Select Page
এইচ.এস কোড ও নাম বন্ড লাইসেন্স এ অন্তর্ভূক্তি করনের আবেদন

এইচ.এস কোড ও নাম বন্ড লাইসেন্স এ অন্তর্ভূক্তি করনের আবেদন

তাং-১৪/০১/২০১৬

বরাবর

সচিব,

বিকেএমইএ

প্লানার্স  টাওয়ার,

১৩/এ সোনারগাও রোড, ঢাকা।

বিষয় ঃ উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল / এক্সেসরিস  এইচ.এস কোড ও নাম বন্ড লাইসেন্স এ অন্তর্ভূক্তি করনের জন অটো টেক্্রটাইল্স লিমিটেড এর পক্ষে সুপারিশ প্রসংগে।    

জনাব,

বিনীত নিবেদন এইযে আমাদের প্রতিষ্ঠান অটো টেক্্রটাইল্স লিঃ, [ঠিকানা ঃ প্লট – ৩৪, ইউনিয়ন – জামাল্পুর, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠান যাহার সদস্য নং-৬২২২২২২ প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা হতে গত তারিখ ২৩/১২/২০১৮ খ্রিঃ এর মাধ্যমে ১০০% প্রচ্ছন্ন রপ্তানির পাশাপাশি  নীট কম্পোজিট শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১০০% সরাসরি রপ্তানির অনুমোদন লাভ করে। অনুমোদনের শর্তাবলীর মধ্যে ২নং শর্ত প্রতিপালনের লক্ষ্যে এবং প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য উৎপাদিত পণ্যের নাম ও এইচ.এস কোড এবং ইহার জন্য আমদানির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল/এক্সেসরিজের নাম ও এইচ.এস কোড বন্ড লাইসেন্স অন্তর্ভূক্তির প্রয়োজন।

এমতাবস্থায় আপনার নিকট বিনীত আবেদন অটো টেক্্রটাইল্স লিঃ কে উৎপাদিত পণ্যেরনাম ও এইচ.এস কোড এবং ইহার জন্য আমদানির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল/এক্সেসরিজের নাম ও এইচ.এস কোড বন্ডলাইসেন্সে অন্তর্ভূক্তির করার জন্য সুপারিশ প্রদান করে বৈদেশিক মুদ্রা আহরন করতে আমাদের প্রতি আপনার পূর্ণ সহযোগীতা কামনা করছি।

বিনীত নিবেদক

এইচ.এস কোড ও নাম বন্ড লাইসেন্স এ অন্তর্ভূক্তি করনের আবেদন
শেয়ার হস্তান্তর সহ মালিকানা পরিবর্তনের সুপারিশের জন্য আবেদন

শেয়ার হস্তান্তর সহ মালিকানা পরিবর্তনের সুপারিশের জন্য আবেদন

বরাবর

সচিব,

বিকেএমইএ

প্লানারর্স  টাওয়ার,

১৩/এ সোনারগাও রোড, ঢাকা।

বিষয়:- একজন বিদেশী শেয়ার হোল্ডারের শেয়ার হস্তান্তর সহ মালিকানা পরিবর্তনের সুপারিশের জন্য আবেদন।

জনাব,

          যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এইযে, আমাদের প্রতিষ্ঠান অটো লিঃ, প্লট # ৫৫ ইউনিয়ন:- জামাল পুর হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা একটি শতভাগ রপ্তানী মুখী নীট কাপড় তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে উক্ত বিদেশী শেয়ার হোল্ডার তাঁর শেয়ারের সম্পূর্ন অংশ অবশিষ্ট ১ জন শেয়ার হোল্ডারের নিকট হস্তান্তর করে মালিকানা স্বত্ত ত্যাগ করেছেন, যা জয়েন্ট স্টক ফার্ম ও বিনিয়োগ বোর্ড হতে অনুমোদন গ্রহন করা হয়েছে। বিদেশী শেয়ার হোল্ডার তাঁর মালিকানা বা শেয়ার হস্তান্তর করায় বিনিয়োগ বোর্ড যৌথ বিনিয়োগে নিবন্ধন সংখ্যা বাতিল করে নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ইস্যু করেছেন, যার জন্য বন্ড লাইসেন্সে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য বিকেএমইএ-এর সুপারিশ প্রয়োজন।

অতএব, আপনার নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিকেএমইএ-এর সুপারিশ প্রদানে জনাবের মর্জি হয়।। 

শেয়ার হস্তান্তর সহ মালিকানা পরিবর্তনের সুপারিশের জন্য আবেদন
ব্যাবসায়িক বিষয় এর উপর প্রায় ১০০ টি লেখা পোশাক শিল্পের উপর

ব্যাবসায়িক বিষয় এর উপর প্রায় ১০০ টি লেখা পোশাক শিল্পের উপর

ব্যাবসায়িক বিষয় এর উপর প্রায় ১০০ টি লেখা

সেইফটি কমিটি এর কার্যপরিধি গুলো কি কি? নিরাপওা গাইডলাইন সহ

সেইফটি কমিটি এর কার্যপরিধি গুলো কি কি? নিরাপওা গাইডলাইন সহ

সেইফটি কমিটি কার্যপরিধি

সেইফটি কমিটি – কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান আইনের ষষ্ঠ্য অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা এবং সপ্তম অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা সর্ম্পকে বিশেষ বিধান ও সংশ্লিষ্ট বিধিসমূহের যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে স্বীয় দায়িত্বের  বর্ননাসহ একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহি প্রস্তুত করিবে। কমিটির  কার্যকলাপ  বাস্তবায়ন করার জন্য সভাপতিকে  যথাযথ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগীতা  করা। কমিটির কার্যকলাপ বাস্তবায়ন করার জন্য সবধরনের পরামর্শ  ও  নির্দেশ  প্রদান করা এবং   যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।সেইফটি কমিটি বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ওনুজায়ে লিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিবে …

সেইফটি কমিটির উপকারিতা :-

প্রতিষ্ঠানে একটি কার্যকর সেইফটি কমিটি প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে উক্ত নি¤েœাক্ত সমস্যা সমূহ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে ।

  • চিকিৎসাজনিত ব্যয় ।
  • ক্ষতিপূরণমূলক ব্যয় ।
  • আহত শ্রমিকদের কারণে সময়ের অপব্যয় ।
  • তার কারনে তার সহকর্মীদৈর সময়ের অপব্যয় ।
  • আহত ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারের সময়ের অপব্যয় ।
  • কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে পারে ।
  • প্রতিষ্ঠানের উন্নতি বিধানের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি পায় ।
  • আহতজনিত দূর্ঘটনার কারণে দ্রব্যজনিত অপব্যয় ।
  • ভোক্তার অসন্তুষ্টি ।সময়সূচী সংμান্ত কালক্ষেপন ।
  • কার্যকর কমিটি থাকলে প্রতিষ্ঠানে দূর্ঘটনাজনিত ঝুকিঁ কমে যায় । যার ফলে, প্রতিষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমে যায় এবং মুনাফা বৃদ্ধি পায় ।
  • ম্যানেজমেন্ট ও সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে যোগাযোগ ও আস্থা বৃদ্ধি পায় ।
  • সমস্যা সমাধানকারী দল কেউ প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশের অব¯হা ও মান সর্ম্পকে জানতে তাদেরকে যথাযথ ধারনা প্রধান করতে পারে ।

সেফটি কমিটির কার্য পরিধিঃ

সম্পূর্ন  কর্মক্ষেত্রে  আতœরক্ষামুলক সরঞ্জামাদির  সুষ্ট ব্যবহার  ক্যামিক্যাল ম্যানেজমেন্ট এবং পরিবেশ রক্ষামুলক সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা  এবং  সভাপতিকে রিপোর্ট করা ।

  • দূর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য সর্ম্পকিত ও অসুস্থতাজনিত ঘটনার রিপোর্ট করা এবং সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের নিরাপত্তা  কমিটির সকলের সাথে যোগাযোগ ও  সভাপতিকে রিপোর্ট করা পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপওা গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহিতে নির্দেশিত বিষয়সমূহের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং কারখানা বা প্রষ্ঠিানের উৎপাদন প্রক্রিয়া, ভৌত কাঠামো, কর্মেও প্রকৃতি ও ধরন, মালামাল সংরক্ষণ ও পরিবহন, কাচাঁমাল-কেমিকেলের ধরন ও ব্যবহার এবং সেবার ধরন অনুযায়ী শ্রমিকদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঝূঁকিসমূহ চিহ্নিত করিবার লক্ষ্যে সেফটি কমিটি চেক-লিষ্ট প্রণয়ন করিবে।
  • কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং উহাতে নিয়োজিত শ্রমিকসহ, সকলের নিরাপওা বিষয়ে আইন ও প্রচলিত অন্যান্য বিধি-বিধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। সম্পূর্ন  কর্মক্ষেত্রে  ইলেকট্রিকেল ,মেকানিকেল সংক্রান্ত  সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং  সুষ্ট  পরিকল্পনা  বাস্তবায়ন ব্যবহার করা  এবং  চাহিদা আনুযায়ী সভাপতিকে  রিপোর্ট করা ।
  • এই তফসিল অনুযায়ী প্রণীত চেক-লিষ্ট অনুসারে নিরাপওা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি বা ঘাটতি সমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা।কর্মকালীন সময় আয়রন সেকশন ,স্পট রিমোভিং এবং ফিনিশিং সেকশনের সকল ধরনের  নিরাপত্তা নিশ্চিত করা  এবং চাহিদা আনুযায়ী সভাপতিকে  রিপোর্ট করা ।
  • কর্মস্থল ও কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপওা বিধানে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা, মালিক বা কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ প্রদান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিগনকে এতদবিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কোয়ালিটি সেকশনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করন করা।
  • সেফটি কমিটি মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিওিতে মালিক বা ব্যবস্থাপক বরাবরে নির্ধারিত চেকলিষ্ট ও ফরমে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করিবে।তবে শর্ত থাকে যে, কোন সময় কোনরুপ ত্রুটি-বিচ্যুতি বা আইন বা এই বিধিমালার কোন বিধানের লংঘন প্রতীয়মান হইলে, উহা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিবে।
  • এই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত অগ্নিনির্বাপণ, জরুরী উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন এবং প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিচালনা করা।
  • আইনের নিরাপওা সংক্রান্ত বিধান ও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষন ও মনিটর বা নিরীক্ষন, রিপোর্ট সংরক্ষন ও প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখা।
  • ধারা ৩২৩ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় শিল্প, সেফটি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা ও দিকনির্দেশনার আলোকে যথাযথ ভূমিকা পালন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে মালিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা।
  • প্রতিষ্ঠানে র্কমরত লোকদের সেইফটি কমিটির সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় বিষয়াবলী সম্পর্কে সঠিক সময়ে নিরসনের জন্য উপযুক্ত ব্যব¯হা গ্রহনে সহায়তা করা ।
    কার্যকর সুপারিশমালা প্রকাশের মাধ্যমে অত্র কোম্পানী উন্নতি সাধনে সহায়তা করা 
  • একটি জোড়ালো সেইফটি কমিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান ।
    সেইফটি জনিত যাবতীয় সমস্যা সমূহের সমাধান কল্পে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে একইসাথে একএীভূত করে প্রয়োজনীয় সহায়তামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সমন্বিত প্রয়াসের ব্যব¯হা করা ।
  • সেইফটি কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক সদস্যকে একজন লীডার হিসেবে আতœপ্রকাশ করার ব্যবস্থা করা ।
  • প্রয়োজনীয় ও কার্যকর সুপারিমালার প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি বিধানে সহায়তা করা ।
  • কমিটির কার্যμমের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন ও সহায়তামূলক প্রচেষ্টার সাহায্যে একটি কার্যকর জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার গোড়াপত্তন করা ।
  • একটি কার্যকর সেইফটি কমিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান ও তার কার্যμমের মূল্যায়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে সহায়তা দান ।
  • ঝূঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ (যেমন-ভবনের অংশবিশেষ, সিঁড়ি, প্রাঙ্গন, বৈদ্যুতিক লাইন, মেশিনপত্র) ইত্যাদি।
  • পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের বাস্তবায়ন করা।
  • কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন না করা এবং শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে পক্ষ না হওয়া। ক্যান্টিন  এবং ডাইনিং হল সংক্রান্ত  তথ্য  পর্যালোচনা।
  • ঝূঁকির প্রকৃতি (যেমন-ফাটল, কর্মকালীন সময়ে তালাবদ্ধ গেইট, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইত্যাদি)।
  • ঝূঁকির মাত্রা বা স্তর ( যেমন-উচ্চ/মধ্যম/সাধারন/সন্তোষজনক নয়)
  • আশু করণীয় নির্ধারন ( যেমন-ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত-সংস্কার, বন্ধকরণ)
  • ঝূঁকির প্রকৃতি ও স্তরভেদে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ এবং কারিগরি ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নিরুপণ। সুইং ফ্লোরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করন করা।
  • কমিটি গঠনের পরবর্তীতে কোন সদস্যের পদত্যাগ, চাকরি হইতে অবসর, চাকরি ত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কোন যৌক্তিককারণে সদস্য পদ শূন্য ঘোষিত হইলে সেইফটি কমিটির কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনμমে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা যাইবে :
  • তবে শর্ত থাকে যে, শ্রমিক প্রতিনিধি শ্রমিকগণের মধ্য হইতে এবং মালিক প্রতিনিধি মালিক দ্বারা মনোনীত প্রতিনিধি হইবেন। ইলেট্রিক্যাল সর্ম্পকিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রিপোর্ট করা । 
  • সেইফটি কমিটির কোন সদস্য পদে কোনরূপ পরিবর্তন ঘটিলে পরিবর্তন হইবার ১৫(পনের) দিনের মধ্যে মহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শককে অবহিত করিতে হইবে।

সভাপতির কার্যাবলী :-

  • কমিটির প্রতিটি সভার জন্য প্রয়োজনীয় এজেন্ডা তৈরি করা ।
  • কমিটির সভা অনুষ্টিত করার জন্য মিটিং রুমের ব্যবস্থা করা ।
  • কমিটির সকল সদস্যদেরকে মিটিংয়ের দিন তারিখ সর্ম্পকে অবহিত করা ।
  • কমিটির সভার জন্য যে সকল এজেন্ডা নির্ধারিত হয় সে সকল এজেন্ডা গুলো কমিটির সকল সদস্যদেরকে সরবরাহ করা ।
  • কমিটির সকল সদস্যদেরকে তাদের নিজ নিজ দ্বায়িত্ব সমুহ যথাযথভাবে বন্টন করে দেওয়া ।
  • কমিটিকে ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীদের সমন্বিত কর্মপ্রয়াসের অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে হবে ।
  • নিয়মিত বিরতিতে সভার বন্দোবস্ত করতে হবে ।
  • প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বিধানের প্রচলন ।
  • প্রয়োজনের নিরিখে কমিটির সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপ¯িহতি ।
  • প্রতিষ্ঠানের ব্যব¯হাপক ও কর্মচারীদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উভয় মূখীভাবে কার্যকর কিনা তার নিশ্চয়তা বিধান ।কমিটির দ্বায়িত্ব গ্রহন ও সভা পরিচালনা করা ।
  • কমিটিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন তৈরী করা ।
  • কমিটিকে কার্যকর করার জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্থাপন
  • সভায় গৃহীত সুপারিশসমূহের সর্বশেষ পরিস্থিতি সর্ম্পকে প্রতিবেদন তৈরী করা ।

সেইফটি কমিটি সারাংশ

মেকানিক্যাল  সর্ম্পকিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রিপোর্ট করা । নিডেল সংক্রান্ত সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যথাযথ  তথ্য সম্পর্কে সভাপতিকে  রিপোর্ট করা ।

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি গুলো কি কি? কারখানায় শিশু শ্রম কি?

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি গুলো কি কি? কারখানায় শিশু শ্রম কি?

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি গুলো সংরক্ষিত এরিয়া গুলিতে যারা কাজ করে তাদেরকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে যাতে কোন অপরিচিত লোক বা দ্রব্যাদি কোনভাবেই এসকল এরিয়াতে ঢুকতে না পারে।যেখান থেকে   তার কাজকর্ম চালায়, আমরা এই আচরণ বিধি দ্বারা পরিচালিত হই। গিল্ডানের সব কর্মী এবং বানিজ্যিক অংশীদারের উচিত এইসব নীতি মেনে চলা। এগুলি নিন্মে বর্ণিত হয়েছে।

কর্মসংস্থানগত সম্পর্ক ঃ

ও তার বানিজ্যিক অংশীদারদের তাদের কাজ চালানো সংক্রান্ত আচরণের সমস্ত সংশ্লিষ্ট আইনি প্রয়োজনগুলি অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে এবং তাদের কর্মীদের কর্মসংস্থানগত সমস্ত নিয়ম ও শর্তাবলী গ্রহণ ও মেনে চলবে যা কর্মীদের মর্যাদা দেয়, এবং কমপক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম ও সামাজিক সুরক্ষা আইন ও নিয়মাবলীর আওতায় তাদের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখে।

শিশু শ্রম ঃ

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি গুলো কর্মীদের অন্ততপক্ষে ১৮ বছরের হতে হবে।

বলপূর্বক শ্রম ঃ

আগুন লাগলে করনীয় বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং ফায়ার ড্রিল (অগ্নি মহড়া) এ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করতে হবে।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ বলপূর্বক শ্রমিক ব্যবহার করবে না, যার মধ্যে কারাগার শ্রম, ঠিকা শ্রম, বেগার শ্রম বা অন্য যে কোন প্রকারের বলপূর্বক শ্রম অন্তরভুক্ত রয়েছে।

ক্ষতিপূরণ ঃ

ভাতার ক্ষেত্রে আইনি ন্যূনতম বেতন বা প্রযোজ্য শিল্পক্ষেত্রে প্রদেয় বেতন, যেটি অধিক হবে তা প্রদাণ করতে হবে। সমস্ত গুচ্ছ সুবিধা, আইন বা চুক্তিতে যা প্রয়োজন, অবশ্যই প্রদান করতে হবে।

কাজের সময়/ ওভারটাইম ঃ

কর্মীদের সপ্তাহে মোট ৬০ ঘন্টার বেশী কাজ করার প্রয়োজন হবে না, যার মধ্যে অন্তরভূক্ত থাকবে নিয়মিত ও ওভারটাইম ঘন্টা যা এদেশের আইনের আওতায় প্রযোজ্য, যেটি কম হবে। কর্মীদের প্রতি সাত দিনের কাজের মধ্যে কমপক্ষে একটানা ২৪ ঘন্টা বিশ্রাম দিতে হবে। সমস্ত ওভারটাইমের কাজ সর্বসম্মতিক্রমে করতে হবে।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঃ

কারখানার ভিতরে কেউ দলবদ্ধভাবে কোন আলোচনায় লিপ্ত থাকা বা কোন প্রকার লিফলেট বিতরন করতে পারবে না।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ একটি সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবে যাতে করে কাজের সঙ্গে জড়িত বা কাজ করার সময় বা নিয়োগকর্তার সুবিধাদি প্রদানের ফলস্বরূপ এবং অন্য কোন স্থানে দূর্ঘটনা এবং দূর্ঘটনাজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করা যায়।

ব্যবসায়িক আচরণ বিধি, ।

পরিবেশ ঃ

নিজেরা কাজ করার সময় সঙ্গে রক্ষিত ব্যাগ ভালভাবে চেক করতে হবে যাতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অন্য কেউ ব্যাগে কিছু ঢুকিয়ে রাখতে না পারে।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ পরিবেশের ওপর কাজের ক্ষেত্রের প্রভাব কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তাদের দেশের পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও আইন মেনে চলতে হবে।

ফ্রিডম অফ এসোসিয়েশন অ্যান্ড কালেকটিভ বার্গেনিং (জোট এবং যৌথ চুক্তির ব্যাপারে স্বাধীনতা) ঃ

কারখানায় যে কোন  ধরনের দুর্ঘটনার সময় হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করা যাবে না, সুসৃঙ্খলভাবে বের হতে হবে।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ জোট এবং যৌথ চুক্তির ব্যাপারে স্বাধীনতার বিষয়ে কর্মীদের অধিকারকে, মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেবে।

হয়রানি বা অপব্যবহার ঃ

কোন পরিচিত লোক বাইরে আসলে বাইরে থেকেই তার সাথে কাজ শেষ করতে হবে।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ প্রতিটি কর্মীর প্রতি সম্মান জানাবে ও মর্যাদা দেবে। কোনো কর্মীকে শারীরিক, যৌন, মানসিক বা মৌখিক হয়রানি বা অপব্যবহার করবে না।

অভিযোগ সংক্রান্ত পদ্ধতি ঃ

কর্মীদের অভিযোগ দায়ের করতে অনুমতি দেওয়া হয় যা এক বিধিবদ্ধ পদ্ধতিতে দায়ের করতে হবে যাতে করে কর্মীদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখা যায় এবং তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।

বৈষম্য ঃ

কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো রকমের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না, যার মধ্যে রয়েছে লিঙ্গগত কারণে, গর্ভবতী হওয়ার কারণে, জাতি, ধর্ম, বয়স, প্রতিবন্ধকতা, চেহারাগত কারণে, যৌন স্থিতিবিন্যাস, নাগরিকত্ব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিকতা বা জাতিগত ভিত্তির কারণে ভাড়া করা, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, অগ্রগতি, শৃঙ্খলা, বহিস্কার বা অবসর গ্রহণ করানো।

নথিপত্র এবং পরিদর্শন ঃ

গেইটে সিকিউরিটি চেকের সময় অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সততার পরিচয় দেয়া এবং এ ব্যাপারে নিরাপত্তাকর্মীকে সহায়তা করতে হবে।ও তার বানিজ্যিক অংশীদারগণ এই বিধি এবং প্রযোজ্য আইন রূপায়ণ করবে এবং বৈধতাকরণের ভিত্তিতে তার অনুমতি দেবে। এই বিধি প্রকাশ করতে হবে কর্মীর নিজের ভাষাতে এবং তা কর্মীদের জানাতে হবে। এই আচরণ বিধির মাধ্যমে নথিকরণের প্রয়োজন এবং এই নথি  বা এর নির্ধারিত হিসাব পরীক্ষকদের পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।

শ্রমিকদের আচরন বিধি / অবশ্য পালনীয় নির্দেশাবলী

  • প্রত্যেক শ্রমিককে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের পূর্বে জুতা বা স্যান্ডেল নির্ধারিত স্থানে রেখে প্রবেশ করতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের পূর্বে নির্ধারিত স্থানে (পাপোশে) পা মুছে ঢুকতে হবে।
  • কোন শ্রমিকের সাথে মোবাইল ফোন রাখা যাবে না বা ব্যবহার করা যাবে না। জরুরী প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে এডমিন সেকশনে রক্ষিত ফোন ব্যবহার করে সংবাদ আদান প্রদান করা যাবে।
  • ফ্লোরে হৈ চৈ, চিৎকার, উচ্চস্বরে হাসি, গল্প বা কথা বলা উচিত নয়।
  • কোন আত্মীয় বা পরিচিত কোন শ্রমিক নিয়োগের পূর্বে তাদের সম্পর্ক পরিস্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে অন্যথায় কোন তথ্য ভূল প্রমানিত হলে তার বিরূদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
  • পরিচিত বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন প্রকার গোপনীয়তা পরবর্তীতে প্রকাশ পাইলে সংশ্লিষ্টদের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
  • ফ্লোরে ঘুমানো বা শুয়ে বিশ্রাম নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • যে কোন প্রকার অভিযোগ বা আপত্তি বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
  • কোন  শ্রমিক তার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করলে অবশ্যই কারখানার মানব-সম্পদ বিভাগকে জানাতে হবে।
  • প্রত্যেক শ্রমিক ছবিসহ পরিচয় পত্র সংরক্ষন করবেন এবং তা যথা নিয়মে পরিধান করবেন।
  • কোন শ্রমিক কোন প্রকার অনৈতিক বা বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না।
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি (পি পি ই) এর ব্যবহার নিশ্চিত করে কাজ শুরু করতে হবে।
  • ফ্লোরে অযথা এলোমেলো ভাবে ঘোরাঘুরি করে শৃংখলা নষ্ট করা যাবে না।
  • হেলপারদের সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলে সময় নষ্ট বা হেলপারদেরকে তা করতে দেয়া যাবেনা।
  • হেলপারদেরকে দিয়ে কোন প্রকার ব্যক্তিগত কাজ করানো যাবে না।
  • প্রত্যেকেরই যেকোন প্রকার গুজবে কান দেয়া উচিত নয়।
  • প্রত্যেক শ্রমিকের আই ডি কার্ড বা পরিচয় পত্রসহ অন্যান্য চাকুরীসংক্রান্ত রেকর্ড বা কাগজপত্র যেমন; (এপয়েন্টমেন্ট লেটার, জয়নিং লেটার, পে স্লিপ, জব কার্ড, কার্যপ্রনালী/ নিয়মনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সার্কুলার, হ্যান্ডবুক) অত্যন্ত যতœ সহ সংরক্ষন করতে হবে।
  • এসকল ডকুমেন্ট হারিয়ে গেলে, চুরি হলে বা ছিনতাই হলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাক্টরীর এডমিন অফিসার/ কমপ্লায়েন্স অফিসার/ এইচ আর অফিসারকে মৌখিকভাবে অথবা টেলিফোনে জানিয়ে দেবে। পরবর্তীতে এসে লিখিত দরখাস্ত দিবে।
  • দৈনিক কাজ শুরুর পূর্বে প্রত্যেকে নিজ নিজ মেশিন পরিস্কার করবে।
  • চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমনভাবে আইলস্ গুলোতে কোন টুল, ট্রলি বা ইনপ্রসেস পোষাক স্তুপ করে রাখা যাবে না।
  • বায়ার কমপ্লায়েন্স ও কোম্পানীর নির্দেশিত সকল বিধি বিধান ও নিয়ম শৃংখলা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

শিপমেন্টের পরিমান ওজন নাম্বার এবং শিপিং মার্ক পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি

শিপমেন্টের পরিমান ওজন নাম্বার এবং শিপিং মার্ক পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি

শিপমেন্টের পরিমান, ওজন, নাম্বার পদ্ধতি

  • শিপমেন্টের পরিমান, ওজন, নাম্বার এবং শিপিং মার্ক পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে অটো কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত পদ্ধতি সমূহ অবলম্বন করেঃ
  • শিপমেন্টের জন্য লোডিং এরিয়াতে পরীক্ষিত কার্টুনগুলো গাড়ীতে লাইন করে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টুন আছে এবং মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সে হিসাব নির্ভুল ভাবে রাখতে হবে।
  • সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়ীতে উঠানো হলে গার্ড কমান্ডার গাড়ীতে তালা লাগাবেন এবং গাড়ীতে সীল করে দিবেন। অতঃপর সিকিউরিটি অফিসার তালা ও সীল পরীক্ষা করবেন এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
  • অতঃপর গাড়ীর রেজিষ্টেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়ীচালককে গাড়ীতে বোঝাইকৃত মোট পণ্যের চালান এবং রোড ম্যাপ প্রদান করবেন একই সাথে গাড়ী লোডিং এরিয়া থেকে সী-পোর্ট এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করবেন। উক্ত তথ্য একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
  • গাড়ী কারখানা চত্ত্বর ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্টকে গাড়ী ছাড়ার সময়, গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স অবহিত করতে হবে এবং গাড়ীটির পৌঁছানোর সংবাদ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
  • পণ্যবাহি গাড়ীটির যাত্রাকালীন সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গ্রহনযোগ সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে তৎক্ষনাৎ কারখানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে। তদন্তে গ্রহনযোগ্য, যুক্তিযুক্ত কারন পাওয়া না গেলে সি এন্ড এফ এজেন্ট গুদামে গিয়ে পুণরায় পরীক্ষা করতে হবে।
  • কারখানা থেকে শিপমেন্টের পরিমান পণ্য সামগ্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিরাপদ ভাবে পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

ফিনিসিং বিভাগের ঝুঁকি সমূহ

  • প্যাসেজ বন্ধ করে কাজ করা এবং ৬ফুটের উপর কার্টন রাখার ঝুঁকি।
  • প্যাকিং সেকশনে বহিরাগতদের প্রবেশ করার ঝুঁকি।
  • জরুরী ও নিরাপদ বহির্গমন পথ ও সিঁড়ি না থাকার ঝুঁকি। এমনকি আইল্স মার্ক বন্ধ করে কাজ করার ঝুঁকি।
  • পর্যাপ্ত ও নিরাপদ খাবার পানি পান না করার ঝুঁকি।
  • কাজ শেষে আয়রন সুইচ বন্ধ না করা এবং রাবারম্যাট, আয়রণ প্লেট ব্যবহার না করার ঝুঁকি।
  • অনেক জনগন একসাথে কাজ ও কোলাহল করার ঝুকি।
  • সিজার, কাটার ও ধারালো অস্ত্র¿্রপাতিতে হাত পা আহত হওয়ার সম্ভাবনা

ফিনিসিং বিভাগের প্রভাব

  • প্যাসেজ বন্ধ করে কাজ করা এবং ৬ফুটের উপর কার্টুন রাখার ফলে আগুন লাগলে চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ৬ফুটের উপরে কার্টন রাখার ফলে পরে গিয়ে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
  • প্যাকিং সেকশনে বহিরাগতদের প্রবেশ করার ফলে প্যাকিং এর মধ্যে বোমা বা বিস্ফোরক দ্রব্য ঢুকাতে পারে। ফলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
  • জরুরী ও নিরাপদ বর্হিগমণ পথ ও সিঁড়ি না থাকার ফলে অগ্নিকান্ড, ভবন ধ্বস ইত্যাদি দূর্ঘটনার সময় পদ পৃষ্ট হয়ে প্রান হানী ঘটে।
  • কর্মরত প্রত্যেকে পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানি পান না করার ফলে শারীরিক পানি শূন্যতায় ভূগতে পারে ও জীবানু বাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদিতে ভুগতে পারে।
  • কাজ শেষে আয়রন সুইচ বন্ধ না করার ফলে ইলেক্ট্রিক শটসার্কিট হতে পারে এবং রাবারম্যাট ব্যবহার না করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক লাগতে পারে। এমন কি অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
  • অনেক জনগন অবস্থান করার ফলে ফ্লোরের তাপমাত্রা বেড়ে কর্মরত অনেকেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ইহাতে কর্ম ¯পৃহা কমে যায় এবং উৎপাদন হ্রাস পায়।
  • সিজার, কাটার ও ধারালো অস্ত্র¿্রপাতিতে আহত হতে পারে। এমন কি গ্যাংগ্রেস হতে পারে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিম্নোক্ত ব্যবস্থা সমূহ গ্রহন করা হয়েছে কি না?

  • প্যাসেজ বন্ধ করে কাজ করার উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং ৬ফুটের উপরে কার্টন না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্যাকিং সেকশন ফিনিশিং থেকে আলাদা করা হয়েছে।
  • প্যাকিং সেকশনে বহিরাগতদের প্রবেশ করার উপর বিধি নিষেধ আরোপসহ নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। অনুমোদিত প্যাকিংম্যানদের নামের তালিকাসহ ছবি প্যাকিং সেকশনের প্রবেশ দ্বারে টাঙ্গানো হয়েছে।কোন ভিজিটর প্রবেশ করতে চাইলে এক্সেস কন্ট্রোল রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করে প্রবেশ করতে হবে।
  • নিয়মিত নিরাপদ বহির্গমন মহড়া পরিচালনা করা হচেছ। ফ্লোরে বহির্গমনের জন্য রোড মার্কিং, এক্সিট লাইট, বহিঃর্গমন নকশা ও জরুরী বাতির ব্যবস্থা সহ অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে, যা আই সি ডি ডি আর বি কর্তৃক পরীক্ষিত ও অনুমোদিত। পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার ও পানি পরিবর্তন করা হয়। পানির পাত্র রাখার স্থান নিয়মিত দূষণ মুক্ত রাখা হয়।
  • কাজ শেষে আয়রণ সুইচ বন্ধ করা হচ্ছে। প্রত্যেক আয়রনম্যানদের জন্য রাবার ম্যাট এবং আয়রন রাখার জন্য রাবার ষ্ট্যান্ড ও অন্যান্য তাপ নিরোধক উপকরন সরবরাহ করা হয়েছে। আয়রন করার ইন্সট্রাকশন সম্বলিত পোষ্টার পোষ্টটেড করা হয়েছে।
  • পর্যাপ্ত জানালা দরজা রাখা হয়েছে ও ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল এক্সাষ্ট ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে, যাতে একদিক থেকে বাতাস প্রবেশ ও অন্য দিকে বেরিয়ে যেতে পারে।
  • সিজার, কাটার ও ধারালো অস্ত্রপাতি সম্পর্কিত পলিসি তৈরী করা হয়েছে। তা প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণ করা এবং রেজিষ্টার মেইনটেন করা হয়। সিজার, কাটার হাতের সাথে রশি দ্বারা বেধে কাজ করতে বলা হয়েছে।