ব্যবস্থাপনা বিভাগকে অবহিত করবেন এবং তাকে অর্ভ্যথনা কক্ষে পাঠিয়ে দেবেন । অর্ভ্যথনা কক্ষে কর্মরত ব্যক্তি একজন গার্ড দিয়ে উক্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে তিনি যার কাছে এসেছেন তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন । অর্ভ্যথনা কক্ষ পরিত্যাগের পুর্বে কক্ষে রক্ষিত রেজিষ্টারে অবশ্যই আগত ভিজিটরের বিবরণ ও পরিদর্শন কার্ড পরিধান বাঞ্চনীয় । …. ফফফফ

১. বহুতল বিশিষ্ট ভবনে অবস্থানরত কোন ব্যক্তি যদি ভূমিকম্প অনুভব করেন তবে অবশ্যই দেয়ালের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং হাত দিয়ে মাথা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

ক) ভুমিকম্প জনিত দূর্যোগের সময় রেসকিউ টীম প্রধান ভুমিকা পালন করবে এবং প্রতি ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে এবং উক্ত ফায়ার এলার্ম এর শব্দ শোনার সাথে সাথে সকল শ্রমিককে সিঁড়ি দিয়ে সারিবদ্ধভাবে নীচে নিরাপদ স্থানে পৌছানো ব্যবস্থা করতে হবে।
খ) কোন শ্রমিক উক্ত সময়ে যদি আহত হয় অথবা পড়ে যায় তার জন্য রয়েছে রেসকিউ টীম উক্ত আহত শ্রমিককে নিরাপদ স্থানে পৌছে দিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
গ) ভূমিকম্পের সময় অবশ্যই বিল্ডিং এর নিকট থেকে একটি দূরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। এবং প্রয়োজনে সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে/ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করতে হবে।
২. এই সময়ে লিফটে অবস্থান করা খুবই বিপজ্জনক এবং জানালার গ্লাস ছিটকে গিয়ে শতফুট দুরে পড়তে পারে।
৩. এই সময়ে যদি কেউ ঘরের বাইরের অবস্থান করে সেক্ষেত্রে তাকে ইলেট্রিকের তার ও খুটি জাতীয় কাঠামো থেকে খোলা আকাশের নিচে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।
৪. বাস বা গাড়ীতে অবস্থানরত যাত্রীদের রাস্তার একপ্রান্তে গিয়ে গাড়ী থামিয়ে অবস্থান করতে হবে যাতে যানজট, বিদ্যুৎ লাইন ও অন্যান্য বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত ভূ- কম্পন অনুভূত হবে ততক্ষণ গাড়ীর ভেতরে অবস্থান করাই মঙ্গলজনক।
৫. এই সময়ে যদি কেউ জনস্রোতে অবস্থান কওে তার জন্য অহেতুক ছুটাছুটি বা ভীড় এড়ানোর চেষ্টা না করাই ভালো।
৬. প্রত্যেকেই ভূমিকম্প পরবর্তী শক বা কম্পনের জন্য প্র¯তুত থাকতে হবে এবং পরিকল্পনা নিতে হবে কিভাবে ভূমিকম্প থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায়। ক্ষতস্থান পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অন্যান্যদের শান্ত থাকার আশ্বস্ত করতে হবে।
৭. বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানির লাইন সমূহ পরীক্ষা করতে হবে। যদি তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখতে হবে। যদি গ্যাস নির্গত হতে থাকে তবে কোনভাবেই সেখানে দিয়াশলাইয়ের কাঠি, ফ্লাস লাইট বা অন্যকোন ইলেকট্রিক বাতি জ্বালানো যাবেনা। এসময় জানালা খোলা রেখে বাড়ি-ঘর ত্যাগ করা উচিত।
৮. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পারিবারিক পর্যায়ে ভূমিকম্প সম্পর্কে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা বা জানা যে, বাড়ির কোন অংশে ভূমিকম্পের সময় আশ্রয় নেয়া যায় ( যেমন- টেবিলের নীচে, ডেক্স বা ওয়ালের পাশে) এবং বিপজ্জনক জায়গা সমূহ ( যেমন- জানালা, আয়না, ঝুলন্ত বস্তু সমূহ, অগ্নিশিখা ও উচ্চ আসবাবপত্র) থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

সাধারণ ভিজিটর এলে পরে তার কাছ থেকে সিকিউরিটি গার্ড নিয়মমাফিক সমস্ত বিবরণ জেনে নিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অবহিত করবে । অর্ভ্যথনা কক্ষে কর্মরত ব্যক্তি সাক্ষাৎ প্রার্থীর বিবরণ ও কারণ জেনে নিয়ে তা অতিথির নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানাবেন ও তার অভিমতানুসারে ভিজিটর অর্ভ্যথনা কক্ষে অবস্থান করবেন । পরবর্তিতে উক্ত ব্যক্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগে এসে ভিজিটরের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ।

গেইটে সিকিউরিটি গার্ড কে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, যথাযথ প্রমাণাদি ছাড়া এবং রেজিষ্টারে নথিকরণ ছাড়া কোন বহিরাগত ব্যাক্তি ফ্যাক্টরীতে গমন অথবা নির্গমন না করে। ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারী  এবং ফ্যাক্টরী সংশ্লিষ্ট যে কোন বস্তু বা উপাদানের যাওয়া আসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ।

ফ্যাক্টরীর নিরাপওা ব্যবস্থা অটুট রাখার নিমিওে নিয়োজিত সকল গার্ডদেরকে কর্মরত প্রত্যেকের ব্যাগ (যে কোন ধরনেরই হোক না কেন ) , সন্দেহভাজন ব্যক্তি  সবকিছুরই তল্লাশী করতে হবে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগকে যথাসময়ে অবহিত করতে হবে । কোম্পানীর নিজস্ব যানবাহন সমুহকে ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনের বাহিরে কিন্তু আওতাসীমার মধ্যে পার্কিং করতে হবে এবং প্রতিটি গাড়ির চাবি গার্ড রুমে জমা থাকবে এবং গাড়ি পুনরায় চলাচলের আগ মুহুুর্তে ড্রাইভারকে চাবি ফেরত দিতে হবে ।

পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতা এর বর্ণনা

পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতা এর বর্ণনা

পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতা

সূচনা: পোশাক শিল্পে সাধারনত শত শত শ্রমিক কাজ করে। এই শিল্পে অধিকাংশ শ্রমিক হল নারী।

যেভাবে নিরাপত্তা বিঘিœত হয়-

প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগতে পারে
আঙ্গুলে সুঁই ফুটতে পারে
আঙ্গুল থেতলে যেতে পারে
রাসায়নিক পদার্থ নাকে গিয়ে বিপদ হতে পারে
বদ্ধ কাজের পরিবেশে বাতাসের অভাব হতে পারে
গরমে শ্রমিকেরা অসুস্থ হতে পারে ইত্যাদি

পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপুর্ন তাই উপরোক্ত বিপদ সমুহ যাতে না হতে পারে তার জন্য প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা করা প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তাছারা শ্রমিকেরা বিপদজনক পরিস্থিতিতে কাজ করলে বা বিপদজনক অবস্থায় থাকলে তাদের মনোযোগ নষ্ট হয়।পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে উৎপাদনশীলতা মারাত্বকভাবে ব্যহত হয়। বিপদ হওয়ার পর তার সাথে যুদ্ধ করার চেয়ে বরং আগে থেকেই প্রতিরোধ/নিবারণ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন যাতে বিপদই আসতে না পারে। এতে বিপদ থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যায় তেমনি শ্রমিকের উৎপাদনশীলতাও বজায় থাকে।

কারখানায় বিপদের উৎস সমুহ:

আগুনের বিপদ: শর্ট সার্কিট বা লুজ সংযোগ
বয়লার হতে
কাপড় কাটার যন্ত্র
বাটন মেশিন হতে
সেলাই মেশিন অসাবধানতা বসত পরিচালনা করলে
আতঙ্ক, ভয়, অসংগঠিতভাবে দৌড়াদৌড়ি
সেলাই মেশিনের সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি না থাকলে
কাটিং মেশিন হতে সৃষ্ট ধুলা ও বস্তুকনা
ওভারলক মেশিন হতে সৃষ্ট ধুলা ও বস্তুকনা
অবসাদ, বিসন্নতা ও শারিরীক অসারতা, অসুস্থতা
অপরিচ্ছন্ন কর্মস্থল ও টয়লেট
অপর্যাপ্ত আলো, বাতাস
বাতাস আগমন-নির্গমনের পথ না থাকলে
মনস্তাত্বিক-সামাজিক বিপদ – যেমন: বৈষম্য, কর্মস্থলে উত্যক্ত, অবমাননা, অবহেলা, নাজেহাল করা, কর্মের নিরাপত্তার অভার, অপ্রতুল বেতন, যথোপযুক্ত কাজেনিয়োগ না করা, দূরবর্তী কর্মস্থল ইত্যাদি।

গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নি দুর্ঘটনার কারণ:

১. অপরিকল্পিত কাজের পরিবেশ
২. শ্রমিকদের বিশৃঙ্খলা
৩. বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট
৪. বয়লার বিষ্ফোরণ
৫. ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারের সংযোজন
৬. ধুমপানের উপকরণ
৭. রান্নাঘরের চুল্লি
৮. অসতর্কতা
৯. এক্সিসটিং কাঠামো হতে আগুন
১০. ত্রুটিপূর্ণ ভবনের নকশা
১১. শিল্প মালিকদের অগ্নি হতে সৃষ্ট দুর্ঘটনা বিষয়ে চিন্তা বা উদ্বেগের অভাব।

গার্মেন্টস শিল্পে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ:

১. অগ্নিকান্ডের সময় বহির্গমন পথ বন্ধ বা গেট তালাবদ্ধ থাকলে
২. বের হওয়ার পর্যাপ্ত পথ না থাকলে
৩. আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে ছোটাছুটি করলে
৪. পর্যাপ্ত সিড়ির সংখ্যা না থাকলে
৫. ইচ্ছাকৃতভাবে পথ বন্ধ করলে
৬. ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়া

অগ্নি বিপদ থেকে নিরাপত্তা:

১. অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান।
২. জরূরী অবস্থায় কর্মীদের নিরাপদ বহির্গমন পরিকল্পনা করা।
৩. কারখানায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংস্থাপন করা।
৪. কারখানায় বৈদ্যুতিক ও হস্ত চালিত এলার্ম সিস্টেম সংস্থাপন করা।
৫. কারখানায় কেন্দ্রীয় মাইক সিস্টেম সংস্থাপন করা।
৬. কারখানায় হোস পাইপ সিস্টেম সংস্থাপন করা।
৭. প্রতি মাসে একবার ফায়ার ড্রিল করানো এবং তার ডকুমেন্ট রাখা।
৮. ফ্লোরে বহির্গমন পথ দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যাতে বিপদের সময় কর্মীরা সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
৯. ফ্লোরে, সিড়ির গোড়ায়, স্টোরে ব্যাটারী চালিত ইমার্জেন্সি লাইট সংস্থাপন করা।
১০. স্টোরের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সুইচ, ব্যালাস্ট ইত্যাদি স্টোরের বাইরে স্থ্াপন করা।
১১. কারখানায় অন্তত ২ (দুই) টি সিড়ির ব্যবস্থা করা এবং সিড়ির নূন্যতম প্রশস্থতা ৮র্ – ০র্র্র্র্ র্ হতে হবে।
১২. কাঠের তৈরী আসবাবপত্র ব্যবহার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।

অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ:

১. কারখানায় বিপদ সম্মন্ধে সকল কর্মীদের বিস্তারিত জানাতে হবে পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ঠিক থাকে
২. কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগুন লাগলে তারা আতঙ্কগ্রস্থ ও দিশেহারা না হয়। তারা যেন শান্ত হয়ে বহির্গমন পথে বেরিয়ে যায়।
৩. কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যে আগুন দ্বারা না যতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হুরাহুড়ি করে নামতে গিয়ে পায়ের তলে চাপা পড়ে। এটাও বোঝাতে হবে যে আগুন ছড়িয়ে পরতেও সময় লাগে।
৪. কর্মীদের মাসে অন্তত একবার ফায়ার ড্রিল করানো উচিত কারণ এতে তারা অগ্নি বিপদে করণীয় বিষয়ে অভ্যস্ত হবে।

যন্ত্র থেকে উৎসারিত বিপদ:

১. নিরাপদ ও মানসম্পন্ন মেশিন ক্রয় ও ব্যবহার।
২. উৎপাদনকারী কোম্পানীর নির্দেশনা মত বয়লার ব্যবহার করা।
৩. বয়লারের নিবারণমূলক রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
৪. কাপড় কাটা যন্ত্র ব্যবহারের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।
৫. কাপড় কাটার সময় ইস্পাতের হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করা।
৬. মেশিনের সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা।

রাসায়নিক থেকে উৎসারিত বিপদ:

১. অতি ক্ষুদ্র বস্তুকনা: কাটিং মেশিন ও ওভারলক যন্ত্র কোটি কোটি অদৃশ্যবস্তুকনা তৈরী করে কর্মীদের ক্ষতি করে।
২. বস্তুকনা: নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে নাক, গলা, ফুসফুসের ক্ষতি করে ফলে নাক ও গলায় অস্বস্তি, ফুসফুসে প্রদাহ, নিউমোনিয়া, হাপানী রোগ দেখা দিতে পারে। রাসায়নিক বিপদের ক্ষেত্রে কর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৩. ফরমালডিহাইড: উৎপাদন, কাটিং ও স্টোর এলাকায়কর্মরত কর্মীদের ক্ষতি করে।চোখ, নাক, মুখ, গলা অসস্তি তৈরী করে এবং মাথা ঘুরানি, হাপানি বা চর্ম রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
৪. থিনার: ওয়াশিং এবং ক্লিনিং এলাকায় কর্মরত শ্রমিকদেও ক্ষতি করে। থিনার নিশ্বাসের মাধ্যমে, মুখের মাধ্যমে বা চামড়ার সংস্পর্শে শরীরে প্রবেশ করে।
৫. উপরোক্ত সমস্যা সমূহ অনুপস্থিতি, কর্মত্যাগ, অসুস্থতা বাড়ায় এবং কর্মে অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।

সামাজিক-মনস্তাত্তিক বিপদ:

১. বৈষম্য: লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা, নৃতাত্তিক বৈশিষ্ট ইত্যাদির ভিত্তিতে নিয়োগ, বেতন বৃদ্ধি, প্রমোশন, পুরস্কার, শাস্তি ইত্যাদি। তাতে শ্রমিকদের মনে উদ্বেগ, রাগ, ভয়, টেনশন, নিরাপত্তার অভাব এবং মানসিক বিপর্যয় ঘটে। ফলে অনুপস্থিতি, কর্মত্যাগ, অসুস্থতা বাড়ায় এবং অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।
২. অনিরাপদ চাকুরী ও স্বল্প বেতন: ফলে উদ্বেগ, রাগ, ভয়, টেনশন, নিরাপত্তার অভাব এবং মানসিক বিপর্যয় ঘটে।
৩. দীর্ঘ কর্ম-ঘন্টা: বিশ্রামের অভাব, ক্লান্তি, অবসাদ, অসারতা, দুর্বলতা তৈরী হয় ফলে কর্মে অনুপস্থিতি, পারিবারিক কলহ-সমস্যা, সাস্থ্যহীনতা ঘটে। কর্মে অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।
৪. অদক্ষ কর্মে নিয়োগ: কর্মীর দক্ষতার অপূর্ণ ব্যবহার, একই কাজ বারবার করায় শারিরীক ও মানসিক অসারতা ও অবসাদ, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির ও সম্ভাবনার অভাব হওয়ায় উদ্বেগ, রাগ, ভয়, টেনশন, নিরাপত্তার অভাব এবং মানসিক বিপর্যয় ইত্যাদি ঘটে। ফলে অনুপস্থিতি, কর্মত্যাগ, অসুস্থতা বাড়ায় এবং অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।
৫. কর্মস্থলে যাওয়ার জন্যে দীর্ঘ ভ্রমন: ক্লান্তি, অবসাদ, অসারতা, দুর্বলতা তৈরী হয় ফলে কর্মে অনুপস্থিতি, সাস্থ্যহীনতা ঘটে। ফলে কর্মে অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।
৬. অবমাননা: এটা এমন ধরনের কর্ম বা ব্যবহার বা আচারন বা মৌখিক উক্তি যার ধরন আগ্রাসী, অবমাননাকর বা তুচ্ছকারী বা যাতে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয়। ফলে উদ্বেগ, রাগ, ভয়, টেনশন, নিরাপত্তার অভাব এবং মানসিক বিপর্যয় ঘটে। এবং কর্মে অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।

অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনা সমূহ ঃ

১. বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ন কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
২. ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
৩. দীর্ঘ ক্ষন দাড়িঁয়ে থাকার কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
৪. অসাবধান বা বেপরোয়া ভাবে সিড়িঁতে চলাচল করা।
৫. কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিকে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত করা।
৬. কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত করা।

অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ :

১) বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ন কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
২) ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
৩) দীর্ঘ ক্ষন দাড়িঁয়ে থাকার কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
৪) অসাবধান বা বেপরোয়া ভাবে সিড়িঁতে চলাচল না করা।
৫) কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিকে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত না করা।
৬) কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত না করা।

এছাড়াও নি¤œলিখিত সাবধানতা অবলম্বন করুন :

১. অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা বা পিচ্ছিল ফ্লোর ব্যবহার না করা।
২. ৬ মাস পূর্ন হয়েছে এমন সকল মহিলা শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী মার্তৃত্বকল্যান ছুটি ও সুবিধা প্রদান করা ।
৩. কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে দিয়ে জানা মতে সন্তান প্রসবের অব্যবহিত ৮ সপ্তাহ আগে ও পরে কাজ না করানো।
৪. কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত সময়ে কাজ না করানো।
৫. কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে প্রচন্ড শব্দ হয় এমন জায়গায় কাজ না করানো।
৬. কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত গরম এমন জায়গায় কাজ না করানো।

শারিরীক অসারতার বিপদ:

১. বয়ে আনে ক্লান্তি ও শ্রান্তি, শারিরীক দুর্বলতা ও অবসাদ, কর্মস্পৃহা ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। শারিরীক অসুস্থতার ফলে অনুপস্থিতি, কর্মত্যাগ করায় এবং অগ্রহনযোগ্য গুনগত মান ও স্বল্প উৎপাদনশীলতা দেখা দেয়।
২. শারিরীক অসারতা হতে পরিত্রানের জন্য কাজের মধ্যে স্বল্প সময়ের বিশ্রাম, উপযুক্ত ডিাইনকৃত ব্যাক-রেস্ট ও ফুট-রেস্ট সম্বলিত চেয়ারে বসতে দেয়া এবং যারা দাড়িয়ে ইন্সপেক্টরের কাজ কওে তাদেরকে ব্যাক-রেস্ট ও ফুট-রেস্ট সম্বলিত উঁচু চেয়ারে বসতে দিতে হবে।
পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা বাবস্থায় কর্তৃপক্ষের করনিয়

১. কর্মক্ষেত্রে কাজের উপযুক্ত এবং স্বাস্থকর পরিবেশ থাকতে হবে।
২. লাইনচীফ, সুপারভাইজার বা ম্যানেজার বা যে কেউ দ্বারা যৌন নিপীরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত টয়লেট এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৪. মহিলা শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার পানি ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫. বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণে পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দুর করতে হবে ।
৬. মহিলা শ্রমিকদের মাসিক বেতন প্রদান পূর্বক পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালিন ছুটির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৭. মহিলা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৮. শ্রমিকদের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেমন: গান , বাৎসরিক বনভোজন ইত্যাদি।
৯. মহিলা শ্রমিকদের শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
১০. পূর্ণকালিন ডাক্তার এবং নার্স এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।