Select Page
অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনাার কারণ সমূহ কি কি?

অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনাার কারণ সমূহ কি কি?

অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনাার কারণ

১) অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ন কাজে অন্তঃ স্বত্তা মহিলা  শ্রমিককে নিয়োজিত করা ।

২) ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃ স্বত্তা মহিলা  শ্রমিককে নিয়োজিত করা। ফফফফ সসসস

৩) দীর্ঘ ক্ষন দাড়িঁয়ে থাকার কাজে অন্তঃ স্বত্তা মহিলা  শ্রমিককে নিয়োজিত করা ।

৪) অসাবধান বা বেপরোয়া ভাবে সিড়িঁতে চলাচল করা।

৫) কোন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা শ্রমিকে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত করা।

৬) কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত করা।

৭) পিচ্ছিল ফ্লোরে কাজ করানো।

৮) পিচ্ছিল টয়লেট ব্যাবহার করা।

দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ঃ-

১) বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ন কাজে অন্তঃ স্বত্তা মহিলা  শ্রমিককে নিয়োজিত  না করা।

২) অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃ স্বত্তা মহিলা (চৎবমহধহঃ ডড়সধহ) শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।

৩) দীর্ঘ ক্ষন দাড়িঁয়ে থাকার কাজে অন্তঃ স্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।

৪) অসাবধান বা বেপরোয়া ভাবে সিড়িঁতে চলাচল না করা।

৫) অন্তঃ স্বত্তা মহিলাদের উপরে উঠার জন্য লিফট ব্যবহার করা।

৬) কোন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা শ্রমিকে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত না করা।

৭) কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত না করা।

            অন্তঃসত্ত¡া মহিলাদের  টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা বা পিচ্ছিল ফ্লোর ব্যবহার না করা।

            ৬ মাস পূর্ন হয়েছে এমন সকল মহিলা শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী মার্তৃত্বকল্যান ছুটি ও সুবিধা প্রদান করা।

            কোন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা শ্রমিকদের দিয়ে জানা মতে সন্তান প্রসবের অব্যবহিত ৮ সপ্তাহ আগে ও পরে কাজ না করানো।

            কোন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত সময়ে কাজ না করানো।

            কোন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা শ্রমিককে প্রচন্ড শব্দ হয় এমন জায়গায় কাজ না করানো।

            কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের অতিরিক্ত গরম এমন জায়গায় কাজ না করানো।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়ুন এবং নিরাপদ জীবন গড়ুন ।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়ুন এবং নিরাপদ জীবন গড়ুন ।

চিকিৎসা ও মেডিকেল বিষয়ক লেখা পড়ুন

একজন রুগির রোগের ইতিহাস বিসতভাবে আলোচনা করা হলো।

একজন রুগির রোগের ইতিহাস

২০১৯ আপডেট

  • ২০০২ সালে সর্ব প্রথম কাশি হয়। দির্ঘ ২ মাস ছিল। Mebolin খাওয়ার পর ১ বৎসর সম্পুর্ন ভাল থাকি।
  • ২০০৩ বৃষ্টীতে ভিজার ফলে আবার কাশি হয়। আবার Mebolin খাওয়ার পর ১ বৎসর সম্পুর্ন ভাল থাকি।
  • ২০০৪ সালে বৃষ্টীতে ভিজার ফলে আবার কাশি হয়। Mebolin খেয়ে আর ভালো হয়নি।
  • ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২ বৎসর কাশিতে ভুগার পর Doxycab Antibiotic খাওয়ার পর কাশি সম্পুর্ন ভাল হয় এবং ৬ মাস ভাল থাকি।
  • ২০০৭ সালে কাশি শুরু হয়। Fenat, Montair-10 দীর্ঘ ৬ মাস খেয়ে কমলেও কাশি ভাল হয়নি।
  • ২০০৯ সালে Fenat, Provair-10mg, Unicontin, Sinecord, Binodar-SR500, Deslor-5mg, Revital-32 দীর্ঘ ৬ মাস খেয়ে কমলেও কাশি ভাল হয়নি।
  • ২০১২ থেকে কাশির সাথে একটু শ্লেমা জাতিয় রস বের হওয়া শুরু হয়
  • ২০১৩ N-Sol, Becospray, Rupa, Stimo ৩ মাস ১৫ দিন ব্যবহার কালিন সময় পুরো ভাল ছিলাম। ঔষধ শেষে আবার কশি শুরু হয়।
  • ২০১৪ Unilin CR 200mg (Theophylline USP 200 mg), Montair-10 ২০ দিন খেয়ে কাশি মোটেও ভাল হয়নি
  • ২০১৪ Frangit মাএ ১০ দিন খেয়ে পুরো ভাল ছিলাম। ২০ দিন পর আবার কাশি।
  • ২০১৭ সালে ফুসফুসে সামান্য ইনফেকশন ধরা পরে। প্রথম কফ আসে। Calavurox 250, Paricel 20, Doxiva200 Montair 10, Methipred 16, Bexitrol-F 25/250, PulmoCare-L Inhaler, Klabid Er 500mg, Alcet 5mg, Avamys Nasal Spray ব্যাবহার করার পর ভাল হতে থাকে।
  • ২০১৮ সালে পুনরায় কফ হয়। Doxiva 200, Motnair 10, Maxiflox 400, Thyvy খেয়ে ভাল হয়।
  • ২০১৯ সালে Seretide Accuhelar 50/500 mg, Unicontin 200, Montair 10, Dipa Pulmodox 200mg খাবার পরেও পুরপউরি ভাল হয়নি
  • আজ পযন্ত কোন শাষ কষ্ট হয়নি। নাক বন্ধ হয়নি। সাধারনত যেসব কারনে কাসি হয় – বাস জার্নি, বিছানায় শুবার সময়, ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ করার সময়, গোসল করার সময়, ঠান্ডা পানি খেলে, নাকে বিশেষ গন্ধ পেলে, ধুলা বালি ইত্যাদি।

২০১৪ আপডেট

একজন রুগির রোগের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো ঃ

  • ২০০২ সালে সর্ব প্রথম কাশি হয়। দির্ঘ ২ মাস পর Mebolin খাওয়ার পর সম্পুর্ন ভাল হয় এবং ১ বৎসর ভাল থাকি।
  • ২০০৩ বৃষ্টীতে ভিজার জন্য আবার কাশি হয়। ১ বৎসর পর Mebolin খাওয়ার পর সম্পুর্ন ভাল হয় এবং ১ বৎসর ভাল থাকি।
  • ২০০৪ সালে বৃষ্টীতে ভিজার জন্য আবার কাশি হয়। ২ বৎসর কাশিতে থাকার পর Mebolin খেয়ে আর ভালো হয়নি।
  • ২০০৫ সাল থেকে সকালে ঘুম খেকে উঠার পর পর কাশি থাকে না কিন্তু তার পরেই গোসল করার সময় সব থেকে বেশী কাশী হয়। অফিসে সব সময় AC তে কাজ করতে হয়।
  • ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২ বৎসর কাশিতে ভুগার পর Doxycab Antibiotic খাওয়ার পর কাশি সম্পুর্ন ভাল হয় এবং ৬ মাস ভাল থাকি।
  • ২০০৭ সালে কাশি শুরু হয়। Fenat, Montair10 দীর্ঘ ৬ মাস খাওয়ার পরও ভাল হয়নি।
  • ২০০৮ খেকে নাক মুখ দিয়ে গরম বাস্প নিলে পরবর্তী সময় কিছু আরাম পাওয়া যায়।
  • ২০০৯ সালে Fenat, Provair-10mg, Unicontin, Sinecord, Binodar-SR500, Deslor-5mg, Revital-32 দীর্ঘ ৬ মাস খাওয়ার পরও ভাল হয়নি।
  • ২০১০ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় কাশি একটু বেশী হয়। বিমর্য্ হলে/কাদলে কাশি অনেক বেরে যায়।
  • Dust, Environment Change, Garments Dust, Coke, ঠান্ডা পানি খেলে মাঝে মধ্যে গলা চুলকায় এবং কাশি হয়।
  • ২০১১ থেকে কাশতে কাশতে কাশির সাথে লালা বের হওয়ার পর কাশি আর থাকে না।
  • ২০১২ থেকে কাশির সাথে একটু শ্লেমা জাতিয় রস বের হয় কিন্তু এর আগে ছিল না।
  • ২০১২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত Homeopathic খাওয়ার পর Alergy কাশি কমলেও ভাল হয়নি এমনকি নাকে শ্বাষ নেওয়ার সময় শব্দ হয়।
  • ২০১২ থেকে বাস যাতায়াত করলে নাকে ঠান্ডা লেগে যায়।
  • ২০০২ থেকে আজ পযন্ত কোন শাষ কষ্ট হয়নি।
  • ২০১৩ N-Sol, Becospray, Rupa, Stimo ৩ মাস ১৫ দিন ব্যবহার কালিন সময় পুরো ভাল ছিলাম।ঔষধ শেষ হবার পর আবার আগের মত কশি হয়। উন্নতি হয়নি
  • ২০১৪ Unilin CR 200mg (Theophylline USP 200 mg), Montair 10 ২০ দিন খেয়ে কাশি আরও বেরে গিয়েছিল।
  • ২০১৪ Frangit মাএ ১০ দিন খেয়ে পুরো ভাল হইছিলাম। ২০ দিন ভাল থাকার পর আবার আগের মতই।

সঠিক দেহ ভঙ্গি

সঠিক দেহ ভঙ্গি

ব্যাথা মুক্ত জীবনের জন্য বেয়াম

ব্যাথা মুক্ত জীবনের জন্য বেয়াম 

ব্যাথা মুক্ত জীবনের জন্য বেয়াম

আরগোনমিক্স জনিত আঘাত এড়ানোর উপায় কি কি ?

আরগোনমিক্স জনিত আঘাত এড়ানোর উপায় কি কি ?

কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখা

কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখা
সব কিছু গুছিয়ে রাখাইতো আপনার জন্য কল্যাণকর। একটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্ম পরিবেশ গোটা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। ভালোভাবে ঘর গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে কাজের পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব। কর্মস্থল পরিপাটি রাখার অভ্যাস কর্মীকে দক্ষ করে তোলে, নৈতিকভাবে উৎসাহিত করে। দুর্ঘটনা রোধেও এর রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা।

অন্যদিকে অগোছালো কর্মস্থলে কাজের উৎসাহ এবং নৈতিকতায় ভাঁটা পড়ে। এর ফলে নিজের যে কোন রকমের বিপদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আলগাভাবে রাখা বস্তুর উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পড়ে যাওয়া। উপর থেকে ছিটকে পড়া বস্তু দ্বারা আঘাত পাওয়া। তৈলাক্ত, স্যাঁতসেঁতে কিংবা নোংরা মেঝেতে পিছলে পড়া। বাইরের দিকে প্রসারিত ধারালো বস্তুতে আঘাত লেগে ছিলে যাওয়া বা ক্ষত হওয়া।  জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন দ্বারা দাহ্য পদার্থে অগ্নি সংযোগ। তৈলাক্ত জঞ্জালে স্বতঃস্ফূর্ত অগ্নিকান্ড।

দুর্বল হাউজকিপিং এর কিছু নমুনা

(যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে)
কাজের জায়গায় অতিরিক্ত মালামাল কিংবা বর্জ্য রাখা, গাদা-গাদি করে সরু প্যাসেজ গুলিতে জিনিসপত্র রাখা।  মেশিনের উপর টুলস্ (হাতিয়ার) ফেলে রাখা, মালামাল খুব উঁচু করে বা এলোমেলো করে সাজিয়ে রাখা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া উপকরণ পরিস্কার করার ব্যর্থতা, বর্জ্যের পাত্রগুলোর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বর্জ্যের কারণে আশে-পাশে সয়লাব হয়ে যাওয়া।  ধারালো বস্তু প্রসারিত হয়ে থাকা, যেমন- তারকাঁটা, তার, ষ্টিলের রশি, ভাঙ্গা কাঁচ, ইত্যাদি। দাহ্য পদার্থ জমিয়ে রাখা, ধূমপানের বিধিনিষেধ পালনে অনীহা। তৈলাক্ত কম্বল এবং বর্জ্য খোলা জায়গায় রাখা।

উত্তম হাউজকিপিং বা পরিপাটি করে নিজের কর্মস্থল সংরক্ষণ করা আপনার নিয়োগকর্তার জন্য একটা ভালো প্রচার। যে প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, সুন্দর এবং দক্ষ পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতায় তাদের কাজ চালিয়ে যায় তাদের ক্রেতা এবং ক্লায়েন্টরা সেই প্রতিষ্ঠানের উপর বেশি আস্থা রাখে।
মোট কথা ভালো হাউজকিপিং আপনার কর্মস্থলকে কাজের জন্য আরও বেশি নিরাপদ করতে পারে।
পেশাগত পরিবেশে মানুষের যোগ্যতার বিচার বিশ্লেষণ সংক্রান্ত বিদ্যা কিংবা অকুপেশনাল আরগোনমিক্স বলতে কি বুঝায়?
কর্মস্থলের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আরেগোনমিক্স শব্দটা প্রায়শঃই শোনা যায়। এর সঙ্গে আমরা “রিপিটেটিভ ট্রমা ইনজুরী” (আরটিআই) কারপাল টানেল সিনড্রোম, টেনোসাইনোভাইটভ ইত্যাদি শব্দগুলো শুনতে পাই। তবে এসব অসুস্থাতায় যারা আক্রান্ত কেবলমাত্র তারাই বোঝে এসবের ভয়াবহতা। এগুলোর চিকিৎসা সম্পর্কেও কমবেশী তারাই জানে। কিন্তু যাদের এমন কোনো দুর্গটনাজনিত রোগ হয়নি তারা অবশ্যই ভাগ্যবান।

আসলে “আরগোনমিক্স” হলো কাজের পরিবেশের সঙ্গে মানুষের মিথস্ক্রিয়া বা ইন্টারএ্যাকশন। এই যে পরিবেশ তাতে কাজের স্থানের চরম তাপমাত্রা এবং আলোর অবস্থাও বিবেচনায় আসে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আরগোনমিক্স সংক্রান্ত বিষয়গুলো মানব দেহের শক্তি এবং কাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, যা নাকি তার কাজের স্থানে পরিবেশগত অসঙ্গতি এবং হাতিয়ার ব্যবহারে অসাবধানতা বা তাচ্ছিল্যের কারণে বিনষ্ট হতে পারে। এমন কি কখনো বা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গও হয়ে যেতে পারে। উপরোক্ত আঘাতগুলোর মধ্যে আরটিআই যে কোনো লোকের হতে পারে। সামান্য হলেও গোড়াতেই সুচিকিৎসা না করা হলে পরিণতি দুর্বিষহ হতে পারে। শরীরের কোন অঙ্গের মাত্রাধিক ব্যবহারের কারণেও এটা হতে পারে। নির্মাণ শ্রমিক, দ্বাররক্ষী, জেনিটরস, সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মী ,এ্যসেম্বলী লাইন ওয়ার্কারস, স্বাস্থ্য পরিসেবা কর্মী, খাদ্র পরিবেশক, পেশাজীবী ক্রীড়াবিদ, কম্পিউটার অপারেটর এবং সেক্রেটারীয়াল কর্মীরা এতে আক্রান্ত হয় খুব বেশি।

অস্থির সন্ধি (জয়েন্ট) তে আঘাত প্রাপ্ত হলে কিংবা হাত পাযের বিভিন্ন অংশ নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে বারবার ব্যবহার করলে আরটিআই এ আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে ভুল আংগিকে কাজ করা, অসম ভার-উত্তোলন (উঠানো), দূরবর্তী কিছু হাতের কাছে আনার চেষ্টায় দেহের কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গে অযথা বা বাড়তি চাপ প্রয়োগ করা। এরকম অবস্থা ঘটে শুধুমাত্র কাজের স্থলে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা এবং কাজে ব্যবহার্য হাতিয়ারগুলোর অসংলগ্ন অবস্থানের কারণে। এসব পুনর্বিন্যাস করলেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং আরটিআই’র আশংকা হ্রাস পেতে পারে।

আরগোনমিক্স জনিত আঘাত এড়ানোর উপায় কি?

উপায় হলো এই পরামর্শগুলো মেনে চলা ঃ
বারবার হাতের নাগালের বাইরের কোন কিছু হাতে আনার চেষ্টা না করা।

মাংসপেশীর উপরে দীর্ঘস্থায়ী ভার না দেওয়া। এক নাগাড়ে মাথার উপরের কাজ এড়িয়ে যাওয়া যাতে ঘাড়ের এবং কাঁধের পেশীগুলোতে চাপ না পড়ে।

অসম কিংবা বিকৃত ভঙ্গিমায় দীর্ঘক্ষণ কাজ পরিহার করা।

ঘন্টায় অন্ততঃ একবার কিছুক্ষণের জন্য হলেও হাত-পা ছড়িয়ে বসা যাতে শক্ত মাংসপেশীগুলো নরম, স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ডেস্কে বসে কাজ করলে মেরুদন্ড সোজা এবং পায়ের ভর রাখার জন্য উপযুক্ত আধুনিক নিয়ন্ত্রণযোগ্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা।

হাত এবং কব্জির বারবার ব্যবহার এড়িয়ে চলা, বিশেষ করে কষ্টসাধ্য ভঙ্গিতে।

যথাযথভাবে/সঠিকভাবে ভারী জিনিস তোলা যাতে মেরুদন্ডে চোট না লাগে।

নতুন ডিজাইনের হাতিয়ার সংগ্রহ করা যা অপেক্ষাকৃত সহজে ব্যবহার করা যায়।

শরীরের কোনো অঙ্গ বা জয়েন্টে বারবার ব্যথা অনুভব করলে সুপারভাইজারকে বলে আরগোনমিক্স জনিত সমস্যা দূর করা।

ব্যথা না কমলে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করা।

যে সব কারনে আরগোনমিক্স জনিত আঘাত হতে পারে সেসব কাজ সাবধানে সম্পাদন করা।

কারপাল টানেল সিনড্রোম এড়ানোর পথ সমুহ কি কি ?

কারপাল টানেল সিনড্রোম এড়ানোর পথ সমুহ কি কি ?

কারপাল টানেল সিনড্রোম

বছর খানেক এক ব্যক্তি  কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করবার পরে হঠাৎ করে হাতের তালুতে এবং মাঝের আঙ্গুঁলগুলোতে ব্যথা অনুভব করে কিন্তু সে প্রথমে এদিকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এখন তার এমন অবস্থা যে কব্জি না বেঁধে সে কাজই করতে পারেনা।

একজন ইলেট্রিশিয়ান এর কথাই ধরা যাক। তার এখন নিদারুণ চিন্তা কি করে একজন নির্মাণ সুপারভাইজার এর কাজ পাওয়া যায় কেননা সে তার হাত দুটোতে এমন আঘাত পেয়েছে যে একটা স্ক্রু-ড্রাইভার ঘুরানোর শক্তিও যেন তার নেই।

আরও একজন যে ইলেকট্রনিক প্লান্ট-এ সার্কিট বোর্ড এ্যাসেম্বলিং এর কাজ করে। দীর্ঘদিন তার উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল যে জন্য তার পারিশ্রমিকও ছিল বেশি কিন্তু সাম্প্রতিককালে তার হাত দুটো কেমন যেন শক্ত বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। গরম পানিতে হাত রাখলে কিছুটা নরম হয়। আগের মতো সে আর কাজ করতে পারেনা। তার উৎপাদিত পণ্যে প্রত্যাখ্যানের হার বেড়েই চলেছে।

এদের প্রত্যেকেই একই রোগে ভুগছে যার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম। কারণ তারা দীর্ঘ সময় ব্যাপী পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ করেছে এবং কোনোরূপ সতর্কতা অবলম্বন করেনি কিংবা আঘাত প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।

এই ব্যধি আরটিআই টাইপেরই এটি অতি সাধারণ প্রকারভেদ। এতে একই কাজ বারবার এবং দীর্ঘ সময় ধরে করাতে হাতের শিরা-উপশিরাগুলো অবসন্ন হয়ে তাদের কর্মক্ষমতা এক পর্যায়ে হারিয়ে ফেলে। শিরাগুচ্ছগুলোতে অবিরাম প্রচন্ড চাপে কারণে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয, ঐ ব্যথা ধমনীতেও চলে আসে। ফলে হাত দিয়ে কিছু আঁকড়ে ধরার শক্তি, অনুভূতি এবং নিয়ন্ত্রণ সবই হারিয়ৈ যায়। অপারেশন করেও তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায়না।

কারপাল টানেল সিনড্রোম এড়ানোর পথ

এ এমনই একটা রোগ বা আঘাত যা সময় থাকতে প্রতিরোধ না করা গেলে পরবর্তীতে আর কোনো কার্যকর প্রতিষেধক পাওয়া যায়না। এটা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে আক্রান্ত করে এবং এর প্রকোপ কমাতেও লাগে দীর্ঘদিন। তবে হ্যাঁ, এর আক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে আনতে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন, যেমন-

কব্জি বাঁকা করে বারংবার হাত চালানো এড়িয়ে চলুন।
নিরপেক্ষ অবস্থানে হাত রাখুন কিংবা তালুর দিকে সামান্য বাঁকিয়ে রাখুন।
কাজের জন্য সঠিক হাতিয়ার ব্যবহার করুন।
প্রতি ঘন্টা পরপর হাত দুটোকে একটু বিশ্রাম দিন। আপনার কাজের ধারাবাহিকতা গুলো পুনর্বিন্যাস করে নিন যাতে সব সময় আপনাকে একই কাজ একইভাবে বারবার না করতে হয়।
যদি আপনার মনে হয় আপনি সিটিএস-এ আক্রান্ত হতে চলেছেন দেরী না করে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। কর্মস্থলকে কিছুটা এদিক-সেদিক করে কিংবা কাজের অভ্যাসে কিছু রদ করতে পারলে কাজ হতে পারে।

পিছলে পড়া এবং পতন রোধ করার উপায় সমুহ কি কি?

পিছলে পড়া এবং পতন রোধ করার উপায় সমুহ কি কি?

পিছলে পড়া এবং পতন

কর্মস্থানে আঘাত পাওয়া এবং মৃত্যু বরণের অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ কারণ হল পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা উপর থেকে নীচে পতন। বহু কর্মস্থলে মালামাল বহনের মই কিংবা আবর্জনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং পিছলে পড়ে যাবার আশংকা সব সময়েই থাকে। ফলে আঘাত পাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। এ ধরণের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা এবং এগুলো এড়ানোর পদ্ধতি অনুশীলনের মাধ্যমে পিছলে পড়া কিংবা পতনের ঘটনা কমানো যায়।

কাজের পরিবেশ যদি স্বাভাবিক থাকে এবং প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা যথাস্থানে থাকে তাহলে পিছলে পড়া কিংবা পতনজনিত দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। পরিবেশের আকস্মিক পরিবর্তন করলে আপনি আপনার পতন ডেকে আনতে পারেন। যেমন অপ্রত্যাশিত আবর্জনা, অনুপযুক্তভাবে বস্তু সামগ্রী ষ্টোর করে রাখা, মেঝে তৈলাক্ত কিংবা জায়গায় জায়গায় স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকলে আপনার পতন অনিবার্য। তাই দেখতে হবে বর্জ্য, তৈলাক্ত পদার্থ, পানি কিংবা অন্য কোন বিপজ্জনক সামগ্রী আপনার কর্মস্থলের মধ্যে কোথাও আছে কিনা। থাকলে সেগুলো তখন তখনই পরিস্কার করে ফেলার ব্যবস্থা নিন।

চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পথেই আপনি হাঁটবেন। মেশিন বা যন্ত্রপাতির মধ্য দিয়ে বা কোনো সংক্ষিপ্ত পথে চলাচল করার কোনো চেষ্টা করবেন না, কেননা ঐ পথের সঙ্গে আপনার সঙ্গত কারণেই তেমন কোনো পরিচয় নেই। কোন দিকে আপনি এগুচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন, চলতে চলতে কথা বলে অমনোযোগী হয়ে পড়বেন না। দু’হাতে ভারী জিনিষ নিয়ে চলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে আপনার দৃষ্টি যদি সামনে বাধা পায়। নীচে নামবার সময়তো বটেই। ভালো হয় যদি ঐ অবস্থায় লিফট ব্যবহার করেন কিংবা অন্য কারো সাহায্য নেন। প্রয়োজনে একবারে নেওয়ার স্থলে দুবারে ভারী মালামাল বহন করুন। সেটা আরও বেশি নিরাপদ। কম কাজ করা নিরাপদ এবং এতে আপনার পিঠের উপরে চাপও কম পড়ব্।ে সিড়ির উপরে মালামালে অংশ রেখে তা পরে তুলে নেবার কথা ভাববেন না। কে জানে পরের ট্রিপ আপনার না হয়ে অন্য কারোও তো হতে পারে।

আপনার কাজ যদি ভারী কিংবা মাচানের উপর হয় তাহলে তার সামগ্রীগুলো পূর্বাহ্নে পরীক্ষা করে নিন। চারিপাশের দুর্বল স্থানগুলো সনাক্ত করুন। মাচানের উপরে দাঁড়িয়ে বাক্সের উপরে উঠতে চেষ্টা করবেন না কিংবা বেয়ে ওঠার মই মাচানের উপরে দাঁড় করাবেন না। তার পরিবর্তে অন্য স্তরের আর একটি মাচান ব্যবহার করুন। শক্ত সোজা, পরিস্কার তক্তা এবং স্তর কাজে লাগান। পায়ের আঙ্গুঁল রাখা যায় এমন বোর্ড ব্যবহার করুন যাতে আপনি নেজে পড়ে না যান কিঙবা হাতিয়ারগুলো সেখান থেকে পড়ে না যায়।

মই যদিও একটি সাধারণ সরঞ্জাম, এ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হবার ঘটনাও অতি সাধারণ এবং প্রায়ই ঘটে থাকে। তাই সময় নিয়ে সঠিকভাবে দাঁড় করাবার পরে সেটা ব্যবহার করবেন। দেখবেন যেখানে মইটা স্থাপন করছেন সেই জায়গাটা মসৃণ এবং স্থিতিশীল হয়। কোনো অবস্থাতেই এটা বাক্স, সাজ-সরঞ্জাম কিংবা অন্য কোন বস্তুর উপরে দাঁড় করাবেন না, কারণ একটু সরে গেলেই পতন অনিবার্য। যে কোন কাজের জন্য উপযুক্ত ও সঠিক উচ্চতার মই ব্যবহার করুন। মইটিতে আড়াআড়ি নির্দেশক না থাকলে প্রতি চার ফুট উচ্চতার জন্য ভিত্তি থেকে একফুট সরিয়ে কৌণিক অবস্থায় রেখে চেষ্টা করতে পারেন।

হাতিয়ার সামগ্রী উপরে তোলার জন্য কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা শ্রেয়। তাতে হাতদুটো মইটি ধরে রাখার মত মুক্ত থাকে। অন্যথায় আপনি ঠিক জায়গায় অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার, পেইন্ট রশি দিয়ে বেঁধে উপরে টেনে নিন।

মই ব্যবহারের সবচাইতে বড় বিপদ হলো এর ব্যবহারকারীর মধ্যে ঝুঁকে পড়ে দূরের কোনো কিছু নাগাল পাওয়ার সাধারণ প্রবণতা চলে আসে। সে হয়তো ভাবে “মাত্রতো দু’তিন ইঞ্চির দুরত্ব, আমি পৌঁছাতে পারবো”। হ্যাঁ আপনি পৌঁছাবেন ঠিকই তবে কাঙ্খিত জায়গায় না হয়ে তা হবে মাটিতে, তাও এত দ্রুততার সঙ্গে যা আপনার কাছে মোটেও কাম্য হবেনা। সবচাইতে ভালো হয় উপরের এবং নীচের অংশে মইটা রশি দিয়ে বেঁধে নিন, বিশেষ করে বেশি উঁচু কাজে। কখনো উপর থেকে তৃতীয় পাদানীর উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা একেবারেই করবেন না।

এলুমিনিয়াম এর মই চমৎকার বিদ্যুৎ পরিবাহী। অতএব, ওভার হেড তার এর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। সাধারণতঃ উঁচু ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনে কিংবা তার আশেপাশে কাজের জন্য

 স্থিতিশীলতা এবং সক্রিয়তা

এই সেকশনে তথ্য ঃ পদার্থগুলোর পারস্পরিক বিক্রিয়ার বিভিন্ন পথ আছে। এই সেকশনে বিপজজ্নক পদার্থ এবং পরিস্থিতিগুলো তালিকাভুক্ত করতে যখন সেগুলো এমএসডিএস-এ আলোচিত পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। এতে থাকে রাসায়নিক পদার্থগুলোর পারস্পরিক অসঙ্গতি, সেগুলো এড়িযে চলার শর্ত, পণ্য পৃথকীকরণ এবং পণ্যের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে তথ্যাদি।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?

আগে জানা থাকলে অধিক নিরাপদে ম্যাটিরিয়াল হ্যান্ডেল এবং ষ্টোর করা।
পরিবর্তিত তাপমাত্রায় পদার্থটির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যেতে পারে।
কন্টেইনার এবং তাকের জন্য উপুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা।