Select Page
কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ

প্রাথমিক পর্যায়ে এম এস ডি এস কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে কর্মরত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পেশাদার ব্যাক্তি এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শ্রমিকদের জন্য লেখা হয়েছিল। এতে সন্নিবেশিত তথ্য, তার প্রকৃতি এবং ছকগুলো ছিল সাধারণভাবে অত্যন্ত টেকনিক্যাল এবং এক সাপ্লায়ার থেকে অন্য সাপ্লায়ারের মাঝে এর তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। সকল পেশার এবং সব ধরনের শিল্পে কর্মরত পেশাদার ব্যক্তি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে পরবর্তীতে এমএসডিএসগুলোর সম্প্রসারণ করা হয়। পাশাপাশি সেগুলো পাঠ এবং অনুধাবন করার রেগুলেশনগুলো সম্প্রসারণ করা হয় কেননা বিভিন্ন ব্রাকগ্রাউন্ড সহ বৃহত্তর শ্রোতাবর্গের তা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

এম এস ডি এস গুলো বোঝার কাজটি অনেকের কাছে কষ্টসাধ্য মনে হয়। কিছুদিন আগে কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন সঙ্গতিপূর্ণ এবং বোধগম্য মানের এমএসডিএস প্রণযনের উদ্যোগ গ্রহণ কওে যা আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপে স্বীকৃতি লাভ করে। আমেরিকান ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইনষ্টিটিউট স্বীকৃতি এই ষ্ট্যান্ডার্ড সবদেশের আইনগত চাহিদা পূরণ করে না। তবে এতে বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ এবং উপকারী তথ্য প্রদান কওে তা তারা যেকোন পেশারই হোক না কেন। উল্লেখ্য যে, আমেরিকায় কোনো এম এস ডি এস এর জন্য নির্দিষ্ট আইনগত প্রয়োজনীয়তা ওশা’র হ্যাজার্ড কমিউনিকেশন ষ্ট্যান্ডার্ড এ সমাধান দেওয়া হয়েছে। মজার কথা হলো যদিও ”আনছি ষ্টান্ডার্ড গুলোর প্রতি অধিকাংশ ইন্ডাষ্ট্রি সম্মান প্রদর্শন কওে এবং অনুসরণ কওে চলে তবুও সেগুলো নেহায়েতই সুপারিশ। অন্যদিকে ওশা’র ষ্টান্ডার্ডগুলো হলো আইন।

এমএসডিএস বাধ্যতামূলকভাবে ইংরেজীতে হতে হবে। বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রদত্ত এমএসডিএসগুলোর মধ্যে প্রচুর বৈসাদৃশ্য পাওয়া যায়। বর্তমানে, ওশা’র হ্যাজার্ড  কমিউনিকেশন ষ্টান্ডার্ড অনুসারে এমএসডিএসগুলোতে আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ঃ

রাসায়নিক এবং সাধারণ নাম সহ বস্তু পরিচিতি

বিপজ্জনক উপাদান (এমনকি শতকরা একভাগ হলেও)

ক্যান্সার হবার উপাদান (০.১% পর্যন্ত)

স্বাস্থ্যের প্রতি ঝূঁকিসমূহের তালিকা, সঙ্গে থাকবেঃ

পোড়া ঘায়ের তীব্র প্রভাব কিংবা জ্ঞান হারানো যা তাৎক্ষনিণভাবে ঘটে

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব, যেমন-এ্যালার্জী, চামড়ার সমস্যা কিংবা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ যা একটি সময় ধরে হতে থাকে।

ওশা, আইএআরসি, কিংবা এনটিপি কর্তৃক বস্তুটি ক্যানসার হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে কিনা।

একজন শ্রমিক নিজেকে কতক্ষণ পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতেপাওে সেই সীমা, দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রাথমিক রুট, নির্দিষ্ট অঙ্গ যেগুলো ক্ষতির প্রথম টার্গেট হতে পারে এবং এক্সপোজারের কারণে যেসব চিকিৎসাজনিত সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।

পূর্বাহ্নিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম

ইমারজেন্সী এবং ফাস্ট এইড এর নিয়মাবলী

অগ্নি নিরোধের নির্দিষ্ট তথ্য

ছলকে পড়া এবং ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসা তরল পদার্থ পরিষ্কারের প্রণালী

নিরাপদ পরিচালনা ও ব্যবহার সহ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কতা

এমএসডিএস প্রস্তুত করার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, ইস্যুর তারিখ এবং তাদের ইমারজেন্সী ফোন নাম্বার।

এমএসডিএস-এর উপাত্তগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা কিভাবে করতে সেটা বুঝতে পারলেই দুর্ঘটনা এবং আঘাতের ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। অসম্পূর্ণ এমএসডিএস কিংবা অবোধ্য এমএসডিএস-এর প্রতি আপনার সুপারভাইজারের দৃষ্টি আকর্ষণ  করুন কাজে যাবার আগেই । নতুন কোন ম্যাটিরিয়্যাল হাতে এলে তার এমএসডিএস সতকর্তার সাথে পাঠ করুন। এর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করুন। পুরো ওয়ার্কশীট বোঝার চেষ্টা করুন।

পরবর্তীতে একটি এমএসডিএস-এর ১৬টি সেকশনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছু কিছু টীকাও আছে। ওশা’র চাহিদা মতো আপনাকে তথ্যগুলো ব্যাখ্যা কওে শীটে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শীটে শূন্য স্থানগুলো সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বস্তুত এমএসডিএস আইনের সহায়ক এবং পরিপূরক। প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদেও নিরাপদ কাজের জন্য এটা একটা মৌলিক হাতিয়ার বিশেষ। জরুরী অবস্থা মোকাবিলায়ও এর অবদান অনেক। এমএসডিএস-এর প্রদ্ত্ত নির্দেশনা পাঠ এবং অনুসরণ করা না কর্মচারীর নিজের উপওে নির্ভর করে।

এমএসডিএস ফরমেট

রাসায়নিক পণ্য এবং কোম্পানী পরিচিতি

এতে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সংগে যোগাযোগের সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে। যথা নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর সহ কবে এমএসডিএস ইস্যু করা হয়েছে কিংবা তার সর্বশেষ সংস্করণের তারিখ। এতে উল্লেখিত কোন ম্যাটিরিয়ালের নাম কন্টেইনারে যেভাবে আছে হুবহু সেইভাবে লিখতে হবে।

কোনো একটি জেনেরিক এমএসডিএস এর বিভিন্ন গ্রেডে ম্যাটিরিয়াল অন্তর্ভূক্ত থাকতে পারে। সেভাবেই তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রস্ততকারী প্রদত্ত কোনো ঐচ্ছিক নম্বর বা কোড এমএসডিএস সনাক্ত কার জন্য যদি থাকে তবে তা এই সেকশনে এবং ধারাবাহিকভাবে প্রথম এমএসডিএস- এর পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে তার উল্লেখ থাকবে।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

বাস্তব অভিজ্ঞতায় একই নামের হাজারো ম্যাটিরিয়াল আমাদের কর্মস্থলে থাকে। এমন একটা অবস্থায় সাপ্লায়ার প্রদ্ত্ত ভুল সীট আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এরকম ভুল সনাক্ত করার সাথে সাথে ঐ ম্যাটিরিয়ালটা নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঐ সাপ্লায়ারের সংগে দ্রুত যোগাযোগ করে এর বিহিত করতে হবে। এখন অতিরিক্ত তথ্য ও পাওয়া যেতে পারে।

উপাদানগুলোর মিশ্রণ সম্পর্কিত তথ্য

এই অংশে স্বতন্ত্রভাবে পণ্যের বিপজ্জনক কেমিক্যালগুলির তালিকা এবং তাদের শতকরা আপেক্ষিক পরিমাণ থাকে। এখাওে ওশা’র হ্যাজার্ড কমিউনিকেশন ষ্টান্ডার্ড এর বিধান অনুযায়ী বিপজ্জনক মিশ্রণের উপাদানগুলো সনাক্ত করতে হবে। জটিল মিশ্রণগুলোকে একক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে। কোনো বিপজ্জনক উপাদারের পরিচিতি যদি বাণিজ্যিক সিক্রেটের আওতায় পড়ে তবে তা সেভাবেই চিহ্নিত করতে হবে। উপাদানগুলো সনাক্ত করার প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে থাকবেনা। তখাপি সরবরাহকারী তার এমএমডিএস-এ সেগুলোর স্বাস্থ্য ঝুঁকির উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করবে। এসব নিরাপত্তা সম্পর্কিত পেশাদার ব্যাক্তিদের ডকুমেন্ট তৈরিতে অত্যাবশ্যক। কেমিক্যাল এক্সপোজারের সর্বোচ্চ সীমা-ও তাতে থাকতে হবে। এব্যাপারে সেকশন-৪ এবং ৮ দ্রষ্টব্য।

এই  তথ্যেও গুরুত্ব ঃ

কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাটিরিয়ালে এক্সপোজার সহনীয় হতে পওে তবে তা সীমিত সময়ের জন্য এবং নির্দিষ্ট সর্বনিু মাত্রায়। এমএসডিএস এ ঐ সীমারেখা লিপিবব্দ থাকে। তার বাইওে হলে কি কি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা- ও এমএসডিএস এ উল্লেখ থাকবে। আপনার স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য তা একান্ত অপরিহার্য । উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এই এক্সপোজার লিমিট কেবলমাত্র সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকদের বেলায় বিনিদিষ্ট থাকে। তাতে তাদের গড় ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং বয়সের রেঞ্জ ২৫-৪৪ রাখা হয়। অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য অথবা ধূমপায়ী কিংবা পূর্বে এক্সপোজার পাওয়া শ্রমিকদের বেলায় অপেক্ষাকুত নিু মাত্রা কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে। মনে রাখতে হবে যে একের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাটিরিয়ালে এক্সপোজার বেশি বিপদজনক হতে পারে। দেহের ক্ষতিও দ্বিগুণ হতে পারে। ইংরেজীতে একে সাইনারজী বলা হয়। যেমন- ধূমপান এবং এ্যাজবেষ্টসে একই সঙ্গে এক্সপোজার হলে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

স্বাস্থ্যগত বিপদ ও ভৌত বিপদ সমূহ যেগুলো আপনার জানা উচিত

স্বাস্থ্যগত বিপদ সমূহ

স্বাস্থ্যগত বিপদ  কম্বাষ্টিবল ঃ কোন কোন দ্রব্য যা কম তাপে প্রজ্জলিত হয়। ১৪১০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৬০.৫০ সেঃ) এবং ২০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের নীচে (৯৩০ ডিগ্রী সেঃ) যেসব তরল পদার্থ দাহ্য তাদেরকে কম্বাষ্টিবল বলে দরা হয়।

কমপ্রেসড্ গ্যাস ঃ গ্যাস বা চাপে বা হিমায়িত কওে তরল অবস্থায় রাখা যে কোন গ্যাস জাতীয় বস্তু বরফশীতল গ্যাসের সংস্পর্শে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।

করোসিভ ঃ কোনো তরল কিংবা শক্ত পদার্থ যা দেহের কোন স্থানের সংস্পর্শে এল দৃশ্যমান ক্ষতি সাধন করতে পারে কিংবা রাসায়নিক ক্রিয়া দ্বারা ঐ স্থানের জীবন্ত টিস্যুগুলো স্থায়ী পরিবর্তন করে। কোন তরল পদার্থ যা মারাতœক হাওে ষ্টীল কিংবা এলুমিনিয়াম ধাতুর ক্ষয় সাধন কওে তাকেও করোসিভ বলা হয়।

এক্সপ্লোসিভ ঃ এমন দ্রব্য যা আকস্মিকভাবে প্রচন্ড শব্দ সহকারে উচ্চ চাপ কিংবা তাপমাত্রা সৃষ্টি করে।

ফ্লাম্যাবল ঃ শক্ত কিংবা তরল পদার্থ, বাষ্প কিংবা গ্যাস যা সামান্য স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে বা সামান্য তাপমাত্রায় জ্বলে উঠতে পাÍ এবং তাৎক্ষনিকভাবে প্রচন্ড তাপ,চাপ এবং অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি করে। সাধারণত ১০০০ থেকে ১৪১০ ফাঃ তাপ মাত্রায় যেসব পদার্থ দাহ্য তাকে ফ্লাম্যাবল বলা হয়।

ইনফেকশাস সাবষ্ট্যান্স ঃ সংক্রামক পদার্থ যা সংস্পর্শে মানুষ কিংবা জানোয়ার রোগাক্রান্ত হতে পারে।

অক্সিডাইজার এবং অক্সিডাইজিং এজেন্ট ঃ অক্সিডাইজার এমন একটা পদার্থ যা থেকে অক্সিজেন নির্গত হয়ে প্রজ্জলন ত্বরান্বিত করে। আগুনের পরিবেশে অক্সিডাইজার তাৎপর্যর্পর্ণভাবে বিপজ্জনক হিসাবে বিবেচিত হয়। এর সংস্পর্শে তীব্র জ্বলনের কারণ ঘটে।

পয়জন ম্যাটিরিয়াল ঃ গ্যাস ব্যতীত, এ এমন একটা বস্তু যা মানব দেহের জন্য বিষাক্ত অথবা এমন তীব্র জ্বালা পোড়া সৃষ্টি করে যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

পাইরোফোরিক ঃ এটা এমনই একটা দাহ্য বস্তু যার সামান্য পরিমানও বাতাসের সংস্পর্শে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যে জ্বলে উঠবে, আগুনের উৎসের প্রয়োজন হয় না।

রেডিও এ্যাকটিভ ঃ এটি পরমাণূ কেন্দ্রের বিভাজন দ্বারা উৎপন্ন বিকীরণকারী রশ্নির উৎস। এর মাত্রাধিক বিকীরণ মানব দেহের কোষে ক্ষতি সাধন করে।

রিএ্যাকিটিভ ম্যাটিরিয়াল ঃ একটি রাসায়নিক পদার্থ কিংবা মিশ্রণ যা শক্, প্রেসার কিংবা তাপমাত্রার কারণে নিজে নিজে বিক্রিয়াশীল হয়ে পড়ে অথবা পচন ধরায় কিংবা ঘনীভূত করে।

রিপ্রোডাকটিভ হেল্থ ঃ পুরুষ কিংবা মহিলার প্রজনন সিষ্টেমে বিকাশরত ভ্রুণ কিংবা গর্ভের শিশুর উপরে ক্ষতিকর প্রভার সৃষ্টিকারী কোন বিপজ্জনক এজেন্ট। নানাভাবে এই ঝুঁকিগুলো মানুষের ক্ষতি করে। যেমন- যৌন শক্তি নষ্ট করা, মানসিক ভারসম্যহীনতা সৃষ্টি, পুরুষত্বহীন করা, অরুর্বও কওে দেওয়া, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি।

এমব্রায়োটক্সিন ঃ বিকাশমান ভ্রুণের জন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ যা নিু মাত্রায় থাকে বলে অন্তঃস্ত¡া মহিলার উপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলেনা।

মিউটাজেন বা এমইউটি ঃ একটি  এজেন্ট বা পদার্থ যা জেনেটিক কিংবা বংশানুক্রমে পরিবর্তন প্ররোচিত করে।

টেরাটোজেন বা টিইআর ঃ একটি এজেন্ট বা পদার্থ যা জেনেটিক কিংবা বংশানুক্রমে পরিবর্তন প্ররোচিত করে।

টেরাটোজেন বা টিইআর ঃ একটি এজেন্ট বা পদার্থ যা বিকাশমান ভ্রুণে শারীরিক ক্রটির কারণ ঘটায়।

সেনসিটাইজার ঃ প্রথম এক্সপোজারে মানুষ কিংবা জন্তুও কোনো ক্ষতি কওে না তবে বারবার এক্সপোজারে ছোঁয়াচে চর্মরোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন একটা পদার্থ।

ওয়াটার রিএ্যাকটিভঃ এমন একটা পদার্থ যা পদার্থ যা পানির সংস্পর্শে এলে আপনা-আপনি জ্বলে ওঠে কিংবা কোনো দাহ্য বা বিষাক্ত গ্যাস নির্গত করে যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজ্জনক হতে পারে।

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

সিলিকন নিরাপত্তা নির্দেশিকা ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা কি?

সিলিকন নিরাপত্তা নির্দেশিকা

সিলিকন নিরাপত্তার নির্দেশিকা আলোচনা করা হলো

রং ঃ রঙহীন স্বচ্ছ/সাদা তরল।

গঠন ঃ এমাইনো সিলিকন যৌগ। ক্ষারত্ব ৬-৭।

কার্যকারীতা ঃ ইহা যে কোন ইয়ার্নে/তন্তুতে ব্যবহার উপযোগী। ইহার অদ্বিতীয় প্রভাব আছে বিশেষত সুয়েটারকে কোমল করতে, যাকে কোমল এবং লুব্রিকেটেড করা খুবই কষ্ট সাধ্য।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৬০০ গ্রাম পি.সি- সিলিকন ব্যবহার করতে হবে।

সি-১০সি

রং ঃ হাল্কা বাদামী স্বচ্ছ তরল।

গঠন ঃ বিশেষ বিশেষ  তলের সংমিশ্রণ এবং জৈব দ্রাবক। ক্ষারত্ব মাত্রা ৯ (দ্রাব্যতা ১%)।

কার্যকারীতা ঃ পি.সি-১০সি’র অদ্বিতীয় প্রভাব আছে বিভিন্ন ধরনের তন্তুতে খারাপ প্রকৃতির সমস্যা সমাধানে যেমন হলদেটে দাগ, ফলের রসের দাগ, রক্তের এবং অন্যান্য দাগে।

ব্যবহারের পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৮০০ গ্রাম পি.সি-১০এ ব্যবহার করতে হবে।

নিরাপত্তা নির্দেশিকা

ক্ষতিকারিতা ঃ অম্লক,ক্ষতিকারক এবং ত্বক-কে অক্রান্ত করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ

১। ত্বক/সংস্পর্শ ঃ আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২। শ্বাস-প্রশ্বাস ঃ গলার ভিতরে আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩। ব্যবহারকারী ঃ ত্বকে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিতে হবে।

ছিটকে পড়লে ঃ ছিটকে পড়া সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্য ভাল করে তৎক্ষনাৎ মুড়িয়ে রাখতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্যের সাথে প্রচুর পানি মিশাতে হবে এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকল্প মিশ্রণ ঃ অনুরূপ দ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যায়।

ব্যবহারকারীকে রক্ষার উপায় ঃ হাত এবং চোখ রক্ষাকারী সরঞ্জাম পরতে হবে।

আগুনের ক্ষেত্রে সাবধানতা ঃ ইগনিশন তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবনীয়।

পরিবহনের জন্য দরকারী ঃ ছিটকে না পড়ে, উচ্চ চাপে না রেখে এবং কোন সংঘর্ষ যেন না হয় এমন অবস্থায় পরিবহন করতে হবে।

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

সফটোফ্লেক্স নিরাপত্তা নির্দেশিকা ও এর ব্যবহারের পরিমান।

সফটোফ্লেক্স নিরাপত্তা নির্দেশিকা

রং ঃ রঙহীন স্বচ্ছ/সাদা তরল।

গঠন ঃ

কার্যকারীতা ঃ সফটোফ্লক্স যে কোন ইয়ার্নে/তন্তুতে ব্যবহার উপযোগী। ইহার অদ্বিতীয় প্রভাব আছে বিশেষত সুয়েটারকে কোমল করতে, যাকে কোমল এবং লুব্রিকেটেড করা খুবই কষ্ট সাধ্য।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ১ কেজি পি.সি- সিলিকন ব্যবহার করতে হবে।

রং ঃ পাতলা দুধের মত তরল।

গঠন ঃ এমাইনো লবন গ্রেড-৩ ক্যাটোনিক যৌগ। ক্ষারত্ব ৫-৬।

কার্যকারীতা ঃ সফটোফ্লেক্স যে কোন ইয়ার্নে/তন্তুতে ব্যবহার উপযোগী। কোমল করতে, পরিষ্কার করতে ইহার অদ্বিতীয় প্রভাব আছে কিন্তু উজ্জ্বল ব্লিনচট সূতী কাপড়কে রং পরিবর্তন করে কিছুটা হলদেটে করে।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ১ কেজি পি.সি- সি.টি ব্যবহার করতে হবে।

সি-৮০৮

রং ঃ হাল্কা বাদামী স্বচ্ছ তরল।

গঠন ঃ বিশেষ তলসমৃদ্ধ এবং ক্ষয় রোধকারী। ক্ষারত্ব মাত্রা ৩-৮।

কার্যকারীতা ঃ সামান্য পরিমান ব্যবহারেরই ইহা কোমল কারক হিসেবে অসাধারণ কাজ করে। ইহা সাধারন সাবান বা গুড়ো সাবানের চাইতে বেশী শক্তিশালী পরিষ্কারক। ইহা তৈল এবং মরিচার দাগ পরিষ্কার করতে সক্ষম। ইহা অতিরিক্ত ব্লিচ করে এবং ইহা একরেলিক, উল, স্নো-ব্লু উল এর জন্য ব্যবহার উপযোগী তবে সহজে রং নষ্ট হয়ে যায় এমন ইয়ার্নে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

ব্যবহারের পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৪০০ গ্রাম পি.সি-৮০৮ ব্যবহার করতে হবে।

সি-৮০৯

রং ঃ হাল্কা দুধের রঙ্গের স্বচ্ছ তরল।

গঠন ঃ বিশেষ তলসমৃদ্ধ এবং ক্ষয় রোধকারী। ক্ষারত্ব মাত্রা ৩।

কার্যকারীতা ঃ কোমল কারক, মরিচা রোধক এবং পরিষ্কারক হিসাবে ইহার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। যেহেতু প্রতিবার স্বল্প পরিমানে ব্যবহার করতে হয় তাই এটি সাশ্রয়ী। একরিলিক, উল এবং হাল্কা রঙের উলে মরিচার দাগ, হলদে দাগ এবং তেলের দাগের উপর ইহার অদ্বিতীয় কার্যকারিতা আছে। এটি ব্যবসায়িক ওয়াসিং  মেশিনে ব্যবহার উপযোগী কিন্তু সহজে রং নষ্ট হয়ে যায় এমন সুতায় ব্যবহার করা ঠিক নয়।

ব্যবহারের মাত্রা ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৩০০ গ্রাম পি.সি-৮০৯ ব্যবহার করতে হবে।

পি.সি-১০এ

রং ঃ হাল্কা বাদামী স্বচ্ছ তরল।

গঠন ঃ বিশেষ বিশেষ  তলের সংমিশ্রণ এবং জৈব দ্রাবক। ক্ষারত্ব মাত্রা ৩-৮।

কার্যকারীতা ঃ কোমল, ধবধবে করে এবং ভারী পেট্রোলিয়াম জাতীয় ময়লা, মরিচার দাগ, ফলের রসের দাগ এবং হলদেটে বৃষ্টির পানির দাগ ইত্যাদির উপর বিশেষ কার্যকরী। সিনথেটিক তন্তু, জীব-জন্তুর তন্তু, বিভিন্ন রকমের সূতী এবং ইষ্পাতের উজ্জ্বল সূতার উপর বিশেষ কার্যকরী পি.সি-১০এ যেহেতু ইহাতে অম্লত্ব আছে।

ব্যবহারের পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৬০০ গ্রাম পি.সি-১০এ ব্যবহার করতে হবে। (কখনও কখনও পরিমান পরিবর্তন করতে হবে।)

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

উল সফ্টনার ব্যবহার ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা। পাওয়ার সোপ কি?পাওয়ার সোপের কার্যকারিতা।

উল সফ্টনার ব্যবহার

রং ঃ পাতলা দুধের মত তরল।

গঠন ঃ এমাইনো এবং সিলিকনের মিশ্রণ। ক্ষারত্ব ৫-৭।

কার্যকারীতা ঃ ইহা উলে বিশেষত ব্যবহার উপযোগী। সব ধরনের উলকে কোমল তুলতুলে করতে এর জুড়ি নেই। ইহা কাপড়ে সুগন্ধি আনয়ন করে।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ১ কেজি পি.সি-উল সফ্টনার ব্যবহার করতে হবে।

নিরাপত্তা নির্দেশিকা

অপকারিতা ঃ অম্লক,ক্ষতিকারক এবং ত্বক-কে অক্রান্ত করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ

১। ত্বক/সংস্পর্শ ঃ আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২। শ্বাস-প্রশ্বাস ঃ গলার ভিতরে আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩। ব্যবহারকারী ঃ ত্বকে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিতে হবে।

ছিটকে পড়লে ঃ ছিটকে পড়া সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্য ভাল করে তৎক্ষনাৎ মুড়িয়ে রাখতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্যের সাথে প্রচুর পানি মিশাতে হবে এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকল্প মিশ্রণ ঃ অনুরূপ দ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যায়।

ব্যবহারকারীকে রক্ষার উপায় ঃ হাত এবং চোখ রক্ষাকারী সরঞ্জাম পরিধান করতে  হবে।

আগুনের ক্ষেত্রে সাবধানতা ঃ ইগনিশন তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবনীয়।

পরিবহনের জন্য দরকারী ঃ ছিটকে না পড়ে, উচ্চ চাপে না রেখে এবং কোন সংঘর্ষ যেন না হয় এমন অবস্থায় পরিবহন করতে হবে।

সোপ

রং ঃ ঘন, দুধের মত রং।

গঠন ঃ বিশেষ তল সমৃদ্ধ। ক্ষারত্ব ৮-৯।

কার্যকারীতা ঃ অল্প পরিমান ব্যবহারে পণ্যটির কোমল ও পরিষ্কার করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। সাধারণ সাবানের চেয়ে ৬ গুণ বেশি পরিষ্কারক শক্তি সমৃদ্ধ। এটি সূতী, রেমী সূতী এবং উলে ব্যবহার করা যায়, যাহা ঘামের গন্ধ দুর করে এবং তেল চর্বি পরিষ্কার করে।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ২০০ গ্রাম পি.সি-সোপ ব্যবহার করতে হবে।

এলডি ১০০

রং ঃ স্বচ্ছ পাতলা তরল।

গঠন ঃ বিশেষ তল সমৃদ্ধ। ক্ষারত্ব ১১-১৩।

কার্যকারীতা ঃ সাধারণ সাবান এটি এবং সব ধরনের সূতা/কাপড়ে ব্যবহার উপযোগী।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৫০০ গ্রাম পি.সি-সোপ ব্যবহার করতে হবে।

এলডি ২০০

রং ঃ স্বচ্ছ তরল।

গঠন ঃ বিশেষ তল সমৃদ্ধ। ক্ষারত্ব ৭-৯।

কার্যকারীতা ঃ এটি সাধারণ সাবান তবে অল্প কোমল কারক এবং সব ধরনের সূতা/কাপড়ে ব্যবহার উপযোগী।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৫০০ গ্রাম পি.সি-সোপ ব্যবহার করতে হবে।

পাওয়ার সোপ

রং ঃ স্বচ্ছ পাতলা তরল।

গঠন ঃ বিশেষ তল সমৃদ্ধ। ক্ষারত্ব ৮-৯।

কার্যকারীতা ঃ পন্যটির উল এবং একরেলিক-কে কোমল এবং নরম করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। ইহার কোমল করার ক্ষমতা সাধারণ যে কোন সাবানের ক্ষমতাকে অতিক্রম করে।

ব্যবহার পরিমান ঃ প্রতি ৮০ পাউন্ড সুয়েটারে ৫০০ গ্রাম পি.সি-পাওয়ার সোপ ব্যবহার করতে হবে।

নিরাপত্তা নির্দেশিকা

অপকারিতা ঃ অম্লক,ক্ষতিকারক এবং ত্বক-কে অক্রান্ত করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ঃ

১। ত্বক/সংস্পর্শ ঃ আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২। শ্বাস-প্রশ্বাস ঃ গলার ভিতরে আলতোভাবে প্রচুর পরিমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩। ব্যবহারকারী ঃ ত্বকে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিতে হবে।

ছিটকে পড়লে ঃ ছিটকে পড়া সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্য ভাল করে তৎক্ষনাৎ মুড়িয়ে রাখতে হবে, বাদ বাকী দ্রব্যের সাথে প্রচুর পানি মিশাতে হবে এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকল্প মিশ্রণ ঃ অনুরূপ দ্রব্যের সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যায়।

বহারকারীকে রক্ষার উপায় ঃ হাত এবং  চোখ রক্ষাকারী সরঞ্জাম পরিধান করতে  হবে।

আগুনের ক্ষেত্রে সাবধানতা ঃ ঝুকি  ইগনিশন তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবনীয়।

পরিবহনের জন্য দরকারী ঃ ছিটকে না পড়ে, উচ্চ চাপে না রেখে এবং কোন সংঘর্ষ যেন না হয় এমন অবস্থায় পরিবহন করতে হবে।

কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে একটি এম এস ডি এস পাঠ ও এর ফরমেট।এম এস ডি এস পাঠের গুরুত্ব

অবিপদজনক ও বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ এবং নাড়াচাড়া পদ্ধতি

বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ

বিপদজনক পদার্থ চিহ্নিতকরণ -কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করিবার পরে স্কাপারের মাধ্যমে পানি হইতে যে কঠিন পদার্থ অপসারন করা হয় ইহাই স্লাজ বা ক্ষতিকর বর্জ্য।

বর্জ্য পদার্থ নাড়াচাড়া করিবার পদ্ধতি ঃ

  • বর্জ্য পদার্থ নাড়াচাড়া করিবার পূর্বে ব্যক্তিগত সতর্কতার জন্য প্রয়োজনীয় সেফটি ম্যাটেরিয়েলস (যেমনঃ গামবুট, সেফটি গগলস, এপ্রোন, হ্যান্ডগ্লাভস এবং মাস্ক) প্রভৃতি পরিধান করিতে হইবে।
  • অতঃপর স্লাজের মধ্যে ডুবে যায় এমন একটি বাকেটের সাহায্যে স্লাজ প্রথমে প্লাষ্টিক ড্রামে জমা করিতে হইবে।
  • প্রথমেই বিপদজনক এবং অবিপদজনক বর্জ্য চিহ্নিত করিতে হইবে।
  • দায়িত্বশীল ব্যক্তি দ্বারা স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ হইতে মুক্ত থাকার লক্ষ্যে বিপদজনক এবং অবিপদজনক বর্জ্য পদার্থ আলাদা আলাদা সীমাবদ্ধ স্থানে রাখিতে হইবে।
  • সমস্ত কেমিক্যাল কন্টেইনার পরিষ্কার করিবার সময় নিয়ম মাফিক অর্থাৎ ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক হ্যান্ড গ্লোাভস, গামবুট, মাস্ক, গগলস প্রভৃতি পরিধান করিতে হইবে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত স্থানে প্রেরণ করিতে হইবে।
  • যত দ্রুত সম্ভব স্পর্শ স্থান সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলিতে হইবে।
  • যদি বর্জ্য পদার্থ শরীরের কাপড়ে পড়ে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব কাপড় ভেদ করিবার পূর্বেই ত্বক বা শরীরের উপর হইতে কাপড় খুলিয়া ফেলিতে হইবে।
  • ত্বক বা কাপড়ের উপর দাগ পড়িলে সাইট্রিক এসিড অথবা অধিকতর তরল অক্সাইড এসিড দ্রবণ দিয়ে দাগগুলো তুলিয়া ফেলিতে হইবে।
  • যদি গলধকরন বা মুখ গহ্বরের ভিতরে ঢুকে পড়ে ঃ
  • তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে ফেলিতে হইবে।
  • প্রচুর খাবার পানি পান করিতে হইবে।
  • যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের অথবা হাসপাতালের শরনাপন্ন হইতে হইবে।
  • খালি রাসায়নিক কন্টেইনার অবশ্যই লাইসেন্স প্রাপ্ত ঠিকাদারগণ ব্যতীত অন্য কেহ নিতে পারিবে না।
  • খালি কন্টেইনারে আসল কন্টেইনারের ন্যায় অন্য বস্তু দ্বারা ভরা যাইবে না।
  • ব্যবহৃত তৈল ছিদ্রবিহীন পাত্রে ঢালাই করা মেঝের উপর নির্দিষ্ট জায়গায় রাখিতে হইবে। ঢালাই মেঝে মাটির সাথে এমন প্রতিবন্ধকতা রাখিতে হইবে যেন কোন কারণে দুর্ঘটনায় পতিত না হয়।
  • খোলা রৌদ্রে ব্যবহৃত তৈল রাখা যাইবে না।
  • ব্যবহৃত টিউবলাইট ভালভাবে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করিতে হইবে যেন ভেঙ্গে না যায়। কারণ টিউবলাইটের ভিতরের ব্যবহৃত গ্যাস বিপদজনক।
  • কোন কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখীন হইলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হইতে হইবে।
  • শুষ্ক বর্জ্য ব্যাগে ভরিয়া রাখিতে হইবে।
  • শুষ্ক বর্জ্য বাতাস কিংবা বৃষ্টির পানিতে যেন অন্যত্র চলিয়া না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হইবে।
  • বর্জ্যরে পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট খাতায় রেকর্ড করিয়া রাখিতে হইবে। রেজিষ্টারে বর্জ্যরে প্রকার, ওজন/আয়তন এবং বর্জ্যে পানির পরিমাণ উল্লেখ থাকিতে হইবে।
  • ষ্টোরেজ এলাকায় বিপদজনক চিহ্ন এবং বিপদজনক বর্জ্য ফেলানো এলাকা চিহ্নিত করিতে হইবে।
  • ষ্টোরেজ এলাকা দেয়াল ঘেরা থাকিতে হইবে।
  • পরে অতি সাবধানতার সহিত স্লাজ ভর্তি ড্রামগুলো একটি গাড়ীতে করিয়া স্লাজ ডাম্পিং এরিয়াতে ফেলিতে হইবে।

ক্ষতিকর বর্জ্যরে সংস্পর্শে আসলে করণীয়

যদি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ঃ

সতেজ বায়ু দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হইবে।

দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হইতে হইবে।

যদি চোখের সংস্পর্শে আসে ঃ

চোখের পাতা খোলা রেখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলিতে হইবে। পরিষ্কার ঠান্ডা পানি ব্যবহার করিলে সবচাইতে ভাল হইবে।