by Mashiur | Dec 24, 2018 | আগুন
আগুন নিভানোর শর্ত সমূহ
আগুন নিভানোর শর্ত সমূহঃ বিদ্যুৎ, কেমিক্যাল এবং তেলের আগুন নির্বাপনে কোন ক্রমেই পানি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারণ পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী তাই নির্বাপনকারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারেন। কেমিক্যলের আগুনে পানি দিলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তেল পানির চেয়ে হাল্কা। তাই তেলের আগুনে পানি দিলে আগুন না নিভে বরং ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সকল আগুন নির্বাপনের সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে সিওটু, ফোম, ব্্েরামাইড ইত্যাদি। আমরা আগেই জেনেছি যে, আমরা শুধুমাত্র আগুনের প্রাথমিক অবস্থায়ই উহা নির্বাপনের চেষ্টা করব। আগুন নির্বাপনের কৌশল জানা না থাকলে এবং আগুনের বৈশিষ্ট্য জানা না থাকলে নির্বাপনকারী নিজেই দূর্ঘটনায় পতিত হতে পারেন। সুতরাং আগুন নির্বাপনের পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে হবে – …
- স্বাস্থ্যকর খাবার পানি সরবরাহ, বাতাস প্রবাহ ব্যবস্থা এবং কারখানার অভ্যন্তরের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।আগুন ছোট এবং খুব দ্রুত বিস্তার করছে না। মনে রাখতে হবে আগুন প্রতি ২/৩ মিনিটে দ্বিগুন বা তিনগুন হতে পারে।
- আপনি যে আগুন নির্বাপন করবেন তার জন্য প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র আছে। ভুল অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বা মাধ্যম আপনার বিপদের কারণ হতে পারে।
- আগুন যেন আপনার বের হবার পথ বন্ধ না করে দেয়, অর্থাৎ আগুন নেভানোর সময় বের হবার পথ নিশ্চিত থাকতে হবে।
- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বা মাধ্যম কার্যকরী থাকতে হবে। এ জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং অন্যান্য অগ্নি নির্বাপনী ব্যবস্থাসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে।
- আগে থেকেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার জানতে হবে। কারণ যখন আগুন লাগে তখন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের নির্দেশনা পড়ার সময় পাওয়া যাবে না। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সব সময় আগুনের ভিত্তিতে ব্যবহার করতে হবে।
- শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।যে কোন ধরণের আগুন জ্বললেই কিছু কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। উল, সিল্ক, নাইলন এবং কিছু প্লাষ্টিক এর আগুনে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড জাতীয় বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। সুতরাং এ সকল আগুন নিভানোর সময় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে এবং উপযুক্ত মাস্ক এবং ব্রিদিং এ্যাপারেটাস পড়ে নিতে হবে।
আগুন লাগলে করনীয়ঃ
ক)আগুন লেগেছে নিশ্চিত হয়ে অগ্নি ঘন্টা বাজাতে হবে (যদি সম্ভব হয় প্রাথমিক ভাবে নিজেই আগুন নিভাতে হবে)। খ)ফায়ার ফাইটারদের খবর দিতে হবে। গ)জরুরী বিভাগকে খবর দিতে হবে। যেমন-ফায়ার ব্রিগেট,বিদ্যু অফিস ,গ্যাস অফিস, থানা এবং হাসপাতাল। ঘ)সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে সবাইকে আগুন সম্পর্কে অবগত করতে হবে। ঙ)অগ্নি কান্ডের অবস্থান বুঝে ফ্যাক্টরী থেকে সমস্ত লোক নিরাপদে সরিয়ে নিতে হবে।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের নামের তালিকা।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এ,বি,সি পাউডার। কার্বন ডাই অক্সাইড-গ্যাস ওয়াটার হোজ স্মোক ডিটেক্টর ফায়ার ব্লাঙ্কেট গ্যাস মাস্ক স্যান্ড বাকেট ফায়ার রোপ ফায়ার বিটার লক কাটার ফায়ার হুক হাত মোজা অগ্নি ঘন্টা
পরিদর্শন ও রক্ষনাবেক্ষণ ঃ
পরিদর্শন ঃ অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রটি কাজের উপযোগি আছে কি না তা জানার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার যন্ত্রটি পরিদর্শন করবেন। বিশেষকরে ডেলিভারী হোজপাইপ কোথাও ছিদ্র আছে কিনা বা মরিচা ধরেছে কি না ইত্যাদি পরিদর্শন করে পরিদর্শনকার্ডে স্বাক্ষর করতে হবে এবং পরিদর্শনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
রক্ষণাবেক্ষণ ঃ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রটি যাতে দূর্ঘটনার সময় সহজে ব্যবহার করা যায় সেজন্য দর্শনীয় জায়গায় বাঁধামুক্ত অবস্থায় (কোন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না) রাখুন। যে কেহ যাতে যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারে সে জন্য অতি উচ্চতায় না ঝুলিয়ে হাতের কনুই বরাবর উচ্চতায় (ফ্লোর থেকে ৪৮ ইঞ্চি ) ঝুলাতে হবে। যেহেতু এটি বিদ্যুৎ এবং তেলের আগুনের জন্য বেশী কার্যকরী সেহেতু বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বোর্য, ডিষ্ট্রিবিউশন বোর্ড, জাংশন বোর্ড, জেনারেটর রূম ইত্যাদিও কাছে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। যেহেতু সিওটু একটি গ্যাস সুতরাং নতুন ক্রয়ের পর ব্যবহার না করলে ৫-১০ বছরের মধ্যে রিফিল করানোর প্রয়োজন হয় না। তবে যন্ত্রটি বছওে অন্ততঃ একবার ওজন দিতে হয়। যদি দেখা যায় যন্ত্রটির মোট ওজনের ১০% গজন কমে গিয়েছে তবে যে কোন সময় রিফিল করা প্রয়োজন। ।
রিফিল করানোর নিয়ম ঃ প্রথমে লিভারে চাপ দিয়ে (সকল গ্যাস বের করে) অগ্নি যন্ত্রটি খালি করে ফেলুন। এবার খালি অবস্থায় যন্ত্রটির ওজন নিন। ধরা যাক এর ওজন ১৫ কেজি। এবার ৫ কেজি গ্যাস পূর্ণ করলে এর ওজন হবে ২০ কেজি। এভাবে যদি কয়েকটি যন্ত্র রিফিল করানো হয়, তাহলে গ্যাস সঠিক দিয়েছে কি না তা জানার জন্য আগুন জ্বালিয়ে যে কোন একটি যন্ত্র ব্যবহার করলে যদি আগুন নিভে যায়, তাহলে বুঝতে হবে সঠিক মানের গ্যাস দেয়া হয়েছে।
by Mashiur | Sep 3, 2018 | আগুন
কারখানায় আগুন লাগলে
সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগ, আপনাদের সকলের, বিশেষ করে নতুন শ্রমিক ভাই-বোনদের বিশেষ অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের ফ্যাক্টরী যথেস্ট বড় একটি ফ্যাক্টরী। এখানে রয়েছে অনেক মেশিনপত্র। মেশিনে রয়েছে অনেক বৈদ্যুতিক তার। আরও রয়েছে অনেক বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এখানে যে কোন সময় যে কোন ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বা আগুন লাগতে পারে। আমরা কেউ চায় না আমাদের ফ্যাক্টরীতে কোন প্রকার অগ্নিকান্ড হোক। সেজন্য আমরা সবাই সচেতন হয়ে কাজ করতে চেষ্টা করি। এরপরও যদি ফ্যাক্টরীতে কখনও আগুন লাগে বা ফায়ার এলার্ম বাজে তখন আপনি কি করবেন? তখন অবশ্যই ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি আপনার মেশিনের সুইচ বন্ধ করে, ফ্লোরের হলুদ লাইন দিয়ে, লাল তীর চিহ্নকে অনুসরন করে, আপনার সবচেয়ে কাছের গেট দিয়ে বের হয়ে যাবেন এবং ফ্যাক্টরীর সামনে অবস্থিত ফায়ার এ্যাসেম্বলী পয়েন্টে সমবেত হবেন। …
- যদি কাজ চলাকালীন সময়ে আপনার সামনে আগুন দেখেন তখন আপনি কি করবেন? তখন আপনি অবশ্যই দ্রুত আপনার নিকটস্থ ফায়ার ফাইটারকে জানাবেন অথবা ফায়ার এলার্ম বা অগ্নি নিরাপত্তা এর জন্য ন্টা বাজাবেন যাতে সবাই নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
- ফায়ার ব্রিগেড দল এসে পেীছালে তাদেরকে সর্বাত্ত্বক ভাবে সাহায্যে করবে।
- আগুন লাগলে আপনার দায়িত্ব কি? আপনি যদি ফায়ার ফাইটার বা ফায়ার ফাইটার টীমের সদস্য না হয়ে থাকেন তাহলে আগুন লাগলে আপনার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যাওয়া। ফ্যাক্টরী থেকে বের হওয়ার সময় ফ্যাক্টরীর কোন জিনিস বা ব্যাগপত্র সাথে করে নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আগুন লাগলে অবশ্যই ফ্যাক্টরীতে কর্মরত গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদে ফ্যাক্টরীর বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
- দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
- আপনাদের জানা উচিত যে, আমাদের ফ্যাক্টরীতে নিরাপদে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ৮ টা গেট আছে। যে কোন জরুরী প্রয়োজনের সময় আপনারা এ গেটগুলো ব্যবহার করে নিরাপদে ফ্যাক্টরীর বাইরে বের হয়ে যেতে পারবেন।
- অগ্নি নির্বাপকেরা প্রয়োজনে বাথরুমে রক্ষিত ড্রামের এবং ফায়ার হোস পাইপের পানি দ্বারা আগুন নিভাতে চেষ্টা করবে।
- আগুন লাগার সাইরেন শুনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রিশিয়ান/ অগ্নি নির্বাপক দলের দলনেতা ফ্লোরের বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করবে
- আগুন লাগার সাইরেন শুনার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক দলের প্রত্যেকে দ্রুত নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেবে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা করবে বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য
- অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে আগুনের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে।
- অগ্নি নির্বাপকেরা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে তা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে।
- বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে। কোন অবস্থাতেই পানি ব্যবহার করবে না।
- আমরা লক্ষ্য করি, আগুন লেগেছে- এ কথাটি শোনা মাত্রই আপনারা ভীত হয়ে পড়েন এবং ভয় পেয়ে বিচলিত হয়ে অত্যন্ত তাড়াহুড়া করে ফ্লোর হতে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এর ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই সাথে তাড়াহুড়া করে, ধাক্কাধাক্কি করে নামতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে, পদতলে পিষ্ট হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।
- কিন্তু আগুন লাগলে ভয়ের কোন কারন নেই। কারন আগুন এক মুহূর্তে সর্বত্র ছড়াতে পারে না। আগুন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়াতে বেশ সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আপনি নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন।
- প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর সুস্থ্য না হলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যকে দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে। নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলে পি.এম বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিত স্থান ত্যাগ করবে না।
- কখনও আগুন লাগলে সবাই যাতে নিরাপদে ফ্যাক্টরী হতে বের হতে পারে, সেজন্য কিছু বিষয়ের উপর আমাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন ঃ যারা এক্সিট গেট বা বহির্গমন গেটের দায়িত্বে আছেন তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কর্মঘন্ট চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর কোন এক্সিট গেট যেন বন্ধ না থাকে এবং ইনপুটের মালামাল, আইডল মেশিন, টেবিল, টুল, বক্স ইত্যাদি দ্বারা যেন গেটটি ব্লক করা না থাকে।
- ফ্লোরে যে সকল এক্সিট রাস্তা বা আইল মার্কস আছে সেগুলো সবসময় সব রকম বাঁধা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ সকল এক্সিট রাস্তার উপর কোন আইডল মেশিন, কার্টুন, টুল, টেবিল, গার্মেন্টস ইত্যাদি কিছুতেই রাখা যাবে না।
- নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলে পি.এম বা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য প্রস্তুত থাকবে অনুমতি ছাড়া ফ্লোর ত্যাগ করবে না।
- ফ্লোরের উপর যত্রতত্র গার্মেন্টস ফেলে কাজ করা যাবে না। গার্মেন্টস ডাম্পিং বা অতিরিক্ত স্তুপ করে রাখা যাবে না।
- সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগন, যে কোন অগ্নি দুর্ঘটনা আমাদের অবশ্যই ধৈর্য্যরে সাথে, সাহসের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা সবাই যদি অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হই এবং অগ্নি নিরাপত্তার নিয়মগুলো সঠিকভাবে বা যথাযথভাবে মেনে চলি তাহলে আমরা যে কোন অনাকাক্সিক্ষত
উদ্ধারকারী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যউদ্ধারকারী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য
- আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দলনেতা হুইসেল বাজিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
- তিনটি সিঁড়ি দিয়ে ইভাকুয়েশন প্ল্যান অনুযায়ী ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নিরাপদে নেমে যেতে সহযোগীতা করবে। পূর্ব থেকেই কে কোথায় দাড়িয়ে লোকজন নামতে সহযোগীতা করবে বা নির্ধারিত থাকবে।
- বাধরুমে বা অন্য কোথায় কেহ আটকা পড়ল কিনা তাহা মহিলা বাথরুমে একজন মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে একজন পুরুষ চেক করবে।
- কেহ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বা তাদেরকে দ্রুত ফাষ্ট এইড টিম এর কাছে নিবে এবং কাউকে মেডিকেল সেকশনে নেওয়ার প্রয়োজন হলে, ষ্টেচারে করে অথবা কাঁধে করে নিয়ে যাবে।
- কেহ ভয় পেয়ে জানালা দিয়ে নামতে চেষ্টা করলে বা লাফ দিতে চাইলে তাকে ফেরাতে হবে এবং সিড়ি দিয়ে নামতে সাহায্যে করবে।
- আগুন যেখানে লেগেছে তার চারিপাশ থেকে মালপত্র বা মেশিন সরিয়ে নিবে।৭. দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
- নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলেও পি.এম বা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে।
ফাষ্ট এইড টিম এর দায়িত্ব ও কর্তব্য
- আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দ্রুত ফাষ্ট এইড বক্স এর কাছে অবস্থান নিবে।
- আহত বা অসুস্থ রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
- প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ার মত অবস্থা হলে উদ্ধারকারী সদস্যদেরকে দিয়ে দ্রুত মেডিকেল সেকশন এ প্রেরন করবে।
- নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলেও পি.এম বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া স্থান ত্যাগ করবে না।
কর্ডন পার্টির দায়িত্ব ও কর্তব্য
- আগুন লাগলে বা ঐ রকম কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ফ্যাক্টরীর মূল ফটক সমূহ খুলে দিবে।
- ফ্যাক্টরীর শ্রমিক কর্মচরীদেরকে এবং পার্ক করা গাড়ীকে দ্রুত বাহির হতে যাহায্যে করবে।
- ফ্যাক্টরীর ভিতর যেন বাহিরের লোকজন বা কোন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থাকলে তা প্রতিহত করবে।
- ফ্যাক্টরীর সামনের রাস্তা সর্বদা উন্মুক্ত রাখবে যেন প্রয়োজনে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশের গাড়ী ও এ্যাম্বুলেন্স দ্রুত চলাচল করতে পারে।
- আগুন লাগলে বা ঐ রকম কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আনুষাঙ্গিক সাহায্যে সহযোগিতা প্রদান এবং কর্তৃপক্ষের যে কোন নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবে।
আগুন লাগলে চালকদের কর্তব্য
- ফায়ার সাইরেন বা সংকেত শোনার সাথে সাথে নিজ নিজ গাড়ী অতি দ্রুত মেইন গেইটের বাহিরে নিয়ে যাবে। তবে রাস্তার উপর গাড়ি কোন ক্রমেই দাড় করাবে না, অর্থাৎ ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি করবে না।
- গাড়ি পার্কিং- এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন, গাড়ির মুখ সামনের দিকে বা বাহির মুখী হয়ে থাকে।
- গাড়ি পাকিং- এর সময় খুব প্রয়োজন না হলে হ্যান্ড ব্রেক লাগাবে না। যাতে প্রয়োজনে ঠেলে গাড়িটি সরানো যায়।
- অকেজো গাড়ি (ঝসডিপ ফডড়ৃহপ) এমনভাবে পার্কিং করতে হবে যেন, সম্ভাব্য অগ্নি ঝুকি (অহপড ফহুত) থেকে দুরে থাকে এবং পথের মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করাবে না।
by Mashiur | Jan 17, 2018 | আগুন
অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ
অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ। মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান কি কি? কার্টিজ টাইপ এক্সটিংগুইসারে সিলিন্ডারের ভিতরে নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি থাকে। এ ধরণের এক্সটিংগুইসারের সিলিন্ডারের ভিতরের পানিকে বের করার জন্য কার্টিজে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (ঈড়২) গ্যাস ভরা থাকে। ব্যবহারের সময় অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে কার্টিজ এর মুখ ছিদ্র হয়ে ইনলেট টিউব দ্বারা গ্যাস সিলিন্ডারের ভিতর ঢুকে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপের ফলে ভিতরের পানি ডিসচার্জ টিউব দিয়ে নজেল হয়ে ডিসচার্জ পাইপ হয়ে নজলের মাধ্যমে দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। সহজে বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র সাধারনত ০৫ প্রকার হয়ে থাকে। …
• ওয়াটার টাইপ
• ফোম টাইপ
• ডিসিপি টাইপ
• সিওটু টাইপ
• হ্যালোন টাইপ
ফায়ার এক্সটিংগুইসার আগুনের প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবহার করা হয়। এক্সটিংগুইসার ব্যবহারের সময় একই সংগে অনেকগুলি ব্যবহার করা যাবেনা। আগুনের অবস্থা বুঝে পর্যায়ক্রমে একটি একটি করে ব্যবহার করতে হবে। এবং পাউডার ও সিওটু যাতে নাকে ও মুখে প্রবেশ না করে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। Click Here for English Version
ওয়াটার টাইপ অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র
আলোচ্য বিষয়
এ অধ্যয় সম্পন্ন হলে আপনি জানতে সমর্থ হবেন ঃ-
সংজ্ঞা
প্রণালী
প্রকারভেদ
বর্ণনা
কারিগরি তথ্য
ব্যবহার বিধি (অপারেশন কার্যক্রম)
* রিফিলিং পদ্ধতি
* যতœ ও রক্ষণাবেক্ষণ
সংজ্ঞা (ওয়াটার টাইপ)
যে বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে পানি নিক্ষেপ করে সুচনালগ্নেই অগ্নি নির্বাপন করা হয় তাকে বহনযোগ্য ওয়াটার টাইপ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলা হয়।
গঠন প্রণালী (ওয়াটার টাইপ)
১. ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হালকা ষ্টিলের তৈরি গোলাকার একটি সিলিন্ডার। যার এক মুখ খোলা।
২. খোলা মুখটি ডেড ক্যাপ দ্বারা শক্তভাবে আটকিয়ে দেয়া হয়।
৩. ভিতরে ইনলেট টিউব,
৪.ডিসচার্জ টিউব,
৫.গ্যাস কার্টিজ (কার্বনডাই অক্সাাইড),
৬. কন্ট্রোল বাল – প্রেসার টাইপ
৬.মনো মিটার- প্রেসার টাইপ
৭.গ্যাস (নাট্রোজেন),
৮.ক্যারিং হ্যান্ডেল,
৯.সেফটি পিন,
১০.অপারেটিং লিভার ইত্যাদি।
ওয়াটার টাইপ এক্সটিংগুইসার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র অগ্নি নির্বাপণ কাজে ব্যবহারের সময় নজেলটি আগুনের দিকে তাক করে সেফটি পিন খুলে বাতাসের অনুকূলে থেকে অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে পানি নজেলের মাধ্যমে বের হয়ে নির্দিষ্ট, লক্ষ্য বস্তুর উপর পরে কুলিং পদ্ধতিতে আগ্নি নির্বাপণ করে।
সতর্কতা ঃ-
প্রেসার টাইপ এক্সটিংগুইসারে সিলিন্ডারের ভিতরে নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি থাকে। এ ধরণের এক্সটিংগুইসারের সিলিন্ডারের ভিতরের পানিকে বের করার জন্য সিলিন্ডারের ভিতরে নাইট্রোজেন (ঘ২) গ্যাস ভরা থাকে। গ্যাসকে ভিতরে ধরে রাখার জন্য সিলিন্ডারের মুখে কন্ট্রোল বাল্ব থাকে। গ্যাসের চাপ দেখার জন্য মনো মিটার সংযুক্ত থাকে। ব্যবহারের সময় অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে গ্যাসের চাপে পানি ডিসচার্জ টিউব দিয়ে ডিসচার্জ পাইপ হয়ে নজেলের মাধ্যমে দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। এ ধরণের এক্সটিংগুইসার বার বার ব্যবহার করা যায়। সম্ভাব্য অগ্নিকান্ডের স্থলে মেশিনম্যান, লাইনম্যানগন এবং সুপারভাইজারগন অথবা ট্রেনিংপ্রাপ্ত ফায়ার ফাইটিং সদস্যগন প্রাথমিক অবস্থায় এক্সটিংগুইসার ব্যবহারের মাধ্যমে আগুন নিভানোর কাজে ব্যস্ত থাকবে। যদি আগুন বড় হয় তখন অন্যান্য সাহায্যকারীগন হোজ লাইন খুলবে এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করবে। অন্যান্যরা নিকটতম জ্বালানী দ্রব্য বা তুলা সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এছাড়া উক্ত স্থানে উপরস্থ কর্মকর্তা যিনি হাজির থাকবেন তিনি অগ্নি নির্বাপন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। এমন ভাবে একে অপরের সাহায্যেও মাধ্যমে অগ্নি দূর্ঘটনা মোকাবিলা করতে হবে।
পরিবেশগত ঝুকিঁ ঃ কর্মস্থলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে, যেগুলো শ্রমিকের স্বাস্থ্যকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।
• অপরিষ্কার, নোংরা, ধুলাবালি, গ্যাস, বাষ্প
• মেশিন ও কাচাঁমাল এবং গার্মেন্টস ও কাপড়ের এলোমেলো অবস্থান।
• বর্জ্য পদার্থ নির্গমন।
• বর্জ্য পানি নির্গমন।
• পানি দূষন।
মানসিক ঝুকিঁ ঃ একজন শ্রমিক বা কর্মীর মানসিক ও সামাজিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া যা তার কর্ম পরিবেশে, কর্মের শর্তাবলী ও কর্মক্ষেত্রে উদ্ধতর্ন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের আচার আচরন থেকে সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ঝুঁকি একজন কর্মীকে কর্মের সহিত মানিয়ে নিতে বাধাঁ সৃষ্টি করে।
মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান ঃ
• বৈষম্য
• চাকুরীর অনিশ্চয়তা
• কম বা নিম্ন মজুরী
• অনিয়মিত মজুরী ও ওভারটাইম প্রদান
• অতিরিক্ত কাজের চাপ
• দীর্ঘ কর্মঘন্টা
• চাকুরীতে পেশাগত অদক্ষতা
• হয়রানী ও নির্যাতন
বৈষম্য ঃ
বৈষম্যের শিকার হলে কর্মীর মন বিষিয়ে যায়, হতাশার সৃষ্টি হয় ও মনোবল কমে যায়।
চাকুরীর অনিশ্চয়তা ও কম বা নিম্ন মজুরী ঃ
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারনে সৃষ্টি হয় হতাশা, ভয়, টেনশন এমনকি দুর্ঘটনা ঘটে, ফলে শ্রমিকের শারীরিক ও মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দীর্ঘ কর্ম ঘন্টা ঃ
একজন শ্রমিকের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং খাদ্য গ্রহনের জন্য বিরতির প্রয়োজন আছে। অনির্ধারিত ও দীর্ঘ সময় কাজ শ্রমিকের ক্লান্তি বাড়ায়, স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয় ফলে অনুপুস্থিতি ও অসুস্থতার হার বেড়ে যায়।
চাকুরীতে পেশাগত অদক্ষতা ঃ
একই কাজের পুনরাবৃত্তি এবং কর্ম পরিধির সীমাবদ্ধতার ফলে দক্ষতার উন্নতি হয়না। কর্মে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয় এবং শ্রম দক্ষতা ও কর্ম দক্ষতার অপব্যবহার হয়।
হয়রানি ও নির্যাতন ঃ
কর্ম ক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হলে কর্মীর মন তিক্ত হয়ে যায় যা থেকে হতাশার সৃষ্টি হয় এবং মনোবল কমে যায়।
মানাসিক ঝুকিঁতে করনীয় ঃ
নিজেকে উফুল্ল রাখতে হবে।
কাজ সম্পাদনের দৈহিক ও কোন ক্রমেই অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা যাবেনা।
সদা সর্তক থাকতে হবে।
নিজ ও পারিপার্শি¦ক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যে ব্যক্তি কাজ করবে তাকে অবশ্যই উক্ত মেশিন সর্ম্পকে এবং দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
নিরাপত্তা বিষয়ক ট্রেনিং।
পারষ্পারিক ব›ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ।
আঘাত উত্তর ব্যবস্থা ঃ
প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ফার্স্ট এইড এর তত্ত্বাবধায়নে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদীসহ ফার্স্ট এইড বক্সের ব্যবস্থা।
জরুরী অবস্থায় ফ্যাক্টরীর মেডিক্যালে ডাক্তার ও নার্সের শরনাপন্ন হওয়া।
অতঃপর প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।]
দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিষ্ট্রার ঃ
• দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিষ্ট্রার একটি সহযোগী মাধ্যম, যা থেকে দূর্ঘটনার কারন ও উৎস জানা যায়। নিম্নে দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিস্ট্রারের ব্যবহার সমুহ দেওয়া হলো ঃ
• কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক মাসে দূর্ঘটনা রেজিস্ট্রার চেক করবেন এবং সকল দূর্ঘটনা পর্যালোচনা করবেন এবং একই ধরনের দূর্ঘটনার শ্রেনী বিন্যাস করবেন।
• কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারন দূর্ঘটনার কারন সমুহ চিহ্নিত করে যথাযথ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
• কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে বেশী দূর্ঘটনা কবলিত সেকশন চিহ্নিত করবেন এবং উক্ত সেকশনে দূর্ঘটনা কমাতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন নিবেন।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাদী ঃ
• সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং অন্যকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে সাহায্য করা।
• নিজের কাজের জায়গা এবং আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
• কাচাঁমাল এবং তৈরি দ্রবাদি সাজানো গোছানো রাখা।
• চলাচলের জন্য নিদির্ষ্ট বর্হিগমন পথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
• সঠিক উপায়ে টয়লেট ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পরিমানে পানি ব্যবহার করা।
• ইটিপির মাধ্যমে বর্জ্য পানি পরিশোধন নিশ্চিত করা।
• খাবার পানি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবহার ও পান করা।
• নিজ নিজ সেকশনে নির্ধারিত আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদী (পিপিই) ব্যবহার করা।
• খাবারের আগে হাত মুখ ধোয়ার অভ্যাস।
• খাদ্য দ্রব্য হাতে না লাগিয়ে চামচ ব্যবহার করা অথবা ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাবার খাওয়া।
ফ্যাক্টরী পর্যায়ে করনীয় ঃ
• ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত পরিমানে অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদী থাকতে হবে।
• অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদীর একটি স্টার্ন্ডাড তালিকা ( এনেক্স – ৩) নাম সহ সরঞ্জামাদীর সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
• প্রতিটি ফ্লোরে ফায়ার স্টেশন,থানা ও হাসপাতালের টেলিফোন নম্বর লেখা থাকতে হবে।
• কমপ্লায়েন্স অফিসার /সেইফটি অফিসার / ওয়েল ফেয়ার অফিসার / এডমিন অফিসার একটি দূর্ঘটনা রেজিস্ট্রার মেইনটেন করবে।
• প্রতি মাসে কমপক্ষে অন্ততঃ একবার ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার ট্রেনিং করতে হবে ।
• প্রতিটি প্রশিক্ষনের জন্য হাজিরা রেজিষ্ট্রার মেনটেইন করতে হবে।
• ফ্যাক্টরী পযার্য়ে কমপ্লায়েন্স অফিসারগন বিভিন্ন ট্রেনিংএর সময়মূচী প্রস্তুত করবেন, ফেসেলিটেট করবেন ও প্রশিক্ষন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন।
• অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করবে।
• সেইফটি অফিসার ম্যানুয়ালে বণির্ত নিয়মে একটি দূর্ঘটনা রেজিষ্ট্রার খাতা সংরক্ষন করবেন।
• উদ্ধারকারী দল দূর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
• পরবর্তীতে প্রয়োজনে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
by Mashiur | Jan 16, 2018 | আগুন
অগ্নী নিরাপত্তা ঃ
আগুন, তৈরী পোষাক শিল্পে একটি প্রধান সমস্যা যা নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে তৈরী পোষাক ও এর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে, শেষ করে দিতে পারে শ্রমিকদের মূল্যবান জীবন। ৩০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষন দিবে। সকল শ্রমিকের জন্য সাধারনভাবে প্রশিক্ষনের উপাদান হিসাবে দেয়ালে লিফলেট/ পোষ্টার লাগাতে হবে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের অগ্নি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কর্মচারী দিয়ে ফায়ার সাব-কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষন ও পুনঃ প্রশিক্ষন দিতে হবে। অগ্নিনিরাপত্তার প্রশিক্ষন সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষন করতে হবে। এই ভয়াবহ আগুনকে প্রতিরোধের জন্য ব্যাবিলন গ্রুপের “ফায়ার সেফটি পলিসি” নামে লিখিত কৌশল আছে যা নিম্নে দেওয়া হলো ঃ Also check english version …
- কারখানার প্রতিটি সেকশন থেকে বের হওয়ার দরজা কারখানায় কাজ চলাকালীন সময়ে খোলা থাকে যাতে সব দরজা দিয়ে সহজে বের হওয়া যায়।
- সাধারণ বর্হিগমন পথ ছাড়া অগ্নিকান্ডের সময় বের হয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জরুরী বর্হিগমনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক জরুরী বর্হিগমন পথ আছে এবং এগুলো এমন ভাবে অবস্থিত যাতে প্রত্যেক ব্যক্তির তার কাজের স্থান থেকে বর্হিগমন পথ পর্যন্ত বাধাহীন ভাবে এবং স্বচ্ছন্দে পৌছাতে পারে।
- কারখানায় নিযুক্ত প্রতিটি শ্রমিকের জন্য অগ্নিকান্ড সম্পর্কে কার্যকর এবং সহজে শ্রবণযোগ্য উপায়ে হুসিয়ারী সংকেত দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
- আগুন লাগলে দ্রুত কারখানায় এসে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয় এ জন্য স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেড ইউনিটের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
- কারখানার প্রতিটি সেকশনে প্রয়োজসীয় সংখ্যক একটি করে ফায়ার হোজ পাইপ আছে ।
অগ্নি নিরাপত্তা
অগ্নিকান্ডের জন্য সাধারনত ঃ কারখানা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত নীতিগুলি গ্রহন করবে ঃ
বর্হিগমন দরজাঃ
জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য বর্হিগমন দরজা প্রস্থে ৩র্২র্ এবং উচচতায় ৭র্৮র্ হবে। প্রতিটি দরজা এমন ভাবে তৈরী করতে হবে যাহা বাইরে থেকে খোলা যায়। প্রতিটি দরজায় ইংরাজী ও স্থানীয় ভাষায় লাল অক্ষরে “বর্হিগমন” কথাটি লেখা থাকবে। কাজ করার সময় কারখানার সকল ফ্লোরের দরজা/ বর্হিগমন পথ খোলা থাকবে। লাল ও হলুদ রং দ্বারা প্রত্যেকটি দরজা/ বর্হিগমন পথ জেব্রা ক্রসিং দেয়া থাকবে।
জরুরী নির্গমন বাতি ঃ
সকল দরজা/ বর্হিগমন পথে, ফ্লোর ও সিড়িতে ব্যাটারী চালিত জরুরী বাতি থাকবে। জরুরী প্রয়োজনে বের হবার জন্য ফ্লোরে হলুদ চিহ্নিত চলাচলের পথ থাকবে, যাতে বহির্গমন নির্দেশিত লাল রঙের তীর চিহ্ন দেয়া থাকবে। সকল চলাচলের পথ পরিস্কার থাকবে ও কোন বাধা থাকবে না। প্রতিটি সিড়ির সাথে মজবুত হ্যান্ডরেইল থাকবে, যাতে কেউ পড়ে না যায়।
হুশিয়ারী সংকেত/ গং বেল/ পি.এ. সিস্টেম ঃ
আগুন লাগলে শ্রমিকদের সতর্ক করার জন্য ফ্লোরে ব্যাটারী চালিত হুশিয়ারী সংকেত ও হস্তচালিত গং বেল থাকবে। হুশিয়ারী সংকেত ও গং বেল কথাটি শ্রমিকের বোধগম্য ভাষায় লাল কালিতে লেখা থাকবে। জরুরী প্রয়োজনের মুহুর্তে সকলকে নির্দেশ দেয়ার জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে ব্যাটারী চালিত পি.এ. সিস্টেম থাকবে।
ফায়ার বালতি ঃ
প্রতি ১০০০ বর্গফুট মেঝে এলাকার জন্য লাল রং করা পানি ভর্তি ২টি করে বালতি থাকবে।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ঃ
প্রতি ১০০০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রসমূহ প্রতিটি ৫Ñ৬ কেজি ওজন সম্পন্ন কার্বন Ñডাই- অক্সাইড এবং এবিসি পাউডারের হতে হবে। লাল ও হলুদ জেব্রা মার্কিং দ্বারা প্রত্যেক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নির্দেশ করবে। প্রতিটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের উপর “অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র” কথাটি লেখা থাকবে এবং ব্যবহারবিধি থাকবে। অগ্নি নির্বাপক প্রত্যেক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের জন্য ১টা রক্ষনাবেক্ষন কার্ড থাকবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা ও ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা সেটা একজন দায়িত্বশীল লোক প্রতি মাসে পরীক্ষা করে নিশ্চিত করবে।
অগ্নি মহড়া ঃ
অগ্নি দূর্ঘটনার সময় নিরাপদ নির্গমনের জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষন দেয়ার জন্য প্রতি মাসে অগ্নি মহড়া দিতে হবে। মহড়া, মহড়ার সময় এবং দূর্ঘটনার উপর ভিত্তি করে রেকর্ড রাখতে হবে। মহড়াটি এমন ভাবে হবে যেন এটা দ্বারা প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায়।
ফায়ার হোস ঃ
প্রত্যেক ফ্লোরে সংরক্ষিত জলাধারের সাথে ফায়ার হোস সংযুক্ত থাকবে এবং পাইপটির দৈর্ঘ্য ফ্লোরের ৯০% এলাকাজুড়ে হবে। বৎসরে ২ বার হোস পাইপের কার্যকারীতা পরীক্ষা করতে হবে।
অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতি ঃ
কারখানার প্রত্যেক ফ্লোরে নিম্নলিখিত সরঞ্জামাদি থাকবে ঃ ক) হুক (ধাতব) খ) বিটার (ধাতব) গ) স্ট্রেচার (২ টি)
ঘ) ব্লাংকেট (২ টি) ঙ) গ্যাস মাস্ক (৫ টি) চ) লক কাটা
অগ্নি নির্ব াপনের জন্য এবং আগুনের ক্ষেত্রে করনীয় বিষয় সমুহ ঃ
অগ্নি প্রতিরোধ, প্রতিকার ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল বিভাগ থেকে সদস্য নিয়ে একটি ফায়ার কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির সকল সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দেশ করতে হবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সনাক্ত করার জন্য ”আর্ম ব্যান্ড” দিতে হবে এবং সম্ভব হলে তাদের এ্যাপ্রোন/ জ্যাকেট দিতে হবে। প্রতি মাসে অগ্নি মহড়ার পর সাব-কমিটির সদস্যরা একবার মিলিত হবে এবং রেকর্ড সংরক্ষন করবে।
- বিচলিত হয়ে উপস্থিত বুদ্ধি হারাবেন না, নিজেকে ধীর-স্থির রাখুন।
- হাতের কাছে যেটুকু পানি পাওয়া যায় সুচনাতেই অগ্নিল, বস্তা দিয়ে আগুন চাপা দিন।
- তৈল জাতীয় আগুনে পানি না দিয়ে বালু, ভিজা মোটা কাপড় বা ভিজা কম্বল বা ফোম জাতীয় রাসয়সিক পদার্থ ব্যবহার করুন।
- আগুন যাতে বিস্তৃত হতে না পারে সেজন্য আশেপাশের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।
- বৈদ্যুতিক আগুন লাগলে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করুন।
- পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে গড়াগড়ি দিন বা ভিজা মোটা কম্বল দিয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিন। কখনো দৌড়াবেন না। তাহলে আগুন বেড়ে যাবে।
by Mashiur | Dec 8, 2017 | আগুন
অগ্নি নিরাপত্তা:
শ্রম নিবিড় রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস ইন্ডাট্রিজ এর অগ্নি মহরা নিরাপত্তা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অগ্নি দূর্ঘটনা এড়ানো ও অগ্নি নির্বাপনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নিুর্লিখিত ব্যবস্থাদি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যা প্রতিটি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সে লক্ষে আমরা প্রতি মাসে এক বার অগ্নি নির্বাপক মহরা এর আয়োজন করে থাকি। Fire Related Article in English …
কঠিন পদার্থের / কাপড়ের আগুন ঃ
আগুনের উৎপত্তির জন্য যে সমস্ত উপাদানগুলির সম্মনয় বিবেচ্য তা হল দাহ্য বস্তু, তাপ ও অক্সিজেন। উপরোক্ত তিনটি উপাদানের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার ফলেই আগুনের সৃষ্টি হয়। আগুন নির্বাপন নীতির মূল বিষয় হচ্ছে যে প্রক্রিয়ায় আগুনের সৃষ্টি হয়েছে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ আগুনের তিনটি উপাদানের এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া এর মধ্যে যদি কোন একটিকে বিচ্ছিন্ন করা যায় বা অপসারন করা যায় তাহলে নির্বাপন হবে। এটাই হচ্ছে অগ্নি নির্বাপনের মূল নীতি। সাধারনত পানি বা অইঈ / উঈচ অগ্নি নির্বাপনযন্ত্র ব্যবহার কওে কাপড়, কাগজ, কাঠ ইত্যাদিও আগুন নেভানো যায়। এ ছাড়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে অথবা কম্বল দিয়ে ও এই আগুন নেভানো যায়।
তরল পদার্থের আগুন ঃ
অগ্নিকান্ডের প্রধান কারন হচ্ছে অসাবধানতা। অসাবধনতার কারনে মূহুর্তের মধ্যে ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের সুচনা করতে পারে। সকল প্রকার আগুন একই প্রকারে নির্বাপন করা সম্ভব নয়। দাহ্য বস্তুর প্রকার ভেদের উপর অগ্নি নির্বাপন মাধ্যম নির্ভর করে। এই আগুন সাধারনতঃ তেল বা পেট্রোল থেকে উৎপন্ন হয়। পানি দিয়ে এই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা মোটেই উচিৎ না।
বৈদ্যুতিক আগুন ঃ
বৈদ্যুতিক তাওে শর্ট সার্কিট থেকে অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে এ আগুনের উৎপত্তি হয়। এ ধরনের আগুনে কখনো পানি জাতীয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা য়ায় না কারণ এতে বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই এ জাতীয় আগুন নিভানোর জন্য সার্কিটব্রেকার ও মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইশার বা কার্বন-ডাই-অক্সাইড এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করতে হবে।
অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটলে নিুলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে ঃ
- ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের সংগে ভিতÍ নেয়া যাবে না।
- কাপড় অথবা ভেজা টাওয়েল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
- যদি কার্বন- ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয় তবে নাকে বা গলায় ধোঁয়া প্রবেশের ব্যপাওে সর্তক থাকতে হবে।
- সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে।
- সবাই এক সংগে বের হবার জন্য দরজার দিকে যেতে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
- লাইন ধরে বেরুতে হবে।
- জরুরী নির্গমন পথ অথবা সহজে পাওয়া যায় এমন নির্গমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।
অগ্নি মহড়ার নীতিমালা
অগ্নি নির্বাপনের জন্য পানি একটি মাধ্যম। পানি ছাড়া তাপ জনিত সূত্রকে বিচ্ছিন্ন করা যায়। আবার কিছু কিছু দাহ্য পর্দাথ আছে যেখানে পানি ব্যবহার করা যায় না, যেমন তেল জাতীয় গ্যাস, অথবা বিদ্যুৎ।
- অগ্নিকান্ডজনীত কারণে ঘন্টা/সাইরেন বাজানোর সাথে সাথে সকল শ্রমিক মেশিন সুইচ বন্ধ করে চলাচলের রাস্তায় এসে দাঁড়াবে।
- কারখানা থেকে বর্হিগমনের সময় সারিবদ্ধ ও–খলাবদ্ধভাবে বাহির হইবে।
- এসময় শ্রমিকরা নিজ অবস্থানে থেকে সমগ্র কারখানা পর্যবেক্ষন করিবে কোথায় অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হয়েছে?
- কারখানার যে অংশে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে সে অংশে কর্মরত শ্রমিকগনকে আগে বাহির হইতে সহায়তা করিবেন।
- অতঃপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অংশের শ্রমিকরা কারখানা হইতে বাহির হইবে।
- অগ্নি নির্বাপনে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা সকল শ্রমিক কারখানা হইতে বাহির হয়েছে কিনা নিশ্চিত হইবেন।
- সকল শ্রমিক ফ্লোর ত্যাগ করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোন শ্রমিক কারখানা আঙ্গীনা ত্যাগ করিবে না।
- প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মীগন আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিবে।
- যে সকল শ্রমিক দেরীতে বাহির হইবে তার কারন উৎঘাটন করতঃ তাদেরকে অগ্নিমহড়া বিষয়ক ব্রিফিং প্রদান করিবে।
অগ্নি নির্বাপনের চারটি মাধ্যম আছে, সেগুলো নিম্নরুপঃ
(১) দাহ্য বস্তু সীমিত করন পদ্ধতিঃ আগুনলেগে গেলে এই পদ্ধতিতে অগ্নি নির্বাপন সহজতর হয়।
(ক) আগুনের নিটক থেকে দাহ্য বস্তু সরিয়ে নেয়া অথবা আগুনকে দাহ্য বস্তু থেকে সরিয়ে নেয়া।
(২) তাপ সীমিত করন পদ্ধতিঃ ক্ষেত্র বিশেষ এই প্রক্রিয়ায় আগুনে পানি নিক্ষেপ করে তাহা সীমিত করে অগ্নি নির্বাপক করা যায়।
(৩) অক্সিজেন সীমিত করন পদ্ধতিঃ অক্সিজেন সীমিত করে আগুন নির্বাপন করা যায়। এক্ষেতে কার্বনডাই অক্সাইড, ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
(৪) রাসায়নিক বিক্রিয়ার যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন করন পদ্ধতিঃ আগুন লাগার তিনটি উপাদনের সাথে যতক্ষন পর্যন্ত না রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে ততক্ষন আগুন লাগবে না। সুতরাং রাসায়নিক বিক্রিয়া সূত্রকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলেই আগুন থাকবে না। আগুনে পাউডার নিক্ষেপ করে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করা হয়।
অগ্নি নিরাপত্তা নীতিমালা
- সার্বিক অগ্নি নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্লোরে কর্মী নির্গমনের জন্য দুটি প্রশস্ত সিড়ির ব্যবস্থা রহিয়াছে।
- কারখানার বহির্গমনের দরজা সমূহ সকল সময়ের জন্য খোলা রাখা হয় এবং কাজ চলাকালীন সময় কখনও বন্ধ রাখা হয় না।
- অগ্নি নির্বাপনের জন্য একটি সু-সংঘটিত এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অগ্নি নির্বাপক দল সার্বক্ষনিক ভাবে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
- অগ্নি নির্বাপক দলের সদস্যদের সনাক্তকরনের ব্যবস্থা রহিয়াছে।
- কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা হইয়াছে এবং তা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও চেক করা হয়।
- জরুরীর অবস্থার ক্ষেত্রে কর্মস্থল ত্যাগের জন্য চিহিৃত ও বাধা মুক্ত চলাচলের রাস্তা নির্দিষ্ট রাখা হইয়াছে।
- জরুরীর অবস্থার সময় নিকটস্থ ফায়ার ষ্টেশনে সংবাদ দেওয়ার জন্য নোটিশ বোর্ডে ও ফ্লোরে জরুরী ফোন নম্বর প্রদশর্নের ব্যবস্থা রাখা হইয়াছে।
- মাসে কম পক্ষে দু’বার ফায়ার ড্রিল করা হয়।
অগ্নি নির্বাপন পদক্ষেপ
- আগুন দেখা মাত্র ঋরৎব অষধস বাজাতে হবে।
- দ্রুত ইলেকট্রিক সুইচ বন্ধ করতে হবে।
- মাইকিং এর মাধ্যমে সকল শ্রমিককে সতর্কতার সহিত বাহির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া।
- নিয়মিত ফায়ার ড্রিল মহড়ায় অংশ গ্রহণ করা।
- কোন প্রকার চধহরপ (ভয় ভীতি) বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা।
- স্থানীয় দমকল বাহিনী ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া।
- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি চেক করে লিষ্টে সাইন করা।