Select Page
পেশাগত স্বাস্থ্য Occupational Health ও নিরাপওার ঝুকিসমূহ কি?

পেশাগত স্বাস্থ্য Occupational Health ও নিরাপওার ঝুকিসমূহ কি?

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

শ্রমিক-মালিকের যৌথ প্রচেষ্টার ফলে যে কোন কারখানাতেই উন্নতমানের উৎপাদন করা সম্ভব। যেহেতু কল্যাণমুখি উৎপাদন ব্যবস্থায় শ্রমিকই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সেহেতু শ্রমিকের সুস্ব্স্থ্যা রক্ষা ও তাদের পেশাগত নিরাপওাদানের বিষয়টি অবশ্যই জরুরী হিসাবে শ্রমিক, মালিক, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের বিবেচনা করা দরকার। বিশেষ করে কর্মক্ষেএে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য এবং পেশাগত নিরাপওার ব্যাপারে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের গুরূত্বপূর্ন ভূমিকা থাকা দরকার। এক কথায় পেশাগত স্বাস্থ্যওক্ষা হলো, যেকোন ব্যাবসায়িক শিল্প প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, গার্মেন্টস কারখানা, কৃষি-খামার, চা-বাগান কিংবা অন্য যে কোন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এমন কোন প্রতিক’ল পরিবেশ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা- যা শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কিংবা মারাত্বক কোন দূর্ঘটনা সৃষ্টি করবে।

সাধারনত পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপওার ক্ষেএে, শ্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে শ্রমিকদের শুধুমাএ কর্মক্ষেএের রোগ ও দূর্ঘটনা বিবেচনা না করে শ্রমিকের দৈহিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াবলরি দিকে লক্ষ্য রাখা। ‘পেশাগত স্বাস্থ্য’ বলতে যে কোন পেশায় কর্মরত সকল শ্রমিকের দৈহিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াবলী বোঝায়। পেশাগত স্বাস্থ্যের সঙ্গে ‘প্রতিকার ও প্রতিরোধ’ উভয় ব্যাবস্থাই যুক্ত রয়েছে।

স্বাস্থা-সমস্যা সৃষ্টির প্রক্রিয়া ঃ

সাধারনত স্বাস্থ্যের ওপর যে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে হলে কোন দূষিত বস্তুকে হয় শরেিরর সংস্পর্শে আসতে হবে অথবা শরীরে প্রবেশ করতে হবে। ৩টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারনত তা সম্পন্ন হয়ে থাকে ঃ

১.শ্বাস-প্রশ্বাস ।

২.সংস্পর্শ ।

৩.গলধ:করণ

দূর্ঘটনার কারনসমূহ ঃ

  • অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষন।
  • যোগাযোগের অভাব।
  • পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব।
  • খন্ডকালীন কাজ বা ফলাফলের ভিওিতে মজুরী দেওয়া।
  • চাপ সৃষ্টি।
  • মেশিনারী ডিজাইন ও কার্যপদ্ধতিতে নিরাপওাহীনতা।
  • অপর্যাপ্ত নিরাপওা ব্যবস্থা।
  • নিরাপওামূলক পোশাক/সরঞ্জামাদি ব্যবহার বা সরবরাহ না করা।
  • কাজে অন্যমনস্কতা ।

পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপওার ঝুকিসমূহ ঃ

  • আসা-যাওয়ার পথরোধ বা বাধাগ্রস্থ।
  • বৈদ্যুতিক ত্র“টি।
  • পিচ্ছিল পথ।
  • শিখাযুক্ত বা বিস্ফোরন ঘটায় এমন রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি।
  • ভারী জিনিসপএ।
  • মেশিনের তত্বাবধান বা নিরাপওাবেষ্টিত না থাকা।
  • গরম-ঠান্ডা জিনিসপএ।
  • ধারালো বা ঘূর্ণায়মান যন্ত্রপাতির উপস্থিতি ।

যেখানেই ঝুঁকি দেখা যাক বা চোখে পড়–ক দেরি না করে তা সরিয়ে ফেলতে হবে, যাতে আশেপাশে বা অন্য কোন জায়গায় তা দেখা না দেয়।ঝুঁকিকে নিয়ন্ত্রনে আনার ৩টি সহজ ধাপ ঃ

  • উৎপওি স্থানে।
  • উৎপওি স্থান থেকে শ্রমিকের কাছে পৌছানোর পথে।
  • শ্রমিকের কাছে।

ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঃ

  • কাজের জায়গা পরিদর্শন।
  • অভিযোগ সংগ্রহ।
  • সবচেয়ে আগে কি করা দরকার তা নির্ধারন।

কর্মস্থলে দূর্ঘটনা এড়াতে হলে ঃ

  • ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মাথায় হেলমেট পরে কাজ করুন।
  • চোখে চশমা পরে কাজ করুন।
  • হাতে গ্লোভস্ পরে কাজ করুন।
  • পায়ে বুট জুতা পরে কাজ করুন।
  • মুখে মাক্স ব্যবহার করুন।
  • কর্মস্থলে নিরাপদে কাজ করুন।
  • অসুস্থ্য শরীরে কাজ করা বিপদজনক।
  • অসুস্থ্যবোধ করলে ফ্যাক্টরিতে অবস্থিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • কাজের সময় তন্দ্রা ঘটাতে পারে এমন ঔষধ সেবন করবেন না।
  • মাদক দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
  • সুস্থ্য শ্রমিক অধিক উৎপাদনের পূর্বশর্ত।
  • সর্ব প্রকার সাবধানতা অবলম্বন করে মেশিন চালানো উচিত।
  • কর্মস্থলে প্রয়োজনীয় ঢিলা পোশাক পরিহার করে এপ্রোন পরা বাঞ্ছনীয় অথবা ওড়না ভালোভাবে পেঁচিয়ে কাজ করুন বং কর্মস্থলে শাড়ি পরা পরিহার করুন।
  • কাজের সময় অন্য চিন্তা পরিহার করুন।
  • মূহুর্তের অসাবধানতা বিপদের কারন হতে পারে।
  • কাজ শেষে হাত মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ধুয়ে ফেলুন।
  • বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেটর নষ্ট হয়ে গেলে সর্ট সার্কিট হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
  • কাজ শুরুর পূর্বে আপনার মেশিন ভালোভাবে এবং নিয়মিত পরীক্ষা করুন । ত্র“টিপূর্ণ তার বা মেশিনের কোন ত্র“টি ধরা পড়লে অথবা কারখানার কোথাও কোন ত্র“টিপূর্ণ তার বা কোন মেশিন আপনার চোখে ধরা পড়লে সাথে সাথে ইলেকট্রিশিয়ানকে জানান একই সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করুন।
  • মনে রাখবেন ঝুঁকিপূর্ণ মেশিন এবং ত্র“টিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারের সর্টসার্কিট গার্মেন্টস্ ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকান্ডের অন্যতম কারন।
  • কাজ শুরুর পূর্বে মেশিনারী নিরাপওা গার্ড (যেমন- নিডিল গার্ড, পুলি কভার, নীচের মটর পুলি কভার, আই গার্ড ইত্যাদি) ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষা পদ্ধতি (যেমন-রাবার গ্লোবস্, মেটাল গ্লোবস্, মাক্স, চশমা, ইয়ার প্লাগ, এপ্রোন ইত্যাদি) পরিধান করে কাজ করুন ।

এই নিরাপওা বিধান সম্পূর্ন ভাবে না মেনে চললে আপনার এবং উৎপাদক মালিক উভয়েরই মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে যা সমাজ এবং দেশের জন্যও ক্ষতি বটে।

ওশাস্ OHSAS Occupational Health & Safety Assessment Series কি?

ওশাস্ OHSAS Occupational Health & Safety Assessment Series কি?

ওশাস্ OHSAS Occupational Health & Safety Assessment Series

ওকুপেশনাল হেলথ্ এন্ড সেফটি এ্যাসেস্মেন্ট সিরিজ ইহা পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সার্টিফিকেট। কর্মস্থল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ রাখা এই সার্টিফিকেট অর্জনের মূল উদ্দেশ্য। Read it in English Version

ওশাস্ (OHSAS) এর মূল নীতিঃ

এর মূল নীতি হচ্ছে Hazards (বিপদের উপাদান) ও Risk (বিপদ ঘটে যাওয়া) রেজিষ্টারের বিষয়গুলোর ক্রমাগত উন্নতি সাধন করা ও কার্যক্ষেত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার কর্মস্থল ও মেশিন সংক্রান্ত Hazards ওঁ  Risk সম্পর্কে জানতে হবে এব সেই অনুযায়ী ব্যস্থা গ্রহণ করতে হবে।

OHSAS18001:1999

এ ছাড়াও পেশাগত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

  • বাথরুম ব্যবহারের পর পানি ও সাবান ব্যবহার করা নতুবা অপরিস্কার থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের জীবানু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পাকস্থলীর রোগ সৃষ্টি করে।
  • মুখোশ ব্যবহার করা যাহাতে পেশাগত রোগ যেমন, যক্ষা, কাঁশি, হাঁপানী ইত্যাদি না হতে পারে।
  • থিনার বা এই জাতীয় কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার না করা। কারণ চর্মরোগ হয়, ফুসফুস আক্রান্ত হয় এবং অন্যান্য শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।
  • আগুন লাগলে কিভাবে নামতে হবে, কোন দিক দিয়ে নামতে হবে সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে।
  • থুথু, কফ ইত্যাদি ফ্লোরে রক্ষিত ডাষ্টবিনেবা থুথুদানিতে ফেলতে হবে।
  • নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কখনো মেইন সুইচে হাত না দেয়া।
  • আগুন লাগলে আতংকিত না হয়ে বরং চেষ্ঠা করুন কিভাবে নিজে নিজেই আগুন নিভানো যায় অথবা সুপারভাইজার/ইনচার্জ/পিএম এর সহযোগিতা নিন কিন্তু কখনই চিৎকার দিয়ে পরিবেশকে আতংকগ্রস্থ না করে তুলে বরং আগুন নিভানোর জন্য CO2 এবং ABC বা DCB   অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।
  • সকল প্রকার ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা।
  • পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো মেনে চলা।
  • আগুন লাগলে আতংকিত না হয়ে এক হাত দুরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে নীচে নেমে যাওয়া এবং অন্যকে নামতে সাহায্য করা।
  • কারখানার অভ্যন্তরে ধুমপান না করা।
  • কারখানার অভ্যন্তরভাগ কার্যক্ষেত্র, সিঁড়ি, টয়লেট ইত্যাদি সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগীতা করা।
  • দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ( ফ্লোর সুপারভাইজার, ইনচার্জ বা পিএম) ছাড়া অন্য কেউ কখনো ফায়ার এলার্ম সুইচে হাত না দেয়া।
  • সিঁড়িতে বা অন্যকোন নির্দিষ্টস্থানে রক্ষিত ডাষ্টবিনে ময়লা ফেলতে হবে।
  • কার্যক্ষেত্রের অভ্যন্তরে কখনো উচ্চশব্দ করে কথা না বলা।
  • সব সময় মুখোশ ও স্কার্ফ ব্যবহার করা এবং এগুলোর যতœ নেয়া। নষ্ট হয়ে গেলে বা হাঁরিয়ে গেলে লাইন সুপারভাইজার বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা।
  • OHS-MS-Team, Fire Fighting Team  এবং ওয়ার্কাস ওয়েলফেয়ার কমিটি (WWC) এর ছবি দেয়ালে ঝুলানো আছে, তাদের সবাইকে ভাল করে চিনে ( পরিচিত) নিতে হবে।
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি  এর সুন্দর বিস্তারিত বর্ণনা

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি এর সুন্দর বিস্তারিত বর্ণনা

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি

পেশাগত স্ব্স্থ্যা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার প্রধান উপাদান হচ্ছে নীতিমালা, পরিকল্পণা প্রণয়ন, সংগঠন ও বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন এবং তা উন্নয়নের জন্যেপ্রচেষ্টা বা ক্রিয়াবলী
কোম্পানী এই নীতিতে বিশ্বাস করে যে, একটা নিরাপদ, স্বাস্খ্যসম্মত ও আরামদায়ক কর্ম পরিবেশ সহনীয় উন্নয়ন এবং উচ্চতর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । কোম্পানীর লক্ষ্য শুধুমাত্র মুনাফা বৃদ্ধি নয় বরং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের ও সামগ্রিক উন্নয়ন । কর্তৃপক্ষ এ জন্যে কর্মক্ষেত্রে সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট এবং কর্মক্ষেত্র  থেকে উদ্ভুত সকল ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি কমাতে সচেষ্ট থাকবে । এভাবে কোম্পানী মানব সম্পদ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়দে কোম্পানী এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হবে । English Version

মৌলিক দায়দায়ত্ব ও কর্তৃত্ব

ব্যবস্থাপনা কারখানা স্তরে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের নেতৃত্ব দেবে । কারখানায় নিরাপত্তা ও স্বাস্থকর কর্ম  পরিবেশ প্রদানের লক্ষ্যেএবং কর্ম সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত সংগঠন নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রদানে কোম্পানী বদ্ধ পরিকর ।

শ্রমিক মালিক পরামর্শ ও সহযোগিতা

অত্র কোম্পানী কার্যকর মতবিনিময় পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক (বা শ্রমিক প্রতিনিধিদের) নিয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংক্রান্ত সকল ধারণা, নীতিমালা, পরিকল্পণা, বিদ্যমান সমঝোতা, প্রক্রিয়া সমূহ নিয়ে পারস্পরিক মতামত আদান-প্রদান ও পরামর্শ শেয়ার করতে চায় । শ্রমিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে নিুলিখিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে কোম্পানী নিবেদিত ঃ

ক) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতন করণ প্রোগ্রাম শ্রমিকদের বিনা খরচে আয়োজন ও প্রদান করা হবে ।
খ) সংশ্লিষ্ট শ্রমিক (প্রতিনিধি)- দের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও পরামর্শ সভার আয়োজন করা হবে ।
গ) স্বাস্খ্য ও নিরাপত্ত্বা সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের তথ্য, নির্দেশাবলী, শ্লোগান, পোস্টার অত্র কারখানায় প্রদর্শন ও প্রচার করা হবে ।
ঘ) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা সংক্রান্ত কর্ম-পরিকল্পণা  এবং দায়দায়িত্বে শ্রমিকদের অন্তর্ভূক্ত করণ ও দায়িত্বভার প্রদান করা হবে।
ঙ) পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারখানা ব্যস্থাপনা ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটা কমিটি গঠন করা হবে ।

প্রতিরোধ-মূলক দিক সমূহের উপর গুরুত্বারোপ

কোম্পানী বিশ্বাস করে যে সতর্কতা অবলম্বন হচ্চে নিরাপত্ত্বা বিধানের ভিত্ত্বিমূল । কোম্পানী তাই এজন্যে প্রতিরোধ-মূলক ব্যবস্থাপনার উপর আরো বেশি গুরুত্বারোপ করতে চায় । অত্র কোম্পানী সাধ্যমত চেষ্টা করবে ঃ ক) নিরাপদ মেশিন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে  খ) যথাযথ মেশিন গার্ড প্রদান ও নিরাপদ উৎপাদন প্লান্ট নিশ্চিত করতে গ) শ্রমিকদের বিনা খরচে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত রক্ষা সামগ্রী বা (পিপিই) — প্রদান এবং শ্রমিকদের এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে । (যেমন ঃ মাস্ক, হাতের গ্লভস, কানের ছিপি বা প্লাগ ইত্যাদি) ঘ) ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান সমূহের নিরাপদ পরিবহন, মজুদকরন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে
অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্ত্বার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা ঃ অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থাদিতে আমরা অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক । অগ্নি ঝুঁকি দূর করতে ও অগ্নিদুর্ঘটনা সামাল দিতে নিুলিখিত বিষয়াবলী প্রদান করতে

আমাদের কোম্পানী বদ্ধ পরিকর

ক) সমগ্র বৈদ্যতিক ব্যবস্থাপনার জন্যে পর্যাপ্ত শক্তিশালী ও যথাযথ বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা । অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা কারখানার বৈদ্যিিতক ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ করা ।
খ) পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি-নির্বাপক, অগ্নি নির্বাপনে প্রতিরোধক যন্ত্রপাতি মজুদ ও এগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ।
গ) শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্ত্বা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তাদের সাথে ব্যবস্থাপনার শলাপরামর্শের ব্যবস্থা
ঘ) শ্রমিকদের মাঝে অগ্নি নিরাপত্ত্বার দায়িত্ব বন্টন ও দায়িত্ব অর্পণ ।
ঙ) যথাযথ মাপের জরুরী নির্গমন পথ ও হাতল যুক্ত সিঁড়িপথ প্রতিবন্ধকতাহীন রয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করণ ।

চ) কারখানায় আকষ্মিক ও নিয়মিত অগ্নি মহড়া চালু রাখা ।

অত্র কোম্পানী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা (ওএসএইস) সংশ্লিষ্ট আইএলও কনভেনশন ও রিকমেনডেশন সমূহের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে । (যেমন ঃ- কনভেনশন ১৫৫, কনভেনশন ১৬১ ইত্যাদি)। কোম্পানী যে কোন ক্রেতার এতদ্ সংক্রান্ত শ্রম কল্যাণকর কোন আচরণ –বিধি বা গাইডলাইনকে স্বাগত জানাবে ।

তথ্য সংরক্ষন ও পর্যালোচনা

অত্র কোম্পানী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা (ওএসএইস) সংক্রান্ত যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংরক্ষণের চেষ্টা করবে । বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে আঘাত বা দুর্ঘটনা, রুগ্ন অবস্থা, পেশাগত রোগ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা বিধি প্রশিক্ষণ, অগ্নি মহড়া, মিটিং ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণ করা হবে । অত্র কোম্পানী র ব্যবস্থাপনা সমগ্র পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্ত্বা কার্যক্রমকে পুনর্বিবেচনা, মূল্যায়ন অনুসন্ধানের চেষ্টা করবে এবং চলমান উন্নয়নের জন্যে সংশোধন মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে ।

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Health & Safety নীতি কি কি ?

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Health & Safety নীতি কি কি ?

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা  ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের জন্য তাদের শ্রমিক /কর্মচারী, কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও নিরাপওা নির্দেশিকা চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। নিæলিখিত ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও নিরাপওা নির্দেশিকা চালু হবে। ….

উদ্দেশ্য

  • পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
  • পরিবেশ সংক্রান্ত জাতীয় বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কারখানায় একটি স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা চাল রাখা।
  • কারখানার কর্মী ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা করা।
  • English Version

পরিবেশ সংক্রান্ত নীতি

  • যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না। কারখানায় নির্দিষ্ট সংখ্যক ময়লা ফেলার ঝুড়ি, স্পিটন এবং ডাস্টবিন এর ব্যবস্থা থাকবে।
  • সার্বক্ষনিক ময়লা পরিস্কার করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লিনার, সুইপার নিয়োজিত থাকবে জাতে পরিবেশ স্বাস্থ্য অনিরাপত্ত ঠিক থাকে
  • এক্সটিংগুইশার, হোসপাইপ এবং ফায়ার সরঞ্জামাদির সামনে কোন বস্তা, কাটিং পার্টস, মার্কার, প্যার্টান বা অন্য কিছু রাখা যাবে না। ধরণ অনুযায়ী ওয়েস্টেজ এর শ্রেণীবিন্যাস, সংরক্ষণ ও অপসারণ করা হয়।
  • ওয়েস্টেজ স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
  • কাঠ, প্লাস্টিক, মেটাল, এক্্েরসরিজ, গ্লাস, টিউব লাইট প্রভৃতি ক্ষেত্রে জবপুপষব এর জন্য
  • প্রস্তুতকারক বা স্থানীয় জবপুপষব ইড়ফু র নিকট বিক্রি বা ফেরত দেয়া হয়।
  • পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষন বিষয়ে বিদ্যমান জাতীয় আইন ও বিধিমালা, ক্রেতাদের চাহিদা, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত নিয়ম নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে ক্রমাগত উন্নয়ন সাধন করা।
  • ফ্লোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্লোরের উপর কাপড় বা উৎপাদন কার্যে ব্যাবহার যোগ্য অন্য কোন কিছু যেমন: রাখা যাবে না। ঝুড়িতে, প্লেটে বা বাস্কেটের মধ্যে রাখতে হবে। সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।

স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতি

  • কারখানায় কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে এবং কর্তব্যরত ডাক্তারকে জানাতে হবে ।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স, প্রত্যহ চেক করে পরিদর্শন ট্যাগে স্বাক্ষর করতে হবে ।
  • মেডিসিন লগ এবং এক্সিডেন্টলগ যথাযথ ভাবে সংরক্ষন করতে হবে ।
  • রোগী বহনকারী “ষ্ট্রেচার” নির্ধারিত স্থানে আছে কিনা চেক করতে হবে ।
  • পানি খাওয়ার স্থান সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। পানি পান করার সময় কোন ক্রমেই পানি মেঝেতে ফেলা যাবে না। খাবার পানীয় বিশুদ্ধ এবং প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারী পৃথক পৃথক বোতল বা গ্লাস ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • প্রত্যহ কমপক্ষে ৫ বার টয়লেট ও ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে চেক লিষ্টে স্বাক্ষর করতে হবে।
  • টয়লেট ব্যবহার করার  পরে অবশ্যই প্রয়োজন মতো পানি ব্যবহার করতে হবে যাতে টয়লেটে ময়লা না থাকে। টয়লেটের ফ্লাশ, বেসিন ট্যাপ, পানির ফিল্টার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।
  • টয়লেটে সাবান আছে কিনা ও টয়লেট দুর্গন্ধমুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
  • স্পট তোলার জন্য সকল স্পট রিমোভিং ম্যানকে সকল প্রকার আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে। যেমন:- হাতমোজা, চশমা, এবং মাক্স ইত্যাদি।
  • উলে­খ্য যে স্পট তোলার জন্য কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। সাধারন সাবান ব্যবহার করা হয়।
  • হাত শুকানোর জন্য ড্রায়ার ঠিক আছে কিনা এবং শ্রমিক কর্মচারীগন সঠিক ভাবে ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।

অগ্নি নিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতি

  • প্রতিটি ফ্লোরে ০২ টি করে জরুরী বর্হিগমন / বাহির পথ রয়েছে। প্রতি মাসে অগ্নি মহড়া অনুষ্ঠিত ঘয়। আগুন দেখা মাত্র ঊসবৎমবহপু অষধৎস (ঘন্টা) বাজাতে হবে ।
  • অগ্নি সংকেত ঘন্টা বাজার সাথে সাথে সবাই নির্ধারিত বর্হিগমন পথ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। ইলেকট্রিকেল সুইচ বন্ধ করতে হবে ।
  • মাইকিং করে সকল শ্রমিক কর্মচারীগনকে আগুন লাগার স্থান বলতে হবে এবং সর্তকতার সাথে নিজে এবং অন্যকে বাহির হওয়ার জন্য পথ নির্দেশনা এবং করণীয় আদেশ উপদেশ প্রদান করতে হবে ।
  • দুঘর্টনা এড়ানোর জন্য প্রথমে গর্ভবর্তী মহিলা, মহিলা কর্মী পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সর্তকতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
  • সাথে সাথে যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে ।
  • শ্রমিক কর্মচারীগনকে বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যাক্তিরা নিজ নিজ কর্তব্য স্থানের প্রতিটি স্থান এমনকি টয়লেট পরীক্ষা করে দেখবে কোন লোক আটকা পড়ে আছে কিনা ।
  • যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তারা নিজ নিজ অগ্নি নির্বাপক যšত্র এবং ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মুখে মুখোশ ব্যবহার করবে ।
  • যাতে কোন প্রকার চধহরপ (ভয়-ভীতি বা দৌড়াদৌড়ি) শুরু না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
  • স্থানীয় দমকল বাহিনী এবং থানা (পুলিশ ষ্টেশন) কে সংবাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।
  • নীচ তলায় অগ্নিমহড়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে জমায়েত হতে হব্।ে অগ্নি মহড়ার সময় বা অগ্নি কান্ডের সময় অগ্নি নির্বাপনকারী ছাড়া কেউ ফ্যাক্টরীর অভ্যান্তরে থাকবে না। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি নিয়মিত চেক করে চেক লিষ্টে সই করতে হবে ।

বৈদ্যুতিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতি

  • কাজ শুরু করার পূর্বে আয়রনের ইলেকট্রিক পাওয়ার লাইন ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা চেক করতে হবে।বিপদ সংকেত শুনা মাত্রই বৈদ্যুতিক প্রধান সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে ।
  • কারখানায় অবস্থিত প্রতিটি বৈদ্যুতিক লাইন, সুইচ বক্স, সার্কিট ব্রেকার, লাইট, পাখা,
  • ইলেকট্রিক পাওয়ার লাইন চেক করা . কাট আউট দৈনিক ভিত্তিতে পরীক্ষা করতে হবে।
  • ইলেকট্রিক পাওয়ার সুইচ বন্ধ করাঃ বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে চালিত প্রতিটি যন্ত্রপাতি মেশিন পরীক্ষা করতে হবে ।
  • বৈদ্যুতিক লাইন আছে, এমন প্রতিটি স্থান নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
  • কাজ শেষ বা কর্মস্থল ত্যাগ করার পূর্বে অবশ্যই আয়রনের পাওয়ার লাইন বন্ধ  করতে হবে। জেনারেটর, বয়লার মেশিন নিয়মিত ভাকে চেক করতে হবে ।
  • কারখানায় কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীগনকে ঊষবপঃৎরপধষ ঝধভবঃু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হইবে ।

শিল্প নিরাপত্তা নীতি

  • সুইং মেশিনের বেল্ট গার্ড, নিডেল গার্ড, ওভারলক ও বারটেক মেশিনের নিডেল/ আই গার্ড, ø্যাপ-বাটন মেশিনের বেল্ট এবং সেফটি গার্ড, নিয়মিত ভাবে চেক করতে হবে ।
  • প্রতিটি কাটার সিজার এবং হ্যান্ডটেক ড্রষ্টিং/ফিতা/সুতা দ্বারা মেশিনের সাথে অথবা হাতের সাথে বেধে রাখতে হবে। কাটিং মেশিনের অপারেটরগন মেশিন ব্যবহারের সময় হাতে মেটাল গ্লোভস্ ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করে কিনা তা চেক তে হবে ।
  • ওভারলক মেশিন বা পেডিং কাটার আপারেটরগন মাস্ক ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • নিটিং ,ডাইং বিভাগের ফিনিশিং সেকশন এবং গার্মেন্টস বিভাগের সকল সেকশনের সকল শ্রমিককে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। (দাগ মোচার) কাজে নিয়োজিত কর্মচারীগন রাবার গ্লোভস্, মাস্ক এবং গগলজ (চশমা) ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • বিদ্যুৎ চলে গেলে সাথে সাথে মেশিনের সুইচ অফ ও নিডেল প্রেসার ফিট নিচে নামিয়ে রাখতে হবে ।
  • ফিনিসিং সেকশনে প্রতিটি আয়রন টেবিলের নীচে রাবার মেট দেওয়া আছে। আয়রন করার সময় অবশ্যই পায়ের নীচে রাবার মেট ব্যবহার করতে হবে।
  • কেউ যাতে ভেজা হাত দিয়ে মেশিনের সুইচ অন বা অফ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • বয়েলার, আয়রন ও মেশিনের সহিত বৈদ্যুতিক সংযোগ তার নিয়মিত ভাবে চেক করতে হবে।
  • কেউ অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র অথবা ফায়ার এক্সটিংগুইশার এর সামনে কোন কিছু রাখতে পারবে না। বৈদ্যুতিক সুইচে খধনবষ থাকতে হবে।
  • যে কোন প্রকার কেমিক্যাল আলো থেকে দূরে পর্যাপ্ত বাতাশপূর্ণ শুষ্ক (নির্দিষ্ট) স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে এবং কন্টেইনারের গায়ে খধনবষ থাকতে হবে। কেমিক্যাল স্টোর ও ব্যবহারের স্থানে গঝউঝ ও নিরাপত্তা প্রতীক থাকতে হবে।
  • কাটার, সিজার এবং হ্যান্ড ট্যাক বেধে রাখতে হবে কাটার, সিজার বেঁধে রাখতে হবে কাটিং সেকশনে রক্ষিত সকল সিজার ড্রষ্টিং/ফিতা/সুতা দ্বারা বেধে রাখতে হবে এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ব  করে রাখতে হবে।
  • সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হইবে ।

হাউজ কিপিং সংক্রান্ত নীতি

  • কারখানায় ব্যবহৃত ও প্রক্রিয়াধীন কাপড়-চোপড় (পোষাক) কোনক্রমেই মেঝের উপর যত্রতত্র রাখা যাবে না ।
  • অগ্নি নির্গমন পথ সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং নির্গমন পথের উপর কোন কিছু রাখা যাবে না ।
  • কোন অবস্থাতেই উৎপাদন ফ্লোরে খাবার বাক্স এবং জুতা রাখা যাবে  না। কারখানার সকল স্থান পরিস্কার-পরিচছন্ন রাখতে হবে ।
  • আয়রন কোনভাবেই টেবিলে রাখা যাবে না। আয়রন সব সময় রাবার মেটের উপর রাখতে হবে।
  • প্রতিটি কাটারম্যানের জন্য ধাতব মোজা রয়েছে। কাটারম্যান কাটিং করার সময় অবশ্যই ধাতব মোজা ব্যবহার করতে হব্।ে যাতে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা       না ঘটে।
  • ডাইনিং হলে এক সাথে ৩০০ জন লাঞ্চ বা দুপুরের খাবার খেতে পারে।
  • মেশিন ও টেবিল পরিস্কার-পরিচছন্ন ও মেশিন লাইন সোজা করে রাখতে হবে ।
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাস এর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
  • কাপড় সর্বত্র গুছিয়ে রাখতে হবে ।
  • খাবার এর স্থান পরিস্কার-পরিচছন্ন আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা আছে কিনা দেখতে হবে ।
  • অগ্নি নির্বাপক যšেত্রর নিচে এবং কারখানায় অবস্থিত সুইচ বোর্ডের নিচে সকল সময় পরিস্কার রাখতে হবে ।
  • আমাদের একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে একজন দায়িত্বরত সেবিকা রয়েছ্।ে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে ০৬ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মজীবি মহিলার বাচ্চা কাজের সময় উক্ত শিশূ পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে পারবে।
  • বচ্চাকে অফিস থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়।

সারাংশ

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা – অগ্নি নির্বাপক কর্মী, প্রাথমিক চিকিৎসক কর্মী এবং ঝাড়ূদারগন নিজ নিজ নির্দিষ্ট পোষাক পরিধানরত আছেন কিনা নিশ্চিত করিবেন । সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা Pregnancy Testing Policy কি?

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা Pregnancy Testing Policy কি?

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা

গ্র“প ১৯৩৯ সালের মাতৃত্বকালীন আইন (সংশোধিত আইন-অক্টোবর-২০০৬ইং) অনুযায়ী  মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। পূর্বশর্ত ঃ মাতৃত্বকালীন সুবিধা পেতে হলে কোন মহিলা শ্রমিককে কমপক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠানে একটানা নূন্যতম ছয় মাস কাজ করতে হবে। সময়সীমা ঃ মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়সীমা সন্তান প্রসবের পূর্বে আট সপ্তাহ এবং প্রসবের পরে আট সপ্তাহ অর্থাৎ মোট ১১২ দিন।

  • কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানে মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রতি কখনই কোন বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরন করা হয় না । কোন অবস্থাতেই তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় না। কখনই তাদের সম্মতি ব্যতিরেকে রাত্র ১০টার পর কাজ করানো হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত শ্রম আইনও আই এল ও কনভেনশনের বিধি সমূহ যথাযথ অনুস্বরন করা হয়।
  • কারখানায় মহিলা শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা নিয়োগের সময় গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা যাবে না। নিয়োগের সময় সকলে সমান সূযোগ সুবিধা ভোগ করবে। কোন কর্মী নিয়োগ পাওয়ার পর যদি গর্ভাবস্থা আবি®কৃত হয় তা হলে তাকে গর্ভাবস্থার জন্য চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।
  • মহিলা কর্মীগণ বেপজা নির্দেশনা অনুযায়ী মার্তৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন তবে এ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
  • এইচআরডি বিভাগ এই নিিতমালার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
  • Pregnancy testing is prohibited during recruitment of female worker.  All people will get same facility at the time of hiring. No worker will be terminated after joining if found pregnant after joining.
  • All female workers will get Maternity benefit as per BEPZA instruction.
  • HRD department will ensure implementation of this policy.

মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার নিয়ম ও পরিশোধ পদ্ধতিঃ-

  • মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য একজন মহিলা শ্রমিককে কমপক্ষে নূন্যতম ছয় মাস একটানা অত্র প্রতিষ্ঠানে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
  • কোন মহিলা শ্রমিক সন্তান সম্ভবা হলে লিখিত বা মৌখিকভাবে কমপ্লায়েন্স অথবা ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানাবে অথবা প্রাথমিক চিকিৎসাদলের সদস্য/ওয়েল ফেয়ার কমিটির সদস্য, মহিলা শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে কোন মহিলা শ্রমিকের গর্ভধারনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের সাথে ঐ শ্রমিকের যোগাযোগ নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান সম্ভবা হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরে সে নিয়মিত কোম্পানীর মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় চেক-আপ করাবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।
  • সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সম্ভব্য আট সপ্তাহ পূর্বে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রসহ প্রশাসন বিভাগে আবেদনপত্র পেশ করতে হবে।
  • ছুটির আবেদনপত্র পেশ করার পরে মহাব্যবস্থাপক/ কারখানা প্রধান , মানব সম্পদ বিভাগ মাতৃত্বকালীন সময়ের জন্য ১১২ দিনের জন্য ছুটি অনুমোদন করবেন।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি পাশ হওয়ার পরে ঐ শ্রমিকের শেষ তিন মাসের প্রাপ্য মজুরী এবং আনুসাঙ্গিক সুবিধা (হাজিরা বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের মজুরী) সহ সর্বমোট প্রাপ্য টাকাকে তার বিগত শেষ তিন মাসের মোট কর্মদিবস দিয়ে ভাগ করে একদিনের টাকা বের করে ১১২ দিনের ছুটির টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।
  • ছুটিতে যাওয়ার আবেদনপত্র পেশ ( ই.ডি.ডি অনুযায়ী) করার পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রথম আট সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হবে।মাতৃত্বকালিন ছুটি পাবার জন্য মহিলা শ্রমিক কে নির্ধারিত পদ্ধতিতে গর্ভাবস্থা
  • সন্তান প্রসবের পরে চিকিৎসক কর্তৃক সন্তান প্রসবের প্রমাণ পত্র অথবা জন্মমৃত্যু রেজিষ্ট্রিকরণ আইন (১৮৭৩ সনের ৪নং আইন) জন্ম রেজিষ্ট্রার এর প্রত্যায়িত সারাংশ পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পরবর্তী আট সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হবে।
  • কোন মহিলা যদি তার চাকুরীর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বে সন্তান সম্ভবা হন সেক্ষেত্রে তাকে বিনা সুবিধায় ১১২ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হবে।
  • একই মহিলা শ্রমিকের দুইটি সন্তান জীবিত থাকিলে পরবর্তী তৃতীয় সন্তানের জন্য তিনি উক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হইবেন।
স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা Health & Safety সংক্রান্ত নীতিমালা কি?

স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা Health & Safety সংক্রান্ত নীতিমালা কি?

স্বাস্থ্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা

স্বাস্থ্যনীতি (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর সপ্তম অধ্যায় ধারা ৭৯-৮৮ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও ও স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্নদিক বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল, ডাক্তারের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও এ্যাম্বুলেন্স এর সুবিধাসহ সকল কারখানা পরিস্কার রাখা, নর্দমা, পায়খানা বা অন্য জঞ্জাল থেকে উত্থিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখা, প্রতিদিন ঝাঁড়– দেয়া, সপ্তাহে অন্ততঃ একবার জীবাণুনাশক ব্যবহার, যথাযথ পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, চুনকাম করা, রং বা বার্নিশ করা, পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচল ব্যবস্থা, যুক্তিসঙ্গত তাপমাত্রা সংরক্ষণ, ধূলা-ময়লা এবং ধোঁয়া বের করে দেয়ার ব্যবস্থা, কৃত্রিম আর্দ্রতা, অতিরিক্ত ভীড় এড়ানো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, আলোকচ্ছতা নিবারণ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা/প্রশ্রাবখানা ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করা, থুথু ফেলার পিকদানির ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে এ অধ্যায়ে বিধান করা হয়েছে। নিম্নে প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হল। Read English Version

ক) প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ

ফ্যাক্টরীতে প্রতি ১৫০ জন শ্রমিকদের জন্য একটি করে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকবে। এবং প্রতিটি বাক্সে নিম্ন লিখিত ঔষধ/দ্রব্যাদি মজুদ থাকবে ঃ
প্রতিটি ফাস্ট এইড বাক্সে উল্লেখিত ঔষধ পত্রের সাথে তাদের ব্যবহার বিধি লেখা থাকবে। প্রতিটি বাক্সের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসায় পারদর্শী কমপক্ষে ২জন শ্রমিকের নাম ও চবি বাক্সের উপরে / সুবিধাজনক স্থানে প্রদর্শিত হবে। ফ্যাক্টরীতে যে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।

খ) ডাক্তার হাসপাতাল ও এম্বুল্যান্সের সুবিধা ঃ ফ্যাক্টরীতে কাজ চলা কালীন একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিকভাবে ফ্যাক্টরীর এম. আই রুমে অবস্থান করবেন। এই সময়ে যে কোন শ্রমিক ডাক্তারের পরামর্শের জন্য তার শরানাপন্ন হতে পারবে এবং বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। বিশেষভাবে অসুস্থ্য রোগীদের অধিকতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাহাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শমত হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এ জন্য কারখানায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং প্রাথমিক স্বস্থ্য সেবা কর্মী রয়েছে। অসুস্থ শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে এ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ফ্যাক্টরীর গাড়ী এ্যাম্বুলেন্সের কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

গ) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ কারখাণা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জঞ্জাল থেকে উত্থিত দুষিত গ্যাস থেকে মুক্ত রাখতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক ঃ
১) কারখানা ঘরের মেঝে, চলাচলের পথ, সিঁড়ি, বসার বেঞ্চ, কাজ করার কামরা প্রতিদিন ঝাঁড়– দিয়ে বা অন্য উপায়ে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) কারখানার মেঝে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার পানি দিয়ে অথবা প্রয়োজনবোধে জীবাণুনাশিক ঔষধ মিশায়ে ধুতে হবে অথবা অন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবাণূমুক্ত করে তা পরিস্কার করতে হবে।
৩। কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে মেঝেতে যদি পানি জমে যায় তাহলে তা নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ঃ
৪) কারখানার ভিতরের দেয়াল, সিলিং বা ভেতরের ছাদ, সিঁড়ি ও যাতায়াতের পথ নিম্নোক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ঃ
ক) রং বা বার্নিশ করা থাকলে পাঁচ বছির পর পর পুনঃ রং বা বার্নিশ করা।
খ) রং এবং বার্নিশ করা থাকলে এবং বহির্ভাগ মসৃণ ও উন্নত থাকলে প্রতি ১৪ মাসে একবার নির্ধারিত উপায়ে পরিস্কার করা।
গ) চুনকামের ক্ষেত্রে চৌদ্দ মাস পর পর চুনকাম বা রং করতে হবে।
ঘ) এ সকল কাজ যে তারিখে করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট রেজিস্টারের লিপি বদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

ঘ। বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও তাপমাত্রা ঃ
১) কারখানার প্রতিটি কাজের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ূ চলাচলের ব্যবস্থা হিসাবে কারখানার জানালা খোলা রাখা।
২) শ্রমিকদের স্বাচ্ছন্দে থাকার উপযোগী তাপমাত্রার ব্যবস্থা করা।
৩) কাজের ঘরের ছাদ এবং দেয়াল এমনভাবে তৈরী করা যাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
৪) যেখানে বিশেষ ধরণের কাজের ফলশ্র“তিতে মাত্রাতিরিক্ত তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে সেখানে এমন কার্যকর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে কাজের ঘর থেকে গরম বাতাস বের হয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য উপযোগী স্বাভাবিক আবহাওয়া বজায় থাকে।
৫) কারখানার জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কারখানার প্রতি ফ্লোরে তাপমান যন্ত্র স্থাপন করা।

ঙ। ধুলোবালি ও ধোঁয়া
১) কারখানায় বিশেষ ধরণের পণ্য উৎপাদন পদ্ধতির কারণে, যদি ধূলা-ময়লা জমা হয় বা ধোঁয়া বের হওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, তা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিবেশ  জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তবে উক্ত ধুলা ময়লা জমা হওয়ার বা ধোঁয়া বের হওয়ার প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) কারখানায় আবহাওয়া দুষিত করার মত যন্ত্র কেবল খোলা জায়গায় চালাতে হবে এবং উক্ত যন্ত্র ফ্লোরের ভেতরে যাতে আবহাওয়া দূষিত করতে না পারে সেজন্য সুষ্ঠু কার্যকর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চ) অতিরিক্ত ভীড় ঃ কারখানায় কোন কাজের ফ্লোরে নিযুক্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন ভীড় হতে পারবে না এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় প্রতি অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করে বা চলাচল করে, সেখানে পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা এবং তা সংরক্ষণ করা।
২। কারখানায় প্রতিটি ফ্লোরে আলো বাতাস ঢোকার জন্য ব্যবহৃত কাঁচের স্বচ্ছ জানালার ব্যবস্থা রাখা।
৩। আলোর উৎস থেকে সরাসরি উৎসারিত চোখ ঝলসানো আলোকচ্ছটা এবং শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে বা দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে এমন অবস্থা থেকে কাজের জায়গাকে মুক্ত রাখা

জ। পানীয় জল ঃ
১। প্রত্যেক কারখানায় নিযুক্ত শ্রমিকদের পান করার জন্য সুবিধাজনক যথোপযুক্ত নির্দিষ্ট জায়গায় সর্বক্ষণ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সে ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
২। পানীয় চল রাখার প্রত্যেকটি জায়গায় অধিকাংশ শ্রমিকদের বোধগম্য ভাষায় পানীয়জল কথাটি লিখে রাখা এবং উক্ত স্থানের ২০ ফুটের কম দূরত্বের মধ্যে কোন ধৌতগার, প্রশ্রাবখানা বা পায়খানা না থাকা নিশ্চিত করা।

ঝ। পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ
১)শ্রমিকগণের জন্য কারখানায় সকল সময়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা।
২) পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য পুথক পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রাখা।
৩) কারখানায় অবস্থিত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাসমূহে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা যথোপযুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানূনাশক দিয়ে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৫। কারখানায় পুরুষ কর্মচারীর সংখ্যা ১০০ এর চেয়ে বেশি হলে প্রথম ১০০ জন পর্যন্ত প্রতি ২৫ জনের জন্য একটি করে এবং পরিবর্তী প্রতি ৫০ জন বা অংশবিশেষ এর জন্য একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি ২৫জন মহিলার জন্য কমপক্ষে একটি করে পায়খানা নির্মাণ করতে হবে।

ঞ। পিকদানি ঃ
১) প্রত্যেক কারখানায় সুবিধাজনক জায়গায় যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানির ব্যবস্থা এবং তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
২) কোন ব্যক্তি কারখানার পিকদানি ছাড়া কারখানার আঙ্গিনার মধ্যে থু থু ফেলবেন না। এ বিধান সম্পর্কে এবং এর লংঘনের শাস্তি সম্বলিত নোটিশ কারখানার ভেতরে উপযুক্ত স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমনভাবে টানিয়ে রাখা।
২৮। পরিবেশগত নিরাপত্তা ঃ পোশাক শিল্পের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে ছোট, মাঝারী কিংবা বড় ফ্যাক্টরী। উক্ত ফ্যাক্টরীতে এক নাগাড়ে ৮-১০ ঘন্টা বিরামহীনভাবে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কাজের পরিবেশ ভাল হলে শ্রমিকদের মন-মানসিকতা ভাল থাকবে এবং উৎপাদন ভাল হবে। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় না রাখতে পারলে শ্রমিকদের অসুখ-বিসুখের কারনে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যহত হতে পারে। তাই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নিম্নোক্ত বিষয় গুলোর জন্য সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ঃ
ক) কর্মস্থল ঃ এমন হতে হবে যাতে শ্রমিকদেরকে ঘেষাঘেষি করে বসতে না হয়। ইউনিট এলাকার মধ্যে পানি কিংবা পিচ্ছিল পদার্থ যাতে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

খ) টয়লেট-এর মান ঃ শ্রমিকদের (পুরুষ ও মহিলাদের) জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট থাকতে হবে এবং প্রতিদিন পরিস্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চেক লিষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে।
১) পানির কল সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা।
২) ভাঙ্গা পানির কল মেরামত করে পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
৩) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখা।
৪) পানির ব্যবস্থা থাকা।
৫। ফ্ল্যাশ কাজ করা।
৬। পানির টেপ লিক না করা।
৭। আলো এবং বাতাসের ব্যবস্থা থাকা।
৮। দরজা সঠিকভাবে বন্ধ হওয়া।
৯। মেয়েদের টয়লেটে ঢাকনা ওয়ালা ঝুড়ির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১০। প্রতিটি টয়লেটে সাবান, তোয়ালে, সেন্ডেল মওজুদ রাখা।
১১। অপ্রয়োজনীয় মালামাল না রাখা।
১২। মাকড়সার জাল না থাকা।

গ। আলো বাতাস ঃ স্বাভাবিক আলো ছাড়াও প্রতিটি কর্মস্থলে যথেষ্ট বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা থাকা বাঞ্চনীয়। কোনভাবে স্বল্প আলো দ্বারা কাজ করানা যাবে না। ফ্লোরে বাতাস চলাচলের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে জাতে স্বাস্থ্য পরিবেশ ভালো থাকে।
ঘ। তাপমাত্রা ঃ কর্মস্থলে কোনভাবেই অসহনীয় তাপমাত্রা যাতে না থাকে সেজন্য অতিরিক্ত ফ্যান/ব্লোয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যে কোন পার্শ্বে রৌদ্রের আলো পড়ে তাপমাত্রা যাতে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি না হতে পারে সে জন্য প্রয়োজনে কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে হবে।
ঙ। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ ইউনিট/ফ্লোরে ধুলা বালি যাতে না থাকে সেজন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে যাতে চলাচলে কোন বিঘœ সৃষ্টি করতে না পারে। দেওয়ালের কোন স্থানে স্যাঁতসেতে হয়ে গেলে যথাসময়ে চুনকাম করতে হবে।
চ। বিশুদ্ধ খাবার পানি ঃ প্রতিটি ইউনিট/ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে রাখা পানির ট্যাঙ্ক এ বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখা জরুরী। প্রত্যেক শ্রমিক যাতে নিজস্ব বোতলের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ছ। শব্দ নিয়ন্ত্রণ ঃ ইউনিট/ফ্লোরে সকলে একসাথে কথা বলতে শুরু করলে অথবা মেশিনে বেশী শব্দ সৃষ্টি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
জ। ধুমপান নিষিদ্ধ ঃ পোশাক শিল্পের ফ্যাক্টরী-ইউনিট চৌহদ্দির ভিতরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষিত। এর পরও কোনভাবেই যাতে এর লঙ্ঘন না হয় ইউনিট পর্যায়ে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
ঝ) পানি নিস্কাশন ঃ বৃষ্টির পানি কিংবা পাইপ থেকে নির্গত পানি যাতে কোন স্থানে জমা হয়ে প্লাবিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বিদ্যমান ড্রেন বা পানি নিস্কাশন ব্যবস্থাকে সর্বদা পরিস্কার করে চালু রাখতে হবে।