Select Page
স্বাস্থ্য Health এবং পরিবেশ নিরাপত্তা বিশেষ নীতি কি?

স্বাস্থ্য Health এবং পরিবেশ নিরাপত্তা বিশেষ নীতি কি?

স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ নিরাপত্তা নীতি

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা সব সময়ে একটি অগ্রাধিকার হতে হবে এবং একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কাজের পরিবেশ প্রদান করা হইবে. ন্যূনতমরূপে অন্তত.অটো গ্র“প সব সময়ই সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর  কাজের পরিবেশ সৃষ্টিই এই নীতি মালার লক্ষ্য। স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ   …

উদ্দেশ্য ঃ

  • আমরা সর্বদাই আশা করি আমাদের শ্রমিকদের বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং তার উপর ভিত্তি করে রচিত কো¤পানীর নিজস্ব আইন সম্বন্ধে স্বচছ ধারণা থাকা উচিত। অগ্নিকাণ্ড প্রশিক্ষণ এবং ড্রিলস এবং আগুনের বিপদ প্রতিরোধ মাধ্যমে পরিচালিত হইবে.পরিবেশ, নিরাপত্তা , এবং স্বাস্থ্য আইন বিধি ও চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন ছক ও নির্দেশিকার মাধ্যমে আমরা আভ্যন্তরীন মান পর্যবেক্ষণ করি।
  • এই কারণে আমরা পূর্বে ও বিভিন্ন নোটিশ বোর্ডে পোষ্টার আকারে এই সকল বিষয় আপনাদের জানাবার চেষ্টা করেছি।  যুক্তিগত কারণেই আবার গর্ভবতী শ্রমিকদের চাহিদা মিটমাট..কক্ষের অভ্যন্তরীন সব দেয়াল, শ্রমিকদের কাজের ঘর, মেঝে এবং সিড়িগুলো মযলা ও দর্গন্ধমুক্ত এবং সঠিকভাবে চুনকাম করা।
  • এই বইটিতে আমাদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং আমাদের কো¤পানীর নিয়ম-নীতি পরিষ্কার ভাবে বর্নিত রয়েছে।  মেঝের আপ্রয়োজনীয় ময়লা সর্বদাই ক্লিনার দ্বারা পরিস্কার করানো হয় এবং প্রতি সপ্তাহে একবার জীবানু নাশক ও গুড়ো সাবান দিয়ে ধৌত করা হয়।
  • উৎপাদন প্রক্রিয়ার দরুন যে সমস্ত কাপড়ের টুকরা, সুতা, ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা বের হয় তা প্রতি মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত জিনিস গুলো তুলায় রূপান্তরিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরী করেন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ব্যবহারকৃত ময়লা পানি এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা প্রবাহিত হয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ঠ ড্রেন এবং সেফটি টেংক আছে। ফলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নাই্ ।
  • বিপজ্জনক মেশিন, সরঞ্জাম এবং / অথবা পদার্থ কোন অনিরাপদ এক্সপোজার. দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য উদ্ভূত সঙ্গে যুক্ত, বা কাজ ও কর্মচারীদের কোর্সে ঘটমান আঘাত নিয়মিত এবং রেকর্ড স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ. পুরাতন টিউব লাইট রিসাইকেলদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
  • কর্মীদের কাজের স্থানে প্রয়োজনীয় বায়ুচলাচল এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ফ্যান এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহৎ আকারের জানালা দিয়ে অবাধে বায়ু চলাচল করে যা শ্রমিকদের কাজের স্থানের তাপমাত্রা আরামদায়ক করে তোলে।
  • বৃহদাকার জানালা গুলি গিয়ে প্রাকৃতিক আলো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাসগুলি উভয় দিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকায় বাঁধাহীন ভাবে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ সম্ভবপর হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর সাথে ইলেকট্রিক্যাল লাইট গুলো আলোর গতিকে আরো তীব্রতর করেছে। যার ফলে সমস্ত কাজের স্থান এবং প্রবেশ পথ গুলো নিরাপদ ও কর্মোপযোগী হয়ে উঠেছে। সমগ্র ফ্লোরে আলোর তীব্রতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট ক্যান্ডেল।
  • ফায়ার সেফটি পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং সুবিধা শর্ত, নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি এবং টয়লেট সুবিধা অ্যাক্সেস নেই. পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা এবং তাপমাত্রা প্রদান করা হয়.
  • কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পানির সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক স্থানে খাবার পানির বোতল স্থাপন করা হয়েছে। এবং কর্মীদের বুঝার সুবিধার্থে বংলায় এবং ইংরেজীতে ” বিশুদ্ধ খাবার পানির ” নির্দেশনা দেয়া আছে। বোতল গুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
  • কারখানা আইন অনুযায়ী কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজন মাফিক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সমস্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানা গুলো যথোপযযুুক্ত ভাবে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানু নাশক দ্বারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
  • এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় হলো, সময়ের সাথে সাথে আমাদের কোম্পানীর নিয়ম-নীতির বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে তা পুস্তকে সর্বশেষ তথ্য হিসাবে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।  আবাসন / হাউজিং, যখন প্রদান, কর্মক্ষেত্রে থেকে আলাদা করতে হবে এবং সর্বোপরি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সাপেক্ষে. কারখানার সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

সারাংশ

তবে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য Health এবং পরিবেশ নিরাপত্তা বিশেষ নীতি আরো কিছূ পরিবর্তন হতেও পারে। ঐ সকল নিয়ম-নীতি প্রচলনের সাথে সাথেই আপনাদের অবগতির জন্য আমরা তা নোটিশ আকারে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দিব। Read in English Version

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি  এর সুন্দর বিস্তারিত বর্ণনা

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি এর সুন্দর বিস্তারিত বর্ণনা

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি

পেশাগত স্ব্স্থ্যা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার প্রধান উপাদান হচ্ছে নীতিমালা, পরিকল্পণা প্রণয়ন, সংগঠন ও বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন এবং তা উন্নয়নের জন্যেপ্রচেষ্টা বা ক্রিয়াবলী
কোম্পানী এই নীতিতে বিশ্বাস করে যে, একটা নিরাপদ, স্বাস্খ্যসম্মত ও আরামদায়ক কর্ম পরিবেশ সহনীয় উন্নয়ন এবং উচ্চতর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । কোম্পানীর লক্ষ্য শুধুমাত্র মুনাফা বৃদ্ধি নয় বরং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের ও সামগ্রিক উন্নয়ন । কর্তৃপক্ষ এ জন্যে কর্মক্ষেত্রে সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট এবং কর্মক্ষেত্র  থেকে উদ্ভুত সকল ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি কমাতে সচেষ্ট থাকবে । এভাবে কোম্পানী মানব সম্পদ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়দে কোম্পানী এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হবে । English Version

মৌলিক দায়দায়ত্ব ও কর্তৃত্ব

ব্যবস্থাপনা কারখানা স্তরে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের নেতৃত্ব দেবে । কারখানায় নিরাপত্তা ও স্বাস্থকর কর্ম  পরিবেশ প্রদানের লক্ষ্যেএবং কর্ম সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত সংগঠন নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রদানে কোম্পানী বদ্ধ পরিকর ।

শ্রমিক মালিক পরামর্শ ও সহযোগিতা

অত্র কোম্পানী কার্যকর মতবিনিময় পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক (বা শ্রমিক প্রতিনিধিদের) নিয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংক্রান্ত সকল ধারণা, নীতিমালা, পরিকল্পণা, বিদ্যমান সমঝোতা, প্রক্রিয়া সমূহ নিয়ে পারস্পরিক মতামত আদান-প্রদান ও পরামর্শ শেয়ার করতে চায় । শ্রমিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে নিুলিখিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে কোম্পানী নিবেদিত ঃ

ক) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতন করণ প্রোগ্রাম শ্রমিকদের বিনা খরচে আয়োজন ও প্রদান করা হবে ।
খ) সংশ্লিষ্ট শ্রমিক (প্রতিনিধি)- দের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও পরামর্শ সভার আয়োজন করা হবে ।
গ) স্বাস্খ্য ও নিরাপত্ত্বা সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের তথ্য, নির্দেশাবলী, শ্লোগান, পোস্টার অত্র কারখানায় প্রদর্শন ও প্রচার করা হবে ।
ঘ) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংক্রান্ত কর্ম-পরিকল্পণা  এবং দায়দায়িত্বে শ্রমিকদের অন্তর্ভূক্ত করণ ও দায়িত্বভার প্রদান করা হবে।
ঙ) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারখানা ব্যস্থাপনা ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা কমিটি গঠন করা হবে ।

প্রতিরোধ-মূলক দিক সমূহের উপর গুরুত্বারোপ

কোম্পানী বিশ্বাস করে যে সতর্কতা অবলম্বন হচ্চে নিরাপত্ত্বা বিধানের ভিত্ত্বিমূল । কোম্পানী তাই এজন্যে প্রতিরোধ-মূলক ব্যবস্থাপনার উপর আরো বেশি গুরুত্বারোপ করতে চায় । অত্র কোম্পানী সাধ্যমত চেষ্টা করবে ঃ ক) নিরাপদ মেশিন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে  খ) যথাযথ মেশিন গার্ড প্রদান ও নিরাপদ উৎপাদন প্লান্ট নিশ্চিত করতে গ) শ্রমিকদের বিনা খরচে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত রক্ষা সামগ্রী বা (পিপিই) — প্রদান এবং শ্রমিকদের এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে । (যেমন ঃ মাস্ক, হাতের গ্লভস, কানের ছিপি বা প্লাগ ইত্যাদি) ঘ) ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান সমূহের নিরাপদ পরিবহন, মজুদকরন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে
অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্ত্বার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা ঃ অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থাদিতে আমরা অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক । অগ্নি ঝুঁকি দূর করতে ও অগ্নিদুর্ঘটনা সামাল দিতে নিুলিখিত বিষয়াবলী প্রদান করতে

আমাদের কোম্পানী বদ্ধ পরিকর

ক) সমগ্র বৈদ্যতিক ব্যবস্থাপনার জন্যে পর্যাপ্ত শক্তিশালী ও যথাযথ বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা । অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা কারখানার বৈদ্যিিতক ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ করা ।
খ) পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি-নির্বাপক, অগ্নি নির্বাপনে প্রতিরোধক যন্ত্রপাতি মজুদ ও এগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ।
গ) শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্ত্বা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তাদের সাথে ব্যবস্থাপনার শলাপরামর্শের ব্যবস্থা
ঘ) শ্রমিকদের মাঝে অগ্নি নিরাপত্ত্বার দায়িত্ব বন্টন ও দায়িত্ব অর্পণ ।
ঙ) যথাযথ মাপের জরুরী নির্গমন পথ ও হাতল যুক্ত সিঁড়িপথ প্রতিবন্ধকতাহীন রয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করণ ।

চ) কারখানায় আকষ্মিক ও নিয়মিত অগ্নি মহড়া চালু রাখা ।

অত্র কোম্পানী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা (ওএসএইস) সংশ্লিষ্ট আইএলও কনভেনশন ও রিকমেনডেশন সমূহের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে । (যেমন ঃ- কনভেনশন ১৫৫, কনভেনশন ১৬১ ইত্যাদি)। কোম্পানী যে কোন ক্রেতার এতদ্ সংক্রান্ত শ্রম কল্যাণকর কোন আচরণ –বিধি বা গাইডলাইনকে স্বাগত জানাবে ।

তথ্য সংরক্ষন ও পর্যালোচনা

অত্র কোম্পানী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা (ওএসএইস) সংক্রান্ত যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংরক্ষণের চেষ্টা করবে । বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে আঘাত বা দুর্ঘটনা, রুগ্ন অবস্থা, পেশাগত রোগ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা বিধি প্রশিক্ষণ, অগ্নি মহড়া, মিটিং ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ করা হবে । অত্র কোম্পানী র ব্যবস্থাপনা সমগ্র পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা কার্যক্রমকে পুনর্বিবেচনা, মূল্যায়ন অনুসন্ধানের চেষ্টা করবে এবং চলমান উন্নয়নের জন্যে সংশোধন মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে ।

স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা Health & Safety সংক্রান্ত নীতিমালা কি?

স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা Health & Safety সংক্রান্ত নীতিমালা কি?

স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

স্বাস্থ্যনীতি (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সপ্তম অধ্যায় ধারা ৭৯-৮৮ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও ও স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্নদিক বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল, ডাক্তারের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও এ্যাম্বুলেন্স এর সুবিধাসহ সকল কারখানা পরিস্কার রাখা, নর্দমা, পায়খানা বা অন্য জঞ্জাল থেকে উত্থিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখা, প্রতিদিন ঝাঁড়– দেয়া, সপ্তাহে অন্ততঃ একবার জীবাণুনাশক ব্যবহার, যথাযথ পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, চুনকাম করা, রং বা বার্নিশ করা, পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচল ব্যবস্থা, যুক্তিসঙ্গত তাপমাত্রা সংরক্ষণ, ধূলা-ময়লা এবং ধোঁয়া বের করে দেয়ার ব্যবস্থা, কৃত্রিম আর্দ্রতা, অতিরিক্ত ভীড় এড়ানো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, আলোকচ্ছতা নিবারণ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা/প্রশ্রাবখানা ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করা, থুথু ফেলার পিকদানির ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে এ অধ্যায়ে বিধান করা হয়েছে। নিম্নে প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Read English Version

ক) প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ

ফ্যাক্টরীতে প্রতি ১৫০ জন শ্রমিকদের জন্য একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকবে। এবং প্রতিটি বাক্সে নিম্ন লিখিত ঔষধ/দ্রব্যাদি মজুদ থাকবে ঃ
প্রতিটি ফাস্ট এইড বাক্সে উল্লেখিত ঔষধ পত্রের সাথে তাদের ব্যবহার বিধি লেখা থাকবে। প্রতিটি বাক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসায় পারদর্শী কমপক্ষে ২জন শ্রমিকের নাম ও চবি বাক্সের উপরে / সুবিধাজনক স্থানে প্রদর্শিত হবে। ফ্যাক্টরীতে যে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।

খ) ডাক্তার হাসপাতাল ও এম্বুল্যান্সের সুবিধা ঃ ফ্যাক্টরীতে কাজ চলা কালীন একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিকভাবে ফ্যাক্টরীর এম. আই রুমে অবস্থান করবেন। এই সময়ে যে কোন শ্রমিক ডাক্তারের পরামর্শের জন্য তার শরানাপন্ন হতে পারবে এবং বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। বিশেষভাবে অসুস্থ্য রোগীদের অধিকতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাহাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শমত হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এ জন্য কারখানায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং প্রাথমিক স্বস্থ্য সেবা কর্মী রয়েছে। অসুস্থ শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে এ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ফ্যাক্টরীর গাড়ী এ্যাম্বুলেন্সের কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

গ) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ কারখাণা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জঞ্জাল থেকে উত্থিত দুষিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক ঃ
১) কারখানা ঘরের মেঝে, চলাচলের পথ, সিঁড়ি, বসার বেঞ্চ, কাজ করার কামরা প্রতিদিন ঝাঁড়– দিয়ে বা অন্য উপায়ে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) কারখানার মেঝে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার পানি দিয়ে অথবা প্রয়োজনবোধে জীবাণুনাশিক ঔষধ মিশায়ে ধুতে হবে অথবা অন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবাণূমুক্ত করে তা পরিস্কার করতে হবে।
৩। কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে মেঝেতে যদি পানি জমে যায় তাহলে তা নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ঃ
৪) কারখানার ভিতরের দেয়াল, সিলিং বা ভেতরের ছাদ, সিঁড়ি ও যাতায়াতের পথ নিম্নোক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ঃ
ক) রং বা বার্নিশ করা থাকলে পাঁচ বছির পর পর পুনঃ রং বা বার্নিশ করা।
খ) রং এবং বার্নিশ করা থাকলে এবং বহির্ভাগ মসৃণ ও উন্নত থাকলে প্রতি ১৪ মাসে একবার নির্ধারিত উপায়ে পরিস্কার করা।
গ) চুনকামের ক্ষেত্রে চৌদ্দ মাস পর পর চুনকাম বা রং করতে হবে।
ঘ) এ সকল কাজ যে তারিখে করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট রেজিস্টারের লিপি বদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

ঘ। বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও তাপমাত্রা ঃ
১) কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচলের ব্যবস্থা হিসাবে কারখানার জানালা খোলা রাখা।
২) শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দে থাকার উপযোগী তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা।
৩) কাজের ঘরের ছাদ এবং দেয়াল এমনভাবে তৈরী করা যাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
৪) যেখানে বিশেষ ধরণের কাজের ফলশ্র“তিতে মাত্রাতিরিক্ত তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে সেখানে এমন কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে কাজের ঘর থেকে গরম বাতাস বের হয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য উপযোগী স্বাভাবিক আবহাওয়া বজায় থাকে।
৫) কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কারখানার প্রতি ফ্লোরে তাপমান যন্ত্র স্থাপন করা।

ঙ। ধুলোবালি ও ধোঁয়া
১) কারখানায় বিশেষ ধরণের পণ্য উৎপাদন পদ্ধতির কারণে, যদি ধূলা-ময়লা জমা হয় বা ধোঁয়া বের হওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, তা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিবেশ  জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তবে উক্ত ধুলা ময়লা জমা হওয়ার বা ধোঁয়া বের হওয়ার প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) কারখানায় আবহাওয়া দুষিত করার মত যন্ত্র কেবল খোলা জায়গায় চালাতে হবে এবং উক্ত যন্ত্র ফ্লোরের ভেতরে যাতে আবহাওয়া দূষিত করতে না পারে সেজন্য সুষ্ঠু কার্যকর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চ) অতিরিক্ত ভীড় ঃ কারখানায় কোন কাজের ফ্লোরে নিযুক্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন ভীড় হতে পারবে না এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় প্রতি অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করে বা চলাচল করে, সেখানে পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা এবং তা সংরক্ষণ করা।
২। কারখানায় প্রতিটি ফ্লোরে আলো বাতাস ঢোকার জন্য ব্যবহৃত কাঁচের স্বচ্ছ জানালার ব্যবস্থা রাখা।
৩। আলোর উৎস থেকে সরাসরি উৎসারিত চোখ ঝলসানো আলোকচ্ছটা এবং শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে বা দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে এমন অবস্থা থেকে কাজের জায়গাকে মুক্ত রাখা

জ। পানীয় জল ঃ
১। প্রত্যেক কারখানায় নিযুক্ত শ্রমিকদের পান করার জন্য সুবিধাজনক যথোপযুক্ত নির্দিষ্ট জায়গায় সর্বক্ষণ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সে ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
২। পানীয় চল রাখার প্রত্যেকটি জায়গায় অধিকাংশ শ্রমিকদের বোধগম্য ভাষায় পানীয়জল কথাটি লিখে রাখা এবং উক্ত স্থানের ২০ ফুটের কম দূরত্বের মধ্যে কোন ধৌতগার, প্রশ্রাবখানা বা পায়খানা না থাকা নিশ্চিত করা।

ঝ। পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ
১)শ্রমিকগণের জন্য কারখানায় সকল সময়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা।
২) পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য পুথক পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রাখা।
৩) কারখানায় অবস্থিত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা যথোপযুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানূনাশক দিয়ে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৫। কারখানায় পুরুষ কর্মচারীর সংখ্যা ১০০ এর চেয়ে বেশি হলে প্রথম ১০০ জন পর্যন্ত প্রতি ২৫ জনের জন্য একটি করে এবং পরিবর্তী প্রতি ৫০ জন বা অংশবিশেষ এর জন্য একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি ২৫জন মহিলার জন্য কমপক্ষে একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে।

ঞ। পিকদানি ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা এবং তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
২) কোন ব্যক্তি কারখানার পিকদানি ছাড়া কারখানার আঙ্গিনার মধ্যে থু থু ফেলবেন না। এ বিধান সম্পর্কে এবং এর লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার ভেতরে উপযুক্ত স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টানিয়ে রাখা।
২৮। পরিবেশগত নিরাপত্তা ঃ পোশাক শিল্পের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে ছোট, মাঝারী কিংবা বড় ফ্যাক্টরী। উক্ত ফ্যাক্টরীতে এক নাগাড়ে ৮-১০ ঘন্টা বিরামহীনভাবে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কাজের পরিবেশ ভাল হলে শ্রমিকদের মন-মানসিকতা ভাল থাকবে এবং উৎপাদন ভাল হবে। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় না রাখতে পারলে শ্রমিকদের অসুখ-বিসুখের কারনে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যহত হতে পারে। তাই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর জন্য সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ঃ
ক) কর্মস্থল ঃ এমন হতে হবে যাতে শ্রমিকদেরকে ঘেষাঘেষি করে বসতে না হয়। ইউনিট এলাকার মধ্যে পানি কিংবা পিচ্ছিল পদার্থ যাতে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

খ) টয়লেট-এর মান ঃ শ্রমিকদের (পুরুষ ও মহিলাদের) জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট থাকতে হবে এবং প্রতিদিন পরিস্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চেক লিষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে।
১) পানির কল সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা।
২) ভাঙ্গা পানির কল মেরামত করে পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
৩) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা।
৪) পানির ব্যবস্থা থাকা।
৫। ফ্ল্যাশ কাজ করা।
৬। পানির টেপ লিক না করা।
৭। আলো এবং বাতাসের ব্যবস্থা থাকা।
৮। দরজা সঠিকভাবে বন্ধ হওয়া।
৯। মেয়েদের টয়লেটে ঢাকনা ওয়ালা ঝুড়ির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১০। প্রতিটি টয়লেটে সাবান, তোয়ালে, সেন্ডেল মওজুদ রাখা।
১১। অপ্রয়োজনীয় মালামাল না রাখা।
১২। মাকড়সার জাল না থাকা।

গ। আলো বাতাস ঃ স্বাভাবিক আলো ছাড়াও প্রতিটি কর্মস্থলে যথেষ্ট বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা থাকা বাঞ্চনীয়। কোনভাবে স্বল্প আলো দ্বারা কাজ করানা যাবে না। ফ্লোরে বাতাস চলাচলের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে জাতে স্বাস্থ্য পরিবেশ ভালো থাকে।
ঘ। তাপমাত্রা ঃ কর্মস্থলে কোনভাবেই অসহনীয় তাপমাত্রা যাতে না থাকে সেজন্য অতিরিক্ত ফ্যান/ব্লোয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে কোন পার্শ্বে রৌদ্রের আলো পড়ে তাপমাত্রা যাতে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি না হতে পারে সে জন্য প্রয়োজনে কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে হবে।
ঙ। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ ইউনিট/ফ্লোরে ধুলা বালি যাতে না থাকে সেজন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে যাতে চলাচলে কোন বিঘœ সৃষ্টি করতে না পারে। দেওয়ালের কোন স্থানে স্যাঁতসেতে হয়ে গেলে যথাসময়ে চুনকাম করতে হবে।
চ। বিশুদ্ধ খাবার পানি ঃ প্রতিটি ইউনিট/ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে রাখা পানির ট্যাঙ্ক এ বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখা জরুরী। প্রত্যেক শ্রমিক যাতে নিজস্ব বোতলের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ছ। শব্দ নিয়ন্ত্রণ ঃ ইউনিট/ফ্লোরে সকলে একসাথে কথা বলতে শুরু করলে অথবা মেশিনে বেশী শব্দ সৃষ্টি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
জ। ধুমপান নিষিদ্ধ ঃ পোশাক শিল্পের ফ্যাক্টরী-ইউনিট চৌহদ্দির ভিতরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষিত। এর পরও কোনভাবেই যাতে এর লঙ্ঘন না হয় ইউনিট পর্যায়ে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
ঝ) পানি নিস্কাশন ঃ বৃষ্টির পানি কিংবা পাইপ থেকে নির্গত পানি যাতে কোন স্থানে জমা হয়ে প্লাবিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বিদ্যমান ড্রেন বা পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাকে সর্বদা পরিস্কার করে চালু রাখতে হবে।

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা কি ও কেন?

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা কি ও কেন?

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা

কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি থাকবে। কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ, পরিপূর্ণ, গঠনমূলক ও বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হল। পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে ।পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে । …

নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে :-

অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশকে সুন্দর ও সুশৃক্ষল রাখতে বদ্ধপরিকর।কারখানার অভ্যন্তরে দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ যাতে ঝূঁকিমুক্ত ও সাবলীল থাকে তার নিমিত্তে একটি আদর্শ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

০১. আমরা পরিবেশ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট নীতিমালা এবং আইন কানুন প্রয়োগ নিশ্চিত করি ;
০২. প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি ব্যবহার এবং বর্জ্য নির্গমনের ক্ষেত্রে পরিবেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকি ;
০৩. উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক কর্মচারী, সরবরাহকারী এবং অংশীদারদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করি ;
০৪. পরিবেশ দূষন প্রতিরোধে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ;
আমরা বর্জ্য পদার্থ পুন:প্রক্রিয়াকরনকে উৎসাহিত করি এবং পরিবেশ দূষন করে এমন পদার্থ ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করি ;
আমরা পরিবেশগত কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষন ও উন্নয়নের ব্যবস্থা করি ।

১।    পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির কাঠামো

এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান তার কর্মীদের দ্বারা এই আদর্শ কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়ন করে থাকেন।এই জন্য এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রত্যেক ব্যক্তিই দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন।

ক)   কমিটি কাঠামো হবে নিুরূপ

১.    সভাপতি                ০১ জন

২.    সম্পাদক                ০১ জন

৩.    সমন্বয়কারী              ০১ জন

৪.    প্রশিক্ষক                ০২ জন

৫.    কার্যকরী সদস্য

  • ইলেকট্রিকেল টিম ।
  • সিকিউরিটি ইনচার্জ।
  • মেইন্টেনেন্স দল।
  • নার্স/ফিজিশিয়ান।
  • ফায়ার সেফটি অফিসার।
  • স্টোর ইনচার্জ।
  • শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্য।

খ)  সর্বমোট ০৫ (পাঁচ) জন কর্মকর্তা পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রত্যেক মাসে এইচ.আর.কমপ্লায়েন্স ও এডমিন বিভাগের সম্বন্বয়ে একটি অডীট বা নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই নিরীক্ষন শেষে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়। 

গ) কারখানার জিএম (এডমিন) পদাধিকার বলে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি এর দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবেন। সহঃ ম্যানেজার (এইচ আর এন্ড কমঃ) কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন এবং কমপ্লাায়েন্স অফিসার এবং ওয়েলফেয়ার অফিসার কমিটির সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ঘ) অন্যান্য উল্লেখিত সেকশনের সদস্যবৃন্দ এবং শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্যগন কমিটির কার্যকরী সদস্য পদে নিযুক্ত থাকবেন

ঙ) পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি নিজ ক্ষমতাবলে, কমিটির কার্যক্রম অধিকতর বেগবান, গঠনমূলক ও সচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটির কাঠামোতে যে কোন পরিবর্তন বা যে কোন পদের রদবদল করতে পারবেন।

২।    প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ শ্রমিকদের কর্ম এলাকা পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে নিুলিখিত বিষয় সমুহ যথাযোগ্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।

ক)   সভাপতি ঃ

সভাপতি এই কমিটির বাজেট প্রদান করার ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের যে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি বিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব আইনানুগ সমাধান করবেন।

খ)   সম্পাদক ঃ

শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই তার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তার আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সমন্বয়কারী এবং সদস্যদের নিকট হতে প্রাপ্ত যেকোন সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। সমন্বয়কারী যেকোন সময় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন।

গ)   সমন্বয়কারী ঃ

সমন্বয়কারী বিভিন্ন সদস্য সেফটি টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সাথে সার্বক্ষনিক ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য সমন্বয় এবং আদান প্রদান করবেন। প্রতিমাসে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন।

 

ঘ)   প্রশিক্ষক ঃ

প্রশিক্ষন দল প্রতি মাসে একবার সকল ঊঐঝ সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরন এবং নামের তালিকাসহ প্রশিক্ষন করাবেন।

ঙ)   সদস্যদের দায়িত্ব ঃ

প্রত্যেক সপ্তাহান্তে এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার/পর্যবেক্ষকের কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণ অঞ্চলও পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর দ্বারা কর্মপরিবেশে নিরীক্ষণের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। কমিটির প্রতিটি সদস্য তার নিজনিজ কর্ম এলাকার পেশাগত ঝুকি নিরুপন করবেন। কোন শ্রমিক পেশাগত ব্যাধি বা ব্যাক্তিগত সমস্যায় আক্রান্ত হলে তা সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। প্রতিটি সদস্য ফ্যাক্টরীর ঝুকিপূর্ন স্থান সমূহ চিহ্নিত করে কমিটির সমন্বয়কারী অথবা সরাসরি ঊঐঝ সভাপতিকে রিপোর্ট প্রদান করবেন। ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকদের পানি, শব্দ, বায়ু দূষন সর্ম্পকে সচেতন করবেন।

৩।   পবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভা ঃ পরস্পর মত বিনিময়, গঠনমূলক আলোচনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক যে কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।

ক)   মাসিক সাধারণ সভা ঃ প্রতি মাসে একবার পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির সমন্বয়কারী সভার জন্য নির্ধারিত দিনের অন্তঃত ০৩ (তিন) দিন আগে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে ত্রৈমাসিক সভা আহবান করবেন।

খ)   বিশেষ সভা ঃ কোন বিশেষ প্রয়োজনে কিংবা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পুর্বে কমিটির সভাপতি/সম্পাদক/ সমšা^য়ক তাৎক্ষণিকভাবে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে বিশেষ সভা আহবান করতে পারেন।

৪।  দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে সংশোধনীমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সমস্যা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংশোধনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবগত করা হয় এবং সম্ভাব্য তারিখও বিবেচনা করা হয়।  সভার আলোচ্যসূচী নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত সমুহ প্রকাশ করণ

ক)   মাসিক সাধারণ সভা শুরু হওয়ার পূর্বে সভাপতির অনুমোদনক্রমে কমিটির সমন্বায়ক কমিটির সকল সদস্যের নিকট আলোচ্যসূচী আহবান করবে।

খ)  সুস্থ কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে কমপ্লায়েন্সের সকল বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে পর্যবেক্ষণের একটি তালিকাকে অনুসরণ করা হয়। কমিটির সদস্যগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত বিষয় সমুহ থেকে আলোচ্যসূচীর একটি সমন্বিত তালিকা তৈরি করতে হবে

গ)   সভা অনুষ্ঠিত হবার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সকল সদস্যকে দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে অবহিত করতে হবে এবং সাধারণ শ্রমিকদের অবগতির জন্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।

পরিশেষ

পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা -দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ কারখানাকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার উক্ত তিনটি অঞ্চল দৈনিক নিরীক্ষণ করে থাকেন।