Select Page
কেমিক্যাল গুদামজাতকরন, ব্যবহার এবং পরিচালন নীতি

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন, ব্যবহার এবং পরিচালন নীতি

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন কার্য প্রক্রিয়া এবং ব্যবহারিক কাজের কেমিক্যালের দ্বারা আমাদের নিয়োগকর্মী ও পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করাই আমাদের লক্ষ্য/নীতি।

বৈধ চাহিদা ঃ

  • সনাক্তকরন, লেবেলিং ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যাবলী শ্রমিকদের  জন্য প্রদত্ত সতর্কতামূলক তথ্যে বলা থাকবে।
  • কেমিক্যাল নিয়ে নিরাপত্তার সাথে কাজ করার বিষয়ে নিয়োগ কর্মীদের অবশ্যই প্রশিক্ষিত হতে হবে এবং প্রশিক্ষনের বিষয়গুলো অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকবে।
  • শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ।
  • কারখানা আইনে শ্রমিকদের কর্তব্য ঃ
  • কোন অন্যায়/অপব্যবহার প্রয়োগ করা যাবে না।
  • নিজকে বা অন্যকে বিপন্ন করে কোন কিছু করা যাবে না।
  • নিয়োগকর্মীদের স্বাস্থ্যগত ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা করা যাবে না।
  • স্বাস্থ্যগত পরীক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।

সনাক্তকরন ও লেবেলিং ঃ

  • সমস্ত কেমিক্যালের পাত্রের গায়ে অবশ্যই উৎপাদকের বা সরবরাহকারীর নাম এবং ঠিকানা সম্বলিত লেবেল লাগাতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহারের নির্দেশ থাকবে।
  • লেবেলের উপর নির্দেশিত তথ্যাদি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সমস্ত নিয়োগকর্মীর জানা উচিত।
  • কোন সুপারভাইজারের চেকবিহীন এবং লেবেলহীন পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।

গুদামজাতকরণ ঃ

কেমিক্যাল গুদামজাতকরন এর কিছু সাধারন নিয়মাবলী

  • গুদাম ঘরে পর্যাপ্ত আলো, বাতাসসহ শুষ্ক ও ঠান্ডা হওয়া উচিত।
  • তাপ এবং আগুন বা বিষ্ফোরনের উৎস হতে গুদামঘর দূরে থাকবে।
  • সহজে দাহ্যকৃত কেমিক্যালের পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে এবং আগুনের উৎস থেকে দূরে    রাখতে হবে।
  • বিপরীত গুনধর্মী কেমিক্যাল অবশ্যই পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে।
  • অন্য কোন কেমিক্যাল দ্বারা খালি পাত্র ভর্তি করা যাবে না এবং ব্যবহৃত খালি কেমিক্যালের পাত্র      যেটি আগে খালি হবে সেটি আগে বাহিরে যাবে।
  • কেমিক্যালের ষ্টোর অবশ্যই দ্বিতীয় প্রকোষ্ট দ্বারা বেষ্টিত করতে হবে যাহার ধারন ক্ষমতা হবে             সংরক্ষিত কেমিক্যালের ১১০%।
  • ধুমপান ও পানাহার নিষিদ্ধ সম্বলিত চিহ্ন (লিখিত আকারে ও প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত) কেমিক্যালের      গুদামঘরে এবং কেমিক্যাল ব্যবহৃত স্থানে টানানো থাকবে।
  • নিয়োগ কর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি (চচঊ) ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং বিপজ্জনক কেমিক্যাল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলতে হবে।
  • খাওয়ার পূর্বে হাত ধোবে এবং হাত পরিষ্কার করার জন্য কোন প্রকার সলভেন্ট ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করবে।
  • অতি দ্রুত দূষিত কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
  • ব্যক্তিগত কাজের জন্য চাকুরীর ক্ষেত্র হতে কখনই কেমিক্যাল নিয়ে যাবে না।
ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য কি? নিরাপত্তামূলক ঝুকি কি কি ?

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য কি? নিরাপত্তামূলক ঝুকি কি কি ?

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য – একজন শ্রমিক একটি যন্ত্রে ভাল্বে নাট শক্ত করে লাগাতে গিয়ে সেটার প্যাঁচ কেটে ফেলে। যার ফলে, ওর সংযোগ লাইন ফেটে যায়। এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া সালফিউরিক এসিড শ্রমিকটির গায়ে লাগলে সে দৌড়ে যায় কাছাকাছি পানির ঝর্ণার কাছে। দেখলো বিভিণœ জায়গায় ছিদ্র হয়ে যাবার কারণে সেটাও এখন কাজ করছেনা, কে যেন পানির সাপ্লাইও বন্ধ কওে দিয়েছে। …

সে দৌড়ে পরের শাওয়ারের কাছে যায়, সেটা কাজ করছিল কিন্তু ততক্ষণে লোকটির পুরো মুখ এবং শরীরের উপরের অংশ এসিডে ভয়ংকরভাবে জ্বলে গিয়েছিল। প্রতিরক্ষামূলক কাপড় সে পরেনি। ভেবেছিলো সে নিরাপদেই আছে। লোকটির ভাগ্য ভালো যে সে তার চোখে সেফটি গগল্স পরেছিল। কেমিক্যাল স্টোরে কর্মরত সকল শ্রমিক/কর্মচারী কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদী (পি,পি,ই) ব্যবহার করতে হবে।

দূর্ঘটনাবশত কারনে এরপরও যদি কোন কারনে কেমিক্যাল কারও শরীরে লাগে অথবা চোখে যায় অথবা মুখে যায় তবে জরুরী ভাবে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ক্ষয়কারী বস্তুগুলো আসলে বিক্রিয়াশীল রাসায়নিক পদার্থে ভরা থাকে। এর স্পর্শে এলে বস্তু গলে যায় বা ক্ষয় হয়ে যায়। মানুষের দেহের মাংসও গলে যেতে পারে। সাধারণত ঃ শিল্পে ব্যবহার্য এসিড ও ক্ষারীয় কেমিক্যাল পানিতে মিশে থাকতে পারে যা ক্ষয়কারী । ক্ষয়কারী রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং নাইট্রিক এসিড সচরাচর পাওয়া যায় বা ব্যবহার হয়। অপরদিকে এ্যালকালির মধ্যে কষ্টিক সোডা, কষ্টিক পটাশ ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থগুলো ল্যাবরেটরী এবং কেমিক্যাল প্লান্ট ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায়। রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত করতে, ধাতব পদার্থ পরিষ্কার ও পরখ করতে এবং ব্যাটারীতে এ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। মানব দেহে ক্ষয়কারী পদার্থের গুরুতর প্রভাব পড়ে, এত শরীরের টিস্যুগুলো জ্বলে বা পুড়ে যায়।

যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন হলে সাবান ব্যবহার করতে হবে। এসব রাসায়নিক দ্রব্য মাবনদেহের কতটা ক্ষতি করতে পারে শ্রমিকরা তা ভাবে না। ক্ষতি যখন হয়ে যায় তখনই কেবল পূর্বোক্ত শ্রমিকের মতো তাদের টনক নড়ে। ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। এই ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে নিজেকে বাচাঁতে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আগে ভাগেই নেওয়া ভাল। ক্ষয়কারী পদার্থেও পরিমাণ ও ঘনত্বের পার্থক্যের ভিত্তিতে পিপিইগুলি পৃথক হতে পারে তথাপি সাধারণতঃ মুখমন্ডল বাঁচানোর সরঞ্জাম, দস্তানা, জুতা, প্রতিরক্ষামূলক কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পিপিই হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বায়ু পরিবাহিত গ্যাস ও ধোঁয়া থেকে আতœরক্ষা করতে শ্বাস-প্রশ্বাস রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে।

দূর্ঘটনাবশতঃ উক্ত কেমিক্যাল খেয়ে ফেললে মুখ দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং বমি করার চেষ্টা করতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে।

নিঃশ্বাসের সাথে উক্ত কেমিক্যালের গ্যাস শ্বাস প্রশ্বাসের ভিতরে চলে গেলে মুক্ত বায়ু সেবন করতে হবে। এরপরে থাকছে জরুরীভাবে দূষণমুক্ত কওে এমন সাজ-সরঞ্জাম যেমন- নিরাপত্তামূলক ঝুকি  পানির ঝর্ণা, চোখ ধুয়ে ফেলার পরিষ্কার পানি। এ সবই অত্যাবশ্যক এবং এগুলো ব্যবহারে কোন প্রতিবন্ধকতা যাতে না থাকে তা দেখতে হবে, প্রয়োজনীয় সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এগুলো সার্বক্ষনিকভাবে যাতে চালু থঅকে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।

যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রাথমিক পরিচর্যা বা ফাষ্ট এইড সংক্রান্ত বিষয়াদিঃ-মানুষের জীবন বিপন্ন হলে তাকে ফাষ্ট এইড দেওয়া অপরিহার্য। কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন লোক যে কোন সময়ে এমন বিপদে পড়তে পারে। এ

সারসংক্ষেপ

ক্ষয়কারী রাসায়নিক দ্রব্য – উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহন পর্যাপ্ত মনে না হলে, সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল অফিসারকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে এইচ আর ও এডমিন বিভাগকে অবহিত করতে হবে। অবস্থা যদি সংকটাপন্ন হয় তবে জরুরী টেলিফোন নম্বর দেখে নিকটস্থ হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে পাঠিয়ে স্থায়ী ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

স্পিন্ডল অয়েল ক্যামিক্যাল ব্যবহারে সতর্কতা সমুহ কি কি ?

স্পিন্ডল অয়েল ক্যামিক্যাল ব্যবহারে সতর্কতা সমুহ কি কি ?

স্পিন্ডল অয়েল ক্যামিক্যাল ব্যবহারে সতর্কতা

স্পিন্ডল অয়েল ঃ এই স্পিন্ডল লুব্রিকেন্ট অয়েল শুধুমাত্র সুইং মেশিন ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। যে কোন ধরনের দাহ্য কেমিক্যাল যেমনঃ থিনার, পেট্রোল, কেরোসিন প্রভৃতি জাতীয় পদার্থের সঙ্গে এই অয়েল মিশ্রিত করা যাবে না। আগুনের উৎস হতে সর্বদা এটাকে নিরাপদ দুরত্বে সংরক্ষন করতে হবে।

  • যে কোন ধরনের ক্যামিক্যাল ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে সঠিক কাজে সঠিক ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • এই স্পিন্ডল লুব্রিকেন্ট অয়েল শুধুমাত্র সুইং মেশিন ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
  • যে কোন ধরনের দাহ্য কেমিক্যাল যেমনঃ থিনার, পেট্রোল, কেরোসিন প্রভৃতি জাতীয় পদার্থের সঙ্গে এই অয়েল মিশ্রিত করা যাবে না।
  • আগুনের উৎস হতে সর্বদা এটাকে নিরাপদ দুরত্বে সংরক্ষন করতে হবে।
  • ক্যামিক্যাল ব্যবহারের পর শুন্য কন্টেইনার অন্য কোন উদ্দেশ্যে যেন ব্যবহৃত না হয় সে জন্য নির্দেশিত নিরাপদ স্থানে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করতে হবে।
  • লেবেলে বর্ণিত মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের পর এই অয়েল ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
  • এই লুব্রিকেন্ট অয়েল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এর প্রকৃত রং যাচাই করে নিতে হবে এবং রঙের কোন তারতম্য হলে সে অয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ব্যবহৃত লুব্রিকেন্ট অয়েল কখনোই নতুন অয়েলের সাথে মিশ্রিত করে পূনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
  • ক্যামিক্যালের ব্যবহার বিধি ও সতর্কতামূলক নির্দেশ সম্পর্কে জানতে হবে।
  • নির্দেশিত সব ধরনের প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • এই অয়েল সংরক্ষনের স্থান ও সংরক্ষিত কনটেইনার সবসময় তৈলমুক্ত ও শুকনো রাখতে হবে।
  • ব্যবহারের সময় চোখ বা অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানের সংস্পর্শে আসলে সাথে সাথে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
  • নির্দেশিত স্থান ও পদ্ধতি ব্যতিরেকে কোন ক্যামিক্যাল সংরক্ষন ও ব্যবহার করা যাবে না।
  • অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ ক্যামিক্যাল স্পর্শ বা ব্যবহার করতে পারবে না।

বিপদাপন্ন মানুষটিকে বাঁচানোর জন্য আপনি যতটুকু পারেন তাই করুন এবং সম্ভব হলে কোন পেশাজীবীকে ডাকুন। শ্বাস যন্ত্রে যদি কোনো বস্তু আটকে গিয়ে থাকে তা সাবধানতার সংগে বের করে আনার চেষ্টা করুন।

শ্বাস যন্ত্র খোলা থাকে লক্ষ্য করুন লোকটি নিজে নিজে শ্বাস টানতে পারছে কিনা। যদি না হয় তবে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস প্রশ্বাস চালু রাখার ব্যবস্থা করুন। বৈদ্যুতিক শক্,ঔষধ এর অতিরিক্ত মাত্রা, রাসায়নিক ধোঁয়ার মধ্যে নিঃশ্বাস গ্রহণ, পানিতে ডুবে যাওয়া, ইত্যাদি কারণে এমনটা হতে পারে। মুখে মুখে যদি আপনি না করতে চান তবে বায়ু পরিবাহী কোনো টিউব ব্যবহার করুন কিংবা লোকটিকে উপুড় কওে শরীরে চাপ দিন। মনে রাখতে হবে অক্সিজেন ছাড়া যে কোনো মানুষের মস্তিস্কে ৪/৫ মিনিটের মধ্যে চিরদিনের মতো ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তবে যে কোনো অবস্থায় হাল ছাড়বেন না।

তৃতীয় কাজটি হলো লোকটির রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার দিকে দৃষ্টি দেওয়া। সেটা হৃদযন্ত্রেও ক্রিয়া বন্ধ, কেমিক্যাল, ড্রাগ বা অন্য কোনো কারণে থেমে গেছে কিনা। দেহের কোন অঙ্গ থেকে রক্ত ঝরতে থাকলে তা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার কাপড় অথবা তুলা দিয়ে চেপে উপরের দিকে তুলে রাখতে হবে। তা না হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে লোকটি শীঘ্রই মরে যেতে পারে।

স্পিন্ডল অয়েল ক্যামিক্যাল ব্যবহারে সতর্কতা সমুহ কি কি ?

স্পট লিফটার কিভাবে একটি কারখানায় ব্যাবহার করতে হয়

স্পট লিফটার কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়

এই ক্যামিক্যালের বাষ্প শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে ও গলা জ্বলতে পারে। এই কেমিক্যাল কোন কারনে পান করলে বমি করানোর চেষ্টা না করে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। স্পট লিফটার এর কনটেইনার কোন অবস্থাতেই ছিদ্র্র করা বা খোলার চেষ্টা করবেন না। আগে নিশ্চিত হবেন যে সঠিক কাজে সঠিক ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা। ক্যামিক্যালের ব্যবহার বিধি ও সতর্কতামূলক নির্দেশ সম্পর্কে জানবেন। নির্দেশিত সব ধরনের প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করবেন। কোন কারনে এই ক্যামিক্যাল চোখের সংস্পর্শে আসলে সাথে সাথে পরিস্কার পানি দিয়ে কমপক্ষে ১৫মিনিট যাবৎ চোখ পরিস্কার করে মেডিকেল রুমে চলে আসবেন। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ ক্যামিক্যাল স্পর্শ বা ব্যবহার করবে না। ক্যামিক্যাল ব্যবহারের পর শুন্য কন্টেইনার নিরাপদ স্থানে রাখবেন।

 স্পট লিফটার

  • স্পট লিফটার ব্যবহার করার সময় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • কোন কারনে এই ক্যামিক্যাল চোখের সংস্পর্শে আসলে সাথে সাথে পরিস্কার পানি দিয়ে কমপক্ষে ১৫মিনিট যাবৎ চোখ পরিস্কার করতে হবে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  • এই কেমিক্যাল কোন কারনে পান করলে বমি করানোর চেষ্টা না করে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  • স্পট লিফটারের কনটেইনার কোন অবস্থাতেই ছিদ্র্র করা বা খোলার চেষ্টা করা যাবে না।
  • এই কেমিক্যালের কনটেইনার ১২০ সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে সংরক্ষণ করলে বিষ্ফোরন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • বেশীক্ষণ সূর্যের আলোর মধ্যে এই কনটেইনারে রাখা যাবে না।
  • শিশুদের কাছ থেকে সর্বত্র এই কেমিক্যাল কনটেইনার দুরে রাখতে হবে।

হাটং এ্যাটাক হওয়া সত্ত্বেও লোকটির জ্ঞান থাকলে তাকে অভয় দিতে হবে। তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে বস্থার অবনতি হচ্ছে কিনা। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রাথমিকভাবে উপরোক্ত তিনটি কাজ করার ফাঁকে খেয়াল রাখতে হবে যে মেরুদন্ড, ঘাড় এবং মাথা তাদের স্ব স্ব জায়গায় স্বাভাবিক অবস্থায় আছে কিনা। অজ্ঞান অবস্থার যেন কোন অতিরিক্ত আঘাত তার না লাগে সে ব্যাপাওে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

ইতোমধ্যে চিকিৎসক এসে গেলে তার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন, প্রয়োজনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় লোকটিকে দ্রত হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিন।

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা

এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ঃ

  • উচ্চমাত্রার প্রজ্জলন ক্ষমতাসম্পন্ন তরল পদার্থ যাতে ধোঁয়া তৈরী হতে পারে।
  • গিলে ফেলা বা শ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ দুটোই ক্ষতিকর যা কিনা জ্বালাময় অনুভুতি তৈরী করে।
  • ত্বক, চোখ ও শ্বাস প্রশ্বাসের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

এসিটন ব্যবহারে পি পি ই

মাস্ক ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কেমিক্যাল ভিতরে গিয়ে যাতে যন্ত্রনামূলক অনুভুতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

হ্যন্ড গ্লোবস ঃ স্পট রিমোভিং শেকসনে যেহেতু স্পট লিফটার ৮৩৩ নিয়ে কাজ করা হয় সেহেতু এই কেমিক্যাল হাতে লাগলে স্কিন এর ক্ষতি হতে পারে। তাই কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লবস ব্যবহার করতে হবে।

কার্যকরী প্রভাব

শ্বাসের সাথে গ্রহণ জনিত সমস্যা ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী মাত্রার এসিটন গ্যাস ভিতরে গিয়ে যন্ত্রনাময় অনুভূতি তৈরী করে যা  থেকে কাশি, নিস্তেজতা, অসাড়তা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করার মত অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

ত্বক ঃ এসিটনের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে যেমন লালচে ভাব, ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে ব্যথা অনুভুত হওয়া ইত্যাদি।

চোখ ঃ চোখের ভিতর এসিটন এসিটন ছিটকে গিয়ে চোখ জ্বালা, লালচে ভাব, পানি পড়া, চোখে ব্যথার মত অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে।

দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা ঃ এসিটন ক্রমাগত চোখের সংস্পর্শে এলে তা ত্বকসংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কারো ক্ষেত্রে  শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে অধিকমাত্রার এসিটন গ্যাস ঢুকে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে তবে তাকে দ্রুত খোলা বাতাসে সড়িয়ে নিতে হবে। জরুরী ক্ষেত্রে কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাসের অথবা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অতিদ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে হবে।

এসিটন গিলে ফেললে ক্রমাগত বমি হতে পারে কিন্তু সেটা বেশী মাত্রায় হতে দেওয়া উচিৎ নয় । এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

এসিটন ত্বকের সংস্পর্শে এলে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। সংক্রমন ঘটতে পারে এমন জুতা পুনরায় ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন

হলে সাবান ব্যবহার করতে হবে।

যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

নিঃশ্বাসের সাথে ভিতরে চলে গেলে মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় ডাক্তারের

পরামশর্  নিতে হবে।

দুর্ঘটনাবশতঃ খেয়ে ফেললে মখু দ্রত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে এবং দ্রত ডাক্তারের পরামশর্  নিতে হবে।

সেফটি কমিটি কর্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন

সেফটি কমিটি কর্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন

সেফটি কমিটির এখতিয়ার

সেফটি কমিটি এর আখতিয়ার সম্পর্কে আলোচান করা হলো

সভায় নিরাপওা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বা সার্ভে রিপোর্ট, নিরাপওা ও ঝূঁকি সম্পর্কিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন, জরুরী দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করিতে হইবে।সেফটি কমিটি  সভার কার্যবিবরণী লিখিতভাবে সংরক্ষণ করে থাকে  এবং প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। এমতাবস্থায় তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বে তার অবস্থার যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য প্রাথমিকভাবে কিছু সেবা-শুশ্রষার প্রয়োজন হয়। যেমন শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে সেখান থেকে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে, ফলে শরীর রক্ত শূণ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পূর্বে তাৎক্ষণিকভাবে তার রক্তপাত বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। শরীরের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে তা অনড়  করে নিতে হবে। …

  • যদিও এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়, তথাপি এটি কোন চিকিৎসা নয়। কারণ যিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন তিনি কোন ডাক্তার নহেন এবং কোন ঔষধ প্রয়োগের ক্ষমতা তার নেই। একজন ডাক্তারের পক্ষেই চিকিৎসা করানো সম্ভব এবং রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ তিনিই দিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে পরিদর্শক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিদর্শন প্রতিবেদন কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সেফটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মতামত থাকলে উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিবেদন প্রস্তুতের এক মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং সেফটি কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে।
  • কোন বিশেষ প্রয়োজনে বা কোন জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভা ব্যতীত সেফটি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ নিজেদের স্বাক্ষরে মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন সময় বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারিবে।
  • সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ার সদস্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা।
  • ব্যক্তি পর্যায়ের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা ।
  • প্রকৃত পক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসার নাম হচ্ছে প্রাথমিক সেবা বা শুশ্রষা। কোন কারখানায় যে কোন ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে কোন শ্রমিক/কর্মচারী আহত হতে পারে। এছাড়াও জীবন চলার পথে এমনকি পারিবারিক ক্ষেত্রেও কারো হাত, পা, মাথা ইত্যাদি কেটে যেতে পারে, শরীরের কোন অংগ ভেঙ্গে যেতে পারে বা হঠাৎ কোন কারণে শ্বস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা। দায়িত্ব বন্টন ।
  • সেফটি কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ পাইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে কোনরুপ উদ্যোগ পদক্ষেপ গ্রহন না করিলে সেফটি কমিটি মহাপরিদর্শক বা পরিদর্শকের নিকট লিখিত আকারে অনুযোগ পেশ করিতে পারিবেন এবং মহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
  • সেফিটি কমিটি স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রাখিয়া আইন ও এই বিধিমালা দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সেফটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে।
  • সেফটি কমিটির সদস্যগণ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
  • সেফটি কমিটির সদস্যদের অধীন গঠিত কমিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মসময়ের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত ও পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিবে।

সেফটি কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়ন

পূনঃদূর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা এবং র্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপুরন প্রদান। সেফটি কমিটির সভা প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময়ে সভা আহবান করিতে পারিবে।

  • কারো শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তা চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি। প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে একজন প্রশিক্ষিত লোকের পক্ষেই এ সেবাগুলো দেয়া সম্ভব।.সেফটি কমিটি কর্তৃক সেফটি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির সভায় সর্মসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিওিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।
  • সেফটি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিপালন বা বাস্তবায়ন করিবার জন্য মালিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
  • সেফটি কমিটি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা সম্পাদিত কোন কাজের জন্য অথবা সভায় কোন বিষয়ে মত বা দ্বিমত পোষনের জন্য কমিটির কোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ কারা যাইবে না।
  • সেফটি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণঃ
  • উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরুপন ।
  • বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা ।
  • সংঘটিত দূর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয় ।
  • দায়-দায়িত্ব নিরুপন ।
  • কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপওা এবং কর্মপরিবেশ সর্ম্পকিত বিষয়ে মালিক বা কর্তৃপক্ষ সেফটি কমিটির সদস্যদের মালিকের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিবেন।
  • এইরুপ প্রশিক্ষণ কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে অথবা কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হইবে।
  • প্রশিক্ষণ চলাকালীন সদস্যগণ কর্মরত ছিলেন বলিয়া গন্য হইবেন।
  • যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা।
  • যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই,
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ।
  • শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপওা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা এবং
  • ক্রুটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরুপণ ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ।
  • সেফটি কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাধ্যমে যতদুর সম্ভব সকল শ্রমিককে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকিবার বিষয়ে সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে হইবে।