by Mashiur | Jan 13, 2018 | নীতিমালা
পোশাক কারখানায় বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা
পোশাক কারখানায় শ্রমিক বরখাস্ত নীতিমালা – ইন্ডাঃ(প্রাঃ) লিঃ কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানে বিএসসিআই আচরণ বিধির বাস্তবায়নের ব্যাপারে সামাজিক মান ও সকল শর্ত সমূহের জন্য সরবরাহকারীদের সাথে সকল ধরনের চক্তিতে আবদ্ধ করা হয়।উক্ত আচরণ বিধি বাস্তবায়নের জন্য সরবরাহকারীদের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত ভাবে তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট গ্রহন এবং পরবর্তীতে তাহা পর্যবেক্ষন করা হয়।
অসদাচরণ সমূহঃ-
- উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা ।
- মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারণা বা অসাধুতা ।
- মালিকের অধীন তাঁহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান ।
- বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়া এক সঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি ।
- অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি ।
- প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন ।
- প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ, অথবা শৃংখলা হানিকর কোন কর্ম ।
- কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি ।
- প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংখলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন ।
- মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা ।
উল্লেখিত অসদাচরণের যে কোন ১টি দ্বারা মালিক শ্রমিককে গুরুদন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে ৬০ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিবেন । পরবর্তীতে মালিক একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে যদি শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত হন তবে স্থায়ী বরখাস্তের নির্দেশ প্রদান করবেন। সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ের জন্য শ্রমিক তার মজুরীর অর্ধেক খোরাকী ভাতা পাওয়ার অধিকারী।
উপরে উল্লেখিত অসদাচরণগুলির মধ্যে সংঘটিত অপরাধ লঘু দন্ডনীয় হিসেবে বিবেচিত হলে মালিক শ্রমিককে প্রথমে ৭ দিনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রদান করিবেন এবং যথারীতি শ্রমিক কাজে যোগদান পূর্বক খোরাকী ভাতা গ্রহন করিবেন। এক্ষেত্রে শ্রমিক যদি দোষী সাব্যস্ত না হন তবে শ্রমিক সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ের খোরাকী ভাতা গ্রহনের অংশটুকু বাদে সমস্ত পাওনাদি পাওয়ার অধিকারী।
ক্ষতিপূরণ ঃ
প্রতি পূর্ণ বছর বা ছয় মাসের অতিরিক্ত যে কোন অংশের জন্য ১৪ দিনের মজুরী ক্ষতিপূরণ প্রদান।
by Mashiur | Dec 20, 2017 | নীতিমালা
কারখানার নিয়ম কানুন
পোশাক কারখানার নিয়ম কানুন Rules & Regulations – বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের আইনের দ্বিতীয় অধ্যায় এর ২৩-২৪ ধারা অনুযায়ী আওতায় যদি কোন শ্রমিক/কর্মচারী “অসদাচরনের” অপরাধে দোষী প্রমানিত হন তবে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত সহ যে কোন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে।স্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীর চাকুরীর প্রথম তিন মাস হবে প্রবেশন কাল সন্তোষজনক ভাবে প্রবেশন প্রবেশন কাল সমাপ্ত হলে শ্রমিক/কর্মচারীগণকে চাকুরীতে স্থায়ী করনের নিমিত্তে স্থায়ীকরন পত্র প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য যে কর্মচারীগণের চাকুরীর অবসান করতে পারবেন।
- চকুরীতে নিয়োগদানের সময় প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীগনকে আইডি কার্ড এবং নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে। এছাড়া সার্ভিস বই কোম্পানীর নিকট সুরক্ষিত থাকবে।
- কারখানা সকাল ৮.০০ ঘটিকায় শুরু হবে এবং বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় ছুটি হবে এবং দুপুরের খাবারের জন্য দুপুর ১২.০০ টা হতে বিকাল ২.০০ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা সময়কাল বিরতি থাকবে।
- প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” অনুয়ায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করাতে পারবেন।
- কাজের সময় কোন শ্রমিক/কর্মচারী গেট পাশ ছাড়া কারখানার বাহিরে যেতে পারবে না।
- কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসের ০৭ তারিখের মধ্যে মজুরী এবং অভারটাইমের টাকা শ্রমিক/কর্মচারীগণকে পরিশোধ করবেন।
- কোম্পানীর নিয়ামানুযায়ী দক্ষ শ্রমিক/কর্মচারীগণকে কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি প্রদান করবেন।
- কোম্পানীর নিয়ামানুযায়ী যে সকল দক্ষ শ্রমিক/কর্মচারীগণরে চাকুরী কাল ১ (এক) বছরপূর্ণ হয়েছে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেতন বৃদ্ধি প্রদান করবেন।
- যে সকল শ্রমিক/কর্মচারীগণের চাকুরীর মেয়াদ ১ (এক) বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদেরকে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে।
- প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীগণকে চিকিৎসা ভাতা ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে কোম্পানীর নিয়োগকৃত ডাক্তার কর্তৃক ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
- দুপুরে খাবারের জন্য সকল শ্রমিক/কর্মচারীগনকে ডাইনিং ব্যবহার করতে হবে।
- পোশাক কারখানার নিয়ম অনুসারে কারখানার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সকল শ্রমিক/কর্মচারীগণকে সচেতন হতে হবে।
- কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে শ্রমিক/কর্মচারীগণকে এই প্রতিষ্ঠানের যে কোন বিভাগে অথবা কোম্পানীর অন্য কোন কারখানায় (বাংলাদেশের সর্বত্র) বদলী করতে পরবেন।
- সকল শ্রমিক কর্মচারীগণ সপ্তাহে ০১ (এক) দিন সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবেন যাহা সাধারনত শুক্রবার হবে।
- “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬” অনুয়ায়ী শ্রমিক/কর্মচারীগণ মজুরীসহ নিু লিখিত অবকাশ ও ছুটি ভোগ করবেন।
- বাৎসরিক ছুটি ঃ যে সকল শ্রমিক কর্মচারীগণের চাকুরীর সময়কাল একটানা ১ (এক) বছর পুরন হয়েছে তারা পরবর্তী বার মাসের বা ১ (এক) বছরের মধ্যে পূর্ণ মজুরীসহ প্রতি ১৮ (আঠার) কর্মদিবসের জন্য ০১(এক) দিনের বাৎসরিক ছুটি ভোগ করবেন। কোন শ্রমিক/কর্মচারী যদি তার বাৎসরিক ছুটি আংশিক বা সম্পূর্ণ ভোগ না করে থাবেন তবে তার পাওনা ছুটি সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা থাকবে। তবে কোম্পানী বাৎরিক পাওনা ছুটির সমপরিমাণ মজুরী শ্রমিক/কর্মচারীগণকে পরিশোধ করতে পারবেন।
- উৎসব/পর্ব ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে ১১ (এগার) দিন উৎসব/পর্ব উপলক্ষ্যে পূর্ণ মজুরীসহ ছুটি ভোগ করবেন। এরূপ উৎসবের বা পর্বের দিন ও তারিখ প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট করা হবে।
- নৈমিত্তিক ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে পূর্ণ মজুরীসহ সর্ব নিু ১০ (দশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাবেন।
- অসুস্থতাজনিত ছুটি ঃ প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১৪ (চৌদ্দ) দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি পাবেন।
- মাতৃকাল্যাণ ছুটি ঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের আইনের চতুর্থ অধ্যায় এর ৪৫-৪৯ ধারা অনুযায়ী যে সকল মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীগণের প্রসবের দিনের অব্যবহিত আগে ৬ (ছয়) মাস চাকুরীর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তারা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং প্রসবের দিনসহ পরবর্তী আট সপ্তাহ অর্থাৎ মোট ১৬ সপ্তাহ প্রসূতি ভাতাসহ মাতৃকল্যাণ ছুটি পাবেন।
- যদি কোন শ্রমিক/কর্মচারী স্বেচ্ছায় তার চাকুরীর অবসান করতে চান তবে ঐ শ্রমিক বা কর্মচারীকে ২ (দুই) মাসের নোটিশ বা দুই মাস পূর্বে কর্তৃপক্ষের বরাবরে পদত্যাগ পেশ করতে হবে।
- কর্তৃপক্ষ যদি কোন স্থায়ী শ্রমিক/কর্মচারীর চাকুরীর অবসান করতে চান তবে ১২০ (এক শত বিশ) দিনের নোটিশ অথবা নোটিশের পরিবর্তে ১২০ (এক শত বিশ) দিনের মজুরী পরিশোধ করবেন।
by Mashiur | Dec 9, 2017 | নীতিমালা
স্বাধীনভাবে সমিতি এবং যৌথ দরকষাকষি নীতিমালা
১. পলিসি:
১.১. অটো ফ্যাশন লিঃ এর শ্রমিক/কর্মচারীদের স্বাধীনভাবে সমিতি এবং যৌথ দরকষাকষির আইন সম্মত অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।
১.২. যে সকল শ্রমিক/কর্মচারী কোন সমিতি বা যৌথ দরকষাকষিতে যোগদান করতে চায়, অটো ফ্যাশন লিঃ এর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অবৈধভাবে চাপ সৃষ্টি করে না।
১.৩. যে সকল শ্রমিক/কর্মচারী পূর্বে স্বাধীন সমিতি বা যৌথ দরকষাকষির সমিতিতে জড়িত ছিল, অটো ফ্যাশন লিঃ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বৈষম্য করে না।
২. পদ্ধতি:
২.১. অটো ফ্যাশন লিঃ এর সকল শ্রমিক/কর্মচারীদের তার বিরতির সময় স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারে, যদি না এধরনের ঘোরাফেরা অন্য কর্মীর কাজের ক্ষতি করে।
২.২. অটো ফ্যাশন লিঃ ডচঈ এর সদস্যরা শ্রমিকদের সরাসরি সমর্থনে নির্বাচিত।
২.৩. ডচঈ সভা এক মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় যেখানে “মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক” উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং কমিটির পরিচালনা ও দেখাশুনা করেন।
২.৪. নোটিশ বোর্ডে ডচঈ এর সভা সম্পর্কিত তথ্য টানানো হয়।
২.৫. সুবিধামত জায়গায় পরামর্শ বক্স স্থাপন করা হয়েছে, যেন কোন শ্রমিক ইচ্ছে করলে যে কোন ঘটনা নিজের পরিচয় উল্লেখ ছাড়াই বক্সে রিপোর্ট করতে পারে। বক্স খুলতে ঐজ ্ ঈড়সঢ়ষরধহপব -উবঢ়ধৎঃসবহঃ দায়িত্বশীল রয়েছে। যদি ডচঈ এর মিটিং এর ব্যাপারে কোন পরামর্শ বা অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের জন্য উর্ধ্বতন ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হয়।
৩. দায়দায়িত্ব, কর্তৃপক্ষ এবং যোগাযোগ :
৩.১. ব্যবস্থাপক- মানব সম্পদ, কমপ্লায়েন্স ও প্রশাসন দায়িত্বশীল।
৪. দায়দায়িত্ব :
আনুষ্ঠানিক মিটিং এবং প্রশিক্ষণ প্রোগামগুলো নিশ্চিত করে যে, এই পলিসি সঠিকভাবে সময়ের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে, সভার বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে সকল অংশগ্রহণকারীকে বণ্টন নিবদ্ধন তালিকা অনুসারে জানিয়ে দেওয়া হয়।
৪.১. অটো ফ্যাশন লিঃ প্রতিটি কর্মীকে স্বাধীন সমিতি গঠন অথবা যৌথ দরকষাকষি করার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তবে ইহা বৈধ ভাবে হইতে হবে।
৪.২. যদি কোন কারণে কোন শ্রমিক স্বাধীন সমিতি গঠন করতে চায়, তবে তাদেরকে ইউনিয়নের আইনগত পদ্ধতি অবশ্যই অনুসরন করতে হবে।
৪.৩. কর্মী নিজেকে ডচঈ এর কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করাতে পারে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কোন বাধা দেয় না।
৪.৪. সমস্ত ডচঈ সমিতি বা যৌথ দরকষাকষি সম্পর্কিত কোন ইস্যু তৈরিতে বৈধ ও আইনগতভাবে গ্রহণ করতে হবে।
by Mashiur | Dec 8, 2017 | নীতিমালা
শৃঙ্খলা নীতিমালা
প্রতিষ্ঠানের জন্য শৃঙ্খলা অপরিহার্য। শৃঙ্খলা বর্হিভূত কোন কাজ প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনা। এ উদ্দেশ্যেই কর্তৃপক্ষ অত্র কারখানায় কর্মরত সকলের ও সকল ইউনিটের মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোম্পানীর প্রচলিত বিধি বিধান ও বাংলাদেশের শ্রম আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নীতিমালা প্রনয়ন করেছে এবং সেই সাথে নীতিমালা ভঙ্গের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহন করেছে । গ্র“পভূক্ত সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানব সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং যে কোন শ্রমিক,কর্মচারী এবং কর্মকর্তার প্রতি কোন ধরণের অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক যেকোন বিষয় এড়ানোর লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ দেশে প্রচলিত শ্রম আইনের আলোকে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করছে।
কোম্পানীতে শৃঙ্খলা জনিত নীতিমালা ভঙ্গের বিরুদ্ধে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় তা নিন্মরূপঃ
- অপরাধ সমূহঃ(বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ২৩এর উপধারা ৪(খ) অনুযায়ী।
- অভ্যাসগত ভাবে কর্মস্থলে দেরীতে অনুপস্থিতি।
- অভ্যাসগত ভাবে অননুমোদিত অনুপস্থিতি।
- উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা অথবা সহকর্মী অথবা অধিনস্তদের সহিত দুর্ব্যবহার করা।
- কর্মে একাগ্রতার অভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে দায়িত্বে অবহেলা, যাহার ফলে কোম্পানীর ক্ষতি হইতে পারে।
- ইচ্ছাকৃত ভাবে কোম্পানীর সম্পত্তির বা মালামালের অপব্যবহার করা।
- কোম্পানীর মালামাল চুরি করা।
- অভ্যাসগতভাবে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা এবং এতদ সংক্রান্ত মেশিনের সেফটিগার্ড ব্যবহার না করা।
- বেআইনে ফ্যাক্টরীতে গোলযোগ সৃষ্টি করা অথবা অন্যদেরকে বেআইনে গোলযোগের প্ররোচনা দেওয়া।
- অন্য শ্রমিকের “টাইম কার্ড” মেশিনে সোয়াইপ করা।
- অধিনস্ত কর্মচারী অথবা সহকর্মীর সাথে র্দুব্যবহার অথবা যৌন হয়রানী অথবা দৈহিক অথবা মৌখিক র্দুব্যবহার করা।
- অভ্যাসগত ভাবে কারখানার প্রচলিত কোন বিধি বিধান লংঘন।
১। কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা যাবে, যদি তিনি-
ক) কোন ফৌজদারী অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হন; অথবা
খ) অনুচ্ছেদ ২-এ বর্ণিত অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
– ধারা ২৩ (১), বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
২। নিুলিখিত কাজগুলো অসদাচরণ বলে গণ্য হবে ঃ-
ক) উপরস্থের কোন আইনসংগত বা যুক্তিসঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;
খ) মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারণা বা অসাধুতা;
গ) মালিকের অধীনে তার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান;
ঘ) বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সঙ্গে দশ দিনের
অধিক সময় অনুপস্থিতি;
ট) অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
ঠ) প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
ড) প্রতিষ্ঠানে অশৃঙ্খল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ অথবা শৃঙ্খলা হানিকর যেকোন কর্ম;
ঢ) কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
ণ) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃঙ্খলা বা অসদাচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন।
ত) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারিয়ে ফেলা।
– ধারা ২৩ (৪), বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
৩। অসদাচরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে অনুচ্ছেদ ১-এর অধীনে চাকুরী হতে বরখাস্তের পরিবর্তে, বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, নিুলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাবে, যথাঃ-
ক) অপসারণ;
খ) নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
গ) অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ;
ঘ) অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
ঙ) অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
চ) ভৎর্সনা ও সতর্কীকরণ।
– ধারা ২৩ (২), বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
৪। অনুচ্ছেদ-১ এর অধীনে বরখাস্তকৃত অথবা অনুচ্ছেদ-৩ এর (ক) এর অধীনে অপসারিত কোন শ্রমিককে, যদি তার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যুন এক বৎসর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পূর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য চৌদ্দ দিনের মজুরী প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিককে অনুচ্ছেদ-২ এর (খ) এর অধীনে অসদাচরণের জন্য কোন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
– ধারা ২৩ (৩), বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
৫। শাস্তির পদ্ধতি ঃ অনুচ্ছেদ-১ এর অধীনে কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না, যদি না-
ক) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়;
খ) অভিযোগের একটি কপি তাকে দেয়া হয় এবং এর জবাব দেয়ার জন্য অন্তত সাত দিন সময় দেয়া হয়;
গ) তাকে শুনানীর সুযোগ দেয়া হয়;
ঘ) তদন্তের পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়;
ঙ) মালিক বা ব্যাবস্থাপক বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করেন।
– ধারা ২৪ (১), বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬
৬। কোন তদন্তে অভিযুক্ত শ্রমিককে, প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত এবং তৎকর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি সাহায্য করতে পারবেন।
৭। যদি তদন্তে কোন পক্ষ মৌখিক স্বাক্ষ্য প্রদান করেন, তাহলে যার বিরুদ্ধে এই স্বাক্ষ্য প্রদান করা হচ্ছে তিনি সাক্ষীকে জেরা করতে পাবেন।
৮। কোন শ্রমিক অনুচ্ছেদ-১ এর অধীনে সংঘটিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, যদি তার বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ-৩ এর (চ) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় হবে উক্ত শ্রমিক গড় মাসিক মজুরীর অর্ধেক হারে খোরাকী ভাতা পাবেন।
৯। যদি তদন্তে কোন শ্রমিকের অপরাধ প্রমাণিত না হয়, তাহলে তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মরত ছিলেন বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত সময়ের জন্য তার খোরাকী ভাতা সমন্বয় সহ, মজুরী প্রদেয় হবে।
১০। শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে, শাস্তির আদেশের একটি কপি সংশি¬ষ্ট শ্রমিককে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
১১। যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা, আদেশ বা অন্য কোন কাগজপত্র গ্রহন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে তা তাকে প্রদান করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ বা চিঠি বা অভিযোগনামা বা আদেশ এর একটি কপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে এবং আরেকটি কপি উক্ত শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিঃ ডাকযোগে প্রেরণ করতে হবে।
১২। উপরে বর্ণিত বিষয়সমুহ ছাড়াও সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বার্থে প্রচলিত শ্রম আইনে বর্ণিত সকল ধারা এবং উপধারা প্রযোজ্য হবে।
আইডি কার্ড ঃ
সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য আইডি কার্ড অত্যাবশ্যকীয়। তাই প্রতিদিন ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ এবং বহির্গমন কালে এই আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং স্বয়ংক্রিয় সময় রক্ষক যন্ত্রে (অটোমেটেড টাইম কিপিং মেশিন) স্পর্শ করে তার হাজিরা সময় নিশ্চিত করতে হবে। আইডি কার্ড ব্যতিত কাউকে অত্র কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না এবং নিরাপত্তা প্রহরী যদি কারো আইডি কার্ড দেখতে চায় তাহলে সকলেই তা দেখাতে বাধ্য থাকবে।
পি পি ই ব্যবহার ঃ
কাজের সুবিধার্থে এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রয়োজনে অত্র কারখানায় কর্মরত আত্মরক্ষামূলক সরজ্ঞামাদি ব্যবহার করতে হবে।কাটার, সিজার , ভ্রমর, প্যাটার্ন ইত্যাদি নন ইলাস্টিক ড্রসটিং দ্বারা বেধে কাজ করতে। সেফটি গার্ড, নিডল গার্ড,ইয়ার প্লাগও মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।
বাইরের জুতা ফ্লোরে ব্যবহার না করা ঃ
ফ্লোরের আপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্নতা/বাহিরের ধূলাবালি/ময়লা ইত্যাদি দ্বারা কর্মস্থানকে অসাস্থকর করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা বিঘিœত যাতে না হয় সেজন্য কেউ বাইরের জুতা ফ্লোরে ব্যবহার করতে পারবেন না। ফ্লোরে ব্যবহার করতে হলে স্পঞ্জের স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে এবং তা নিয়ে বাইরে যাওয়া যাবে না।
অফিসিয়াল রেকর্ড জালিয়াতি ঃ
যদি মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, তার ক্ষতিকরণ অথবা হারিয়ে ফেলা হয় তাহলে তা অসদাচরণের মধ্যে পরে ।
শৃঙ্খলা জনিত বিধিমালা
প্রতিষ্ঠনে কর্মরত প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিযম কানুন এবং শ্রম আইনের বিধান সমূহ মেনে কাজ করতে হয় প্রতিষ্ঠা । কিন্তু এর ব্যতয় ঘটলে কর্তৃপক্ষ যদি সংশ্লিস্ট কর্মকর্ত/ কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন না করেন তবে অচিরেই সে প্রতিষ্ঠানে আর কোন নিয়ম কানুন থাকবে না এবং ঐ প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃস্টি হবে।তাই এ কারণে কর্তৃপক্ষ শ্রম আইনের সকল ধারা মেনে শাস্তির ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিঅনুসরনকরে থাকেনঃ
- লঘু অপরাধের জন্য প্রাথমিক ভাবে মৌখিক সতর্ক করা হইবে।
- যদি একই অপরাধ বার বার সংগঠিত হয় তখন লিখিত ভাবে সতর্ক করা হইবে ( প্রথমবার,দ্বিতীয়বার )।
- তৃতীয়বার এবং চুড়ান্ত সতর্কপত্র দেওয়া হইবে এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে কেন চাকুরীচ্যুত করা হইবে না তাহার লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশ জারী করা হইবে।
- সংশ্লিষ্ট শ্রমিক লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশে জবাব দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হইবে। তদন্ত কমিটি কর্তৃক অভিযুক্ত অপরাধ অথবা অপরাধ সমূহ যদি সঠিক প্রমানিত হয় তাহা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকুরীচ্যুত হইবেন।
- যদি অপরাধের ধরণ খুব বেশী গুরুতর হয় তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে চাকুরী হইতে অনতিবিলম্বে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হইবে ।
যোগাযোগের মাধ্যমঃ এই কারখানার সব জায়গায়,সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধ হন তার জন্য সাউন্ড সিস্টেমে ঘোষনা, বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং এর ব্যবস্থা অত্র কারখানার একটি চলমান প্রক্রিয়া ।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই পলিসি কারখানায় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ঠ ঃ
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোম্পানীর প্রচলিত বিধি বিধান ও বাংলাদেশ শ্রম আইন -২০০৬ এর প্রতি কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ন শ্রদ্ধাশীল। কেননা শৃঙ্খলাবোধই উন্নত জীবনের প্রতিচ্ছবি।
by Mashiur | Dec 8, 2017 | নীতিমালা
সামাজিক দায়িত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা ও আদর্শ CRI
কার্টার’স ইনক. (সিআরই) তার সকল কার্টার ও ওশকোশ বি’গোশ ব্রান্ডের পন্য যাতে আইনগত ও সামাজিক আদর্শ নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদিত হয় তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্র“তীবদ্ধ। নিচের বিবরন অনুসারে সিআরআই যেসব সংস্থার সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করে যেমন ক্রেতা-বিক্রেতা, ফ্যাক্টরী, সরবরাহকারী ও অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান (সরবরাহকারী) তাদেরকেও প্রযোজ্য সকল শ্রম, কর্মস্থল, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত আইনকানুন সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী মেনে চলতে হবে। এইসব নীতিমালা হচ্ছে সিআরই এর প্রতিশ্র“তির ভিত্তি এবং সরবরাহকারীদের সামাজিকতা মেনে চলার মান মুল্যায়নের পরিমাপক। আমাদের সরবরাহকারীগন যে আইনে ও যে পরিবেশে কাজ করেন তার প্রতি সিআরই সম্মান প্রদর্শন করে ফলে এই নীতিতে তাদের নূন্যতম সামাজিক দায়িত্ব নির্ধারন করা হয়েছে যা সরবরাহকারীরা সিআরই এর সাথে ব্যবসা করার স্বার্থে অবশ্যই মেনে চলবেন। এই নীতিমালা যদি প্রযোজ্য আইনের মাত্রা থেকে বেশি হয় তাহলেও সরবরাহকারীদের এই নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
১। শ্রম
সরবরাহকারীরা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন যে কর্মীরা কোনভাবেই কলুষিত হচ্ছেন না এবং তাদের সাথে সুষ্ঠ আচরন করা হচ্ছে ও ক্ষতিপুরন দেয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে সংগঠন করতে দেয়া হচ্ছে। নূন্যতম হিসেবে সরবরাহকারীরা নিচের প্রাকটিস সমূহ মেনে চলবেন এবং এদের নীতি সমূহ বাস্তবায়ন করবেন:
ক। শিশু শ্রম। শিশু শ্রমের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সিআরই এর পণ্য উৎপাদনের জন্য সরবরাহকারীদের কর্মির বয়স হতে হবে কম পক্ষে ষোল (১৬) বছর। ষোল (১৬) ও আঠারো (১৮) বছরের কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য স্থানিয় সকল আইনও মেনে চলতে হবে। সরবরাহকারীরা তাদের প্রত্যেক কর্মির জন্ম তারিখ সম্পর্কে বৈধ কাগজপত্র সংরক্ষন করবেন।
খ। বলপূর্বক শ্রম, দাস শ্রম, ও মানব পাচার। সরবরাহকারীরা কোন ধরনের বলপূর্বক শ্রম ব্যবহার করবেন না যার মধ্যে আরও অন্যান্যের মধ্যে থাকে দাস শ্রম, বন্দি শ্রম, আজ্ঞাবহ শ্রম, ও মুচলেকা দেয়া শ্রম। শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ যেন তৃতীয় কোন পক্ষ যেমন দালাল ও ঠিকাদারা বিনষ্ট করতে না পারে সেই জন্য সরবরাহকারীরা শ্রমিকদের প্রয়োজন ও নিয়োগ সংক্রান্ত সকল নিয়োম কানুন মেনে চলবেন। পাসপোর্ট ও ব্যক্তিগত পরিচিতিপত্র সর্বদা কর্মির কাছে থাকবে এবং কখনই তা তৃতীয় পক্ষের কাছে থাকতে পারবে না।
গ। বৈষম্য। সরবরাহকারীরা কর্মি নিয়োগ বা চাকুরি সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কখনই কর্মির ব্যক্তিগত চরিত্র বা বিশ্বাস যেমন গোত্র, লিঙ্গ, বয়স, জাতিয়তা, ধর্ম, সামাজিক ও নৃতাত্বিক উৎস, লিঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি, গর্ভাবস্থা, পারিবারীক অবস্থা, রাজনৈতীক মতাদর্শ, বা এরুপ অন্যান্য শ্রেনীর ভিত্তিতে যা দেশিয় ও আন্তর্জাতীক আইনে সুরক্ষিত রয়েছে। সরবরাহকারীর গোত্র, আদর্শ, লিঙ্গ, বা সামাজিক শ্রেনি ও মর্যাদা নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে সমান হারে সম মূল্যে পারিশ্রমিক প্রদান করবেন।
ঘ। হয়রানী ও স্খলন। সরবরাহকারীরা সকল শ্রমিকের সাথে সুষ্ঠ আচরন করবেন এবং তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। যেকোন ধরনের শারীরিক ও মানুষিক হেনস্থা যেমন ব্যাঙ্গ বিভ্রুপ করা, মনস্তাত্বিক নীপিড়ন, হুমকি বা হয়রানী কঠে^ারভাবে নিষিদ্ধ।
সরবরাহকারীরা একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত শৃঙ্খলা নীতি ধারন করবেন এবং সকল সকল শৃঙ্খলা ব্যবস্থার কাগজপত্র সংরক্ষন করতে হবে।
ঙ। ক্ষতিপূরন ও সুবিধা। সরবরাহকারীরা দেশিয় ও আন্তর্জাতীক আইন অনুযায়ী সকল শ্রমিককে সময়মত মজুরি ও ভাতা পরিশোধ করবেন যেমন যেকোন ওভারটাইমের মজুরী সহ। সরবরাহকারীরা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী শ্রমিকের বেতন থেকে কর্তন করতে পারবেন।
এফ। কাজের সময়। সরবরাহকারীরা সর্বোচ্চ ওয়ার্ক আওয়ার টাইম সহ স্থানিয় আইন অনুসারে কর্মির কাজের সিডিউল নির্ধারন করবেন। কর্মীকে প্রতি সাত (৭) দিনে কমপক্ষে এক দিন ছুটি দিতে হবে। ওভারটাইম হবে ঐচ্ছিক এবং এতে কোন ভয় ভিতি দেখানো যাবে না। ওভারটাইম সিষ্টেমেটিক হতে পারবে না এবং তা স্থানিয় আইন অনুসারে হবে। এছাড়াও যোগ্য কর্মীদেরকে আইন অনুসারে ছুটি, অবকাশ সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। সরবরাহকারীরা কর্মীদের প্রকৃত কাজ মোতাবেক সঠিক পেরোল ও টাইম রেকর্ড তৈরী ও সংরক্ষন করবেন এতে আছে নিয়োমিত ও অতিরিক্ত সময়ের কাজ, ছুটি, অবকাশ সময়।
জি। সংগঠনের স্বাধীনতা। সরবরাহকারীরা কর্মীদের স্বেচ্ছায় যেকোন সংগঠন, দল বা সমন্বিত দরকষাকষিতে অংশ গ্রহন করা বা না করার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন এবং ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এতে কোনরুপ বেআইনী হস্তক্ষেপ করবেন না। সমন্বিতভাবে দরকষাকষির অধিকার সীমিত করা যাবে না। সরবরাহকারীরা কর্মীদেরকে আলোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহন বা কোন সংগঠন বা দলে সমন্বিত দরকষাকষিতে অংশগ্রহনের জন্য প্রলুব্ধ বা হয়রানী করতে পারবেন না।
এইচ। হোমওয়ার্ক। সকল উৎপাদন বৈধ ওয়ার্ক ফ্যাসিলিটিতে পরিচালনা করতে হবে। কর্মির বাসায় বা স্বাভাবিক কর্মস্থলের বাহিরে কোন কাজ বান্তবায়ন কখনই অনুমোদন করা যাবে না।
২। কর্মস্থলের পরিবেশ- স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
সরবরাহকারীরা কর্মিদের জন্য নিরাপদ, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্য সম্মত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। নূন্যপক্ষে সরবরাহকারীরা নিচের প্রাকটিসগুলো মেনে চলবেন এবং এদের অধিনে নীতি বাস্তবায়ন করবেন:
ক। সরঞ্জাম নিরাপত্তা। সরবরাহকারীরা সকল যন্ত্রপাতি পরিচালনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সরবরাহকারীরা সকল যন্ত্রপাতি নিয়োমিত পরিদর্শন ও মেরামত করবেন এবং কর্মীদেরকে যন্ত্রপাতির উপর সঠিক প্রশিক্ষন দিবেন। যেসব কর্মী দাহ্য পদার্থ বা বিপদজনক জিনিস নিয়ে কাজ করেন তাদেরকে অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষন দিতে হবে।
খ। বায়ু চলাচল ও আলোর ব্যবস্থা। কর্মস্খলে যাতে যথেষ্ট বায়ু চলাচল করতে পারে ও পর্যাপ্ত আলো থাকে তা সরবরাহকারীরা নিশ্চিত করবেন। কর্মস্থলের যেখানে রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় সেখানে যথাযথ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
গ। ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম। সরবরাহকারীরা কর্মীদেরকে যথাযথ সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম প্রদান করবেন যাতে আছে চোখ ও কানের সুরক্ষা, সেফটি প্লোভস, যথাযথ ফুটওয়্যার, সেই সাথে প্রশিক্ষন ও দিক নির্দেশনা দিবেন।
ডি। বৈদ্যুতিক। সরবরাহকারীরা সকল বৈদ্যুতিক তার ও সংশ্লিষ্ট বৈদ্যুতিক সামগ্রি নিশ্চিত করবেন যাতে আছে কন্ট্রোল প্যানেল, ফ্রেইড ওয়্যারিং, সার্কিট ও আউটলেট নিয়োমিত পরিদর্শন করা হয় এবং সার্ভিস করা হয়।
ই। জরুরী স্থান ত্যাগ। সরবরাহকারীরা কর্মস্থলে প্রয়োজনিয় সংখ্যক বহিনির্গমন পথ রাখার ব্যবস্থা করবেন এবং এদেরকে সঠিকভাবে চিহিৃত করে রাখবেন। সকল বহি:নির্গমন পথ, চলাচলের রাস্তা সব সময়ে পরিষ্কার ও চলাচল উপোযোগি রাখতে হবে।
এফ। অগ্নি নিরাপত্তা। সরবরাহকারীরা কর্মস্থলে যথাযথ ফায়ার এ্যালার্ম ও প্রয়োজনিয় সংখ্যক অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র রাখার ব্যবস্থা করবেন। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার অগ্নি নির্বাপনী মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারখানাটি যদি এমন কোন ভবনে থাকে যেখানে আরও অন্যান্য কারখানা বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাহলে সরবরাহকারীকে বছরে কমপক্ষে দুই বার যৌথ অগ্নি নির্বাপনী মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
জি। আবাসন। সরবরাহকারীরা যদি কর্মীদেরকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে চান তাহলে তাদেরকে প্রযোজ্য সকল রায়তী আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে হবে সেই সাথে স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও অগ্নি বিধিমালাও অনুসরন করতে হবে।
৩। পরিবেশগত ও সামাজিক বিষয়
সরবরাহকারীরা তাদের কাজের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও সমাজের উপর বিরুপ প্রভাব নূন্যতম পর্যায়ে রাখার জন্য সার্বক্ষনিকভাবে তাদের উৎপাদন প্রকৃয়া পর্যবেক্ষন করবেন। পরিবেশগত সকল অনুমতি, সনদপত্র ও নিবন্ধনপত্র সব সময়ে হালনাগাদ করে কাছাকাছি রাখতে হবে। কারখানা থেকে সৃষ্ট ময়লা পানি ও কঠিন বর্জ্য সহ যাবোতীয় রাসায়নিক ও বিপদজনক পদার্থ অবশ্যই পরিবেশ সম্মত উপায়ে অপসারন করতে হবে।
৪। নথিপত্র
সরবরাহকারীরা এই নীতিমালা ও প্রযোজ্য অন্যন্য বিধি সমূহ মেনে চলছেন কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র কর্মস্থলে সংরক্ষন করবেন। সিআরআই বা এর তৃতীয় পক্ষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে এসব নথিপত্র অবশ্যই হাতের কাছে রাখতে হবে এবং নূন্যতম এক বছর পর্যন্ত তা রাখতে হবে।
৫। সুবিধা ও সাবকন্ট্রাকটরস
সরবরাহকারীরা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন যে সকল পর্যায়ে এবং সিআরআই এর বানিজ্যিক কাজে জরিত সকল ফ্যাক্টরী সহ তাদের থার্ড পার্টি সাবকন্ট্রাকটররা এই নীতির আদর্শ সমূহ মেনে চলছেন এবং তারা এরুপ কাজের জন্য দায়ি থাকছেন। সরবরাহকারীরা অবশ্যই এই প্রয়োজনগুলোর কথা জানাবেন এবং এই নীতির অন্তর্গত বাধ্যবাধকতা সমূহ এরুপ সংস্থাগুলো যাতে বুঝতে পারে, সম্মত হয় ও মেনে চলে তা নিশ্চিত করবেন।
সরবরাহকারীরা অবশ্যই সিআরআইকে ফ্যাসিলিটির একটি কারেন্ট তালিকা দিবেন যা সিআরআই এর ব্যবসায় ব্যবহৃত হয় এবং সকল সাবকন্ট্রাকটর অবশ্যই সিআরআই কর্তৃক পূর্ব অনুমোদিত হতে হবে।
৬। সুবিধা নিরীক্ষা
এই নীতিমালার অনুসরন নিশ্চিত করতে সরবরাহকারীরা সিআরআই বা এর অনুমোদিত তৃতীয় পক্ষকে পরিস্থিতি নীরিক্ষা ও রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের জন্য অবাধে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে দিবেন। সিআরআই’র বানিজ্যে নিয়োজিত সকল ফ্যাসিলিটিস ও সাবকন্ট্রাকটররা এই নীরিক্ষার আওতায় থাকবেন এবং পরিদর্শনকালে কোন ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা সাথে সাথে সন্তোষজনকভাবে সংশোধন করতে হবে। নীরিক্ষার খরচ সরবরাহকারী বহন করবেন। নীরিক্ষা ঘোষনা দিয়ে বা ঘোষনা ছাড়াই করা যাবে এবং সিআরআই এর প্রয়োজনে যেকোন সময়ে পরিচালিত হতে পারে।
সিআরআই বা এর অনুমোদিত তৃতীয় পক্ষ অডিট ফার্ম সরবরাহকারীকে ও নীরিক্ষার জন্য বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিচের জিনিসগুলো প্রদান করবেন:
● প্রাথমিক নীরিক্ষার দুই (২) সপ্তাহ আগে ইস্যুকরা একটি এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার যাতে প্রতিষ্ঠানের নীরিক্ষার তারিখ উল্লেখ থাকবে; এবং
● পূর্ন নীরিক্ষা প্রতিবেদন, প্রয়োজনিয় সংশোধনী ব্যবস্থা পরিকল্পনা এবং উদ্দিষ্ট তারিখ, সংশোধনী ব্যবস্থা ও প্রতিপালন যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হলে যেকোন ফলো-আপ অডিট।
এমন কোন ফ্যাসিলিটির নীরিক্ষার জন্য যদি সিডিউল করা হয় যা সরবরাহ কর্তৃক আর ব্যবহৃত হচ্ছে না তাহলে সিডিউল পরিবর্তন করার জন্য সরবরাহকারী সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্টকে অবশ্যই নীরিক্ষার দিনের কম পক্ষে আটচল্লিশ (৪৮) ঘন্টা পূর্বে অবহিত করবেন। সিআরআইকে যদি নীরিক্ষার আটচল্লিশ (৪৮) ঘন্টা আগে নোটিস দেয়া না হয় তাহলে নীরিক্ষা পরিবর্তনের জন্য উদ্ভুত খরচ সরবরাহকারী বহন করবেন।
৭। নীরিক্ষা ফলাফল ও সংশোধনী ব্যবস্থা
সিআরআই যেকোন চুক্তি, নির্ধারিত ব্যবস্থা বা ভবিষ্যত ক্রয় আদেশ (কোন পেমেন্ট ছাড়াই) বা যেকোন সরবরাহকারীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক (সমন্বিতভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক) নীরিক্ষাকালে অপরাধ পাওয়া গেলে তা “জিরো টলারেন্স” এর ভিত্তিতে বাতিল করতে পারে, যেমন শিশু শ্রম, বলপূর্বক শ্রমের ব্যবহার, মজুরি পরিশোধ না করা, বলপূর্বক বা বন্দি শ্রম, হয়রানী ও স্খলন, ঘুষ দেয়া-নেয়া, ও সাবকন্ট্রাকটরদের কথা প্রকাশ করতে ব্যার্থ হওয়া। কোন সরবরাহকারী যদি তার একই ফ্যাসিলিটির জন্য পর পর দুটি অডিটের উপর ৫০% এর বেশি অডিট রেট পেতে ব্যার্থ হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রেও সিআরআই সরবরাহকারীর সাথে এরুপ ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।
নীরিক্ষা কালে কোন ত্র“টি বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা প্রতিকারের জন্য একটি সংশোধনী ব্যবস্থা পরিকল্পনা (সিএপি) তৈরী করতে সরবরাহকারীরা অবশ্যই সিআরআই এর সাথে কাজ করবেন। সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট সিএপি পর্যালোচনা করে অনুমোদন করবেন এবং একটি উদ্দিষ্ট ফলো-আপ নীরিক্ষার তারিখ নির্ধারন করবেন। সিআরআই এর একান্ত বিবেচনায় সঠিক মনে হলে সংশোধনী ব্যবস্থা বা ফলো-আপের সময় সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
নীতি পালনে ব্যার্থতার জন্য কোন সরবরাহকারীকে বহিষ্কার বা বাতিল করা হলে তাকে পরবর্তী বারো মাসের মধ্যে আর পুনর্বহাল করা হবে না এবং যেপর্যন্তনা এই নীতির আদর্শ মেনে চলার প্রমান সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত হচ্ছে।
৮। প্রতিশ্র“তী
সিআরআই আশা করে সকল সরবরাহকারী এই নীতির আদর্শ সমূহ মেনে চলবে এবং তাদের সাবকন্্রটাকটরগন যাতে এই সব নীতিমালা মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে স্বচেষ্ট হন। এছাড়াও সরবরাহকারীরা:
● এই নীতির সাথে সংযুক্ত পরিশিষ্ট এ লেখা সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি চুক্তিপত্র সাক্ষর করে তা বর্নিত ঠিকানায় সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্ট বরাবর পাঠিয়ে দিবেন;
● অত্র নীতি বর্নিত পরিশিষ্ট বি এর গৃহীত সংশোধনী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উন্নতি করবেন এবং সিআরআই এর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিপার্টমেন্টের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দিবেন।
by Mashiur | Dec 2, 2017 | নীতিমালা
পণ্যমান নীতিমালা
আমাদের সম্মানিত ক্রেতাদের গুণগত ও মানসম্পন্ন উৎপাদিত পণ্যের ক্রমাগত চাহিদা এবং আশানুরুপ মান উন্নয়নের জন্য আমরা আমাদের পণ্যমান ও সেবা দিতে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, পণ্য মানের উৎকর্ষ সাধন ISO Standard অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করাই ফ্যাশন’স লিঃ এর প্রধান ব্যবসায়িক নীতি।গুণগত ও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ক্রেতাদেও সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে Guideline for Production and Quality (GPQ) Department স্থাপন করা হয়েছে।
- কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্য ও টার্গেট নির্ধারণ এবং উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট প্রধান কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
- ক্রেতাদের সন্তুষ্টি আমাদের লক্ষ্য যাহা সম্মিলিত প্রচেষ্টা দ্বারাই সম্ভব।
- ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হচ্ছে যে প্রত্যেক কর্মচারীকে আমাদের কর্মপদ্ধতির ক্রমাগত উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করা এবং সর্বপ্রকার সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পণ্যের সার্বিক মান উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করা।
- ক্রেতা সন্তুষ্টি ও কর্মচারী সন্তুষ্ট একটি সমন্বিত শক্তি।
- এই নীতি সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
নিরাপত্তা নীতি
ভূমিকা ঃ মেশিন ও সকল যন্ত্রপাতিসমূহ নিরাপদ ও সতর্কভাবে স্থ্াপন করা হয়েছে।
দালান এবং কাঠামো ঃ
কারখানার দালান, দেয়াল, রাস্তা, সিঁড়ি, মেঝে, ইত্যাদি বাংলাদেশ সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিদপ্তরের ডেপুটি চীফ ইন্সপেক্টর কর্তৃক অনুমোদিত নক্শানুযায়ী নির্মিত।
বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক পরিবহন ঃ
কারখানায় বৈদ্যুতিক বা অন্য কোন যান্ত্রিক পদ্ধতির যানবাহন নির্মান বা স্থাপনা নেই ।
সূয়েটার ফ্যাক্টরী তে যন্ত্রপাতি ও প্ল্যান্ট ঃ
(ক) কাটিং নিরাপত্তাঃ কাটিং মেশিনে বৈদ্যুতিক সরবরাহ লাইনে দৈহিক বিপদের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাটারম্যানদের নিরাপত্তার জন্য ষ্টেইনলেস ষ্টিলের হাতমোজা প্রদান করা হয়েছে ।
(খ) ধাতব মুক্ত পরিবেশঃ কারখানায় যে কোন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পিন মুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
(গ) কারখানায় কোন ঝুঁকিপূর্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয় নাই।
চালু যন্ত্রপাতিতে বা এর নিকটে কাজ করাঃ
নিয়োগকৃত প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের চালু যন্ত্রপাতিতে বা এর নিকটে কাজ করার যথেষ্ট পরিমান অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ জন্য কর্মীদের নিুোক্ত বিধান পালন করতে হবেঃ
(ক) কাপড় কাটার সময় অবশ্যই নিরাপত্তার জন্য স্টেইন লেস ষ্টিলের হাতমোজা ব্যবহার করতে হবে।
(খ) বয়লার ব্যবহার করার পূর্বে মিটার চেক ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন যথাযথ ভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
(গ) ব্রোকেন নিড্ল পলিসি যথাযথভাবে মেনে চলা হয়। ফলে প্রস্তুকৃত পোশাকে নিড্ল এর ভাংগা অংশ থাকার সম্ভাবনা নেই।
(ঘ) øাপ বাটন অপারেটরকে সর্বদা সতর্ক ও মনোযোগী হতে হবে। অনেক সময় মেশিনটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অটোমেটিক চলতে থাকে এমন অবস্থায় সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দিতে হবে।
সূয়েটার ফ্যাক্টরী অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি ঃ
- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের নিয়মানুসারে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নি নির্বাাপক যন্ত্র ও ফায়ার হাইড্রেন্ট বক্স কারখানায় বিদ্যমান আছে। এখানে উল্লেখ্য যে ফায়ার হাইড্রেন্ট বক্স গুলোতে রক্ষিত হুস পাইপ পানি লিফটিং পাম্পের মাধ্যমে অটোমেটিক ভাবে সংযুক্ত যা পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে নিজস্ব জেনারেটর দ্বারা ব্যবহার করা যাবে।
- স্থানীয় ফায়ার পরিদর্শকগণ কারখানা পরিদর্শন করেন এবং তাদের পরামর্শক্রমেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে ।
- অত্র কারখানায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ৫০০ কেভিএ ১টি ও ১০০ কেভিএ ২ টি জেনারেটর আছে। জেনারেটর রুমে প্রবেশের পূর্বে ইয়ার মাফলার/ ইয়ার প্লাগ পড়তে হবে।
- অত্র কারখানার নিজস্ব ১১,০০০-৪৪০ ভোল্টের ১ টি সাব-ষ্টেশন সম্পূর্ণ আলাদা জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য ফ্লোরে রাবার ম্যাট দেয়া আছে। এই রুমে সাধারণ কর্মীদের যাওয়া নিষেধ।
- বয়লার অপারেটর অবশ্যই তার নির্ধারিত ড্রেস, বুট, হ্যান্ডগ্লোভস ও গগল্স পরিধান করে বয়লার রুমে কাজ করবে।
সূয়েটার ফ্যাক্টরী তে ফায়ার এলার্ম বেল
আগুনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফ্লোরে ফায়ার এলার্ম বেল রাখা আছে। কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় পূর্বক তা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বহির্গমন পথ
অত্র কারখানায় বহির্গমনের জন্য ৭ টি বহির্গমন পথ চিহ্নিত করা আছে এবং দরজার ওপরে বাংলায় দৃশ্যমান বহির্গমন লেখা রয়েছে যার ফলে কর্মীরা যে কোন জরুরী মূহূর্তে দ্রুত নির্বিঘেœ বিল্ডিং থেকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর হতে পারে।
অত্যাধিক ওজন
কোন কর্মী ২০ কেজির অধিক মাল বহন করতে পারবে না (প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ৬৮ পাউন্ড এবং প্রাপ্ত বয়স্কা মহিলা ৫০ পাউন্ড)। এ ছাড়া কারখানার প্রত্যেক ফ্লোরে যথেষ্ট সংখ্যক ট্রলী রাখা আছে যা মালামাল, কাপড়, মেশিন, কার্টুন বহন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
চোখের নিরাপত্তা
রিভেট বা বল্টু কাটা বা বিন্যস্ত করা, হস্তচালিত যন্তপাতি বা অন্য বহনযোগ্য যন্ত্রপাতি দ্বারা ছাঁটা, ভাঙ্গা, বা মসৃন ইত্যাদি করার কাজে নিরাপত্তার কাজে কার্যকর পর্দা এবং গগল্স ব্যবহার করা হয়।
অগ্নিকান্ডের ক্ষেত্রে করণীয়
কারখানায় অগ্নিকান্ডের সময়, যদি কখনও অগ্নিকান্ড ঘটে, মেঝে এবং বোর্ডে প্রবেশ/ বাহির হবার নীল নক্শা দেওয়া আছে যাহা উভয় দিকে বিদ্যমান রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে হবে।
- নিয়মিত অন্ততঃ অগ্নিমহড়া দেওয়া হয় এবং ইহার রেকর্ড সংরক্ষন করা হয়।
- ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক অগ্নি নির্বাাপনী প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।
ধূমপান এবং উন্মূক্ত আলো নিষিদ্ধকরণ ঃ
অত্র কারখানা সম্পূর্ণভাবে ধুমপান মূক্ত ও উন্মুক্ত আলোর উৎস সম্পূর্ণ বন্ধ করা আছে।