Select Page
দাহ্যবস্তুর শ্রেণী বিন্যাস এর বর্ণনা। আগুনের বিস্তার প্রক্রিয়া কি

দাহ্যবস্তুর শ্রেণী বিন্যাস এর বর্ণনা। আগুনের বিস্তার প্রক্রিয়া কি

দাহ্যবস্তুর শ্রেণী বিন্যাস

দাহ্যবস্তুর শ্রেণী বিন্যাস এর বর্ণনা – শ্রেণীর আগুনের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে ‘ফোম’ ফোমের প্রদান কাজ হচ্ছে প্রজ্জ্বলিত তরণ পদার্থের উপর আবরণ সৃষ্টি করে অক্সিজেন সীমিত করে আগুন নির্বাপন করা। তেলের আগুন কেমিকেল ফোম,এয়ার ফোম, কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা যায়। সকল দাহ্যবস্তু একই তাপমাত্রায় জ্বলে না। কোন কোন দাহ্যবস্তু আগুনের স্ফুলিংগ পেলেই জ্বলে ওঠে, যেমন-থিনার। আবার কোন কোন আগুন জ্বলার জন্য প্রচুর তাপমাত্রার দরকার হয় যেমন, কাঠের গুড়ি, মোটা কাপড়, কয়লা ইত্যাদি। গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় কাঠের চুলায় রান্না করার সময় আগুন জ্বালানোর জন্য প্রথমে খড়-কুটা বা শুকনো পাতা বা কখনও কেরোসিন তেল ব্যবহার করা হয়। কারণ খড়-কুটা বা কেরোসিন তেল ইত্যাদি জ্বলার জন্য সামান্য তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বেড়ে গিয়ে কাঠে আগুন ধরে যায়। …

কোন দাহ্যবস্তু কতটুকু তাপমাত্রায় জ্বলে, এর উপর ভিত্তি করে দাহ্যবস্তুকে সাধারণতঃ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়;

যেমন ঃটিন্ডার ফুয়েল বা স্বল্প তাপমাত্রার জ্বালানী ঃ এ সকল জ্বালানী জ্বলার জন্য সামান্য তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এগুলো সাধারণত ঃ ০০ফারেনহাইট থেকে ৭৩০ফারেনহাইট তাপমাত্রায় জ্বলে।

উদাহরণ ঃ  থিনার, অকটেন, ডিজেল, পেট্রাল, কেরোসিন, তারপিন, রং, বার্ণিস, গ্যাসোলীন, তুলা, আঁশ ইত্যাদি।

কিন্ডলিং ফুয়েল বা মধ্যম তাপমাত্রার জ্বালানী ঃ এ সকল জ্বালানী জ্বলার জন্য মধ্যম মাত্রার তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এগুলো সাধারণত ঃ ৭৩০ফারেনহাইট থেকে ১৫০০ফারেনহাইট তাপমাত্রায় জ্বলে।

উদাহরণ ঃ  খড়, কুটা, কাঠি, শুকনো পাতা, পাতলা কাগজ ইত্যাদি।

বাল্ক ফুয়েল বা অধিক তাপমাত্রার জ্বালানী ঃ এ সকল জ্বালানী জ্বলার জন্য অধিক তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এগুলো সাধারণত ঃ ১৫০০ফারেনহাইট বা তার অধিক তাপমাত্রায় জ্বলে।

উদাহরণ ঃ  কাঠ, বাঁশ, মোটা কাপড়, মোটা কাগজের কার্টুন, কয়লা ইত্যাদি।

আগুনের বিস্তার প্রক্রিয়া ঃ

যে সকল দাহ্য বস্তুর আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই এবং পোড়ার পর কোন কিছু অবশিষ্ট থাকেনা বা কয়লার সৃষ্টি হয়না এই শ্রেণীর আগুনই ই শ্রেণীর আগুন । শ্রেণীর আগুন আওতাভুক্ত হচ্ছে তরল জাতীয় দ্রব্য । সাধারণ ভাবে বলা যায় হাইড্রো কার্বন। কারণ হাইড্রোজেন ও কার্বনের মিলিত ফলই হচ্ছে তেল। কোন বস্তুতে আগুন লাগলে উহা এক স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে না। সময়ের সাথে সাথে উহা সমস্ত জায়গায় এমনকি এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিস্তার প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। সাধারণতঃ নিম্ন লিখিত তিনটি পদ্ধতিতে আগুন বিস্তার করে থাকে। যেমন-

  • কন্ডাকশন  বা পরিবহন
  • কনভেকশন বা পরিচলন
  • রেডিয়েশন বা বিকিরণ

আগুন নির্বাপন পদ্ধতি ঃ

এ শ্রেনীর আগুন নির্বাপনের সব থেকে ভাল মাধ্যম হচ্ছে পানি। এছাড়া এ শ্রেণীর আগুনে প্রাথমিক অবস্থায় সোডা, এসিড এক্সটিংকুইসার,ওয়াটার পাইপ এক্সটিংকুইসার, কার্বন ডাউ অক্সাইড, ডি,সি,পি ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার ব্যবহার করা যায়। আগুন নির্বাপন নীতি থেকে আমরা জেনেছি যে, আগুন জ্বলার জন্য প্রয়োজনীয় চারটি উপাদানের যে কোন একটিকে সরিয়ে দিলেই আগুন নিভে যাবে। এ চারটি উপাদানের এক একটি উপাদানকে সরানোকে এক একটি পদ্ধতি বলা হয়। নিম্নে এ চারটি পদ্ধতির নাম দেয়া হলো-

স্টারভেশন  ঃ এ পদ্ধতিতে যে স্থানে আগুন লেগেছে তার নিকটবর্তী স্থান থেকে সকল দাহ্যবস্তু সরিয়ে ফেলা হয়। যেমন, কোন কাঁচা বাড়ীঘরে বা বস্তিতে আগুন লাগলে পার্শ্ববর্তী ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয় যাতে আগুন আর ছড়াতে না পারে। গ্যাসের আগুন নির্বাপন করতে হয় কার্বন ডাই অক্সাইড বা বি,সি,পি দ্বারা। হাই প্রেসার ¯েপ্র দিয়েও আগুন নির্বাপন করা যায়। আগুন ছোট হলে ভেজা কাপড় বা অন্য কিছু দ্বারা ছটকা আঘাত করেও আগুন নেবানো সম্ভব । গ্যাস পাইপ ফেটে আগুন ধরলে সাপ¬াই বন্ধ করে আগুন নির্বাপন করতে হবে।

কুলিং  ঃ এ পদ্ধতিতে সাধারণতঃ আগুন নিভানোর কাজে পানি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা সিওটু  একটি ঠান্ডা গ্যাস। তাই আগুন ছোট থাকলে কুলিং পদ্ধতিতে সিওটু  অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যে সকল দাহ্য বস্তুর আকার,আয়তন নেই এবং জ্বলবার পর কোন কয়লা থাকেনা তাই হচ্ছে ঈ শ্রেণীর আগুন। যেমন-গ্যাস জাতীয় পদার্থ

স্মুদারিং  ঃ এ পদ্ধতিতে আগুন যখন ছোট থাকে তখন ভাড়ী কোন বস্তু বা কাপড় দিয়ে চাপা দিলে বা সিওটু  এবং ফোম টাইপ (ঋড়ধস ঞুঢ়ব) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (তেলের আগুনে) ব্যবহার করলে অক্সিজেন সরে যায় এবং আগুন নিভে যায়। শ্রেণীর আগুন ঃ ডি শ্রেনীর আগুন হচ্ছে বিশেষ ধরণের আগুন। এ আগুনের দাহ্য বস্ত হচ্ছে ধাতু। সাধারণ অগ্নি নির্বাপন মাধ্যম দ্বারা এ শ্রেনীর আগুন নির্বাপন সম্ভব না।

জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পদ্ধতি গুলো কি কি?

জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পদ্ধতি গুলো কি কি?

জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা

জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গুলো কি কি। আমরা সকলেই জানি পোষাক কারখানায় সাধারণত কাচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয় কাপড় এবং প্যাকিং এর জন্য কার্টুন, যাহা উচ্চ দাহ্য সম্পন্ন। এ কারনে আমাদের উচিত আগুনের ভয়াবহতা থেকে কারখানাকে রক্ষা করার জন্য সবসময় পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা। কারখানার কর্তৃপক্ষ আগুন থেকে কারখানাকে রক্ষা করার জন্য আইনে উল্লেখিত সংখ্যক অগ্নি নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক কর্মীকে প্রশিক্ষন প্রদান করেছে।নিরাপদ কর্মক্ষেত্র একটি অন্যতম মূখ্য বিষয়, যা রক্ষা করার জন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হয়। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য হচেছ কারখানার অভ্যন্তরে ও তার আশেপাশে সকল শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও সুস্থ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অগ্নিকান্ড প্রতিরোধসহ অন্যান্য জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এভাবে সাজিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ শ্রমিক / কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য খুবই আন্তরিক ও সচেতন। যাতে শ্রমিক / কর্মচারীরা নিরাপদে কাজ করতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষ যে কোন বিপদকালীন সময়ে কিছু জরুরী নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেন। এর মধ্যে জরুরী অগ্নি পরিকল্পনা রয়েছে। জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা সমুহ নিম্নোক্ত ভাবে গ্র্রহন করা হয়েছে। …

অগ্নি কালীন সময়ে ফায়ার সাইরেন বাজাতে হবে ঃ

আগুন লাগার সাথে সাথে / আগুন দেখার সাথে সাথে নিকটবর্তী “ফায়ার এলার্ম সুইচ”  টিপে ফায়ার এলার্ম বাজাতে হবে। তবে আগুন লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ফায়ার সাইরেন বা বেল বাজাতে হবে। যে প্রথমে আগুন দেখবেন সে ই নিকটস্থ ফায়ার এলার্ম সুইচ বাজাবেন।

সকল বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে ঃ

ফায়ার এ্যালার্ম সাইরেন শুনার সাথে সাথে নিরাপত্তা কর্মীগন উদ্ধারকাজ পরিচালনার পাশাপাশি নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস অফিস ও হাসপাতালে অগ্নি দুর্ঘটনা সংবাদ জানাবেন। “ ফায়ার এলার্ম ” বাজার / শোনার সাথে সাথে কারখানার বৈদ্যুতিক বিভাগের লোকজন বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে দিবে। বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করার জন্য মেইনটেন্যান্স টিমের যারা দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন কেবল তারাই বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করবেন।

পি এ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘোষনা ঃ

প্রতিটি ফ্লোরে ১০ জন কর্মীকে নিয়ে বিশেষ অগ্নি নির্বাপক দল গঠন করা হয়েছে, যাদের কাজ হলো আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দ্বারা অগ্নি নির্বাপন করা। অগ্নি নির্বাপক দলকে প্রশিক্ষনের সময় একটি ব্যাপারে সচেতন করা হয় যদি আগুন ছোট আকারে থাকে তবে অগ্নি নির্বাপন  করা সহজ এবং অগ্নি নির্বাপনের সময় নিশ্চিত হোন আপনি ফ্লোরে একা নন। ফায়ার সেইফটি টিম ফায়ার এলার্ম বাজার সাথে সাথে ফায়ার ডিটেকশন কন্ট্রোল প্যানেল মনিটর পর্যবেক্ষন করবেন। ফায়ার ডিটেকশন কন্ট্রোল প্যানেল মনিটরের স্ক্রিনে দেখানো  নটিফিকেশন অনুযায়ী আগুন লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত হবেন এবং আগুনের অবস্থান সম্পর্কে পি এ সিস্টেমের মাধ্যমের জরুরী ঘোষনা দিয়ে কারখানার সবাইকে অবহিত করবেন এবং যে বিল্ডিং বা সেকশনে আগুন লেগেছে সেই বিল্ডিং এর ফ্লোর ভিত্তিক সবাইকে নিরাপদে বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।

প্রাথমিকভাবে আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে হবে ঃ

কারখানার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রধান করে এবং প্রতিটি ফ্লোরের সার্টিফিকেটধারী অগ্নি নির্বাপক কর্মী দ্বারা একটি অগ্নি নিরাপত্তামূলক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুনের সুত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে বা আগুন ছোট হলে কারখানার নিজস্ব প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অগ্নি নির্বাপক দল কারখানায় সংরক্ষিত বিভিন্ন  অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (যেমন-ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার হোস পাইপ, ফায়ার বাকেট ইত্যাদি ) ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করবে। তবে অগ্নি নির্বাপক যন্্র ব্যবহারের সময় যথাযথ পি পি ই ব্যবহার করবে।

জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল এবং পুলিশ ফাঁড়ি বা থানা ফোন করতে হবে ঃ

জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার সার্বিক তত্ত্বাবধানে দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তারা টেলিফোন করে আঞ্চলিক এবং স্থানীয় দমকল বাহিনীকে আগুনের উৎস, স্থান, কারখানা ভবনের উচ্চতা ,কারখানার অবস্থান, কারখানায় পানির উৎস ও মজুদ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অবগত করবে এবং সাথে সাথে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্যৎ হবেন। আহত শ্রমিকদের অবস্থা গুরুতর হলে মেডিক্যাল বিভাগের সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ফোন করবেন এবং জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য রাখা গাড়ীটি আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে আনা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করবেন।  অগ্নি দূর্ঘটনার সময় জরুরী ভিত্তিতে কারখানার প্রশাসন কর্মকর্তা স্থানীয় থানা বা প্রশাসনকে এবং  শিল্প পুলিশকে টেলিফোন / মোবাইল  করে দূর্ঘটনার বিবরণ জানাবেন।

ফায়ার ফাইটারদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে ঃ

ফায়ার ফাইটাররা প্রতি সেকশনের দলনেতার নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার দ্বায়িত্ব সততা, সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার সংগে পালন করবে। আগুনের ধরন অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যেখানে যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রয়োজন সেখানে সে ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।

শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে ঃ

শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত  যারা অর্থাৎ প্রতি ফ্লোরের সেকশন অফিসার বা ইনচার্জদের দায়িত্ব হলো শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং শৃঙ্খলার সাথে বের হতে সাহায্য করা। কারখানার চলাচলের পথ পরিস্কার রাখা যাতে শ্রমিকরা সহজে বিপদ কালীন সময়ে নিরাপদ স্থানে যেতে পারে এবং কারাখানা অভ্যন্তরে  কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে হবে ঃ

উদ্ধারকারী দল ( জবংপঁব ঞবধস) সদস্য গন র্দূঘটনা এরানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জাম নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যায়ক্রমে শারীরিকভাবে দূর্বল ও অক্ষম শ্রমিকদের নিরাপদে বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করবেন। যদি কারখানায় আহত ও আটকে পরা শ্রমিক থাকে তাহলে তাদের দ্রত নিরাপদে উদ্ধারের ব্যবস্থা করবেন।

যে সেকশনে আগুন লেগেছে প্রথমে সেই সেকশন বা ফ্লোর অনুযায়ী শ্রমিকদের বের হতে সহায়তা করবেন।

অগ্নিকান্ডের সময় শ্রমিক / কর্মচারীদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিরা অর্থাৎ ফ্লোর উদ্ধারকারীর দ্বায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজ নিজ এরিয়ার মধ্যে প্রতিটি রুম / টয়লেট / এবং প্রতিটি স্থান  চেক করে দেখবে যে কোথাও কোন লোক আটকা পড়ে আছে কিনা।

প্রতিটি সিঁড়ির নিকটে ভিড় বা জটলা হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টআ করুন।

সিঁড়িতে কেউ আহত হলে বা পড়ে গেলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসকদের নিকট প্রেরন করুন।

উদ্ধার শেষে সবাই বের হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্টে সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো শ্রমিকদের গননা করুন।

ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ ও ফায়ার সেফটি অফিসার এর দ্বায়িত্ব কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ ও ফায়ার সেফটি অফিসার এর দ্বায়িত্ব কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ

ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ ও ফায়ার সেফটি অফিসার এর দ্বায়িত্ব। স্থানীয় এবং আর্ন্তজাতকি অগ্নি নিরাপত্তা আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মস্থলে অগ্নি প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের মাধমে শ্রমিক কর্মচারীগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পরিধি ফ্যক্টোরীর সাফল্য বজায় রাখতে সঠিক সময়ে উৎপাদনের বিকল্প নাই। আর এই সঠিক সময়ে উৎপাদনের জন্য চাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ হিসাবে তার প্রধানতম দায়িত্বই হল কারখানার প্রয়োজনে সর্বদা বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করা। আর যথাযথভাবে এই বিধান পালন করতে নি¤œলিখিত দায়িত্বগুলি তাকে সঠিকভাবে পালন করতে হয়। …

  • গ্রুপভূক্ত সকল কারখানা এবং কারখানার কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারী/ কর্মকর্তা সকল পরিদর্শক, সরবরাহকারীসহ সকল আগন্তুকের জন্য অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই নীতিমালার অন্তর্ভূক্ত হবে।তার অধিনস্ত সকল কর্মচারীদের সম্মিলিত কর্ম প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন করন, দক্ষ ও শক্তিশালী কর্মশক্তিতে পরিনত করা।
  • অত্র নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, সংশ্লষ্টি বিিধমালা, বাংলাদেশ ফয়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এ্যাক্ট এবং অগ্নি নিরাপত্তা সর্ম্পকতি আর্ন্তজাতকি আইন এবং ব্যাবিলন গ্রুপরে সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের বিবেচনাপূর্বক গৃহীত হয়েছে।অধিনস্তদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভাগ করে দেওয়া, বুঝিয়ে দেওয়া এবং তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ কার্য্যক্ষমতা আদায় করে নেওয়া।
  • কারখানার প্রত্যেকটি পয়েন্টে ও মেশিনে নিরাপদভবে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চিয়তা প্রদান করা।
  • নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • বিদ্যুৎ চালিত যে কোন যন্ত্রের বা যন্ত্রাংশের রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামত কাজের তদারকি করা।
  • বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন ও জেনারেটরের রক্ষনাবেক্ষন, মেরামত ও পরিচালন ব্যবস্থার খোঁজ খবর নেয়া।
  • সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ ফেল করা মাত্র নিজস্ব জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জেনারেটর অপারেটরকে সাহায্য করা।
  • বৈদ্যুতিক মালামালের চাহিদাপত্র যাচাই করা ও নিয়ন্ত্রন করা।
  • লিফ্টের নিরাপদ পরিচালন, রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামত কাজের তদারকি সহ সর্বদা লিফট চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • সর্বোপরি নিজের সেকশন পরিচালনার জন্য অধিনস্থদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন, ডিউটির সময় নিয়ন্ত্রন তথা যাবতীয় বিষয়াদি সঠিক ভাবে, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলা করা।

চেক লিস্

  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • জেনারেটর থিউক আসে কি না
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • ওয়াটার হোজ রলি বাঁধা মুক্ত আছে কনিা?
  • প্রবশে এবং বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ,এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কি না?
  • ইমারজন্সেি লাইট/ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • সকল ফায়ার এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের আছে কনিা এবং সঠকি ভাবে আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ,এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কি না?
  • ওয়াটার হোজ রলি বাঁধা মুক্ত আছে কনিা?
  • ইমারজন্সেি লাইট/ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল আছে কনিা?
  • কোথাও কোন মশেনি,ফ্যান বা ড.িবি থকেে লুজ ওয়্যার ঝুলে আছে কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • সকল ফায়ার এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের আছে কনিা এবং সঠকি ভাবে আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • ইমারজন্সেি লাইট/ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • ওয়াটার হোজ রলি বাঁধা মুক্ত আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ,এক্সটংি গুইসার, ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কি না?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • ইমারজন্সেি লাইট/ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ,এক্সটংি গুইসার, ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কি না?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • কোথাও কোন মশেনি,ফ্যান বা ড.িবি থকেে লুজ ওয়্যার ঝুলে আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ, এক্সটংি গুইসার, ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • সকল ফায়ার এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের আছে কনিা এবং সঠকি ভাবে আছে কনিা?
  • নতুন আইলস র্মাক দতিে হবে কনিা?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • ইমারজন্সেি লাইট/ফ্যাক্টরী ইমারজন্সেি লাইট ও এক্সটি লাইট বক্স সচল কনিা?
  • সকল ফায়ার এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের আছে কনিা এবং সঠকি ভাবে আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ, এক্সটংি গুইসার, ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কনিা?
  • হাউজ কপিংি ঠকি আছে কনিা?
  • সকল ফায়ার এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের আছে কনিা এবং সঠকি ভাবে আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ, এক্সটংি গুইসার, ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কনিা?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?
  • আইলস র্মাক ফ্রি আছে কনিা?
  • ফায়ার অ্যার্লাম সুইচ,এক্সটংি গুইসার ও স্মোক ডটিক্টের বাঁধা মুক্ত কি না?
  • বহর্গিমন ও জরুরী বহর্গিমন পথ খোলা ও বাঁধামুক্ত আছে কনিা?

ক্টরীতে যোগদানকৃত নতুন শ্রমিক, কর্মচারী/কর্মকর্তাগণ কে ইন্ডাকশন ট্রেনিং এর মাধ্যমে অগ্নি নিরাপত্তা পদ্ধতি ও নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে নিয়মিত শ্রমিক, কর্মচারী/কর্মকর্তাগণকে পিরিয়ডিক্যাল অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং/রিফ্রেশার ট্রেনিং এর মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও নোটিশ বোর্ড, পোস্টারিং, পিএ সিস্টেম, মেইল কমিউনিকেশন, স্বাস্থ ও নিরাপত্তা কমিটির মিটিং অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বাস্তবায়ন করা হয়।

দাহ্যবস্তুর শ্রেণী বিন্যাস এর বর্ণনা। আগুনের বিস্তার প্রক্রিয়া কি

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাথে জরুরী অগ্নি নিরাপত্তা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাথে জরুরী অগ্নি নিরাপত্তা. অগ্নি র্দূঘটনার সময় অগ্নি নর্বিাপক সরঞ্জানাদরি ব্যবহার করে প্রাথমকি অবস্থাতইে আগুন নভোনোর কাজে ফ্যাক্টরী থকেে বরে হতে সাহায্য করা, উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমকি চকিৎিসা র্কাযক্রম অগ্নি নর্বিাপক দলরে কাজ। ফায়ার এলার্ম ” বাজার / শোনার সাথে সাথে কারখানার বৈদ্যুতিক বিভাগের লোকজন বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে দিবে। বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করার জন্য মেইনটেন্যান্স টিমের যারা দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন কেবল তারাই বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করবেন।কর্তৃপক্ষ শ্রমিক / কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য খুবই আন্তরিক ও সচেতন। যাতে শ্রমিক / কর্মচারীরা নিরাপদে কাজ করতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষ যে কোন বিপদকালীন সময়ে কিছু জরুরী নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাথে জরূরী অগ্নি নিরাপত্তা পূর্ব পরিকল্পনা অন্যতম। জরূরী অগ্নি নিরাপত্তা পূর্ব পরিকল্পনা  সমুহ নিম্নোক্ত ভাবে গ্রহন করা হয়েছে।   …

অগ্নি কালীন সময়ে ফায়ার সাইরেন বাজাবে ঃ

আগুন লাগার সাইরনে/ফায়ার এর্লাম শোনা মাত্র নজিরে গাড়ী মইেন গটেরে বাইরে নয়িে যতেে হব।ে রাস্তার উপরে গাড়ী দাড় করে রাখা যাবনো। ফায়ার র্সাভসিরে চলাচলরে জন্য রাস্তা ফাকা রাখতে হব গাড়ী র্পাকংিয়রে সময় খয়োল রাখতে হবে যনে গাড়ীর সম্মুখরে অংশ বাহরি মুখী থাক।ে আগুন লাগার সাথে সাথে / আগুন দেখার সাথে সাথে নিকটবর্তী “ফায়ার এলার্ম সুইচ”  টিপে ফায়ার এলার্ম বাজাতে হবে। তবে আগুন লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ফায়ার সাইরেন বা বেল বাজাতে হবে। যে প্রথমে আগুন দেখবেন সে ই নিকটস্থ ফায়ার এলার্ম সুইচ বাজাবেন।

পি এ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘোষনা ঃ

অকজেো গাড়ী এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে অগ্নী র্দুঘটনায় কোন প্রতবিন্ধকতার সৃষ্ট না কর।ে ফায়ার ফাইটংি অফসিার – ফায়ার সেইফটি টিম ফায়ার এলার্ম বাজার সাথে সাথে ফায়ার ডিটেকশন কন্ট্রোল প্যানেল মনিটর পর্যবেক্ষন করবেন। ফায়ার ডিটেকশন কন্ট্রোল প্যানেল মনিটরের স্ক্রিনে দেখানো  নটিফিকেশন অনুযায়ী আগুন লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত হবেন এবং আগুনের অবস্থান সম্পর্কে পি এ সিস্টেমের মাধ্যমের জরুরী ঘোষনা দিয়ে কারখানার সবাইকে অবহিত করবেন এবং যে বিল্ডিং বা সেকশনে আগুন লেগেছে সেই বিল্ডিং এর ফ্লোর ভিত্তিক সবাইকে নিরাপদে বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।

ফায়ার ফাইটারদের করনীয় ঃ

উপরে র্বণতি সকল টমিরে পরচিালনার কাজে নয়িোজতি থাকবনে এবং প্রয়োজনে র্উধতন র্কতৃপক্ষরে সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবনে। ফায়ার ফাইটাররা প্রতি সেকশনের দলনেতার নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার দ্বায়িত্ব সততা, সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার সংগে পালন করবে। আগুনের ধরন অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যেখানে যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রয়োজন সেখানে সে ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।

উদ্ধারকারী দলের করনীয় ঃ

দায়িত্ব-সংগঠনে বর্নিত কার্যধারাক্রম এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ অগ্নি নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবেন। অগ্নি র্দুঘটনায় করনীয়উদ্ধারকারী দল ( জবংপঁব ঞবধস) সদস্য গন র্দূঘটনা এরানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জাম নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যায়ক্রমে শারীরিকভাবে দূর্বল ও অক্ষম শ্রমিকদের নিরাপদে বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করবেন। যদি কারখানায় আহত ও আটকে পরা শ্রমিক থাকে তাহলে তাদের দ্রত নিরাপদে উদ্ধারের ব্যবস্থা করবেন।

যে সেকশনে আগুন লেগেছে প্রথমে সেই সেকশন বা ফ্লোর অনুযায়ী শ্রমিকদের বের হতে সহায়তা করবেন।

অগ্নিকান্ডের সময় শ্রমিক / কর্মচারীদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিরা অর্থাৎ ফ্লোর উদ্ধারকারীর দ্বায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজ নিজ এরিয়ার মধ্যে প্রতিটি রুম / টয়লেট / এবং প্রতিটি স্থান  চেক করে দেখবে যে কোথাও কোন লোক আটকা পড়ে আছে কিনা।

প্রতিটি সিঁড়ির নিকটে ভিড় বা জটলা হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টআ করুন।

সিঁড়িতে কেউ আহত হলে বা পড়ে গেলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসকদের নিকট প্রেরন করুন।

উদ্ধার শেষে সবাই বের হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফায়ার এসেম্বলী পয়েন্টে সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো শ্রমিকদের গননা করুন।

প্রাথমিক চিকিৎসকদের করনীয় ঃ

অগ্নি প্রতিরোধ: প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। কর্মস্থলে অগ্নি দুর্ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেই লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন অগ্নি প্রতিরোধের প্রধান শর্ত। অগ্নি কান্ডের সময় বা ফ্লোর থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিতে যদি কোন শ্রমিক / কর্মচারী আহত হয় তাহলে তাকে কারখানার প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল প্রাথমিক চিকিৎসা দান করবেন। উদ্ধারকারী দল আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দলের নিকট হস্তান্তর করবেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল প্রয়োজনমত চিকিৎসা দিবেন।

শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখা ঃ

প্রতেিরাধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের পরেও কর্ম ক্ষেত্রে কোন ধরনের অগ্নি র্দুঘটনা ঘটলে সর্বাতœক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থাতেই অগ্নি নিবার্পন কওে জানমালের যথাসম্ভব নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রতিকারের উদ্দেশ্য। শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত  যারা অর্থাৎ প্রতি ফ্লোরের সেকশন অফিসার বা ইনচার্জদের দায়িত্ব হলো শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং শৃঙ্খলার সাথে বের হতে সাহায্য করা। কারখানার চলাচলের পথ পরিস্কার রাখা যাতে শ্রমিকরা সহজে বিপদ কালীন সময়ে নিরাপদ স্থানে যেতে পারে এবং কারাখানা অভ্যন্তরে  কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সাথে কারখানার ফায়ার ফাইটার, উদ্ধার কর্মী ও প্রাথমিক চিকিৎসকদের যৌথ দল গঠন ঃ

র্কাযসূচি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রয়িা । পলসিি ঘোষণার সাথে সাথে র্কাযসূচী বাস্তবায়নরে কাজ শুরু হব।ে সময় সময় ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা দূর্ঘটনা স্থলে পৌছালে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের কারখানা অভ্যন্তরে প্রবেশে সাহায্য করবে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ কারখানার প্রধান গেইটে অবস্থিত ফায়ার ব্রিগেড কানেকশন  এবং কারখানার বিভিন্ন পয়েন্ট রক্ষিত ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করবে। সাথে সাথে ফায়ার ফাইটার, উদ্ধার কর্মী ও প্রাথমিক চিকিৎসকরা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ নিজ দ্বায়ীত্ব পালন করবে।

নিরাপত্ত্বা কর্ডন ঃ

নম্নিরূপ র্কম প্রক্রয়িা অবলম্বনে র্কমসুচী বাস্তবায়ন করা হবে  জরুরী পরিস্থিতে কারখানার নিরাপত্ত্বা বিভাগকে সচেতন হতে হবে। আগুন লাগলে নিরাপত্ত্বা বিভাগ নিরাপত্ত্বা বেষ্টনী তৈরী করবে যাতে বাহিরের কেউ কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর গাড়ী কারখানায় প্রবেশে সহায়তা করবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাথে জরূরী অগ্নি নিরাপত্তা পূর্ব পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে

ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ? ফাস্ট এইড টমিরে দায়ত্বি

ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ? ফাস্ট এইড টমিরে দায়ত্বি

ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন

ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন- এর কাজ হল ফেক্টরিতে অগ্নি কা- হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা। ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন মূলত ডিজেলে চলে, এখানে ২টি ট্যাং্িক রয়েছে যার ক্যাপাসিটি ১২০গ্যালোন মানে ৫৪৬ লিটার। ট্যাংকিতে রিটিং স্কেল আছে যা ডিজেল কোয়ান্টিটি পরিমাপ করে, একটি সিলভার রং এর পাইপ ক্যাপ আছে যা ট্যাংকি এর ভিতরে জমে থাকা গ্যাস বাহিরে বের করে দেয়।  হাইড্রেন্ট পয়েন্ট প্রেসার ভাল্ব মিটারে যখন পানির  প্রেসার ল মানে ৯০পি ইস আই এর নীচে নেমে যায় তখন প্রেসার পূর্বের অবস্থাই নিয়ে যেতে প্রথমে জকি পাম্প চালু হয়,এই জকি পাম্পের কাজই হল পানির প্রবাহ পথ পরিপূর্ণ রাখা।যখন এই জকি পাম্প প্রেসার কন্টোল করতে পারে না তখন, যখন পানির প্রেসার ৭০পিএস আই এর নীচে নেমে আসে তখন প্রথম ফায়ার ইঞ্জিন চালু হবে, পানির প্রেসার যখন ৬০পিএস আই এর নীচে নেমে আসে তখন সেকেন্ড  ফায়ার পাম্প ইঞ্জিন চালু হবে।  ফায়ার পাম্প এর প্রেসার ক্যাপাসিটি ১০.৫ ব্ার ম্যাক্সিম্াম, ৮.৫ব্ার মিনিম্াম,সর্বনি¤œ ৪.৫ ব্ার সর্বনি¤œ। …

ফায়ার ফাইটংি দলরে দায়ত্বি ও র্কতব্যঃ

  • আহত ব্যক্তি যাতে অবহলোয় বা বনিা চকিৎিসায় কষ্ট না পায় সদেকিে লক্ষ্য রাখা। আগুন লাগার সাইরনে/ফায়ার এর্লাম শোনা মাত্র দলনতো সবার দৃষ্টি আর্কষণ করব।ে
  • ইভাকুয়শেন প্লান অনুযায়ী ১ থকেে ২ মনিটিরে মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নরিাপদে নমেে যতেে সাহায্য করব।ে
  • বপিদ সংকতে বা ঘণ্টা বাজয়িে সবাইকে সর্তক করা। বাথরুমে কউে আটকা পড়লো কনিা তা চকে করার জন্য পুরুষ বাথরুমে পুরুষ মহলিা বাথরুমে মহলিা দ্বারা চকে করব।ে
  • অগ্নি নর্বিাপনরে জন্য প্রয়ােজনীয় বাবস্থা গ্রহন করা। কোন আহত বা অসুস্থ্য থাকলে তাকে নরিাপদে বরে হতে সাহায্য করব।ে
  • কউে আতংক গ্রস্থ হয়ে দ্রুত জানালা বা অন্য কোন ঊপায়ে বরে হতে চষ্টো করলে তাকে প্রতহিত করব,ে এবং নরিাপদে সড়িি দয়িে নামতে সাহায্য করব।ে
  • যখোনে আগুন লগেছেে তার চারপাশ থকেে জনিশি পত্র অ মশেনি সরয়িে যথাসম্ভব পরষ্কিার রাখব।

ফাস্ট এইড টমিরে দায়ত্বি ও র্কতব্যঃ

  • র্দুঘটনা স্থলে আহত ব্যক্তদিরে প্রাথমকি চকিৎিসা প্রদান করা। আগুন লাগার সাইরনে/ফায়ার এর্লাম শোনা মাত্র ফাস্ট এইড বক্সরে কাছে অবস্থান নবি।ে
  • অগ্নি উৎস স্থানরে সকল ধাহ্য বস্তু সরয়িে ফলো। আহত বা অসুস্থ্য রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমকি চকিৎিসা প্রদান করব।ে
  • প্রাথমকি চকিৎিসায় আরোগ্য সম্ভব না হলে উদ্ধারকারী দলরে সদস্যদরে সাহায্যে মডেকিলে সন্টোরে প্ররেণ করব।ে
  • র্কডন র্পাটরি দায়ত্বি ও র্কতব্যঃ
  • আহত ব্যক্তদিরে উদ্ধার করা এবং প্রয়ােজনে আগুন লাগঅলে বা কোন র্দূঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটলে দ্রুত ফ্যাক্টরীর মূল গটেখুলে দতিে হব।ে
  • মুর্মূষ ব্যক্তদিরে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। ফ্যাক্টরতিে র্পাকংি করা গাড়ি থাকলে তা দ্রুত সরয়িে ফলোর জন্য সাহায্য করব।ে
  • অ্যাম্বুলন্সেরে মাধ্যমে হাসপাতালে প্ররেন করা। ফ্যাক্টররি ভতিরে যনে বাহরিরে লোক এবং গাড়ী প্রবশে করতে না পারে তা নশ্চিতি করব।ে
  • দ্রুত ফ্লোর খালি করা।
  •  বহর্গিমনরে পথ বাঁধা মুক্ত রাখা। নকিটতম বহর্গিমনরে পথ দখেয়িে দয়ো।
জরুরী অগ্নি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পদ্ধতি গুলো কি কি?

আগুন নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ নিয়ে সর্ব শ্রেষ্ঠ ১০০ টি লেখা।

আগুন নিরাপত্তা নিয়ে শ্রেষ্ঠ ১০০ টি লেখা

বিদ্যুৎ নিরাপত্তা নিয়ে শ্রেষ্ঠ লেখা

সক্তি নিরাপত্তা নিয়ে শ্রেষ্ঠ লেখা