Select Page

HR Solutions হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার

HR Solutions হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট

আমরা সব ধরনের HR Solutions হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার বিক্রি করি। আবার কিছু কিছু সফটওয়্যার ফ্রী সরবরাহ করি। সফটওয়্যার পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গুলো কি কি?

পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা গুলো কি কি?

পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা

পরিবহন ব্যবস্থাপনা যে কোনো উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য সুষ্ঠ পরিবহন ও বিপনন, কাচামাল সরবরাহকরণ থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের মালামাল পরিবহন এবং উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সুন্দর কর্মপরিবেশের অংশ হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠান একটি পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতি প্রনয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই প্রতিফলন স্বরূপ পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতি অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্্রমিকদের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হইল। এখানে উলে¬খ্য যে, এই পরিবহন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতি পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।

এই পরিবহন ব্যবস্থাপনা নীতি দুটি অংশে বিভক্ত থাকিবে, যথাক্রমেঃ 

১।পণ্য, কাচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি পরিবহন।

২।উৎপাদনের স্বার্থে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্্রমিকদের আনা-নেওয়া বিষয়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা। 

পণ্য, কাচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি পরিবহন

  • রপ্তানি পণ্য সবসময় কাভার্ড ভ্যান কিংবা কন্টেইনারে পরিবাহিত হইবে।
  • রপ্তানি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে লোডিং থেকে শুরু করে পণ্য বের হওয়া পর্যন্ত সার্বিক দায়িত্বে থাকিবে কমার্শিয়াল বিভাগ।
  • কাভার্ড ভ্যান বা কন্টেইনার ”ব্যবস্থাপনা প্রশাসন” বিভাগের অন্তর্গত।
  • কাভার্ড ভ্যান বা কন্টেইনারের পণ্য লোডিং হইতে শুরূ করে বের হওয়া পর্যন্ত এবং গেইট ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে নিরাপত্তা বিভাগ অবশ্যই কার্টুন বা অন্যান্য পণ্যের লট (খড়ঃ) গননা করিবে এবং সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট অবহিত করিবেন। অতঃপর সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিবর্গ গেইট ছাড়পত্রে স্বাক্ষর পূর্বক উর্ধঃতন কর্মকর্তার অবগতি ও স্বাক্ষরের পর পণ্যবাহী গাড়ী ফ্যাক্টরী গেইট অতিক্রম করিবে।
  • কাচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সরবরাহকারী তাহাদের নিজস্ব পরিবহনে কাচামাল সরবরাহ করিবেন। একই সঙ্গে সরবরাহকৃত মালের স্বাক্ষরিত চালান গেইটে নিবন্ধন পূর্বক ষ্টোরে জমা দিবেন। গেইটে নিরাপত্তাকর্মী পণ্য বা মাল গগণা পূর্বক চালানের সাথে মিলাইবেন এবং নিবন্ধন করিবেন।
  • যে সকল সরবরাহকারী তাহাদের পণ্য বা মাল নিজস্ব পরিবহনে পৌছাবেন না, তাহারা অত্র ফ্যাক্টরীর কাভার্ড ভ্যান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভাড়াকৃত গাড়িতে পন্য বা মাল সামগ্রী মিলে পৌছাবেন এবং একই সংগে একই নিয়মে নিরাপত্তা কর্মী গননা পূর্বক চালান নিবন্ধিত করিবেন এবং ষ্টোর কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিবেন। এখানে উল্লে¬খ্য যে, ভাড়াকৃত গাড়ির ভাড়া অতি শীঘ্রই অর্থ ও হিসাব হইতে নির্দিষ্ট ভাউচারের মাধ্যমে প্রদান করিতে হইবে। ভাউচারে অবশ্যই কি ধরণের মাল বা পন্য পরিবাহিত হইয়াছে এবং উৎসস্থল ও গন্তব্য উল্লে¬খ থাকিতে হইবে।
  • প্রতিষ্ঠান হইতে রপ্তানী পন্য ব্যতীত যে কোন ধরণের মালামাল, যেমন- সাইজিং সুতা, কেমিক্যালস্ বা অন্য কোন পন্য ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তর হইতে বাহিরে নিতে হইলে অবশ্যই গেইট ছাড়পত্র ও চালান দেখাইতে হইবে। চালান এবং গেইট ছাড়পত্রে নির্দিষ্ট বিভাগীয় প্রধান,ষ্টোর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন বিভাগের অবগতির স্বাক্ষর থাকিতে হইবে। আরও উল্লে¬খ্য যে চালান পত্র ও গেট ছাড়পত্রে কি উদ্দেশ্যে, কত পরিমান পন্য, গন্তব্য সহ উল্লে¬খ থাকিতে হইবে।
  • প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের স্বার্থে যে কোন ধরণের ভাড়াকৃত বাহনের ভাড়া দ্রæত নির্দিষ্ট ভাউচারের মাধ্যমে উৎস, গন্তব্য, পন্যের ধরণ ও পরিমান উল্লেখ পূর্বক পরিশোধ করিতে হইবে।

কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্্রমিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা

  • প্রতিষ্ঠান মালিক তার বিবেচনা মোতাবেক নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিবহনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গাড়ী প্রদান করিতে পারিবেন।
  • নিজস্ব দায়িত্বে প্রাপ্ত গাড়ীর জ্বালানী খরচ বাবদ প্রদানকৃত নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হইবে।
  • কর্মকর্তাদের বরাদ্দকৃত গাড়ী চালানোর জন্য প্রত্যেক গাড়ীপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একজন ড্্রাইভার প্রদান করা হইবে, যার সার্বিক দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের নিকট থাকিবে।
  • নিয়োগকৃত ড্্রাইভারদেরকে কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মকর্তার গাড়ী পরিচালনা করিতে হইবে।
  • যে কোনো ধরনের অনাহুত পরিস্থিতিতে, যেমন – দূর্ঘটনায় গাড়ীপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ড্্রাইভার উভয়ই মুখপাত্রের ভুমিকায় থাকিবেন।
  • প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাসগুলো কর্মকর্তাদের আনা-নেয়াসহ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হইবে।
  • সর্ব সময়ের জন্য একটি মাইক্রোবাস জরুরী প্রয়োজনের তাগিদে ফ্যাক্টরী অভ্যন্তরে অবস্থান করিবে।
  • প্রতিষ্ঠানের কোন মাইক্রোবাস কেহ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করিতে পারিবে না।
  • কোন বিভাগের/ব্যাক্তির গাড়ির প্রয়োজন হইলে (গাড়ি প্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতিত) নির্র্র্র্র্র্র্র্র্র্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে প্রশাসন বিভাগকে অবগত করিবেন এবং প্রশাসন বিভাগ প্রয়োজনীতা ও প্রাচুর্যতা ভিত্তিতে গাড়ি প্রদান করিবেন।
  • সকল গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের । প্রতি ৫০০০ কিলোমিটার চালানোর পর প্রত্যেকটি গাড়ি রেগুলার সার্ভিসিং-এ যাইবে।
  • প্রত্যেকটি গাড়িতে একটি করে লগবুক থাকিবে। যেখানে পূর্ববর্তী সার্ভিসিং হইতে কত কিলোমিটার চালানো হইয়াছে তাহার রেকর্ড থাকিবে। এবং সেই রেকর্ড মোতাবেক গাড়ি সার্ভিসিং-এ পাঠানো হইবে। এখানে উলে¬খ্য যে, প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাস ( কোম্পানীর কাজে নিয়োজিত ) এর লগবুকে কিলোমিটার, গন্তব্য ও উদ্দেশ্য সহ পরিবাহিত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর থাকিতে হইবে।
  • যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোম্পানীর গাড়িতে যাতায়াত করেন, রেগুলার সার্ভিসিং বা গাড়ি ওর্য়াকশপে থাকাকালীন সময়ে তাহারা নিজ দায়িত্বে যাতায়াত করিবেন। কর্তৃপক্ষ এই সময়ে গাড়ি দিতে বাধ্য থাকিবেন না।
  • কর্র্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিবর্গই শুধু গাড়ি ব্যবহার করিবেন। অন্য কেউই গাড়িতে যাতায়াত করিতে পারিবে না। এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট গাড়ির ড্রাইভার তাহাদের নিজ নিজ পরিচালিত গাড়ির জন্য সজাগ থাকিবেন।
  • গাড়িতে আসন ফাঁকা থাকিলে অমনোনীত ব্যক্তিরা যাতায়াত করিতে পারিবেন। সেইক্ষেত্রে মনোনীত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সর্বোচ্চ পদস্থ এর মতামত অনুসারে চলিবে।
  • ফ্যাক্টরীর বাহিরে গাড়ি চলমান অবস্থায় গাড়িতে উপস্থিত সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক চলিবে এবং তিনি-ই চলমান গাড়ির সার্বিক দায়িত্বে থাকিবেন।
  • গাড়ির যে কোন জরুরী প্রয়োজনে ওর্য়াকশপে যেতে পারিবে এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি যত দ্রæত সম্ভব এই ব্যপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে।
  • প্রত্যেক গাড়ির ড্রাইভার তাদের গাড়ির কাগজাদি সবসময় আপ-টু-ডেট রাখিবে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই ড্রাইভারগণ তাহদের কাগজাদির ব্যাপারে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করিবে। এবং প্রশাসন বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
  • প্রত্যেক গাড়ির ড্রাইভার নিজ নিজ গাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবে। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবে।
  • কোম্পানীর প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য কোম্পানী কর্তৃক মনোনীত ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে গাড়ির ইনস্যুরেন্স করিবেন।
  •   ঢাকা  থেকে ফ্যাক্টরিতে আসার সময় সূচি হল সকাল – ৬.৩০ মিনিট । 

          ফ্যাক্টরি  থেকে ঢাকা যাবে সন্ধ্যা – ৬.৩০ মিনিট ।

         

  বিঃ দ্রঃ যদি কোন ধরনের জরুরি কাজের ক্ষেত্রে বা কোন ধরনের দূর্ঘটনা বা বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সময় সূচি পরিবর্তন হইতে পারে ।

এই নীতিমালার অধীনে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হইবে। পরিবহন ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনার তাগিদে একজন পরিবহন কর্মকর্তা থাকিবেন, যিনি সরাসরি প্রশাসন বিভাগের অন্তর্গত এবং অত্র নীতিমালার আলোকে পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হইবে

সমিতি গঠন সাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষির নীতিমালা এর বর্ণনা

সমিতি গঠন সাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষির নীতিমালা এর বর্ণনা

লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য (Aim & objective)

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর  ধারা-২০৫ অনুযায়ী অনূন্য ৫০ জন শ্রমিক সাধারনত: কর্মরত আছেন এরুপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় তাহার প্রতিষ্ঠানে একটি অংগ্রহনকারী কমিটি গঠন করিবেন। সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষি নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন স্বীকৃত এবং শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতারএকটি প্রক্রিয়া। শ্রমিকদের যেকোন অধিকার সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সচেতন। শ্রমিক ও মালিকের অংশগ্রহনের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই নীতিমালা প্রনীত। এ নীতিমালার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে মজুরী কাঠামো, কর্মঘন্টা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অভিযোগ পদ্ধতি এবং অধিকার সমূহ নির্ধারিত হয়।

The organization or person responsible for implementing the policy

উল্লেখিত নীতিমালাটি প্রনোয়ন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগের জন্য একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করতে হবে । পরিষদটির গঠন প্রণালী নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

অংশ গ্রহণ কমিটি

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর  ধারা-২০৫ অনুযায়ী অনূন্য ৫০ জন শ্রমিক সাধারনত: কর্মরত আছেন এরুপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের মালিক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় তাহার প্রতিষ্ঠানে একটি অংগ্রহনকারী কমিটি গঠন করিবেন। এ কমিটি মালিক ও শ্রমিকগনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হবে। কমিটিতে শ্রমিকগনের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যার কম হইবেনা। শ্রমিকগনের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের মনোনয়নের ভিত্তিতেদ নিযুক্ত হইবেন। সংশিÍস্ট প্রতিষ্ঠানের যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়ন সম সংখ্যক প্রতিনিধি মনোনীত করিবে এবং যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি এমন সংখ্যক প্রতিনিধি মনোনীত করিবে যাহা অন্য ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের মোট মনোনীত প্রতিনিধিগনের অপেক্ষা একজন বেশী হয়। উল্লেখ্য যে, যেসকল প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নাই, সে সকল প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনকারী কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধিগন উহাতে কর্মরত শ্রমিকের মধ্য হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পন্থায় মনোনীত হতে হবে।

অংশ গ্রহণ কমিটির কাজ

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর  ধারা-২০৬ অনুযায়ী অংমগ্রহনকারী কমিটির কাজ হইবে প্রধানত: প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিক এবং মালিক সকলেরই অঙগীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগনের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা ।

  • শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পারিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমজোতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস বা প্রচেস্টা চালানো
  • শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা
  • শৃঙ্খলাবোধে উৎসাহিত করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্যরক্ষা এবঙ কাজের অবস্থার উন্নাত বিধান।
  • বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষন, শ্রমিক শিক্সা এবং পরিবার কর‌্যাণ প্রশিক্সনে উৎসাহিত করা।
  • শ্রমিকদের ও পরিবার বর্গের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • উৎপাদন লক্স্যমাত্রা অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস

অংশ গ্রহণ কমিটির সভা

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর  ধারা-২০৭ অনুযায়ী  দারা ২০৬ এর অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা ও তৎসম্পর্কে আলোচনা ও মত বিনিময়ের জন্য অংশগ্রহনকারী কমিটি প্রতি তিন মাস অন্তত একবার সভায় মিলিত হবে।

ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি

অংশ গ্রহণ কমিটির অবর্তমানে সরকার/আইএলও/বিজিএমইএ এর অনুমোদন সাপেক্ষে গ্র“পের কোন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করে উপরোক্ত কার্য পরিচালনা করতে পারে।অত্র কারকানায় উল্লেখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ অংশগ্রহনকারী কমিটি বিদ্যমান।

সংগঠক

শ্রমিকদের যেকোন অধিকার এবং দায়িত্ত সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সচেতন। আর সে লক্ষ্যেই এই নীতিমালাকে কার্যকরী রুপদানের জন্য একটি সংগঠক কমিটি অত্র কারখানায় সক্রিয়, যেখানে শ্রমিক ও মালিকের উপস্থিতি বিদ্যমান।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি

এই নীতিমালার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিক এবং মালিক উভয়েই দায়িত্ব নিয়ে কার্যক্রমকে সফল করার চেষ্টা করেন।

The routines/ procedure for implementation of the policy

শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ অনুসারে,  নিম্নলিখিত ভাবে সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ও দরকষাকষি নীতি মেনে চলে।

নীতিমালা বিবরনী

ট্রেড ইউনিয়ন গঠরেনর যে কোন উদ্যোগ অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ সমর্থন দান করে। কোন প্রকার পূর্ব অনুমতি ছাড়াই সকল শ্রেণীর শ্রমিক নিজেদের পছন্দমত সমিতি গঠন এবং সমিতিতে যোগদান করতে পারবে। সমিতিসমূহ নিজস্ব সংবিধান এবং বিধিমালা প্রণয়ন,স্বাধীনভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন, কর্মতৎপরতা পরিচালনা ও কর্মসূচী প্রনয়ণ করতে পারবে। তবে অরেজিষ্ট্রিকৃত অথবা রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হয়েছে এমন কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যরা কাজ চালাতে পারবে না। কোন শ্রমিক একই সময়ে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য পদ গ্রহণ বা সদস্যপদ অব্যহত রাখতে পারবে না।

কর্তৃপক্ষের বাধ্যবাধকতা

  •  কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তির উপর ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের বা ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যপদ বহাল রাখার  অধিকার হরন করে কোন শর্ত আরোপ করার তৎপরতা চালায় না।
  •  কোন ব্যক্তি কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য আছেন কিনা তার ভিত্তিতে চাকুরীতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকুরীর শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারনে বৈষম্য করে না।
  •  কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হয়েছেন বা হবার ইচ্ছা পোষন করেছেন অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হবার জন্য কোন ব্যক্তিকে সম্মত করার চেষ্টা করেছেন বা কোন ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের, উন্নয়ণের বা কর্মতৎপরতা চালানোর জন্য কোন শ্রমিককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত, পদচ্যূত বা অপসারনের হুমকি কিংবা চকুরী ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি প্রদান করে না।
  • কোন ব্যক্তিকে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা না হবার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হয়ে থাকলে তা বর্জনের জন্য প্রলোব্ধ করার প্রক্রিয়া চালায় না।
  •  ভীতি প্রদর্শণ, দমন নীতি, চাপ প্রয়োগ অথবা আহত করে কোন শ্রমিককে কোন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয় না।
  • নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষ কোনরূপ হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার করার ইচ্ছা পোষণ করে না।
  •  বৈধ ধর্মঘট চলাকালীণ সময়ে কর্তৃপক্ষ নতুন কোন শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবে না।

শ্রমিকদের বাধ্যবাধকতা

  • কাজ চলাকালীণ সময়ে কোন শ্রমিককে ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের জন্য বা যোগদান থেকে বিরত থাকার জন্য সম্মত করার চেষ্টা করা যাবে না।
  • ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হবার জন্য বা বিরত থাকার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল থাকা বা না থাকার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।
  •  ভীতি প্রদর্শন, দমন নীতি, চাপ প্রয়োগ, আটক রেখে অথবা আহত করে কোন শ্রমিককে ট্রেড ইউনিয়নের চাঁদা দিতে বা বিরত থাকতে ও মালিককে কোন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাথ্য করা যাবে  না।
  •  কোন শ্রমিক ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে কোন ট্রেড ইউনিয়ন কোনরূপ হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন

নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন একটি বড় বিষয়।আরএ কাজের জন্য অত্র কারখানায় যে সকল পদক্ষেপ গৃহিত হয় তা হলো-মাসিক মিটিং, কারখানার বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড,সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি।

ফিডব্যাক/ নিয়ন্ত্রন

সমিতি গঠনের স্বাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষি নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন স্বীকৃত একটি প্রক্রিয়া বলেই কর্তৃপক্ষ এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিক ও মালিক কর্তৃপক্ষ উবয়কেই সমভাবে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে উৎপাদনে গতিশীলতা, উন্নতি,অগ্রগতি বিদ্যমান থাকে। এর পরেও যদি পলিসির কার্যক্রম ভঙ্গের কোন ঘটনা ঘটে তাহলে মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক/ নির্বাহী পরিচালক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল

কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কোম্পানীতে যে সকল নীতিমালা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি নীতিমালা হচ্ছে ”যৌথ দরকষাকষি ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতা”। এই নীতিমালা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়েছে।

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করে।

উপসংহার

সকল ইউনিটের কর্মরত সকলের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস, শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং শ্রম আইনের প্রতি উভয় পক্ষকে শ্রদ্ধাশীল রাখার মানসেই অত্র কারখানায় যৌথ দর কষাকষি নীতিমালা বিরাজমান।

সিভিল মামলা ও ওয়ারিশ বেড় করার নিয়ম কানুন

জমির ওয়ারিশ বেড় করার নিয়ম কানুন এবং মামলার ধারা

প্রশ্নঃ দোয়ানা বেড় করার নিয়ম ও হিসাব কি?

উত্তরঃ মোট সম্পত্তিকে ৮ দিয়া ভাগ দিলে দোয়ানা বেড় হবে।

যেমন- ১০২ ডিসমল এর দুয়ানা = ১০২/৮ = ১২.৭৫।
৫৪ ডিসমল এর দুয়ানা = ৫৪/৮ = ৬.৭৫।
৬০ ডিসমল এর দুয়ানা = ৬০/৮ = ৭.৫।
৪৫ ডিসমল এর দুয়ানা = ৪৫/৮ = ৫.৬৩।
১০২ ডিসমল এর দুয়ানা = ১০২/৮ = ১২.৭৫।

প্রশ্নঃ একটি নতুন পর্চায় একজনের জমির অংশ কিভাবে বেড় করতে হয়?

উত্তরঃ একটি জমি যদি ৫৪ ডিসমল হয়, আর ওখানে যদি একজন মালিক ১২ ডিসিমল পায়, তাহলে ১২ কে ১০০০ দিয়ে গুন করে মোট জমি ৫৪ দিয়ে ভাগ দিলে পরচার অংশ বেড় হয়ে যাবে।

অতেব ৫৪ শতাংশে ১২ শতাংশ = ১২*১০০০/৫৪ = .২২২
অতেব ৫১ শতাংশে ২২ শতাংশ = ২২*১০০০/৫১ = .৪৩২
অতেব ৪৫ শতাংশে ১০ শতাংশ = ১০*১০০০/৪৫ = .২২২

একটি জমি যদি ৫৪ ডিসমল হয়, আর ওখানে যদি একজন মালিক ১২ ডিসিমল পায়, তাহলে ১২ কে ১০০০ দিয়ে গুন করে মোট জমি ৫৪ দিয়ে ভাগ দিলে পরচার অংশ বেড় হয়ে যাবে। ১২*১০০/৫৪ = .২২২.

একটি জমি যদি ৫৪ ডিসমল হয়, আর ওখানে যদি একজন মালিক ১২ ডিসিমল পায়, তাহলে ১২ কে ১০০০ দিয়ে গুন করে মোট জমি ৫৪ দিয়ে ভাগ দিলে পরচার অংশ বেড় হয়ে যাবে। ১২*১০০/৫৪ = .২২২.

প্রশ্নঃ রেকর্ড সংশোধনে ওয়ারিশন এর হিস্যা হবে না দলিলের হিস্যা হবে?

উত্তরঃ দলিল দিলে ভাল হয়। ওয়ারিশনও হতে পারে।

প্রশ্নঃ মৃত মানুসের নামে কি রেকর্ড সংসোধন হয়?

উত্তরঃ না করায় ভাল

প্রশ্নঃ এস এল মালিক রহমান (দলিল দাতা) সরকারি চাকুরি জনিত কারনে দিনাজপুর অবস্থান করায় ১৯৮৯ সালে তার নামে মাঠ পর্চা হয়নি। এর পর ঠিক ৬ মাস পরে এস এস সুত্রে তিনি তার সম্পত্তি রহমান১ কে হেবা করে দেন। তিনি ২০০০ সালে মৃত্যু বরন করেন। তাহলে সংশোধিত নাম কি দলিল দাতার নামে হবে নাকি দলিল গ্রহিতার নামে হবে?

উত্তরঃ দলিল দাতার নামে হবে

প্রশ্নঃ এস এ মালিক ও আর এস মালিক গনের কি ওয়ারিসন সার্টিফিকেট লাগবে?

উত্তরঃ না

প্রশ্নঃ বিবাদির ঠিকানায় কি মোবাইল নম্বর দিলে ভাল হয়।

উত্তরঃ জি ভাল হবে

প্রশ্নঃ  ৩ টি খতিয়ানের ১ টি দলিল। রেকর্ড কারেকশন এর জন্য যদি মুল দলিল দিতে হয়, তাহলে ৩ আবেদনের ১ টি তে মুল দলিল এবং বাকী ২ টিতে ফটোকপি দিতে হবে, তাই না? দোয়া করে জানাবেন।

উত্তরঃ হবে, তবে বাকী ২ টির জন্য পরে দলিল তলব দিতে হবে।

প্রশ্নঃ আমার উপর আমার বিবাদী ১৪৪ মামলা করেছিল। মামলা নথিজাত হয়েছে। মামলা যে আমি উল্লেখ করব? তাহলে কি মামলার মুল কাগজ জমা দিতে হবে না ফটোকপি? আবার শুধু রায় না আরজি অথবা তদন্ত রিপোর্ট সহ?

উত্তরঃ সব কাগজ পত্র

প্রশ্নঃ এক দাগে আমার বাড়ি আছে। সেখানে প্রতি বছর বসত বাড়ির কর দিই। তাই কর  এর রিসিট দিলে কি রেকর্ড কারেকশন এর জন্য সুবিধা হবে?

উত্তরঃ সুবিধা হবে

প্রশ্নঃ খারিজ এর ফটোকপি কি ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে সত্যায়িত করেতে হবে, কারন আবেদন ৩ টি।

উত্তরঃ সত্যায়িত লাগবে না। বাকী ২ টি ফটোকপি হলেই চলবে।

প্রশ্নঃ প্রায় প্রতি বছর খাজনার দাখিলা আছে। সবগুল দিব না শেষের বছরের টা দিব?

উত্তরঃ প্রতি বসরের গুলো দিলে ভাল হয়

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ

প্রশ্নঃ

উত্তরঃ