Select Page
ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

এই সেকশনে প্রদত্ত তথ্যের সাহায্যে পরিবহন/শিপিং ডিপার্টমেন্টগুলো শিপমেন্টের জন্য যথোপযুক্ত কাগজপত্র/ ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারে। যথাযথভাবে মালামাল এর প্যাকেজিং ঐ তথ্যানুযায়ী করা সম্ভব যাতে পরিবহনকালে কোনো বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি না হতে পারে। কোন পদার্থে কতটা ঝুঁকি থাকতে পারে তাও এই তথ্যের সাহায্যে জানা যায়।

এখানে এসবের তথ্য থাকবে-

ভৌত উপাত্তের তালিকা

পদার্থের স্ফুটানংক বা বয়েলিং পয়েন্ট

পানিতে দ্রাব্যতা

আঠালো ক্ষার বিশেষ

স্পেসিফিক গ্রাভিটি

গলনাংক বা মেলটিং পয়েন্ট

বাস্পীভবনের হার ইত্যাদি।

এসব তথ্য জানা থাকলে পদার্থটির ক্রিয়া বিক্রিয়া সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। নিরাপদ হ্যান্ডলিং পদ্ধতি নির্ধারণ এবং সঠিক পিপিই নির্ধারণ করা যাবে।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?

বিভিন্ন তাপমাত্রায় বস্তুটির আচরণ সম্পর্কে জানা যায়।

পানিতে তার বিক্রিয়া কি সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।

বিশেষ ভেন্টিলেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণযন্ত্রেও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারা যায়।

দাহ্য ও বিষাক্ত পদার্থের ক্ষেত্রে পূর্ব সতকর্তামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে ম্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

স্থিতিশীলতা এবং সক্রিয়তা

এই সেকশনে তখ্য ঃ পদার্থগুলোর পারস্পরিক বিক্রিয়ার বিভিন্ন পথ আছে। এই সেকশনে বিপজ্জনক পদার্থ এবং পরিস্থিতিগুলো তালিকাভুক্ত করতে যখন সেগুলো এমএসডিএস-এ আলোচিত পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। এতে থাকে রাসায়নিক পদার্থগুলোর পারস্পরিক অসঙ্গতি, সেগুলো এড়িয়ে চলার শর্ত, পণ্য পৃথকীকরণ এবং পণ্যের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে তথ্যাদি।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?

আগে জানা থাকলে অধিক নিরাপদে ম্যাটিরিয়াল হ্যান্ডেল এবং ষ্টোর করা।

পরিবর্তিত তাপমাত্রায় পদার্থটির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যেতে পারে।

কন্টেইনার এবং তাকের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা।

নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটরী তথ্য
এই সেকশন নিয়োগকারী এবং বাস্তবায়নকারী কর্মীদের জন্য কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা পরিবেশিত হয়। আন্তর্জাতিক রেগুলেশনগুলোও এতে সন্নিবেশিত থাকতে পারে।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রেগুলেটরী বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে এই অংশে সন্নিবেশিত তথ্যাদি ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
সেকশন-১৬ ঃ অন্যান্য তথ্য
এই সেকশন অতিরিক্ত তথ্যের উৎস সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?
এই সেকশন অতিরিক্ত তথ্য আহরণের ব্যাপারে নমনীয়তা অনুমোদন কওে এবং একটি পূর্ণাংগ এমএসডিএস প্রনয়ন নিশ্চিত করে। এতে ঝুঁকির হার নির্ণয় ব্যবস্থায় একটি সহজ, সনাক্তযোগ্য এবং সহজবোধ্য রেফারেন্স পাওয়া যায় যার সাহায্যে কোনো পদার্থের বিপজ্জনকতা মূল্যায়ন করা সম্ভবপর হতে পারে।
আপনার মূলবান চোখ দুটো রক্ষা করার জন্য নিরাপদ চশমা ব্যবহার করুন।

ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ

প্রাথমিক পর্যায়ে এম এস ডি এস কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে কর্মরত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পেশাদার ব্যাক্তি এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শ্রমিকদের জন্য লেখা হয়েছিল। এতে সন্নিবেশিত তথ্য, তার প্রকৃতি এবং ছকগুলো ছিল সাধারণভাবে অত্যন্ত টেকনিক্যাল এবং এক সাপ্লায়ার থেকে অন্য সাপ্লায়ারের মাঝে এর তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। সকল পেশার এবং সব ধরনের শিল্পে কর্মরত পেশাদার ব্যক্তি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে পরবর্তীতে এমএসডিএসগুলোর সম্প্রসারণ করা হয়। পাশাপাশি সেগুলো পাঠ এবং অনুধাবন করার রেগুলেশনগুলো সম্প্রসারণ করা হয় কেননা বিভিন্ন ব্রাকগ্রাউন্ড সহ বৃহত্তর শ্রোতাবর্গের তা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

এম এস ডি এস গুলো বোঝার কাজটি অনেকের কাছে কষ্টসাধ্য মনে হয়। কিছুদিন আগে কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন সঙ্গতিপূর্ণ এবং বোধগম্য মানের এমএসডিএস প্রণযনের উদ্যোগ গ্রহণ কওে যা আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপে স্বীকৃতি লাভ করে। আমেরিকান ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইনষ্টিটিউট স্বীকৃতি এই ষ্ট্যান্ডার্ড সবদেশের আইনগত চাহিদা পূরণ করে না। তবে এতে বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ এবং উপকারী তথ্য প্রদান কওে তা তারা যেকোন পেশারই হোক না কেন। উল্লেখ্য যে, আমেরিকায় কোনো এম এস ডি এস এর জন্য নির্দিষ্ট আইনগত প্রয়োজনীয়তা ওশা’র হ্যাজার্ড কমিউনিকেশন ষ্ট্যান্ডার্ড এ সমাধান দেওয়া হয়েছে। মজার কথা হলো যদিও ”আনছি ষ্টান্ডার্ড গুলোর প্রতি অধিকাংশ ইন্ডাষ্ট্রি সম্মান প্রদর্শন কওে এবং অনুসরণ কওে চলে তবুও সেগুলো নেহায়েতই সুপারিশ। অন্যদিকে ওশা’র ষ্টান্ডার্ডগুলো হলো আইন।

এমএসডিএস বাধ্যতামূলকভাবে ইংরেজীতে হতে হবে। বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রদত্ত এমএসডিএসগুলোর মধ্যে প্রচুর বৈসাদৃশ্য পাওয়া যায়। বর্তমানে, ওশা’র হ্যাজার্ড  কমিউনিকেশন ষ্টান্ডার্ড অনুসারে এমএসডিএসগুলোতে আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ঃ

রাসায়নিক এবং সাধারণ নাম সহ বস্তু পরিচিতি

বিপজ্জনক উপাদান (এমনকি শতকরা একভাগ হলেও)

ক্যান্সার হবার উপাদান (০.১% পর্যন্ত)

স্বাস্থ্যের প্রতি ঝূঁকিসমূহের তালিকা, সঙ্গে থাকবেঃ

পোড়া ঘায়ের তীব্র প্রভাব কিংবা জ্ঞান হারানো যা তাৎক্ষনিণভাবে ঘটে

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, যেমন-এ্যালার্জী, চামড়ার সমস্যা কিংবা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ যা একটি সময় ধরে হতে থাকে।

ওশা, আইএআরসি, কিংবা এনটিপি কর্তৃক বস্তুটি ক্যানসার হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে কিনা।

একজন শ্রমিক নিজেকে কতক্ষণ পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতেপাওে সেই সীমা, দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রাথমিক রুট, নির্দিষ্ট অঙ্গ যেগুলো ক্ষতির প্রথম টার্গেট হতে পারে এবং এক্সপোজারের কারণে যেসব চিকিৎসাজনিত সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।

পূর্বাহ্নিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম

ইমারজেন্সী এবং ফাস্ট এইড এর নিয়মাবলী

অগ্নি নিরোধের নির্দিষ্ট তথ্য

ছলকে পড়া এবং ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসা তরল পদার্থ পরিষ্কারের প্রণালী

নিরাপদ পরিচালনা ও ব্যবহার সহ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কতা

এমএসডিএস প্রস্তুত করার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, ইস্যুর তারিখ এবং তাদের ইমারজেন্সী ফোন নাম্বার।

এমএসডিএস-এর উপাত্তগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা কিভাবে করতে সেটা বুঝতে পারলেই দুর্ঘটনা এবং আঘাতের ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। অসম্পূর্ণ এমএসডিএস কিংবা অবোধ্য এমএসডিএস-এর প্রতি আপনার সুপারভাইজারের দৃষ্টি আকর্ষণ  করুন কাজে যাবার আগেই । নতুন কোন ম্যাটিরিয়্যাল হাতে এলে তার এমএসডিএস সতকর্তার সাথে পাঠ করুন। এর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করুন। পুরো ওয়ার্কশীট বোঝার চেষ্টা করুন।

পরবর্তীতে একটি এমএসডিএস-এর ১৬টি সেকশনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছু কিছু টীকাও আছে। ওশা’র চাহিদা মতো আপনাকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা কওে শীটে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শীটে শূন্য স্থানগুলো সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বস্তুত এমএসডিএস আইনের সহায়ক এবং পরিপূরক। প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদেও নিরাপদ কাজের জন্য এটা একটা মৌলিক হাতিয়ার বিশেষ। জরুরী অবস্থা মোকাবিলায়ও এর অবদান অনেক। এমএসডিএস-এর প্রদ্ত্ত নির্দেশনা পাঠ এবং অনুসরণ করা না কর্মচারীর নিজের উপওে নির্ভর করে।

এমএসডিএস ফরমেট

রাসায়নিক পণ্য এবং কোম্পানী পরিচিতি

এতে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সংগে যোগাযোগের সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে। যথা নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর সহ কবে এমএসডিএস ইস্যু করা হয়েছে কিংবা তার সর্বশেষ সংস্করণের তারিখ। এতে উল্লেখিত কোন ম্যাটিরিয়ালের নাম কন্টেইনারে যেভাবে আছে হুবহু সেইভাবে লিখতে হবে।

কোনো একটি জেনেরিক এমএসডিএস এর বিভিন্ন গ্রেডে ম্যাটিরিয়াল অন্তর্ভূক্ত থাকতে পারে। সেভাবেই তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রস্ততকারী প্রদত্ত কোনো ঐচ্ছিক নম্বর বা কোড এমএসডিএস সনাক্ত কার জন্য যদি থাকে তবে তা এই সেকশনে এবং ধারাবাহিকভাবে প্রথম এমএসডিএস- এর পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে তার উল্লেখ থাকবে।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

বাস্তব অভিজ্ঞতায় একই নামের হাজারো ম্যাটিরিয়াল আমাদের কর্মস্থলে থাকে। এমন একটা অবস্থায় সাপ্লায়ার প্রদ্ত্ত ভুল সীট আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এরকম ভুল সনাক্ত করার সাথে সাথে ঐ ম্যাটিরিয়ালটা নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঐ সাপ্লায়ারের সংগে দ্রুত যোগাযোগ করে এর বিহিত করতে হবে। এখন অতিরিক্ত তথ্য ও পাওয়া যেতে পারে।

উপাদানগুলোর মিশ্রণ সম্পর্কিত তথ্য

এই অংশে স্বতন্ত্রভাবে পণ্যের বিপজ্জনক কেমিক্যালগুলির তালিকা এবং তাদের শতকরা আপেক্ষিক পরিমাণ থাকে। এখাওে ওশা’র হ্যাজার্ড কমিউনিকেশন ষ্টান্ডার্ড এর বিধান অনুযায়ী বিপজ্জনক মিশ্রণের উপাদানগুলো সনাক্ত করতে হবে। জটিল মিশ্রণগুলোকে একক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে। কোনো বিপজ্জনক উপাদারের পরিচিতি যদি বাণিজ্যিক সিক্রেটের আওতায় পড়ে তবে তা সেভাবেই চিহ্নিত করতে হবে। উপাদানগুলো সনাক্ত করার প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে থাকবেনা। তখাপি সরবরাহকারী তার এমএমডিএস-এ সেগুলোর স্বাস্থ্য ঝুঁকির উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করবে। এসব নিরাপত্তা সম্পর্কিত পেশাদার ব্যাক্তিদের ডকুমেন্ট তৈরিতে অত্যাবশ্যক। কেমিক্যাল এক্সপোজারের সর্বোচ্চ সীমা-ও তাতে থাকতে হবে। এব্যাপারে সেকশন-৪ এবং ৮ দ্রষ্টব্য।

এই  তথ্যেও গুরুত্ব ঃ

কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাটিরিয়ালে এক্সপোজার সহনীয় হতে পওে তবে তা সীমিত সময়ের জন্য এবং নির্দিষ্ট সর্বনিু মাত্রায়। এমএসডিএস এ ঐ সীমারেখা লিপিবব্দ থাকে। তার বাইওে হলে কি কি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা- ও এমএসডিএস এ উল্লেখ থাকবে। আপনার স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য তা একান্ত অপরিহার্য । উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এই এক্সপোজার লিমিট কেবলমাত্র সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকদের বেলায় বিনিদিষ্ট থাকে। তাতে তাদের গড় ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং বয়সের রেঞ্জ ২৫-৪৪ রাখা হয়। অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য অথবা ধূমপায়ী কিংবা পূর্বে এক্সপোজার পাওয়া শ্রমিকদের বেলায় অপেক্ষাকুত নিু মাত্রা কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে। মনে রাখতে হবে যে একের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাটিরিয়ালে এক্সপোজার বেশি বিপদজনক হতে পারে। দেহের ক্ষতিও দ্বিগুণ হতে পারে। ইংরেজীতে একে সাইনারজী বলা হয়। যেমন- ধূমপান এবং এ্যাজবেষ্টসে একই সঙ্গে এক্সপোজার হলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।

ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন, ব্যবহার এবং পরিচালন নীতি

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন কার্য প্রক্রিয়া এবং ব্যবহারিক কাজের কেমিক্যালের দ্বারা আমাদের নিয়োগকর্মী ও পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করাই আমাদের লক্ষ্য/নীতি।

বৈধ চাহিদা ঃ

  • সনাক্তকরন, লেবেলিং ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যাবলী শ্রমিকদের  জন্য প্রদত্ত সতর্কতামূলক তথ্যে বলা থাকবে।
  • কেমিক্যাল নিয়ে নিরাপত্তার সাথে কাজ করার বিষয়ে নিয়োগ কর্মীদের অবশ্যই প্রশিক্ষিত হতে হবে এবং প্রশিক্ষনের বিষয়গুলো অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকবে।
  • শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ।
  • কারখানা আইনে শ্রমিকদের কর্তব্য ঃ
  • কোন অন্যায়/অপব্যবহার প্রয়োগ করা যাবে না।
  • নিজকে বা অন্যকে বিপন্ন করে কোন কিছু করা যাবে না।
  • নিয়োগকর্মীদের স্বাস্থ্যগত ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা করা যাবে না।
  • স্বাস্থ্যগত পরীক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।

সনাক্তকরন ও লেবেলিং ঃ

  • সমস্ত কেমিক্যালের পাত্রের গায়ে অবশ্যই উৎপাদকের বা সরবরাহকারীর নাম এবং ঠিকানা সম্বলিত লেবেল লাগাতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহারের নির্দেশ থাকবে।
  • লেবেলের উপর নির্দেশিত তথ্যাদি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সমস্ত নিয়োগকর্মীর জানা উচিত।
  • কোন সুপারভাইজারের চেকবিহীন এবং লেবেলহীন পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।

গুদামজাতকরণ ঃ

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন এর কিছু সাধারন নিয়মাবলী

  • গুদাম ঘরে পর্যাপ্ত আলো, বাতাসসহ শুষ্ক ও ঠান্ডা হওয়া উচিত।
  • তাপ এবং আগুন বা বিষ্ফোরনের উৎস হতে গুদামঘর দূরে থাকবে।
  • সহজে দাহ্যকৃত কেমিক্যালের পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে এবং আগুনের উৎস থেকে দূরে    রাখতে হবে।
  • বিপরীত গুনধর্মী কেমিক্যাল অবশ্যই পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে।
  • অন্য কোন কেমিক্যাল দ্বারা খালি পাত্র ভর্তি করা যাবে না এবং ব্যবহৃত খালি কেমিক্যালের পাত্র      যেটি আগে খালি হবে সেটি আগে বাহিরে যাবে।
  • কেমিক্যালের ষ্টোর অবশ্যই দ্বিতীয় প্রকোষ্ট দ্বারা বেষ্টিত করতে হবে যাহার ধারন ক্ষমতা হবে             সংরক্ষিত কেমিক্যালের ১১০%।
  • ধুমপান ও পানাহার নিষিদ্ধ সম্বলিত চিহ্ন (লিখিত আকারে ও প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত) কেমিক্যালের      গুদামঘরে এবং কেমিক্যাল ব্যবহৃত স্থানে টানানো থাকবে।
  • নিয়োগ কর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি (চচঊ) ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং বিপজ্জনক কেমিক্যাল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলতে হবে।
  • খাওয়ার পূর্বে হাত ধোবে এবং হাত পরিষ্কার করার জন্য কোন প্রকার সলভেন্ট ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করবে।
  • অতি দ্রুত দূষিত কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
  • ব্যক্তিগত কাজের জন্য চাকুরীর ক্ষেত্র হতে কখনই কেমিক্যাল নিয়ে যাবে না।
কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা

এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ঃ

  • উচ্চমাত্রার প্রজ্জলন ক্ষমতাসম্পন্ন তরল পদার্থ যাতে ধোঁয়া তৈরী হতে পারে।
  • গিলে ফেলা বা শ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ দুটোই ক্ষতিকর যা কিনা জ্বালাময় অনুভুতি তৈরী করে।
  • ত্বক, চোখ ও শ্বাস প্রশ্বাসের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

এসিটন ব্যবহারে পি পি ই

মাস্ক ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কেমিক্যাল ভিতরে গিয়ে যাতে যন্ত্রনামূলক অনুভুতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

হ্যন্ড গ্লোবস ঃ স্পট রিমোভিং শেকসনে যেহেতু স্পট লিফটার ৮৩৩ নিয়ে কাজ করা হয় সেহেতু এই কেমিক্যাল হাতে লাগলে স্কিন এর ক্ষতি হতে পারে। তাই কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লবস ব্যবহার করতে হবে।

কার্যকরী প্রভাব

শ্বাসের সাথে গ্রহণ জনিত সমস্যা ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী মাত্রার এসিটন গ্যাস ভিতরে গিয়ে যন্ত্রনাময় অনুভূতি তৈরী করে যা  থেকে কাশি, নিস্তেজতা, অসাড়তা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করার মত অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

ত্বক ঃ এসিটনের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে যেমন লালচে ভাব, ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে ব্যথা অনুভুত হওয়া ইত্যাদি।

চোখ ঃ চোখের ভিতর এসিটন এসিটন ছিটকে গিয়ে চোখ জ্বালা, লালচে ভাব, পানি পড়া, চোখে ব্যথার মত অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে।

দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা ঃ এসিটন ক্রমাগত চোখের সংস্পর্শে এলে তা ত্বকসংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কারো ক্ষেত্রে  শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে অধিকমাত্রার এসিটন গ্যাস ঢুকে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে তবে তাকে দ্রুত খোলা বাতাসে সড়িয়ে নিতে হবে। জরুরী ক্ষেত্রে কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাসের অথবা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অতিদ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে হবে।

এসিটন গিলে ফেললে ক্রমাগত বমি হতে পারে কিন্তু সেটা বেশী মাত্রায় হতে দেওয়া উচিৎ নয় । এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

এসিটন ত্বকের সংস্পর্শে এলে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। সংক্রমন ঘটতে পারে এমন জুতা পুনরায় ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন

হলে সাবান ব্যবহার করতে হবে।

যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

নিঃশ্বাসের সাথে ভিতরে চলে গেলে মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় ডাক্তারের

পরামশর্  নিতে হবে।

দুর্ঘটনাবশতঃ খেয়ে ফেললে মখু দ্রত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে এবং দ্রত ডাক্তারের পরামশর্  নিতে হবে।

ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল গুণাগুণ নীতিমালা ও কেমিক্যাল গুণাগুণ

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা ।

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির

কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব হাবিব আলম, সভাপতি, কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, এক্সেসরিজ লিঃ। সভার শুরুতে সভাপতি উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। সম্মিলিত আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে  সিদ্ধান্ত  সমূহ গ্রহন করা হয়-

কেমিক্যাল ক্রয় প্রসঙ্গেঃ

সভাপতি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন আমাদের সর্ব প্রথম যে বিষটির উপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন সেটি হলো বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী কেমিক্যাল ক্রয় করতে হবে। বায়ার নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ক্রয় করা যাবে না। এ ব্যাপারে বেশী ক্রয় বিভাগ (সাপ্লাই চেইন) কে লক্ষ্য রাখতে হবে । কেমিক্যাল ক্রয় এর পূর্বে ল্যাব এর পরামর্শ নিতে হবে এবং কেমিক্যাল ক্রয়ের সময় সরবরাহকারীর নিকট থেকে কেমিক্যাল এর এস ডি এস সংগ্রহ করতে হবে ।

কেমিক্যাল ব্যবহার করা প্রসঙ্গেঃ

সভাপতি মহোদয় আরো বলেন ফ্লোরে কেমিক্যাল ব্যবহার করার সময় আমাদের আরো সাবধান হতে হবে। কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস, গামবুট, এপ্রোন ব্যবহার করতে হবে । ফ্লোরে ব্যবহৃত কেমিক্যালের ছোট বড় সকল ধরনের ড্রাম, পাত্র, কন্টেইনারগুলিকে অবশ্যই সেকেন্ডারী পাত্রে রাখতে হবে ।

শ্রমিকদের পি পি ই ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রসংঙ্গেঃ

কেমিক্যাল কমিটির অন্যতম সদস্য মো. হাম্নিদ রহমান তার বক্তব্যে বলেন শ্রমিক পি পি ই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শ্রমিকদের ট্রেনিং দিতে হবে, ফেøারে গিয়ে তাদেরকে পি পি ই ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝাতে হবে । এ ক্ষেত্রে ফ্লোরের সুপারভাইজার, ম্যানেজার সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করবে ।

সপ্তাহে অন্তত একবার ফ্লোর ভিজিট করা প্রসংঙ্গেঃ

কেমিক্যাল কমিটির অন্যতম সদস্য মো. নেসার রহমান বলেন সপ্তাহে অন্তত একবার আমাদের কেমিক্যাল কমিটির সদস্যগনকে এক সাথে প্রতিটি ফ্লোরে কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা ও পি পি ই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ভিজিট করতে হবে এতে সবার মধ্যে পি পি ই ব্যবহারে আগ্রহ ও কেমিকেল ব্যবহারের সচেতনতা তৈরী হবে ।

সভায় আর কোন আলোচ্য বিষয় না থাকায় সভাপতি সকলকে আবারও সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষনা করেন।