by Mashiur | Oct 31, 2018 | নিরাপত্তা
নিজস্ব নিরাপত্তা মূল্যায়ন
নির্দেশিত হয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার মান নির্নয়ে একটি নিরাপত্তা মূল্যায়ন পরিচালনা করে। এই মূল্যায়নটি ঈ-ঞচঅঞ চাহিদার প্রেক্ষিতে পরিচালিত হয়। মূল্যায়ন কালে নিু দূর্বল দিক সমূহ উদঘাটিত হয়। নিরাপত্তার ত্র“টি জনিত বিষয় সমূহ যথাশিঘ্র ঠিক করা হবে। ত্র“টি সমূহের একটি বিবরন নিুে প্রদান করা হলোঃ
- শ্রমিকদের পরিচয়পত্র: সকল শ্রমিকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়নি। যথাশিঘ্র যাদের নাই তাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
- শ্রমিকদের পশ্চাৎ মূল্যায়ন: কয়েকজন শ্রমিকের পশ্চাৎ কর্মতৎপরতার মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা হয়নি। যথাশিঘ্র ইহা সমাপ্ত করা হবে।
- শ্রমিকদের নিজস্ব নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা: পরিলক্ষিত হয়েছে যে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিষয় তেমন জ্ঞান নেই। নিরাপত্তার বিষয় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
- পরিবেশ নিরাপত্ত সচেতনতা ঃ কারখানায় পরিবেশ নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।
- নিরাপত্তা গার্ডদের প্রশিক্ষন: নিরাপত্তা গার্ডদের নিরাপত্তা জনিত প্রশ্ন করলে তারা সঠিকভাবে জবাব দিতে পারেনি। এতে প্রতিয়মান হয় যে তাদের প্রশিক্ষনের মান ভাল নয়। যথাযথ প্রশিক্ষন প্রদান করার জন্যে “সিকিউরিটি ফার্ম” কে নির্দেশ প্রদান করা হবে।
- গাড়ির প্রবেশ/ বাহির রেজিষ্টার: গাড়ির প্রবেশ/ বাহির রেজিষ্টারে ড্রাইভারের লাইসেন্স নম্বর নথিভূক্ত হয় না। এখন হতে ইহা যথারীতি করা হবে।
- আই টি নিরাপত্তা: অত্র প্রতিষ্ঠানে ২ (দুই) টি কম্পিউটার আছে। এদের পার্সওয়ার্ড আছে। কিন্তু কেহ যদি অবৈধভাবে ভূল পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটার চালু করতে চায় তাহলে ইহা সনাক্ত করার কোন ব্যবস্থা নেই। যথাশিঘ্র ইহার বিহিত ব্যবস্থা করা হবে।
- অতিথী/ আগন্তুক কার্ড: বহিরাগত কোন ব্যক্তি অফিস প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে তার নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্যাদি রেজিষ্টারে নথিভূক্ত করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটিং কার্ড নাই। যথাশিঘ্র অতিরিক্ত ভিজিটিং কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
- কারখানায় কোন আগন্তুক অনুপ্রবেশ করলে তা সনাক্ত করার জন্যে কোন এ্যালার্ম বা হুসিয়ারী সংকেত স্থাপন করা হয়নি। ইহা যথাশিঘ্র স্থাপন করা হবে।
- স্থাপনার চতূরপার্শ্বে আলোকিত করার জন্যে যথাযথ সংখ্যক বাতি লাগানো হয়নি। ইহা যথা শিঘ্র করা হবে।
- সি সি টি ভি এখনও স্থাপন করা হয়নি। মে ২০০৯ ইং এর মধ্যে ইহা স্থাপন করা হবে। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ৪০ দিনের রেকর্ড রাখা হবে।
- চাবি নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। চাবির বাক্স, চাবি উত্তোলন এবং জমা দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে উন্নতি করতে হবে।
by Mashiur | Sep 3, 2018 | কর্ম পরিবেশ
হাউজ কিপিংনিরাপত্তা কি ?
আমাদের ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঃ অগ্নি নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, হাউজ কিপিং এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগণ, আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আমাদের অটো গ্রুপ, সেই সাথে আমাদের এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এটাও পরতে পারেন
- সুপ্রিয় শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগণ, আমাদের ফ্যাক্টরীতে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। আর ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তার স্বার্থে, প্রডাকশনের স্বার্থে, সেই সাথে আমাদের ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে হাউজ কিপিং এর নিয়মনীতিগুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
- মেশিন পরিচালনার সময় কোন অবস্থাতেই অন্যমনস্ক বা অমনোযোগী হওয়া যাবে না এবং অযথা অন্যের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন এবং দূর্ঘটনা থেকে মুক্ত থাকবেন।
- আপনার মেশিনে কোন সমস্যা দেখা দিলে দেরী না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকসসের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং সেটা ভালোভাবে মেরামত করে নিবেন।
- যারা সুইং মেশিনে কাজ করেন তারা মেশিন ব্যবহারের পূর্বে সেফটি গার্ড ও নিডেল গার্ড চেক করবেন।
- ওভারলক মেশিন ব্যবহারের সময় মুখোশ ব্যবহার করবেন ও সেফটি গ্লাস নামিয়ে কাজ করবেন।
- ভেজা হাত দিয়ে কখনও মেশিনের সুইচ অন বা অফ করবেন না।
- এবং বিদ্যুত চলে গেলে সাথে সাথে আপনার মেশিনের সুইচটি বন্ধ করে দিবেন।কাজের সময় হাউজ কিপিং এর নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরন করতে হবে।
- যারা বাটন এরিয়ায় বা সেকশনে কাজ করেন তারা লক্ষ্য রাখবেন যেন কোন বাটন নিচে পড়ে না থাকে । কারন এ বাটনগুলোর মধ্যে কিছু বাটন থাকে অত্যন্ত সুক্ষè যেগুলো পায়ে ফুটে যে কেউ গুরুতর আহত হতে পারে।
- কাজের সময় অবশ্যই আপনারা কাটার, সিজার, ভোমর, টিনের প্যাটার্ন ইত্যাদি নন-ইলাস্টিক ড্রসটিং দ্বারা বেঁধে কাজ করবেন। কারন এগুলো অনেক ধারালো জিনিস। এগুলো ভালোভাবে বেঁধে কাজ না করলে এগুলো থেকে যে কোন মুহূর্তে আপনার হাত পা কেটে যেতে পারে বা অন্য যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
- যারা থ্রেড সাকিং মেশিনে কাজ করছেন তারা অবশ্যই কানে এয়ার প্লাগ পড়ে নিবেন। কারন এয়ার প্লাগ না পড়লে থ্রেড সাকিং মেশিনের অত্যধিক শব্দে আপনার কানে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনার শ্রবনশক্তি কমে যেতে পারে এবং আপনি বধির হয়ে যেতে পারেন।
- যারা আয়রন সেকশনে কাজ করছেন- সকল আয়রন ম্যান-আপনারা হাতে হাত মোজা, পায়ের নীচে রাবার ম্যাট ও রেস্টিং প্লেট ব্যবহার করে কাজ করবেন। আপনার আয়রন টেবিলের কাপড় বা কাভার পরিস্কার আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় যে, আপনারা যখন লাঞ্চ করতে যান বা অন্যত্র যান তখন আপনাদের গরম আয়রনটি রেস্টিং প্লেটে না রেখে অসতর্কভাবে রেখে চলে যান। আপনারা অবশ্যই এ ধরনের আচরন থেকে বিরত থাকবেন। আপনাদের আয়রনটি আয়ডল অবস্থায় থাকলে সেটি অবশ্যই রেস্টিং প্লেটে রাখবেন এবং যে কোন অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলবেন।
- যারা কাটিং সেকশনে কাজ করেন তারা জানেন যে, কাটিংয়ে প্রচুর ধুলাবালি বিরাজ করে। এই ধুলাবালি আপনার নিশ্বাসের সাথে দেহের ভিতর প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রকার রোগ হতে পারে যেমন-হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। তাই এই ধুলাবালি থেকে আত্মরক্ষার জন্য আপনারা অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করে কাজ করবেন।
- কাটিংয়ে যারা কাটার ম্যান আছেন আপনারাও মুখে মাস্ক পরিধান করবেন এবং অবশ্যই হাতে স্টিলের হাত মোজা ব্যবহার করবেন। কারন কাটার মেশিনের ধাঁরালো ব্লেড অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
- কাটিং মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় অন্যমনস্ক বা অমনোযোগী হওয়া যাবে না এবং পাশের কোন সহকর্মীর সাথে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
- যারা এমব্রয়ডারী মেশিন অপারেটর আছেন আপনারা ভেজা হাতে মেশিন পরিচালনা হতে বিরত থাকবেন এবং মেশিন চলাকালীন অবস্থায় সকলেই কানে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করবেন।
- যারা প্যাকিং বা সিটি-প্যাট-এ কাজ করছেন- আপনারা সমস্ত প্রকার ধাতব বস্তু যেমন: কাটার, সিজার, ষ্ট্যাপলারের পিন, টিনের প্যাটার্ন, চুলের ক্লিপ ও গহনা নিয়ে প্রবেশ এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
- কাজের সময় সকল শ্রমিক বোনেরা-আপনারা চুল ছেড়ে না রেখে সুন্দরভাবে বেঁধে কাজ করবেন।
by Mashiur | Sep 2, 2018 | নিরাপত্তা
C-TPAT নিরাপত্তা প্রহরীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
- ডিউটি শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পরে ডিউটি পোষ্টে পৌঁছাতে হবে।
- অফিসারদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিবো।
- পূর্ববর্তী গার্ড হইতে লাঠি, খাতা, লাইট, চাবি ইত্যাদি দায়িত্ব বুঝিয়া নিবো।
- পূর্ববর্তী গার্ড হইতে কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার আদেশ বা নির্দেশ আছে কিনা তাহা জানিয়া নিবে।
- ফ্যাক্টরী গেইটে সকালে ওয়ার্কার ঢোকার সময় সিগারেট, ম্যাচ, মোবাইল ইত্যাদি না নিয়ে যাওয়ার জন্য নিদের্শ দিবে।
- ফ্যাক্টরী কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কোন ওয়ার্কার গেইট পাশ ছাড়া বাহিরে যেতে পারবে না।
- গেইট পাশ/আউট পাশ যথাযথ ভাবে ফাইলের সংরক্ষন করিবে।
- মেইট গেইটের পকেট দরজা সকল সময়ের জন্য বন্ধ থাকিবে।
- বাহির থেকে কোন ভিজিটর/গাড়ী আসিলে পকেট গেইটের জানালা দিয়ে নিশ্চিত হইবে তারপর গেইটের ভিতর ঢুকবে।
- কোন ক্লিনার /শ্রমিক ব্যাগ নিয়া ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
- ভিজিটরের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ভিজিটর কার্ড সহ খাতায় লিপিবন্ধ করে ভিজিটরকে ভেতরে যেতে হবে।
- ভিজিটর ইন/আউট টাইম যথাযথভাবে খাতায় লিখবে।
- বাহিরের ভিজিটর এম,ডি/ডইিরেক্টর বা ম্যানেজার সাহেবের সাথে দেখা করতে চাইল উনি ফ্যাক্টরীতে উপস্থিত আছে কিনা প্রথমেই যাবা না বলিবে না ভিজিটর এর পরিচয় জেনে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যাবা না বলবে।
- লাঞ্চ শেষে বাহিরে যাওয়া ওয়ার্কার সঠিক সময়ে ভিতরে প্রবেশ করে কিনা জানাতে হবে।
- ওয়ার্কার পরিবহন সব কয়টি এসেছে কিনা, ফ্যাক্টরী খোলার সময় ৮.০০ টার ভিতরে জানাতে হবে।
- কোন সিকিউরিটি গার্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বাহিরে যেতে পারিবে না।
- কর্তব্যরত গার্ড ছাড়া অন্য কেহ গার্ড রুমে আড্ডা দিতে পারবে না।
- গাড়ীর খাতা, দর্শনার্থী খাতা সহ সকল খাতা ঠিক মতো মেইনটেইন করতে হবে এবং তা নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
- পূর্ববর্তী নিরাপত্তা প্রহরী হইতে দায়িত্ব সঠিক ভাবে সবকিছু বুঝিয়া লইবে।
- ডিউটি দাঁড়ানো অবস্থায় বেল্ট, টুপি, লাঠি, বাঁশি এবং ইউনিফর্মের কোন অংশ বাদ রেখে ডিউটি করা যাবে না।
- ডিউটি স্থানে আসার সাথে সাথে ডিউটি স্থানে ভালভাবে চেক করিয়া নিবো।
- সকালে চাবি নিয়া আসার পর তালা খুলিয়া দিবে এবং নিদের্শ মোতাবেক চাবি স্থানান্তর করিবে।
- সকাল ৮ টায় মধ্যে এর্লাম বাজাবে।
- সকাল ৮ টার মধ্যে সকলের হাজিরা কার্ড জমা নিবে।
- সেকশান ইনচার্জ ব্যতিত কোন ওয়ার্কার গেট পাশ ছাড়া বাহিরে যেতে পারবে না ( কাজের সময়)।
- ফ্যাক্টরী ছুটির পর পুংখানুপংখ ভাবে চেক করিবে।
- ফ্যাক্টরী বন্ধ হওয়ার পর সকল দরজা জানালা তালা সঠিক ভাবে বন্ধ করিবে এবং চাবি কর্তৃপক্ষকে স্থানান্তর করিবে।
- লাঞ্চ টাইমে পি,এম, অথবা ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের অনুমতিতে লাঞ্চ বেল বাজাবে।
- এই পোষ্টের গার্ড কোন কাজে অন্য জায়গায় গেলে তা অফিসকে জানিয়ে যেতে হবে।
- ছুটির টাইমে ওয়ার্কারদের ব্যাগ নিয়ম মতে চেক করিতে হবে।
- ফ্যাক্টরী থেকে গেইটে পাশের মাধ্যমে যাওয়া গন্য গেইট পাশের সাথে মিল আছে কিনা তা যাচাইয়ের মাধ্যমে ছাড়িতে হইবে। যেমনি প্রবশের সময় চালানের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে প্রয়োজনে এ সময় অন্য সিকিউরিটির সাহায্য নিতে পারিবন (কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে)।
- আউট ও ইন হওয়া সামগ্রীর স্বতন্ত্র রির্পোট করিতে হবে।
- ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরী থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথে কর্তব্যরত গার্ড মেইন ও পকেট গেইটে তালা বন্ধ করে ফেলবে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত রাতে আর গেইট খোলাযাবে না শুধু মাত্র আই,এস,এস, এর পরিদর্শক ব্যতিত।
- “সি” শিফটে একজন গার্ড বাহিরে টহল দিবে একজন সিকিউরিটি পোষ্টে টহল দিবে এবং তা “সি” শিফটে শুরু হওয়ার সাথে সাথে কার্যকর হইবে।
- ফ্যাক্টরী বন্ধের দিন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া বা অনুমতি ছাড়া কেহ ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
- রাতের ডিউটিতে ৩০ মিনিট পর পর বাশিঁ বাজানোর ১ জনের বাজানোর সাথে সাথে অন্য গার্ড ও বাশিঁ বাজিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করবে।
- এভাবে সুচারু রূপে কারখানার নিরাপত্তা দায়িত্ব সম্পাদন সচেষ্ট থাকবে।ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ C-TPAT নিরাপত্তা প্রহরীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবে।
by Mashiur | Sep 1, 2018 | অডিট পরিদর্শন
C-TPAT Incident পলিসি কি
১. Incident কি ?
C-TPAT Incident পলিসি যে কোন ঘটনা যাহা উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করে এবং করিতে পারে বা কোন ঘটনা যাহা কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে ব্যহত করে বা করিতে পারে তাহাই Incident.
২. Incident এর প্রকার ভেদ ঃ
- শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের দ্বন্ধ।
- শ্রমিকের সাথে সুপারভাইজার এর দ্বন্ধ।
- শ্রমিকের সাথে ব্যবস্থাপকের দ্বন্ধ।
- শ্রমিকের সাথে মালিকের দ্বন্ধ।
- শ্রমিকের সাথে বহিরাগত লোকের দ্বন্ধ।
- সুপারভাইজারের সাথে বাহিরাগত লোকের দ্বন্ধ।
- ব্যবস্থাপকের সাথে বহিরাগত লোকের দ্বন্ধ।
- মালিকের সাথে বহিরাগত লোকের দ্বন্ধ।
৩. কি কি নিয়ে ঘটনা হতে পারে ঃ
- স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে শ্রমিকের সাথে শ্রমিকের দ্বন্ধ হতে পারে।
- কাজ নিয়ে শ্রমিকের সাথে সুপারভাইজার এর দ্বন্ধ হতে পারে।
- মজুরী ও অন্যান্য আইনগত অধিকার নিয়ে শ্রমিকের সাথে মালিকের ব্যবস্থাপকের দ্বন্ধ হতে পারে।
- মালিকের সম্পত্তির ক্ষতি নিয়ে শ্রমিকের সাথে মালিকের দ্বন্ধ হতে পারে।
- কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু বিষয় নিয়ে শ্রমিকের সাথে বহিরাগত, মালিকের সাথে বহিরাগত লোকের দ্বন্ধ হতে পারে।
৪. ঘটনা বা দ্বন্ধ এর ফলে কি ক্ষতি হতে পারে ঃ
- কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন শ্রমিক অথবা শ্রমিকগনের দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন শ্রমিক অথবা শ্রমিকগনের স্বার্থ / নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষুন্ন করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন শ্রমিক অথবা শ্রমিকগনের অধিকার খর্ব করে।
- কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন কর্মচারী অথবা কর্মচারী গনের দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন শ্রমিক অথবা শ্রমিকগনের স্বার্থে /নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষুন্ন করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন কর্মচারীগনের অধিকার খর্ব করে।
- কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন ব্যবস্থাপক অথবা ব্যবস্থাপকগনের দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন ব্যবস্থাপক অথবা ব্যবস্থাপকগনের স্বার্থ / নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষুন্ন করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন ব্যবস্থাপক অথবা ব্যবস্থাপকগনের অধিকার খর্ব করে।
- কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন মালিক অথবা মালিকপক্ষের দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন মালিকপক্ষের স্বার্থ/নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষুন্ন করে, কোন ঘটনা যাহার দ্বারা কোন মালিকপক্ষের অধিকার খর্ব করে।
৫. ঘটনার রির্পোটিং পদ্ধতি ঃ
- ঘটনা দেখা বা সংগঠিত হওয়া মাত্রই কারখানার উৎপাদন কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/লাইন চিফ প্রভৃতি ব্যক্তিগন কারখানার ওয়েলফেয়ার / মানব সম্পদ অফিসার / প্রশাসনিক অফিসার প্রভৃতি ব্যক্তিকে মৌখিক বা লিখিত ভাবে রিপোর্ট করতে হবে / করা হয়।
- বাহিরের কোন ঘটনা যদি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে ব্যহত করে তাহাও রিপোর্ট পদ্ধতিতে আনা হয়।
- মৌখিক রির্পোট রেজিষ্টারে নথিভূক্ত করা হয় / করতে হবে।
- লিখিত রিপোর্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর ফাইল করে রাখা হয় বা রাখতে হবে।
- ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তিরাও একে অপরের বিরুদ্ধে রির্পোট করে /করতে হবে।
- যে কোন ঘটনা যে কেউ অবগত হওয়ার সাথে সাথে অবগত করা হয় / করতে হবে।
৬. ঘটনার তদন্ত পদ্ধতি ঃ
- রিপোর্ট পাওয়ার পর ওয়েলফেয়ার / মানব সম্পদ অফিসার / প্রশাসনিক অফিসার এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় /করতে হবে।
- তদন্ত কমিটি সরজমিনে তদন্ত করার পর একটি লিখিত রির্পোট কারখানা ব্যবস্থাপকের নিকট পেশ করা হয় বা করতে হবে।
- কারখানা ব্যবস্থাপক উক্ত তদন্ত রির্পোটের উপর বিবেচনা করে উক্ত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি / মওকুফ সুপারিশ করে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট পেশ করা হয় বা করতে হবে।
- কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচনা করা হয়।
৭. রেকর্ড ঃ
- প্রতি ঘটনার রেকর্ড রেজিষ্টারের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়।
- লিখিত রির্পোট গুলি ফাইন আকারে সংরক্ষন করা হয়।
১. বাস্তবায়ন ঃ
- প্রতিটি ঘটনা ব্যস্তাবয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ঘটনার দুই পক্ষ কে আলোচনার জন্য ডাকা হয়।
- আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
২. ট্টেনিং ঃ
- যে কোন ঘটনা দেখা মাত্রই কি করতে হবে সেই ব্যাপারে শ্রমিক / কর্মচারীগনকে ট্টেনিং দেয়া হয়।
- ঘটনা যাতে না হয় সেই ব্যাপারে ট্টেনিং দেয়া হয়।
- ঘটনার পরে কাকে কাকে অবহিত করতে হবে সেই ব্যাপারেও ট্টেনিং দেয়া হয়।
by Mashiur | Dec 20, 2017 | নিরাপত্তা
নিরাপত্তা বিভাগের পেট্রল ডিউটি পলিসি
কারখানার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পেট্রল ডিউটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারখানার জানমালের নিরাপত্তার জন্য দ্বায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীগণ পালাক্রমে কারখানার ভিতর ও বাহিরের দিকে চারপাশে এবং স্পর্শকাতর এলাকায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিদর্শন করবে -এটাই পেট্রল ডিউটি নামে পরিচিত। ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে প্রত্যেকটি শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দদের কে সিকিউরিটি গার্ডকে তাদের নিজ নিজ পরিচয় পত্র দেখাতে হবে । ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে কিছু বহন করে আনা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ । পুরুষ ও মহিলা গার্ড দ্বারা স্ত্রী-পুরুষ বিভেদে সন্ধেহভাজনদের প্রয়োজনে দেহ তলাশী কার্যকর হবে ।
একজন দুকৃতিকারী তার জীবনের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রেখে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নেয়। তার মধ্যে রাতের বেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অটো লিঃ নিরাপত্তা প্রহরীদের পেট্রল ডিউটির ব্যাপারে একটি পলিসি প্রনয়ন করিয়াছেন:
- কারখানার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি সুপারভাইজার পেট্রল ডিউটির দ্বায়িত্বে থাকবেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সকল নিরাপত্তা পোস্ট, কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বায়িত্ব পালন, কারখানার ভেতর ও বাহিরের চারদিকে পরিভ্রমণ করবেন। প্রয়োজনে তিনি একদল নিরাপত্তা কর্মী বা কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মধ্যে কাউকে সাথে নিতে পারবেন।
- পেট্রল ডিউটির তথ্য সম্পূর্ণরুপে গোপন থাকবে। কোনভাবেই তা আগাম কারো নিকট প্রকাশ করা যাবে না।
- পেট্রল ডিউটিতে নিয়োজিত সুপারভাইজার প্রয়োজন মনে করলে কারখানার ফ্লোরে অকষ্মাৎ পরিদর্শনে যেতে পারবেন পেট্রল ডিউটির তথ্য রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
কোম্পানী কর্তৃক ভাড়াকৃত সকল যানবাহনকে ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটকের বাহিরে পার্কিং রাখতে হবে । কেবলমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে গেইট পাশ ইস্যু পরবর্তী নির্দিষ্ট যানবাহনটি ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে । সিকিউরিটি গার্ডগণ প্রতিটি বাসের আগমন ও র্নিগমনের সময় সুচী লিখিত আকারে রেকর্ড রাখবে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগকে তা অবহিত করবে । সিকিউরিটি গার্ডদের কে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, বিক্রয়োওর বর্জ্য পদার্থ ফ্যাক্টরী হতে বের করার প্রাক্কালে বর্জ্য নয় অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই যেন বের না হয় এবং যা কিছুই বের হয় তা যেন লিখিত চালানের সাথে সর্ম্পন্ন রূপে সাম্্ঞ্জস্য পুণর্ থাকে ।
কর্ম পরিবেশ নীতিমালা ঃ
(ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ
১. প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে ।
২. মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং পালাক্রমে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়োজিত থাকবে।
৩. নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করতে হবে ।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ।
(খ) বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ
১. কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা থাকতে হবে যাতে প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. কর্মস্থানে অতি তাপ: কর্মক্ষেত্রে এক্সষ্ট ফ্যান লাগাতে হবে
(গ) ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ
১. ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করতে হবে ।
২. ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
(ঘ) খাবার পানি / পান করার পানি ঃ
১. শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসাতে হবে।
২. বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
৩. প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে ।
(ঙ) বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ
১. নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে ।
২. কারখানাটিতে অত্যান্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।
(চ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১. কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
৩. কর্মস্থানে আলোস্বল্পতা: কর্মস্থানে যথেষ্টভাবে আলোকিত করতে হবে যেমন: সেলাই কর্মস্থান: > ৫০০ লাক্স, কাটিং কর্মস্থান: > ৭০০ লাক্স, ইন্সপেকশন এলাকা: > ১০০০ লাক্স। কর্মস্থলে আলো বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ছ) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ
১. কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৩. প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করতে হবে এবং তা রেকর্ডকৃত করতে হবে ।
(জ) আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ
১. কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(ঝ) প্রশিক্ষণ ঃ
২. কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে ।