Select Page
১০০ টি সর্ব শ্রেষ্ঠ রাসায়নিক আর্টিকেল /লেখার লিস্ট -১

১০০ টি সর্ব শ্রেষ্ঠ রাসায়নিক আর্টিকেল /লেখার লিস্ট -১

১০০ রাসায়নিক আর্টিকেল নিয়ে লেখার লিস্ট -১

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নীতিমালা। দূর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কি?

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নীতিমালা। দূর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কি?

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নীতিমালা

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নীতিমালা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

উদ্দেশ্য ঃ- শ্রমিকের স্বাস্থ্য রক্ষা, দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলা এবং রাসায়নিক দ্রব্যের সঠিক ব্যবহার সহ সর্বোচ্চ লক্ষমাত্রা অর্জন করা। আইনের দ্বাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত দূর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা পাইবার ও ক্ষতিপূরন আদায়ের বিষয়ে সমাধানের জন্য মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিতে পারিবেন। …

পরিধি ঃ-কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসহ সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সেফটি কমিটি নিরাপওা ঝূঁকি সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করিবে।

সকল ওয়াশ, ডাইং, প্রিন্টিং সেকশন এবং ক্যামিকেল ষ্টোরে ইহার ব্যবহার করা হয়।

সরবরাহ ঃ-প্রশিক্ষণে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ, কর্মকর্তা ও শ্রমিকের অংশগ্রহন নিশ্চিত করিতে মালিক পক্ষ প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। যে সকল উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত/সরবরাহকৃত ক্যামিকেল সমূহের সাথে নির্দিষ্ট দিতে পারে, আমাদের কোম্পানী সেই সকল উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে গুনগত মানের ক্যামিকেল ক্রয় করিতে আগ্রহী।

সংরক্ষণ ঃ- সব প্রশিক্ষণ ও রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হইবে এবং অফিসের কর্মসময়ের মধ্যে আয়োজন করিতে হইবে। উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত/সরবরাহকৃত ক্যামিকেল সংরক্ষণের নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট স্থানে ঠান্ডা জায়গায় ক্রয়কৃত ক্যামিকেল সমূহ সংরক্ষণ করা এবং যাহা একজন অভিজ্ঞ কর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশিক্ষণ ঃ- যে সকল সেকশনে (ওয়াশ, ড্রাইং, প্রিন্টিং এবং ক্যামিকেল স্টোর ইত্যাদি) ক্যামিকেলর ব্যবহার করা হয় সেই সকল সেকশনের প্রত্যেক কর্মীকে এর সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাহার মাধ্যমে কর্মীরা ক্যামিকেলের কার্যকারীতা, গুণাগুন, সতর্কতা ও ব্যবহার বিধি সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে পারে।

ব্যবহার ঃ- সেফটি কমিটি দেশের সেফটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত দ্রুততম সময়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে ফোন, ই-মেইল, ফ্যাক্স, বিস্তারিত ঠিকানা সম্বলিত তথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণ করিবে।ক্যামিকেলের এর নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তা ঃ- কোম্পানীতে ব্যবহৃত প্রতিটি ক্যামিকেল অতি নিরাপত্তার সাথে সংরক্ষণের, সরবরাহ ও ব্যবহার করা হয়, যাহাতে কোন প্রকার অপচয় না হয় এবং স্বাস্থ্যের কোন প্রকার ক্ষতি না হয় সেদিক লক্ষ্য রাখা হয়।

বাস্তবায়ন ঃ- পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপওা, বিল্ডিং কোড, বিদ্যুৎ, অগ্নিনির্বাপণ, পরিবেশ আইনসহ, সেফটি সংশ্লিষ্ট বতীয় আইন-কানুন ও বিধি-বিধান হালনাগাদ অবস্থায় সংরক্ষণ করিবে। এইচ, আর বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিভাগের সদস্যগন প্রডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয়, প্রশিক্ষণ প্রদান, ব্যবস্থা গ্রহন ও তদারকির মাধ্যমে এই নীতিমালার বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে থাকে।

মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রন ঃ- এইচ, আর বিভাগের সদস্যগন এই নীতিমালার মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন ও নিয়ন্ত্রনের জন্য কাজ করে থাকেন।

দূর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা:

  • সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ার সদস্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা।
  • ব্যক্তি পর্যায়ের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা ।
  • ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা।
  • দায়িত্ব বন্টন ।
  • উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরুপন ।
  • বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা ।
  • সংঘটিত দূর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয় ।
  • দায়-দায়িত্ব নিরুপন ।
  • পূনঃদূর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা এবং
  • র্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপুরন প্রদান।

বিপজ্জনক চালনা, পেশাগত ব্যধি ও বিষক্রিয়াজনিত অসুস্থতার ব্যবস্থাপনা

  • প্রতিষ্ঠানে বিধি ৬৮ এর অধীন তালিকাভুক্ত বিপজ্জনক চালনাযুক্ত পেশাসমূহ নির্ধারণ।
  • প্রতিষ্ঠানে ব্যবহুত তফসিলভুক্ত ও তালিকাভুক্ত রাসায়নিক পদার্থের তালিকা প্রণয়ন
  • বিপজ্জনক পেশা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার বাধ্যবাধ্যকতা নিশ্চিতকরন।
  • সংশিষ্টø পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে চিকিৎসকদের সহিত মতবিনিময়।
  • সংশ্লিষ্ট পেশাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরন ব্যবস্থাপনার ল্যায়ন এবং
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নির্দেশনা প্রদান।

রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার নীতিমালা

রাসায়নিক দ্রব্য আমাদের জীবনমানকে উন্নত করেছে ঠিকই তবে এর অপব্যবহারে  বা অসাবধানতার সাথে ব্যবহারের কারনে আমাদের জীবনের ওপর মারাত্বক ক্ষতি বা মৃত্যু উভয়ই হতে পারে। ওয়াশিং প্লান্টে গার্মেন্টসকে বিভিন্ন প্রকারের ধোয়ার জন্য নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেগুলোর বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।

  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে যে সকল ক্ষতি হতে পারে ঃ রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যবহারে অগ্নিকান্ড, বিষ্ফোরন, পরিবেশ বিষয়ক ইত্যাদির মত ব্যাপক ঘটনা সংঘটিত হতে পারে যার প্রেক্ষিতে প্রধানত ব্যক্তি ও বস্তুর ক্ষতি সাধিত হয়। ওয়াশিং প্লান্টে ব্যবহৃত  রাসায়নিক দ্রব্যের মাধ্যমে  নিুলিখিত ক্ষতির কারণ হতে পারে ঃ
  • নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক রাসায়নিক দ্রব্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে যার প্রেক্ষিতে শরীরের অভ্যন্তরে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
  • খাদ্য বা পানীয়র সাথে মিশে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
  • সংবেদনশীল স্থান যেমন চোখ, মুখ, নাক ইত্যাদির সংস্পর্শে এসে মারাত্বক জখম, যন্ত্রনা, সৃষ্টি, এমনকি চিরতরে পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ওয়াশিং প্লান্টে ব্যবহৃত কেমিক্যালের অধিকাংশ অম্ল অথবা ক্ষার জাতীয় দ্রব্য হওয়ায় মানব শরীরের ত্বকে ফুসকুরি ওঠা অথবা পুড়ে যাওয়া সহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে।
  • ব্যবহারে পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন না করলে মারাত্বক দূর্ঘটনার মাধ্যমে বাষ্প / গ্যাস ইত্যাদি সৃষ্টি হয়ে শ্বাস- প্রশ্বাসে বিঘœ ঘটিয়ে মৃত্যুর কারন হতে পারে।
  • নিরাপদ গুদামজাত ঃ রাসায়নিক দ্রব্য গুদামজাত করনের ক্ষেত্রে নিুোক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ঃ
  • অনুপযোগী বস্তু একত্রে গুদামজাত করা যাবে না।
  • অনুপযোগী রসায়নশালা প্রক্রিয়া এড়িয়ে চলা।
  • অবশ্যই কেমিক্যালের কন্টেনার ফুটা, মরিচা এবং ক্ষতিযুক্ত হবে না। ইহা অবশ্যই সচল হবে।
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে যাহা ঝুকির কারন নির্মূল করতে পারে।
  • ঠান্ডা এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসযুক্ত জায়গায় রাসায়ন বস্তু রাখতে হবে।
  • পানীয় পানির উৎস, প্লান্ট এবং বসবাসের জায়গা হতে রসায়নশালা পৃথক রাখতে হবে।
  • অগ্নি নিবারন গাড়ী প্রবেশের পথে থাকতে হবে।
  • দৈব দূর্ঘটনা থেকে বৈদ্যুতিক সার্কিট, সুইচ বক্স এবং ফিকচার রক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • অগ্নি শিখা, ঝালাই, ধোঁয়া এবং তাপ বিকিরন নিষিদ্ধ করা উচিত।
  • শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজকর্ম গুদামে ও প্লান্টে করা উচিৎ।
কেমিক্যাল ঝুঁকি প্রতিরোধের করনীয় ও ঝুঁকির কারন

কেমিক্যাল ঝুঁকি প্রতিরোধের করনীয় ও ঝুঁকির কারন

কেমিক্যাল ঝুঁকি প্রতিরোধের করনীয়

ডিজেল ব্যবহার ও সংরক্ষনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা
নিয়মিত বৈদ্যুতিক ডিভাইজ গুলি ক্রটিমুক্ত আছে কিনা পরীক্ষা
করা ।
জেনারেটর কক্ষে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা ।
জেনারেটর কক্ষকে অবস্যই চিহ্নিত করে দেয়া।
জেনারেটর কক্ষে বিপদ জনক নোটিশ লাগানো ।
জেনারেটর কক্ষে কর্মরত কর্মীদের সর্বদা ইয়ার প্লাগ/ ইয়ার মাফ
ব্যবহার নিশ্চিত করা ।
কেমিক্যাল দ্বারা যাবতীয় কাজ করার সময় হাত মোজা, এপ্রোন, মুখোশ, চশমা ইত্যাদি আতœরক্ষামুলক সরআমাদি সার্বক্ষনিক ব্যবহার করা ।
সর্বদা (গঝউঝ) দেখে কাজ করা।
ঝুকিগুলো সম্পর্কে সতর্কমুলক পোষ্টার লাগানো।
কাজ করার পূর্বে বৈদ্যুতিক ডিভাইজ গুলি ভাল ভাবে পরীক্ষা করা।
সর্বদা রাবার ম্যাটের উপর দাড়িয়ে কাজ করা।
আয়রন সেকশনে কর্মরত সকল কর্মীদের নির্দেশাবলী অনুসরন করা।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।

কেমিক্যাল ঝুঁকি প্রতিরোধের করনীয় বিসয় সমূহ যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে

বিপদ/ক্ষতির সম্ভাবনা

শ্রবন শক্তি হ্্রাস
অগ্নি কান্ডের সম্ভাবনা
বিস্ফোরনের সম্ভাবনা
অগ্নি দ্বগ্ধ ও প্রানহানী ঘটতে পারে ।
মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
চর্ম রোগ
মস্তিকে সমস্যা
শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা
ফুসফুসে ক্যান্সার
দৃষ্টিজনিত সমস্যা
পাকস্থলির সমস্যা

ত্বক পুরে যেতে পারে।
বৈদ্যুতিক শর্ট লাগতে পারে।

ঝুঁকির কারন

ডিজেল ,
বৈদ্যুতিক
গোলযোগ এবং
শর্ট সার্কিট

কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে

আয়রন ও স্টীম

জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখছে। বিশ্বায়নের যুগে মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য একদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে অন্য দিকে শিল্প কারখানায়  বিভিন্ন প্রকার মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে ইকো-সিস্টেমকে করে তুলছে বিপন্ন। রাাসায়সিক পদার্থের নিয়ন্ত্রনহীন ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে নানা প্রকার জটিল রোগব্যাধি যেমন- ত্বকের নানারকম রোগ, হাত পা ফোলা, চোখ ও ত্বকে প্রদাহ, লাঞ্চ ক্যান্সার, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, এলার্জি বা চুলকানি ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জলাশয় (নদীনালা , খালবিল) এর বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ- প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে । তাই এই নীতিমালা ও পদ্ধতির মৌলিক ও মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্ঠানের জন্য রাসায়ানিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ, এবং অপসারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও দায়িত্ব ও কর্তব্য বিস্তারিত বর্ণনা ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া যাতে সুরক্ষিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

ঝুঁকিপুর্ন এলাকা

জেনারেটর কক্ষ

কেমিক্যাল কক্ষ

আয়রন সেকশন

নিরাপদ রাসায়নিক তথ্য তালিকা গুলো কি কি?

নিরাপদ রাসায়নিক তথ্য তালিকা গুলো কি কি?

নিরাপদ রাসায়নিক তথ্য তালিকা

০১. সনাক্তকরণ প্রকৃতি/প্রস্তুতি এবং কোম্পানী / উদ্যোগ নেওয়া
পণ্যের বানিজ্যিক নাম জেনেকর বিএফ ১৬০০ এল
রাসায়নিক নাম ক্যালিওল্যাসি এনজাইম
সমার্থক নাম প্রযোজ্য নয়
অনুগত পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়
নিরাপদ রাসায়নিক তথ্য উপদানের প্রস্তুতি এই পণ্য তরল এনজাইমে প্রস্তুতকৃত
প্রস্তুতকৃত উপাদানের ব্যবহার টেক্সটাইল কোম্পানীতে ব্যবহৃত
কোম্পানীর পরিচিতি জেনেকর ইন্টারন্যাশনাল বি.ভি
আরচিমেডসুইগ ৩০
২৩৩৩ সিএন লাইডেন, দি নেদারল্যান্ডস
টেলি + ৩১ ৭১ ৫ ৬৮ ৬১ ৬৮, ফ্যাক্স + ৩১ ৭১ ৫৬৮ ৬১ ৬৯
জরুরী টেলিফোন + ৩২ ৫০ ৪৪ ৯১ ৭৩

০২. উপাদানের গঠন/তথ্য
রাসায়নিক নাম সিএএস নং ইআ্ইএনইসিএস নং আইইউবি নং শ্রেণীকরণ আর-বৈশিষ্ট্য %
ক্যালিওল্যাসি ৯০১২-৫৪-৮ ২৩২৭৩৪৪ ৩.২.১.৪ এক্স ৪২ ৯-১৪

০৩. ঝুঁকিপূর্ণ সনাক্তকরণ
ঝুঁকির বৈশিষ্ট্য : আর ৪২ : শ্বাস-প্রশ্বাস আক্রান্ত হলে সংবেদনশীলতার কারণ

গঠণগত/রাসায়নিক ঝুঁকি : এই বিবরণী কোন গঠণগত রাসায়নিক ঝুঁকি বর্ণনা করে না।

পরিবেশগত ঝুঁকি : এই বিবরণী কোন গঠণগত পরিবেশগত ঝুঁকি বর্ণনা করে না।

মানবদেহে ঝুঁকি : ত্বকে জ্বালাপোড়ন হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস আক্রান্ত হলে সংবেদনশীল।

০৪. প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
শ্বাস গ্রহণ
পরিণতি শ্বাস আক্রান্ত হলে এলার্জি হতে পারে এবং নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
উপসর্গ শ্বাস কষ্ট হতে পারে, ঘন ঘন শ্বাস গ্রহণ।
প্রাথমিক চিকিৎসা আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত খোলা বাতাসে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

১/৫

ত্বক স্পর্শ
পরিণতি জ্বালাপোড়া হতে পারে
উপসর্গ লাল হয়ে যাওয়া
প্রাথমিক চিকিৎসা আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত খোলা বাতাসে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ স্পর্শ
পরিণতি জ্বালাপোড়া হতে পারে
উপসর্গ লাল হয়ে যাওয়া
প্রাথমিক চিকিৎসা দ্রুত পর্যাপ্ত পানি দিয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট আলতোভাবে ধুতে হবে। চিকিৎসা নিতে হবে।
গিলে ফেললে
পরিণতি জ্বালাপোড়া হতে পারে
উপসর্গ উপসর্গ জানা নেই
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

০৫. অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা নিরাপদ রাসায়নিক তথ্য
উপযুক্ত নির্বাপন মাধ্যম : পানি, ফেনা
উপযুক্ত নয় : জানা নেই

উপাদানের উত্তাপীয় মিশ্রণ:
সুরক্ষা যন্ত্রাশং : স্বয়ংক্রিয় শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রপাতি
নির্দিষ্ট ঝুঁকি : শ্বাস-প্রশ্বাস আক্রান্ত হলে সংবেদনশীল। উপাদানের স্পর্শ এড়াতে হবে।

০৬. আকস্মিক দূর্ঘটনা ব্যবস্থা
ব্যক্তিগত পূর্ব সতর্কতা আটসাঁট ভাবে বন্ধ করে রেখে সতকর্তার সহিত ব্যবহার করতে হবে। উপযুক্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সকল প্রকার তরল পদার্থের স্পর্শ এড়াতে হবে।

পরিবেশগত পূর্ব সতর্কতা প্রতিরোধক উপাদানগুলো ড্রেনের মাধ্যমে ভূ-গর্ভে পৌঁছায়। মাটির তলদেশে এবং পানিতে বর্জ্য ফেলা গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিস্কারের পদ্ধতি স্থানীয় আইন এবং জাতীয় আইন অনুযায়ী পরিস্কার করতে হবে।

০৭. ব্যবহার এবং সংরক্ষণ
ব্যবহার পাকস্থলী, শ্বাস, ত্বক ও চোখ থেকে দূরে রাখতে হবে। এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংরক্ষণ ঠান্ডা, শুস্ক এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের সুবিধাজনক স্থানে রাখতে হবে।

২/৫

০৮. অনাবৃত নিয়ন্ত্রন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা ঃ
একটি সীমার মান
পেশাগত প্রকট উপাদান জাতীয় আইন সীমা দেখতে হবে।
প্রকট নিয়ন্ত্রন
পেশাগত প্রকট নিয়ন্ত্রন
সাধারন ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা আটসাটভাবে নিরাপদ চশমা পড়তে হবে। রাসায়নিক প্রতিরোধ প্রতিরক্ষামূলক দস্তানা (ই.এন৩৭৪)
দস্তানা উৎপাদনকারী নির্দেশনা পর্যবেক্ষন অপ্রতিরক্ষামূলক ব্যক্তিদের দূরে রাখতে হবে।

০৯. পদার্থগত এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ঃ
অবস্থা ঃ তরল
রং ঃ গাঢ় বাদামী
গন্ধ ঃ সামান্য পঁচা গন্ধ
পিএইচ ঃ ৪-৭
পানিতে দ্রবনীয় ঃ দ্রবীভূত হয়

১০. স্থায়ীত্ব এবং সক্রিয়তা
সাধারনত স্থায়ী সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ( অনুচ্ছেদ ৭ দেখতে হবে)
এড়িয়ে যাওয়া শর্ত কোন বিপদজনক প্রতিক্রিয়া জানা নেই।
এড়িয়ে যাওয়া উপাদান নেই
ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যের গঠন জানা নেই

১১. বিষবিজ্ঞানগত তথ্য
জ্বালাপোড়া
চোখ : জ্বালাপোড়া হতে পারে
ত্বক : জ্বালাপোড়া হতে পারে
শ্বাস গ্রহণ: জ্বালাপোড়া হতে পারে
তীক্ষè বিষক্রিয়া
মুখে : এলডি ৫০ ইঁদুর:>৫০০০ মিগ্রা/কেজি
ডারমাল : প্রযোজ্য নহে
শ্বাস-প্রশ্বাস: প্রযোজ্য নহে
করনিক বিষক্রিয়া
মুখে : প্রযোজ্য নহে
ডারমাল : প্রযোজ্য নহে
শ্বাস-প্রশ্বাস: প্রযোজ্য নহে

৩/৫

১২. বাস্তু সংস্থান সংক্রান্ত তথ্য
এই প্রস্তুতিটি পরিবেশের জন্য বিপদজনক নয় বলে বিবেচিত। বিদ্যমান অবস্থা
দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং প্রাণীদেহে ও বাস্তুসংস্থানে তীক্ষè বিষক্রিয়াশীল।

১৩. অবমুক্ত বিবেচনা ব্যবস্থা১৪. পরিবহন তথ্য
বিশেষ পূর্ব সতর্কতা জানা নেই
উপযুক্ত পরিবহনকৃত নাম পরিবহন আইন অনুযায়ী কোন বিশেষ ক্ষতির উল্লেখ নেই
জাতীয় পরিবহন আইন জাতীয় আইন অনুযায়ী বিশেষ কোন তথ্য নেই

১৫. নিয়মতান্ত্রিক তথ্য
ই.ইউ নির্দেশাবলী ১৯৯৯/৪৫/ই.জি অনুযায়ী
প্রতীকি : এক্সএন
ঝুঁকির বৈশিষ্ট্য : আর ৪২ : শ্বাস প্রশ্বাসের সংস্পর্শে জ্বালাপোড়া হতে পাওে
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য : এস ২২ : ধুলাবালি এড়াতে হবে
এস ২৩ : পানির বর্ষন করা যাবে না
এস ২৪ : ত্বকের সংস্পর্শ এড়াতে হবে
এস ৩৬/৩৭: উপযুক্ত সুরক্ষা কাপড় এবং হাতমোজা পরিধান করতে হবে

৪/৫

১৬. অন্যান্য তথ্য ঃ
এই তথ্যাবলী আমাদের বর্তমান জ্ঞান অনুযায়ী উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পণ্য নিরীক্ষণ করে এর এবং পূর্ব সর্তকতা বর্ণনা করা হয়েছে। এই তথ্যাবলী পরিপূর্ণ এটা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। গ্রহীতা অবশ্যই আমাদের পণ্য নিজ দায়িত্বে এবং পর্যবেক্ষিত আইন অনুসারে গ্রহণ করবেন।

বিবৃতি নং ঃ ইএন ০৯
পূর্বগত বিবৃতি ঃ ২০০১/৫৮/ইসি। লেবেলিং এবং পরিবহন শ্রেণীকরণ পরিবর্তন হয়নি
পরিবর্তনীয় এমএসডিএস
তারিখ ঃ ২৯ জানুয়ারী ২০০৩
এমএসডিসি প্রস্তুত ঃ এম. ল্উরা
রেগুলারেটরী এসোসিয়েশন
যোগাযোগ ঃ ডাঃ কুয়াং বুই
ডিরেক্টর, টক্সিকোলজি
জেনেকর ইন্টারন্যাশনাল
ফোন : ৬৫০.৮৪৬.৭৫০০

নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকা সমুহ কি কি?

নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকা সমুহ কি কি?

নিরাপদ উপাদানের তথ্য তালিকা

০১. সনাক্তকরণ প্রকৃতি
পণ্যের বর্ণনা ঃ
বানিজ্যিক নাম ঃ ডেপিকোল এলজি
ধারা নং ঃ ৫০৩২/৩
আবেদনের প্রকৃতি/বয়ন সংক্রান্ত সহায়ক প্রস্তুতি
উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী ঃ
জেসচিমার এবং সেকওয়ার্জ
মোসডর্ফ জিএমবিএইচ এন্ড কোং কেজি
ডোর্ফস্ট্রাসি: ৮১
ডি- ০৯২১৭ বার্গষ্টেড
তথ্য বিভাগ ঃ টেক্সটাইল অক্সিলারিজ উন্নয়ন বিভাগ

০২. গঠন / গঠনমূলক তথ্য ঃ
রাসায়নিক প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য
বর্ণনা ঃ অ্যালকাইল সালফেট মিশ্রণ
০৩. ঝুঁকিপূর্ণ পরিচিতি
ঝুঁকিপূর্ণ বর্ণনা ঃ
সম্পর্কযুক্ত তথ্যটি মানুষ এবং পরিবেশের একটি ক্ষুদ্রতম অংশের জন্য বিপদজনক।
আর ৩৮ ত্বকের সংস্পর্শে জ্বালাপোড়ন হয়।
আর ৪১ মারাত্মকভাবে চোখ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।
শ্রেণী বিভাগ প্রণালী
শ্রেণী বিভাগটি তৈরী হয়েছে ইইউএর আধুনিক সংস্করন অনুসারে এবং বি¯তৃত হয়েছে কোম্পানী এবং তথ্যের উপরে।

০৪. প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
সাধারন তথ্য ঃ
যত দ্রুত সম্ভব পরিধেয় কাপড় থেকে পণ্য দূর করতে হবে অথবা কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ত্বক স্পর্শের পর ঃ দ্রুত পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে।

পেটে যাওয়ার পর ঃ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বমির চেষ্টা করা যাবে না। দ্রুত ডাক্তার ডাকতে হবে।

০৫. অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঃ
উপযুক্ত ধ্বংসাত্মক শক্তি
পাউডার অথবা পানি ছিটিয়ে নেভানো যায়।পানি ছিটিয়ে এবং অ্যালকোহল ফেনা আগুন নির্বাপনে সাহায্য করে
বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ কারণে পণ্যটির দহন হয় এবং এর ফলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ঃ বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই।
প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ঃ সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান করতে হবে।

০৬. আকস্মিক /দূর্ঘটনামুক্ত ব্যবস্থা ঃ
ব্যক্তি- সম্পর্কযুক্ত নিরাপদ পূর্ব সতর্কতা ঃ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কাছে রাখা। অপ্রতিরক্ষামূলক ব্যক্তিদের দূরে রাখতে হবে।
পরিবেশগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঃ পর্যাপ্ত পানির সাথে মিশিয়ে তরল করতে হবে। ড্রেনের উপরিভাগ বা নিুভাগের পানির জন্য প্রযোজ্য নয়।
পরিস্কার/আহরণের ব্যবস্থা ঃ
আইন অনুযায়ী উপাদানগুলো সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তরল পদার্থের সাথে বিশেষন করা- উপাদান বাধা (বালি, শৈবাল, অম্ল বন্ধনকারী, সার্বজনীন বন্ধনকারী, কাঠের গুড়া)
প্রতিরোধক শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
প্রচুর বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

০৭. ব্যবহার এবং সংরক্ষন
ব্যবহার
নিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য ব্যবহার ঃ বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই।
বিস্ফোরক এবং অগ্নি প্রতিরোধমূলক তথ্য ঃ কোন বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই
সংরক্ষন
গুদামঘর এবং অন্য কোন স্থানে রাখার প্রয়োজনীয় শর্ত ঃনিরাপদ রাসায়নিক উপাদানের তথ্য তালিকায় পাত্র হিসেবে অ্যালুমিনিয়াম, লোহা, ইস্পাত, তামা, সংকর ধাতু ব্যবহার করা যাবে না।
একটি সাধারন সংরক্ষন সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য ঃ ক্ষার (তীব্র বিশ্লেষন) এর সাথে একত্রে রাখা যাবে না।
সংরক্ষন অবস্থা সর্ম্পকিত দূরবর্তী তথ্য ঃ যে স্থানে অবাধে বায়ু চলাচল করতে পারে সেখানে জমা রাখতে হবে। পাত্রে আটসাটভাবে সীল লাগিয়ে রাখতে হবে।

০৮. অনাবৃত নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা ঃ
প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার নকশা সংক্রান্ত সংযোজিত তথ্য ঃ কোন দূরবর্তী উপাত্ত/তথ্য নেই। অনুচ্ছেদ ৭ দেখুন
মূল্য সীমার উপাদান যা কি না কারখানার সতর্কতার জন্য প্রয়োজন ঃ উপাদানের প্রাসঙ্গিক পরিমান এই পণ্যটিতে নেই বরং কারখানার সংকট মূল্যের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা আছে।
সংযোজিত তথ্য ঃ ব্যবহারের ভিত্তি সৃষ্টি পর্যন্ত তালিকাটি বৈধ।
ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম
সাধারন প্রতিরক্ষামূলক এবং স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা
রাসায়নিক পরিচালনার সময় পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাস সরঞ্জাম ঃ প্রয়োজন নেই।
হাত প্রতিরক্ষা ঃ প্রতিরক্ষা দস্তানা
দস্তানার উপাদান
উপযুক্ত দস্তানা নির্বাচন ঃ শুধুমাত্র উপাদানের উপর নির্ভর করে না। বরং দূরবর্তী নির্দিস্ট মান এবং উৎপাদনকারী বিভিন্নতার উপর নির্ভর করে। পণ্যটি হচ্ছে কতিপয় পদার্থের প্রস্তুটি। আগেই/প্রথমেই দস্তানা উপাদানের বিরোধিতা করা যাবে না এবং আবেদনটি আগেই পরীক্ষা করতে হবে।
দস্তানা উপাদানের সময়ের তীক্ষèতা
যথাযথ বিরতির সময় উৎপাদনকারীরা প্রতিরোধমূলক দস্তানা খুঁজে বের করতে পারে এবং পর্যবেক্ষন করতে পারে।
চলমান পাতা/৩
চোখ প্রতিরোধ ঃ নিরাপদ চশমা
দেহ প্রতিরক্ষা ঃ এসিড বিরোধক প্রতিরক্ষামূলক কাপড় পরিধান
১০. স্থায়ীত্ব এবং প্রতিক্রিয়া
উষ্ণ পচঁন অবস্থা এড়িয়ে যাওয়া ঃ উষ্ণ পচঁন ১৫০০ সেলসিয়াস এর উপরে।
বিপদজনক প্রতিক্রিয়া ঃ কোন বিপদজনক প্রতিক্রিয়া জানা নেই
দ্রব্যের পচঁন বিপদজনক ঃ
কার্বন মনোঅক্সাইড
নাইট্রোজেন অক্সাইডস (এন ও এক্স)

১১. বিষগত তথ্য ঃ
তীক্ষè বিষপূর্ণ ঃ
এলডি/এলসি ৫০ শ্রেণীকরণের প্রাসঙ্গিক মান ঃ এল ডি ৫০ (মুখে) :>৪০০০ মি. লি./ কে.জি (ইদুঁর)
প্রাথমিক জ্বালাপোড়ার ফলাফল ঃ
ত্বকের উপর ঃ ত্বকের উপর এবং কোষ ঝিল্লির উপর আঠালো প্রভাব পড়ে।
চোখের উপর ঃ জ্বালাপোড়ার প্রভাব পড়ে।
সংবেদনশীলতা ঃ কোন সংবেদনশীল ফলাফল জানা নেই।
সংযোজিত বিষগত তথ্য ঃ
সাধারন ই.ইউ শ্রেণী বিভাজন নির্দেশাবলীর হিসাব অনুসারে দ্রব্যটিতে উপরোক্ত দূর্ঘটনাগুলো দেখা যেতে পারে যা কিনা আধুনিক বৈধ বর্ণনার প্রকাশ।
ক্ষতিকর
জ্বালাপোড়া
গিলে ফেললে মুখের উপর এবং গলার উপর ক্ষারীয় প্রভাব পড়ে এবং খাদ্যনালী ও পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

২. বাস্তুসংস্থান তথ্য ঃ
সাধারন তথ্য ঃ
উৎপাদনকারী নির্দিষ্ট পরিমান এ.সি.সি থেকে ভি.ডব্লিউ.এস আইন- ১৭০.০৫.১৯৯৯।
পানির ঝুঁকি শ্রেণী ২ (জার্মান আইন) (নির্দিষ্ট পরিমাণ) পানিতে সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ পানির নিচে, পানিপথ অথবা ড্রেনের আবর্জনায় দ্রব্যটি গ্রহনযোগ্য নয়। ড্রেনের পানিতে পৌঁছায় না কারণ ইহা অমিশ্র এবং অপ্রতিরোধ্য

১৩. অপসারন ব্যবস্থা
দ্রব্য / পণ্য ঃ
সুপারিশ ঃ পূর্ববতী চিকিৎসার পরে দ্রব্যটি পুরু ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যরে সাথে লাগিয়া থাকার ব্যবস্থা করা হয়। প্রাসঙ্গিক আইনে বিশেষ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যের এরূপ ব্যবস্থা করা হয়।
বর্জ্য সহায়ক ব্যবস্থা
ই.এ.কে আইন অনুসারে নিজ নিজ শিল্পায়ন শাখার এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সুনির্দিষ্ট কোড থাকবে।

অপিরচ্ছন্ন মোড়কীকরন ঃ
সুপারিশ ঃ দূষিত মোড়ক সম্পূর্ণভাবে খালি করা উচিত। সম্পূর্ণ পরিস্কার করার পর তারা চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
পরিস্কারক তত্ত্বাবধান শক্তি ঃ পানি, যদি পরিস্কার শক্তি হিসেবে প্রয়োজন হয়।

১৫. আইনগত তথ্য
ই.ইউ নির্দেশাবলী অনুসারে নির্দেশিত ঃ
দ্রব্যটির বিভাজন ই.ইউ সরাসরি/আইন ও আদেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানগুলোর সাথে মিল আছে।
দ্রব্যটির কোড নম্বর ও ঝুঁকির নমুনা ঃ সি জ্বালাপোড়া করে
ঝুঁকিপূর্ণ লেবেলের উপাদানের সীমা ঃ
ফসফনিক এসিডস
ঝুঁকিপূর্ণ উক্তিঃ
২২ গিলে ফেললে ক্ষতিকর
৩৪ জ্বালাপোড়ার কারণ
নিরাপদ উক্তি
২৬ যদি চোখে চলে যায় তবে দ্রুত প্রচুর পানি দিয়ে ধূতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে।
২৮ ত্বকে লাগার পর দ্রুত পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৩৭/৩৯ উপযুক্ত দস্তানা পরিধান করতে হবে চোখ এবং মুখমন্ডল প্রতিরক্ষার জন্য।

জাতীয় আইন
ভি.বি.এফ এর শ্রেণী বিভাগ অনুসারে ঃ পরিত্যক্ত
পানিতে ঝুঁকির শ্রেণী ঃ পানিতে ঝুঁকির শ্রেণী- ২ (নিজস্ব নির্দিষ্ট পরিমাণ) পানিতে সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ।
উৎপাদনকারীদের নিজস্ব আরোপিত মন্তব্য হলো বয়ন সহায়ক শ্রেণী বিভাজন অনুসারে পানি দূষন হয়
(টি.ই.জি.ই.ডব্লিউ.এ.টি.ভি.আই)
(পানির অপচয় প্রাসঙ্গিক- জার্মানি)

১৬. অন্যান্য তথ্য ঃ
এই তথ্যের ভিত্তি হলো আমাদের বর্তমান জ্ঞান। যাই হোক কোন নির্দিষ্ট দ্রব্যের/পণ্যের গঠণের জামানত/গ্যারান্টি দেওয়া হবে না এবং চুক্তি সম্পর্ক বৈধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা প্রতিষ্ঠিত হবে না।

প্রাসঙ্গিক আরও উক্তি ঃ
২২ গিলে ফেললে ক্ষতিকর
৩৪ ঃ জ্বালাপোড়ার কারণ
৩৫ ঃ জ্বালাপোড়ার পৃথক কারণ
৩৭ ঃ যন্ত্রনাদায়ক শ্বাস সংক্রান্ত ব্যবস্থা
৩৮ ঃ চোখ নষ্ট হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে

ক. কেমিক্যাল স্টোরটিতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাস থাকতে হবে।
খ. তাপমাত্রা ৩০ক্ক প এর নিচে থাকতে হবে।
গ. আগুনের তাপ, আগুনের উৎস, অগ্নি স্ফুলিংগ, বৈদ্যুতিক স্ফুলিংগ ইত্যাদি অবশ্যই দূরে রাখতে হবে।
ঘ. ডিজেল, ঊহমরহব লুব অয়েল ও মেশিন অয়েল ব্যবহারের স্থানে ধূমপান ও আগুনের ব্যবহার সম্পূনর্ নিষেধ।
ঙ. সেকেন্ডারী কনটেইনার ব্যবহার করতে হবে এবং খালি কনটেইনার ব্যবহারে সময় সতর্ক থাকতে হবে।
চ. কেমিকেল কনটেইনারে প্রতিটি কেমিকেল লেবেলিং থাকতে হবে।
ছ. কেমিক্যাল স্টোর সংরক্ষিত হতে হবে।
জ. আই ওয়াশ থাকতে হবে।
ঝ. কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঋওঋঙ (ঋরৎংঃ রহ-ঋরৎংঃ ড়ঁঃ) নিয়ম মেনে চলতে হবে। আগে আসলে আগে গমন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোন রাসায়নিক দ্রব্যের নতুন চালানকে অবশ্যই পূবর্বর্তী চালানের পেছনে সংরক্ষণ করতে হবে । ষ্টোর ইনচার্জকে রাসায়নিক দ্রব্য ইস্যু করার ক্ষেত্রে প্রতিগ্রহণের তারিখের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে করে পুরোন রাসায়নিক দ্রব্য আগে নিঃশেষ হয় ।
ঞ. কেমিক্যাল স্টোরের আশেপাশে খাওয়া, ধুমপান, পান খাওয়া এবং উন্মুক্ত আগুন সম্পূর্ন রুপে নিষেধ করে সাইন লাগিয়ে দিতে হবে।
ট) কেমিকেল স্টোরে অবশ্যই জরুরী যোগাযোগের নাম্বার প্রদশন করতে হবে।
ঠ) মজুদকরন এলাকায় কেমিকেল ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পি পি ই) সরবরাহ করতে হবে।
ড) কেমিকেল মজুদ এলাকায় কেমিকেল পড়ে গেলে তা দ্রুত কিভাবে তুলতে হবে সেই প্রক্রিয়া এবং উপকরন (স্পিল কিট) থাকতে হবে।
ঢ) কেমিক্যাল ঝঃড়ৎব থেকে কেমিক্যাল, রং , কালি ইত্যাদি মিক্সিং কক্ষে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই ঢেকে ও সাবধানে নিতে হবে।