by Mashiur | Jan 26, 2018 | ব্যবসায়িক
সনদপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ১৭৭১২ সীল পলিসি ব্যবহার বিধি
গ্র“পে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষীগণ ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকলকর্মী ও জানমালের নিরাপত্তা বিধান করবে। প্রত্যেক কর্মী ও বাহিরের আগত দর্শনার্থীর সাথেও নম্র, ভদ্র, সম্মান জনক আচরণ করবে। নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্ব পালন কালে নিম্নোক্ত নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে চলবে। গ্র“পের সকল ফ্যাক্টরী তে আমদানী এবং রপ্তানী পণ্যের (C-TPAT) সুষ্ঠ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্রেতার নির্দেশনা অনুযায়ী রপ্তানী পণ্যের সীল পলিসি নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের উদ্দেশ্যে কারখানার পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান এবং (আই এস ও) সনদপ্রাপ্ত ‘১৭৭১২’ কন্টেইনার নিরাপত্তা সীল ব্যবহার করে। সনদপ্রাপ্ত উক্ত সীল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অটো কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেঃ- …
- যে সকল পরিবহন আমদানী ও রপ্তানীর কাজে ব্যাবহার হবে সে সব পরিবহনে অনুমোদিত নিরাপত্তা সীল থাকতে হবে। কারখানায় Seal Control নামে একটি রেজিষ্টার সংরক্ষন করা হয়। ফ্যাক্টরী থেকে সকল পণ্যবাহী Container/Covered Van সীল করার পর তাহার বিস্তারিত বিবরণ উক্ত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। রপ্তানী ক্ষেত্রে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান এবং (আই এস ও) সনদপ্রাপ্ত ‘১৭৭১২’ কন্টেইনার নিরাপত্তা সীল ব্যবহার করা হয় এবং যার মধ্যে সীল নাম্বার থাকতে হবে।
- নিরাপত্তা সীল বানিজ্যিক বিভাগ কর্তৃক ইস্যু করতে হবে। কাভার্ড ভ্যান এবং কন্টেইনার সীল করার জন্য প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত নামসহ ধাতব সীল ব্যবহার করা হয়। উক্ত রিপোর্টে ফ্যাক্টরীর এইচ আর ডি অফিসার এবং সিকিউরিটি ইনচার্জ এর স্বাক্ষর সহ তারিখ লেখা থাকতে হবে।
- সকল পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান উক্ত সীল অবস্থায় সি এন্ড এফ এজেন্টের নিকট Sea port বা Air port এ পাঠানো হয়। অটো গ্র“পের কর্পোরেট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই সীল সরবরাহ করবেন।
- শিপমেন্টের ক্ষেত্রে বর্তমানে ১৭৭১২ ISO Standard এর সীল ব্যবহার করা হয়। এ সীল একবার ব্যবহারযোগ্য। কেহ এ সীল ভাঙ্গলে তা আর জোড়া দেওয়া যাবে না।
- ১৭৭১২ ওঝঙ ঝঃধহফধৎফ এর সীল একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
- ষ্টোর অফিসার সর্বনিম্ন ১/২ দিন পূর্বেই ১৭৭১২ ISO Standard সীল এর অগ্রিম চাহিদা জানাবেন।
- পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানে ১৭৭১২ ISO Standard এর সীল লাগানোর পূর্বেই অবশ্যই তা ভালভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে যেন সীলটি Tampered ev Damage না থাকে।
- যদি সীলটি ঞধসঢ়বৎবফ বা উধসধমব পাওয়া যায় তাহলে সিকিউরিটি ম্যানেজার ব্যবস্থাপনা
- এই নিরাপত্তা সীল স্টোর প্রতিনিধি, নিরাপত্তা কর্মচারী, এসকর্ট ও পরিবহনের চালকের উপস্থিতিতে রপ্তানীকালে সংযুক্ত করা হয়। এই নিরাপত্তা সীল আমদানীর সময় একই কর্মচারীদের দলের উপস্থিতিতে খোলা হয়। সীলটি কাভার্ড ভ্যানে লাগানো হলে সীল নাম্বারটি Seal Control Log Book এ রেজিষ্ট্রি করতে হবে।
নিরাপত্তা নীতিমালা
আমদানীর সময় নিরাপত্তা সীল ভাঙ্গা পাওয়া গেলে, এই ঘটনা বানিজ্যিক বিভাগ, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও পরিবহন এজেন্সিকে তাৎক্ষনিক জানাতে হবে। তাদের অবগত করানো ছাড়া পন্য আনলোড বন্ধ থাকবে
- ফ্যাক্টরীর সম্পদের উপর সর্বদা নজর দারী রাখা।
- এই সকল সীল সমুহ তালা-চাবির অধীনে ও কড়া নিরাপত্তায় রাখতে হবে যাতে করে ইহা কোন অঅনুমোদিত ব্যক্তির হাতে না পড়ে। গেট পাশ চালান সঠিকভাবে এন্ট্রি করা।
- ষ্টাফ গণের ইন/ আউট টাইম সংরক্ষণ করা।
- দর্শনার্থীকে প্রথম সালাম দিয়ে ভদ্রভাবে নাম ঠিকানা ভিজিটর খাতায় রেজিষ্টার সংরক্ষণ করবে। বিশেষ ভিজিটদের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত নিরাপত্তা রক্ষী সুপারভাইজার তদারকী করবে।
- কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্ত দর্শনার্থী ভিজিটর কার্ড প্রদান করবে এবং সংশ্লিষ্ট জায়গায় ছিয়ে দিবে।
- কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভিজিটর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের পর কোন কর্মী কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র (গেট পাশ) ছাড়া বাহিরে যেতে পারবে না।
- ইন/ আউট চিঠি পত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগে যথাযথ দায়িত্ব সহকারে পৌছে দিতে হবে এবং কোন প্রকার গাফিলতি গ্রহণ যোগ্য নয়।
- কোন প্রকার দূর্ঘটনা, মারামারি, ব্যক্তিগত ও কোম্পানীর ক্ষতি জনিত বিষয় তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করবে এবং ঘটনা লিপিবদ্ধ করবে।
- ফ্যাক্টরী ছুটির সময় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রমিকদের বহনকৃত মালামাল চেক করবে। শারীরিক ভাবে অনুসন্ধানের প্রয়োজন হলে একই জেনডারের ব্যক্তির মাধ্যমে করতে হবে।
- কোন অবস্থাতেই ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদেরকে শারীরিক অথবা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।
- ট্রাক লোডিং এলাকায় প্রবেশের পর ড্রাইভার সংরক্ষিত এলাকায় বা এর আসে পাশে অবস্থান করতে পারবে না। ড্রাইভার ও যে কোন অননুমোদিত ব্যাক্তির উপস্থিতি হবে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায়। সর্বোচ্চ সতর্কবস্থানের মাধ্যমে যে কোন ঝুকি দমন করে নিরাপদে পণ্য শিপমেন্টে পাঠানো হয়।মুভমেন্ট রেজিষ্টার যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করবে।
- দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পরিচয় পত্র ও পোশাক ব্যবহার আবশ্যক।
- প্রত্যেক নিরাপত্তা কর্মী জরুরী টেলিফোন নম্বর সমূহ সংরক্ষণ করবে।
উপসংহার
সীল পলিসি – এছাড়াও ফ্যাক্টরীর সকল সদস্যবৃন্দ এর দ্বায়িত্ব যে কোন অপরিচিত, বহিরাগত ও সন্দেহভাজন কাউকে নিশ্চিত করতে পারলে দ্রুত বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে ফ্যাক্টরী নিরাপত্তা বিভাগে জানাতে হবে।
by Mashiur | Jan 23, 2018 | ব্যবসায়িক
কম বা বেশি শিপমেন্ট নীতিমালা
কারখানায় সকলকে উৎসাহিত করার বিষয়গুলি নিম্নরূপঃ
- ধুমপানমুক্ত পরিবেশ গড়া।
- ময়লা আবর্জনা কেবল নির্দিষ্ট স্থানেই ফেলতে হবে এবং এগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ না ঘটে।
- যখনই সম্ভব হবে বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে এবং অপ্রয়োজনে বাতি না জ্বালাতে।
- কেবল রপ্তানী ছাড়া অন্যকোন প্রয়োজনে পলিথিন ব্যাগ এবং সমজাতীয় পন্য ব্যবহার না করতে এবং ঐসব ব্যাগ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রেখে পরিবেশ দূষণ না করতে।
- যতদূর সম্ভব পানির ব্যবহার সাশ্রয় করতে এবং ব্যবহারের পর পানির টেপ বন্ধ রাখতে।
- কারখানায় বায়ু সঞ্চালনের জন্য পর্যাপ্ত ভেনটিলেশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
- সপ্তাহে একদিন কারখানার সর্বত্র বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছনড়বতার ব্যবস্থা করা এবং রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা।
- কারখানার অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন সামগ্রী সর্বক্ষন পরিষ্কার ও নির্গমন করা।
বায়ারের নির্র্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত কিংবা কম মালামাল (গার্মেন্টস) শিপমেন্টের ক্ষেত্রে অটো গ্র“প এর সকল ফ্যাক্টরী নিুোক্ত নীতিমালা অনুসরন করে থাকে/ করবে-
- ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত কোন নির্দিষ্ট পণ্য বায়ার নির্ধারিত পারচেজ অর্ডার কোয়ানটিটির চেয়ে সাধারনত সর্বোচ্চ শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগ কম (ঝযড়ৎঃ) বা সর্বোচ্চ শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগ বেশি হলে তা বায়ারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিপমেন্টে করা হয় ।
- কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ব্যাক্তি ছাড়া অন্য কেউ উক্ত নথিতে কোন কিছু পরিবর্তন করিতে পারিবেন না। যদি উক্ত নথিতে কোন কিছু পরিবর্তন করিতে হয় তাহলে অনুমোদিত ব্যাক্তি র্কৃপক্ষকে তাৎক্ষনিক অবহিত করিবেন এবং তাহা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন।
- ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত কোন নির্দিষ্ট পণ্য বায়ার নির্ধাারত পার্চেজ অর্ডার কোয়ানটিটির চেয়ে কম বা বেশি হলে তা শিপমেন্টের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বায়ারের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
- শিপমেন্ট ব্যতীত রিজেক্ট গার্মেন্টস, অল্টার গার্মেন্টস, গার্মেন্টস পার্টস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশ সমুহ ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন যা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় স্টোরে স্থানান্তর করা হয়।
শিপমেন্টের সময় পণ্য বেশি বা কম হলে সিকিউরিটি ব্যক্তিবর্গ নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরন করবে
- শিপমেন্টের জন্য মালামাল প্রস্তুত হলে ফিনিশড গুডস এরিয়া থেকে এসোর্ট সুপারভাইজার দায়িত্বশীল ষ্টোর অফিসারের কাছে প্রতি পিস কার্টুন হিসাবে বুঝে দিবে।
- কার্টুন বুঝে নেবার পর সংশ্লিষ্ট ষ্টোর অফিসার তা একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবে।
- ফিনিশিং সুপারভাইজার যতগুলো কার্টুন ষ্টোর অফিসারকে বুঝিয়ে দিবে ষ্টোর অফিসার তা সুশৃঙ্খলভাবে/সারিবদ্ধভাবে প্রতি পিস হিসাবে গণনা করে রাখবে এবং তা একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবে। এরপর ষ্টোর অফিসার সিকিউরিটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে শিপমেন্টের ব্যাপারে কথা বলবে, পরামর্শ করবে।
- সিকিউরিটি অফিসার, ষ্টোর অফিসার, সিকিউরিটি কমান্ডার ও এইচ আর ডি অফিসারের উপস্থিতিতে কার্গোতে মালামাল বোঝাই করা শুরু হবে এবং সিকিউরিটি সদস্যরা তাদের নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করবে।
- শিপমেন্ট করার জন্য প্রস্তুতকৃত মালামাল বেশি হলে সিকিউরিটি গার্ড তৎক্ষনাৎ এইচ আর ডি বিভাগকে অবহিত করবে। এইচ আর ডি বিভাগ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে পণ্য অতিরিক্ত হবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
- শিপমেন্ট করার জন্য প্রস্তুতকৃত মালামাল কম হলে সিকিউরিটি গার্ড তৎক্ষনাৎ এইচ আর ডি বিভাগকে অবহিত করবে। এইচ আর ডি বিভাগ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে পণ্য কম হবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
- এইচ আর ডি বিভাগ এবং শিপমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মিলে পণ্য বেশি বা কম হবার কারন অনুসন্ধানের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে এবং উক্ত বিষয়ের উপর একটি স্মারক তৈরী করবে।
- শিপমেন্টের মালামাল বেশি বা কম হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং উক্ত মালামাল কম বা বেশি হওয়ার প্রকৃত কারন বের করবে।
শিপমেন্টের সময় কার্গোতে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরন করা হয়
- শিপমেন্টের জন্য কারখানার অভ্যন্তরে কোন কার্গো প্রবেশ করলে সিকিউরিটি অফিসার, এইচ আর ডি অফিসারের উপস্থিতিতে প্রথমে কার্গোটি সেভেন পয়েন্ট চেক করা হয়। সেভেন পয়েন্ট চেক করে যদি সবকিছু ঠিক পাওয়া যায় তাহলে কার্গোটিকে শিপমেন্টর উপযোগী বিবেচনা করা হয় এবং এর পর কার্গোতে পণ্য বোঝাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
- লোডিং এরিয়াতে পরীক্ষিত কার্টুনগুলো গাড়ীতে লাইন করে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টুন আছে এবং মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সে হিসাব নির্ভুল ভাবে রাখতে হবে।
- সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়ীতে উঠানো হলে গার্ড কমান্ডার গাড়ীতে তালা লাগাবেন এবং গাড়ীতে সীল করে দিবেন। অতঃপর সিকিউরিটি অফিসার তালা ও সীল পরীক্ষা করবেন এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- অতঃপর গাড়ীর রেজিষ্টেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়ীচালককে গাড়ীতে বোঝাইকৃত মোট পণ্যের চালান এবং রোড ম্যাপ প্রদান করবেন একই সাথে গাড়ী লোডিং এরিয়া থেকে সীপোর্ট এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করবেন। উক্ত তথ্য একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- গাড়ী কারখানা চত্ত্বর ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্টকে গাড়ী ছাড়ার সময় গাড়ীর রেজিষ্টেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স অবহিত করতে হবে এবং গাড়ীটির পৌঁছানোর সংবাদ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- পন্যবাহি গাড়ীটির যাত্রা কালীন সময়ে গন্তব্যে পৌাঁছাতে গ্রহণযোগ্য সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে তৎক্ষনাৎ কারখানার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে। তদন্তে কোন গ্রহনযোগ্য য্ুিক্তযুক্ত কারন পাওয়া না গেলে ‘সি এন্ড এফ’ এজেন্ট গুদামে গিয়ে পুণরায় পরীক্ষা করতে হবে।
- কার্গো বোঝাই করার পর নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরন করে গন্তব্যে রওনা হয়। পণ্য বোঝাই কার্গোটি রওনা হলে রাস্তায় যদি কোন সমস্যা হলে বা অনহড়ৎসরঃরবং পরিলক্ষিত হলে উক্ত কাজে নিয়োজিত সিকিউরিটি এইচ আর ডি এবং সি এন্ড এফ বিভাগকে অবহিত করবে।
- কার্গো গন্তব্যে পৌাঁছানোর পর যদি কোন সমস্যা হয় বা অনহড়ৎসরঃরবং পরিলক্ষিত হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সিকিউরিটি এইচ আর ডি এবং সি এন্ড এফ বিভাগকে অবহিত করবে।
by Mashiur | Jan 22, 2018 | ব্যবসায়িক
গ্রুপ বীমা নীতি
অটো গ্রুপ বীমা নীতি বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ইউনিট হিসাবে সমস্ত শ্রমিক কর্মচারীর জন্য গ্র“প বীমা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে। ,-, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের সাথে এই চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন শ্রমিক/ কর্মচারী মৃত্যু কিংবা পঙ্গুত্ব বরন করলে নির্ধারিত বীমা সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যু হলে মূল ডেথ সার্টিফিকেট, আই, ডি কার্ড, হাজিরা খাতার সত্যায়িত কপি, ছুটিতে থাকাকালীন মৃত্যু বরন করলে ছুটির আবেদন পত্রের সত্যায়িত কপি, দুর্ঘটনাজনিত কারনে মৃত্যু হলে স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে বর্নিত সকল ডকুমেন্টেস্ এর সাথে অতিরিক্ত ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং এফ , আই, আর রিপোর্ট এর সত্যায়িত কপি বিজিএমইএ তে সরবরাহ করা হয়। বীমা সুবিধার যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ইন্সুরেন্স কোম্পানী হতে প্রাপ্ত চেক সুবিধা ভোগী বা নমিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়।
ব্যবস্থাপকীয় পদ্ধতি:
১.সংগঠক: এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স
২.দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি: কমার্শিয়াল বিভাগ
৩. কার্সসূচী: গ্র“প বীমা
৪. যোগাযোগের মাধ্যম:
- সমাজ কল্যান কর্মকর্তা
- নোটিশ বোর্ড
- পি, এ সিস্টেম
৫. ফিডব্যাক/ নিযন্ত্রন
এক্সপোর্ট লজিষ্টিক
যে এক্সপোর্ট লজিষ্টিক প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম কানুন মেনে চলে এবং মেনে চলার অংগীকার করে সেই প্রতিষ্ঠানকে আমরা নিয়োগ প্রদান করি। কোম্পানী কর্তৃক দেওয়া নির্দিষ্ট রুট দিয়ে পরিবহন চলাচল করে। রুট পরিবর্তন হলে কারখানা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়। কার্গো ভ্যান/কনটেইনার বোল্ট সিল করা হয়। বোল্ট সিলের রেকর্ড রাখা হয়। বোল্ট সিলের নাম্বার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পথিমধ্যে কোন বিরতির প্রয়োজন হয় না। বিরতির প্রয়োজন হলে কারখানা প্রতিষ্ঠানকে অবগত করা হয়। কার্গো ভ্যান/কন্টেইনার অঘোষিতভাবে চেক করা হয়। চেক রেজিষ্টার মেইনটেইন করা হয়। কার্গো ভ্যান/কন্টেইনার ৭ পয়েন্ট ইন্সপেকশন করা হয়। খালি কন্টেইনার চেক করা হয় এবং রেজিষ্টার মেইনটেইন করা হয়।
by Mashiur | Jan 20, 2018 | ব্যবসায়িক
ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের নীতিমালা
ফ্যাক্টরী চলাকালীন প্রতিদিনই কিছু না কিছু পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের প্রয়োজন হয়। গার্মেন্টস লিঃ নিন্মোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করে মালা-মাল ক্রয় করে থাকে। ক্রয় যেহেতু একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয় তাই বিভিন্ন দিক বিবেচনা পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠান ক্রয় সম্পর্কিত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে যা নিুরূপ ঃ … ফফফফ
- সেকশন প্রধান কর্তৃক রিকুইজিশন তেরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাক্ষর/ অনুমোদন করিয়ে হিসাব শাখায় জমা দেওয়া হয়। কোন পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত কমিটি কর্তৃক পণ্যটি ক্রয় করা হবে। যে সেকশনের পণ্য ক্রয় করা হবে ঐ সেকশন থেকে ১ জন, স্টোর সেকশন থেকে ১ জন এবং এডমিন/ এইচ আর সেকশন থেকে ১ জন সহ মোট তিন জন সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটি GM (Admin) এর অনুমতি সাপেক্ষে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করবে।
- পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩টি সুনামধন্য এবং বড় পরিসরের প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য এবং গুনগত মান যাচাই পূর্বক ক্রয় সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে। হিসাব শাখা হতে তা প্রধান কার্যালয়ে জনাব রানা (পার্সেজ অফিসার) এর নিকট প্রেরণ করা হয়। কারখাণায় গেট এন্ট্রি হয়ে সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধান মাল বুঝে নিয়ে চালান কপিতে স্বাক্ষর করবেন।
- সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত চালান কপি পুনরায় প্রধান কার্যালয়ে প্রেরন করা হবে।
- প্রধান কার্যালয় (পার্সেজ অফিসার) স্বাক্ষরিত চালান কপি অনুযায়ী চুড়ান্ত বিল করে কারখানায় পাঠাবেন।চুড়ান্ত বিল কারখানায় হিসাব শাখা হতে যাচাই পুর্বক চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মহা ব্যবস্থাপক বরাবর পাঠাবেন। মহা ব্যবস্থাপক কর্তৃক বিল অনুমোদনের পর তা আবার প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরিশোধের জন্য।
- পার্সেজ অফিসার রিকুইজিশন /চাহিদাপত্র প্রাপ্তির পর যত দ্রুত কোন পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন হলে নির্ধারিত সেকশন কর্তৃক উক্ত দ্রব্যের চাহিদাপত্র (Requisition) স্টোর – এ পাঠাতে হবে। স্টোর এ যদি উক্ত পণ্য না থাকে এবং তা যদি মাসিক চাহিদাপত্র (Requisition) এর আওতায় আসে তবে সেই পণ্য মাসিক চাহিদাপত্র (Requisition) – এ অন্তর্ভূক্ত করে স্টোর কর্তৃক ক্রয় চাতিদাপত্র (Requisition) পাঠাবে। কোন পণ্য জরুরী ভিত্তিতে ক্রয় করার প্রয়োজন হলে তা ইমপ্রেস ফান্ড এ চাহিদাপত্র (Requisition) দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয় কমিটি কর্তৃক ক্রয় করতে হবে।
- পণ্য ক্রয়ের পর ফ্যাক্টরীতে সিকিউরিটি, সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, একাউন্টস সেকশন এবং উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক মান নিয়ন্ত্রণ এবং ইনভেন্টরি করার পর স্টোরে পণ্যসামগ্রী নথিভুক্ত করে রাখতে হবে।
- সম্ভব চাহিদা পত্র অনুযায়ী মালা-মাল ক্রয় করে কারখানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। ক্রয়কৃত পণ্যের চালান ও বিল গজজ করে হেড অফিসের একাউন্টস সেকশনে পাঠাতে হবে।
- মালা-মালের গুনগত মান প্রাথমিকভাবে পার্সেজ অফিসার কর্তৃক যাচাই করে ক্রয় করবেন।
- কোন শ্রমিককে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে দেশের প্রচলিত শ্রম আইন মেনে চলে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ শ্রমিককে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুসরন করে থাকে।
শ্রমিক কর্তৃক নিুবর্ণিত কাজ ও ত্র“টিসমূহ অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ঃ
- একাকী বা সংঘবদ্ধ ভাবে কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইনানুগ বা যুক্তিসংগত আদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে পালন না করা বা অবাধ্যতা প্রদর্শন করা।
- কোম্পানীর ব্যবসার বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে চুরি, প্রতারণা বা অসাধূতা অথবা কোন ধরনের ক্ষতি সাধন।
- নিজের বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরীর ব্যাপারে বা কোম্পানীর ব্যবসায়িক কোন লেনদেনে ঘুষ বা অবৈধ কোন পারিতোষিক গ্রহণ বা প্রদান।
- বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি।
- প্রতিষ্ঠানের যে কোন আইন বা নিয়ম-শৃ্খংলা ভংগ করা বা ভংগ করার অভ্যাস ।
- কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি।
- অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি।
- শিল্প প্রতিষ্ঠানে উশৃঙ্খল বা দাঙ্গা হাংগামামূলক আচরণ অথবা শৃঙ্খলা হানিকর কোন কাজ।
- শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দলিলপত্র নষ্ট করা, ক্ষতি করা, বিকৃতি করা বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করা।
- নাম, বয়স, যোগ্যতা, পূর্ণ অভিজ্ঞতা বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি ঃ
- কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়। লিখিত অভিযোগে কর্মীর সুপারভাইজার এবং বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ থাকে ।
- গুরুতর ধরনের অভিযোগের বেলায় প্রাথমিক তদন্ত করা হয় এবং পরিচালকের অনুমতি নিয়ে চার্জশীট এবং তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয় ।
- তাকে এর একটি অনুলিপি এবং কৈফিয়তের জন্য অন্যূন ৭(সাত) দিনের সময় দেয়া হয়।
- তাকে ব্যক্তিগত শুনানী দেয়া হয়।
- মালিক অথবা ব্যবস্থাপক এরুপ আদেশ অনুমোদন করেন।
- কোন কোন ক্ষেত্রে অসদাচরণের গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্ত একজন শ্রমিককে তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বিষয়টি কোন আদালতে বিচারাধীন না থাকলে এরুপ সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬০ দিনের বেশী হয় না। উল্লেখ্য যে এরুপ সাময়িক বরখাস্তের জন্য শ্রমিককে বরখাস্ত কালীন সময়ের জন্য গড় মজুরীর অর্ধেক জীবিকাভাতা প্রদান করা হয়।
- সাময়িক বরখাস্তের আদেশ লিখিতভাবে করা হয় এবং এর একটি অনুলিপি শ্রমিককে প্রদান করা হয়।
- শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে, তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্তের সময়ের জন্য তাকে কর্তব্যরত গণ্য করা হয় এবং এরুপ সাময়িক বরখাস্তের সময়ের জন্য তাকে জীবিকা ভাতা প্রদান করা হয়।
- শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদান করা হয় এবং এ আদেশ মালিক বা ব্যবস্থাপক প্রদান করেন।
- যদি একজন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে সম্বোধন করা কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগপত্র, আদেশ, অথবা অন্য কোন দলিল গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, তবে এরুপ নোটিশ, চিঠি, অভিযোগপত্র, আদেশ বা দলিল এর অনুলিপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত করা হয় এবং শ্রমিকের সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়।
- কোন শ্রমিককে দণ্ড দেয়ার সময় শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্ব, শ্রমিকের পূর্ববর্তী চাকরি রেকর্ড এবং বিদ্যমান দন্ড হ্রাস-বৃদ্ধিকারী যে কোন অবস্থা বিবেচনা করা হয়।
শাস্তি বিধান :
- অসদাচারনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত শ্রমিককে নিুলিখিত শাস্তি দেওয়া যাবে-
- গুরুতর অসদাচারনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে যথার্থ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বরখাস্ত করা,
- নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন,
- এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ,
- এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ,
- আইনগতভাবে জরিমানা,
- সাতদিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত,
- ভৎর্সনা বা সতর্কীকরন ।
এছাড়া, দৈহিক বা মানসিক অন্য কোন প্রকার শাস্তি কোন শ্রমিক-কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য নয় বা অনুমোদিত নয় ।
তালিকা ভুক্ত সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রয়ঃ
নিদ্দিষ্ট কিছূ তালিকা ভুক্ত সরবরাহ কারীর মাধ্যমে ও মালা মাল ক্রয় করা হয়ে থাকে যারা একটি নিদ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত দরে আমাদেরকে সেবা /মালামাল সরবরাহ করে থাকে এবং তাদের বিল সমূহ ও পূর্ব নির্ধারিত নিয়মে প্রধান কার্যালয় কর্তৃক পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
দরপত্রের মাধ্যমেঃ নতুন কোন পন্য/ মালা মাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্বান্ত মোতাবেক দরপত্র আহব্বান করে পার্চেজ কমিটি কর্তৃক যাচাই -বাছাই পূর্বক গ্রহনযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সেকশন প্রধান কর্তৃক সরাসরি জরুরী ভিত্তিতে ক্রয়ঃ-
কোন সেকশন এর বিশেষ কোন কিছু জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে তা সেকশন প্রধান কর্তৃক রিকুইজিশন/চাহিদাপত্র তেরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাক্ষর/ অনুমোদন করিয়ে স্থানীয়ভাবে কেনার ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যপারে যাচাই -বাছাই করার খুব বেশী সুযোগ থাকেনা।
by Mashiur | Jan 18, 2018 | ব্যবসায়িক
মানবাধিকার ও সমন্বয়ের নীতিমালা
ভূমিকা ঃ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি ১০০% রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এ শিল্প খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। নতুন শতাব্দীর উষালগ্নে এর উন্নতি, ব্যাপ্তি বা প্রসার খুবই উৎসাহজনক। অটো গ্র“প তার জন্মলগ্ন থেকেই উৎকৃষ্ট কাজের মান বজায় রাখার প্রতিশ্র“তি নিয়ে পথ চলা শুরু করে। তাই অটো পোশাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে আজ একটি পরিচিত নাম। এই গ্র“প এর প্রতিটি কারখানার উত্তর উত্তর উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে অটো গ্র“পের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই উদ্দেশ্যকে সঠিকভাবে কার্যে পরিনত করতে, কর্মচারীদের জন্য সহায়ক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং মানবাধিকার ও সমন্বয়ের মূলনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে অটো কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্র“তিবদ্ধ।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, আইএলও কনভেনশন ইত্যাদি ছাড়াও মানবাধিকার ও দেশে প্রচলিত আইন-কানুন অনুসরন করে অটো গ্র“পের কারখানা পরিচালনার স্বার্থে নিুবর্ণিত নীতিমালা সমূহ প্রণয়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সময়ের সাথে সাথে দেশে প্রচলিত আইনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বা নতুন কোন আইন প্রণয়ন করা হলে অটো গ্র“পেও অনুরূপভাবে তা অনুসরণপূর্বক ইহার নীতিমালা সংশোধন করা হবে।
অটো গ্র“পের সকল কারখানা ও গ্র“পের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগনের জন্য অত্র নীতিমালা সমভাবে প্রযোজ্য।
নিয়োগ নীতিমালা ঃ
অটো গ্র“প দক্ষকর্মী বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বদা নিুবর্ণিত নীতিসমূহ অনুসরন করে থাকে ঃ
- অটো গ্র“পের প্রতিটি শিল্প কারখানায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী/পুরুষ, কালো/ফর্সা, যুবক/বৃদ্ধ, আতœীয়/অনাতœীয়, ভেদাভেদ না করে সমতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান করা হয়।
- প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক, শারিরীক ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম ও সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। ১৪ বছরের নীচে কোন লোক নিয়োগ সম্পুর্নভাবে নিষিদ্ধ।
- শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিুোক্ত প্রক্রিয়া সমূহ অনুসরন করা হয়ঃ
১) সাক্ষাৎকারের জন্য প্রার্থী আহ্বানঃ
- শূন্য পদে নিয়োগের জন্য কারখানার মেইন গেইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন।
- ম্যানেজার/সুপারভাইজারদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ।
- গুরুত্বপূর্ণ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য হেড অফিসের মাধ্যমে জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
২) যোগ্যতা/দক্ষতা যাচাই পরীক্ষাঃ সকল কাজের জন্য যথাযথ ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্যে মৌখিক, জব টেষ্ট এবং ক্ষেত্র বিশেষে লিখিত পরীক্ষা গ্রহন করা হয়ে থাকে।
- শিক্ষা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগের শর্ত পূরণকারী প্রার্থীদের আবেদন পত্র বাছাইকরণ।
- সাক্ষাৎকার গ্রহন, পরীক্ষা ও কর্মদক্ষতার মান আবেদন পত্রের উল্টোদিকে প্রডাকশন ম্যানেজার/বিভাগীয় প্রধান কতৃক লিপিবদ্ধকরণ।
- সাক্ষাৎকার ও দক্ষতা পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা এবং যোগ্য ব্যক্তি বাছাইকরণ।
৫। নিয়োগ কর্তৃপক্ষঃ
ক। হেড অফিস (উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ) হিসাবরক্ষক, মার্চেন্ডাইজার, কমার্শিয়াল, সেফটি, মেডিকেল, নিরাপত্তা, প্রসাশন ও কমপ্লায়েন্স/ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা সহ প্রোডাকশন ম্যানেজার এবং তদোর্ধ পদের নিয়োগ সম্পন্ন করে থাকে।
খ। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ পি এম এবং তদনিু পদের নিয়োগ প্রদান করে থাকে।
৬। নিয়োগ কমিটি ঃ অত্র প্রতিষ্ঠানে নিুবর্নিত কাঠামো অনুযায়ী কমিটির মাধ্যমে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী বাছাই ও নিয়োগ প্রদান করা হয়ঃ
ক। কেন্দ্রিয় নিয়োগ কমিটি ঃ
১) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ——————- চেয়ারম্যান
২) নির্বাহী পরিচালক ——————- সদস্য
৩) বিভাগীয় প্রধান ——————- সদস্য
৪) এইচ আর প্রধান ——————- সদস্য
খ। কারখানা ভিত্তিক নিয়োগ কমিটি ঃ
১) পরিচালক ——————- সভাপতি
২) ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ——————- সদস্য
৩) ম্যানেজার (এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স) —————— সদস্য
৪) পিএম অথবা সংশ্লিষ্ট সেকশন ইনচার্জ —————– সদস্য
৫) কমপ্লায়েন্স/ওয়েলফেয়ার অফিসার ——————- সদস্য
০৭। চাকুরী প্রার্থী কর্তৃক উপস্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় নথিপত্রঃ যে কোন নিয়োগ লাভে আগ্রহী প্রার্থীকে নিমোক্ত নথিপত্রসমূহ উপস্থাপন করতে হয় ঃ
ক। চারটি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গিন ছবি সহযোগে যথাযথভাবে পূরণকৃত চাকুরীর আবেদন পত্র (ফ্যাক্টরীর নির্ধারিত ফরমে) সহ সাক্ষাৎকারের জন্য সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদ বিভাগে উপস্থিত থাকতে হবে। পাসপোর্ট সাইজ ছবি ২টি পার্সোনাল ফাইলে, ১টি সার্ভিস বইয়ে এবং ১টি আই.ডি কার্ডের জন্য ব্যবহার করতে হয়। নিুবর্নিত কাগজপত্র ছাড়া কোন অবস্থায়ই চাকুরীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয় না।
খ। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। এই সনদপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ লক্ষ্য করতে হবে ঃ
১) ৮ম শ্রেনী উত্তীর্ন এবং তদনিু শ্রেনীতে অধ্যয়নের বেলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে ‘স্কুল পরিত্যাগপত্র/ ছাড়পত্র’ সংগ্রহ করতে হবে।
২) যারা শুধুমাত্র অক্ষর চেনা ও নাম স্বাক্ষর করতে পারে তারা স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা চেয়ারম্যানের নিকট থেকে প্রার্থী ‘অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন’ এই মর্মে সনদপত্র সংগ্রহ করবে যাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ থাকে।
৩) ৯ম শ্রেণী উত্তীর্ন বা ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরতদের বোর্ডের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র জমা দিতে হবে।
৪) এস.এস.সি এবং তার সমমান ও তদুর্ধ পরীক্ষায় উত্তীর্নদের শিক্ষা বোর্ডের সনদপত্র জমা দিতে হবে।
৫) যারা শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদপত্র পায় নাই তারা সাময়িক সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
৬) যারা সবেমাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছে শিক্ষা র্বোড থেকে কোন সনদপত্র উত্তোলন করতে পারেনি। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে প্রশংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৭) মানবাধিকার কর্তিক প্রার্থীকে আবেদনপত্র যাচাই শেষে মূল সনদপত্র ফেরত দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিটি সনদপত্রের শুধুমাত্র ফটোকপি সংরক্ষন করা হয় এবং এই ফটোকপি ফ্যাক্টরী ম্যানেজার কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।
৮) মেকানিক/ ইলেকট্রিশিয়ান বা তদ্রুপ পদ যার জন্য কারিগরী শিক্ষা আবশ্যকীয় সেক্ষেত্রে কারিগরী শিক্ষায় সাফল্যজনক উর্ত্তীন হওয়ার স্বপক্ষে সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
৯) প্রয়োজনে বিশেষ কোন পদের জন্য অভিজ্ঞতা সনদপত্র।
১০) কারখানার ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই এবং শারীরিক যোগ্যতার সনদ (নির্ধারিত ফরমে)।
৮। প্রার্থীর বয়স যাচাই ঃ
ক। যে সকল ক্ষেত্রে প্রার্থী নিশ্চিতভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক (শারীরিক গঠন পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে) এবং শিক্ষা বোর্ডের সনদ নিশ্চিত ভাবে প্রমান করে যে প্রার্থী প্রাপ্ত বয়স্ক সে ক্ষেত্রে পুনরায় ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই করার প্রয়োজন নাই। তবে শারিরীক যোগ্যতা সনদ পত্র নিতে হয়। এছাড়া মানবাধিকার কর্তিক সকল প্রাথীকে ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই করা হয়। এই বয়স যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে পুরুষ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য মহিলা ডাক্তার/নার্স নিয়োজিত রয়েছেন। অনেক প্রার্থীর সঠিক বয়স যাচাইয়ের লক্ষ্যে সু-প্রতিষ্ঠিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বোন টেস্ট (ইড়হব ঞবংঃ) এর জন্য পাাঠানো হয়।
খ। প্রার্থীর বয়স সঠিক ভাবে প্রমানিত হওয়া স্বাপেক্ষেই তাকে পরবর্তী স্বাক্ষাতের জন্য মনোনীত করা হয়।
গ। প্রার্থীর বয়স যাচাই- এর সময় ডাক্তারের নিকট আবেদন পত্র এবং বয়স যাচাই ফরম উভয়টিই উপস্থাপন করা হয়। ডাক্তার স্ব-হস্তে বয়স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি উল্লেখপূর্বক উভয় নথিতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত প্রার্থীর ছবিও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কর্তৃক এমনভাবে সত্যায়িত করা হয় যাতে স্বাক্ষর আবেদন পত্র ও ছবি উভয়টিতে বিস্তৃত হয়।
৯। চূড়ান্ত নির্বাচন ও চাকুরীতে যোগদান ঃ
ক। সাক্ষাৎকার দক্ষতা পরীক্ষা এবং বয়স যাচাই-এ উত্তীর্ন প্রার্থীদের চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
খ। কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারন করা হয়।
গ। যোগদানের তারিখ নিশ্চিত করা হয়।
ঘ। বেতন-ভাতা অন্যান্য সুবিধাদি ও প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক চাকুরীর শর্ত উল্লেখ পূর্বক (কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে) নিয়োগপত্র প্রধান করা হয়। নিয়োগ পত্রের সাথে শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য চাকুরীর বিধিমালা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও নীতিমালা সংক্ষিপ্ত বিবরন সম্বলিত একটি হ্যান্ডবুক প্রদান করা হয়। সকল নথিপত্র হস্তান্তরের প্রমান স্বরুপ ফাইল কপিতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের স্বাক্ষর গ্রহন করা হয়। নিয়োগপত্র হস্তান্তরের প্রাক্কালে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তার বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং চাকুরীর বিধিমালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা প্রদান করা হয়।
১০। অবেক্ষমান কাল (প্রবেশনাল পিরিয়ড) ঃ
প্রতিটি শ্রমিককে তিন মাসের জন্য অবেক্ষমান রাখা হয়। এই সময়কালে তার শৃংখলা ও কাজের মান সন্তোষজনক প্রতীয়মান হলে তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয় নতুবা এই অবেক্ষমান কাল আরও তিন মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়। উল্লেখ্য, অবেক্ষমান কালের মধ্যে কোন মানবাধিকার শ্রমিক কর্তৃপক্ষের কাঙ্খিত সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যর্থ হলে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই চাকুরী থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়।