Select Page
কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান।

কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান।

দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান

কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান। – শ্রমিক হিসেবে আপনার মৌলিক অধিকার এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ম-নীতি ও দেশের প্রচলিত কারখানা আইন সম্বন্ধে জানার অধিকার আপনার আছে। মূলতঃ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই শ্রমিক সহায়িকাটি প্রকাশনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কোন দুর্ঘটনা ঘটে, যাহাতে প্রাণহানি বা শারীরিক জখম হয়, অথবা যদি কোন প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ, প্রজ্জ্বলন, অগ্নিকাণ্ড, সবেগে পানি প্রবেশ বা ধুম্র উদ্গীরণ ঘটে, তাহা হইলে মালিক পরিদর্শককে পরবর্তী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তত্সম্পর্কে নোটিশ মারফত অবহিত করিবেন: ..

তবে শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা কিংবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম আরম্ভের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরকার, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর, থানা, প্রয়োজনে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে ফোন, মোবাইল ফোন, এসএমএস অথবা ফ্যাক্সের মাধ্যমে অবহিত করিবে।

উল্লিখিত কোন দুর্ঘটনায় শারীরিক জখম হওয়ার কারণে উহা কোন আহত শ্রমিককে আটচল্লিশ ঘন্টার অধিক সময় পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকিতে বাধ্য করে, সে ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতে হইবে৷

উল্লিখিত রেজিস্টারে লিখিত বিবরণের একটি কপি মালিক প্রত্যেক বত্সর ৩০শে জুন এবং ৩১শে ডিসেম্বর এর পরবর্তী পনর দিনের মধ্যে প্রধান পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করিবেন

কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে নোটিশ

যে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত ব্যাধি দ্বারা কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে মালিক অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অথবা তত্কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও সময়ের মধ্যে, তত্সম্পর্কে পরিদর্শককে নোটিশ মারফত অবহিত করিবেন৷

যদি কোন রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কোন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান বা ভূতপূর্ব কোন শ্রমিককে চিকিত্সাকালে দেখেন যে, তিনি দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত কোন ব্যাধিতে ভুগিতেছেন বা ভুগিতেছেন বলিয়া তাহার সন্দেহ হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত চিকিত্সক অবিলম্বে একটি লিখিত রিপোর্ট মারফত প্রধান পরিদর্শককে নিম্নলিখিত বিষয় অবহিত করিবেন, যথাঃ-

রোগীর নাম এবং ডাক যোগাযোগের ঠিকানা;

রোগী যে রোগে ভুগিতেছেন বা ভুগিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইতেছে, তাহার নাম;

যে প্রতিষ্ঠানে রোগী বর্তমানে কাজ করিতেছেন বা সর্বশেষ কাজ করিয়াছেন, তাহার নাম ও ঠিকানা৷

প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট মালিক উক্তরূপ পেশাগত ব্যাধিতে আক্রান্ত, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করিবেন

সারাংশ

কতিপয় ব্যাধি সম্পর্কে এবং দূর্ঘটনা সম্পর্কে নোটিশ প্রদান। – আপনারা সকলেই যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি ও সুযোগ সুবিধা সম্বন্ধে জানতে পারেন (যা দেশের প্রচলিত আইনের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে) তাহলে আপনারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি কোম্পানীও উপকৃত হবে। কারণ এর মাধ্যমে একজন শ্রমিক কোম্পানীর যাবতীয় নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি, শৃংঙ্খলা, কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নিয়োগ-নীতি, শাস্তি, পদোন্নতি, বরখাস্ত, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে অবগত হবেন। আমরা আশা করি, আপনারা সকলেই বইটি ভালভাবে পড়ে কর্মক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন এবং একই সাথে নিজেকে ও কোম্পানীকে উপকৃত করবেন।

পরিবহনকালীন অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং গুলো কি কি?

পরিবহনকালীন অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং গুলো কি কি?

পরিবহনকালীন অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পন্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে  ( CTPAT) অনুসরন করা তথা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস কারখানা এবং এর সহিত জড়িত প্রতিটা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যাবশকীয় । এরই ধারাবাহিকতায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সময়ে সময়ে অঘোষিত নিরাপত্তা চেকিং করে থাকে, নিরাপত্তা নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালিত হয় কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য । এ প্রক্রিয়ায় নিম্মোক্ত বিষয় গুলি যাচাই করা হয় :

বিষয়ের বিবরন

  • বোল্ট সীল ঠিক ছিল কিনা
  • অতিরিক্তি বোল্ট সীল  সীল ছিল কিনা
  • চালানে বোল্ট সীল নম্বর এবং কাভার্ড ভ্যানে লাগানো বোল্ট সীল নম্বর একই ছিল কিনা
  • ড্রাইভারের কাছে রুট ম্যাপ ছিল কিনা
  • নিরাপত্তা প্রহরী ছিল কিনা
  • নির্ধারিত স্থানে বিশ্রাম গ্রহন করেছিল কিনা
  • নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বিশ্রাম নিয়েছিল কিনা

প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতিঃ

সাধারণ নির্দেশনা t এর সংস্পর্শে কারও শারিরিক সমস্যা সৃষ্টি হলে চিকিৎসক/হাসপাতাল কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা বা পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস আক্রান্ত হলে t এর বাষ্প,ধোয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে আক্রান্তকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে উষ্ণ ও বিশ্রামে রাখতে হবে।এর দ্বারা শ্বাস-তন্ত্র ও মিউকাস মেম্ব্রেনে জ্বালাতন হতে পারে।শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হলে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।
গিলে ফেললে t চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।শ্বাস-তন্ত্রে এর উত্তেজনা এড়াতে বমি করানো যাবে না।আক্রান্তকে বিশ্রামে রাখতে হবে।গিলে ফেললে বমি/ডাইরিয়া হতে পারে।
ত্বক আক্রান্ত হলে t সঙ্গে সঙ্গে সকল আক্রান্ত কাপড় খুলে ফেলতে হবে।স্থান প্রচুর পানি ও সাবান দিয়ে ধুতে হবে।যদি প্রবল স্প্রের মাধ্যমে ত্বকের নিচে বা শরীরের কোন অংশে প্রবেশ করে-তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাস্পাতালে নিতে হবে-যদিও তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন না থাকে বা প্রকাশ পায়।
চোখ আক্রান্ত হলে t চোখের পাতা খোলা রেখে প্রচুর পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ধুতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাস তন্ত্রে উত্তেজনা হলে t এই উপাদানের দ্বারা শ্বাস্তন্ত্রে উত্তেজনা হলে তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।ফুসফুসে এর প্রবেশ নিশ্চিত হলে আক্রান্তকে হাসপাতালে নিতে হবে।

গারমেন্টস নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টি সেরা লেখা।

গারমেন্টস নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টি সেরা লেখা।

গারমেন্টস নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টি লেখা

১০০ টি নিরাপত্তা বিষয়ক সর্ব শ্রেষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা – ১

১০০ টি নিরাপত্তা বিষয়ক সর্ব শ্রেষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা – ১

১০০ টি নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ লেখা – ১

নিরাপত্তা রক্ষী সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

নিরাপত্তা রক্ষী সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো কি কি?

নিরাপত্তা রক্ষী সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • নিরাপত্তা রক্ষী সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব ও কর্তব্য
  • একজন সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে সার্বিক নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করা। …
  • নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে কিনা তা মনিটরিং করা ।
  • ফ্যাক্টরীর প্রবেশ ,বাহির থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার শ্চিত করা।
  • নিরাপত্তা কমীদের টহল দল প্রতি রাতে ফ্যাশনস্ লি: এর বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা  পরিদর্শন করছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
  • পন্য আনা নেয়ার স্থানে কোন ব্যাক্তিগত যানবাহন যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করা।
  • পন্য আনা নেয়ার স্থান ও ভবনের চারদিকে নিরাপত্তা বাতিগুলো যেন জ্বালানো থাকে তা খেয়াল রাখা।
  • ফ্যাক্টরি বন্ধের পর সকল দরজা-জানালাগুলো বন্ধ করা ও তালাবদ্ধ করা।
  • ভবনে, পন্য আনা নেয়ার স্থানে, স্টোর ও প্যাকিং এলাকায় কোন প্রকার অনুমতিহীন প্রবেশ রোধ করা।
  • সকল কমকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগন তাদের স্ব স্ব আইডি কার্ড প্রদর্শন করে প্রবেশ করছে কিনা নিশ্চিত করা।
  • যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আগন্তুক ও পরিদর্শক প্রবেশ নিশ্চিত করা।
  • আগন্তুক ও পরিদর্শক প্রবেশের সময় নির্দিষ্ট ভিজিটর’স বুকে তাদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করা। ও তাদেরকে ভিজিটর’স আইডি কার্ড প্রদান করা।
  • ন্য আনা নেয়ার স্থান, ¯েটার ও প্যাকিং এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যেকোন প্রবেশে বাধা দেয়া।
  • সংরক্ষিত এলাকায় বিনা তল্লাশীতে কোন ব্যাগ / ব্রিফকেস / লাঞ্চ বক্স নিয়ে প্রবেশ যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
  • সন্দেহ দেখা দিলে প্রয়োজনে আগন্তুক ও পরিদর্শকদের ব্যাগ, ব্রিফকেস তল্লাসী করা।
  • খালি কাভার্ড ভ্যান / কন্টেইনার পরীক্ষা করে তার রেকর্ড রাখা।
  • পূর্ণ কাভার্ড ভ্যান / কন্টেইনার পরীক্ষাা করে তা যথাযথভাবে সিল করা।
  • কন্টেইনার / কাভার্ড ভ্যান পূর্ণ করার সময় সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করা।
  • কোন প্রকার বেআইনি লোডিং ও বেআইনি কর্মকান্ড দেখা দিলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা।
  • মেইন গেইটে অনাকংঙ্খিত প্রবেশ বন্ধ করা তথা বিভিন্ন আগন্তুক এর প্রবেশ নিয়ন্ত্রন কল্পে দর্শনার্থী রেজিষ্টার সংরক্ষন করা হয়।
  • বিভিন্ন সময় ফ্যাক্টরী থেকে ঝযরঢ়সবহঃ এর মালামাল বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় গেইটপাশ , চালান চেক ও নথিভুক্ত সঠিক ভাবে হচেছ কিনা তা নিশ্চিত করা ।
  • কোন নিরাপত্তা কর্মী শৃঙ্খলা বর্হির্ভূত কাজে লিপ্ত হলে ফ্যাক্টরীর আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা এবং তাদের প্রহরা দেওয়ার স্থান পরিবর্তন করা হয়।
  • কেবলমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে ঢুকতে দেওয়া হয়।