by Mashiur | Nov 29, 2017 | নীতিমালা
অভিযোগ নীতিমালা কি?
এইচ. আর. আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্ট নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অথবা বাইরের স্বাধীন নিরীক্ষকের মাধ্যমে কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিরাজমান অবস্থার প্রকৃত ও সঠিক অবস্থা জানার জন্য বিভিন্ন সময় নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সামাজিক নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিুবর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করে থাকেন। অটো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, অত্র শিল্প পরিবারভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যে কোন শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা অভিযোগ নীতিমালা অনুসরনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ কিংবা যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ থাকলে তা উত্থাপন করতে পারেন। কর্তৃৃপক্ষ আরো বিশ্বাস করে যে, একটি ফলপ্রসূ এবং স্বচ্ছ অভিযোগ নীতিমালা কারখানার যথাযথ ব্যাবস্থাপনার জন্য সহায়ক। অত্র প্রতিষ্ঠানের যে কোন শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা নিজেকে উপেক্ষিত/ তাঁর উপর অন্যায় করা হয়েছে/হচ্ছে এমন ধারনা পোষন করলে অভিযোগ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিকার পাবার অধিকার রাখেন।
উদ্দেশ্য ঃ
- অটো ওয়্যার লিঃ তার কর্মীদের স্বার্থে অভিযোগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। উক্ত নীতিমালা প্রণয়নের পিছনে মূল যে উদ্দেশ্য রয়েছে তা হল-
- শ্রমিকদের বিভিন্ন রকম সমস্যা ও অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করা।
- ফ্যাক্টরীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
অভিযোগের পদ্ধতিসমূহ ঃ
ক) মৌখিক অভিযোগ ঃ
১। শ্রমিকদের কোন অভিযোগ/সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সুপারভাইজর/ লাইন চীফকে অবহিত করবেন।
২। সুপারভাইজর/ লাইন চীফের বিরুদ্ধে কোন শ্রমিকের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে উক্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফ্লোর ইনচার্জ /ম্যানেজার / বিভাগীয় প্রধানকে/ ফ্যাক্টরী প্রধানকে অবহিত করুন।
৩ । আপনার যেকোন অভিযোগ সরাসরি ওয়েলফেযার অফিসার/ এইচআরডি কর্মকর্তাকে (ফ্যাক্টরী )/ এইচআরডি কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয় কে অবহিত করুন ।
৪ । আপনার যে কোন অভিযোগ সরাসরি মহাব্যবস্থাপক/পরিচালকের নিকটও উপস্থাপন করতে পারেন ।
খ) লিখিত অভিযোগ ঃ
০১. ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ঃ উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে যে কোন শ্রমিক -কর্মচারী-কর্মকর্তা তাদের যে কোন অভিযোগ লিখিতভাবে উত্থাপন করতে পারেন ।
০২. অভিযোগ বক্সের মাধ্যমে ঃ যে কোন শ্রমিক কর্মচারী তার কোন লিখিত অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য কারখানার টয়লেট সমূহে স্থাপিত অভিযোগ বাক্সে ফেলতে পারেন। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে কারখানার ওয়েলফেয়ার অফিসার শ্রমিক পক্ষের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অভিযোগ বাক্স থেকে অভিযোগ সংগ্রহ করবেন । অভিযোগ বাক্সে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ রা হবে। অভিযোগ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান করা হবে এবং গৃহীত সমাধান সংশ্লিষ্ট সকলকে
অবহিত করা হবে। কোন কর্মচারী পরিচয উল্লেখপূর্বক অথবা পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন। এছাড়া যে কোন লিখিত অভিযোগ সরাসরি ফ্যাকটরীর ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তার অথবা এইচআরডি কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করা যেতে পারে। ফ্যাকটরীর ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা অথবা এইচআরডি কর্মকর্তা বিষয়টির দ্রুত তদন্ত শেষে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান করবেন ।
গ) ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে ঃ প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত অড়যখষশথঔৎভঃ কমিটির সভায় যে কোন শ্রমিক /কর্মচারী যে কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিক অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন । ফ্যাক্টরীর মাননীয় পরিচালক, ফ্যাক্টরী ম্যানেজার , এইচআরডি কর্মকর্তা , ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উত্থাপিত অভিযোগের উপর উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়। প্রয়োজনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
অভিযোগ / পরামর্শ বক্স সংরক্ষন নীতিমালা
কারখানায় প্রতিটি পুরুষ ও মহিলা টয়লেটে একটি করে অভিযোগ / পরামর্শ বক্স স্থাপন করা আছে। শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ নিজের পরিচয় গোপন রেখে লিখিতভাবে অভিযোগ বাক্সে দাখিল করতে পারে। পরামর্শ বক্সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নি¤œলিখিত পদ্ধতি অনুসরন করে থাকে ঃ
- পরামর্শ বক্স এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিকরা কোন প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই সহজে তাদের অভিযোগ সমূহ লিখে বক্সে জমা দিতে পারে।
- পরামর্শ বক্স সব সময় তালা দিয়ে বন্ধ রাখা হয় এবং এর চাবি শুধুমাত্র কল্যান কর্মকর্তার নিকট জমা থাকে।
- কল্যান কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহের শনিবার এই বক্স খুলে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ সংগ্রহ করেন এবং প্রাপ্ত সকল অভিযোগ একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর অভিযোগগুলি নির্দিষ্ট ফাইলে রাখেন। সকল লিখিত অভিযোগ প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
- উত্থাপিত অভিযোগ সাধারণ ধরনের হলে গৃহীত ব্যবস্থা নোটিশের মাধ্যমে সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। গোপনীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। গোপনীয় গুরুতর অভিযোগ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে করে অভিযোগকারী কোন প্রকার হয়রানির সম্মখূীন না হয় বা তার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয়।
- অভিযোগ পরিচালনার জন্য প্রকল্প পরিচালক কে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে।
- উক্ত কমিটিতে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের সদস্য রয়েছে।
- প্রত্যেক পুরুষ এবং মহিল টয়লেটে একটি করে অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র রয়েছে।
- কারো কোন পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানানো যেতে পারে অথবা নাম ঠিকানা উল্লেখ না করেও ঘটনার সঠিক বিবরণীসহ উক্ত বাক্য্রে ফেলতে পারেন। তবে কেউ নাম উল্লেখ করলে তা গোপন রাখা হয়।
- সপ্তাহে প্রতি শনিবার পরামর্শ / অভিযোগ বাক্য্রটি খোলা হয় এবং কোন পরামর্শ / অভিযোগ থাকলে তা নির্দিষ্ট পরামর্শ / অভিযোগ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
- উক্ত পরামর্শ / অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি কর্তৃক একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয় এবং উক্ত সভায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে অভিযোগ থাকলে প্রশাসন বিভাগের সহায়তায় নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
- সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অভিযোগ বিশ্লেষণ ও নিরসন পদ্ধতি
অভিযোগ বিশ্লেষণ পদ্ধতি কর্মক্ষেত্রে অসন্তষ্টি বা অন্যায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনার একটি কার্যকরী উপায়। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ প্রকাশের উপায় না থাকলে অসন্তষ্টি, হতাশা, উদাসীনতা ও নীতিবোধের অভাব দেখা দেয় যা কর্মচারীদের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই যে কোন ধরণের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ক্স ঊাবৎংযরহব খরসরঃবফ ক্স ঝঁঢ়বৎংযরহব অঢ়ঢ়ধৎবষং খরসরঃবফ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্মক্ষেত্রে সন্তষ্টি নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে, যাতে কারখানায় সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেম বিরাজ করে।
তিনটি পৃথক পদ্ধতিতে অভিযোগ নিরসন করা হয়ঃ
১। লিখিত অথবা মৌখিক অভিযোগ
২। “অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র” এর মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ
৩। নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষা
লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ ঃ
- যে কোন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে তার যে কোন ধরণের সমস্যা/অভিযোগ লিখিত বা মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ কে জানাবেন যাতে তাদের অসন্তষ্টি বা সমস্যার সমাধান করা হয়।
- সুপারভাইজার তার সংশ্লিষ্ট লাইনচীফ/ইনচার্জ এর সাথে পরামর্শ করে শ্রমিক কর্তৃ উর্থাপিত অসন্তষ্টি বা সমস্যার তৎক্ষনাৎ সমাধানের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগের জটিলতা বা গভীরতার প্রেক্ষিতে সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ, বিভাগীয় প্রধান এর সাহায্য ও সহযোগিতা গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনবোধে বিভাগীয় প্রধান সরাসরি অভিযোগ নিরূপণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিভাগীয় প্রধান অভিযোগ জটিলতার/গভীরতার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে কারখানার এইচ.আর. ডিপার্টমেন্ট এর দৃষ্টিগোচরে আনতে পারেন অথবা কারখানার মহাব্যবস্থাপককে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানাতে পারেন।
যদি কোন কর্মচারী অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তষ্ট না হয় তবে সেই ব্যক্তি সরাসরি এইচ. আর. ডিপার্টমেন্ট অথবা কারখানার জি.এম./এম.ডি বরাবরে তার অভিযোগ পুনরায় উস্খাপন করতে পারেন।
অভিযোগ / পরামর্শ বাক্য্র ঃ
কারখানায় একটি পরামর্শ বাক্য্র এবং প্রত্যেক টয়লেটে একটি করে অভিযোগ বাক্য্র স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ/অসন্তষ্টি লিখিতভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাখিল করতে করতে পারেন। পরামর্শ বাক্য্রের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্স নিবলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন।
- অভিযোগ বাক্্র এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিকবৃন্দ কোন রকম দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই সহজে ও নির্বিঘেœ তাদের অভিযোগ বাক্য্রে জমা করতে পারে।
- অভিযোগ বাক্য্র সকল সময় তালা দিয়ে বন্ধ রাখা হয় এবং এর চাবি শুধুমাত্র গ্র“পের কমপ্লায়েন্স ম্যানেজারের কাছে রক্ষিত থাকে।
- কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার মাসের প্রথম সপ্তাহে এই অভিযোগ বাক্য্র খুলে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে থাকেন এবং প্রাপ্ত সকল অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করার পর অভিযোগগুলো একটি নির্দিষ্ট ফাইলে সংরক্ষণ করে থাকেন। সকল লিখিত অভিযোগ করাখানার চেয়ারম্যান / ব্যবস্থাপনা পরিচালক তত্ত্বাবধানে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজারের মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
- প্রতিটি অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা ঐ একই রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।
নিরপেক্ষ সামাজিক নিরিক্ষা ঃ
- নিরীক্ষার সময়, তারিখ ও স্থান কারখানা প্রধানের সাথে পরামর্শ করে নির্ধারণ কর হয়।
- নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকদল কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তত্ত্বাবধান বা হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে সর্ম্পূন স্বাধীনভাবে শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সাক্ষাতকার গ্রহণ করে বিভিন্ন তথ্যদি সংগ্রহ করে থাকেন।
- নিরীক্ষার পর নিরীক্ষক/নিরীক্ষকদল প্রাপ্ত সকল অভিযোগ নথিভুক্ত করে নিরীক্ষার প্রায় যাবতীয় বিষয়সমূহের সত্যতা যাচাইপূর্বক একটি গোপনীয় রিপোর্ট প্রণয়ন করে তা সরাসরি কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর কাছে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা / উপযুক্ত ব্যবস্থা / সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করে থাকেন এবং পরবর্তীতে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করে থাকেন।
by Mashiur | Nov 23, 2017 | নীতিমালা
ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি
ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি – কোন শ্রমিককে প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারণে কোন প্রতিষ্ঠান হইতে ছাঁটাই করা যাইবে। কোন শ্রমিক যদি মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যুন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে- সুনির্দিষ্ট পদের জন্য ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে যা উক্ত পদের জন্য যথোপযুক্ত। …
(ক) তাহার ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে; (খ) নোটিশের একটি কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং আরেকটি কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধিকে, যদি থাকে দিতে হইবে; এবং (গ) তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী বা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে। ৩. উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১৬ (৭) এর অধীন ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) (ক) এ উল্লিখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে উপ-ধারা (২) (গ) মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হইবে। ৪. যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিককে ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে এতদসংক্রান্ত কোন চুক্তি অবর্তমানে, মালিক উক্ত শ্রেণীর শ্রমিকগণের মধ্যে সর্বশেষ নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করিবেন।
চাকুরী হইতে ডিসচার্জ
১.কর্মীর অসদাচরন নয় বরং দীর্ঘদিন শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারনে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করা যেতে পারে।কোন শ্রমিককে, কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।
২. ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অন্যুন এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
বরখাস্ত, ইত্যাদি ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান
অব্যহতি প্রদানঃ- কোন শ্রমিককে প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় মনে না করলে কর্মীকে ১২০ দিনের নোটিশ অথবা নোটিশ পে প্রদান পূর্বক চাকুরী হতে অব্যহতি দিবে।
বরখাস্তঃ- সুনির্দিষ্ট পর্যালোচনার ভিত্তিতে কর্মী দোষী সাব্যস্ত হলে অসদাচরনের জন্য অপসারণ করা যেতে পারে।
১. এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-
(ক)অসদাচরন নয় বরং শ্রমিক আধিক্য জনিত কারনে শ্রমিক নিযোগ স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী শ্রমিক ছাটাই করা যেতে পারে। মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, একশত বিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ষাট দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন।
২. এই অধ্যয়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-
(ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের,
লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন, যদি না এই অবসান যে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে উহা সম্পূর্ণ হওয়া, বন্ধ হওয়া, বিলুপ্ত হওয়া বা পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে হয়।
৩. যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন।
৪. যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।
শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান
২. কোন অস্থায়ী শ্রমিক-
(ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের,
লিখিত নোটিশ মালিকের নিকট প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন।
৩. ইস্তফা প্রদানঃ কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী চাকুরী হতে ইস্তফা দিতে চাইলে তা ৩০ দিন পূর্বে লিখিতভাবে যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন।
৪. যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য-
(ক) যদি তিনি পাঁচ বৎসর বা তদূর্ধ, কিন্তু দশ বৎসরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, চৌদ্দ দিনের মজুরী;
(খ) অবসর ঃ-কর্মীর বয়স ৫৭ বছর পূর্ণ হলে কর্মচারী/কর্মকর্তা অবসরে যাবেন। কিন্তু কর্মকর্তা/কর্মচারী শারীরিক যদি তিনি দশ বৎসর বা তদূর্ধ সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ত্রিশ দিনের মজুরী;
অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে। চাকুরী থেকে ইস্তফা নেওয়ার সময় কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা এবং পাওনা প্রদান করা হবে।
কর্মী চাকুরী হতে ইস্তফা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র-যেমন পরিচয়পত্র, কাঁচি, কাটার, পোশাক
(নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষেত্রে), চাবি সহ সকল ষ্টেশনারী মালামাল গুদাম কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিবে। প্রতিষ্ঠানের
মালামাল সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠান আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
অব্যয়িত বার্ষিক ছুটির মজুরী প্রদান
যে কোন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, জনবল নিয়োগ বিভাগ এবং প্রশাসন বিভাগের নিকট লিখিত আকারে জানাবেন। যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, বরখাস্ত, অবসর, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে অবসান হয় এবং যদি তাহার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে মালিক ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন সময়ে উক্ত শ্রমিকের যে মজুরী প্রাপ্য হইত তাহা প্রদান করিবেন।
by Mashiur | Nov 23, 2017 | নীতিমালা
মৃত্যুজনিত সুবিধাঃ
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ তিন বছরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ছয় মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, মৃত শ্রমিক যদি প্রতিষ্ঠানের কোন বাধ্যতামূলক বীমা স্কীমের আওতাভূক্ত হন, অথবা যদি তাহার ক্ষেত্রে দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন কোন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হয়, তাহা হইলে যাহা অধিক হইবে তাহাই উক্ত শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রদেয় হইবে।
দুর্ঘটনাজনিত কারণে জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ
ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য মালিকের দায়িত্ব
১. চাকুরী চলাকালে উহা হইতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে যদি কোন শ্রমিক শরীরে জখমপ্রাপ্ত হন তাহা হইলে মালিক তাহাকে এই অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন।
২. কোন মালিক উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন না, যদি-
(ক) জখমের ফলে তিন দিনের অধিক সময় কোন শ্রমিক সম্পূর্ণ বা আংশিক কর্মক্ষমতা না হারান;
(খ) জখমের ফলে মারা যান নাই এরূপ কোন শ্রমিকের দুর্ঘটনায় জখম প্রাপ্ত হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ ছিল-
(২) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত বিধি বা সুস্পষ্ট আদেশ শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা;
(৩) শ্রমিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হইয়াছে ইহা জানা সত্ত্বেও শ্রমিক কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে কোন আঘাত নিরোধক নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা অন্য কোন কৌশল অপসারণ করা বা উপেক্ষা করা।
ক্ষতিপূরণের পরিমাণ/মৃত্যুজনিত সুবিধা
১. এই অধ্যায়ের বিধান সাপেক্ষে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বা মৃত্যুজনিত সুবিধা হইবে নিুরূপ, যথাঃ-
(ক) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি পঞ্চম তফসিল তৃতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সে অর্থ;
(খ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে-
(১) যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি প্রাপ্তবয়স্ক হন, তাহা হইলে পঞ্চম তফসিলের তৃতীয় কলামে যে অর্থ উল্লেখ করা হইয়াছে সে অর্র্থ; এবং
(২) যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হন, তাহা হইলে দশ হাজার টাকা;
(গ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে-
(১) জখমটি প্রথম তফসিলে বর্ণিত হইলে, স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ এর ঐ শতকরা হার, যাহা উহাতে উল্লিখিত উক্ত জখমের কারণে উপার্জন ক্ষমতা হানির শতকরা হারের সমান;
(ঘ) যে ক্ষেত্রে জখমের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্থায়ী অক্ষমতা ঘটে সে ক্ষেত্রে মাসিক ক্ষতিপূরণ যাহা অক্ষমতার তারিখ হইতে চার দিন অপেক্ষাকাল অতিবাহিত হইবার পর যে মাসে প্রদেয় হইবে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম দিনে প্রদেয় হইবে এবং তৎপর অক্ষমতার সময় কালে অথবা পঞ্চম তফসিলের শেষ কলামে উল্লিখিত সময়ের জন্য, যাহা স্বল্প হইবে, মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় হইবে।
২. যে ক্ষেত্রে একই দুর্ঘটনর কারণে একাধিক জখম হয় সে ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) (গ) এর অধীন তৎসম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ একত্রিত করা হইবে, কিন্তু কোন ক্ষেত্রে ইহা এমন ভাবে করা হইবে না যাহাতে ইহা জখম গুলি হইতে স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা ঘটিলে যে ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইত উহা হইতে বেশী হয়।
৩. কোন মাসিক ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হওয়ার তারিখের পূর্বে যদি অক্ষমতার অবসান হয় তাহা হইলে উক্ত মাস সম্পর্কে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের অর্থ উক্ত মাসের অক্ষমতা থাকাকালীন সময়ের আনুপাতিক হারে প্রদেয় হইবে।
by Mashiur | Nov 21, 2017 | নীতিমালা
গার্মেন্টসে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শিশু শ্রম
১। ভূমিকা
গার্মেন্টসে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শিশু শ্রম ও হয়রানি ও নির্যাতন – গার্মেন্টস গ্র“প দেশের একটি অন্যতম বৃহৎ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানীকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি আন্তর্জাতিক ভাবেও স্বীকৃত। গার্মেন্টস গ্র“পের বিভিন্ন ফ্যাক্টরী ও স্থাপনায় বিপুল সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। কর্মস্থলে একটি সুনির্দিষ্ট আচরন বিধি বজায় রাখতে গার্মেন্টস গ্র“প আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। দেশের প্রচলিত আইন, রীতিনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি এবং বিভিন্ন ক্রেতার নির্দেশিত আচরন বিধির প্রতি অত্র প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাশীল। পরিবেশ বান্ধব, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করনের পাশাপাশি প্রতিটি স্থাপনায়/ফ্যাক্টরীতে মানবাধিকার, আইন এবং রীতিনীতি যথাযথ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ। গার্মেন্টস গ্র“প তার উল্লেখিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সোপান হিসেবে নিুোক্ত আচরন বিধি অনুসরন করে থাকেঃ
২। নৈতিকতা ও আইন
রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা গার্মেন্টস গ্র“প তার প্রতিটি কর্মকান্ড ও পদক্ষেপ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বজায় রাখে। কোম্পানী দেশ ও আন্তর্জাতিক আইন, রীতিনীতি অনুসরন করে। বিভিন্ন ক্রেতার নির্দেশিত আচরন বিধি যথাযথভাবে অনুসরনের ক্ষেত্রে গার্মেন্টস গ্র“প অঙ্গীকারবদ্ধ।
৩। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
প্রতিষ্ঠান তার প্রতিটি ফ্যাক্টরী এবং স্থাপনায় শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে। কোম্পানীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত কর্মস্থল নিশ্চিত করনের পথে প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকি সমূহ চিহ্নিত করন ও তাৎক্ষনিক ভাবে দূরীকরনে কোম্পানী যথাযথ উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে।
৪। শিশু শ্রম
গার্মেন্টস গ্র“প শিশু শ্রমিককে কারখানার কোন কাজে নিয়োজিত করে না। বয়সের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্তৃক জন্ম নিবন্ধন সনদ/শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (শিক্ষা বোর্ডের সনদ)/স্কুল পরিত্যাগ ছাড়পত্র/স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ চাকুরীর আবেদনের সময় উপস্থাপন করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া, অত্র গ্র“পের নির্ধারিত ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই পূর্বক সনদ গ্রহনও বাধ্যতামূলক।
৫। বাধ্যতামূলক শ্রম
গার্মেন্টস গ্র“পের প্রতিটি ফ্যাক্টরী এবং স্থাপনায় বাধ্যতামূলক বা জোরপূর্বক শ্রম আদায় নিষিদ্ধ। কাজ চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর প্রতিটি প্রবেশ/বাহির পথ খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। ফ্যাক্টরী সমূহ বন্দী শ্রমিক, চুক্তি ভুক্ত শ্রমিক, খন্ডকালীন শ্রমিক নিয়োগ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকে। কোন শ্রমিককে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্রমে নিয়োজিত করা গার্মেন্টস গ্র“পে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৬। বৈষম্যমূলক আচরন
অত্র প্রতিষ্ঠান শ্রমিকের নিয়োগ ও নির্বাচন, পদোন্নতি এবং অন্য যে কোন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করার সামর্থ্যকে বিবেচনায় আনে, শ্রমিকের ব্যক্তিগত বৈশিষ্টাবলী বা বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, বয়স, জাতীয়তা, বৈবাহিক ও মাতৃত্বকালীন অবস্থা নির্বিশেষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরন থেকে কোম্পানী সম্পূর্ণ বিরত থেকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।
৭। হয়রানি ও নির্যাতন
শারীরিক, মৌখিক, মানসিক ও যৌন হয়রানি সহ যে কোন ধরনের হয়রানি এবং নির্যাতনমুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শ্রমিক-কর্মচারীর সাথে সম্মান ও শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরন করা হয়।
৮। কাজের সময়
এক বৎসর সময়কালের মধ্যে কোন শ্রমিককে প্রতি সপ্তাহে ৬০ (ষাট) ঘন্টার উপর এবং এক বছরে সপ্তাহ গড়ে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার উপর কাজ করার অনুমোদন প্রদান করা হয় না। সকল শ্রমিক-কর্মচারী প্রতি ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নূন্যতম ১ (এক) দিন অবশ্যই সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করে। কোম্পানী রাত ১০ ঘটিকা হতে পরদিন সকাল ৬ ঘটিকার মধ্যে কোন মহিলা শ্রমিককে কাজে নিয়োজিত করে না।
৯। বেতন ও সুবিধাদি
গ্র“পের বিভিন্ন স্থাপনায়/ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারন করা হয়। বেতন-ভাতা প্রদানের পূর্বে প্রত্যেককে পে-স্লিপ দেয়া হয়। এছাড়াও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট এবং উৎসব বোনাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
১০। অতিরিক্ত কাজের জন্য ভাতা
অত্র প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত কাজ স্বেচ্ছাভিত্তিক এবং অতিরিক্ত কাজের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের আলোকে অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রাপ্য ভাতা মাসের বেতনের সাথে পরিশোধ করা হয়।
১১। পরিবেশ
অত্র প্রতিষ্ঠান তার প্রতিটি স্থাপনায় পরিবেশগত বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরনে সর্বদাই সচেষ্ট। কোম্পানীর পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিমালা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক যে কোন কর্মকান্ড থেকে অত্র প্রতিষ্ঠান বিরত থাকে। বৃক্ষরোপন, বর্জ্য পরিশোধন সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে গার্মেন্টস গ্র“প পরিবেশ সংরক্ষনে ভূমিকা রাখছে।
১২। সংগঠন করার স্বাধীনতা
গার্মেন্টস গ্র“প তার প্রতিটি ফ্যাক্টরী/স্থাপনায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের আইন সম্মত ও শান্তিপূর্ণভাবে সংগঠন করার স্বাধীনতা প্রদান করে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, মুক্ত চর্চা, কল্যাণ কমিটি/শ্রমিক ফোরাম গঠন ইত্যাদিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হয়।
১৩। শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা
কোম্পানী প্রয়োজনে প্রচলিত শ্রম আইনের আলোকে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে। মানবাধিকার লংঘন পূর্বক শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৪। সামাজিক দায়বদ্ধতা
অত্র প্রতিষ্ঠান সমাজকল্যাণ মূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে। নিজস্ব স্কুল ও কলেজ এবং হাসপাতাল স্থানীয় জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দুঃস্থ ও দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ, পোশাক বিতরণ ও খেলাধূলা কার্যক্রমে অংশগ্রহন সহ বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণে গার্মেন্টস গ্র“প অঙ্গীকারাবদ্ধ।
by Mashiur | Nov 21, 2017 | নীতিমালা
কর্মক্ষেত্রে আইন মেনে চলার পদ্ধতি
কর্মক্ষেত্রে আইন মেনে চলার পদ্ধতি গুলো সাধারণ নিয়মাবলীঃ- শ্রমিক কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন কানুন, ফ্যাক্টরীর অবস্থা, পরিবেশ ও শুল্ক নিয়মসমূহ অবস্থান ভেদে অবহিত করা হয়। আইন কানুন যখন সংশোধন ও পরিবর্তন করা হয় তা যাতে সঠিকভাবে জানা যায় ও সে অনুযায়ী কাজ করা হয় সেজন্য দায়িত্ব সহকারে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নিয়োজিত করা হয়।আইন ও নিয়মাবলী যখন পরিবর্তিত ও সংশোধিত হয়, তার সাথে সংগতি রেখে কাজ সমাধা করা হয়।
- সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস/ দলিল/ কাগজপত্র / গেজেট যা স্থানীয় আইন ও আর্ন্তজাতিক আইন অনুযায়ী প্রণিত তা সংগ্রহ করা হয়।
- শ্রম আইন সংক্রান্ত আইন, নীতিমালা, ফ্যাক্টরীর অবস্থা, পরিবেশ, শুল্ক সর্¤úকিত আইন ও নীতিমালা ইত্যাদি সর্বদাই সর্বশেষ সংশোধনসহ সংরক্ষণ ও অনুসরণ করা।
- স্থানীয় সরকার ও বিজিএমইএ কর্তৃক যদি কোন শ্রম আইন সংশোধন, ফ্যাক্টরী এ্যাক্ট চালু বা সংশোধন করা হয়, পরিবেশগত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন করা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়।
- আইন কানুন ও রীতিনীতিতে কোন পরিবর্তন হলে তা দ্রততার সাথে অনুসরণ করা হয় ও সে মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়, প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মচারীদেরকে ‘‘স্টাফ-বুলেটিন বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ট্রেনিং / প্রশিক্ষণ সেকশন দ্বারা, ই-মেইল দ্বারা, নোটিশ দ্বারা অবহিত করা হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ঃ
ডেপুটি মানেজার (এইচ আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স )
দায়িত্ব সমূহ ঃ
(ক) সকল প্রয়োজনীয় নথী পত্র
(খ) শ্রমিক অধিকার কারখানার বিধিমালা, পরিবেশ ও রপ্তানী সংক্রান্ত সকল পরিবর্তীত আইন ও বিধীমালা হালনাগাদ করণ এবং অবহিত করণ।
(গ) লিখিত পদ্ধতিমালা প্রবর্তন অত:পর স্টাফ কড়চা, প্রশিক্ষন, ই-মেইল এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করন।
(ঘ) শ্রম ও কারখানা আইন অনুযায়ী শ্রমিকেরা মজুরী, ওভার টাইম ভাতা, ছুটি ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সুবিধাদি পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।
(ঙ) কারখানার সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা ও ইঝঈও মনিটরকে এ ব্যাপারে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা।
(চ) শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরী, ছুটি ও অন্যান্য ভাতাদি পাওয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা।
(ছ) শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখা।
(জ) শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধার জন্য চিকিৎসকের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করা।
(ঝ) শ্রমিক কল্যাণ কমিটিকে উৎসাহিত করা ও তাদের কাজ কর্ম তদারকী করা।
(ঞ) শ্রমিকদের কাজের ও কর্মক্ষেত্রের মান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা।
(ট) নতুন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, শ্রমিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও কারখানার সামগ্রিক পরিবেশ সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে বজায় রাখা।
(ঠ) কারখানার কাজের সু-পরিবেশ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন টয়লেট, পরিষ্কার ও উপযুক্ত ডাইনিং হল এবং সুচিকিৎসা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
মহিলা শ্রমিকদের বাচ্চা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা ও তদারকী
(ড) শ্রমিকদের জন্য লাভ বিহীন ক্যান্টিন সুবিধা দেয়া।
(ঢ) দুর্ঘটনার সময় জরুরী প্রয়োজনে আত্মরক্ষামূলক কৌশল আয়ত্বের প্রশিক্ষণ দেয়া।
(ণ) অগ্নি নির্বাপক মহড়ার ব্যবস্থা করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা।
(থ) আইনানুসারে শ্রমিক কল্যাণ কমিটির কার্যক্রম চালু রাখা
(দ) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেতন সুবিধাদী পরিশোধ করা।
প্রশিক্ষন ও যোগাযোগঃ
(ক) নানাবিধ রীতিসিদ্ধ/ রীতি বর্হিভূত যোগাযোগ মাধ্যমে, সকল শ্রমিক/ কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে আইন ও বিধিমালার অনুসরন ও পালন সম্পর্কে অবহিত ও আদিষ্ট হবেন।
(খ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ডেপুটি মানেজার (এইচ আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স )দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগনকে হালনাগাদ আইন/ বিধিমালা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করবেন। প্রশিক্ষনের নথী ও উপস্থিতির তালিকা যথাযথ নিয়মে সংরক্ষিত হবে।
(গ) ডেপুটি মানেজার (এইচ.আর এন্ড কমপ্লাইয়েন্স ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হালনাগাদ আইন / বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
(ঘ) নতুন প্রবর্তিত অথবা হালনাগাদী করনে যদি কোন আইন/বিধীমালার দ্বারা শ্রমিক/কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী, মজুরী অথবা অন্যান্য প্রধান ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব পড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত নীতিমালা ও পদ্ধতিমালা প্রধান ফটকে অথবা প্রধান নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত হবে।
by Mashiur | Nov 21, 2017 | নীতিমালা
পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি থাকবে। কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে স্বচ্ছ, পরিপূর্ণ, গঠনমূলক ও বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হল। পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে ।পরিবেশ বিষয়ক দায়িত্বশীলতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করে । …
নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে :-
অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশকে সুন্দর ও সুশৃক্ষল রাখতে বদ্ধপরিকর।কারখানার অভ্যন্তরে দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ যাতে ঝূঁকিমুক্ত ও সাবলীল থাকে তার নিমিত্তে একটি আদর্শ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
০১. আমরা পরিবেশ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট নীতিমালা এবং আইন কানুন প্রয়োগ নিশ্চিত করি ;
০২. প্রাকৃতিক সম্পদ, এনার্জি ব্যবহার এবং বর্জ্য নির্গমনের ক্ষেত্রে পরিবেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকি ;
০৩. উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক কর্মচারী, সরবরাহকারী এবং অংশীদারদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করি ;
০৪. পরিবেশ দূষন প্রতিরোধে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ;
আমরা বর্জ্য পদার্থ পুন:প্রক্রিয়াকরনকে উৎসাহিত করি এবং পরিবেশ দূষন করে এমন পদার্থ ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করি ;
আমরা পরিবেশগত কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষন ও উন্নয়নের ব্যবস্থা করি ।
১। পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির কাঠামো
এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান তার কর্মীদের দ্বারা এই আদর্শ কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়ন করে থাকেন।এই জন্য এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রত্যেক ব্যক্তিই দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন।
ক) কমিটি কাঠামো হবে নিুরূপ
১. সভাপতি ০১ জন
২. সম্পাদক ০১ জন
৩. সমন্বয়কারী ০১ জন
৪. প্রশিক্ষক ০২ জন
৫. কার্যকরী সদস্য
- ইলেকট্রিকেল টিম ।
- সিকিউরিটি ইনচার্জ।
- মেইন্টেনেন্স দল।
- নার্স/ফিজিশিয়ান।
- ফায়ার সেফটি অফিসার।
- স্টোর ইনচার্জ।
- শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্য।
খ) সর্বমোট ০৫ (পাঁচ) জন কর্মকর্তা পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রত্যেক মাসে এইচ.আর.কমপ্লায়েন্স ও এডমিন বিভাগের সম্বন্বয়ে একটি অডীট বা নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই নিরীক্ষন শেষে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়।
গ) কারখানার জিএম (এডমিন) পদাধিকার বলে পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি এর দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবেন। সহঃ ম্যানেজার (এইচ আর এন্ড কমঃ) কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন এবং কমপ্লাায়েন্স অফিসার এবং ওয়েলফেয়ার অফিসার কমিটির সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ) অন্যান্য উল্লেখিত সেকশনের সদস্যবৃন্দ এবং শ্রমিক কল্যান কমিটির সদস্যগন কমিটির কার্যকরী সদস্য পদে নিযুক্ত থাকবেন
ঙ) পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি নিজ ক্ষমতাবলে, কমিটির কার্যক্রম অধিকতর বেগবান, গঠনমূলক ও সচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটির কাঠামোতে যে কোন পরিবর্তন বা যে কোন পদের রদবদল করতে পারবেন।
২। প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ শ্রমিকদের কর্ম এলাকা পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে নিুলিখিত বিষয় সমুহ যথাযোগ্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
ক) সভাপতি ঃ
সভাপতি এই কমিটির বাজেট প্রদান করার ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের যে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি বিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব আইনানুগ সমাধান করবেন।
খ) সম্পাদক ঃ
শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই তার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তার আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সমন্বয়কারী এবং সদস্যদের নিকট হতে প্রাপ্ত যেকোন সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। সমন্বয়কারী যেকোন সময় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন।
গ) সমন্বয়কারী ঃ
সমন্বয়কারী বিভিন্ন সদস্য সেফটি টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সাথে সার্বক্ষনিক ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য সমন্বয় এবং আদান প্রদান করবেন। প্রতিমাসে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন।
ঘ) প্রশিক্ষক ঃ
প্রশিক্ষন দল প্রতি মাসে একবার সকল ঊঐঝ সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরন এবং নামের তালিকাসহ প্রশিক্ষন করাবেন।
ঙ) সদস্যদের দায়িত্ব ঃ
প্রত্যেক সপ্তাহান্তে এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার/পর্যবেক্ষকের কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণ অঞ্চলও পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর দ্বারা কর্মপরিবেশে নিরীক্ষণের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। কমিটির প্রতিটি সদস্য তার নিজনিজ কর্ম এলাকার পেশাগত ঝুকি নিরুপন করবেন। কোন শ্রমিক পেশাগত ব্যাধি বা ব্যাক্তিগত সমস্যায় আক্রান্ত হলে তা সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। প্রতিটি সদস্য ফ্যাক্টরীর ঝুকিপূর্ন স্থান সমূহ চিহ্নিত করে কমিটির সমন্বয়কারী অথবা সরাসরি ঊঐঝ সভাপতিকে রিপোর্ট প্রদান করবেন। ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকদের পানি, শব্দ, বায়ু দূষন সর্ম্পকে সচেতন করবেন।
৩। পবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সভা ঃ পরস্পর মত বিনিময়, গঠনমূলক আলোচনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক যে কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।
ক) মাসিক সাধারণ সভা ঃ প্রতি মাসে একবার পরিবেশ নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির সমন্বয়কারী সভার জন্য নির্ধারিত দিনের অন্তঃত ০৩ (তিন) দিন আগে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে ত্রৈমাসিক সভা আহবান করবেন।
খ) বিশেষ সভা ঃ কোন বিশেষ প্রয়োজনে কিংবা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পুর্বে কমিটির সভাপতি/সম্পাদক/ সমšা^য়ক তাৎক্ষণিকভাবে দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে বিশেষ সভা আহবান করতে পারেন।
৪। দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে সংশোধনীমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সমস্যা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংশোধনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবগত করা হয় এবং সম্ভাব্য তারিখও বিবেচনা করা হয়। সভার আলোচ্যসূচী নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত সমুহ প্রকাশ করণ
ক) মাসিক সাধারণ সভা শুরু হওয়ার পূর্বে সভাপতির অনুমোদনক্রমে কমিটির সমন্বায়ক কমিটির সকল সদস্যের নিকট আলোচ্যসূচী আহবান করবে।
খ) সুস্থ কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে কমপ্লায়েন্সের সকল বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে পর্যবেক্ষণের একটি তালিকাকে অনুসরণ করা হয়। কমিটির সদস্যগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত বিষয় সমুহ থেকে আলোচ্যসূচীর একটি সমন্বিত তালিকা তৈরি করতে হবে
গ) সভা অনুষ্ঠিত হবার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটির সকল সদস্যকে দাপ্তরিক চিঠির মাধ্যমে অবহিত করতে হবে এবং সাধারণ শ্রমিকদের অবগতির জন্য নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।
পরিশেষ
পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি নীতিমালা -দৈনন্দিন কর্মপরিবেশ নিরীক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ কারখানাকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের তিনজন অফিসার উক্ত তিনটি অঞ্চল দৈনিক নিরীক্ষণ করে থাকেন।